এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৬৫৭ বার পঠিত
  • দক্ষিণের কড়চা

    আসুন পাঠক, ব্রায়ান মন্ডলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। অবশ্য এই নামে নামের মালিক এখন একটি ফিঁচেল হাসি হাসবেন, একটু যেন গরিমাও হয়ত আপনার চোখে পড়তে পারে। তার আড়ালে একটি ছোট্ট অতীত লুকিয়ে আছে।
    ষোল বছর আগে ব্রায়ানের বাপ হ্যারি ওরফে হারানের ডাক পড়েছিল ক্যানিং সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের হেডমাস্টারের কেবিন থেকে। ব্রায়ান চতুর্থ শ্রেণি টপকিয়ে জুনিয়র হাই-তে যাচ্ছে।
    ক্ষেতে তখন শশা আর বেগুন ঢলে পড়েছে দস্তুর মতো। কোনোক্রমে হাতের কাদা ধুয়ে, হেঁটো ধুতি একটু নামিয়ে টামিয়ে হেডমাস্টুরের কেবিনে হাজির।
    --এ ছেলে তোমার?
    --হ্যাঁ হুজুর।
    --নাম কী? নাম বলো।
    --আজ্ঞে ব্রায়ান মন্ডল।
    --কীইই? বীরেন মন্ডল? আচ্ছা।
    --বাপের নাম?
    --আজ্ঞে হুজুর হ্যারি মন্ডল।
    --কীইইইই? হারান মন্ডল। আচ্ছা।
    সেই থেকে হ্যারি ও ব্রায়ান হয়ে গেল যথাক্রমে হারান ও বীরেন। পথথুমে কাগজে কলমে, পাট্টার পড়চায়, তারপর বীরেনের স্কুলের ছেলেদের ডাকে। বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ কেউ হারু বলেও ডাকেন। বীরেনকে বীরা।
    ক্যানিং-বাসন্তী হাইওয়ে যেখানে পাক খেয়ে মাতলার বুকে সটান উঠে যাচ্ছে পরপুরুষের মতো, তার গোড়ায় বাঁদিকের রাস্তা ধরে মাইল পঁচিশেক হুডখোলা অটো ধরে খেলে পরপর সাজাদপুর চকবড়ন্তিয়া ক্ষীরতলি ধানখুলি এমন সব কত শত গাঁ।
    চকবড়ন্তিয়া থেকে ডানদিকের রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার মোরাম পড়েছে। সিপিএম পার্টি আপিস পেরিয়ে গুছাইত ধানকল ছাড়ালে মাঠ অবারিত হল। ঈশান কোনে গাছগাছালি ঘেরা একটা সবুজ ছোপ। ওটাই হারান-বীরেনের গাঁ মশানচক। হারানের ভিটের লাগোয়া তেরো কাঠা জমিতে বছরভর বাঙালির হেঁশেলের যত সবুজের নমুনা। শশা চিচিঙ্গে বেগুন। হারান বড়ো মেয়ের ভালো মতো বিয়ে দিয়েছে এই মাটির কল্যাণে।
    মশানচকে শ খানেক ঘর নিয়ে খ্রীশ্চান কলোনি। গাঁয়ের সব সালিশীসভা আলাপ আলোচনা বসে গাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট সেবাস্টিন কনগ্রেগেশনাল চার্চে। ক্রীসমাসের ছোট মেলা।
    চার্চ বলতে একটি দোচালা গৃহ। সামনে টালি ছাওয়া একটি দালান। পেছনে পরিপাটি খড়ে ছাওয়া। একটি বড়সড় হলঘর। মেঝেতে সিমেন্টের ঝাঁটা বোলানো। পাঁচ ছটি বেঞ্চ। গুটিকয় জানালায় বাঁশের গরাদ। পশ্চিমের দেয়ালের খোপে ক্রুশবিদ্ধ করুণাময়ের দন্ডায়মান একটি দুই ফুটের চায়না ক্লে-র মূর্তি। কোনো মাকড়সার জাল, ঝুল কোথাও নেই। কনফেশর্স চেম্বার রয়েছে। চারটে বাঁশে খাটানো চটের ঘেরাটোপ।
    একটি শীর্ণ মোমবাতি অনির্বাণ শিখায় জ্বলে আছে। এবং যিশাস ওয়াটার স্ট্যান্ডে একটি পিতলের গেলাসে চরণামৃত।
    কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার এখন নেই। হ্যারল্ড সাহেব ছাপান্ন সালে সান্নিপাতিকে দেহ রক্ষা করার পর, কেউ আর এই ধাদ্ধাড়া গোবিন্দপুরে আসতে চায়নি। এখন ষাটোর্ধ গৌর হালদার চার্চের পূজক এবং রক্ষী।
    মাতলা দিয়ে অনেক ঝড় জল বয়ে গেছে তারপর।

    হারানের মনের ভেতরে একটি কৃষ্ণমেঘ জমেছিল দীর্ঘকাল। একটি ভয়। ভূতের মতো একটি ছায়া।
    বহুকাল আগে হারানের জেঠা এক ভোররাতে গৃহত্যাগী হয়েছে। বারো বছর পরে জেঠি কনফেশন বাক্সে আছাড়ি পিছাড়ি করে কেঁদেছিল। হিন্দুরা যেমন আনুষ্ঠানিক ছেরাদ্দ করে, তেমন একটি শোকস্মরণে সামান্য গরু মাংস আর ফেনাভাতের ভোজ করেছিল সবাই মিলে। তারপর কেটেছে বছর মাস দিন।
    হারানের বড়ো ছেলে সতেরো বছর আগে কলকাতার ট্রেনে চড়ে আর ফিরে আসেনি। হারান কনফেশন বাক্সের স্যাঁতসেঁতে মাটিতে চুকচুক চরে থুতু ফেলেছিল অলক্ষ্যে। যীশুর ওপর তখন তার তীব্র রাগ। ন দশ বছরের বীরেন সে সময় চার্চের উঠোনে গুলি খেলছিল।
    বীরেন যখন সাতাশ বছরের যুবা, তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সাঁইত্রিশ মাস পরে এক তীব্র গরমের রাতে মশারির ভেতর ঘাম-চাটা কালচিতির সামান্য চুম্বনে বউ মরে যায়। কেউ জানত না, শুধু যীশু জানতেন, কাজলির পেটে তখন তিন মাসের ভ্রূণ।
    বীরেন কনফেশন বাক্সের চটের আড়ালে শিশুর মতো বহুদিন ঢুকরে ঢুকরে কেঁদেছে। দিন যেতে যেতে সে ধাতস্থ হয়েছে। খেতিবাড়িতে মন দিয়েছে। এখন সে মশানচকের দক্ষ সব্জিচাষী।
    মাঝে মাঝে খর দুপুরে ক্ষেত থেকে ফেরার সময় যখন হঠাৎ হাওয়ার ঘুর্ণিতে শুনশান চার্চের উঠোনে খড়কুটো পাক খেয়ে যায়, দালানের আগল ক্যাঁচকোঁচ শব্দে নড়ে ওঠে, প্রায়ান্ধকার হলের কনফেশন তাঁবুর দিকে সে একবার উঁকি দিয়ে দেখে নেয়। চটের আড়াল আলতো দুলছে ফুলে ফুলে। ভেতরে কি কেউ আছে? ভেতরে কি কেউ ছিল? সেই পাপঘ্ন শশাটি কি এখনও টেন্টের মাটিতে লুকিয়ে আছে? সজনি কি রাক্ষসী হয়ে শশাটাকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলেছে?
    হে যীশু, আমাকে পাপমুক্ত করো। আমি অধম। তোমার শরণাগত।

    কাজলি মারা যাওয়ার শোক কেটে যাওয়ার পর বীরেনের ওপর কাজরির ভর হয়। বীরেনের এখন আর শোক নেই। কাজলি হেভেনে গেছে গিয়া। বীরেন স্বাস্থবতী মেয়ে দেখলে এখন আড়ে আড়ে দেখে, হ্যাংলার মতো দেখে। তবু লোকে বলে, আহা রে! অমন নক্কী বউটা ছেল। বাছাটা অদর্শনে কেমন এলিয়ে গেছে গিয়া।
    আ মোলো যা! এ কি বদখেয়াল! যে গেছে, গেছে গিয়া। আমার তো মেয়েছেলের শরীর দেখলে ভিতরটা কেমন আঁকুপাঁকু করে। ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ফেলে শীতলপাটির ওপর শুইয়ে ফেলতে সাধ হয়। আর এরা কাজলি কাজলি করে ধামা দিয়ে মুরগিছানা ঢাকতেছে।
    বীরেনের মনে হয়েছিল, এ কাজলির প্রেতাত্মার ভর।
    অতএব সেই কনফেশন বাক্সো। ওর মধ্যে প্রভু কিরিপা করো কিরিপা করো বলে বায়না। যীশু একদৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন ঈষৎ অবনত আননে। কপালে ক্ষত। রক্ত ফুটে আছে দুর্লভ চুনির মতো। তুমি অবলোকিতেশ্বর। তুমি জনার্দন। তুমি কালিঘাটের কালী। আমাকে মেয়েছেলে দাও।

    সজনি বাউরি জাতে ছোটো। অথচ সজনির বুকের দিকে তাকালে বীরেনের কান মাথা ভোঁ ভোঁ করে। উরুসন্ধি লৌহদূর্গসম। সজনি তখন ভরা মাতলা। ক্ষেতের ফুটি, কচি নধর শশা সব খাইয়েছে বীরেন। শশা ক্ষেতের প্যাচপেচে কাদার মধ্যে বেশ কয়েকবার সুতোহীন সজনিকে পিষে ফেলেছে। পিঠের ওপর বোলতা হুল গেঁথে রেখেছে, ছাড়েনি দাঁতের ফাঁকে নরম লাল করমচা।
    তবু সজনি ভেসে গেছে বেঘরে। তিন গাঁ পরে সজনি সিঁথিভরা লাল, গাঁদার মালা গলায় দুলিয়ে রিক্সায় ঝিঁকোতে ঝিঁকোতে চলে গেছে।
    পুনরায় সেই অন্ধকার কনফেশন বাক্সো। হে প্রভু, সজনির বরকে ঘরছাড়া করাও। ওকে ফিরিয়ে দাও। এবার এলে নিয়ে কোথাও পালাব। কলকেতা বড় পৃথিবী। ওখানে একবার গেলে হারিয়ে যাওয়া যাবে।
    তারপর বীরেনের বিবাহ হয় বিধিমতে।

    ভোররাতে বীরেন স্বপ্ন দেখছিল। চার্চের ভেতরে শশার ক্ষেত। দেয়ালে লতিয়ে উঠে গেছে লতা। ঝুলছে কানপাশা ঝুমকো। চার্চের ছাদ খুলে গেছে প্যান্ডোরার বাক্সের মতো। উড়ে যাচ্ছে বোলতা, টিকলি প্রজাপতি, বদরি পাখির ঝাঁক।
    শশালতার ফাঁকে ন্যাংটো সজনি। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঢেকে যাচ্ছে বুক জঙ্ঘা খোলাচুল। পায়ের পাতা ডুবে গেছে কাদায়। সজনি খিলখিল হাস্যে গায়ে কাদা মাখছে। দেখবে? কী দেখবে? এই দ্যাখ গা কালসজনি।
    সজনিইইই...আয় ধুয়ে দিই তোর অলীক স্নান। সজনি, এই দ্যাখ এই আমার সোনার মাঠ। আমার সোনার রঙ সবুজ। তুই সবুজ মাখবি? সজনি সবুজ রঙ দিবি আমাকে? আয় তোকে পাতায় ঢেকে রাখি। সজনিইইই...
    ফরফর করে বদরি পাখি উড়ে গেছে আকাশে। যেন ওরা খুশির হাওয়ার পালকের সাজ।
    সেদিন ভোর ভোর ক্ষেতে যাবার সময়, বীরেন প্রথম প্রভুর সামনে কেঁদেছিল। সজনি কেন হারিয়ে গেল? অবলোকিতেশ্বর বিষন্ন-স্মিতহাস্যে চেয়ে আছেন শান্ত আবছায়ায়। কপালে ক্ষত। এখন রক্তের মেটে রঙ।
    গতকাল ডোঙায় জল সেচেছিল। আজ ক্ষেতের মাটি ভেজা ভেজা। বীরেন দুচারটে শশাপাতা নাকে শুঁকল। পোকা লাগবে না। এখনও তেজ আছে গাছের।
    খিচ খিচ করে হাসির শব্দ। চমকে ওঠে বীরেন। সজনি। হাতে শশা পাতা ছিঁড়ছে। সজনি? সজনি?
    এরপরের ঘটনা আগের পুনরাবৃত্তি। উপোসী শরীরের গান। সম-ফাঁকে কে ফিরে আসে? যে-জন ভরা ভাদরের নাও দুলিয়েছে ঘন মেঘে, এই সর্বনাশের মতো কর্দমময় শরীর, আলো চুষে নেবে এই সোঁদাঘ্রাণ, এই নিঃশেষে দ্রবমান...এই মৃগয়া এই শেষ নন্দনবনানী...ক্রন্দসী আড়াল করে রেখেছে জোড়াপুত্তলি। এই সর্বস্ব এই মধুবন এই বিপ্রলব্ধ এই অভিসার।
    বীরেনের পূর্ণ রেতঃপাতের পর সজনি শুধু পাপ ডেকেছিল। অন্য খেলা যখন।
    --শশা অন্য কাজেও লাগে।
    --কীরকম?
    --শিখেছি।
    --কে শিখিয়েছে?
    --কলকেতার ছাতাকলে কাজ করা শিবানী।
    তারপর দুর্বার নিষিদ্ধ শিকারের সাজ। সজনির দুপায়ের ফাঁকে হারিয়ে যাচ্ছে আস্ত একটা শশা। একবার ডুবু ডুবু মাস্তুল, পুনর্বার অন্তর্হিত কুসুম। আর থেকে থেকে একটি পাতালপুরের তারানা ও শীৎকার। লতায় লতায় গেঁথে যাচ্ছে পাপের রেণু, পরাগধানির সংকেত। এ একার গান। যুগলবন্দী ঘেরা নাইনথ্ সিম্ফনি। আত্মমেহনের নারী।
    এরপর একটি খুন। পরিপূর্ণ খুন। পাপিষ্ঠা! আমার সোনার ক্ষেতের ফসল! তুই শরীরে ঢোকাস? আমাকে খেয়েও শান্তি হয়নি কুলটা? টুঁটি টিপে ধরা সজনি ঝটফট করে একসময় স্থির হয়ে গেল। দু পায়ের ফাঁকে কাদামাখা শশাটির গায়ে লাস্ট অক্টেভের দাগ।
    সজনি পৃথিবী থেকে নিঃশেষে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কেউ তার খোঁজ পায়নি।
    বীরেনের ওপর নাকি কাজলি পুনরায় ভর করেছে। এখন বীরেন একা একা বিড়বিড় করে। হারান ঘুসঘুসে জ্বরে শয্যাগত।
    একাকী সেন্ট সেবাস্টিন কনগ্রেগেশনাল চার্চ খোলামাঠে জীর্ণ হয়। দালানের আগলে বাতাস ভরদূপুরে ক্যাঁচকোঁচ শব্দ করে। কনফেশনের বাক্সে বীরেনের মতো কেউ যেন কুকুরের মতো কাঁদে। তার শব্দ প্রভুর পায়ে পৌঁছে বাকি পৃথিবীর জন্য কোনো অবশেষ রাখেনি।
    গত বছর অম্বুবাচির সেই ঘন বাদলায় মাতলা উন্মাদ মাতঙ্গী, একূল ওকূল দুকূল ভেসে যায়। ক্যানিং স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের জানালার পাশে ব্রায়ান মন্ডল। এরপর কোনোদিন সে ফিরে আসেনি তার সোনার কাদাঘরে। কলকাতা তাকে অনেকের মতো খেয়ে ফেলেছে হয়ত।
    কনফেশন বাক্সে গুবরে পোকারা এখন গল্প করে। ঈশ্বরের কপাল থেকে ঝরে পড়ে অনন্ত শোণিতের ধারা। সে কপালে হাজার বছরের স্বীকারোক্তি মুকুটে বাঁধা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৬৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 127.194.35.29 (*) | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:০৮61622
  • খুব ভালো লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন