এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ২৯ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জুলাই ২০২৩ | ২৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কলতান বলল, 'এনাফ ইজ এনাফ ... মিস্টার রক্ষিত... এবার ওর কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে নিন ... আশা করি আমাদের কাজ হয়ে গেছে। ওটা সাইবার সেলে পাঠানোর দরকার। আমার ধারণা ওতে এদের কিংপিনের ট্রেস পাবেন .... '
    গৌতমবাবু তার পিস্তল লোড করতে করতে বললেন, ' সুনীতা, অপর্ণা ... ওর মোবাইল সিজ কর এক্ষুণি। আর...বডি ফ্রিস্ক করে দেখ কিছু পাও কিনা। কাউন্টার চার্জ করলে কাস্টডি হাজতে লক করে দাও .... হারি আপ .... আমি বাইরে যাচ্ছি ... '
    সুনীতা আর অপর্ণা ছুটে গেল জ্যাকলিনের দিকে।
    জ্যাকলিন কোন বাধা দিলেন না। মোবাইলটা দিয়ে দিল ওদের। সুনীতা ফোনটা নিয়ে আপাতত কাউন্টারের ইন্সপেক্টরের কাছে জমা করল। অপর্ণা দাঁড়িয়ে রইল জ্যাকলিনকে আগলে।

    গৌতমবাবু বাইরে এসে দেখলেন রতনরা চারজন রিভলভার হাতে থানার সামনের রাস্তায় গ্রেহাউন্ডের মতো ঘোরাফেরা করছে। রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে। দোকানদাররা শার্টার নামিয়ে দিয়েছে।
    সমর বলল, ' মনে হচ্ছে বাইকে তিনজন ছিল। বেকবাগানের দিক দিয়ে পালিয়েছে।
    গৌতমবাবু রিভলভার খাপে রেখে মোবাইলে আশপাশের পাঁচটা থানাকে খবর পাঠালেন এই পলাতক মোটর বাইকের ব্যাপারে। তারপর একটা হাত ওপরে তুললেন।
    কে একজন পিছন থেকে বলল, ' পিছনে দেখুন স্যার ... '
    গৌতমবাবু ঝট করে পিছনে ঘুরলেন। দেখলেন দুজন লম্বা চওড়া বুশ শার্ট পরা লোক দাঁড়িয়ে আছে। দুজনই পকেট থেকে আই কার্ড বার করে দেখাল ---- ' Crime Branch, Kolkata Police '
    একজন বলল, ' আমাদের গাড়িটা একটু দূরে রেখেছি ... আরও দুজন আছে ওখানে। রানিং-এ দুটো ফায়ার করে এখান থেকে বেরিয়ে গেছে।
    ধরা পড়ে যাবে। ইনফর্ম করে দেওয়া হয়েছে অ্যাডজ্যাসেন্ট কোয়ার্টারগুলোয় ... '
    ----- ' আচ্ছা ...ঠিক আছে। স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে ... ' গৌতমবাবু ওসি সুলভ গাম্ভীর্য বজায় রেখে বললেন। ' ... আমিও সারাউন্ডিং ক'টা থানায় কমিউনিকেট করেছি ... ধরা পড়ে যাবে শিওর.... '
    ----- ' ঠিক আছে স্যার আপনি ভিতরে যান , আমরা আছি ... '
    ----- ' হুমম্ ... বম্ব ডিসপোজালের কেউ আছে নাকি স্কোয়াডে ? '
    ----- ' না স্পেশালিস্ট কেউ নেই। তবে ওটা আমরাই দেখে নিতে পারব .... এক রাউন্ড দেখে নিয়েছি ... নেই কিছু ... '
    ----- ' আপনাদের কতক্ষণের ডিউটি আছে ? '
    ----- ' আজ হোল নাইট। এদের কিংপিন খুব ডেঞ্জারাস এবং প্রভাবশালী .... মানে, স্যারের কাছে শুনেছি ... জয়চন্দ্র আদিত্য ... মুম্বইয়ে ঘাঁটি ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে .... আমি তা'লে .... '
    গৌতমবাবুর কথা শেষ হল না , ওই ভদ্রলোকের মোবাইল বেজে উঠল।
    ----- ' হ্যাঁ ... বলুন ... হ্যাঁ হ্যাঁ ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ চার নম্বর। শ্যুট আউট হয়েছে... নিউ আলিপুরে ? আচ্ছা !
    অ্যারেস্টেড ... তিনটেই ? ফাইন ফাইন... স্যারকে জানিয়ে দিন তা'লে। কি ? কলতান গুপ্ত.... আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ... হুঁ হুঁ ... ওকে ... '
    ফোন রেখে ভদ্রলোক গৌতমবাবুর দিকে ফিরলেন।
    ----- ' গুড নিউজ স্যার। ওদের তিনটেকেই ধরে নিয়েছে নিউ আলিপুর। সোমবার কোর্টে প্রোডিউস করবে। আপনাকে বলতে বলল, মিস্টার কলতান গুপ্তকে খবরটা জানিয়ে দেবার জন্য। বলল, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্যার বলেছেন। কলতান গুপ্ত কে ঠিক চিনলাম নাতো স্যার ... '
    গৌতম রক্ষিত খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ওই ভদ্রলোকের দিকে।
    তারপর বললেন , ' এখনও না চিনলেও , চিনে যাবেন খুব তাড়াতাড়ি। উনি হলেন হোল অপারেশানটার মাস্টারমাইন্ড। যদিও আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট , আমি মনে মনে ওনাকে নিজের গুরু মনে করি। আচ্ছা ঠিক আছে, আমি ভিতরে যাচ্ছি। ওনাকে খবরটা দিই। দেখি উনি কি বলেন ... '
    গৌতমবাবু থানার ভিতরে গেলেন। ছটা বাজতে চলল। বিকেল ফুরিয়ে আসছে।

    গৌতমবাবু ভিতরে ঢুকে দেখলেন জ্যাকলিন একপাশে বসে আছে। তার মধ্যে এখনও বিশেষ হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে জানলা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছে। খুব সম্ভবত , তার দলের হেডকোয়ার্টার থেকে তাকে বাঁচানোর সঠিক জাল বিছোনো আছে এ ব্যাপারে সে নিশ্চিত।
    সুগত সেন আর অরিত্র বাগচি উল্টোদিকের দেয়ালের ধারে দুটো চেয়ারে পাশাপাশি বসে আছেন। তার বাঁ পাশে একটু দূরে কুলচা বসে আছে আরও নাটক দেখার অপেক্ষায়।
    সুগতরা থানার মধ্যে বসে থাকলেও আশেপাশে একটু আওয়াজ হলেও চমকে উঠছে। মাঝে মাঝেই একটা শিরশিরানি মেরুদন্ড দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। থানার ভিতরে আচমকা ঢুকে শ্যুট করে দেওয়ার ঘটনা আগে অন্তত দুবার ঘটিয়েছে এরা। আজ পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। সুগত, অরিত্ররা জানে পুলিশের একটা সেকশানের সঙ্গে 'আনহোলি নেক্সাস ' না থাকলে এটা ঘটা সম্ভব নয়।
    কলতান এখন ঘরে নেই। ওপাশের ঘরে গিয়ে অশেষ আর সিদ্ধার্থ সিনহার সঙ্গে কি সব কথাবার্তা বলছে। কলতানের কথা শুনে দুজনই সম্মতিসূচকভাবে ঘাড় নাড়ছে।
    গৌতমবাবুকে দেখে সুগত আর অরিত্র উঠে এল উৎকন্ঠিত মুখে।
    ----- ' কিছু জানা গেল স্যার ? ' সুগত সেন জিজ্ঞেস করেন।
    ----- ' হ্যাঁ ... তিনটে হারামজাদাই জমা হয়ে গেছে নিউ আলিপুর থানায়। শালারা পালাবে কোথায়.... দেখতে পাবেন ... দেখতে পাবেন এখানেই আনা হবে ওই ভেনোমাস লেডিকে সনাক্ত করার জন্য ... অবশ্য থার্ড ডিগ্রী না চড়ালে বাস্টার্ডগুলো মুখ খুলবে কিনা বলতে পারছি না .... ওদেরও তো জানের ভয় আছে ... মুখ কিছুতেই খুলতে চাইবে না .... '
    ----- ' আচ্ছা ! সত্যি ধরা পড়েছে ? ' ভীষণ বিস্ময়াহত হয়ে অবিশ্বাসী কন্ঠে বলেন সুগত সেন। এমন কিছু যে ঘটতে পারে সুদূর কল্পনাতেও আশা করেননি তারা।
    ------ ' আরে হ্যাঁ হ্যাঁ ... কি বলছি তা'লে .... যাকগে, কলতানবাবু কোথায় গেলেন ? '
    ----- ' তা তো ঠিক ... মানে .. '
    ----- ' ঠিক আছে দেখছি .... ওদিকে গেছে মনে হয়... '
    গৌতমবাবু ওদিকে কলতান যেখানে আছে সেখানে গিয়ে হাজির হলেন।
    ------ ' এই তো মিস্টার রক্ষিত ... আপনার জন্যই অপেক্ষা করছি। কি খবর বলুন ... '
    ----- ' খবর হাইলি স্যাটিসফ্যাকট্রি ... তিনটে ছিল বাইকে ... তিনটেকেই তুলে নিয়েছে নিউ আলিপুর পি এস ... অবশ্য একটা নাকি মাইনর এনকাউন্টার হয়েছিল .... '
    ----- ' বাঃ ... এতো দারুণ খবর ... রিয়েলি এনকারেজিং ... ' কলতানের গলায় খুশির সুর।
    ------ ' হ্যাঁ তা তো বটেই। স্যার বললেন এখানে আনা যেতে পারে জ্যাকলিনকে আইডেন্টিফাই করার জন্য .... আর আর ... স্যার আপনার প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ .... আপনি না হলে এ কেস আনআর্থড হত না .... বললেন , পরে আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। '
    ----- ' ওহ্ ... সো কাইন্ড অফ হিম ... সো কাইন্ড অফ হিম ... গৌতমবাবু। যাক, যে কথাটা আপনাকে বলতে চাইছি .... এক নম্বর, জ্যাকলিনের মোবাইলটা ফরেন্সিকে পাঠান আপনাদের হেডকোয়ার্টারে একটা রেজিস্টার্ড ইন্টিমেশান দিয়ে। দু নম্বর ... অশেষ পালিত , সিদ্ধার্থ সিনহা , সুগত সেন এবং অরিত্র বাগচিকে দিয়ে আলাদা আলাদা এফ আই আর করান এগেনস্ট দীপ্তি সিনহা অ্যালিয়াস জ্যাকলিন মালিয়া। এরা সবাই রাজি আছেন। প্রথমে একটু প্যানিকি ছিলেন। সেটা খুবই স্বাভাবিক। এখন সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। ম্যাডামের আইডেন্টিটি ডিসক্লোজ করবেন এরাই। আর লাস্টলি জ্যাকলিনের এগেনস্টে অন্তত চারটে চার্জ লাগিয়ে ... যার মধ্যে ইনিশিয়েটিং অ্যান্ড হোস্টিং মার্ডার অবশ্যই থাকবে .... ওকে কাস্টডিতে নেবেন। ইনক্রিমিনেট করার সময় যদি অ্যাগ্রেসিভ অ্যান্ড হোস্টাইল শো করতে পারেন তাহলে গ্রাউন্ডটা আরও স্ট্রং হয় .... আশা করি বোঝাতে পেরেছি স্যার। কাল সানডে ...সোমবার নিশ্চয়ই কোর্টে তোলা যাবে .... '
    ----- ' হুমম্ .... এখানে কিন্তু রাখা যাবে না ....ফিমেল প্রিজনার ... ' গৌতমবাবু জানালেন।
    ----- ' ঠিক আছে ... আপনাদের লেক রোডের কোয়ার্টারে রাখবেন। ফিমেল স্টাফ যেন অবশ্যই থাকে ... আচ্ছা চলুন ওদিকে ... ' বলে ওখান থেকে গৌতমবাবুকে নিয়ে পিছনের দিকে গেল কলতান। যেখানে ফুলের গাছ টাছ লাগানো আছে।
    ------ ' আপনাকে এসব বলছি বলে কিছু মনে করবেন না গৌতমদা .... এগুলো কিন্তু কোন ইনস্ট্রাকশান না .... আমি শুধু আমার ধারণার কথা বলছি .... '
    ----- ' আরে ... মিস্টার গুপ্ত কি সব বলছেন ... আমি কিছু মনে করব কি .... আমি আপনার কত বড় অ্যাডমায়ারার আপনি জানেন না ... বলুন কি বলতে চাইছেন .... '
    ----- ' জ্যাকলিনের পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড সিজড হবার পর ওর সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং ননব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রোব করতে হবে। আমার ধারণা, বহু মানুষের কোটি কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট এরা সাফ করে তাদের পথে বসিয়েছে। এগুলো রিপোর্টেড হয় না, চাপা থাকে। আমরা জানতে পারি না। এই মানি ট্রেলটা এখন বার করতে হবে। এটা মোস্ট প্রোব্যাবলি একটা ইন্টারন্যাশনাল চক্র। আমরা অত দূরে পৌঁছতে পারব না। কিন্তু এই এরিয়ার পাইপলাইনটা আমরা কেটে দিতে পারি। আমি শিওর, এই জোনের কিংপিন হল জ্যাকলিন মালিয়া। ওকে বোতলে পুরতে পারলে এই এরিয়ার অ্যাক্টিভিটি ভেঙে যাবে। এইটাই বলার ছিল, আর কিছু না ... '
    ----- ' হমম্ ... অ্যাবসোলিউটলি কারেক্ট ... চলুন ...'

    ওসির চেম্বারে এসে ঢুকল কলতান আর গৌতমবাবু। জ্যাকলিনের পাশে একজন মহিলা কনস্টেবল সুনীতা দাস দাঁড়িয়ে আছে স্থির হয়ে। সে ওদের দেখে বলল, ' বডি সার্চ করে কিছু পাওয়া যায়নি স্যার ... '
    ----- ' ঠিক আছে .... তুমি আর অপর্ণা থাক এখানে ... '
    সবাইকে শুনিয়ে বললেন , ' ওই শ্যুটার হিরোরা ধরা পড়ে গেছে। পালাবে কোথায় ? পুরো গ্যাংটাকে গুঁড়িয়ে দেব ... চেনেনি এখনও.... '
    কলতান তাকিয়ে ছিল জ্যাকলিনের দিকে। তার চোখের দৃষ্টি মুহুর্মুহু বদলাতে লাগল। ভ্রু কুঁচকে গেল , চোখ জ্বলে উঠল। চেঁচিয়ে উঠল জ্যাকলিন, ' আর ইউ বিফুলিং মি ? ইটস ইমপসিবল... ইটস নট আ পিস অফ কেক বাডিজ... ডোন্ট ট্রাই টু বি ওভারস্মার্ট ... ইউ ডাফার, ইয়োকেল ফেলা ... হোল্ড আপ আই টেল ইউ ... হোল্ড আপ ... '
    রাগের মাথায় সে কিছুটা বোধ্য, কিছুটা দুর্বোধ্য ককনি ইংলিশে অনর্গল উত্তপ্ত গোলাগুলি নিক্ষেপ করতে লাগল।
    গৌতম রক্ষিতের রক্ত গরম হয়ে গেল। আর ধৈর্য্য রাখতে পারলেন না তিনি। সফিস্টিকেশনের খোলস খসিয়ে ফেললেন।
    বললেন, ' অ্যা...ই শাট আপ ... অনেক বলে ফেলেছ... একদম চুপ ... আর একটু পরেই ভরে দেব ... দাঁড়াও না ... কি করি তোমায় দেখবে ... '
    এর উত্তরে জ্যাকলিন আবার ইংরীজিতে কিছু ছুঁড়তে যাচ্ছিল , গৌতমবাবু থামিয়ে দিলেন। কোন রাখঢাক না রেখে বেলাগাম হয়ে গেলেন তিনি। বললেন , ' আবার ...আবার ! তেল বেশি হয়ে গেছে না ? সব তেল নিংড়ে বার করে দেব ... এমন ডোজ দেব না ... কোর্ট অব্দি যেতে হবে না ... দাঁড়াও না ... হার্ডকোর ক্রিমিনাল... আবার লম্বা চওড়া কথা .... '
    জ্যাকলিন চেয়ারে বসে পড়ল। কলতান এবং কুলচা লক্ষ করল এতক্ষণে জ্যাকলিনকে বেশ অবসন্ন দেখাচ্ছে।
    সুগত সেন আর অরিত্র বাগচি কিন্তু এখনও ভয়ার্ত দৃষ্টিতে জ্যাকলিনের তাকিয়ে আছে। তারা জানে জ্যাকলিনের রূপ যে কোন মুহুর্তে বদলে যেতে পারে।
    কলতান সুনীতা দাশ আর অপর্ণা মন্ডলকে বলল, ' আপনারা ম্যাডামের কাছে থাকুন .... '
    তারপর সুগত সেনদের দিকে তাকিয়ে বললেন ,
    ' আপনারা পাশের ঘরে আসুন .... মিস্টার রক্ষিত আপনি তা'লে এফ আই আর পেপারগুলো রেডি করে নিন .... আমরা আসল কাজটা সেরে ফেলি এবার ... '

    ( আর একটু )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৩:২৪521910
  • অপেক্ষায়...
  • Mousumi Banerjee | ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৬521915
  • কখন পাব??? 
  • Anjan Banerjee | ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৫521921
  • দিয়ে দিয়েছি 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন