মধুর ফাঁদ অম্লান সরকার উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের এক সুপ্রাচীন গ্রাম মালানা। কুল্লু উপত্যকার উত্তর পূর্বে পার্বতী উপত্যকা। তার ঠিক পাশেই বাকি পৃথিবীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অবস্থিত এই মালানা উপত্যকা। এই উপত্যকার প্রাচীন অধিবাসীরা নিজস্ব এক সুপ্রাচীন ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে থাকে। একসময় ১৯৬১ সালের সেনশাসের হিসাবে এই প্রাচীন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৬৩ তে নেমে গেছিলো। পরে সেটা বেড়ে ১৭০০ মত হয়েছে। মালানা গ্রামের একেবারে নিজস্ব কিছু চরিত্র আছে। এদের জীবন যাত্রা প্রণালী, রীতিনীতি, সামাজিক গঠন খুব সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত। এই গ্রামের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থাকে পৃথিবীর সব থেকে সুপ্রাচীন গণতন্ত্রের দর্জা দেওয়া হয়েছে। এই উপত্যকার অধিবাসীরা বিশ্বাস করে যে তারা মহান সম্রাট ... ...
ডাক্তার বাবুর চেম্বারের বাইরে সিমেন্টের পিলারে পিঠ ঠ্যাকনা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাসুম। এতক্ষণ বসেই ছিল। কিন্তু ডাক্তারের অপেক্ষায় যদি হাতে প্লাস্টার নিয়ে কোনো মহিলা দাঁড়িয়ে থাকে সামনে, পায়ের উপর পা তুলে মেটাল চেয়ারে বসে থাকাটা মাসুমের পক্ষে অস্বস্তিকর লাগে। তাই পেসেন্ট পার্টিকে ইশারায় বসতে বলে একটু পায়চারি করে নেয় মাসুম। বাইরে গিয়ে একটু সিগারেট ফুঁকে এলে ভালো লাগত। কিন্তু কখন ডাক পড়ে চেম্বারে। ফ্যানের হাওয়ায় ফরফর করে উড়তে থাকা ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ যায় মাসুমের। আজ এক্স রে রিপোর্ট দেখে ডেট দেবে ডাক্তারবাবু। আসমা বায়না ধরেছিল নিজে আসার। ডাক্তার কী বলে, নিজের মুখে শুনতে চেয়েছিল ... ...
মাটির টান ————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— আবার আসিব ফিরে, আসিব বারংবার - যেখানেই যাই, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে, যে কোনো ঠিকানায় — যতই সুখের স্মৃতি জমা হয়ে থাক, যতই প্রেম বিনিময় হোক তোমায়
জেনোসাইড, সিলেট। ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে শহরে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙ্গালী সৈণিকরা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। ২৫ মার্চে আগরতলা মামলার আসামী, পাকিস্তান আর্মি থেকে বহিস্কৃত ক্যাপ্টেম মুত্তালিব প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছিলেন সিলেট শহরে। হবিগঞ্জের দিক থেকে ব্রিগেডিয়ার সিআর দত্তের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর আরেকটি দল ও এগিয়ে আসে সিলেটকে শত্রু মুক্ত করতে। কিন্তু ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিমান আক্রমন শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ হন। পাকিস্তান আর্মি সিলেট শহরের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আরো ভয়ংকর তান্ডব শুরু করে। তারা ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাঙ্গালী পুলিশদের হত্যা করে। ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আক্রমন করে কর্তব্যরত অবস্থায় সার্জারী ... ...
বিশটা বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল-রাত্রি এখন সময় ধার করে আরও গভীর হয়েছে;একটা সরীসৃপ নিজের ধর্ম পালন করবেই । যতই শীতল, মৌনী ও নিরাসক্ত দেখাক না কেন -অভ্যন্তরএ এক খুনী ধ্যানমগ্ন;একটা উইপোকাও নেই ধারে কাছে বাল্মীকি মুচকি হেসে ফিরে গেছে। নিষ্প্রদীপ এই নিকষ অন্ধকারে শুধু হিস্ হিস্ শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ!যেতে আসতে ভক্তবৃন্দ ধূপ-ধুনো জ্বালায় ,মালা নয়, ডলারে ফলার দিয়ে যায়। বণিক, আমলা, ধার্মিক তো বটেই-গবেষক ও শিক্ষাবিদও আসে দর্শনার্থী হয়ে। তারপর কোনো একদিন যাগ-যজ্ঞের পরমন্ত্রপুতঃ মুদ্রা নীরবে উড়ে যায় সাত সমুদ্রের পাড়ে; আর ফেরে না। যত কালো ছিল সব কড়ায়-গন্ডায় ফিরে আসে-আর যাদের কৌপীন ছিল, তারা রক্ত বিক্রি করে। রাত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়!কেউ কেউ হাওয়ায় গন্ধ পায় -প্রাগৈতিহাসিক ক্ষতে'র ... ...
সুকান্তর কথকতাঅম্লান সরকারসেদিন কোন একটা উপলক্ষে সংবাদপত্র অফিসের ছুটি। পরের দিন সকালে কাগজ ছাপা হয়ে বেরোবে না। তাই সারারাত কাজ করে সেদিনকার সকালের কাগজ ছেপে বের করার দায়িত্ব সামলে সকালের দিকে একটু ঘুমিয়ে ধানবাদ থেকে কোলফিল্ড এক্সপ্রেস ধরে সুকান্ত এসে পৌঁছালো আসানসোল শহরে। সুকান্তর পুরনো কর্মভূমি এই আসানসোলে থাকে এককালীন সহকর্মী ও বন্ধু মানস সেনগুপ্ত। স্থানীয় একটি সংবাদপত্র অফিসের বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্ণধারের কাজ ছাড়াও মানসের নিজস্ব একটি ছাপাখানাও ... ...
ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খণ্ডনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক স্ট্র্যাটেজি নয়। সব সংঘী অভিযোগের পেছনে দৌড়ে লাভ কি? অনেক ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডার উদেশ্যই হল বিভাজন সৃষ্টি তাই অযথা শক্তিক্ষয় করে লাভ কি? ঔরঙ্গজেব এক অর্থে হলেন মোঘল রাষ্ট্রীয় মতাদর্শের ধারাবাহিকতা যার ভিত্তি ছিল নাসিরুদ্দিন তুসির এ্যারিস্টটলের নেকমেকিয়ান এথিক্স প্রভাবিত স্বর্গীয় আশীর্বাদপুষ্ট রাজকীয় সার্বভৌমত্বের ধারণা। রাজা ন্যায়বিধান করবেন আর ন্যায়ভঙ্গকারীদের ... ...
ওয়েস্ট-বেঙ্গল মেমোরান্ডামটা কী, কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন। সংক্ষেপে লিখে দেওয়া যাক, কারণ বিগত চল্লিশ বছরের ঘটনাবলী নিয়ে কোনো বই-টই এখনও লেখা হয়নি। ইতিহাসবিদরা একটু লেটে চলেন। জরুরি অবস্থার পর, ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট। সেই সরকারের অন্যতম অ্যাজেন্ডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পুনরুদ্ধার। এবং রাজ্যের হাতে আরও বেশি ক্ষমতার দাবী। এই নিয়ে একটা দাবীপত্র প্রকাশ করা হয়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় জনতা সরকারের কাছে পাঠানোও হয়। সেই মূল চিঠিটা এখন পাওয়া শক্ত। তবে তার মূল দাবীদাওয়া গুলো ছিল মোটামুটি এরকমঃ১। সংবিধানের ইউনিয়ন শব্দটা বদলে যুক্তরাষ্ট্র করতে হবে।২। প্রতিরক্ষা, বিদেশ, মুদ্রা, যোগাযোগ ছাড়া কেন্দ্রের হাতে আর কিছু থাকবেনা। সবই রাজ্যের হাতে দিতে হবে।৩। রাজ্যে ... ...
আজকাল শরীর দেয় না সঙ্গত। শুক্রবার সকালে বের হয়েছি। ফিরেছি রাত সাড়ে এগারোটায়। কলেজ, তারপর মণিপুর ভবন অভিযান, এরপর মেটিয়াবুরুজের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের দুটো বস্ত্র প্রদর্শনী ঘুরে রাত সাড়ে এগারোটায় ফিরে দেখি পাড়ার মুখে এক বৃদ্ধা বসে। নামলাম। সঙ্গে চাউমিন ছিল দিলাম। টাকাও। জলের ব্যবস্থা করা হল। এরপর নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে ভাত ডাল তরকারি পাঠালাম। সঙ্গে কলা বিস্কুট জলের বোতল। একটা পরার শাড়ি এবং বিছিয়ে শোয়ার জন্য ফ্লেক্স। তাঁর কথা বুঝতে পারছিলাম না। দেহাতি হিন্দি। কেউ ছেড়ে চলে গেছে। বারবার লেড়কা লেড়কা বলছিলেন।এরপর মনে হল, বৃষ্টি আসছে। কোথায় থাকবেন? চিকিৎসাও দরকার। কদিন না খাওয়া, কী অবস্থা শরীরের কে জানে!পুলিশে ফোন করে হাসপাতালে ... ...
এটাই কি অনুভূতি ——————- সুপ্রিয়া চৌধুরী —————-মনের এলোমেলো ভাবনা গুলো যখন উড়ে এসে বসে কবিতার পাতায়-দুঃখ-বেদনা-ভালবাসা-প্রেম সব মিলেমিশেএক হয়ে যায় সৃষ্টির অপূর্ব বারতায়।প্রসারিত পাখায় সে ধরতে চায় অনন্ত আকাশ ।অসীম আকাশের সহস্র কিরণে,-আলোর বিচ্ছুরণে নিজেকে সাজিয়ে নিয়ে,কত শত মন কে রাঙিয়ে তোলে আপন মহিমায়। ঝর্ণার মতো সে রেখে যায় পদচিহ্নমানুষের মনের গভীরে তার সাবলীল বহমান ধারায় !শব্দ বর্ণালীর সেই মোহময় মায়াজালে মানুষ হয় স্বপ্নাবিষ্ট !! বিভোর !!শুধু রেশ টুকু রয়ে যায়,-বহুকাল ! কখনো বা হয়ে যায় স্মৃতি ! — এটাই কি অনুভূতি ??———————————-
প্রণয় পাশার পরবর্তী পর্ব:অভিশপ্ত জীবনঅম্লান সরকারমোহরের গ্রেফতার পরবর্তী ঘটনাবলী সাত্যকি বা ওর বাবা মার জন্য খুব একটা সুখকর হয় নি। সাত্যকি কে পুলিশি জেরায় জেরবার হতে হয়েছে বারবার। মোহরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও বিবাহ পর্যন্ত ঘটনাবলী বারবার তাকে বলতে হয়েছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন রকম পুলিশি প্রশ্নের উত্তরে। তার বাবা মাও রেহাই পায়নি। তাদেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকম পুলিশি জেরার। তবে এক সময় সব মিটে গেছে। মোহরের দীর্ঘ কারাবাসের শাস্তি হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অনেক রকম পুলিশি অত্যাচার। তাতে গুপ্তচর সংস্থাটির আরো কিছু চুনোপুটি ধরা পড়েছে। কিন্তু রাঘব বোয়ালরা রয়ে গেছে অধরাই। এদিকে পুলিশের হয়রানি শেষ হয়ে যাওয়ার ... ...
(শেষ পর্ব) কলতান হেসে হরিপ্রসাদকে বলল, ' আসুন আপনারা .... আমরা পেছনের ঘরে বসে একটু কথাবার্তা বলি .... 'আগরওয়ালজি একগাল হেসে বললেন, ' হ্যাঁ চলুন স্যার ... 'স্বামী স্ত্রী দুজনে কলতানের পিছন পিছন একটা ঘরে গিয়ে ঢুকল। অনেক পুরণো বাড়ি, ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো ঘর ।----- ' বসুন বসুন হরিজি। বসুন ম্যাডাম ... আপনাদের মতো ওয়েল ম্যাচড পেয়ার আমি বেশি দেখিনি। খুব ভাল লাগে আপনাদের ... ...
কুলচাকে নিয়ে কলতান বাড়ি ফিরল রাত দশটা নাগাদ । থানা থেকে বেরোবার সময় গৌতমবাবুকে জিজ্ঞেস করল , ' নিউআলিপুর থানার এনকাউন্টারে কোন ইনজিওরি হয়েছে কিনা জানেন কি ? '----- ' না না ... কোন ইনজিওরি নেই। আমি রিপোর্ট নিয়েছি .... ওটা হলে তো আবার হসপিটালের চক্কর আছে ... ওঃ... '----- ' ঠিক আছে , আমি বেরোচ্ছি । আমার ডিউটিশেষ। এবার আপনারা প্রসিড করুন .... '----- ' কি যে বলেন ... আপনার ডিউটি কখনও শেষ হয় ? যাক কোর্ট কেসটা তো চালু হোক ... '----- ' সেটাই তো বলছি .... বেল আটকানোর জন্য যা করতে হয় করবেন ... অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্যারের ... ...
২৪ জুলাই হুড়মুড় করিয়া রাজ্য ও দেশের সর্বোচচ আদালতে ঝাঁপাইয়া পড়িল কপিল মুনি ও অন্যান্যরা। দাবী ২৬শে জুলাই অবশ্যই শুনানি করিতে হইবে অ.ব্যা এর বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে, উনি ২৭শে জুলাই বিদেশ যাইবেন। কোনো আদালতই রাজী হইলো না। দেশের সর্বোচচ আদালত ২৮শে জুলাই শুনানির তারিখ রাখিল। আর রাজ্যের সর্বোচচ আদালতের বিচারপতি এই মামলা শুনিতেই রাজী হইলেন না। তিনি মামলা ফেরত পাঠাইলেন, প্রধান বিচারপতির আদালতে। সেইখানে সোমবার, ৩১শে জুলাই শুনানি ... ...
ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে ফারুখ শিয়র পর্যন্ত ওনার আয়ুষ্কাল। উর্দু ব্যঙ্গ কবিতার জনক বলা হয় মির জাফর জাটেল্লিকে (শাটেল্লি ?)। আসল নাম মির মুহম্মদ জাফর। ললিত ফার্সি জবানে কাঁচা মুখের ভাষার সব শব্দ বসিয়ে - নতুন মিশ্র-রাখতা ভাষা তৈরিতে, যৌন ইঙ্গিতে সব শালীন ছক উল্টে দিয়ে সময়ের অনেক আগের এক আলোর বর্তিকা হলেন জাটেল্লি। ওই শৈলীকে বলত হুজ্জু বা সমাজদেহের নানা হিপোক্রেসি আর ক্ষমতার চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া নেওয়া শুধু নয় সেই খালবোশ শরীরে রীতিমত ঝাল নুন ছিটোন ল্যাম্পুনিং করার শৈলী। ওনার ব্যক্তিগত জীবন ... ...
আজ রোববার। তাই ভেঙ্কিদা যথারীতি দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে। সকালের চা আর লেড়ো বিস্কুট খেয়ে বাজারের থলি হাতে বেরিয়ে পড়েছে। প্রথমেই শঙ্করের পান গুমটিতে গিয়ে হানা।- এক প্যাকেট সিগারেট দে।দোকানে কেউ ছিল না বলে শঙ্কর কথা না বাড়িয়ে প্যাকেটটি ধরিয়ে দিয়ে বলল,- এটা নিয়ে তেরো প্যাকেট হল। লিখে রাখব? নাকি কিছু দেবে?- এখন কোথা থেকে দেব! মাস পয়লায় পেয়ে যাবি রে, লিখে রাখ। - ঠিক আছে তাহলে কুড়ি টাকা লিখে রাখলুম।কুড়ি টাকা শুনে ভেঙ্কিদা হঠাৎ চমকে উঠল। ব্যাপার কি পঞ্চাশ টাকার সিগারেটের প্যাকেট কুড়ি টাকা লিখে রাখছে ... ...
কলতান বলল, ' এনাফ ইজ এনাফ ... মিস্টার রক্ষিত... এবার ওর কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে নিন ... আশা করি আমাদের কাজ হয়ে গেছে । ওটা সাইবার সেলে পাঠানোর দরকার । আমার ধারণা ওতে এদের কিংপিনের ট্রেস পাবেন .... ' গৌতমবাবু তার পিস্তল লোড করতে করতে বললেন , ' সুনীতা, অপর্ণা ... ওর মোবাইল সিজ কর এক্ষুণি । আর...বডি ফ্রিস্ক করে দেখ কিছু পাও কিনা । কাউন্টার চার্জ করলে কাস্টডি হাজতে লক করে দাও .... হারি আপ .... আমি বাইরে যাচ্ছি ... 'সুনীতা আর অপর্ণা ছুটে গেল জ্যাকলিনের দিকে ।জ্যাকলিন কোন বাধা দিলেন না । মোবাইলটা দিয়ে দিল ওদের । সুনীতা ... ...
প্রণয় পাশাঅম্লান সরকারকাঁচড়াপাড়া রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কাঁচড়াপাড়া রেল স্টেশন থেকে হরিণঘাটা রোড ধরে আট কিলোমিটার মত রাস্তা অতিক্রম করার পর পাওয়া যাবে রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাস স্টপ। এই বাস স্টপের অনতিদূরেই রয়েছে নদী ভিত্তিক এই গবেষণা কেন্দ্রটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ মন্ত্রকের অধীন এই গবেষণা কেন্দ্রটি হাইড্রোলিকস, মাটি বলবিজ্ঞান (Soil mechanics), জলবিদ্যা এবং পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা করে থাকে। এই গবেষণা কেন্দ্রটিতেই ... ...
কলতান বলল, ' আসুন আসুন ... আমি আপনাদের জন্যই ওয়েট করছি ... 'গৌতম রক্ষিত অবাক হয়ে এর ওর মুখের দিকে তাকাতে লাগলেন । কুলচারও একই অবস্থা ।----- ' আপনি জানতেন আমরা আসব ? ' সুগত সেন বললেন ।----- ' হ্যাঁ .... সেটা তো না জানার কিছু নেই। আমি আপনাদের কোড ল্যাঙ্গুয়েজ না বুঝতে পারি কিন্তু মনের ভাষা তো কিছুটা পড়তে পারি । স্বীকার করতে দ্বিধা নেই আপনাদের মতো ইন্টারেস্টিং লোকেদের ফোনের কথাবার্তা আড়ি পেতে শোনার আমার খুব শখ । সব কথা যে ঠিক ঠিক ধরতে পারি তা নয় , তবে ধরার চেষ্টা করি । সুগতবাবু কিছু মনে করবেন না ... ... ...