এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিঙ্গুর রায়ঃ আমি কেন পালটি খেলাম

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৪৫৬ বার পঠিত
  • সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। আমি কোনদিকে, নিজেও সংশয়ে ছিলাম। তারপর মাঝে বাউ এর একটা পোস্টে লিখলাম, “আগে যারা শিল্প চলে গেল বলে কেঁদেছিল, যাদের অনেকেই এখন সিপিএমকে তেড়ে গাল দিচ্ছেন – তাদের মধ্যে আমিও একজন – এই ওপেন ফোরামে স্বীকৃত ও লজ্জিত হলাম” বলে। কিন্তু মনে হয়েছিল, তারপরেও কিছু বলার থেকে গেল। সেটা এবার বলি।
    প্রসঙ্গতঃ এই বলাটা শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গে নয় – বা বলা ভালো সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আদৌ নয় – ওটা উপলক্ষ মাত্র। আমার বক্তব্য আমার নিজের একটা জার্নি বিষয়ে – গত ছয় / সাত বছরের। যে সময়টার আগে পর্যন্ত সিঙ্গুর প্রশ্নে বুদ্ধবাবুকে সমর্থন এবং তীব্র মমতা বিরোধিতা করে গেছি নির্দ্বিধায়। এবং যে সময়টার পরে, মমতার সমর্থক হয়ে না গিয়েও, বুদ্ধবাবুর সমর্থকও আর থাকতে পারিনি। গত ছয় সাত বছরে কিছু ক্ষেত্রে যে আমূল পালটি খেয়েছি, এটা তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবতঃ।
    যখন তৃণমূল আন্দোলন করছে, ধর্ণা দিচ্ছে, এবং আমরা তাদের রাজনীতির সমালোচনা করছি, তখন যে কটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছিলাম –
    প্রথমতঃ, বিশ্বাস করেছিলাম, এখানেই এই শিল্পের সেরা জায়গা – অন্যত্র, বাঁকুড়া বীরভূমের অনাবাদী জমি কিংবা হাওড়ায় বন্ধ কারখানার জমি উপযুক্ত নয়, কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসব জায়গায় নেই – এসব না দিলে শিল্পপতিরা শিল্প করতে আসবেন না। কী করে বিশ্বাস করেছিলাম তা জানিনা, বোধ হয় বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম বলেই করেছিলাম।
    দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাস করেছিলাম, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গকে শিল্প মাণচিত্রে উপরের দিকে এনে দেবে। এই বিশ্বাস করায় বিশ্বাস করুন, সিপিএমের চেয়ে তৃণমূলের কৃতিত্ব বেশী – তারা এত তীব্র বিরোধিতা না করলে এটা হওয়া যে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে এঁটে বসত না।
    তৃতীয়তঃ মেনে নিয়েছিলাম যে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। "নিয়েছিলাম"। অতীতকাল।
    চতুর্থতঃ বিশ্বাস করেছিলাম যে চাষীদের যে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট ভালো – দেশের সেরা প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটা
    এবারে, ওই সমর্থন করা কালীন যে দুটো বিষয় খুব ভাবিয়েছিল, যাকে আমরা বিশ্লেষণের ভাষায় এনোমালি বলি, তাদের কথা বলি –
    প্রথমতঃ, আশেপাশে যাদেরকে চিনি, ভদ্রলোক, চিন্তাভাবনা করেন, তারা সবাই প্রায় দেখেছি এ ব্যপারে বুদ্ধবাবুর সমর্থক, মমতাকে বিধ্বংসী রাজনীতির কারবারী বলছেন, অথচ সেই লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জয়জয়কার। এই ভোটগুলো তাহলে কারা দিচ্ছে? এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পুরোটাই কি রিগিং, নাকি আমি এত মানুষের সঙ্গে কথা বলেও এই সংখ্যাগরিষ্ঠকে চিনিই না? এই প্রশ্নটা বারে বারে হন্ট করেছে।
    দ্বিতীয়তঃ তিনটে নাম। মমতার “বুদ্ধিজীবি সেলে” এমনিতে যারা ছিলেন বা আছেন, তারা অধিকাংশই মিডিওকার – কেন স্রোতে ভাসছেন, তার সহজ ব্যখ্যা হয়। ব্যখ্যা পাইনি তিনজনের ক্ষেত্রে – মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকর আর কবীর সুমন। এঁদের কারোই কিছু প্রমাণ করার ছিল না – কিছু তেমন পাবারও না – তা সত্ত্বেও ওই অবস্থান মঞ্চে এরা কেন? এমনও তো নয় যে এঁদের জোর করে ধরে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনজনেই বেশ এক্টিভ – কেন?
    কিন্তু এই দুটো এনোমালি উপেক্ষা করেই সমর্থন জারি ছিল। তাহলে গত তিন চার বছরে কী এমন ঘটল? যার জেরে পালটে গেল আমার সমর্থন, দৃষ্টিভঙ্গী? ঘটল – আমার জীবনে। আমার বৌদ্ধিক চর্চায়। যার জন্য শুরুতেই বলেছি – সিঙ্গুর এখানে উপলক্ষ মাত্র – এই বক্তব্য আসলে আমার ব্যক্তিগত জার্ণি বিষয়ক। গত ছয় সাত বছরে আমার মননের জগতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্ভবতঃ গুরুচন্ডালীতে যোগদান। এখানে এসেছিলাম কিছু নামের টানে – আর নিজেকে একটু জাহির করব ভেবে। কিন্তু এখানে আরো অনেককে পেলাম – যাদের সামনে জাহির করা দূরে থাক, নিজেকে নেহাৎ ই চুণোপুঁটিতুল্য বলে চিনে নিতে সময় লাগলো না। এখান থেকে পেতে লাগলাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গী – বহুত্ববাদের নতুন ব্যখ্যা। সেই সঙ্গে আরো দু-একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা – এই সময়কালে আমি ভারতের দু-তিনটি বিশেষ অঞ্চলকে কাছ থেকে চিনলাম – ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং ছত্তিশগড়। আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। এই কাছ থেকে দেখা, এবং তার সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গীর, এপ্রোচের পরিবর্তন আমার ভাবনায় প্রভাব ফেলতে শুরু করল। আগের ভাবনার এনোমালিগুলো বড় হতে হতে আর উপেক্ষণীয় রইল না।
    প্রথম এনোমালি – সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে চিনি কি না – ক্রমশঃ নিশ্চিত বোঝা গেল, সত্যিই চিনতাম না। ততদিন অবধি যাদের বক্তব্য মূল্যবান মনে করেছি, এবং যাদের বক্তব্য টিভিতে বা কাগজে বিদগ্ধদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি – তারা সবাই মূলতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। এর আগে যখন ছাত্রাবস্থায় বা প্রথম যৌবনে বামপন্থী রাজনীতি করতে গিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে গিয়ে থেকেছি, কাজ করেছি, তখন নিজের অজান্তেই, পরিবার এবং শিক্ষার প্রভাবে, তাদের সংগে একটা দূরত্ব থেকেই গেছিল। অর্থাৎ এরা গরীব গুর্বো মানুষ, আমাদের এদের জন্য কিছু করা উচিৎ - নইলে বেচারাদের কী হবে এরকম একটা মানসিকতা। ঠিক প্রকটভাবে এরকমটাই নয় – কিন্তু প্রচ্ছন্নভাবে যে এরকমটাই ছিল, সেটা তখন না বুঝলেও এখন দিব্যি বুঝি। আর এই দূরত্বটার কারণেই তাদের কোনদিন ঠিকমতো চিনিনি আমি, আমরা। মধ্যবিত্ত বামপন্থী কর্মীরা। সিপিএম / ডি ওয়াই এফ আই / এস এফ আই এর “ক্যাডার”রা। নব্বই এর দশক এবং তার পরের। কারণ তখন সেই পারস্পেক্টিভ আমাদের ছিলনা – যা পেয়েছি গুরুচন্ডালী এবং তার বিভিন্ন চিন্তকের সূত্রে। সব রকম মতবাদের চিন্তকেরাই এর মধ্যে আছেন – বাম, অতি বাম, মধ্য, দক্ষিণ, চরম দক্ষিণ।
    আর দ্বিতীয় খটকা – ওই তিনটে নাম। এরা কিন্তু কেউ নিজেদের কাজের বাইরে যাননি – অস্বাভাবিক কিছু করেননি। মেধা নর্মদায় যা করেছেন, মহাশ্বেতা পুরুলিয়ায়, সুমন তার গানে – এখানে সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা বজায় রেখেছেন (কবীর সুমন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে – কিন্তু ক্রনোলজিকালি, সুমনের পদস্খলন এর অনেক পরের ঘটনা)। তারা সেই সব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যাদের জমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের “উন্নয়নে”র চাকার তলায় চাপা পড়েছেন। আমরা তখন বুঝেছিলাম, নিজেদের মগজ বন্ধক রেখেই বুঝেছিলাম এটা আসলে তাদের “ভালো”র জন্যই – কারণ তখনো ভাবতাম তাদের ভালো আমরা ছাড়া কে-ই বা করবে।
    তাহলে দাঁড়ালো কি? সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে তখন সমর্থন করতাম, এখন করছি না। কেন করছি না? কারণ এখন আমার কাছে বিষয়টা অন্য পরিপ্রেক্ষিতে ধরা দিয়েছে। এখন আমি আর মনে করি না, সিঙ্গুরের (বা নন্দীগ্রাম, বা হরিপুর, বা দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কালাহান্ডি, রায়পুর, বালুরঘাট এবং এবং এবং --) মানুষের ভালো বা মন্দ করা আমাদের দায়ীত্ব। সেটা তাদের দায়ীত্ব, এবং সে দায়ীত্ব নিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম, যদি বাইরে থেকে অবিরত নাক গলানো বন্ধ করা হয়। সিঙ্গুরের জমি, অধিগ্রহণের আগে তিন ফসলী ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে – এই জমিতে কারখানা করার কোন জাস্টিফিকেশন দেখি না। হয়তো যে সব অংশে কন্সট্রাকশন হয়ে গিয়েছিল, জমি সংস্কার করলেও তারা আর আগের মত উর্বর থাকবে না (আমি কৃষিবিদ নই – সঠিক জানি না), তবুও এ জমি চাষীদের ফেরৎ পেতে দেখে আমি খুশী। তাঁরা যথেষ্ট কুশলী এবং পরিশ্রমী – আজ না হলেও কয়েক বছর পরে ওই জমি আবার তার আগের চরিত্র ফিরে পাবে বলেই আমার ধারণা।
    পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ণ দরকার আছে বলে মনে করি কি না? শিল্পায়ণ হলে কর্মসংস্থান হবে, বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাবে, রাজ্যের মেধা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবে না – এগুলি চাই কি চাই না? ছয় বছর আগে হলে নির্দ্বিধায় বলতাম হ্যাঁ চাই এসব। এখন আর বলতে পারিনা ততটা জোরে। কারণ, যারা এসব বলেন, তারা প্রায় সবাই একটা ভাসা ভাসা ধারণা থেকে কথাগুলো বলেন। শিল্পায়ণ হলে কী ধরণের কর্মসংস্থান কতটা হবে তার পরিষ্কার ধারণা অনেকেরই নেই । যাদের আছে, তারা জোর দিয়ে বলতে পারেন না, সেই কর্মসংস্থানের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কী সম্পর্ক? কেন কৃষিজমিতেই শিল্প হতে হবে? কেন বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে নতুন শিল্প করা যাবে না? কেন বাঁকুড়া পুরুলিয়া অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে শিল্প হবে না এবং তার প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা হবে না? এবং সব শেষে আরেকটা প্রশ্ন ছোট্ট করে রেখে যাই – “মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?
    বস্তার থেকে রায়পুরে দেখেছি, কালাহান্ডি থেকে ভূবনেশ্বরে দেখেছি, সোনাই থেকে আগরতলায় দেখেছি, কাঁথি থেকে কলকাতায় দেখেছি – কিভাবে “উন্নয়নে”র নামে সর্বত্র নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষকে উৎখাত করে, তাদের পেশা থেকে, জীবনযাত্রা থেকে, সংস্কৃতি থেকে উচ্ছেদ করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আরো আরো প্রান্তে – যাতে সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্য আরো সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। তা তাদের প্রাণের মূল্যেই হোক না কেন। এই দেখার পর আর সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে শাইনিং পশ্চিমবঙ্গের কোন কথা বিশ্বাস করিনা। সিঙ্গুর রায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় নি – কৃষিজীবি দরিদ্র মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখিয়েছে – আয়রনিকালি হলেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৪৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin | 11.39.39.5 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:২৯51757
  • ধন্যবাদ পিটি দা।
  • DKG | 135.16.17.145 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৩১51758
  • Quoted from The Telegraph - link
    http://www.telegraphindia.com/1160915/jsp/frontpage/story_108281.jsp#.V9ovkU197Dc

    extract
    "I am saying this here today. I give you one month. Think a little. In a month's time, I will give you 1,000 acres of land. In Goaltore, we have such land in the land bank. Would you do it? It is our land, the government's, not snatched away forcibly from the people," said Mamata.
  • amit | 213.220.94.9 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৪৫51759
  • একেই বলে কনফিডেন্স। দিদি দেখিয়ে দিলো গোটা দুনিয়া কে। কোথায় লাগে রজনীকান্ত? হয় আমার রাস্তা, নাহলে ন্যাশনাল হাইওয়ে (আবার বন্ধ হবে)।
  • de | 24.139.119.172 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৯51760
  • সিঙ্গুর পুরোটাই রয়ে গেলো শুধু দেখানোরই খেলা হয়ে - কখনো এরা, কখনো ওরা - শুধুই ইগোর লড়াই!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন