এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইংরাজী মিডিয়ামের বাংলা-জ্ঞান

    Swati Ray লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ | ১২৪২ বার পঠিত
  • বাংলা মাধ্যম নাকি ইংরাজী মাধ্যম ? সুবিধা কি, অসুবিধাই বা কি? অনেক বিনিদ্র রজনী কাটাতে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত নিতে! তারপরেও সংশয় যেতে চায় না। ঠিক করলাম, না কি ভুলই করলাম? উত্তর একদিন খানিক পরিস্কার হল। যেদিন একটি এগার বছরের আজন্ম ইংরাজী মাধ্যমে পড়া ছেলে এই লেখাটা ধরিয়ে দিল ... কিছু বানান ভুল সংশোধন করে দিতে হয়েছে অবশ্য। বাকীটা পাঠকই বলুন। ...

    লক নেসের দানব
    - শ্রুতকল্যাণ দে
    আমার নাম শ্রুত। আমার পেশাটি একটু অদ্ভুত।আমি একজন ক্রিপ্টোজুলজিস্ট। আমি আর আমার বন্ধু রবার্টো দুজনে একসঙ্গে মিলে ক্রিপ্টিড খুঁজি। ক্রিপ্টিড হল সেই সব জন্তু যাদের সন্ধান পাওয়া যায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের রূপকথায়। আমরা কিন্তু বিশ্বাস করি যে গল্পে যাদের হদিশ মেলে তারা বাস্তবে কোন না কোন রূপে থাকে বা ছিল। হয়তো তারা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সারা পৃথিবী জুড়ে আমরা এদের খুঁজে বেড়াই। তবে সব সময় যে আমরা সফল হই এমন নয়। অনেক সময়ই আমাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। তবে অভিজ্ঞতার ঝুলিতে সব সময়ই নতুন কিছু যোগ হয়।
    এখন আমরা এসেছি স্কটল্যান্ডে। এবারের অভিযান লক নেস মনস্টারের খোঁজে। আমরা স্কটল্যান্ডে পৌঁছেই প্রথমে সরকারী অনুমতিপত্র জোগাড় করলাম। তারপর স্থানীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কিছু আলাপ আলোচনা করলাম। তখনই জানা গেল যে জার্মানির বিখ্যাত ক্রিপ্টোজুলজিস্ট উইলহেল্ম মাইয়ারও তখন স্কটল্যান্ডে। এবং তিনিও লক নেস মনস্টারের খোঁজে বেরনর তোড়জোড় করছেন। উইলহেল্ম যদিও আমার থেকে অনেকটাই বড়, তবু আমার পুরোন বন্ধু, আমরা একসঙ্গে আগে অভিযানও করেছি। তাই ঠিক হল যে আমরা একসঙ্গেই রওনা হব। উইলহেল্ম জানাল যে স্থানীয় এক জেলে নাকি কয়েকদিন আগেই দানবটিকে দেখেছে। আমাদের এবারের অভিযান তাহলে সফল না হয়েই যায় না!
    কয়েকদিনের মধ্যে সব গোছগাছ করে আমরা জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এই জাহাজে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি আছে। গোটা জাহাজ ঘিরে সনার (sonar ) স্কান্যার আছে যা দিয়ে আমরা চারিদিকের জলকে পরীক্ষা করতে করতে চলেছি। এছাড়াও রূপকথার দানবকে লোভ দেখাতে আমরা জালে করে মাংস ফেলেছি জলে। মাংসের গন্ধে কিনা জানি না, অনেক মাছ চলছে আমাদের আশেপাশে। তাদের একটি দুটি করে ধরে আমাদের খাবার টেবিলে চালান করাও হচ্ছে। কিন্ত তিন দিন হয়ে গেল, আমাদের আসল কাজ কিছু এগোল না। সেদিন আমরা দুটি স্যামন মাছ ধরেছিলাম। মাছ-ভাজা দিয়ে রাতের ডিনারটা ভালোই জমেছিল। খাওয়ার পরে আমি কেবিনে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। রবার্টো বলল যে সে একটু জাহাজের ডেকে হেঁটে নিয়ে তারপর ঘুমোতে যাবে।
    পরের দিন ব্রেকফাস্টের টেবিলে গিয়ে শুনি যে আগের রাতে একটি পাথরে ঘষা লেগে আমাদের সনার স্ক্যানারগুলি নষ্ট হয়ে গেছে। কথাটা শুনে আমি তো অবাক হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ টেবিলের তলায় এক পায়ে ধাক্কা। দেখি উল্টো দিকে বসে রবার্টো আমাকে চুপ করে থাকতে ইঙ্গিত করছে। তাই আমিও চুপ করে গেলাম। তারপর কেবিনে ফিরে গিয়ে যখন বই খাতা নিয়ে বসেছি, তখন রবার্টো আমার কেবিনে এসে চুপি চুপি বলল যে সে যখন আগের দিন রাতে ডেকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন স্ক্যানারগুলির কাছে চারজন লোককে দেখেছে। অন্ধকারে তাদের ঠিকমত চিনতে পারে নি, তবে এটুকু দেখতে পেয়েছে যে তাদের দুজনের মাথায় সোনালি চুল আর বাকী দুজনের কালো চুল।
    আমাদের জাহাজে মোট আটজন মানুষ। রবার্টো, উইলহেল্ম আর আমি ছাড়াও আছে আরও পাঁচ জন। পিয়েরে রেবাস, একজন ইকথিওলজিস্ট আর লি কুইন চা, একজন পালিওনটোলজিস্ট। লি’র সঙ্গে উইলহেল্মের আগের থেকেই চেনা। পিয়েরে একজন স্থানীয় বৈজ্ঞানিক – অন্যদের মুখে আমাদের অভিযানের কথা শুনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওঁর মৎস্য-জগতের জ্ঞান আমাদের এই অভিযানে কাজে লাগতে পারে ভেবে আমরাও সানন্দে ওঁকে দলে নেই। আর আছে তিনজন নাবিক। এলবার্ট, আলাস্টার আর আংগাস লাগো। এই শেষের তিনজনই জাহাজটার মালিক। এদের মধ্যে পিয়েরে আর আংগাসের এক মাথা সোনালি চুল। উইলহেল্ম আর আমার মাথা একদম ন্যাড়া। বাকীদের সবারই কালো বা ব্রাউন চুল। তাহলে এদের মধ্যে কোন দুজন ছিল স্ক্যানারের কাছে?
    আমরা দুজনে মিলে ঠিক করলাম যে আমরা যে জেনে গেছি যে স্ক্যানার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পিছনে যে আসলে মানুষের হাত আছে সে কথা এখন আমরা গোপন রাখব। আমরা জোর কদমে লক নেস মনস্টারকে ধরার প্রস্তুতি চালাতে শুরু করলাম। ইতিমধ্যে উইলহেল্ম সনার স্ক্যানার গুলিকে পরীক্ষা করে বুঝতে পারে তাদের ক্ষতি ততটা মারাত্মক নয়। লি আর উইলহেল্ম দুজনে মিলে সেগুলিকে সারিয়ে তোলে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে চেরি দ্বীপের কাছে পৌঁছলে আমরা জলে নামব। এরই কাছাকাছি নাকি দানবটিকে শেষ দেখা গিয়েছে। পরিকল্পনা মত রবার্টো, লি আর আমি জলে নামলাম। সঙ্গে রয়েছে সনার স্ক্যানার। উইলহেল্ম জাহাজে ল্যাপটপ নিয়ে আমাদের স্ক্যানারের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করছে। আমরা জলের তলায় খুঁজে বেড়াচ্ছি এমন কোন সূত্র যা আমাদের লক নেস মনস্টারের হদিশ দেবে। কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পরে হঠাৎ উইলহেল্ম চেঁচিয়ে উঠল, “মাইনে গটে” সনার যন্ত্রে আমাদের ৪০ ফুট দূরে একটি বিশাল মাছ। প্রায় পঁচিশ ফুট লম্বা। এবং সেটি আমাদের জাহাজের দিকের আসছে সে। আর একটু কাছে আসার পরে দেখি মাছটির গা দিয়ে রক্তের নদী বইছে। ভালো করে তাকিয়ে বুঝলাম যে তার গায়ে বিঁধে আছে একটি হারপুন। তাড়াতাড়ি উইলহেল্মকে বলে একটা জাল নামান হয়। লি আর আমি দুজনে অনেক কসরত করে সেই মাছটিকে জালে বন্দী করা করলাম। তারপর রবার্টো আস্তে আস্তে খুব সাবধানে হারপুনটি বার করে দেয়। তারপর মাপজোক নিয়ে আমরা মাছটিকে ছেড়ে দিলাম। দেখা গেল আমাদের প্রথম ধারণাই সঠিক। ২৫ ফুট লম্বা মাছটি প্রায় ১৬০০ কিলোগ্রাম ওজনের। বেলুনা স্টার্জন প্রজাতির মাছ।
    জাহাজে ফিরে এসে উইলহেল্মের থেকে আমরা জানতে পারলাম যে মাছটি এক বিশাল লাফ দিয়ে জল থেকে তার শরীরের প্রায় কুড়ি ফুট বার করে। আর তখনই আঙ্গাস মাছটিকে লক্ষ্য করে হারপুন ছোঁড়ে। তখন উইলহেল্ম খুব রেগে যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে এসে প্রকৃতির এমন আশ্চর্য সৃষ্টিকে মারার চেষ্টা করা কি উচিত? তাছাড়া আমাদের বড় মাছ শিকারের লাইসেন্সও নেই। রাগের মাথায় উইলহেল্ম বলে যে ওঁদের নামে সে পুলিশে রিপোর্ট করবে। ও দেশে পুলিশ এই সব অপরাধ খুব কড়া হাতে দমন করে। অপরাধ প্রমাণ হলে সারাজীবনের মত ওদের জাহাজের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। উইলহেল্ম মাছটিকে দেখেই ভিডিও ক্যামেরা চালিয়ে দিয়েছিল। ফলে আঙ্গাসের হারপুন ছোঁড়া আর তারপরের সব কথা কাটাকাটি সবটাই ক্যামেরাবন্দী হয়ে আছে। আঙ্গাস ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই উইলহেল্ম সেটি সিন্দুকে পুরে দেয়। তারপর থেকে জাহাজের অবস্থা খুবই থমথমে। তিন ভাই মাঝে মাঝেই গুজুর গুজুর করছে। আর আমাদের সঙ্গে কথা বার্তা বন্ধ।
    কিন্তু সেদিন আমাদের এইসব নিয়ে ভাবার সময় ছিল না। মাছটির লাফ দেওয়ার সময়ের ছবিটি দেখে আমরা তিনজনেই হাঁ! এতো বেমালুম লক নেস মনস্টারের ছোট সংস্করণের মত দেখতে। ঠিক হল আবার আমরা পরের দিন জলের নীচে নামব। এখানেই এই রহস্যের বীজ পোঁতা আছে বলে মনে হচ্ছে।
    পরের দিন আমরা আবার জলে নামলাম। সেদিন আমাদের লক্ষ চেরি দ্বীপের নীচে যে সব অসংখ্য গুহা আছে, সেগুলোতে একটু তল্লাসি চালানো। কোথাও যদি কোন হদিশ মেলে! কিছুক্ষণ জলে কাটানোর পরে পিয়েরেও এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিল। পিয়েরেই আমাদের দেখাল একটি বিশাল গুহামুখ, যেটি দেখেই মনে হচ্ছে যে কোন বিশাল জন্তু তার গা ঘেঁসে চলে গেছে। আমরা অসীম কৌতূহলে সেই গুহায় গিয়ে ঢুকি। ঢুকে অবাক হয়ে দেখি যে উইলহেল্ম ছাড়া জাহাজের বাকী সবাই শেখানে রয়েছে। পিয়েরে আর আঙ্গাসের হারপুন-বন্দুক আমাদের দিকে তাগ করা। তাড়াতাড়ি পালাতে চেষ্টা করতেই এলবার্ট আর আলাস্টার আমাদের ধরে ফেলে। আঙ্গাস বলে, এক্ষুনি তোমাদের বন্ধুকে বল যে কালকের ভিডিওটা নষ্ট করে দিতে – নাহলে তোমরা সবাই মরবে। আমরা তো অবাক! শেষে একটু সাহস সঞ্চয় করে বললাম, “তোমরা নিজেরাই বললে তো হত! তার জন্যে এত নাটক করার কি ছিল!” পিয়েরে তাই শুনে অসম্ভব রেগে গেল! উইলহেল্মের উদ্দেশ্যে অকথ্য কিছু গালাগালি দিয়ে বলল, “সে চেষ্টা কি করিনি ভাবছিস! ভিডিও তো দিল-ই না, উল্টে স্যাটেলাইট ফোনে আমার উনিভারসিটির হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্টকে ধরতে ছাইছিল তার কাছে নালিশ করবে বলে! ফোন টোন ভেঙ্গে ফেলে বুড়োর মাথায় দু ঘা দিয়ে নেমে এসেছি। এবার তোদের যা বলা হচ্ছে তাই কর, নাহলে তোদের মেরে এই গুহাতেই ফেলে রেখে যাব। এত দিন ধরে আমি লক নেস মনস্টার খুঁজে যাচ্ছি, আর কোথাকার এক ইন্ডিয়ান আর জার্মান এসে তাকে আমার নাকের ডগা দিয়ে তার রহস্যভেদ করে চলে যাবে! ইয়ার্কি, না! কত কষ্টে তিন ভাই কে হাত করে স্ক্যানার গুলো নষ্ট করালাম! তাও বুড়োটা সারিয়ে ফেলল। তার উপর ওই ভিডিও ওর কাছে থাকলে আমার সর্বনাশ হবে! অথচ ওই দত্যিটাকে ঘায়েল করে বন্দী করে নিয়ে যেতে পারলে সারা পৃথিবী জুড়ে আমার নাম হত! তোদের জন্য সব মাটি! ”
    কেউ বিনা কারণে বাজে ভাবে কথা বললে আমার ভারি রাগ হয়। কিন্তু বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। তাই মাথা ঠাণ্ডা করতে আমি চোখ বুজে এক থেকে একশ গুনছিলাম। হঠাৎ এলবার্ট আর আলাস্টার আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল আর আমাদের ছেড়ে দিল । চোখ খুলে দেখি দুটি বিশাল স্টার্জন মাছ দ্রুত ছুটে আসছে। তাদের ধাক্কায় পিয়েরে আর আঙ্গাস একটা বড় পাথরের উপরে গিয়ে আছড়ে পড়ল। এলবার্ট আর আলাস্টারেরও একই দশা! আমরা তিনজন কোনক্রমে একটা বড় পাথরের পিছনে লুকিয়ে পড়েছিলাম বলে আমরা সে যাত্রা প্রাণে বাঁচলাম। তবে এর মধ্যেও আমি অবাক হয়ে দেখলাম, একটি মাছের গায়ে একটি সদ্য তৈরি হওয়া হারপুনের ক্ষত। এটি কি তাহলে কালকের মাছটা যার গায়ের থেকে আমরা হারপুন খুলে দিয়েছিলাম?
    কিভাবে যে আমরা সবাই জাহাজে ফিরে আসি সে আমরাই জানি! তবে ফেরার আগে চারমুর্তিকে বন্দী করে আনতে ভুলি নি। উইলহেল্মের মাথার আঘাত বেশ গুরুতর হলেও বেশ খানিকক্ষণ শুশ্রূষার পরে সে চলনসই গোছের সুস্থ হয়। তারপর আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করি যে লক নেস মনস্টারের গল্প হয়ত এই বিশালাকৃতির স্টার্জন মাছকে ঘিরেই হয়েছে। একটি স্টার্জন মাছের পূর্ণ চেহারা পেতে প্রায় ৮০ বছর সময় লাগে। হয়ত আগে যখন মানুষ লক নেস মনস্টার দেখেছে বলে জানিয়েছে তখন হয়ত তারা এই মাছদুটিরই পূর্বপুরুষকে দেখেছে। কিন্তু আমরা একথা কাউকে বলব না। ওরা আমাদের প্রাণ বাঁচিয়েছে আর আমরা ওদের পিয়েরের মত মানুষের লোভের হাত থেকে বাঁচাবো।

    শারদীয়া কাশ ২০১৭ তে প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ | ১২৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 182.56.6.80 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১৮59874
  • দুর্দান্ত!! সেই সঙ্গে ভেতরের ইনফর্মেশনটা জেনে তো পুরো হতবাক!
  • বেদাংশু মিশ্র | 24.139.220.33 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৪59881
  • বেশ ভালো লিখেছে। এদেরকে দেখলে মনের মধ্যে সেই বিশ্বাসটা ফিরে আসে যে , বাংলা ভাষা চিরকাল বেঁচে থাকবে।
  • Du | 57.184.42.117 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:০৯59882
  • কিন্তু এত সুন্দর একটা গল্প এদিকে টাইটেলে সেই বহুচর্চিত হেডিং দেখে অনেকে মিস করে যেতে পারে।
  • pp | 33.241.123.17 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮59883
  • ইনি প্রফেসর শন্কুর ভাই বন্কু না হয়ে যান না।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৪59875
  • আরে ! এতো দারুণ !
  • | 116.193.236.29 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৪59876
  • আরিব্বাস! দারুণ!!
  • Swati Ray | 113.197.80.30 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৪59884
  • সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ইস্পেশাল ধন্যবাদ Blank কে। ওটা বেলুগা স্টার্জন হবে। দোষটা মায়ের - টাইপো - শ্রুত'র নয়। আর শ্রুত বলেছে কখনো Blank এর সঙ্গে আলাপ করতে পেলে খুশি হবে। বেলুগা স্টার্জন সহ অন্য অনেক প্রাণী নিয়ে গপ্প করতে পারবে ! মায়ের সঙ্গে সে সব গল্প জমে না তো!
  • সিকি | 158.168.40.123 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২০59877
  • অসাম! এ তো পুরো প্রফেসর শঙ্কু লেভেলের লাগল!
  • রিভু | 106.44.28.188 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৫০59878
  • দারুন হয়েছে। এ ছেলে কালে কালে সত্যজিৎ রায় হবে।
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২৪59885
  • সুন্দর লেখা
  • de | 24.139.119.175 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৫59879
  • ভালো হয়েছে -

    মিত্তিরবাবুর ঘনাদা স্টাইল পুরো -
  • Blank | 213.132.214.84 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৫৪59880
  • দারুন। খালি ওটা বেলুগা স্টার্জন হবে
  • প্রিয়াঙ্কা | 57.11.12.112 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:০০59886
  • গুড
  • | 52.110.145.187 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫৫59888
  • বাহ! খুব ভালো লাগলো পড়ে। ক্লাস সিক্স/সেভেনেই এমন হলে, পরে বাঁধুনি আরও কত ভালো হবে!!
    ছেলেটার বাড়ির পরিবেশের মতন হয়ে উঠুক সব বাড়ি।টিনটিনের পাশে দেব সাহিত্য কুটির জ্বলজ্বল করে উঠুক!
  • kumu | 192.69.122.68 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০১59889
  • মচৎকার লেখা।
    ছেলে ও মাকে অভিনন্দন।
    সময় পেলে আরো লিখো,বাবু।
    কুমুপিসী
  • শিবাংশু | 55.249.72.205 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:১৬59890
  • দুরন্ত লেখা। কী ঝরঝরে গদ্য। ছেড়োনা কোনওমতে...
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 160.129.64.111 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ১১:৫১59887
  • আরে বাঃ ! দারুন লেখা ! এরকম অ্যাডভেঞ্ছারাস লেখা পড়তে সবারই ভালো লাগে !

    মনোজ
  • Swati Ray | 69.97.222.103 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৩৭59891
  • শ্রুত'র তরফ থেকে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ...
  • মাহেরীন | 86.187.194.5 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৩৩59892
  • দারুণ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন