এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৫০৫ বার পঠিত
  • ভুবন মাঝি নাকি আত্মহত্যা করেছিল। ভুবন মাঝি কি আত্মহত্যা করেছিল? ভুবন মাঝি কি সত্যি মরে গেছে?

    'তুমি বেধবা হইছ বলে কি আমি নাও বাওয়া ছেড়ে দেব?' গভীরতম রাতটিতে লক্ষ্মী বাগদিকে এই ছিল ভুবনের কথা।
    'তোমাকে আমি কী দিয়া বাঁধি বলত?' লক্ষ্মী কোমরের লুঙিটা ঈষৎ নামিয়েছিল এবং তখন তার নাভিমূলে হাঁসুয়ার ভাঁজ।

    নিতাই যখন হুপিং কাশিতে শেষদিন কেঁপে কেঁপে উঠছিল, গলায় নীল সাপের মতো মরে যাওয়ার ভয় পেঁচিয়ে গেছে, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তখন তালা ঝুলছে। কর্মীরা মিছিলে গেছে। তারপর দিন শনিবার। তারপরের দিন রবিবার।

    নিতাই শীতলষষ্ঠীর দিন সকালে মরে গেল। লক্ষ্মীর পোষা কালো বেড়ালটা একবার পিছু ফিরে দেখে চলে গেল। আর ফিরে আসেনি মাছের কাঁটার জন্যে।

    এইসব বাদাবনে শোক লালচে মোটা গরান পাতার মতো। হলুদ হলে নিজের ভার বেশিক্ষণ রাখে না। নিতাইয়ের ছাই কিছু পোড়া কাঠসহ গরান বনের ধারে কিছুদিন থেকে চিনাই নদীর পুবালি ছাঁটে ধুয়ে গেছে, তাও বছর দুই হল।

    লক্ষ্মী মুদিখানার মালিক জনার্দন হেলার সামনে দু চারবার ন্যাংটো হয়ে তেলটা হলুদটা পেয়েছে। মধ্যবয়সের জনার্দন একবার সঙ্গমের সময় জ্ঞান হারায়। লক্ষ্মী সেই যে ভয়ে পালিয়ে এসেছে দোরের আগল টেনে, আর যায়নি।

    নিতাই মউলির নামডাক ছিল। জঙ্গলের গভীর থেকে বাণীফুলের মধু আনত শটিয়ার বাজারে। ফড়ে যেচে নিয়ে যেত আগাম বায়না দিয়ে। শহরে এ মধুর চাহিদা খুব। বাবুদের ছেলেপিলের বুদ্ধিতে বাড় লাগে। লক্ষ্মী নিতাইয়ের রেখে যাওয়া শেষ এক জালা মধু জল দিয়ে গুড় মিশিয়ে বাণীফুলের বলে বাজারে চালিয়েছিল। গৌর ফড়ে 'এর চেয়ে খানকিগিরি কর' বলে আর মধু নেয়নি। লক্ষ্মী সেদিন গঞ্জের বাজার থেকে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরেছিল এবং তিনদিন শুধু মধু খেয়ে চারদিনের দিন সাঁঝে নদীতে ডুবে মরতে গিয়েছিল।

    ভুবন মাঝি তখন ঝোপের ধারে হেগে নদীর জলে শৌচকর্ম করছিল। চোখে পড়ে হাঁটু জলে একটি আবছা নারীমূর্তি দাঁড়িয়ে। 'বাবা গো বনবিবির কিরা' আউড়িয়ে পালাতে যাবার ক্ষণে জলে ঝপাস শব্দ। তখন কোটালের ভরা জোয়ার লেগেছে সবে। নদীর পূবপাড়ে চাঁদের গতরে আলোর ঝিলমিলে গয়না। ভুবন বুঝতে পারে কেউ একজন ডুবে যাচ্ছে।

    তীরবেগে পানসিটা জুতে নিয়ে লক্ষ্মীর কাছে পৌঁছয়। নদীতে লাফ দেয় ঝটিতি। লক্ষ্মীকে নাওতে তোলে হাঁকুপাঁকু করে। এবং তখন ক্রমে ক্রমে পলকহীন হতে থাকে ভুবন মাঝি।

    সে এক প্রবল মহিমাময় সাঁঝকাল। নগ্ন নারীদেহ নাও মধ্যে। শাড়ি ঐ ভেসে যায় চিনাইয়ের আদেখলা বুকে। জোছনা পড়েছে অর্ধচেতন লক্ষ্মীর জঙ্ঘায় কপালে যোনীমূলে। খোলাবুকে কান পেতে ভুবন কিছুক্ষণ শোনে হৃদয়ের লাবডুব। ক্ষুধার্ত লক্ষ্মী পাশ ফিরে যেন ভিজে গায়ে একটু আরামে ঘুমোতে চায়। ভুবনের আধো সম্বিত ফেরে কি ফেরে না।

    এ কি অসম্ভব কোনো দ্রাঘিমার ট্যানজেন্ট বিন্দু? ভুবন কি তখন প্রেতসম? এই একলা নদী এই অচেতন নারী এই উত্থিত লিঙ্গ এই অকথিত সাঁঝ এই ছলাত ছলাত, তুমি কে গা গূঢ়শশী? আমি কি তবে কায়াহীন ব্যাঘ্র?

    অতএব সিক্ত নারীর ভেতরে ঢুকে যায় ভুবন মাঝি। এ কি পাপ? এ কি ধীর পায়ে ব্যাঘ্রসঞ্চার? গৃহে চিমসে যাওয়া পুরাতন মঙ্গলা আর এই অতর্কিত নারী? চেটেপুটে যেন রেতস্খলন। যেন হরিণের মাংস বেরিয়েছে মাটির হাঁড়িতে তিনমাস পচা ঘুমের পর। এ কি অনাস্বাদিত পাপ!

    নদীর এই বাঁকে একটি পরিত্যক্ত ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। মিটার চল্লিশেক উঁচু। লোহার ঘোরানো সিঁড়ি। আগে পেট্রোলের বাতিতে রিফ্লেক্টর লাগিয়ে ভিনদেশী বজরাকে সতর্ক করা হত। এখন ভেঙেচুরে কাঠামো কেবল দন্ডায়মান। যে যেমন পেরেছে লোহার পাদানি কিছু কিছু খুলে নিয়ে গেছে।

    টাওয়ারের গোড়ায় ভুবন লক্ষ্মীকে ধরে ধরে এনে ভেজা ঘাসের ওপর বসিয়েছে।

    নাও থেকে নিজের একটি ছেঁড়া লুঙি ভুবন লক্ষ্মীকে পরিয়েছে। উর্ধাঙ্গে তার নিজের ফতুয়াটি। লক্ষ্মী এখন পূর্ণচেতন। লক্ষ্মী এখন রাগান্বিতা এবং পারলে ভুবনকে নদীর কাদার মধ্যে মুখ চেপে জলে ভাসিয়ে দেয়। আর ভুবন থেকে থেকে লক্ষ্মীর এই দ্বিতীয় রূপ আড়চোখে দেখে নিচ্ছে। যেন নিজের হাতে বানানো আঙরার মালসা।

    কিন্তু এটুকুই। কোথায় বা আলো। কেবল শঁটিবনে শেয়ালের চোখ জ্বলছে আঁধারে। খসখস শব্দে শজারু মাটি কামড়াচ্ছে।

    ভুবন গলা খাঁকারি দিল, 'নাম পরে কইব। আমি খাওয়ার আনি বরং।' ঘন্টা খানিক পরে ভুবন মাটির সরায় অনেকটা পান্তাভাত, কেলে কাঁকড়া পোড়া নিয়ে আসে। সঙ্গে ডলে দওয়া শুকনো লংকা পোড়া খানিকটা।

    কতদিন পর এমন অমৃত! লক্ষ্মী গোগ্রাসে বাঘের মতো খায়। সড়াৎ সড়াৎ জিভে পান্তার সোয়াদ টানার শব্দ। ভুবনের ভেতরটা কেমন বিউরে বিউরে ওঠে। কেন সে ঠিক ধরতে পারে না। কে কখন কার খাদক? লক্ষ্মী হাভাতের মতো পান্তা খাচ্ছে। একটু আগে সেও হাঅন্নের মতো লক্ষ্মীর উরুমূলে লিঙ্গ রগড়াচ্ছিল।

    ভুবনের লুঙির ভেতর একটা তেঁতুলে বোড়া পাক খেয়ে ওঠে।

    'আর লিব? আর পান্তা লিব?'
    লক্ষ্মী মাথা নাড়ে ঘন ঘন।
    'দাও দাও প্রভু, দাও অসাড়ে সাড়, দাও জীবন দাও সোয়াদ।'
    ভুবন শুনছে যেন পান্তার জলে ছপাত ছপাত নাওয়ের দাঁড় কেটে বসে যাচ্ছে।

    লক্ষ্মী পেট ভরে খায়। ঢেঁকুর তোলে। শরীরে আবিষ্ট ঘুম নামে যেন। অথচ কোথায় যেন কেউ মাটি আঁচড়াচ্ছে। কে? কে ওখানে? কার নখরে আগুন?

    --লক্ষ্মী, টেয়ারের মাথায় ঘাস পাতা খড় দিছি। আমাকে ধইরে ধইরে সিঁড়ি দিয়া উঠ। উঠিয়া শুইয়া পড় আজ রাইতে। কাল আমি খাবার লিয়ে আইসবো। তখন ভাব কী করব।
    --তুমি রইব না?

    ভুবনের বুকে ঢেউ ছলাত করে উঠল নিমেষে।
    পলকে দু জোড়া চোখে চোখ বিঁধে গেল নিষাদের ফলার মতো।

    তখন গভীর ঝিঁঝির রাত। চ্রিঁ চ্রিঁ করে কোনো নীড়ে হাড়গিলের ঘুমন্ত শাবক দেয়ালা করছে। ওয়াচ টাওয়ারের মাথায় আটকে যাওয়া চাঁদে হলুদ পাতারা জড়ো হয়েছে। ম্লান আলোয় চিনাইয়ের বুকে ভরা জোয়ারের খলখল। অসংখ্য শিবা যেন চেটে চেটে খাচ্ছে নদীর দুধ।

    এক আহত বাঘিনী এবং একটি মধুলোভে জিভ বার করা ভালুক। আঁচড়ে কামড়ে শরীর ফাটিয়ে মধু চাই। নগ্নিকার ভেজা চুল সপাৎ করে গেঁথে যাচ্ছে ভুবনের উপোসী লিঙ্গে। লক্ষ্মী ভুবনের অন্ডকোষ আন্দাজ করে সটান ডান পা চালিয়ে দিল। ভুবন আঃ শব্দে লক্ষ্মীর পিঠে দাঁত বসিয়ে দেয়। লক্ষ্মী ধুঁকে ফুঁপিয়ে হিসহিসিয়ে হাত জোড় করে ভুবনের দিকে। ভুবনের জিহ্বা লকলক করছে গোসাপের লেজের মতো।

    কে বাঁচায় কাকে? কে কাকে কেন মারে? তুমি যেমন জীবন দিয়েছ প্রভু, তেমন এ বর্মটি তো আমারই। এ শরীর চিনাই নদী। যদি নাও বাইয়া যাও রে, তবে সুজন। কেউ কি নদীজলে মোতে স্বামী? সে পাপের ভাগ আমাকে দিও না দাতা।

    ধুপ করে নদীর কাদামাটিতে একটা শব্দ হল। উলঙ্গ একটি মানুষের দেহ দু চারবার নড়ে চড়ে ধীরে ধীরে স্তব্ধ হয়ে গেল। হুয়া হুয়া রবে রাত্রির বুক ছিঁড়ে ডেকে উঠল শেষ প্রহরের শেয়ালেরা।

    উচ্চে ওয়াচ টাওয়ারের মাথায় এক শরীর অকারণ মধু নিয়ে আরেকটি মানুষের নির্বসন শরীরে ফের খিদে চাগাড় দিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৫০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.106.16.219 (*) | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:৪৩64284
  • অদ্ভুত এই কড়চা
  • | 52.106.16.219 (*) | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:৪৩64283
  • অদ্ভুত এই কড়চা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন