এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ২২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুলাই ২০২৩ | ২৬০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • একটু পরে হরিপ্রসাদ আগরওয়ালের ফোন এল।
    কলতান বলল, ' হ্যাঁ বলুন ... মিস্টার আগরওয়াল... এনি প্রবলেম ? '
    ----- ' না আর কিছু হয়নি এখনও। তবে সব সময়ে ডর লাগে। কখন আবার ফোন আসে ...
    ----- ' ঠিক আছে। আমি নজর রাখছি ... আপনি চিন্তা করবেন না। কোন কল এলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন ... '
    ----- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই.... আপনার ভরোসাতেই তো আছি স্যার। আপনার পেমেন্টের কিছুটা দিতে পারলে শান্তি পেতাম ... '
    ----- ' ওটার জন্য চিন্তা করবেন না। আমি ঠিক সময়ে বলব ...'
    ------ ' আর একটা কথা স্যার .... আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। সাধনা আমাকে ইয়াদ করিয়ে দিল। উনকি ইয়াদ্দাজ বহুত তাগড়া আছে .... '
    কলতান শূন্য স্থান পূর্ণ করল,  ' ... দেমাক খুব ভাল চলে সাধনাজির  ... '
    ----- ' হাঃ হাঃ হাঃ .... বিলকুল ঠিক বললেন স্যার .... আপনি খুব বোঝেন স্যার ... '
    ----- ' না না ... এ তো আপনারই কথা ... যাক, আপনি কি একটা ইয়াদ করিয়ে দেবার কথা বলছিলেন  ... '
    ------ ' ও হ্যাঁ হ্যাঁ ... বলছি যে ...সাধনা বলছিল, আপনি বলেছিলেন যে এই শনিবারে আপনি আমাদের ডাকবেন ... আরও অনেককে ডাকবেন .... আমরা কি তাহলে .... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি .... ভেরি সরি ... আপনাকে ইনফর্ম করা হয়নি ... এই শনিবার হচ্ছে না ... ডেটটা একটু পিছোতে হচ্ছে। এই  কিছুদিন আর কি ... ডাকব আপনাদের কিছুদিনের মধ্যেই। চিন্তা করবেন না ... '
    ------ ' ঠিক আছে স্যার ... জানাবেন ... '
    ----- ' শিওর শিওর ... সাধনাজিকে আমার শুভকামনা দেবেন ... '
    ----- ' বিলকুল বিলকুল ... ', হরিপ্রসাদ আহ্লাদে আটখানা হন ।
    কুলচা কানপুর আইআইটি থেকে কাল ফিরেছে। দু সপ্তাহ থাকবে কলকাতায়। এয়ারপোর্টে নেমেই কলতানকে ফোন করল। কানপুরে খুব ব্যস্ত থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই কলতানকে ফোন করত। রাত প্রায় নটা এখন।
    ------ ' তানমামা ..... একটু আগে ল্যান্ড করেছি ।  প্রিপেড ট্যাক্সির লাইনে দাঁড়িয়ে আছি । কাল সকালে যাব । দিদাকে বলে দিও ... '
    ----- ' শোন কাল সকাল আটটা নাগাদ একটু আসতে হবে । বেরোতে হবে ... একটা ইন্টারেস্টিং অপারেশন আছে .... তুই  চলে গিয়ে আমার কি অসুবিধে যে হয়েছে .... '
    ----- ' যাক , তবু ভাল আমাকে মনে রেখেছ । ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো ... '
    ----- ' তুই ভাঙা কুলো !  তোকে দিয়ে শুধু ছাই ফেলাই  ?  এটা কি বললি .... '
    ----- ' তানমামা.... প্লিজ ডোন্ট টেক ইট সিরিয়াসলি... ইটস জাস্ট আউট অফ ফান .... হাঃ হাঃ
    ... এনিওয়ে কাল তা'লে দেখা হচ্ছে .... '
    ------ ' অফ কোর্স .... লেটস গেট রেডি ফর মিশন প্রমা ... সাবধানে ফিরিস ... '
    ----- 'হ্যাঁ , গাড়ি পেয়ে গেছি । গাড়িতে উঠছি .... ছাড়লাম ... ' 

         প্রমা-র ব্লক সেভেনের পাঁচতলায় ডি ফোর-এর সামনে গিয়ে দাঁড়াল কলতান আর কুলচা । কলতান কুলচাকে নিয়ে এসেছে সঙ্গে একজন মহিলা সঙ্গী রাখার উদ্দেশ্যে , যাতে একজন একাকী  মহিলার সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারটা  অন্যদিকে মোড় নেবার সুযোগ না পায় ।   
    বালীগঞ্জ থানায় বলা আছে বিল্ডিং-এর সামনে
    লোক রাখতে । ডাকলেই যেন পাওয়া যায় । একজন  মহিলা কনস্টেবল থাকলে ভাল হয় । 

         ডোরবেল বাজতেই মিসেস সিনহা দরজা খুলে দিলেন ।
    কুলচা দেখল, বেশ ফর্সা , পাতলা গড়নের , মাঝারি উচ্চতার একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন।  চোখেমুখে আভিজাত্যের ছাপ । চোখে কেমন একটা বিষণ্ণ ছাপ । সেটা অবশ্য বিষণ্ণতার কারণে নাও হতে পারে । অনেকের চোখের গড়ন এই ধরণের হয় । বয়স আন্দাজ করা যেতে পারে বিয়াল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশের মধ্যে ।
    দীপ্তি সিনহা কুলচার আপাদমস্তক একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন । কলতান বলল, ' আমাকে অ্যাসিস্ট করলেও এ আসলে আমার ভাগ্নী .... '
    মিসেস সিনহা নরম গলায় বললেন , ' ঠিক আছে ...ঠিক আছে ...  আসুন .... '
    কলতান আর কুলচা পাশাপাশি বসল একটা কাউচে । মিসেস সিনহা বসলেন তার উল্টোদিকের কাউচে ।
    তিনি মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগলেন । ভেবেই যেতে লাগলেন।  কলতান অপেক্ষা করে রইল । ঘরে সুন্দর ধূপের গন্ধ । বোধহয় পাশের ঘরে জ্বালানো হয়েছে । সেখান থেকে গন্ধ ভেসে আসছে । ঘরের পূর্বদিকের দুটো জানলা খোলা রয়েছে । সেখান দিয়ে দূরের হাইরাইজারগুলো দেখা যাচ্ছে । জানলা দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চলার হাল্কা আওয়াজ আসছে । পুব দিক দিয়ে আলো ঢুকছে হু হু করে । গুমোট গরম পড়েছে ।
    মিসেস সিনহার বোধহয় হঠাৎ সম্বিত ফিরল ।
    ----- ' ও সরি ... এক্সকিউজ মি ... আসলে আমার পাস্টটা মনে পড়ে যায় মাঝে মাঝেই । তখন আমি খুব অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড হয়ে পড়ি.... '
    কলতান কোন কথা না বলে সাগ্রহে দীপ্তি সিনহার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল । ভাবল, তিনি নিজে থেকে কি বার করেন দেখা যাক । তবে মিসেস সিনহা তার জীবনের অতীত বৃত্তান্তের দিকে মোটেই গেলেন না ।
    তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ একটা কথা বললেন ---- ' আপনার সঙ্গে কথা বলছি জানতে পারলে আমাকে ছাড়বে না ... যেভাবে জীবন সরকারকে ওরা সরিয়ে দিয়েছে ... '
    শুনে চমকে উঠল কলতান । 
    ----- ' আপনি জীবন সরকারকে চেনেন ? '
    ----- ' চিনব না কেন ? এখানে আসত তো ... প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে .... '
    কলতান এই মওকায় একটা তীর ছুঁড়ল----
    ----- ' কি কাজ করত জীবনকৃষ্ণ ? '
    প্রশ্নটা করেই বুঝতে পারল এত সতর্কতার কোন প্রয়োজন ছিল না , কারণ মিসেস সিনহা নিজেই বলতে লাগলেন , ' ... কাজ ছেড়ে দিতে চাচ্ছিল বলেই তো মারা হল । এই কাজে ঢুকলে আর ছাড়া যায় না । আমারও তো ঠিক একই অবস্থা ... '
    ----- ' মানে ? '
    ----- ' আমি তো অস্বীকার করছি না যে আমিও টিমে আছি, মানে থাকতে বাধ্য হয়েছি  ... পুলিশের লোক হলেও আপনাকে দেখে ডিপেন্ডেবল মনে হয়েছে আমার ...তাই আপনাকে বলছি ... এমনিতে পুলিশকে আমি একদম বিশ্বাস করি না । তাদের কাছে মনের কথা বলব কি করে ... ভালরকমের নেক্সাস আছে সব .... কখন  ফাঁসিয়ে দেবে তার ঠিক আছে .... এ পৃথিবীতে সকলেই তো বেঁচে থাকতে চায় .... তাই না ? ' বলে  উদাস বিষণ্ণ দৃষ্টি মেলে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলেন  ।
    কলতান একটু সময় নিল । তারপর বলল,
    ' আমার ওপর  আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা আমি করব না ম্যাডাম ... ইউ ক্যান রেস্ট অ্যাসিওরড অ্যাবাউট ইট । এই মোবাইল লোকেশান টেম্পোরারিলি ব্লক করা আছে । কেউ  ট্র্যাক করতে পারবে না কিছুক্ষণ । ম্যাডাম একটা কথা বলি....  আপনি যখন এতই বললেন, একটা কথা কথা শুধু বলুন , জীবন সরকারকে আপনাদের টিমের কে মারল ? আপনি নিজেই বা কাকে বা কাদের আপনার জন্য বিপজ্জনক মনে করছেন  ?
    একথা শুনে মিসেস সিনহা আবার মৌনতা অবলম্বন করলেন খানিকক্ষণের জন্য  ।
    কলতান তাড়াহুড়ো না করে গুঁড়ি মেরে বসে রইল।
    আগাগোড়া এই রহস্যময় চরিত্র এবং রোমাঞ্চক পরিস্থিতিটা কুলচা বেশ তারিয়ে উপভোগ করতে লাগল । মিসেস সিনহার এই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়াটা সত্যিই তার স্বভাবজ পুনরাবৃত্তি, নাকি
    কুশলী অভিনয় সেটা যথেষ্ট বিচার বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে । সেটা এখন থাক , পরে ভাবা যাবে,  কলতান চিন্তা করল । 
    ম্যাডাম আবার ফিরে এলেন অবশ্য  । 'চা টা'-র  আপ্যায়নের কোন লক্ষণ দেখা গেল । ম্যাডাম সিনহা আপন চিন্তায়  সর্বদা বিভোর থাকায় বোধহয় ওসব ঠিক খেয়াল নেই । হতেই পারে ।কলতান চরিত্রটা ধরবার চেষ্টা করতে লাগল ....
    সে যাই হোক , ম্যাডাম আবার ফিরে এলেন এ সংসারে ।
    ----- ' ওঃ ... সরি ... কি বলছিলেন যেন ...কাদের মিন করছি ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... ওই আর কি ... '
    মিসেস সিনহা বিনা দ্বিধায় বলে ফেললেন , ' ওই তো মিশ্র আর অশেষ পালিত ... রাঁচির কোন হোটেলে .... '
    ------ ' মিশ্র মানে সতীশ মিশ্র ? '
    ----- ' হ্যাঁ... ঠিক বলেছেন ... '
    ----- ' যদি কথাটা অন্যভাবে না নেন ... তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করতে হয় .... সিদ্ধার্থ সিনহা কি আপনার লিগ্যাল হাসব্যান্ড ? '
    মিসেস সিনহা এতটুকু বিড়ম্বিত হলেন না ।
    বললেন , ' .....লি..গ্যা..ল হাসব্যান্ড  ! হাসব্যান্ড তো লিগ্যাল-ই হয় .... '
    ----- ' না ম্যাডাম,  হাসব্যান্ড ফেক-ও হয় । '
    ----- ' মানে ... প্রক্সি ডামি ? হ্যাঁ তাও হয় । জানি না ঠিক .... '
    ----- ' কি জানেন না ? '
    ----- ' মানে , এই  লিগ্যাল ইল্যিগ্যালের ব্যাপারটা ...'

    কলতান ভাবল, এই মেরেছে ...  এ তো ভালোই খেলাচ্ছে । কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে হবে না ।
    সে এবার বলে , ' যাকগে ওসব কথা ... আপনি বললেন যে, জীবন সরকার মার্ডার কেসের কালপ্রিট সতীশ মিশ্র আর অশেষ পালিত । আপানার সোর্স বা বেসিস অফ কনভিকশানটা কি ? আর , দ্বিতীয় কথা আপনি নিজের ব্যাপারে কার থেকে আতঙ্কিত ? '
    মিসেস সিনহা দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর দিলেন ।
    ----- ' আমার আতঙ্ক অনেককে  । ক'জনের নাম বলব  ? ' বলে এবার একটা মূল্যবান কথা বললেন তিনি ,  ' আপনারা যদি কাজে নেমে থাকেন, লোকাল মাথাটা আগে ধরার চেষ্টা করুন । ওসব ন্যাশনাল , ইন্টারন্যাশনাল পরে করবেন ... বুঝতে পেরেছেন তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ আপনার কথা একশ ভাগ অ্যাডমিট করছি । কিন্তু আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেলাম না । '
    ----- ' কি ? '
    কলতান বলল, ' আপনি যদি টিম থেকে সরে যেতে চান কে আপনার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে ? '
    মিসেস দীপ্তি সিনহা  নির্দ্বিধায় বলে দিলেন ,
    ' সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ঘরের লোকই করতে পারে । এ আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে ? '
    ------ ' আপনি তাহলে কি ডিসিশান নিলেন ? '
    ------ ' আমি বুঝতে পারছি না কি করব ... আমি সত্যিই আর এদের সঙ্গে থাকতে চাই না । কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব ? কে আমাকে শেল্টার দেবে ? আপনারাই বা আমাকে কতদিন গার্ড দেবেন ? '
    ------ ' এ ক্ষেত্রে কার্যকরী উপায় হল ... আপনি যেটা বললেন , গ্যাংয়ের মাথাটাকে ধরা । তা হলে আপনার রিস্ক অনেক কমে যাবে । তা আপনি এ ব্যাপারে আমাদের কিভাবে সাহায্য  করতে
    পারেন ? '
    ----- ' সেটাই বলছি । দেখুন আমার কোথাও যাবার জায়গা নেই  । আর এখানে যতদিন সিদ্ধার্থ সিনহার সঙ্গে আছি ততদিন কিছুই করতে পারব না । সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে দু একটা টিপস দিতে পারি  .... '
    ------ ' কিরকম ? '
    ----- ' আপনারা সতীশ মিশ্র আর অশেষকে ধরুন । ওদের চাপ দিলে ক্লু পেয়ে যাবেন । '
    মিসেস সিনহা বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন ।
    অশেষ যে পুলিশ কাস্টডিতে আছে কলতান সেটা ভাঙল না ।
    সে বলল, ' ম্যাডাম আপনার মনে হয় না আপনার হাসব্যান্ডের কোনরকম ইনভলভমেন্ট আছে এই ক্রাইমে ? তিনি তো কনফেস করেছেন ... '
    ----- ' কনফেস করেছে ! ইমপসিবল।  দেখুন আমি অস্বীকার করছি না যে ও এই দলে আছে । জানুয়ারি মাসে রাঁচিও গিয়েছিল । কিন্তু তার মানে তো এটা নয় যে ও মার্ডার করেছে .... '
    এটা একটা ছেঁদো কথা বললেন বুদ্ধিমতি দীপ্তিদেবী । জাতে মাতাল তালে ঠিক । কিছুতেই ঝেড়ে কাশছেন না । দুটো ঠিক কথা বলে একটা বেলাইনের কথা বলছেন । বোধহয় চাইছেন গ্যাংটা ধরা পড়ুক , কিন্তু সিদ্ধার্থ সিনহার গায়ে কোন আঁচ না লাগে । তিনি খুব সম্ভবত রাস্তাটা যতদিন পারেন খোলা রাখতে চাইছেন , রাস্তা বন্ধ করতে চাইছেন না ।
    কলতান এবার অন্য রাস্তা ধরল ।
    সে বলল, ' এই ফ্ল্যাটটা কার নামে আছে ? '
    ------ ' সেটা আমি ঠিক জানি না । আগে বাঁশদ্রোণীতে থাকতাম । তিন বছর হল এই প্রমা এস্টেটে এসেছি । কবে কোথায় অফিসিয়াল প্রসেসিং হল আমি কোন খবর রাখি না ... '
    ----- ' হমম্ ... ভেরি স্ট্রেঞ্জ ! আচ্ছা , আপনাদের ছেলে মেয়েরা কোথায় ? '
    ------ ' হয়নি । ' তারপর অম্লানবদনে একটা মোটা দাগের অদ্ভুত কথা বললেন মিসেস সিনহা ---- ' তেমনভাবে মেলামেশাই হয়নি কোনদিন ...'
    কুলচা বেশ  অস্বস্তি বোধ করতে লাগল ।
    কলতানের মাথায় খেলতে লাগল , কিভাবে ভদ্রমহিলার মুখ দিয়ে একটা আলগা স্বীকারোক্তি
    আদায় করা যায় । সব কথা রেকর্ড হচ্ছে । সেটা হয়ত ম্যাডাম জানেন ।
    কলতান এবার সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ল,  ' সুগত সেন এ ফ্ল্যাটে কবার এসেছেন  ? '
    ----- ' অ্যাঁ .... কে ? সু.. গত... '
    ----- ' হ্যাঁ ... সুগত সেন । একটু ভেবে বলুন ম্যাডাম.... '
    কলতানের গলায় কড়া সুর ।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mousumi Banerjee | ২৮ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৬521825
  • বাবারে!  সাংঘাতিক লোক সব কজন! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন