এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৬৪৪ বার পঠিত
  • আমাদের সংস্থান ভিন্ন। আমাদের আনন্দ আলাদা, অভিমান আলাদা। আমাদের পদশব্দও আলাদা। আমাদের পাপ আলাদা। লকার আলাদা।

    কোনো কোনো মুহূর্তে বৃত্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়েছিলে, তাই কাটাকুটি খেলা। সন্ধ্যে নামার আগে তেচোখো মাছেরা খলবল করে অখন্ডিত আলোয়। তখন জলতলে ছায়া নামছে বলে কুঁচবক উড়ে যাবে দূর শিরিষের চূড়োয়। একটি বৃত্ত ক্রমশ মিলিয়ে গেল বলে আরেকটি বৃত্তের ঢেউ দিই। এই তো মেলেছে পার্বণ তোমাকে নির্বাসন দিইনি বলে। ঢেউ ঢেউ তরঙ্গ তরঙ্গ খেলা।

    বিকেলবেলা গা ধুয়ে মালতী সবে জানালায় দাঁড়াল। দূর দেবদারুর মাথায় এদিনের শেষ সোনারঙ ফিকে হচ্ছে দ্রুত।

    মালতীকে জানালায় একটি নির্বাক ছবির মতো রেখে পাঠক পিছিয়ে আসুন। দুটি ডানা দিলাম, পরে নিন। দেবদারুর মাথা ছাড়িয়ে দাসচকের শিয়রে স্থিত হলে দেখবেন মালতী একটি ভাঙাচোরা ছড়ানো বাটির সম্মুখভাগের দোতলায়। আঁধার নামছে এলোমেলো নদীবিধৌতে। একটু দূরে আহ্লাদি নদী। আসল নাম কলস। এখানে খিড়কিদোরের ঘাটে নদী। কিছক্ষণ পরে আপনার কানে যেন কোনো গুঞ্জন শোনা যাবে।

    পশ্চিমের রাঙা আকাশের বিপরীতে পুবপাড়ার দিকে কিসের যেন কলরোল।

    আপনি এখানে স্থিত হোন পাঠক। আপনাকে কথকতা শোনাই।

    এই জরাজীর্ণ বাটিকা এজমালি শরিকে শরিকে বিভক্ত। পুরোনো জোতদারের প্রতিষ্ঠিত বাস্তু। এখানে বাস্তুসাপ এক গৃহ থেকে দালান ধরে ধরে অন্য গৃহে মুষিক খোঁজে। যে সব চাষীরা এককালে বাৎসরিক ফসলের ভাগ দিয়ে গিয়েছে, আজ তারা বর্গা দিয়েছে, পুরাতন ভূস্বামী ছন্নছাড়া। কিছুদিন আগের বাবু সম্বোধন আজ 'শালা হারামী'। যে দিন যায়, তার ভালমন্দ নিয়ে যায়। যে দিন আসে, তার পাপ-পূণ্য নিয়েই আসে।

    মালতীর স্বামী উত্তরপ্রদেশের গঙ্গাপাড়ের চিনিকলে কাজ করে। বছরে খেপে খেপে দুই তিনবার আসে। মালতী একা থাকে এবং তলপেটে বারবার হাত বোলানো তার অভ্যেস।

    আরো যারা শরিক তাদের কেউ কেউ গঞ্জবাজারে অন্নপূর্ণা চাউল ভান্ডার বা বাসুকি কয়লা স্টোর খুলেছে। তাদের বউদের নাকছাবিতে ঘামের নুন এবং পেটিকোট ব্লাউসে অচেনা দাগ। কেননা আঁধারের অনেক পরত, কোন পরতে তক্ষক খক খক করে ডেকে ওঠে, কেউ জানে না।

    মালতী ভেজা তলপেটে হাত বোলাচ্ছিল। সদর দালানে ট্রানজিস্টার বাজছে। ভেতরের দিকে কোথাও শাঁখ বাজছে। তুলসিতলায় আলো জ্বলল।

    সিতিকণ্ঠ এ বাড়ির কমন অন্নদাস। কবে কোনকালে তাকে কে ডেকে এনেছিল, বলার লোকেরা আর নেই। মৃত হয়েছে। সিতিকণ্ঠর বয়স আন্দাজ চল্লিশোর্ধ বা পঞ্চাশোর্ধও হতে পারে। বোঝা না যাওয়ার কারণ সিতিকণ্ঠ সাড়ে চার ফুটের গাট্টাগোট্টা লুঙি পরা পেশিময় শরীর। গায়ের রঙ কোনোকালে শ্যাম ছিল, এখন কৃষ্ণকায় বলা চলে।

    সিতিকণ্ঠর কীর্তনের গলাটি সরস। সন্ধ্যেবেলা দুর্গামণ্ডপের থামে হেলান দিয়ে বিড়ি টানে।

    এ মধু নিলে কেন রসিয়া
    দেহ কেন কাঁদে জাগিয়া
    ও মধু তুমি বসন ভিতরে
    বাস করিয়াছ অন্তরে...

    কোনোদিন ধর্মমঙ্গলের খেউড় গায় হিসহিসিয়ে।

    ওলো গঙ্গা লো তোর ভাতারে সামলে রাখিস
    বেড়া দেছেন বাপ
    ওলো কুন্তী লো সাত পুরুষে মুখ মেরেছে
    গলায় দিলাম সাপ।

    মালতী তলপেটে হাত বোলাতে বোলাতে হাই তোলে। একটু যেন কেঁপে কেঁপে ওঠে। জানালার মুচকন্দ কাঠের পাল্লা বাতাসে কোঁ কোঁ দোল খায়।

    কারুর মুরগী খোঁয়াড় থেকে ক্রঁ ক্রঁ শব্দ উগরায়, খটাশ বা ভাম হানা দিল হয়ত। নৈঃশব্দ্য একবার ভাঙলে যেন সিম্ফনি নড়ে ওঠে। মরাই গোলা বিচালিগাদার নিচে প্রাচীন ইঁদুরেরা সরবে শস্যহাসি হাসে। কটকট করে ওঠে বাঁশ কড়ি বরগার কাঠ।

    পুবপাড়ার থেকে কলরোল উঠে আসছে দেবদারু মাথা ছুঁয়ে। ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে রব। একসঙ্গে অনেক শাঁখের মিলিত আওয়াজ। কান পেতে শুনলে অনেক মহিলাকণ্ঠের আর্তরব, মাটি কাঁপতেছে গো...

    সিতিকণ্ঠ ওরফে সীতা কেঁপে উঠেছে। ভূমিক্ম্প! মুহূর্তে তার আর কিছুই কি মনে পড়ল না? ও মালতীদি বলে একবার যেন ডেকে উঠতে গেল। লুঙ্গির গিঁট কষে দুর্গামন্ডপ থেকে দৌড়ল বাটির ভেতরমহলে। তার তো ওখানে যাবার কথা নয়। সে অন্নদাস। সে ভাতুয়া। দুবেলা ভাতের বিনিময়ে গোয়াল নিকোয়, পুকুরে জাল ফেলে, রোদে ঘুঁটে উল্টোয়।

    সীতার পা আরো একবার টলে গেল। খিড়কি পুকুরের পাড়ে নারকোল গাছের একটা ডোকলা সশব্দে আছড়ে পড়ল মাটিতে। পুকুরের জলে ছপাৎ ছপাৎ ঢেউ।

    ও মালতী ও লতু ও মাগি তুই কোথায় রে...

    সে-সময় মালতী কয়লা চুরি করে জড়ো করছিল ছাদের কোণায়। তার শাড়ির কোঁচড়ে একধামা কয়লা। তার কাছে কম্পনের অর্থ যেভাবে ধরা দিয়েছে এতদিন, তাই রইল। বাখালির আরো ভেতরের খোপে কয়লা স্টোরের গোপাল তক্তপোষের নিচে চাউল ভান্ডারের যোনিতে মুখ গুঁজে রইল। ওখানেও যেন অতিরিক্ত ক্রীড়াময় এই সর্বনাশ এই কাঁপন।

    শঙ্খরব এ বাখালির শিরোপর দিয়ে ভাসতে ভাসতে আহ্লাদি পেরিয়ে গেল আরো দক্ষিণের দিকে। ঠিক যেখানে ভূখন্ডের প্রান্ত।

    সীতা সে-রাতে মালতীদিদিকে প্রায় পিষে ফেলেছিল। মালতী কাঁপেনি তখনও, মালতী জানে কয়লার দর পরের মরসুমে আরো বাড়বে। "সীতা তোকে একটা বস্তা দিব। পুরা ভর্তি করবি কিন্তু!"

    পাঠক, এই দেবদারু শিখর থেকে চেয়ে দেখুন, রাতের আঁধারে বাংলার এ গাঁ। এই আঁধার চটের বস্তাতূল্য মখমল মসৃণ। মিটিমিটি কুপির আলো গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে হাড়গিলের স্বপনের মতো টুইংকলড্। আবছা আবছা ছোপ যেন একরঙের বিভিন্ন অর্থ মেলে আবার মিশে যাচ্ছে অনায়াসে। হ্যাঁ, অনায়াসে।

    মালতী তলপেটে হাত বোলায়। সদর দালানে সিতিকণ্ঠ লুঙ্গি পরে গরমের শীতলপাটিতে ওলোট পালট খায়। ট্রানজিস্টার বাজে দুপুরের তন্দ্রায়। "ইউ উইল বি ওয়াচিং মেটিওর ফলস অ্যাজ রেন। দিস রেয়ারেস্ট ফেনোমেনন উইল বি সিন অলমোস্ট ফ্রম অল সাইউস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড। সাইন্টিস্টস আর ইগারলি..." ইথারে বার্তা আসে যায়। পুকুরের জলে মাছ সন্নিহিত ঘাই মারে।

    সে গহন রাতে আকাশে যখন অজস্র ধাবমান বিন্দুর ক্ষণরৈখিক স্খলন পতন দহনের উল্লাস, শব্দ-নৈঃশব্দ্য-গতিজাড্যের অসীম কাটাকুটি, তখন সিতিকণ্ঠ কয়লা গুদামের ঘনকৃষ্ণ মিশমিশে গুঁড়োভরা মেঝেতে শিশ্ন চেপে হা হা করে কাঁদছে। রেতময় করতলে নিজের মুখগহ্বর চেপে শব্দোদ্গার দমনে বাসুকির ফণার মতো মাটিতে আছড়াচ্ছে। একটি বৃদ্ধ মুষিক রঙ্গ দেখে হ্যা হ্যা করে ঘুমের ফোকরে পাশ ওল্টায়।

    ফুলকাটা বেডশীটে মালতী তখন তলপেটে হাত রেখে স্বপন দেখছে। তার উদরে যেন একটি অগ্নিপিন্ড ঘুরে ঘুরে ধর্মমঙ্গলের খেউড় গাইছে।

    আমাদের সংস্থান ভিন্ন। সব আলাদা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৬৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.107.78.91 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৮61665
  • অদ্ভুত! আশ্চর্য্য!
  • dd | 59.207.60.20 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৩61668
  • খুবি ভালো লাগলো। পর পর দুবার পড়লাম।
  • সিকি | 116.202.161.0 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৩61666
  • অন্যরকম।

    বারদুয়েক পড়লাম।
  • শঙ্খ | 52.110.205.81 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:০৯61667
  • প্রথমে কবিতা ভেবে পালিয়ে গেছলুম, পরে নীচে স্ক্রোল করে দেখি মালতী তলপেটে হাত বোলাচ্ছে। লেটস গিভ মালতী এ শট।

    পুরোটা পড়ে অবিশ্যি মালতীর তলপেট আর কিছু কবিতার লাইন ছাড়া হাতে রইল মোবাইল। আবার পড়িতে হইবেক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন