এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তাই আমি শেফালির, কিছুতেই বকুলের নয় (পর্ব - ১০খ)

    Sukanta Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৬২০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • অশোক যেমন বাপের চাকুরী পেয়েছিল তেমনই তার বউ করত তার মৃত স্বামীর থেকে পাওয়া চাকুরীটা। সরকারী চাকুরী করা ছেলের ভালো পাত্রী পাওয়াটাই চল ছিল তখন – তাই অশোক এক মেয়ে সমেত বিধবাকে বিয়ে করল কেন সেটা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল গ্রামের জটলাগুলিতে, শিতের খামাড়ে বা রোদ পোয়ানো ছাদে। যাদের ব্রেন সুদূরপ্রসারী – যারা অন্ধের মাঝে কানা ছিল তারা ভাবে বার করল অশোকের এহেন আচরণের মূলে হল তার নিজের বাড়িতে তরুণ ঘটিত কমপ্লেক্সিটি।

    কিন্তু উহারা অচিরেই ভুল প্রমানিত হল – বেগারস্‌ ক্যান নট বি চুজারস্‌ আপ্তবাক্য ভুল প্রমানিত হল। অশোকের বউ আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিল তার বাড়িতে তরুণের অবস্থান নিয়ে। ভাগ্না রিপোর্টার আমাদের হাতে থাকায় এই সব ঘটনা এবং তার বিবরনী রিপোর্ট আমরা প্রায় ডিফারড্‌ লাইভ জানতে পারতাম। এমত অবস্থায় নিমো ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে এক সঙ্কট তৈরী হল যার মূল জিজ্ঞাস্য এই কেসের বিচার করবে কে! আগে যেমন বলেছি অবৈধ সম্পর্কেই কেসগুলি তরুণ নিজের সভাপতিত্ত্বেই বিচার করত। এখন অভিযোগ খোদ বিচারকর্তার বিরুদ্ধেই হবার জন্য পঞ্চায়েত পুরো কনফিউজড হয়ে গেল। দিনের পর দিন গেল – অশোক ও তার বউ প্রথমে চিৎকার, পরে মারামারি করা শুরু করলেও কোন মীমাংসায় আসা গেল না – কোন বিচার সভায় আয়োজন করা গেল না। যে বউ ঘোমটা মাথায় গ্রামে ঢুকেছিল, সকালে ৭টা ২২ এর লোকালে ঘোমটা দিয়ে চাকুরী করতে যেত তার ট্রান্সফরমেশন শুরু হল। সারারাত মারপিট করে অশোক ও তার বউ সকালে অফিস যাচ্ছে, কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলছে না – এমন এক অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরী হল। দিন গেল এর মিমাংসা হল না – অশোক বিয়ে বাঁচাবার জন্য গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিল। কিন্তু আগেই বলেছি নিমো গ্রামের মায়া কাটানো বড় শক্ত ব্যাপার। তাই অশোকেরা আবার ফিরে এসে গ্রামের বাইরের দিকে একটা আলাদা বাড়ি করল।

    গ্রামের বাইরের দিকে বাড়ি করে এ গল্পের পরিসমাপ্তি বা হ্যাপিলি এভার আফটার এমন তো নয়ই – বরং কাহিনীতে নতুন এক টুইষ্ট এল। এই সব ঘর-গৃহস্থালী যখন এখান-ওখান ট্রান্সফার হচ্ছিল ওদিকে তখন দামোদর দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছিল। বেশ কয়েকটা বছর পার হয়েছে – আমাদের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট অশোকের অন্য ভাগনা কাতলা বাপন ততক্ষণে ডাগর হয়েছে। এতক্ষণ যেটা বলা হয় নি, মহাদেব ঘোষের অপর মেয়ে গ্রামেতেই ভালোবাসা করে জেলেদের বুলাকে বিয়ে করে। বুলার মাছের আড়ত ছিল – সেই সূত্র ধরেই বুলার ছেলে বাপনের নাম হয়েছিল কাতলা বাপন। এই কাতলা কিভাবে যেন তার মামি অর্থাৎ অশোকের বউয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে – দফা ৩০২ জাতীয় সম্পর্ক।
    গ্রামের বাইরে থাকাকালীন ফোন মারফত পিন্টু আমাকে সেই খবর দিলে আমি যথারীতি বেশ অবাক হয়েছিলাম। অগুনতি জটিল অবৈধ সম্পর্কে অভ্যস্ত সেই আমরাও ঝটকাটা আসছে বুঝতে পারি নি। আমাদের ক্রিকেট টিমে কাতলা বেশ কয়েক বছর ফাষ্ট বোলিঙও করেছিল – চেহারা পেটানো।

    “বন্দরের মাঝখানে ঘনবদ্ধ কাঠামো বেষ্টিত
    দুর্দান্ত জাহাজে আছে কোন এক – তোমার চেহারা
    ওই জাহাজের মতো হয়ে গেছে। বহুদিন পরে
    আ – পরিপ্রেক্ষিত প্রেম কেঁপে ওঠো, হও রোমাঞ্চিত।
    বহুদিন পরে বলে, মনে হয় তুমিই জাহাজ
    বন্দরে, জাহাজঘাটে প্রেত হয়ে বিচরণ করো!”

    পিন্টুর ব্যাখ্যা অনুযায়ী গ্রামের ধারে ফাঁকা জায়গায় বাড়ি হয়ে ব্যাপারটা আরো স্মুথ এগিয়ে গিয়েছিল। আড্ডা থেকে প্রায়শঃই কাতলা নাকি মামির হাতের চা খেতে যাচ্ছিল – পরে বোঝা গিয়েছিল কাতলা চা ছাড়াও অনেক কিছু পান ও খাওয়া শুরু করে। স্বামী-সংসারে বিতশ্রদ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলা নাকি ডেসপারেট হয়ে পড়েছিল। কাতলার জাহাজ তার মামির বন্দরে ভিড়ে পরে। মামির কাছে ব্যাপারটা বহুদিন পরেরও বটে – রাতে অশোকের সাথে ঝগড়ায় বহুকাল কেটেছে। তবে কাতলার কোন হিষ্ট্রি ছিল না এই ব্যাপারে, তাই মামির কাছে বহুদিন পরের হলেও, কাতলের কাছে সবই প্রথম। সেই নিজে যে জাহাজ ভেড়াতে পারবে বন্দরে সেই কনফিডেন্স আমাদের কারোও ছিল না – তাই সেই জাহাজকে দূর্দান্ত করতে, দূর্দান্ত করে ভেড়াতে অভিজ্ঞ মামির অবদান অনেকটা থাকাই স্বাবাভিক। দুজনার রোমাঞ্চ দু ধরণের – একজনার প্রথম স্বাদ, আরেক জনার অনেক দিন অবহালার পর কেঁপে ওঠা। আমাদের সন্ধ্যার আড্ডা থেকে কাতলার উঠে যাওয়া আর প্রেতের মত নিঃশব্দে মামির বাড়ি থেকে রাতে অদৃশ্য হওয়া।
    কিন্তু আমাদের প্রবলেম হচ্ছিল যে এতোদনে যৌবনের সেই যে ডাগর বাছুর শুদ্ধু গাই আমাদের গ্রামে ঢুকেছিল, সেই গাইয়ের যৌবন শেষ – চামড়া ঝুলে প্রায় বাজের দিকেই দেখতে হয়ে গিয়েছিল। তাই আর আমাদের আদিরসাত্মক গল্প জমত না – এবং শেষ এই কমেন্ট দিয়েই শেষ হত প্রসঙ্গ – ছ্যাঃ ছ্যাঃ, শেষে কাতলা বুড়ি মাগীতে কি পেল!

    এই সবের মধ্যেও, এমনকি নিমো ভারত সেবক সমাজের হারামি জনতা আমরাও আমাদের ডিগনিটি বজায় রেখেছিলাম সেই বাছুর সম্পর্কে – অর্থাৎ অশোকের সৎ মেয়ে সম্পর্কে। এই জনতা ক্যারাম নিয়ে ব্যস্ত ক্লাবের ঘরে – প্রসঙ্গত উঠে আসে নারী – খেলার ফাঁকেই ঘটে যায় দুঃখ বিনিময়। কে গিয়েছিল স্টেশনে আর সাথে দেখা করতে – মালঞ্চ পার্কে দেখা হয়ে গেছে কার পূর্ব প্রেমিকের সাথে – বিনিময় হয়েছে কার ফোন নাম্বার কোন বিয়ে বাড়ির আঁধারে –

    “তোমার পাগল তুমি বেঁধে রাখো, একদল যাবে
    নারীদের সাথে করে অগোছালো গোধূলি বেলায়
    ক্যারাম খেলার ছলে মারাত্মক দুঃখ বিনিময়
    ঘটে গেল – চিরদিন কে আর ক্যারাম খেলে বলো?”

    নিমো ভারত সেবক সমাজে কিছু জনতা চিরকালই ক্যারাম খেলে চলে – যেমন নটা। ওদিকে মেয়েটি প্রায় বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালার মত অশোকের ঘরে শোভা পেতে থাকে। আমরা কোলেপিঠে করেছি সেই ছেলেবেলায়। এখন বড় হয়ে সুন্দরী হয়েছে। সৌভাগ্যবশতঃ তাকে ঠিক সময়ে বোর্ডিং-য়ে দেওয়া হয়েছিল। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও নিমো গ্রামকে মেয়েটি ভালোবেসে ফেলে – এখনও গ্রামের অনুষ্ঠানগুলিতে সে আসে – দেখা হয় – কারো ভালো থাকা দেখলে এখনও মন ভালো হয়ে ওঠে।

    আমাদের বাল্যকাল প্রায় রাজনৈতিক উপদ্রবহীনই কেটেছে। তৃণমূল আসার আগে আমার পরিবারের সবাই আদি ও অকৃত্রিম কংগ্রেসীই ছিল – আমার ছোটদাদু শেষ বয়সে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বীকৃতি হিসাবে সরকারের কাছ থেকে একখানি পদক ও একটি মানপত্র লাভ করেছিল। সেই মানপত্র এখনও আমাদের দূর্গাদালানে ঝোলে। ছোটদাদুর পদক নিয়ে তত মাথাব্যাথা ছিল না, যতটা ছিল আমার মেজো জ্যাঠার – এমনিতে মেজোজ্যাঠা বেশ ডাকাবুকো লোক – সুপুরুষ হবার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই চোখ চলে যেত। তার থেকেও বড় কথা, আগে যেমন বলেছি – গ্রামে যাত্রায় যেবার অজিতজ্যাঠা যুবরাজের রোল থেকে বয়স্ক সাইড রোলে সিফট করল, সেই বার থেকেই আমার মেজোজ্যাঠার ভাষায় “অজিতদার হাত থেকে গোলাপফুলের ভারটা আমিই তো নিলাম”। আমরা ভেবে নিয়েছি অজিত জ্যেঠু মনে মনে বলেছে বা যুবরাজ হিসাবে বলেছে কোন এক সময়

    “ছেড়ে দিলেই পারি
    এই যে বাগান, ফুলের বাগান – বকনো সরা হাঁড়ি
    ছেড়ে দিলেই পারি।
    সিংদরজা, পদ্মপুকুর, ভাঙা হৃদয়, বাড়ি
    ছেড়ে দিলেই পারি।
    ছাড়া তো খুব সহজ,
    এবং ছাড়া তো খুব সহজ”।

    মেজো জ্যাঠার গল্প অন্য সময় – এখন যেটা বলার হল যে সেই দেওয়ালে ঝোলানো প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী এই ব্যাপারটা আশেপাশের গ্রামে সবাই জানলেও, মেজোজ্যাঠার কল্যাণে সেটা তাদের একেবারে মর্মে প্রবেশ করলে, বা বলতে গেলে মেজোজ্যাঠা বাধ্য করল।

    তবে সক্রিয় কংগ্রেসী ও ওই সময়ের এলাকার নামকরা নেতা ছিল আমার বড়জ্যাঠা। আমাদের নিমো গ্রামে অসংখ্য চাকুরীজীবী যারা কংগ্রেস আমলে চাকুরী পেয়েছিল তার বেশীর ভাগটাই বড়া জ্যাঠার কল্যাণে হয়েছিল এটা একটা এসট্যাব্লিসড ফ্যাক্ট। অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই তারা আর সেটা স্বীকার করে না – কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। তেমনই এক ব্যতিক্রমী মানুষ ছিল জেলদের কার্ত্তিকদা। দুম করে মারা যাবার আগে পর্যন্ত জ্যাঠাকে খুবই মান্যি করত। কিন্তু জ্যাঠার প্রধান ফল্ট ছিল এই যে নিজের কিছু ভাইকে চাকুরীতে না ঢোকানো। সে তখন রমরমা যুগ, রক্ত তখন গরম, প্রতাপ তখন প্রবল – আমার ভাইরা করবে চাকুরী! ছ্যাঃ, ভাইরা করবে ব্যবসা। এই ভাবে ছোটভাই গুলো মেমারীতে নানাবিধ দোকান দিল – স্টেশনারী, কাপড়, ঔষধ ইত্যাদি। এখন সে রামও নেই, আর অযোধ্যাও নেই। জানি না ধুঁকতে থাকা ব্যবসার ভার সামলানো ছোটকাকারা বড় জ্যাঠার প্রতি মনে মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছে কিনা – তবে সামনা সামনি কিছু বলার সাহস এখনও অর্জন করতে পারে নি।

    বড় জ্যাঠা প্রদত্ত চাকুরীর দুটি অদ্ভূত উদাহরণ হল ন্যাড়া কাকা ও মহাদেব পাইন। ন্যাড়া কাকা বাবার থেকে বছর দুয়েকের বড় হলেও তালেগোলে এক ব্যাচের হয়ে গিয়েছিল। ন্যাড়াকাকার প্রকৃত জব্‌ টাইটেল কি সেটা সে নিজেও জানে না! জামালপুর ব্লকের ডিপ-টুউবওয়েলের মেকানিক্যাল সুপারভাইজার না কি যেন! মাসে দুই বা তিন দিন অফিস যায় – বাকি সময়টা পরোপকারে বিজি থাকে। বাবা চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছে তিন বছর হল – আগুপিছু অবসর নিল বাবাদের ব্যাচের রেজাককা, কালামকা, মঙ্গলকা, সেজকাকা – কিন্তু ন্যাড়াকাকার নাকি এখনও বছর দশেক চকুরী আছে! এর রহস্য জানতে চাইলে বাবা ব্যাখ্যা করে যে, ন্যাড়াকাকা এক চান্সে বা একাধিক চান্সেও কোন স্কুল থেকে পাশ করতে পারত না – ক্লাস সিক্স থেকে এই ভাবে স্কুল বদলানো শুরু – মেমারী, রসুলপুর, বাগিলা, দেবীপুর ঘুরে শশীনাড়ায় নাকি কাকার মোক্ষ লাভ হয় – অর্থাৎ মাধ্যমিক ফেল সার্টিফিকেট হস্তগত করে। আর প্রতিটি স্কুল সিফটের সময় ন্যাড়াকাকার বয়স নাকি বছর দুয়েক করে কমানো হত। সেই হিসাবে দেখতে গেলে গিনেস বুক যদি খোঁজ করে তাহলে সবচেয়ে কমবয়েসে ম্যাট্রিক বসার রেকর্ডটা ন্যাড়াকাকা পাবে বলেই আমাদের ধারণা। আমি দেখি ন্যড়াকাকা আজও অফিস যায় নি – পরোপকার করার সুযোগ খুঁজছে

    “মানুষের বৃদ্ধি তাকে বৃদ্ধ করে রাখে।
    ও সময় অলস সময় –
    বাগানে বসেই বয়ে যায়”।

    অথচ ন্যাড়াকাকা বৃদ্ধ হতে চায় নি!

    [এখানে ব্যবহৃত কবিতা পঙতিগুলি আমার এক প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় -এর লেখা বিভিন্ন কবিতা থেকে নেওয়া। কবিতাগুলির নাম যথাক্রমে –
    চর্তুদশপদী কবিতাবলী – ৪৯, চর্তুদশপদী কবিতাবলী – ৪৩, সহজ, দায়]

    ।।। ক্রমশঃ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৬২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন