এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৫৭৫ বার পঠিত
  • গঙ্গাপদ একজন সাধারণ নিয়মানুগ মানুষ। ইলেকট্রিকের কাজ করে পেট চালায়। প্রতিদিন সকাল আটটার ক্যানিং লোকাল ধরে কলকাতার দিকে যায়। কাজ সেরে ফিরতে ফিরতে কোনো কোনোদিন দশটা কুড়ির লাস্ট ডাউন ট্রেন।

    গঙ্গাপদ একটি অতিরিক্ত কাহিনির জন্ম দিয়েছে হঠাৎ করে। ইদানিং গঙ্গাপদ ভয় পাচ্ছে না কোনো কিছুতে। কবে থেকে ঠিক এটা শুরু হয়েছে, সে নিজে তো জানেই না, আমরাও জানি না। এই অতিরিক্ত কাহিনির দরুন গঙ্গাপদ ঠিক বিশিষ্ট কোনো চরিত্র হল বলা যাবে না, কিন্তু গঙ্গাপদ একদিন মার খেয়ে গেল।
    শিয়ালদা সাউথে নেমে রোজ সে ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে গুঁতোগুতি করতে করতে প্রাচী সিনেমার উল্টো ফুটে এসে দাঁড়ায়। এখান থেকে সে সেদিনের গন্তব্যের বাস ধরে।

    রোজকার মতো সেদিনও সে ফ্লাইওভারের নিচে সব্জিবাজারের ভেতর দিয়ে গুঁতোগুতি করে এগোচ্ছিল। সব্জির পসরা রাস্তা প্রায় ঢেকেই ফেলেছে। পথটা যেন কেবল যারা সব্জি কিনবে, তাদেরই। চলাফেরা করাটা বাহুল্য।

    একজন সব্জিওলা কাঁচা কুমড়োর ডাঁই করেছে। দুটি কুমড়ো গড়িয়ে রাস্তায় চলে এসেছে। সব্জিওলা দেখছিল বটে, কিন্তু সে চাইছিল, কোনো একজন পথচারী ঠিক তুলে রেখে দেবে। তার পক্ষে সব্জির ডাঁই পেরোনো খুব মুশকিলের।

    গঙ্গাপদ কুমড়ো দুটো সটান তুলে নিয়ে নীরবে হাঁটতে শুরু করে। সব্জিওলা হাঁকপাঁক করে তেড়ে আসে। গঙ্গাপদ যদি ক্ষমা চেয়ে নিত, তাহলে গোলমাল হত না। কিন্তু সে ক্ষমা চায়নি। উল্টে সব্জিওলার চোখে সোজাসুজি তাকিয়েছিল। সব্জিওলা 'চোরচোদা' বলে গাল পাড়ে। গঙ্গাপদ তখনও সেই একভাবে কুমড়োর মালিকের চোখে চেয়ে থাকে। সব্জিওলা দোনোমনা করে গঙ্গাপদকে একটি চড় কষিয়ে দেয়। গঙ্গাপদ ব্যাগ থেকে স্ক্রু ড্রাইভার বার করে পোঁদে ঢোকাবার মুদ্রা দেখায়। ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। লোক জড়ো হয়ে যায়।
    কেউ গঙ্গাপদকে চোর ভাবতে পারছে না। অতএব কিছু পথচারি গলা তুললেন, বেশ করেছে নিয়েছে। তোমার বাপের রাস্তা নাকি বে? সব্জিওলা বেগতিক বুঝে ফের সব্জির ডাঁইতে আশ্রয় নেয়। গঙ্গাপদ হেঁটে চলে আসে।

    এটা প্রথম দিন। এর পরে একদিন গঙ্গাপদ রাস্তা পেরোচ্ছিল। হিউজ ট্রাফিক সেদিন শিয়ালদায় এবং এলোমেলো। গঙ্গাপদ বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে সোজা রাস্তা পেরোতে শুরু করে। তখনই একটি বাস থার্ড গিয়ারে তাকে পিষে দেবার মুখে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। বাস কন্ডাক্টর নেমে এসে গঙ্গাপদকে থাপ্পড় লাগায় এবং হিন্দিতে খিস্তি দেয়। 'ভোঁসড়ি কে, উপ্পর জানে কা শওখ হ্যায় কেয়া?'
    লোক জড়ো হয় এক্ষেত্রেও। যথারীতি জনতা কিছু পরে গলা তোলে, তোমার বাপের রাস্তা নাকি বে? দেখে চালাবে না?
    বাস কন্ডাক্টর বেগতিক বুঝে বাস নিয়ে চলে যায় এবং গঙ্গাপদ হাঁটা দেয়।

    এর পরের ঘটনা দুদিন বাদে।

    গঙ্গাপদর মোবাইল খারাপ হতে সে একটি মোবাইলের শো-রুমে যায়। তার খারাপ মোবাইলটি দেখায় এবং জানতে পারে এখানে কেবল মোবাইল বিক্রি হয়, সারাই মেরামতি হয় না।

    গঙ্গাপদ শোরুমের র্যাকের দিকে তাকিয়ে বিভোর হয়ে যায়। কতরকম বড় বড় সব টাচস্ক্রিন মোবাইল সেট। সে জেনে গেছে ভিড়ের ট্রেনে ভেন্ডারের বগিতে দিব্যি গেম খেলতে খেলতে দীর্ঘ ক্ষুধিত পেটে যাত্রার দিগদারি লাঘব হয়। গঙ্গাপদ পকেট থেকে পাঁচশ টাকার একটি নোট বার করে বিক্রেতাকে দেয় এবং পাঁচহাজারি অ্যান্ড্রয়েড সেট ব্যাগে ঢোকাবার উপক্রম করে। বিক্রেতা যথারীতি তাকে ধাক্কা দিয়ে শোরুম থেকে বার করে দেয়।

    গঙ্গাপদ এমন চরিত্রের মানুষ ছিল না। সে গলি দিয়ে যখন যেত বেরোত কেউ তার পায়ের শব্দও পেত না। গোবেচারা মানুষ। অনুক্ষণ সংকুচিত। রাস্তার পাশের ড্রেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে হাঁটা অভ্যেস, পাছে সাইকেল ধাক্কা দেয়। গভীর রাতে ফেরার সময় কুকুরের দল যখন তাকে ছিঁড়ে খাবার উপক্রম করত, ছোট ছোট ঢিল ছুঁড়তে ছুঁড়তে যেত।

    গঙ্গাপদর স্ত্রী বছর পাঁচেক হল গঙ্গাপদকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। গঙ্গাপদর বীর্যে মরা বীজানু। যে ক'টা জীবিত, তাদের ফ্ল্যাজেলার ঝটকায় তেজ কম বলে, সে পিতা হতে পারবে না। ডাক্তারে নিদান দিয়েছে।

    গঙ্গাপদর স্ত্রী সবিতা রানি একদিন ভোরে নিঃসাড়ে পরেশের সঙ্গে পশ্চিমে চলে যায়। পরেশ সোনার দোকানে কোথায় যেন কাজ করে। সে তাকে সুখে রাখবে, নাকে নথ, পায়ে রূপোর চুটকি গড়িয়ে দেবে কথা দিতে সবিতা রানি আর সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হয়নি। নিজের গুটিকয় শায়া বেলাউজ নিয়ে দোর ভেজিয়ে চলে যায়। পাঁচটি বছর তারপরে চলে গেছে।

    গঙ্গাপদর ঘরে একটি বিশাল প্রকট খাট। ঘরের তূলনায় বেঢপ। গোটা ঘরটাকে প্রায় দখল করে নিয়েছে। সবিতা রানির জন্য সে রাজাবাজার থেকে সস্তায় কিনে এনেছিল। বড় দেখেই কিনেছিল সবিতা রানির গরমের ধাত বলে।
    যেহেতু মড়ার খাটের কাঠ থেকে বানানো, তাই ঘূণ লেগে গেছে। অনেক জায়গায় একস্ট্রা কাঠ দিয়ে গোঁজাতালি মারা।

    খাটের ওপরে তার প্রচুর খুঁটিনাটি যন্ত্রপাতি খবরকাগজ মেলে রাখা। গঙ্গাপদ অধিক রাতে রুটি তড়কা খেয়ে ঐ খাটটির এক কোণায় গুটিসুটি মেরে 'দ' হয়ে শুয়ে পড়ে। যেন অনেকটা সংকোচে, যেন বাড়তি, যেন অযথা, একটি উটকো মানুষ অন্যের শয্যায় সুপ্তির ভিক্ষায় ঢলে পড়ে।

    এই অভ্যেসটি তার বহুকালের। সবিতা রানির গরমের ধাত, উপরন্তু মার্চ মাস পড়তে না পড়তে পিঠময় বিজবিজে ঘামাচির জমি। এক নজরে দেখলে একজিমা বলে ভ্রম হবে। লাল লাল ঘামাচিময় খোলা পিঠ দেখে গঙ্গাপদর যখন লিঙ্গ সাড়া দিত, সবিতা রানি ধমকে গঙ্গাপদকে ঘামাচি মারতে ঠেকিয়ে দিত। গঙ্গাপদ সারাদিনের পরিশ্রমে ঢুলে ঢুলে পড়ত। একসময় খাটের একটি কোণায় 'দ' হয়ে অচেতন হয়ে পড়ত।

    এই খাট থেকে তার রোজকার উঠে যাওয়া এবং ফিরে আসা।

    গঙ্গাপদ কয়েকদিন আগে একটি এন জি ও-তে ইলেকট্রিকের কাজ করছিল। ভেতরের লনে কতকগুলো অটিস্টিক বাচ্চা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে টলমল পায়ে। গঙ্গাপদ কাজ করতে করতে আড় চোখে দেখছিল। বেঞ্চে বসে থাকা বাচ্চাগুলোর বাবা কিংবা মায়ের চোখে মুখে অসীম ক্লান্তি। শরীরময় কী যেন এক অবলা কষ্টের ছায়া গঙ্গাপদ দেখতে পাচ্ছিল, সে বুঝিয়ে বলতে পারবে না।

    সেদিন প্রথম গঙ্গাপদ নিজের ভেতরে কাকে যেন টের পায়। সে হঠাৎ গিয়ে একটি বাচ্চাকে কোলে তুলে নেয়। বাচ্চাটির ঠোঁট থেকে লালা ঝরে ঝরে জামার সামনের দিকটা ভিজে গেছে। দুধ খেয়েছিল বোধহয়। দুধের গন্ধ গঙ্গাপদর নাকে লাগে। গঙ্গাপদ বাচ্চাটাকে জড়িয়ে চুমু খায়।

    বাচ্চার মা দৌড়ে আসে হাঁ হাঁ করে, যেমন কোনো কুকুর-মা তার শাবককে কেউ ধরতে এলে আগলে আড়ালে নিয়ে যেতে চায়। বাচ্চাটিকে তার মা গঙ্গাপদর থেকে কেড়ে নেয় ভর্ৎসনার চোখে। যেন গঙ্গাপদর গা থেকে জীবানু চলে যাবে বাচ্চাটির গায়ে।
    এই সব কান্ডে বাচ্চাটা কাঁদতে শুরু করে অদ্ভুতভাবে ঠোঁট বেঁকিয়ে মাথা হেলিয়ে। গঙ্গাপদ মাথা নিচু করে চলে আসে।

    মাথা নিচু করে চলে আসে বটে, কিন্তু গঙ্গাপদর মাথার ওপর থেকে যেন একটা সামিয়ানা খুলে যায়। যেন কতকালের আঁশ ডোকলা বাকল নদীর বুকে জন্মানো পুবালি বাতাসের স্রোতে ঝরঝর করে মাটিতে ঝরে পড়ে যায়।

    কতদূর যেতে পারো তুমি গঙ্গাপদ? অনেকটা পারো না? হ্যাঁ, পারি তো। কেন পারব না? নেই আর আছে, যে আছে সে কেমন আছে? সে যদি অটিস্টিক হয়? বাবা গো, মা গো, ও বাবা, ও তুমি মা, তোমরা ঘিরে ঘিরে আছো হৃৎপিন্ডকে? আমিও কি তবে ঘিরে থাকব আমার প্রিয় অক্ষমকে?

    গঙ্গাপদ শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরছে। গলির আকাশে সজনে গাছের ফাঁকে ফাঁকে নীল নিঃসীম চাঁদ। পৃথিবীর একাকী বিরহের প্রিয়। গঙ্গাপদ চোখ তুলে দেখে সজনে গাছের ফাঁকে অতিরিক্ত অনেক গঙ্গাপদ। যেন বিচ্ছুরিত বিকশিত পুংবীজে অযুত অর্বুদ সজনে ফুলেরা।

    কুকুরেরা আজ চুপ। লেজ নেড়ে নেড়ে গঙ্গাপদর পায়ে গা ঘষে। কী দেবে গো তুমি? যা দেবে, তার চেয়ে বেশি দেব বলে এই যে ঠোঁট ঘষছি তোমার গায়ে। এই তো আমি গো। এই তো আমি আর অসংখ্য টুকরো টুকরো অপূর্ণ তুমি। এই সব নিয়ে প্রতিদিনের ঘরে ফেরা। এই সব নিয়ে ফের কালকের বেঁচে ওঠা। চোখে জল কেন তোমার? আমাকে সোহাগ করো, আনন্দম্ আনন্দম্।

    গঙ্গাপদ এই গভীর নিশীথে একা সজনে গাছের চাঁদের নিচে মুখ ঢেকে কেঁদে ওঠে। সে কান্না বুঝি কোনোদিন থামবে না। কুকুরেরা সপ্ত ঋষির মতো সামগানে তাকে ঘিরে ঘিরে নৃত্য করতে থাকে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৫৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রিভু | 117.0.228.218 (*) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৯64167
  • এই সব লেখায় কি বলে প্রশংসা করবো বুঝে পাইনা। যাই লিখি মেঠো দেখাবে।
  • | 144.159.168.72 (*) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:০২64163
  • ......
  • ঝর্না | 24.97.172.107 (*) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৭64166
  • এক নিখুঁত চরিত্র গঙ্গাপদ...দারুন ভাবে লিখলেন...
  • বিপ্লব রহমান | 55.251.228.212 (*) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৯64164
  • একদা ফরিদা অনেকটা এরকম লিখেছিলেন:
    " জানি, ভালবাসা পেলে সব হবে!"

    গংগাপদ বৃত্তান্ত পড়তে পড়তে সেই কথাটি মনে পড়লো!
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫৯64165
  • 'গঙ্গাপদ শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরছে। গলির আকাশে সজনে গাছের ফাঁকে ফাঁকে নীল নিঃসীম চাঁদ। পৃথিবীর একাকী বিরহের প্রিয়। গঙ্গাপদ চোখ তুলে দেখে সজনে গাছের ফাঁকে অতিরিক্ত অনেক গঙ্গাপদ। যেন বিচ্ছুরিত বিকশিত পুংবীজে অযুত অর্বুদ সজনে ফুলেরা।'

    গঙ্গাপদদের মত সাধারণ ছোটখাটো লোকদের মধ্যে থেকে এই অতিরিক্ত অনেক গঙ্গাপদ বের করে আনতে পারার কলমের জন্য মুগ্ধতা রইল।

    কিন্তু আপনার লেখাগুলোর আলাদা নাম থাকবে না ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন