এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এ কলকাতার মধ্যে (টীকাসহ)

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ | ১৯১৫ বার পঠিত
  • [কুড়ি বছর আগে লেখা এক বছর-পঁচিশ বয়সী যুবকের পুরোন ডায়রি আমার হাতে এসেছে।
    এডিট না করেই তুলে দিলাম - কুড়ি বছরে কলকাতার বাহ্যিক রূপ কতটা পাল্টেছে সেটা
    দেখার জন্যে। এর আর কোন মূল্য নেই।]

    ... এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা।
    হেঁটে দেখতে শিখুন ...

    - শঙ্খ ঘোষ

    আমি হাঁটতে থাকি। যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া, গড়েহাটা হয়ে বাঁদিকে গোঁত্তা খাই।
    গুরুসদয় দত্ত রোড হয়ে সার্কুলার থুড়ি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে পড়ি। বিরাট "হোয়েনএভার
    ইউ সি কালার, থিংক অফ আস" সাইনবোর্ডের ঠিক নীচটায় একটা উমনোঝুমনো পাগলকে
    লাল-কালো পাটকেল-কয়লা দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটতে দেখি। নন্দনের পাশ দিয়ে রবীন্দ্রসদনের
    গা ঘেঁষে ডানে যাই। ময়দান। "পায়ে পায়ে কত পথ পেরিয়ে এলে ...।"

    একটা আড়াইতলা বাস ঘক্ ঘক্ করতে করতে বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়ামের সামনে দিয়ে বেঁকছে।
    আমি লাফিয়ে সরে যাই। একটা মারুতি।
    সাফারি-সুটের-পকেট-থেকে-পান-পরাগের-পাউচ-বেরিয়ে-থাকার মুখে বিরক্তি। "সরি" বলে
    আবার লাফিয়ে ফুটপাতে উঠে আইটিসির নামাঙ্কিত রেলিং স্পর্শ করি। [১]

    ঠিক তক্ষুনি কে যেন আমার নাম ধরে ডেকে ওঠে। আমি আকাশের দিকে চাই। "কে তুমি আমারে
    ডাক"? থিয়েটার রোডের মোড়ে স্পষ্টতই বিসিএল-থেকে-বেরোচ্ছি মুখে একটি মেয়ে একরাশ বই
    হাতে রাস্তা পেরোয়। একজন ট্র্যাফিক পুলিশ দূরে ছায়ায় দাঁড়িয়ে খৈনি ডলছে। একসঙ্গে
    অনেকগুলো বিবাদী-বাগ-গামী মিনিবাস আর প্রাইভেট বাস যে-যেখানে-খুশি দাঁড়িয়ে যাত্রী
    ডাকে। চশমাপরা তিরিশ-বত্তিরিশের অফিসফেরত বাসস্ট্যান্ডে এসে একটা পা-কে টেবিলে করে,
    তার ওপর রেখে পাতলা ব্রিফকেস খুলে সিগারেটের প্যাকেট বের করে বুকপকেটে রাখে। একটি
    উনিশ-কুড়ির ছেলে হাতে ফুটবল বুট ঝুলিয়ে এসপ্ল্যানেডের দিকে এগোয়। আমি অলস দৃষ্টিতে
    এসব দেখতে দেখতে আবার সেই ডাকটার প্রতীক্ষা করি। আকাশ এখন বারুদরঙা। পশ্চিমের আকাশ
    ক্রমশঃ খুন-খারাবি লালের দিকে এগোচ্ছে।

    আমি আবার হাঁটি। "হাজার বছর ধরে ... "। লিন্ডসের সামনে কাঁধের কাছে ছোঁয়া পাই। ঘাড়
    ঘুরিয়ে দেখি, নতুন নিউ মার্কেটের নিজাম রেস্তোঁরার "নো বিফ" সাইনটা মুখ বের করে
    হাসছে। এবার ডানে। যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে মিউজিয়ামের সামনের জনতা দেখি। ঘাড় সোজা করে
    গ্লোব সিনেমার দিকে এগিয়ে যাই। বাদশা আবার খুলেছে। গ্লোব পেরোই। বাঁদিকের ফুটপাতে
    আসি। হগ সাহেবের বাজারে ঢুকতে গিয়ে থমকে যাই। "এখনই অন্ধ বন্ধ কোরোনা পাখা।" [২]

    কামান। বাঁদিকের গলি। লাইট হাউসের সামনে। এরপর? "তুমি এক দূরতর দ্বীপ।" লাইট
    হাউসের গাড়ি-বারান্দার তলা দিয়ে লেবু-জল, এগরোলের বাচনিক আহ্বান উপেক্ষা করে অলস
    পায়ে এগোই। দূরে দেখি - ময়দান মার্কেট, এসপ্ল্যানেড গুমটি ছাড়িয়ে - পশ্চিমাকাশ
    ম্যাজেন্টা-বেগুণি হচ্ছে। নিউ এম্পায়ারের গাড়ি-বারান্দা। থমকে দাঁড়িয়ে "নেক্সট
    চেঞ্জ"-এর ছবি দেখি। পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেশলাইয়ের তলায় জড়োসড়ো হয়ে থাকা খুচরোগুলোকে
    স্পর্শ করি, ওজন যন্ত্রটা দেখে হেসে পাশ কাটিয়ে যাই। কারেন্ট বুকিং স্টল পেরিয়ে এক
    ধাপ নিচে নেবে বাঁদিকে তাকিয়ে খাঁচার ভিড় দেখি। [৩]

    চা খাওয়া কি প্রয়োজনীয়? এখনই? হাঁটতে হাঁটতেই উত্তর খুঁজি। গ্র্যান্ডের সামনে
    ফুটপাতে রকমারি জিনিসের পশরা। এগোই। ফুটপাতে মেলে ধরা বইয়ের জগতে থামি। তারপর বাটার
    জুতো। অলস চোখে দাম দেখতে দেখতে আবার সেই খুচরো স্পর্শ করি। কেউ যেন আমার নাম ধরে
    ডেকে উঠবে। এখনই।

    রিটজের গায়ে নতুন রঙ চড়ছে। "প্রলেপ মাখা মুখের শোভা ...।" সোজা। ভিক্টোরিয়া হাউজের
    দিকে। ক্যাপিটাল, র‍্যালিজ, গুপ্তাজ না শর্মাজ - সব পেরিয়ে যাই ঘোরে। ডানদিকে
    সুরেন ব্যানার্জি রোড। হস্তসঞ্চালনে স্তব্ধ গতি। একটা বিচ্ছিরি রঙের মারুতি,
    ভীষণ-রোগা ড্রাইয়্ভারের পাশে নির্লিপ্ত-মুখ হাতে-রিডার্স-ডাইজেস্টকে নিয়ে বাঁয়ে
    বেঁকতে গিয়ে ধমক খেয়ে চুপ। এসবই দেখি অত্যন্ত নির্বিকার চোখে। শুধু দুই ভুরুতে ঢেউ
    খেলে যায়, ঠোঁটের কোণদুটো একটু ভেতরে ঢুকে যায়। ঘামেভেজা খুচরোগুলো ... [৪]

    ধর্মতলা স্ট্রিট ধরে ওয়্লিংটনের দিকে। ক্যাসেটের দোকান পেরোই, বার পেরোই, চাঁদনি
    পেরোই, হকারদের গুলতানি দেখি প্রাকসন্ধ্যায়। রাস্তায় নাবি। ঘটাং-ঘট শব্দে একটা
    ট্রাম প্রায় ঘাড়ের কাছে। মুচকি হেসে আবার ফুটপাতে। "যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দমন্থরে
    ..."। আলো জ্বলে গেছে দোকানে দোকানে দোকানে। চিরাচরিত হলদেটে আলোর বাল্ব,
    ফ্যাটফ্যাটে সাদা আলোর বাল্ব, শোভন মৃদু দামী আলো, লম্বা দপদপে সাদা আলোর টিউব, আর
    উৎসহীন লালাভার আকাশ -

    আমি হাঁটছি। ওয়েলিংটন স্কোয়ারের দিকে। দাঁড়িয়ে গেছে যানযন্ত্র। "বেদম ট্র্যাফিক
    জ্যাম ..."। ম্যাডান স্ট্রিটের ক্রসিং পেরোই। রাস্তার পাশে পুরোন রেকর্ডের দোকানে
    "চলো দিলদার চলো ..."। মোড়ের কাছাকাছি বাঁদিকে চ্যাপেলের গায়ে সাদার ওপর নীল কালি,
    "যীশু বলিলেন, তোমরা আমার নিকট আইস ..."।

    ****

    ... আমি জানি দুঃখ পায়, কেঁদে হয় কলকাতা আকুল
    মনের ভিতরে। তুমি একবার কান পেতে শোনো ...
    ... রোজই যাকে কাঁদতে হয়, সে কি আর দুঃখ পেতে জানে ?

    - শক্তি চট্টোপাধ্যায়

    আমার কলকাতা এমনই। এমনই সরল, এমনই দ্বন্দ্বে ভরা। আমার কলকাতায় গ্রীষ্ম আসে -
    পিচগলা গ্রীষ্ম। বর্ষা আসে - জলজমা, শহর-অচল-করা বর্ষা। আমার কলকাতায় শরৎ আসে -
    নীল-আকাশে-সাদা-মেঘের-ভেলা-ভাসানো শরৎ, ঢাকের-বোল-তোলা শরৎ। শীত আসে -
    আসব-কি-আসব-না করেও শীত আসে। বসন্ত আসে - গরমের হল্কা নিয়ে, ঘাস-উঠে-যাওয়া
    দেশবন্ধু পার্কের একটা গাছে মধ্যদুপুরের সঙ্গীহীন কোকিলের ডাক নিয়ে বসন্ত আসে।
    আমার কলকাতায় ক্রিকেট আসে, বইমেলা আসে, নাট্যোৎসব আসে।

    কলকাতায় জমি দখলের দাঙ্গা হয়। কলকাতায় বিদেশিনীকে ধর্ষণ করে জওয়ানরা। কলকাতায়
    লোকের মুখে অ্যাসিড বাল্ব ছুঁড়ে অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতিরোধ করা হয়। কলকাতায়
    কারখানা বন্ধ হয়, হাত-বদল হয়, আবার খোলে - মাঝখান থেকে কিছু লোক মরে যায়।

    কলকাতায় সুমনের গান হয়, গোপন-স্ট্রিপটিজ নাচ হয়, ভীমসেন যোশী ভৈরবী ধরেন
    ব্রাহ্মমুহূর্ত্যে, রাত সাড়ে-দশটার পর মধ্য-কলকাতা দখল নেয় বেশ্যা-মাতাল-টাউটরা,
    ফুটপাতে জন্ম-মৃত্যু-রমন হয়। কলকাতা স্বোচ্চার হয় কিউবার দুঃখে, তিব্বত নিয়ে কারও
    কোন মাথাব্যথা নেই; ভিয়েতনাম যুদ্ধের নিন্দে হয়, আফগানিস্তানের কোন দুঃখ থাকে না। [৫]

    কলকাতায় দুরন্ত কবিতা লিখে চলেন জয়, তসলিমা নাসরিনের লড়াকু জার্নাল প্রকাশিত হয়, বিকাশ
    ভট্টাচার্য রঙে-রেখায়-জমিতে সৃষ্টি করেন পুরোন দৃশ্যের, নতুন বোধের। কলকাতার
    ফুটপাতে বিক্রম শেঠের নতুন বইয়ের পাশেই বিকোয় হলুদ-মলাট, হাইজেনবার্গের
    ফিজিক্স-ফিলোসফির পাশে থাকে বিকৃতকাম উপন্যাস। কার্জন পার্কে বাদল সরকার দেখে
    ফেরার পথে চোখে পড়ে ক্যাবারে-সংকুল ঘোষিত-নাটক। [৬]

    আজকাল আর পথে রথ চলে না। কলকাতায় চলেনি কোনদিন। তবু সে দেখেছে ফিটনে জোড়া অয়েলারের
    দাপাদাপি, শুনেছে এবং শুনছে গরুর গাড়ির ক্যাঁচকোঁচ, রিক্সাগাড়িতে জোতা মানুষগুলোর
    গভীর নাদ-গভীর নিশ্বাস।

    এসবই বলা কথা বহুবার। কথায় কিছু হয়না। তবু শব্দই ব্রহ্ম, শব্দই নির্বাণ।

    সুতানুটি গোবিন্দপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া-বাঁধা দিন তো কবেই শেষ হয়ে গেছে। রাক্ষুসী
    কলকাতার উদ্গীরণে সেসব দুঃখ এখন দূষণ হয়ে ভাসে। আর আমরা, কলকাতা মানুষজন, আশায়
    ভাসি, আশায় বাঁচি, আশায় ...

    ১৯ শে মার্চ, ১৯৯৩

    টীকাঃ

    ১। ঢাকুরিয়া বা সার্কুলার রোডের ফ্লাইওভার তখনও কল্পনাতেও আসেনি। হয়নি চৌরঙ্গী ফ্লাইওভার বা
    মোহরকুঞ্জও।
    ২। নিউ মার্কেট, মানে হগ সাহেবের মার্কেট আশির দশকের শেষে আগুন লেগে পুড়ে যায় অনেকখানি। কারকো
    নামের বিখ্যাত রেস্টর‍্যান্ট পুড়ে যায় সেই সঙ্গেই। একটা অংশ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। সেই অংশের দোকানপাট
    সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করা হয় চৌরঙ্গীর ওয়াই-এম-সি-এ বিল্ডিং-এর সামনে। সেখানে একটা নিজাম খুলেছিল,
    যারা গরুর মাংস বেচতো না।
    [৩] লাইটহাউজ তখনও জামাকাপড়ের দোকান হয়ে যায়নি, সিনেমা হল ছিল। নিউ এম্পায়ারের সামনে তখনও থামওলা
    গাড়িবারান্দা। উল্টোদিকের মলও হয়নি, দোকানের সারি ছিল সেখানে।
    [৪] আজ যেখানে পিয়ার্লেস ইন তথা আহেলী রেস্তোঁরা, সেখানে রিটজ নামের হোটেল ছিল যা সত্তর দশকের শেষে বন্ধ হয়ে
    যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে নব্বইয়ের শুরুতে পিয়ারলেস সেটি নিয়ে পিয়ারলেস ইন বানায়। সেই সময়ে পিয়ারলেস
    ইন বাননোর তোড়জোড় চলছিল।
    [৫] আফগানিস্তান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ান দখল নিয়েছিল। অ্যামেরিকা পাকিস্তানের সাহায্যে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছিল। অবশ্য
    ততদিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা সমাজবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা সারা পৃথিবীতেই তখন ভেঙে পড়ছে।
    [৬] সারকারিনা প্রভৃতি শ্যামবাজারী নাটকের হলে চলে এমন নাটক যার বিজ্ঞাপনে মূল ঘোষণা থাকে, মঞ্চে মিস অমুকের
    ক্যাবারে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ | ১৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১৯47000
  • ও রঞ্জনদা ১৯৬৬-৬৭-৬৮তে পয়সা চিনতাম না তো! :-)
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৮47001
  • আর পরিবার কল্যান নিগমের বিজ্ঞাপন?
    "তিনটির বেশি কখনই নয়"।
    বাবা, মা, ভাই, বোন, মায়ের কোলে একটি শিশু। এইছিলো ছোটো পরিবার সুখী পরিবারের ছবি।
    প্রতিবছর বসন্তের টীকা, কলেরার টীকা।
    কলকাতায় তৈরী হচ্ছিলো "স্টুডেন্ট্‌স্‌ হেল্‌থ্‌ হোম" এর বহুতল বাড়ী। মৌলালীর মোড়ে। সেখানে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসতেন বাবার বন্ধু বীরুকাকু। বাবা রক্ত দিতে পারত না (টিবি হয়েছিলো আগে, তাই)। সব মনে পড়ে যায়।
    স্টুডেন্ট্‌স্‌ হেল্‌থ্‌ হোমের জন্যে ভাঁড়ে পয়সা জমিয়ে ছোটোরা অর্থ সাহায্য করত।

    শুরু হয়ে গেছল স্বল্প সঞ্চয় পরিকল্পনা।
    ১৪টা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক। তাতে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ছড়ায় তৈরী বিজ্ঞাপন।
    লক্ষ্মীর ভান্ডার স্থাপি সব ঘরে ঘরে-
    রাখিবে তন্ডুল তাহে এক মুষ্ঠি করে।
    সঞ্চয়ের পন্থা ইহা, জানিবে সকলে
    অসময়ে উপকার পাবে এর ফলে।।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩০47003
  • এন্ড সিক্স্‌টিজ্‌ আর্লি সেভেন্টিজ্‌
  • সিকি | 131.243.33.212 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩০47002
  • তিনটে বাচ্চা????

    কোন সালে?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩২47004
  • শুধু তাই ই নয়, দুটো বাচ্চার মধ্যে ৩ থেকে ৫ বছরের গ্যাপ দিতে বলত।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩৩47005
  • এই সময়েই অ্যাবর্শান লিগ্যালাইজ্‌ড্‌ হয়ে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন