এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • হোপ ও পনির গপ্প

    Prativa Sarker লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ জুলাই ২০১৯ | ২০২৪ বার পঠিত
  • চুয়াত্তর বার তাকে গুলি করা হয়েছিল। পেলেটের আঘাতে চোখদুটোও গেল শেষমেশ। বর্শার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হলো,রেহাই পায়নি তার বুক আঁকড়ে থাকা বাচ্চাটাও। কিন্তু কোথায়ই বা যেতে পারতো সে ! বনের পর বন উজাড় হয়ে গেছে,এক ফোঁটা খাবার নেই কোথাও। অন্যের ক্ষেত থেকে খাবার চুরি করবার অপরাধে এক রাতে তার কোলের বাচ্চাটাকে কেড়ে নেওয়া হয়। অন্ধেরও তো চোখের জল বাড়ন্ত হয়না। তাই খুব কাঁদলো সে,বোবা কান্না। কেউ শুনলো না,শুনলেও খুশি হতো,এতো কষ্টের ফসল তো আর অনাহুতদের জন্য নয়। বাচ্চাটাকে বিক্রি করবার জন্য একটা খুব ছোট বাস্কেটে ফেলে রাখা হলো এক বাড়ির বারান্দায়। সে ভালো করে হাত পা নাড়াতেও পারছিলো না,দু তিনদিন পর মায়ের দুধের অভাবে মরো মরো হয়ে গেলেও কেউ তার দিকে ফিরে তাকালো না।সম্ভাব্য খদ্দেররা নেড়েচেড়ে ঠোঁট উলটে ফিরে গেল।

    গাছ কেটে ফেলা,জলের স্বার্থপর অপচয়,অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মাকে চিকিৎসা না করিয়ে অবহেলায় ফেলে রাখা, শারীরিক মানসিক অক্ষমতার কারণে তাদের প্রহার করা, পশুপাখির প্রতি অকারণ নিষ্ঠুরতা--এই সবের মধ্যে আমার কোথায় একটা ভীষণ মিল চোখে পড়ে। যেন এইগুলির কার্যকারণ সম্পর্ক এক। একই মানসিকতা সবগুলি করতে প্ররোচনা দেয় যেন। সে মানসিকতা হতে পারে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীবদ্ধ,রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক,বিশ্বজোড়া বা ঘরকুনো। শুধু ব্যক্তিগত লাভ ও লোভ সেখানে প্রধান চালিকাশক্তি। সেই লোভের কারণেই অপরিমেয় নিষ্ঠুরতা।কর্পোরেট বিপুল মুনাফার জন্য উজাড় করে দিচ্ছে গোটা পৃথিবী-জোড়া অরণ্য,জলের উৎস। ব্যক্তি মানুষ আর্থিকভাবে সক্ষম হলেও হয়তো নার্সিং হোমের ঝামেলা থেকে বাঁচতে বা কখনো শুধুমাত্র একখানি ঘর ফাঁকা পাওয়া যাবে বলে ত্বরাণ্বিত করতে চাইছে বুড়ো মায়ের মৃত্যু।
    গোড়ায় সব একই। তাই মানসিকতার বদল খুব জরুরি। দরদী মানুষ ছাড়া কেইই বা এই লোভ আর লুন্ঠনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।

    ব্যক্তিগত শোক, মৃত্যু, নিষ্ঠুরতার কাঁটায় সদ্য রক্তাক্ত হলাম, এখনো মন বৃষ্টিপাতে সদ্যভেজা ঝাউপাতার মতো হয়ে আছে, প্রত্যেকটি পত্রশীর্ষে টলমল করছে অশ্রুবিন্দু।
    জানি এটা সঠিক সময় নয় কোনো মূল্যায়নের,বা কাউকে বিচার করবার। তবুও মনে হচ্ছে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণার্হ অপগুণ নিষ্ঠুরতা,আর সবচেয়ে আদরণীয় হলো কম্প্যাশন,আমার মতে যার সবচাইতে কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ দরদ। যার মনে দরদ আছে সে যশোর রোডের গাছ কাটার প্রতিবাদ করতেই পারে,চেন্নাইয়ের জল সঙ্কটে তার মাথাব্যথা হবে,কুকুরের লেজে পটকা বাঁধা বা পিটিয়ে মারা তার চিন্তার অতীত। এই গ্রহের পরিবেশ প্রতিবেশকে তছনছ করে দিয়ে শুধুমাত্র কামাবার ধান্দায় অহরহ ঘটে যাচ্ছে মানুষ ও পশুর প্রতি যে কর্পোরেটিয় নিষ্ঠুরতা তার বিরুদ্ধেও লড়তে হবে তাকে। এই নিষ্ঠুরতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে আছে এদেশে ও বিদেশে। হোপের গল্প তারই একটুকরো।

    একদম শুরুতে যার কথা বললাম তারই নাম হোপ। ওরাংওটাং বলে তাচ্ছিল্যের কোনো জায়গা নেই। এদের ডিএনএ গঠনের ৯৭% এর সঙ্গে মানুষের মিল রয়েছে। বাকী যে ৩% এর গরমিল তাতে যে কোন মানুষ মায়ের মতোই কেড়ে নেওয়া বাচ্চার জন্য হোপের বুকের দুধ চুইয়ে পড়া বন্ধ হয়নি।
    একেবারে বিলীন হবার কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে এই সুমাত্রার ওরাংওটাং প্রজাতি, বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন এদের আয়ু আর মাত্র ২৫ বছর। বিবর্তনের নানা ধাপ পেরিয়ে এসে মানুষের এই নিকটতম আত্মীয়ের কী করুণ পরিণতি ! কিন্তু ওই যে, মানুষের লোভ । দুদিন পর নিজের এই পরিণতিই হতে চলেছে জেনেও কী দুর্নিবার চূড়ান্ত চলা ধ্বংসের দিকে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াতে পাম তেলের জন্য আদি অরণ্য আগুন দিয়ে সাফ করে লাগানো হচ্ছে সারি সারি পাম গাছ। কোথায় যাবে জঙ্গলের আদি বাসিন্দা ওরাংওটাং,হাতী,বাঘ ? ওরাংওটাং শব্দটার মানেই হলো অরণ্যবাসী। আবাস, খাদ্য সব হারিয়ে সেই অরণ্যজাতরাই দলে দলে হোপের মতো অসহায় হয়ে পড়ছে। অতিকায় এবং চূড়ান্ত বুদ্ধিমান এই বানরজাতীয় প্রাণী হানা দিচ্ছে পামক্ষেতের আশেপাশের গ্রামে। আর তাদের তাড়াবার জন্য মানুষ অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিচ্ছে।
    ঐ দুটো দেশে উৎপন্ন পাম তেল গোটা বিশ্বের ৮০% চাহিদা মেটায়।বায়োফুয়েল থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল, প্রসাধনী,চকোলেটে এর নানান ব্যবহার। সেই ঠেলায় একা সুমাত্রা দ্বীপেই ১৯৮৫ থেকে পাম চাষ প্রসারণের কারণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মোট বনাঞ্চলের অর্ধেকের বেশি । আগুন লাগিয়ে সাফ করবার কারণে কার্বণ এমিশন বেড়ে গেছে ভয়াবহ ভাবে। এক লক্ষ ওরাংওটাংয়ের মধ্যে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছে মাত্র চোদ্দ হাজার।

    বাচ্চাটার কি হলো ? হোপের কোল থেকে কেড়ে নেওয়া বাচ্চাটার ?
    একটা বাচ্চার জন্মের পর ওরাং ওটাং মা তাকে বড় করবার পেছনে লেগে থাকে প্রায় সাত আট বছর। তারপর নতুন বাচ্চার জন্ম দেয় সে। ওরাংওটাং বাচ্চা তাই আকছার মেলে না।গোল গোল চোখে একটা লাজুক বাঁদর টাইপের বাচ্চা , সে খুব মজার জিনিস বটে। প্রাইভেট মালিকানা ছাড়াও বিভিন্ন জু তে এরা চড়া দামে বিক্রি হয়। বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে ওষুধবিষুধ তৈরি হয়।
    হোপ আর তার বাচ্চার পুনর্মিলন হয়েছিল, কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য। অর্ধমৃত হোপকে উদ্ধার করে সিডেটিভ দিয়ে দশ ঘন্টাব্যাপী যাত্রায় যখন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন অর্ধচৈতন্যেও তার দুই হাতের বন্ধনে তার বুকের ওপরেই ছিল উদ্ধার করা বাচ্চাটিও। কিন্তু রাস্তাতেই সে মারা যায়। একাই আছে হোপ এখন। সুস্থ,তবে চির অন্ধ।

    বাচ্চাটা বেঁচে থাকলে কী কী হতে পারতো ? সে সম্ভাবনা অসীম। আর এইখানেই উঠে আসে পনির গল্প। সেও শিশু অবস্থায় মায়ের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। মাত্র ছ বছর বয়সে। পরে যখন তাকে দেখা যায় পাম প্ল্যান্টেশনের কাছে এক গ্রামে তখন তাকে দিয়ে শ্রমিকদের যৌনক্ষুধা মেটানো হচ্ছে। সেই কাজের জন্য তাকে এমন ট্রেণিং দিয়েছে বাড়িউলি যে কোন পুরুষ ধারেকাছে এলেই সে জাইরেট করতে থাকে। একদিন অন্তর তার সারা শরীর কামিয়ে দেওয়া হয়। শেকলে বেঁধে রাখা হয় একটি হাত। কান ফুটো করে বাহারি দুল আর ঠোঁটে লিপস্টিক। কামিয়ে দেবার কারণে পনির সারা শরীরে মশার কামড় ও অন্যান্য দগদগে ক্ষত।তবু শয্যাসঙ্গিনী
    পনির চাহিদা প্রবল। খবর পেয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাকে উদ্ধার করতে এলে গোটা গ্রাম ছুরি বন্দুক নিয়ে তেড়ে আসে। পনি নাকি গোটা গ্রামের শুভ চিনহ। তাকে নিয়ে গেলে গ্রামের সর্বনাশ হবে। শেষমেষ অনেক পুলিশ এনে তবে পনিউদ্ধার করা হয়। এতোবার ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে যে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পুরুষসেবকদের সে প্রথম প্রথম খদ্দের ভাবতো,পরে ভয় পেতো।

    বলছিলাম না মানুষের সবচাইতে বড় অপগুণ লোভ আর নিষ্ঠুরতা। কারণ নিজের স্বপক্ষে সে নানা গল্প গড়ে নিতে পারে,যুক্তিজাল ছড়াতে পারে।
    সত্যিই তো,পনি বা হোপের জন্য চকোলেট খাওয়া বা লিপস্টিক লাগানো বন্ধ করে দিতে হবে নাকি ! বস্তিবাসী আজ জল পাচ্ছে না বলে আজ থেকেই জল ব্যবহারে কড়াকড়ি করার তো কোনো মানেই হয় না।
    সত্যিই কি আমাদের কিছু করার আছে ? খুব সচেতন হলে আমরা পাম অয়েল ফ্রি প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারি। অনেক সময় শুধু ভেজ অয়েল লেখা থাকে। যদি দেখা যায় সেরকম প্রোডাক্টে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কনটেন্ট ৫০% এর কাছে তাহলে বুঝতে হবে ওটা পাম অয়েল। অনেক সময় পাম অয়েলের বদলে sodium laureth বা lauryl sulphate লেখা থাকতে পারে। এগুলো বর্জন করা দরকার। পিটিশন সাইন করা বা এর বিরুদ্ধে লেখালিখি করা যেতেই পারে।
    তবে এসবের আগে দরকার নিজেদের মনে দুফোঁটা দরদের চাষ করা আর সেই ফসল সন্তানের গোলাঘরে গচ্ছিত রাখা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ জুলাই ২০১৯ | ২০২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 890112.162.9001223.117 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৯ ০৮:৪১50617
  • 'তবুও মনে হচ্ছে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণার্হ অপগুণ নিষ্ঠুরতা,আর সবচেয়ে আদরণীয় হলো কম্প্যাশন,আমার মতে যার সবচাইতে কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ দরদ। '
    - এই কথাগুলো ই আমারও মনে হয়।
    আর একটা জিনিস ভাবি - এই যে কমিউনিজম ব্যর্থ হচ্ছে, দক্ষিণপন্থার রমরমা বাড়ছে সারা পৃথিবী জুড়ে, মানুষ বোধ হয় কমিউনিজমের জন্য এখনও তৈরী নয়।
    'From each according to his ability, to each according to his needs' - এ ভাবে ভাবার জন্য আরও মানুষের আরও অনেক নিঃস্বার্থ হওয়া দরকার
  • Du | 237812.69.0178.232 (*) | ০৭ জুলাই ২০১৯ ০১:০৫50619
  • মরে যাবার গল্প না থাকলে ভগবানকেও ছিঁড়ে খাবে।
  • তন্বী হালদার | 236712.158.566712.99 (*) | ০৭ জুলাই ২০১৯ ১০:০১50618
  • লেখাটি পড়ে কেমন হচ্ছে সমস্ত শরীর এবং মনে। মানুষের মতো অসভ্য প্রাণী জীব জগতে আর একটি ও নেই
  • বিপ্লব রহমান | 890112.162.561223.51 (*) | ০৮ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৬50620
  • শিউড়ে উঠি বার বার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন