এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নানা স্বর- ফুলের কোরাস

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ মে ২০১৭ | ৬৫৫ বার পঠিত
  • 'বহুস্বর' একটা পবিত্র শব্দ। মানুষের সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে এই শব্দবন্ধকে কেন্দ্র করে। সরলরৈখিক, একস্বর প্রতিক্রিয়া মানবিক অধিকারের বিপ্রতীপ বিড়ম্বনা। মানুষই একমাত্র প্রাণী যার কোনও একমুখী অস্তিত্ব নেই। অনেক মানুষ তো বটেই, একাকী মানুষেরও অস্তিত্বেও বহুস্বরের ব্যঞ্জনা তাকে প্রতি মূহুর্তে সমৃদ্ধ করে। সামাজিক বা রাজনৈতিক একনায়কতন্ত্র মানুষের এই চারিত্র্যটিকে ভয় পায়। তাই তাদের আপ্রাণ প্রয়াস থাকে মানুষকে একস্বর গড্ডলিকার স্রোতে টেনে আনার, তাড়না করার। এর ব্যতিক্রম আমরা স্থান-কাল নির্বিশেষে পাইনি। তাই মানুষের যাবতীয় সংগ্রাম তার বহুস্বরের অধিকার রক্ষার স্বার্থে।
    -------------------
    'এপিক' নামক শিল্পশৈলিটি মানুষ তৈরিই করেছে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। শিল্পসৃষ্টির কিছু সর্বকালীন অনুপ্রেরণা থাকে। তাদের সঠিক প্রেক্ষিতে বিচার করার জন্য একটি কালনিরপেক্ষ মঞ্চ বিশেষ প্রয়োজন। সময়ের কাদামাটিকে অতিক্রম করে যখন কিছু চিরকালীন মূল্যবোধের কথা বলতে হয় তখন যাবতীয় শিল্পমাধ্যমই এপিক শৈলির আশ্রয় নেয়। কারন চিরকালীন কথা সমকালীন প্রেক্ষিতে ধরার জন্য এপিকের থেকে উত্তম কোনও মঞ্চ নেই। কাব্য, সাহিত্য, চিত্র, ভাস্কর্য, নাট্য, সঙ্গীত, মাধ্যম যাই হোক না কেন এপিকশৈলির আশ্রয়ে তার শ্রেয়তর স্ফুরণ ঘটে। সারা বিশ্বে সর্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতেই এপিক শৈলির আধারে মানুষের শাশ্বত ক্ষোভ, দুঃখ, নিপীড়ন, সুখ, প্রতিবাদ বা মহত্ত্বের ইতিকথা লেখা হয়ে থাকে। সব রকম সৃষ্টিমাধ্যমেই তার উপস্থাপনা আমরা দেখে আসছি গত প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে। নিপীড়িত, অত্যাচারিতের যে দীর্ঘশ্বাস ঈশ্বর পর্যন্ত পৌঁছোতে পারেনা, তারা জায়গা করে নেয় এপিকের পাতায় পাতায়, দৃশ্যে দৃশ্যে। প্রাচীন আথেন্স থেকে পাটলিপুত্ত, রোম থেকে উজ্জয়িনী, তারা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। য়ুরোপিয় ধরণটি নিয়ে এখন বলছি না, কিন্তু আমাদের দেশে মূল্যবোধের বিবর্তিত কালচক্রকে ধরে রাখার জন্য আমাদের পূর্বজরা মহাভারত নামক যে মহা-আধারটি সৃষ্টি করে এসেছেন প্রায় তিন হাজার বছর ধরে, তার জন্য আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ, নতজানু। নিজেদের যথাসাধ্য প্রয়াস থেকে তাঁদের তর্পণ সমীপেষু করে থাকি যখন তখন। সম্প্রতি একটি নাটক দেখলুম। এপিকের আধারে এই মূহুর্তে আমাদের নির্যাতিত মূল্যবোধের খতিয়ানকে ধরার প্রয়াস করা হয়েছে সেখানে।
    -------------------------
    'বহুরূপী' বাংলা নাট্যধারার প্রাচীনতম জীবিত সঙ্ঘ। যে দেশে এক দশক কেন, এক এককেই সঙ্ঘ ভেঙে যায়, সেখানে তাঁদের বন্ধুর হিংলাজপথের অবিরত যাত্রা সারাদেশের নাট্যপ্রাণ মানুষদের প্রেরিত করে। এহেন বহুরূপীর বার্ষিক নাট্য উৎসবের প্রথম প্রস্তুতি হিসেবে যে নাটকটিকে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন, তার নাম 'নানা ফুলের মালা'। রচনা শ্রী অলখ মুখোপাধ্যায়। নির্দেশনার দায়িত্বে শ্রী দেবেশ রায়চৌধুরী। নাটকটি শুনলুম তাঁরা বছর দুয়েক আগে মঞ্চস্থ করতেন। এবার নবপর্যায়ে আবার তার উপস্থাপনা শুরু করা হয়েছে। আশ্চর্য লাগে বস্তুস্থিতি বা সামাজিক বাস্তবতা যেন আরো তীব্রভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই ক'দিনে। ভারতবর্ষের শাশ্বত বহুস্বরবাদী সামাজিক অবস্থানের প্রতি যে ধরণের ক্রমাগত আঘাত বর্ষিত হয়ে চলেছে সাম্প্রতিককালে, তাকে উপজীব্য করে এই নাট্যপ্রস্তুতিটিতে সময়ের স্বরকে ধরার সনিষ্ঠ প্রয়াস লক্ষ্য করলুম।
    -------------------------
    নাটকটির কাল্পনিক পরিমণ্ডল মহাভারতের সৌপ্তিক পর্বের ঘটনাক্রমের সঙ্গে সমান্তরাল রাখা হয়েছে। যখন পরাজিত, রণক্লান্ত, অবসন্ন দুর্যোধন দ্বৈপায়ন হ্রদে বিশ্রামের জন্য এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে সঞ্জয়, কৃপ, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামার সঙ্গে সেখানে আসেন এবং দুর্যোধন অশ্বত্থামাকে বিধ্বস্ত কৌরব সেনাদলের সেনাপতি অভিষিক্ত করলেন। চরের মুখে সংবাদ পেয়ে সেখানে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুধিষ্ঠির, ভীমসেন, ধৃষ্টদ্যুম্ন, সাত্যকি, দ্রৌপদীপুত্ররা, শিখণ্ডী আরো অনেকে এসে পৌঁছোলেন। আহত, বিপর্যস্ত দুর্যোধনের অবস্থা দেখে দয়ার্দ্র যুধিষ্ঠির প্রস্তাব দিলেন তিনি যেকোন একজন পাণ্ডবের সঙ্গে দ্বৈতযুদ্ধে প্রবৃত্ত হতে পারেন। যদি জয়ী হ'ন, তবে হস্তিনাপুর আবার তাঁর হবে। যুধিষ্ঠিরের এমত 'মূঢ়' প্রস্তাব শুনে শ্রীকৃষ্ণ চকিত হয়ে পড়েন। কারণ গদাযুদ্ধে মহাপরাক্রমশালী দুর্যোধন যদি যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চান তবে অনায়াসেই জয়ী হতে পারেন। কিন্তু তাঁর সৃষ্টিকর্তার কৃপাদৃষ্টি থেকে সদাবঞ্চিত দুর্যোধন, তাঁরা প্রিয়তম বন্ধু প্রথম পার্থ কর্ণের মতো'ই অন্যায়যুদ্ধে জয়ী হতে চাননি। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভীমসেনকেই বেছে নেন। তাঁর গুরু বলরামের উপস্থিতিতে এই দ্বৈরথে ন্যায়ত তিনি ভীমসেনকে পরাজিত করেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের কূট ষড়যন্ত্রে অন্যায়ভাবে ভীমসেন দুর্যোধনের ঊরুভঙ্গ করে তাঁকে পরাজিত করেন। এই অন্যায়কর্মের জন্য ক্ষিপ্ত বলরাম ভীমসেনকে হত্যা করতে উদ্যত হ'ন। কিন্তু এবারেও শ্রীকৃষ্ণের কূটবুদ্ধি জয়ী হয়। ফলত দুর্যোধনের মৃত্যু ও অশ্বত্থামার পাণ্ডবশিবিরে হত্যাযজ্ঞ। মহাভারতের মূলতত্ত্ব 'ধর্মের জয়, অধর্মের পরাজয়' এভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের ব্যাখ্যাবিশ্লেষণের যুক্তিতে। অন্যস্বরের যুক্তি পরিত্যক্ত হলো সার্বিকভাবে। সেই ট্র্যাডিশন আজো চলেছে এদেশে।
    ------------------------
    এই নাটকটিতে নাট্যকার কিন্তু মহাভারতের কোনও নবতর ইন্টারপ্রিটেশন দিতে চাননি। তিনি আমাদের এই মূহুর্তের ভারতবর্ষে 'নীরবে, নিভৃতে কাঁদা বিচারের বাণী'কেই উপজীব্য করেছেন। যার ফলে এপিকের আধারে, বর্তমানের পরিসরে মনুষ্যত্বের অবমাননার বিশ্বস্ত নাট্যমূহুর্তগুলি গড়ে উঠেছে। যে ব্যাধের মুখে পাণ্ডবপক্ষ দুর্যোধনের ঠিকানা জানতে পেরেছিলেন সেই চরিত্রটি থেকেই এই ডিসকোর্সের সূত্রপাত। সমাজের প্রান্তিকস্তরের একজন মানুষ তার মূল্যবোধে স্থির থাকে, যখন সমাজের শিরোমণিরা সুবিধেবাদের স্বার্থপরতাকে শিরোধার্য করে। ভিন্ন ভিন্ন ফুলে গাঁথা একটি মালা হয়ে ওঠে জয়ের প্রতীক। অন্য একটি তর্কের অবতারণাও করা হয়েছে পরিশেষে যুধিষ্ঠির ও কুন্তীর কথোপকথনের মাধ্যমে। আমাদের মূল্যবোধের শিকড় কোথায় রয়েছে? এই বোধ আমাদের কর্তব্যজাত না প্রণয়জাত? এই প্রশ্নটির প্রাসঙ্গিকতা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। কারণ দিনের শেষে 'মহাভারত' মানে একটা শাশ্বত মূল্যবোধের গঙ্গোত্রী। তর্কবিতর্কের অযুতনিযুত উপলখণ্ডের বাধাপ্রতিরোধকে জয় করে সে মনুষ্যত্বের মহাসাগরের দিকে ছুটে যায়।
    -----------------------
    নাটকটিতে সংলাপরচনা বেশ সতর্কতার সঙ্গে করা হয়েছে। মহাকাব্যের আধারে নাট্যপ্রস্তুতিতে নাট্যকারের কাছে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ থাকে। ভার ও ধারের সঙ্গে আপোস না শব্দচয়ন করতে হয়। সঙ্গতভাবেই তৎসম শব্দের বহুল প্রয়োগ থাকে সেখানে । কিন্তু দেশজ বা তদ্ভব শব্দের মিশেল যদি সঠিক অনুপাতে না থাকে, তবে তা হয় গৈরীশী নয় চিৎপুরি ফাঁদে পড়ে যেতে পারে। সেই প্ররোচনা এই নাটকে অতিক্রম করা হয়েছে। নাটকটির বৃহৎ সম্পদ নির্দেশক শ্রী দেবেশ রায়চৌধুরীর দুর্যোধনের ভূমিকায় অভিনয়। উচ্চগ্রামী মহাকাব্যিক চরিত্রকে সঠিক আবেগে, সন্তুলিত সংবেদনায় ধরে রাখার জটিল সৃজনশীলতা এই অভিজ্ঞ, পরিণত নাট্যব্যক্তিত্ব সহজভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। শবর ও যুধিষ্ঠিরের ভূমিকায় যথাক্রমে শ্রী গৌতম চক্রবর্তী ও শ্রী অমিয় হালদার সুবিচার করেছেন। কুন্তীর ভূমিকায় শ্রীমতী তুলিকা দাস সনিষ্ঠ থেকেছেন। কিন্তু 'কুন্তী' বস্তুত মাটির অন্য নাম । যেখানে প্রধান পুরুষেরা তাঁদের শ্রেষ্ঠতা কর্ষণ করে থাকেন। তাই কুন্তী আখ্যানের প্রয়োজনে রাজ্ঞী হলেও ব্যক্তিত্বের বিচারে তাঁর বিশেষত্ব মৃত্তিকাময় দার্ঢ্যে। তিনি অনেক সময়ই তাঁর পুত্রবধূ যাজ্ঞসেনীকে অতিক্রম করে যান স্বাধীনচিত্ততায়, নারীত্বের মৌল বিক্রমে। এই নাটকে কুন্তীর চরিত্রটিকে অতি পরিশীলিত, সহনশীল মনে হয়েছে আমার। অন্যান্য চরিত্রের কুশীলবরাও যথোচিত দায়িত্বসচেতন ছিলেন। আলোয় জয় সেন উল্লেখ দাবি করেন। এই নাটকে নির্দেশকের শিল্পবোধ ও রম্য সৃজনশীলতা নিঃসংশয়ে প্রতিষ্ঠিত।
    ----------------------
    নানা ফুলের মালায় প্রতিটি ফুলই নিজের বৈশিষ্ট্যে ও যাথার্থ্যে যেমন উজ্জ্বল, প্রনিধানযোগ্য; তেমনি সফল সমাজের মহিমা তার বহুস্বরের বৈচিত্র্য ও স্বীকৃতির স্বতঃস্ফূর্ততায়। নাটকটি সেই কথাই বলে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ মে ২০১৭ | ৬৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | 113.217.234.120 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ০৫:৫১59692
  • নাটকটির কয়েকটি চরিত্র অবলম্বনে স্কেচ করেছেন শিল্পী শ্রী শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখার মতো। এখানেই থাক...







  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন