এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রণয় পাশা  

    Amlan Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জুলাই ২০২৩ | ২০৭ বার পঠিত
  • প্রণয় পাশা
    অম্লান সরকার

    কাঁচড়াপাড়া রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কাঁচড়াপাড়া রেল স্টেশন থেকে হরিণঘাটা রোড ধরে আট কিলোমিটার মত রাস্তা অতিক্রম করার পর পাওয়া যাবে রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাস স্টপ। এই বাস স্টপের অনতিদূরেই রয়েছে নদী ভিত্তিক এই গবেষণা কেন্দ্রটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ মন্ত্রকের অধীন এই গবেষণা কেন্দ্রটি হাইড্রোলিকস, মাটি বলবিজ্ঞান (Soil mechanics), জলবিদ্যা এবং পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা করে থাকে। এই গবেষণা কেন্দ্রটিতেই কাজ করতেন বিজ্ঞানী তথা গবেষক বিমান লাহিড়ী। চাকরি সংক্রান্ত গবেষণার কাজ ছাড়াও ভদ্রলোকের প্রবল উৎসাহ ছিল বিজ্ঞানের আরো বিভিন্ন শাখায়। বিশ্বের খাদ্য সমস্যার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত বিচলিত বোধ করতেন এবং বিশ্বকে খাদ্যের ব্যাপারে স্বনির্ভর করার জন্য ওনার উৎসাহ ও আগ্রহ ছিল অপরিসীম।

    বিমানবাবু গাছেদের সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাবার তৈরি করার ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেন। উনি চিন্তা করতেন গাছেদের মত মানুষও যদি নিজের শরীরের মধ্যেই নিজেদের খাবার তৈরি করে নিতে পারে তবে বিশ্বের খাদ্য সংকট সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল হয়ে যাবে। উনি এই নিয়ে ওনার গবেষণার কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। গাছেরা শিকড়ের সাহায্যে খনিজ পদার্থ যুক্ত জল তাদের শরীরের মধ্যে দিয়ে বহন করে সেই জল তথা তাদের পাতায় অবস্থিত ক্লোরোফিল ও সূর্যের আলোর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেদের শরীরের মধ্যেই তৈরি করে নেয়। বিমানবাবুর চিন্তা ছিল মানুষ ঠিক এই একই ভাবে নিজেদের শরীরে খাদ্য কেন প্রস্তুত করতে পারবে না? মানুষের মাথার চুল তথা শরীরের বিভিন্ন জায়গার লোমের মধ্যে যদি ক্লোরোফিলের সৃষ্টি করা যায় তবে শুধু মাত্র জল পান করে গাছেরা যে ভাবে খাবার তৈরি করে ঠিক সেই একই ভাবে মানুষ ও তাদের নিজেদের খাবার তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে। এই ব্যাপারে বিমানবাবুর গবেষণার কাজ চিন্তা ভাবনার স্তর ছড়িয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল এবং তিনি প্রায় সাফল্যের মুখে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

    বিমানবাবুর একমাত্র পুত্র সন্তান সাত্যকি কলকাতার এক কারিগরী শিক্ষায়তনে নিজের শিক্ষা সম্পূর্ণ করে কলকাতারই এক নামী সংবাদপত্র অফিসে কাজ করছিলেন। বিমানবাবুর এই যুগান্তকারী আবিষ্কার বা গবেষণা সম্বন্ধে তার সেরকম কোন ধারণা ছিল না। সপ্তাহের ছ'দিন কলকাতায় মেস বাড়িতে থেকে সপ্তাহের শেষে উনি ফিরে যেতেন বাবার রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে। রবিবার দিনটা মায়ের হাতের রান্না খেয়ে সোমবার সকালে উনি আবার ফিরে আসতেন নিজের কর্মস্থলে। এভাবেই চলছিল।

    এরকম এক সন্ধ্যায় সাত্যকি যখন শিয়ালদা স্টেশন থেকে কাঁচড়াপাড়া যাওয়ার টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে তখন একটি বেশ সুন্দরী, আকর্ষনীয়া চেহারার এক তরুণী তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটু সাহায্য চাইলো। তরুণীর বক্তব্য ছিল যে উনি একা একা কলকাতা থেকে কাঁচড়াপাড়ায় নিজের মামা বাড়িতে যাবেন। সাত্যকি যদি টিকিট কেটে এবং ওখানে যাওয়ার ব্যাপারে তরুণীটিকে একটু সাহায্য করে দেন তাহলে খুবই উপকার হয়। সুন্দরী তরুণীর অনুরোধ রক্ষা না করার কোন প্রশ্নই ছিল না। সাত্যকি উৎসাহের সঙ্গে টিকিট কাটা থেকে আরম্ভ করে ট্রেনের কামরায় একসঙ্গে মুখোমুখি বসা, সব রকম সাহায্যই এক কথায় করে দিল।

    ট্রেনের কামরায় দুজনের মধ্যে বিশেষ কোন কথা হয় নি। তবে সাত্যকি লক্ষ্য করছিল যখনই সে মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছিল, তখনই দেখতে পাচ্ছিল মেয়েটি কেমন একটা অদ্ভুত মোহময়ী দৃষ্টিতে সাত্যকিকে দেখে যাচ্ছে। একটু অস্বস্তি বোধ করলেও সাত্যকি ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামালো না। গন্তব্য স্টেশন এসে গেলে মেয়েটি সাত্যাকির সঙ্গে মোবাইল নম্বর বিনিময় করে একটা সাইকেল রিক্সা ভাড়া করে ওর মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল এবং সাত্যকিও পাশেই বাস স্ট্যান্ড থেকে মোহনপুরের বাস ধরে নিজেদের কোয়ার্টারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো।

    দুচার দিন পরের ঘটনা। সাত্যকি তখন সবে মাত্র অফিসে মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতিতে খাওয়া সমাপনান্তে আয়েশ করে একটা সিগারেটে টান দিয়েছে। হঠাৎই তার মোবাইলটি বেজে উঠলো। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সাত্যকি দেখতে পেল মোহরের নাম ভেসে উঠেছে। আগের দিনই সেই অপরিচিত তরুণী, যার সঙ্গে সে শিয়ালদা থেকে কাঁচড়াপাড়া পর্যন্ত এক সঙ্গে ট্রেনে সফর করেছিল তার নাম জানা হয়ে গিয়েছিল। সাত্যকি বুঝতে পারলো সেই মেয়েটিই ফোন করেছে। সামান্য একটু দ্বিধাগ্রস্থ ভাবে সে ফোনটি তুলে নিল। ওপ্রান্ত থেকে এক মধুর, মনমোহক আওয়াজ ভেসে এল। জিজ্ঞেস করলো সন্ধ্যাবেলা কি করছেন? সাধারনতঃ সাত্যকি অফিসের পরে শিয়ালদা বৈঠকখানা স্থিত নিজের মেসে যাওয়ার পথে সামনের গলি থেকে কিছু মুড়ি মাখানো কিনে সেই মুড়ি দিয়ে জলযোগ সারতে সারতে মেসের সহবাসী দের সঙ্গে বসে যায় ব্রিজ খেলতে। বিশেষ তেমন কোন যাওয়ার জায়গাও থাকেনা। অতএব উত্তরে সে মোহরকে জানালো যে সেরকম কোন প্রোগ্রাম নেই নিজের মেসে ফিরে যাওয়া ছাড়া। উত্তর শুনে মোহর ওকে প্রস্তাব দিল সন্ধ্যাবেলা প্রিন্সেপ ঘাটে এসে মোহরের সঙ্গে একটু সময় কাটাতে। সাত্যকি মেয়েদের সঙ্গে কথাবার্তা, মেলামেশার ব্যাপারে অতটা সপ্রতিভ না হলেও মোহরের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল এক কথাতেই।

    সেদিন প্রায় ঘন্টাখানেক বসে ছিল ওরা প্রিন্সেপ ঘাটে। কথাবার্তা বেশির ভাগ মোহরই বলে ছিল। আর সাত্যকি আগুনের দিকে যেমন ভাবে পোকারা আকর্ষিত হয়, অনেকটা সেরকম ভাবেই ধীরে ধীরে আকর্ষিত হয়ে পরছিল এই সুন্দরী, মোহময়ী, বাকপটু যুবতীটির দিকে। তারপর পরবর্তী ছ মাসে তাদের দেখা হয়েছে আরো বহুবার। সন্ধ্যাবেলা একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া থেকে নিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখা বা রবীন্দ্র সরোবর লেকের পাশে হাত ধরাধরি করে বসে থাকা, ঘনিষ্ঠতার অনেক গুলো পর্যায়ই তারা অতিক্রম করেছে একে একে। মেয়েটির প্রতি সাত্যকির মুগ্ধতা এক সময় পরিবর্তিত হয়েছে এক অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণে। মেয়েটির দিক থেকেও দেখা গেছে দুজনের এই সম্পর্কটাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক অধৈর্য্য তাড়না।

    সাত্যকির বাবা বিমান লাহিড়ীর কথা আগেই বলেছি। আপন ভোলা, নিজের অফিসের কাজ ও নিজের গবেষণার কাজের মধ্যে ডুবে থাকা বিমানবাবু জাগতিক বিষয়বস্তু সম্বন্ধে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না। কাজেই ছেলে সাত্যকি যখন তার কাছে মোহর কে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে আসলো তখন তিনি বিশেষ কোন উচ্চবাচ্য বা ভাবনা চিন্তা না করেই বিয়ের ব্যাপারে নিজের সম্মতি দিয়ে দিলেন।

    বিয়ের আগে জানা গেল মোহর কলকাতার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করে এবং কর্মরতা মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি হোস্টেলে থাকে। কাঁচড়াপাড়ার মামা মামী বাদে বিশেষ কোন আত্মীয় স্বজন তার আর নেই। অতএব বিয়েটা হয়ে গেল খুবই সাধারণ ভাবে। মোহরের মামার বাড়িতেই বিয়ের শুভ কাজ সম্পন্ন হলো অত্যন্ত সামান্য কিছু অতিথি সমভিব্যাহারে। বিয়ের পর সাত্যকি আর মোহর বেলেঘাটার কাছে একটি বাড়ি ভাড়া করে একসঙ্গে থাকা শুরু করলো যদিও সপ্তাহান্তে তাদের কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে যাওয়া আসার ব্যাপারটা একই রকম রয়ে গেল। তবে দেখা গেল সপ্তাহের শেষে এই বাড়ী যাওয়ার ব্যাপারটায় সাত্যাকির থেকে মোহরের আগ্রহই যেন বেশী।

    বছর দেড়েক পরের ঘটনা। সাত্যকিরা যথারীতি সপ্তাহান্তে বাবা মার সঙ্গে দেখা করতে গেছে। রবিবার সকালে প্রাতরাশের পর সাত্যকিরা যে যার নিজের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিজেদের ছুটির দিন কাটাচ্ছে। হঠাৎ বাড়িতে কাঁচড়াপাড়া পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশের একটি দলের আগমন ঘটলো সাত্যাকিদের বাড়িতে। সঙ্গে লালবাজার স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে আসা কিছু অফিসার। পুলিশ সাত্যকি ও তার বাবা মার বিস্মিত দৃষ্টির সামনে মোহর কে গ্রেফতার করে জানালো গুপ্তচর বৃত্তির জন্য তারা মোহরকে গ্রেফতার করে পুলিশের হেফাজতে নিচ্ছে জেরা করে এ ব্যাপারে আরো বিশদ জানার জন্য।

    সাত্যাকির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লেও তার সাধারণ বুদ্ধি তাকে শান্ত থেকে পুরো ঘটনাটা বোঝার ব্যাপারে তাকে সাহায্য করলো। পরবর্তীতে যা জানা গেল তা যেমনি চমকপ্রদ তেমনি রোমহর্ষক।

    পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেল মোহর একটি আন্তর্জাতিক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে জড়িত। এই সংস্থাটি নিজেদের লোক লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ইত্যাদির খবর ও তার ফর্মুলা বিদেশের কিছু সরকারকে জানিয়ে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। সম্প্রতি বিমান বাবুর গবেষণার খবরটি এরা সংগ্রহ করতে পেরেছিল এবং এটাও জানতে পেরেছিল বিমানবাবু নিজের ল্যাবে এই গবেষণায় সাফল্য লাভ করেছেন। কাজেই এই গবেষণার কাগজ পত্র সংগ্রহ করার জন্য তাদের দরকার ছিল একজন সুদক্ষ গুপ্তচরের যে কিনা বিমানবাবুর অন্দর মহলে ঢুকে প্রয়োজনীয় এই তথ্যাদি সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে এবং এই জন্যই তারা বেছে নিয়েছিল এই ধরণের কাজের জন্য বিশেষ ভাবে শিক্ষিত গুপ্তচর মোহর কে।

    মোহরের আসল নাম মেহেরুন্নেসা। সে একজন শরণার্থী রোহিঙ্গিয়া বাঙালি মুসলীম। এই আন্তর্জাতিক গুপ্তচর সংস্থাটি তাকে সংগ্রহ করে যখন সে তার পরিবারের সঙ্গে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কক্সবাজার স্থিত এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। এই ধরনের গুপ্তচর বৃত্তির জন্য এই সংস্থার বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার আছে। মোহরের যখন ১৩ বছর বয়স তখন তাকে এই গুপ্তচর সংস্থাটি তার বাবা মার কাছ থেকে কিনে নেয় এবং তার পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলে তার সাধারণ শিক্ষা ও বিশেষ গুপ্তচর ট্রেনিং। ২১ বছর বয়সে মোহরকে কলকাতার একটি লোক দেখানো সফটওয়্যার কোম্পানির কর্মী হিসাবে তার প্রথম টার্গেট সাত্যকিকে নিজের প্রণয় জালে আবদ্ধ করার টার্গেট দেওয়া হয় এবং এক বছরের মধ্যে মোহর সেই কাজে সাফল্য লাভ করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন