এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ম্যানেজমেন্ট ও স্যার আলেক্স ফার্গুসেন

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ মার্চ ২০২০ | ২৮২৪ বার পঠিত
  • ১৯৮৬ সালের নম্ভেম্বর মাস – ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব লীগের নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে টালমাটাল অবস্থায় আছে। চট করে কিছু চেঞ্জ না আনলে আরো নিচের লিগে অবনমন হয়ে যেতে পারে। কি করবে তা হলে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড? বাকি সব ফুটবল ক্লাব যা করে তারাও তাই করল্ম পাল্টাও কোচ। নিয়ে আসা হল আবেরডীন ফুটবল ক্লাব থেকে আলেক্স ফার্গুসেনকে যে সেখানে ছয় বছরে দশটা ট্রফী জিতেছে, তার মধ্যে একটা ইউরোপীয়ান কাপও আছে রিয়েল মাদ্রীদ কে হারিয়ে।

    বাকিটা ইতিহাস।

    খেলাধুলার সাথে জুড়ে থাকা জনতার এক বিশাল অংশ মনে করে স্যার আলেক্স হচ্ছে গিয়ে পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কোচ, যে কোন ধরণের খেলাধূলা ধরে। ছাব্বিশ বছর ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন ফার্গুসেন। এবার যারা ফুটবল ফলো করে তাদেরকে আর নতুন কিছু বলার নেই, কিন্তু যারা ফুটবল নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না, তাদের জানিয়ে রাখি যে ফুটবল কোচের থেকে স্ট্রেসফুল চাকুরী আর প্রায় নেই বললেই চলে। বড় বড় কোম্পানীর সি ই ও রাও এত টেনশন বা অণুবিক্ষণ যন্ত্রের তলায় থাকেন না যতটা এই ফুটবল কোচেরা থাকেন। আর সেই ক্লাব যদি ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের মত ক্লাব হয়, তাহলে তো হয়েই গেল! এই ছাব্বিশ বছরে ফার্গুসেন ইংলিশ লিগ জিতেছেন ১৩ বার আর তার সাথে আরো ২৫ খানি দেশীয় এবং আন্তর্দেশীয় ট্রফি।

    হাতের কাছে এমন একটা কেস স্টাডির সাবজেক্ট থাকতে তাহলে কি ম্যানেজমেন্টের লোকেরা ছেড়ে দেবে? তাই কি হয়! ম্যানেজমেন্ট এমন একটা জিনিস যে বাস্তব জীবনে অসফল পাবলিক বই লেখে কেমন করে সফল হতে হবে, এবং পাবলিক হাঁ করে সেই বই গেলে! বই না কিনলে সেই লেখক আরো অসফল থেকে যেত। যতদিন অ্যাকটিভ কোচ ছিলেন ততদিন ফার্গুসেনের এই সব আঁতলামো করার সময় ছিল না। রিটায়ার হবার পর হাতে অফরুন্ত সময়। এর মধ্যে হাভার্ড হামলে পড়ল ফার্গুসেনের সাফল্যের রহস্য উদঘাটন করতে। ভাবনা এই যে একবার যদি সেই ফার্গুসেনের ম্যাজিক পদ্ধতি ক্র্যাক করতে পারি, তাহলে সেই পদ্ধতি অন্য ব্যবসা বাণিজ্যে কাজে লাগিয়ে হু-হা করে সফল হওয়া যাবে।

    ২০১২ সাল নাগাদ হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রফেসর অনিতা এলবারস্ নিয়ে পড়লেন ফার্গুসেনকে – কেটে ছিঁড়ে দেখলেন ফার্গুসেনের ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ এবং কেস স্টাডি করেই ফেললেন। উৎসাহী জনতারা হাভার্ড বিজনেস রিভিউ-এর ২০১৩ সালের অক্টোবর সংখ্যাটা উলটে পালটে দেখতে পারেন।



    ফার্গুসেনকে শুধু কোচ বললে অবশ্য পুরোটা বলা হয় না – ফার্গুসেন ছিলেন পুরো ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের এক প্রধান মাথা। আরো নানাবিধ পদ সেই সংস্থায় থাকলেও ফার্গুসেনই ছিলেন আল্টিমেট জিনিস – তেনার সম্মতি ছাড়া ওল্ড ট্রাফোর্ডের পাতাও হিলত না! এবার টুক করে দেখে নেওয়া যাক ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডে ফার্গুসেনের সময়টাঃ

    ১৯৯০ সালের মে মাসে ফার্গুসেনের অধীনে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড প্রথম ট্রফি জিতল, এফ এ কাপ - ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের চেয়ারম্যান ১৯৯১ সালের জুন মাসে ক্লাবকে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে চড়ালেন, ক্লাবের ভ্যালু এল ৪৭ মিলিয়ন পাউন্ড – ১৯৯৩ সালে এল প্রথম প্রীমিয়ার লিগ খেতাব – আগষ্ট ১৯৯৮ থেকে মে ১৯৯৯ এর মধ্যে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ট্রিবিল পেল, একমাত্র ইংলীশ ক্লাব যারা এটা অর্জন করল, প্রীমিয়ার লীগ, এফ এ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ানস লীগ, ফার্গুসেনকে দেওয়া হইয় স্যার উপাধি – ২০০১ সালে লীগ জিতে প্রথম ইংলীশ ম্যানেজার হিসাবে পরপর তিন বার খেতাব পাবার নজির গড়লেন, আবার এই জিনিস রিপিট করেছিলেন ২০০৯ সালে – বছরে ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড করে নাইকি-র সাথে ১৩ বছরের জন্য চুক্তি হল – ২০১২ সালে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডকে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তোলা হল, ভ্যালু দাঁড়ালো ২.৩ বিলিয়ন পাউন্ড, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থা – ২০১২ সালের মে মাসে স্যার আলেক্স ফার্গুসেন অবসর নিলেন, আর শুরু হল ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের অবক্ষয়, যা এখনো চলছে!

    ম্যানেজমেন্ট জিনিস পত্র পড়তে একদম ভালো লাগে না, কিন্তু খেলা ধূলা ভালো লাগে বলে কুইনাইন খাবার মত মুখ করে ফার্গুসেনের ম্যানেজমেন্ট লেসন পড়তে শুরু করলাম। পড়ে দেখলাম বাঃ এতো একদম আঁতলামো নেই, পুরো বাস্তব কথায় ভর্তি। প্রোফেসর অনিতা বিশ্লেষণ করে স্যার আলেক্স ফার্গুসেনের ম্যানেজমেন্টের পদ্ধতিকে আট নেতৃত্ব নীতিতে ভাগ করেছিলেন, আর প্রতিটা প্রসঙ্গে ফার্গুসেনের ইন্টারভিউয়ের কিছু কিছু কথা নীচে রইলঃ

    ১) একদম ভিত থেকে কাজ শুরু করুন

    “I always take great pride in seeing younger player develop. The job of a manager, like that of a teacher, is to inspire people to be better. Give them better technical skills, make them winners, make them better people, and they can go anywhere in life. When you give young people a chance, you not only create a longer life span for the team, you also create loyality. They will always remember that you were the manager who gave them their first opportunity”.

    ২) নতুন করে শুরু করার জন্য কলজের জোর আনুন

    “The hardest thing is to let go of a player who has been a great guy – but all the evidence is on the field. If you see the change, the deterioration, you have to ask yourself what things are going to be like two years ahead.”

    ৩) মাপকাঠি যেন হয় উঁচু স্ট্যান্ডার্ডের, এবং সেই স্ট্যাণ্ডার্ড মেনে চলতে বাকি সবাইকে বাধ্য করুন

    “Everything I did was about maintaining the standard we had set as a football club – this applied to all my team building and all my team preparation, motivational talks, and tactical talks. For example, we never allowed a bad training session. What you see in training manifests itself on the game field.”

    ৪) কনট্রোল যেন সবসময় নিজের হাতে থাকে - কদাপি কনট্রোল বেহাত করবেন না

    “Before I came to United, I told myself I wasn’t going to allow anyone to be stronger than I was. Your personality has to be bigger than theirs. That is vital. There are occasions when you have to ask yourself whether certain players are affecting the dressing room atmosphere, the performance of the team, and your control of the players and staff. If they are, you have to cut the cord. There is absolutely no other way. It does not matter if the person is the best payer in the world. The long term view of the club is more important than any individual, and the manager has to be the most important one in the club. It’s not about looking for adversity or for opportunities to prove power; it’s having control and being authoritative when issues do arise.”

    ৫) প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখুন, অপ্রাসঙ্গিক বা ফালতু হ্যাজাবেন না

    For a player – for any human being – there is nothing better than hearing “Well Done”. Those are the two best words ever invented. You do not need to use superlatives. At the same time, in the dressing room, you need to point out mistakes when player’s do not meet expectations. That is when reprimands are important. As I have gotten older, I have come to see that showing your anger all the time doesn’t work. You have to pick your moments. As a manager, you play different roles at different times. Sometimes you have to be a doctor, or a teacher, or a father”.

    ৬) জেতার মানসিকতা তৈরী করুন

    “Winning is my nature. I have set my standards over such a long period of time there is no other option for me – I have to win. I expected to win every time we went out there. Even if five of the most important players were injured, I expected to win”.

    ৭) নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার উপর জোর দিন এবং তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন

    “I do not think many people fully understand the value of observing. I came to see observation as the critical part of my management skills. The ability to see things is key – or, more specifically, the ability to see things you don’t expect to see.”

    ৮) নিজের অভিযোজন কখনও থামাবেন না

    “Most people with my kind of track record don’t look to change. But I always felt I couldn’t afford not to change. We had to be successful – there was no other option for me – and I would explore any means of improving. I continued to work hard. I treated every success as my first. My job was to give us best possible chance of winning. That is what drove me”.


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ মার্চ ২০২০ | ২৮২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ২০ মার্চ ২০২০ ০৪:০১91593
  • হুম্‌ম্‌! আপনার অভিযোজনের জন্য দরকারী জিনিস পত্র।
    চমৎকার পাঠ।
    (আমার অবশ্য আর দরকার পড়বে না। :) )
  • হখগ | 162.158.165.235 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৪:৩৩91609
  • এই ছিল মনে সুকি, তোমাকে কিনা এতো ঘরের লোক ভেবেছি, তুমি কিনা ম্যান ইউ, ভেঙে পড়লাম :-((((((((((((((((

    আর এই সব ম্যানেজমেন্টে র বাজে জ্ঞানে ফেঁসো না গুরু, পার্সোনালিটি কাল্ট ফুটবলে দরকার হতে পারে ম্যানজেমেন্টে হলে খুব ই চাপ। একটা লেভেলের পরে লায়াবিলিটি।

    যাই হোক, ফুটবল কোচিং নিয়ে মেন্ বক্তব্য হলো, এই যে ফিগার গুলো, ধরো আমাদের পিকে, অমল বাবু, বাঘা স্যার , বা কল্পিত ক্ষিদ্দা , বা বিলেতে বিগ হেড ব্রায়ান ক্লাও বা ক্লাওয়ি ইত্যাদি এদের পার্সোনালিটি তে ফার্গুসন এর থেকে কম কিসু না ,

    ফার্গুসন স্কটিশ লিগে খুব বারো প্লেয়ার ছিলেন না, ভালো ব্যাচ পেয়েছিলেন, আর একটা ফোর্ট মেন্টালিটি, এনেছিলেন, পৃথিবীর সবাই শত্রূ ইত্যাদি, রেফারি দের যাতা বলতেন, বলে পার পেতেন, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড এ উনি ই একা ১৬ নং লুই :-)))) তবে ক্লাও , ফার্গুসন রা হচ্ছে একটা সময়ের লোক, যখন সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ডের সমস্ত ধরনের ডোমিনেন্স একমাত্র ফুটবলে ভাঙ্গতো নর্থ। লেবার ওয়ার্কিং ক্লাস নর্থ, প্রতিটা টাউন একেকটা ট্রাইব, এটা সর্বত্র ছিল, আবার বলা যেতে পারে, ফার্গুসন হলেন একমাত্র সেই ম্যানেজার যিনি নিও লিবারেলিজম এ ফুটা বল যখন ট্রানজিশন করছে, ৯০স এ , তখন একমাত্র বড় কোচ যে সাক্সেসফুলি নতুন ওয়ার্ল্ডে অর্ডার এ ট্রানজিশন করেছেন, সেটাই মেন্ সাকসেস, ফোর ম্যানের সি ই ও হবার গল্প, এটা বিগ স্যাম আলারডাইস , গ্রেম সনেস, রবসন কিছুটা পেরেছেন।

    যাক পরে আড্ডা হবে। হখগ
  • hkg | 172.69.135.147 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৫:১৬91610
  • আবার অনেকটাই পারেন নি, ওর মতো করে। ফার্গুসন এর একটা বক্তৃতা শুনো, তাতে বলছেন, গ্লাসগো তে হুলিগানিজম আছে কারণ জব নেই, একেবারেই , লেফট লেবার পজিশন, কিন্তু পরে ঘোড়া কিনছেন, ছেলে কে কিনে স্কাউটিং ব্যবসা করছেন, গ্লেজার দের কাছে বেচে যাচ্ছেন চেলসির সঙ্গে কম্পিট করতে গিয়ে ইত্যাদি, নট ফান।
  • হখগ | 172.69.134.14 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৫:১৮91611
  • ****ছেলে কে নিয়ে

    হখগ
  • হখগ | 162.158.167.117 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৫:২৮91612
  • তুমি যদি বিল শ্যাঙ্কলি ইত্যাদি লেজেন্ড দের দ্যাখো, sobaar মেন্ ক্যালি তা কি, অনেকটা হাউ গ্রীন ওয়াজ মাই ভ্যালি সিনেমা টার মতো, একজন ফাদার ফিগার, তার তলায়, পারহার ট্যালেন্টেড দুষ্টু ছেলে যে ভালো খেলে।
    ৯০র , দুহাজার রের হিরো রা সকলেই তাই, আমাদের আমলের পল গাসকোয়েন বা আয়ান রাশ , কেনই ডালগ্লিশ সব এক মডেল। ছোট শিল্প sohor, তার ফুটবল লিজেন্ড, রাগবি বা ক্রিকেট যেমন পাবলিক স্কুল বা ইউনি ঘিরে, এটা টাউন ঘিরে।

    এই মডেলে চলে ১৮৮৬ থেকে , ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইনটারন্যাশনাল প্লেয়ার রা (ইউসেবিও) আসার পর আর মারাদোনা ১৯৮০স নেপলস এ আসার পরে, থেকে ফুট বল আর ইমিগ্রেশন জুড়েছে, ১৯৬২-১৯৬৬, অনেক টা পরে আবার ফুটবল টেলিভিশন প্রোডাক্ট হয়ে যাচ্ছে। এবং পারহার দাদু দের বদলে প্রফেশনাল , কলেজ পরা কোচ রা আসছেন।

    হখগ
  • সুকি | 162.158.165.249 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৬:৩৭91614
  • য়ারে হনুদা, তোমার ফুটবলেও ইন্টারেষ্ট আছে জানতাম না তো :)

    বাই দি ওয়ে, আমি ম্যান ইউ এর সাপোর্টার নয়। ইনফ্যাক্ট সেই ভাবে দেখতে গেলে বিশেষ কোন ক্লাবেরই সমর্থক নয় হয়ত। ফার্গুসেন যে আমার বিশাল কোন পছন্দের লোক তেমন ও নয় - কিন্তু উনার সাফল্য নিয়ে ভাবি।

    তুমি অনেক কথাই ঠিক লিখেছ - তবে আমি বেশ কিছুর সাথে একমত নয়ও। আমি এখানে ম্যানেজমেন্টের কোন বাতচিত বা বড় বড় ডায়লগে বিশ্বাস করতে বলছি না, বা নিজেও বিশ্বাস করি না। এখানে ফার্গুসেন শুধু ফুটবল নিয়েই বলেছেন - তিনি দাবী করেন নি যে এটাই একমাত্র সফলতার উপায়। উনাকে ডেকে জিঞ্জেস করা হয়েছিল যে কি কি বিষয় আপনার কাছে ইমপরটেন্ট মনে হয় - তিনি সেটাই বাতলেছেন। আর সেই খানেই ম্যানেজমেন্টের তথাকথিত বই/ডায়লগের সাথে এটার পার্থক্য। কোন সিলভার বুলেট তিনি দাবী করেন নি।

    আর একটা সময়ের পর - মানে ম্যাঞ্চেষ্টার-কে গ্লোবাল ম্যাপে তুলে আনার পর, তিনি শুধু ফুটবল কোচিং করান নি। বলতে গেলে একটা ইন্ডাষ্ট্রি চালিয়েছেন। তাই উনার মতামত শুধু ফুটবলে চলে বলে পাশ কাটাতে গেলে মনে হয় না সেটা ঠিক হবে।

    অমল, পিকের সাথে পার্সোন্যালিটির তুলনা আমাদের বাঙালী আবেগ। কোথায় এরিক ক্যঁতোনা, বেকহ্যাম, রোনাল্ডো, রবসন এদের ইগো, আর কোথায় সুভাষ, সুব্রতর ইগো! ফার্গুসেন কত বছর যেন বি বি সি কে ইন্টারভিউ দিত না?

    তুমি যে সামাজিক অ্যাঙ্গেল ওই সন দেখিয়েছ - ও সব সত্যি ওই ১৯৯২ সালের আগের। তার পর ইংলিশ ফুটবল একেবারেই পালটে যায়। বৃটিশরা ফুটবল না দেখলেও আজকাল ই পি এল চলতে অসুবিধা হবে না, শুধু হয়ত সব মাঠ ভরবে না। কিন্তু ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ভরতে অসুবিধা হবে না। ফার্সসেনকে সেই ভাবে অ্যাডাপ্ট করতে হয়েছিল। আমার তো আবার ইণ্টারেষ্টিং লাগে ২০০৪ সালের পর, মানে চেলসীর আধিপত্য এবং আরো কিছু পরে ম্যান সিটির আধিপত্যের সময়ে উনি কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেম। এলেম লাগে।
  • হখগ | 172.69.134.26 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৭:১৫91616
  • আমরা গুরুতে অনেকেই ফুটবল ভক্ত আছি। টিম বলে একজন ছিল, এমাজিং ফুটবল রাইটার। হি ওয়াজ আওয়ার মতি নন্দী / ব্রায়ান গ্লানভিল :-)))

    তবে আমাদের কেস টি একটা সোশাল স্টাডি বাই ইটসেলফ। সংক্ষেপে আমরা (আইটি গাই টাইপ্স) রা হলাম গ্লোবালাইজেশনের বেনিফিশিয়ারি। এবার সারা জীবন মহান বাগান ইস্টবেঙ্গল মোহামেডান স্পোর্টিং করে, আমাদের টিভি তে বিদেশী ফুটবল আসার পরে, বিশেষহত সিরি আ আর প্রিমিয়ারশিপ আসার পরে আমার ফলোয়িং বদলায়। এবং আমাদের মাঠ খাঁ খাঁ হয়, আমরা টিভি র কনজিউমার হই।

    আমার ব্যক্তি গত অভিজ্ঞতা হলো, ছোট নর্দার্ন বিলিটি টাউন এর গরীব চাকুরীহীন শহর গুলোর সঙ্গে আমি খানিকটা একাত্মতা বোধ করেছিলাম, কর্মহীন তা , আলকোহলিজম এর সমস্যা ইত্যাদির পরিচিত লেগেছিলো। সম্ভবত কৃশি প্রধান বোলপুর আর শিল্প প্রধান মিডলসব্রো বা লিভারপুল তে কোথাও একটা মিল পাই, সেই লোকাল ছেলেদের প্রতি বিরাট আশা, এবং প্রতিবার বড় টাইম যাবার পরে হতাশা ইত্যাদি। প্রচুর রেসিজম সত্ত্বেও কোথাও একটা কানেক্ট করি। তার পরে আমি ব্রায়ান গ্ল্যাণভিল আর আয়ান জ্যাক আর উরুগুয়ে র 'ওপেন ভেইন্স অফ লাতিন আমেরিকা খ্যাত' এদুয়ার্দো গালিয়ানো র সকার ইন শ্যাডোজ এন্ড সান ইত্যাদি পড়ি। আর ছোটবেলার হিরো সক্রেটিস এর কোরিন্থিয়ান এক্সপেরিমেন্ট এর ব্যাপারে আবছায়া শোনা কথা নিয়ে রিসার্চ করি, তার পরে ফুটবল নিয়ে কিছু লেখালিখি করি। ইত্যাদি। এই এক ই সময়ে আর্জেন্টিনার ডিক্টেটরশীপের আমলে পাসারেলা দেড় ১৯৭৮ এর জেতা টা র সময় সেই সেলিব্রেশন কে ইউজকরে, ওখানে হারিয়ে যাওয়া বামপন্থী ছাত্রদের মায়েরা কিরকম ব্ল্যাক মাদার্স কাল্ট গড়ে তুলেছিলেন বলেই বাইরের দুনিয়া জানাতে পারে যে আর্জেন্টিনায় কি ভয়ানক অবস্থা চলছে। গরীব বাড়ীর ছেলে মারাদোনার কাস্ত্রো কে ফ্যান্টাসাইজ করাটা শুধুই কাল্ট না, সোশাল রুটিং আছে, ইত্যাদি পড়াশুনো করি। ইত্যাদি।

    আমি কোয়ালিলটি র তুলনা করিনি, তুলনা করার মতো ফ্যাক্টা নেই, কিন্তু পার্সোনালিটির কথা বলছি। ইষ্টবেঙ্গল লক্ষ রিফিউজি দেড় স্বপ্ন ছিল, মহানাবাগান একটা জাতির আবেগ কে রিপ্রেজেন্ট করেছে অনেকদিন। সুতরাং পলিটিকালি গুরুত্ত্ব কম না।

    এরোক কান্তনা একটা অদ্ভুত চরিত্র, ভেবে দেখো, ও কখন ইংলিশ লিগে যাচ্ছে, যখন ইমিগ্রান্ট রা ফ্ৰান্স ফুটবল কে নিয়ে সোশাল মোবিলিটি পাচ্ছে, , কোচ এম জ্যাকে , ভিয়েরা , জিদান , জোড়কেয়েফ দের তুলে আনছেন। তখন ব্রিটানির ছেলে কান্তনা, ফার্গুসন এর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছে। বোলাতে পারো, ব্রেক্সিট স্পিরিটে কান্তনা একটা বিচিত্র ফ্রেঞ্চ ইম্পোর্ট। এই লাইনে একটা প্রবন্ধ আমার লেখার ইচ্ছে আছে। কসোভোর ছেলে এ ইব্রাহিমোভিচ সুইডেনে আর কান্তনা নর্থ ইংল্যান্ডে বিচিত্র নেশানালিজম এর কেন্দ্র হয়ে উঠছে নিজেরা বিদেশী হাওয়া সত্ত্বেও। এটা হলো রেসিয়াল রামধনুর মাণ্ডেলা আবার জিদান মডেলের উল্টো দিক। হখগ
  • হখগ | 162.158.167.193 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৭:১৯91617
  • মাণ্ডেলা আর জিদান মডেলের উল্টো দিক।

    আপাতত আমি হায়দরাবাদের ফুটবল নিয়ে পড়াশুনো করবো ঠিক করেছি। তার কিছু ব্যক্তিগত স্বপ্নভঙ্গের কারণ রয়েছে। আমি হাবিব আকবার দের সাংঘাতিক ফ্যান ছিলাম। কিন্তু নঈম স্যার কে পছন্দ করতাম না, আল্ট্রা কানাজারভেটিভ হবার জন্য। আমার জানার ছিল যে হায়দ্রাবাদী কানাজারভেটিজম তা লোয়ার মিডল ক্লাসে কেনা আসছে। ফুটবলে। সেটা কি নিজাম এর করতে পাত্তা পাবার জন্য। কারণ হায়দ্রাবাদ স্বাধীনাতার পরে প্রচুর প্লে বে ও দিয়েছে। তাহলে লোয়ার ক্লাসেস এ কানাজারভেটিজম দিচ্ছে কেন।

    হখগ।
  • সুকি | 172.68.167.15 | ২০ মার্চ ২০২০ ১৯:৩২91618
  • আচ্ছা এবার তোমার অ্যাঙ্গেলটা ঠিক বুঝতে পারলাম। দ্বিমত নেই যা লিখলে।

    বাই দি ওয়ে, টিম-দা তো আছে - অবশ্য অনেকদিন এই পাড়ায় দেখি না।

    আসলে আমি আমার ইউরোপ বাসের প্রায় অনেকটা সময় এই ফুটবলের পিছনে ব্যায় করেছি। শুধু বই পড়া নয়, ফার্ষ্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতার ভাঁড়ারে অনেক কিছু জমা হয়েছে। কোন এক সময় করে লিখব। দিনের পর দিন উইক এন্ডে - আর রাতের পর রাত উইক ডেজ্‌ এ পাবে কাটিয়েছি ফুটবল দেখে নানা দেশের বন্ধুদের সাথে, ইনক্লুডিং বৃটিশ।

    এখন প্রিমিয়ার লীগের বড় ক্লাব গুলো ফলো করলে তুমি যে সেন্টিমেন্ট গুলো বলছ, তা আর পাবে না - সব গ্লোবাল হয়ে গেছে। ওয়ার্কিং ক্লাস আর্সেনাল বা লিভারপুলের বেশীর ভাগ সাপোর্টার এখন বিদেশী। সেই সেন্টিমেন্ট খুঁজতে গেলে তোমাকে প্রিমিয়ার লীগের বাইরে বেরোতে হবে - এই ধর চ্যাম্পিয়ানশিপ। ধর তুমি গেলে ডার্বি বা শেফিল্ড এ খেলা দেখতে - তোমার টাটা সোস্যাল স্টাডিজ এর উপাদান পাবে। বড় ক্লাব বলতে ধর এভারটন - পাশাপাশি থেকে লিভারপুলের থেকে কি ভাবে আলাদা। বা ধর এই তেলের পয়সা আসার আগে ম্যান সিটি। বা এখনো তুমি যদি নিউক্যাসেল যাও - সেখানেও পাবে অনেক মেটেরিয়াল।

    ওদিকে আমি আমষ্টারডামে অনেক সময় কাটিয়েছি ইমিগ্রান্টদের সাথে ফুটবল খেলে, ডাচ ছাড়াও। খেলেছি মরক্কো বা আলজেরিয়ার ছেলে পুলের সাথে। অনেক কিছু লেখার থেকে গেছে।

    আচ্ছা তুমি যে সাবজেক্টে লিখবে বলছ, সেই নিয়ে আমাদের বোরিয়া মজুমদার মশাই কিছু লেখেন নি?
  • হখগ | 172.69.135.15 | ২০ মার্চ ২০২০ ২০:৪২91619
  • লেখো , আগ্রহ নিয়ে পড়ব। বোরিয়া মজুমদারের ফুটবল রাইটিং পড়িনি, যদিও নামকরা স্কলার,, তবে
    আমার মেডিয়া পার্সোনালিটি দের সম্পর্কে একটু আলাজ্জি আছে। হ্যাঁ লোয়ার ডিভিসন দেখাই ভালো। ডাচ ফুটবল এ আমার মনে হয় সবচেয়ে যেটা ভালো সেটা এজ গ্রুপ ফুটবল। এত মাঠ আর কোথাও দেখিনি, আমি ডেন হাগ এ মাঝে মাঝে যেতাম, তখন ওটাই অবাক হয়ে দেখতাম। তবে এখন হায়েদ্রাবাদ:-))) বোরিয়া স্পোর্টস
    রিসার্চ এ ফান্ডিং এনেছে না এটা মানতে হবে। আমি কৌশিক বন্দোপাধ্যায় এর লেখা ফলো করি , স্পোর্টস হিস্টরি তে,। কেরালা র ফুটবল কিছুই জানি না , নর্থ ইস্ট নতুন ফৈনোমেনন।
    আমার তো তাড়া নেই মরার আগে একটু প্রাইমারি জানতে পারলেই হবে, দেখি।
  • হখগ | 162.158.166.110 | ২০ মার্চ ২০২০ ২০:৫২91620
  • আমাদের নাইজেরিয়ান ফুটবলার দের নিয়ূ এখন শুনছি ভালো কাজ হচ্ছে, খবর টা পেলে জানাবো, একটা ফিল্ম হয়েছে। আমি কলকাতা র একজন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল এজেন্ট কে নিয়ে লিখব বলে ইন্টারভিউ নিয়ে রেখেছি কিন্তু উনি দেশে ফিরে গেছেন, আমার ও আর ব্যারেটো র সঙ্গে আলাপ হল না।
  • একলহমা | ২০ মার্চ ২০২০ ২০:৫৬91621
  • আমার তাড়া আছে। আপনারা যদি একটু একটু করে ধারাবাহিক নামাতে থাকেন - একে বুড়ো লোক, তায় করাল করোনা কাল! :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন