এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ট্রেড ওয়ার ও ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কিছু সাধারণ আলোচনা

    Sumit Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ জুন ২০১৮ | ১৭০০ বার পঠিত
  • বর্তমানে আলোচনায় আসা সব খবরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিলিয়ন ডলার মূল্যের উপর কঠিন শুল্ক বসিয়ে দিয়েছে, যাদের মধ্যে ডিশ ওয়াশার থেকে শুরু করে এয়ারক্রাফট টায়ার সবই আছে। চায়না অনেক দিন ধরেই এই হুমকির মুখে ছিল, এটা শোনার সাথে সাথে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের উপর শুল্ক বসিয়ে দেয়। আর এভাবেই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই ইকোনমি যেন একে অপরের কলার চেপে ধরে।

    * ট্রেড ওয়ার কী?

    ট্রেড ওয়ার বা বাণিজ্য যুদ্ধ তখনই হয় যখন একটি দেশ আরেকটি দেশকে তার বাণিজ্যের উপর কর ও কোটা বসিয়ে দেয়। যদি একটি দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানী পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তার জবাবে অপর দেশটিও সেই দেশ থেকে আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক বসিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক বসিয়ে দেবার পর, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক বসানোতে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হল। এই ঘটনাটি দেশ দুটোর ইকোনমিকে আঘাত করবে এবং এদের মধ্যকার রাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়িয়ে দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন এটা তাদের জন্য ভাল, আর তিনি এটা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না।

    * আচ্ছা, শুল্ক কী? আর এর প্রভাবই বা কী?

    শুল্ক হচ্ছে একরকম কর যা বাইরের দেশ থেকে আসা তৈরি পণ্যের উপর বসানো হয়। তাত্ত্বিকভাবে, বিদেশ থেকে দেশে আসা পণ্যের উপর কর আরোপ করলে, দেশের মানুষের পক্ষে সেই পণ্য কেনা কঠিন হয়ে যায়, কারণ তার দাম বেড়ে যায়। এই শুল্ক যত বেশি হবে, দেশে এর দাম তত বৃদ্ধি পাবে। আর এই শুল্ক বসানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে দেশের মানুষ বিদেশী পণ্যের জায়গায় সস্তায় দেশী পণ্যই কিনতে পারে। এর ফলে দেশটির ইকোনমিও বৃদ্ধি পায়।

    * কেন ট্রাম্প এই কাজটি করছেন?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আসা ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যে ২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি চীনকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করেন যে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বা মেধাসম্পদ চুরি করছে, অর্থাৎ তারা যুক্তরাষ্ট্রের ডিজাইন ও প্রোডাক্ট আইডিয়াগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আর এরই প্রতিশোধ নিতে ট্রাম্প এমনটা করছেন জানিয়েছেন। এছাড়াও ট্রাম্প চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ডেফিসিট বা বাণিজ্য ঘাটতিকেও কমিয়ে আনতে চান। ট্রাম্পের চোখে এই বাণিজ্য ঘাটতি ছিল অন্যায্য, আর প্রেসিডেন্ট হবার পূর্বেই তিনি এটা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনেও জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি অন্যান্য দেশের সাথে নিজেদের ট্রেড ডেফিসিট কমিয়ে আনবেন। তিনি বলেন, এই ট্রেড ডেফিসিট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং এর অনেক ক্ষতি করেছে।

    * এই ট্রেড ডেফিসিট আবার কী জিনিস?

    ট্রেড ডেফিসিট অর্থ হচ্ছে, একটি দেশ আরেকটি দেশ থেকে কতটা কেনে, আর সেই দেশে দেশটি কতটা বিক্রি করতে পারে তার মধ্যে পার্থক্য। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বিশাল পরিমাণে ট্রেড ডেফিসিট রয়েছে। গত বছরে এই ট্রেড ডেফিসিটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারে। অর্থাৎ, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি বছর যে অর্থমূল্যের পণ্য ক্রয় করে, তার তুলনায় দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৭৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য বেশি বিক্রি করে। ট্রাম্প অবশ্যই এটায় খুব একটা খুশি নন। তিনি এই ট্রেড ডেফিসিটকে কমিয়ে আনতে চান, আর সেজন্যই তিনি চীনা পণ্যের উপর শুল্ক বসাতে চান।

    * নিশ্চই তাহলে ট্রেড ডেফিসিট হওয়া একটা রাষ্ট্রের জন্য খুব ক্ষতিকর?

    না, এমন কোন কথা নেই। ট্রেড ডেফিসিট যে খারাপ আর একটা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর, এমন নাও হতে পারে অনেক সম্পদশালী রাষ্ট্রের ইকোনমিই সম্প্রতি ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোনমি থেকে সারভিস ইকোনমিতে শিফট করেছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ২৪২.৭ ইউএস ডলারের সারভিস রপ্তানি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমির ৯০% ই কাভার করে এর সারভিস সেকটর। যুক্তরাষ্ট্রের সারভিস সেক্টরের মূল্য তা সারা বিশ্বের মোট সারভিসের ৩০%। কিন্তু চীন যে পরিমাণে ম্যানুফ্যাকচারড গুড বা উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করে সেরকম সারভিস তারা রপ্তানি করতে পারে না। এসব কারণে ট্রাম্পের ট্রেড ডেফিসিট নিয়ে অবসেশন খুব একটা পপুলার নয়, আর সমালোচকরা ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের এই কাজকে প্রোটেকশনিজম হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।

    * প্রোটেকশনিজম আবার কী?

    প্রোটেকশনিজম হল হচ্ছে শুল্ক আরোপের চেষ্টা, যেটা নিজের দেশের ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বেশি সচল করতে, এবং একে বাইরের কম্পিটিশন থেকে বাঁচানোর জন্য করা হয়। এই যেমন ধরুন ট্রাম্পের স্টিল ও এলুমিনিয়ামের উপর শুল্ক আরোপ। চীনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহণের আগে, মার্চের শুরুতেই তিনি স্টিল আমদানিতে ২৫% এবং এলুমিনিয়ান আমদানিতে ১০% শুল্ক আরোপ করেন। ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশন দাবী করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ধাতুর জন্য অন্য দেশগুলোর উপর অনেক বেশিই নির্ভর করছে, আর এর জন্য যুদ্ধ শুরু হলে তারা তাদের নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে যথেষ্ট অস্ত্র ও যানবাহন তৈরি করতে পারেনা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ স্টিলই আমদানি করত কানাডা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রপক্ষের।

    তাত্ত্বিকভাবে এই বাইরের স্টিল ও এলুমিনিয়ামে কর বসানোর অর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো চওড়া দামে বাইরের দেশের স্টিল না কিনে দেশের স্টিলই কিনবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের স্টিল ও এলুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতি হবে, কারণ আরও বেশি কোম্পানি তাদের থেকে স্টিল আর এলুমিনিয়াম কিনছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে স্টিল ও এলুমিনিয়ামের দাম বেড়ে যাবে কারণ বাইরে থেকে এসব পণ্য অনেক কম আসবে, তাই লোকাল স্টিলের এই বাড়তি চাহিদা এর দাম বাড়িয়ে দেবে, আর স্টিল মেকারদের মুনাফাও বাড়াবে।

    * কিন্তু এতে কি ভাল হবে?

    কিছুটা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টিল ইন্ডাস্ট্রি সচল হলে, লোকাল স্টিলের ডিমান্ড স্টিল মেকারদের জন্য অনেক মুনাফা এনে দেবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের যে সব কোম্পানির স্টিল কাঁচামাল দরকার, যেমন গাড়ি ও এরোপ্লেন মেকার কোম্পানিগুলো, এদের খরচ বেড়ে যাবে। এর ফলে তাদেরকেও তাদের ফিনিশড প্রোডাক্টের দাম বাড়াতে হবে। আর এর ফলটা ভোগ করতে হবে সাধারণ কাস্টোমারকেই। সুতরাং, এর কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির দাম বেড়ে যেতে পারে। সেই সাথে বাড়তে পারে বিভিন্ন গ্যাজেটের দাম, প্লেইনের টিকিটের দাম, এমনকি বিয়ারের দামও (এর স্টিলের ক্যানের জন্য)।

    * এটা সাধারণ মানুষকে কিভাবে প্রভাবিত করবে?

    এটা সারা পৃথিবীর মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্বষ করে যেহেতু চীনও শুল্ক বসিয়ে দিয়েছে, সেজন্য। বিশ্বের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোনমিটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি ও শিল্প পণ্যে শুল্ক বসিয়েছে, যেখানে সয়াবিন, পর্ক, তুলা থেকে শুরু করে এরোপ্লেন, গাড়ি ও স্টিল পাইপ পর্যন্ত আছে। চীন এপলের মত যুক্তরাষ্ট্রের টেক কোম্পানিগুলোর উপরেও শুল্ক আরোপ করতে পারে। এর প্রভাবটা পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টগুলোর উপরেই, আর তার কারণে এর ক্ষতিপুরণের জন্য এগুলোর দামও বেড়ে যাবে। এভাবে একটি গ্লোবাল ট্রেড ওয়ার সব কোম্পানির জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যার ফলে কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়ে তার দাম বৃদ্ধি করে, যার খেসারত দিতে হয় বিশ্বের সব দেশের কাস্টোমারকেই।

    * তাহলে কি ফ্রি ট্রেডই ভাল?

    এটা নির্ভর করে আপনি কাকে প্রশ্নটা করছেন তার উপর। ফ্রি ট্রেড বা মুক্ত বাজার হচ্ছে প্রোটেকশনিজম এর বিপরীত। এর অর্থ হচ্ছে যত পারা যায় কম শুল্ক আরোপ করা। এর ফলে জনগণকে সস্তা ও ভাল পণ্য কেনার স্বাধীনতা দেয়া হয়, যা পৃথিবির যেখানেই তৈরি করা হোক। এটা কোম্পানিগুলোর জন্য খুব ভাল। এটা পণ্যের দাম কমাতে সাহায্য করে, এবং সারা বিশ্বের ইকোনমিকেই বাড়িয়ে দেয়। গাড়ি, স্মার্টফোন, খাদ্য, ফুল - ফ্রি ট্রেডের সারা পৃথিবী থেকে এইসব পণ্য বহনযোগ্য দামেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।

    কিন্তু একই সাথে, এর জন্য কোম্পানিগুলো লোকাল প্রোডাক্ট কিনতে চাবে না। যদি বাইরের দেশের প্রোডাক্ট কম দামে পাওয়া যায় তাহলে কেউ বেশি দাম দিয়ে দেশের প্রোডাক্ট কেন কিনতে যাবে? এর ফলে দেশগুলোতে চাকরির সুযোগ কমে যায়, এবং অসম বিকাশ ঘটে। অসম বিকাশ ঘটে কেননা এই ফ্রি ট্রেডের কারণে কিছু লোক ধনী হয়, আর কিছু লোক হয় গরিব, ফলে রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বৈষম্যও বৃদ্ধি পায়।

    * তাহলে এর পরিণাম কী হতে যাচ্ছে?

    কিছুই বলা যাচ্ছে না। ঐতিহাসিকগণ বলছেন, শুল্ক বসানোর পর প্রায় সময়েই কাস্টোমারদের খরচ বেড়ে গেছে, আর অর্থনীতিবিদগণও এর বিরোধিতা করছেন। ট্রাম্পের দলের রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, কারণ তারা বরাবরেই ফ্রি ট্রেড বা মুক্ত বাজারের অনেক বড় সমর্থক (তারা দক্ষিণপন্থী কিনা, তবে দুপক্ষের উদ্দেশ্য বিভিন্ন, বামপন্থীরা প্রোটেকশনিজম সাপোর্ট করে বা ফ্রি ট্রেড এর বিরোধিতা করে সাধারণ জনগণকে ট্রান্সন্যাশনালিস্ট ক্যাপিটালিস্টদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, আর ট্রাম্পের মত দক্ষিণপন্থীরা করছে দেশের জব সেক্টরকে বাঁচাতে বা নতুন করে তৈরি করতে, এখন অনেক দক্ষিণপন্থীই রাজনৈতিকভাবে দক্ষিণপন্থী হলেও অর্থনৈতিকভাবে বামপন্থার দিকে যাচ্ছেন কেননা তাদের মতে মুক্ত বাজার কার্যকরীভাবে কাজ করে না আর একে আটকাবার জন্য সরকারী বাঁধাদানের দরকার আছে। এদিকে এদের বিরোধিতা করার জন্য কিছু বামপন্থী ফ্রি ট্রেডকেও সমর্থন করছে...)। যাই হোক, সম্ভাবনা আছে যে চীনা পণ্যের উপর শুল্কারোপে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভোক্তাদের জন্যই ক্ষতিকর হচ্ছে না, সেই সাথে ক্ষতিকর হতে পারে পৃথিবীর সব ভোক্তার জন্যই।

    (বিবিসি এর একটি প্রতিবেদন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ জুন ২০১৮ | ১৭০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন