এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 101.185.15.185 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৫68599
  • কারোর ওপর জোর খাটিয়ে সঙ্গম করা আর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার মধ্যে তফাৎ অবশ্যই আছে। রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার ক্যাটাগরিতে সম্ভবত দ্বিতীয়টাকেই ফেলা হচ্ছে। অবশ্য শুনছি কেউ কেউ বলছেন যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর মত ঘটনাও নাকি অনেক ঘটেছে এবং তাকে রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার বলা যায়্না। এটা কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া বা বিশেষ ভাবে প্রতিশোধ নেওয়া ছাড়া এই ধরনের ঘটনা গত তিন-চার বছরের আগে কেমন ফ্রিকোয়েন্সিতে ঘটত সেটা জানতে পারলে এই অবস্থানটা বুঝতে সুবিধে হত।
  • a x | 138.249.96.10 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৫68600
  • হু, এই মুহূর্তে সবচেয়ে পাব্লিক কেস মনে পড়ছে - অনিতা দেওয়ান।
  • se | 204.230.159.184 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৪:১৫68601
  • যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেই গল্প সম্ভবতঃ লিখেওছিলাম। এ বেশ পুরোনো ঘটনা। ইউটেরাস ফুটো হয়ে গিয়ে বৌটি মারা যায়।
  • hu | 101.185.15.185 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৪:৪৮68602
  • হ্যাঁ, বানতলার ঘটনাটি তো বহুআলোচিত। আমি যা বলতে চাই তা হল - গত কয়েক বছরে এই ধরনের নৃশংস রেপের ঘটনা ভীষন বেড়ে গেছে। এগুলো শুধু আর শারীরিক শুচিতার ব্যাপার না। এর নৃশংসতার মাত্রা সো কলড ইজ্জত লুটে নেওয়ার চেয়ে বেশি। শুধুই রিপোর্টিং বেড়েছে বলে এই ঘটনাগুলো এখন সামনে আসছে এটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য লাগছে না। আর যদি বা ধরে নিই এই একই ফ্রিকোয়েন্সিতে এই বর্বরতাগুলো আগে হত এবং রিপোর্ট হত না তাহলেও ঘটনাগুলোর বীভৎসতা একই থাকে। একটা সুস্থ বুদ্ধির লোক যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর কথা ভাবতে পারে না। যে একথা ভাবে এবং করে সে সাইকোপ্যাথ। তার অপরাধ আর পকেটমারিকে এক করে দেখব?
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৮:০২68604
  • হ্যাঁ, সংবাদ প্রচার মাধ্যমে রিপোর্টিং হয়ত বেড়েছে, যার ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সেও আজকাল ঘটনা চেপে রাখে কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও নৃশংসতার তীব্রতা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে আজকাল।
    এই লেখাটার মধ্যে কিছু লাইন পড়ে থমকে যাই। যেমন লেখক লিখেছেন, " “ধর্ষণ” প্রয়জনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না।"
    এই লাইনটা পড়বার পরে কিছু বলবার থাকে না।
  • abc | 127.194.199.199 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০৮:০২68603
  • সাইকোলজির কথাই বলি। কারো যদি ধারণা থাকে রেপ করা মানে নিজ যৌনদন্ডদ্বারা অপর লিঙ্গের মানুষটির যৌনাঙ্গে ভীষণ আঘাত করা সম্ভব, যাতে অপর মানুষটির তীব্র কষ্ট বা যন্ত্রণা হবে, সামান্য অভিজ্ঞ কোনো নারীর সঙ্গে একটি ওয়েল লুব্রিকেটেড এনকাউন্টারের পর সে তার নিজের পৌরুষ দম্ভের চূড়ান্ত অকিঞ্চিততায় হতাশ হতে বাধ্য। বস্তুত উপভোগ ও আনন্দদান ছাড়া যৌনদন্ডটি দিয়ে আর কিছুই করা সম্ভব নয়। ফলে আঘাত, কষ্ট ও যন্ত্রণা দিতে হাত পা দাঁত ও অস্ত্র ব্যবহার অনিবার্য। যৌনদ্বারে আঘাত করতে যৌনদন্ডটির চেয়ে ঢের বেশি ব্যাসের ঢের বেশি দৈর্ঘ্যের বস্তুর প্রয়োজণীয়তা তখনই টের পাওয়া সম্ভব।

    ধর্ষণের ঘটনার গণমাধ্যমে রিপোর্টের সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তপাত, শারীরিক যন্ত্রণার কথা পরিবেশিত হওয়ার মধ্যে একটি কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকে। মনে হওয়া সম্ভব এই যন্ত্রণা ও কষ্টদান কেবল যৌনদন্ডটি ব্যবহার করে করা সম্ভব। প্রকৃত পরিস্থিতিতে যখন তা সম্ভব হয় না, তখন নিজের পৌরুষ বা বীরত্বের প্রতি প্রশ্ন ও ইনফিরিওরিটি-সম্ভাবনা কে চাপা দিতে অতঃপর অস্ত্রপ্রয়োগে যন্ত্রণাদানের প্রয়োজন বোধ হয়। এমনটাই মনে হয়।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৫ ১২:৫২68598
  • বেশ কিছু বক্তব্যের সাথে ভীষণভাবে সহমত।
  • ranjan roy | 24.96.103.137 (*) | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৬:৫৪68609
  • hu,
    একদম ঠিক। তাই ওই শাস্তি নির্ধারণে ধর্ষণের চেয়ে হত্যার দিকটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
  • রৌহিন | 233.223.134.7 (*) | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৭:২২68605
  • বিষয়টা হল ধর্ষণ যখন নিজ যৌনাঙ্গের পরিবর্তে অন্য অস্ত্র ব্যবহার করে হয় তখন অপরাধ হিসাবে তার গুরুত্ব অবশ্যই বেশী। অকেটমারের সঙ্গে অপরাধের গুরুত্বে কোন ধর্ষণই তুল্য নয় – কিন্তু এই লেখার মূল পয়েন্ট দুটো – এক, অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে শাস্তিবিধান করুক উপযুক্ত অথোরিটি যারা তার জন্য পেইড, কারণ এটা একটা বিশেষজ্ঞের কাজ। দুই, যৌনাঙ্গ দিয়েই হোক বা রড বা দাঁত বা ছুরি দিয়ে – অপরাধটা অপরাধীরই – ধর্ষিতার এক্ষেত্রে একমাত্র কনসার্ন শারিরীক আঘাত – অথচ অধিকাংশ (সম্ভবতঃ ১০০ শতাংশ) ধর্ষণের ঘটনায় “মানসিক” ব্যপারটাকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় – যেটা অপ্রয়োজনীয়। বস্তুতঃ এটাকে হালকা করতেই পকেটমারের সঙ্গে তুলনা।
  • se | 204.230.159.148 (*) | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৭:২৯68606
  • শুধু শারীরিক আঘাত?!!!! মানসিক আঘাত নয়??? অদ্ভুত।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৮:১৮68607
  • যেকোন আক্রমণেরই একটা মানসিক ট্রমা তো থাকবেই। যুদ্ধ ফেরত সৈন্যদেরও কাউন্সেলিং হয়। সেটা অপ্রয়োজনীয় হবে কেন?

    আপনার পয়েন্টটা কিছুটা বুঝেছি। শরীরের শুচিতা বলে যে কনসেপ্ট দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত তার থেকে বেরিয়ে আসতে বলছেন। কিন্তু ইদানিং যে ঘটনাগুলো প্রায় রোজ কাগজে পড়ছি সেখানে সেগুলো শুধুমাত্রই শারীরিক শুচিতা ভাঙার ব্যাপার নয়। রোজ যে দেশের প্রধান খবরের কাগজগুলোতে একাধিক ধর্ষণ রিপোর্টেড হয় সেখানে খুব শীঘ্রই এমন দিন আসবে যখন সব পাড়াতে বা সব পরিবারেই একজন ধর্ষিতা মেয়ে থাকবে। তখন আর কেউ সোস্যাল ট্যাবু নিয়ে পড়ে থাকবে মনে হয়?

    আরেকটা কথা অনেক জায়গাতেই পড়ি ধর্ষণের জন্য যদি মৃত্যুদন্ড দাবী করা হয় তাহলে নাকি স্বীকৃতি দেওয়া হবে ধর্ষণ মৃত্যুর সমান। অবশ্যই ধর্ষণ মৃত্যুর সমান নয় যখন আক্রান্ত মেয়েটি বা শিশুটি বা বৃদ্ধাটি বেঁচে থাকে। কিন্তু ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদন্ড দাবী করা কেসগুলোতে তো ভিক্টিম বেঁচে নেই। তাহলে?

    এই অপরাধের শোধন ভেতর থেকে আসতে হবে, শাস্তি দিয়ে হবে না - এটা আমিও মানি। কিন্তু এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে যতদিন না প্রতিটি নাগরিকের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কোন বিকল্প পথ খুঁজে নিতেই হবে। আজও কাগজে পড়েছি গনধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কেস নিতে চায়নি। যদি প্রতিটা কেস দ্রুত বিচার পায়, যদি অপরাধীর শাস্তি হয় তাহলে অপরাধের সংখ্যা নিশ্চয়ই কমবে।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ২০ মার্চ ২০১৫ ০৮:২৩68608
  • একটা ভুল বোঝার অবকাশ থেকে গেছে মনে হচ্ছে। বলতে চেয়েছি - ধর্ষণের জন্য মৃতুদন্ডের ভার্ডিক্ট দেওয়া কেসগুলোতে ভিক্টিম বেঁচে নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন