এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৯২৬ বার পঠিত
  • গরু বাগদির মর্মরহস্য

    মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে।

    গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। তার কথা মান্যতা পায় না বলে সেও কারুর কথা মানতে চায় না। একপ্রকার ভিনদেশি একগুঁয়েমি ধীরে ধীরে তার মধ্যে একলা ডালপালা ছড়িয়েছে।

    বহুকাল পূর্বে সে হয়ত গরু বাখান দিত। আসলে সে নয়, তার বাবা। ধনী ভূস্বামীদের গরু বাখান দেওয়া তার জীবিকা ছিল। বাপ মরে গেছে। গৌর বাগদির নাম ক্রমে গরু বাগদি। মশানভেড়ি গ্রামের সীমান্তে তার বসতি। পথচলতি লোকে মোটামুটি সবাই তাকে নির্দ্বিধায় গরু বলে ডাকে।

    একটি টালির চালা। সামনের উঠোনের দুই ধারে দুই পোঁচ শাকতলা। একটি নটে, অন্যটি মরশুমি। কখনও পালং কখনও মূলো। রাজ্য সরকারি গৃহযোজনার টাকা, কমিশন দিয়ে থুয়ে যেটুকু পেয়েছিল, গত দু'সন আগে টালি ছেয়েছিল মাথে। তার আগে খড়ের চাল ছিল এবং চালের ওপর একটি রাতচরা এসে তার সাধের লাউগুলো ঠুকরে ঠুকরে দাগ করে যেত। গরু বাগদির বিয়ে হয়েছিল সেই রাতচরার সঙ্গে।

    প্রত্যেকটি মানুষ ঘুমিয়ে পড়লে অনস্তিত্বের কারণে পরিচিতি বিলুপ্ত হয় বলে, তাকে চেনা যায় না। যেমন লতা হেলা। লতার বুকজোড়া পরিত্যক্ত ইঁটভাটার মতো উদলা এবং রহস্যময়, গরুর মনে হয়। কোনো এক পড়ন্ত দুপুরে তাকে ভাতঘুমে দেখে তার প্রেম জেগেছিল পচাখালের মতো। সবুজার্দ্র এবং পরোক্ষ। যেন পচুয়াখাল ঘুমোচ্ছে চটের দরজার আধফাঁক আড়ালে। অনাবৃত নাভীমূলে কচুরিপানার দাম খেলা করে জলজ ব্রীড়ায়। ধানপচা জলের বুনো গন্ধে ভরা নিভন্ত দুপুর।

    গরু বাগদি ঘুমোলে নানাবিধ শব্দ হয়। অ্যাক্রোমেগালির কারণে তার চোখ দিনমানে ড্যাবডেবে। অজানা কোনো উৎসারে ঘুমের সময় গরুর নয়নপটল ঘনঘন আন্দোলিত হয়। শিশ্ন দৃঢ় হয়ে ছিন্ন লুঙ্গি ফাটিয়ে মুক্ত হতে চায়। একলা শোয় বলে রোজ সে একটি মশারি বালিশের পাশে রেখে ঘুমোয়। গরুর মৃত্যুর ভয় সঘন। গরুর বাপ এনসেফ্যালাইটিসে মরেছিল সদর হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী। গরু মশারি টাঙাতে জানে না প্রায়।

    লতা সেদিন ঠোঁট রাঙিয়েছিল বোরোলিনে আলতা গুলে। ঘন সবুজ রঙের বেলাউস। আধখানা চুপসোনো বুক আলগা রেখেছিল অতিরিক্ত ক্রীড়াময়তায়। রাতের তৃতীয় প্রহরে নিজের দশ বছরের সন্তানটিকে ঘুমন্ত রেখে সে সাঁকোয় পা রাখে। নিচে কচুরিপানার মধ্যে তখন একটি নারীর কংকালে পাঁকাল এবং বানমাছেরা লেজ ঘষে ঘষে স্বপ্ন দেখছিল। আধফালি চাঁদ ঠাকুরবেদীর টগরের থোকা হয়ে কচুরিপানার ফাঁকে ফাঁকে নৃত্যরত। লতার বুকে বড়ো ডাক এসেছিল।

    টালির চালে কলাগাছের পাতা ছপটি মারে দখিনায়। ছরছর ছরছর শব্দে নির্জন রাতের কুঞ্জ সচকিত। দরমার দরজা ফাঁক করে লতা দেখেছিল ঘরে কেউ নেই। অন্ধকার। দালানের মাটির দাওয়ায় মাদুরের ওপর ঘুমন্ত গরু বাগদি।

    চাঁদের মৃদু রস ছড়িয়েছে চরাচরে। লতা হাঁটু গেড়ে বসে শয্যাপাশে। নিদ্রিত? নাকি ফেটে যাবে শিমুলফল? গরুর মুদিত চোখে দপদপ কী যেন ছিল। লতা বিস্ফারিত দৃষ্টিতে দেখছিল গরুর সর্বাঙ্গে যেন রক্ত। রক্ত? রক্ত কেন? নাকি শিমুলের ছেঁড়া পাপড়ি? বালিশের পাশে পড়ে থাকা গুটোনো মশারিটাকে তার কাটামুণ্ড বলে ভ্রম হয়। গরুর শিশ্ন উত্থিত। নাসিকায় নাগনিঃশ্বাস।

    লতা পা টিপে টিপে ফিরে যায়। সাঁকোর ওপর পা দিয়ে তার মনে হল সাঁকো ধরে কেউ একবার ঝাঁকাল। নিশ্চয় অপদেবতা ধারেপাশে রয়েছে। গরুকে ধরেছে। রাত তৃতীয় প্রহরে যাবে। লতা খালের জলে যেন একটা ফ্লুরোসেন্ট মাছ দেখল।

    প্রকান্ড একটি বাঘাআড় বোধহয়। তার চোখে জ্বলন্ত জোড়া করমচা। লেজে লতার ছেলের শিশুবেলার ভাঙা ঝুমঝুমি। মাছের অঙ্গে অঙ্গে বহুরাতের রূপ তীব্র জ্বলন্ত আঁশ। লতা কেমন আউলা ঘোরে খালের ধার ধরে হাঁটে। নিজঘরে শাড়ি বেলাউস খুলে শুয়ে পড়ে। তার সন্তান রতন সকালে দেখেছিল উলঙ্গ মা।

    তারপর থেকে লতা স্মৃতিনষ্ট। পক্ষশেষে চাঁদ ঘন হতে থাকলে তার জোয়ার ভাটায় সে ন্যাংটো হয়ে প্রায়শই কদলিবনে শুয়ে থাকে। ঝোপে জঙ্গলে লাঠি মেরে মেরে গাছের পাতা ছেঁড়ে। তার বুক এখন মাংসে রসে বুদবুদে টসটসে। বোঁটার রঙ নবীন জামের মতো অপাবৃত।

    রতন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে কলকেতা চলে গেছে। বলেছে টাকা পাঠাবে। টাকা পাঠানোর অঙ্গীকারে রতনের বাপও এইভাবে উবে গিয়েছে তিন সন পূর্বে। দিনের আলোয় লতা তেঁতুলে বিছের আকৃতি ধারণ করে চটের দরজার ওপারে। রতনের বাপের জন্য ইথারে তরঙ্গ দেয় হুল নেড়ে। সে তরঙ্গে লোকে দূর থেকে দেখে ডোবার জলে ঢেউ দেয় একটি উলঙ্গ রমণী। পাড়ে গামছা গাড়ু।

    গরু বাগদি কেঁদেছিল। গরুই লতাকে বলেছিল, আইসবে? আসো না। আসো না একদিন। তুমাকে দেখি এক রাইত।
    কেন? এক রাইত কেন?

    গরু মাথা চুলকেছিল। তার চোখে ভাঙা কাচ ছড়ায়।

    এক রাইত নিশিকালে। নিন্দনীয় নয়।
    লতা অবাক হয়ে কী বলবে ভেবে পায়নি। এখন তার রজোকাল। নিন্দনীয় কী শব্দ বটে? তবু, নিন্দনীয় নয় নিন্দনীয় নয় শব্দদুটো তার মাথার চুলে উকুনের মিহি ডিমের মতো ছড়ায়।

    গরু জানে লতা সে-রাতে এসেছিল। গরুর অকালমৃত বউ শীতলা, খালের নিচ থেকে আজও ফিসফিস করে জোছনারাতে, তুমি ঘুমাইলে অমানুষ। তোমার চোখে শনি ভর করে। তুমার অঙ্গ নষ্ট হয়ে অসহ্য হয়। তুমার অঙ্গে অঙ্গে দখিন রায় ঘোরে। অমাবস্যিতে নখ নামে। ফের পুন্নিমে যাইতে যাইতে তুমার রক্ত খলবল করে।

    গরু বাগদি কেঁদেছিল। গরু বাগদি কাঁদে। সে খালের নিচে শীতলাকে পুঁতেও অনস্তিত্বের দয়া পায়নি। ঘুমোলে শত শত গোখরো নেউল তার মধ্যে নৃত্য করে ছোবলে মৈথুনে ক্রীড়ায়। তার চোখে জিভ চাটে শিষ্ট নকুল। তার শিশ্নে জড়ায় গোখরোর শরীর। অন্ডকোষে বিষদাঁত বিঁধিয়ে খুনসুটি করে। গরু বাগদি প্রাকৃত দুঃখহীন বিষাদে ঘুমোয় নিরবধি।

    তারপর একটি পুন্নিমে আসে জগতে। ঘুমন্ত গরু বাগদি এবং ন্যাংটো লতা হেলা সাঁকোর দুইপারে এসে দাঁড়ায়। আকাশে বিষণ্ণ খুনী চন্দ্রমা। নিচে শীতলার কংকালে জড়ানো দীর্ঘ মালায় বানমাছের সোহাগ। অনতিদীর্ঘ পাঁকালের পিচ্ছিল নৈশকালীন। নষ্টস্মৃতি লতা বিভঙ্গে দুই হাত বাধাহীন ওপরে তুললে কথাকলি। দুই হাতের গা বেয়ে চাঁদ নামে, ঈষৎ ছায়া মেখে বক্ষবৃন্তে বিক্ষুব্ধ। লতার শরীরে লতা বিস্মৃতগন্ধা।

    গরুর ঘুমন্ত দেহে আশরীর ক্রন্দন। নিদ্রিত চোখে সে লতাকে কেয়ামঞ্জরীর মতো ফুটে উঠতে দেখে। যে ঘুমোয়, তাকে যে নামেই ডাকো, বলো ঘুমনাম। তাকে দুঃখ দিতে নেই। কৃষ্ণপ্রেতের মতো সে অনস্তিত্বের অধিকারী। তাকে ভর্ৎসনা কোরো না। গরু বাগদি জিভ বার করে লতার উরুসন্ধির পানে। তার মায়া হারিয়ে গেছে। ঘুমের ভিতর পরিচয় হারায়নি বলে তার কান্না বাজে নিশিরাতে। সাঁকো টলমল করে।

    অনস্তিত্বে গরবিনী ন্যাংটা লতা টলমল সাঁকোর ওপারে রাত জুড়ে কেবল ডাকে, আস আস। আইসব? আইসব?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 890112.162.9004523.147 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৮47629
  • দক্ষিণের কড়চা আরো নিয়মিত আসুক। লেখককে নমস্কার।
  • | 236712.158.895612.138 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০১47630
  • সবসময় ভালো লাগে, জয় গুরু।
  • Parthasarathi Giri | 236712.158.1234.161 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৭47631
  • জয়গুরু জয়গুরু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন