দ্বিতীয় গল্প। প্রথমটা ছিল নুরুন্নাহার বানুর ঘটনাটি। এখন তার বান্ধবী জোলেখা বানুর ঘটনা। ... ...
আজ ই-ম্যাগ দাপিয়ে বেড়ানো সুপ্রিয় পাখি সেন -এর ইন্টারভিউ নিতে হবে তাই রোব্বার হলেও চটপট উঠে গেল জয়ন্ত। গত ক বছরে যার চেহারা কেউ দেখেনি, সে কেমনটি হতে পারে ভেবে জল্পনা চলত প্রচুর। উনি ফর্সা না কালো, লম্বা না বেঁটে আর বয়সটা! বেট লাগালেও শিওর হওয়া হত না। উনি তো একেবারে হাওয়া, কোনও ফটো-টটোও নেই। তাই ছেলেরা আন্তাবরি বকত ... ...
ইরফানকে দেখেও মনে হত তা-ই। অসম্ভব রিল্যাক্সড, হাঁকপাঁক নেই - জাস্ট চরিত্রটা ঘটনাচক্রে ইরফান খান। অতএব, ব্যক্তি ইরফান খানকে চিনি না - কিন্তু, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, তিনি সম্ভবত পিকু ছবির রানা-র মতোই - কথা রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন, কিন্তু তার মধ্যেই হাল্কা আড়চোখে মজার ছলে দেখতে চাইছেন পরিস্থিতিটা - কিম্বা ভোডাফোনের বিজ্ঞাপনের লোকটা, ক্যাজুয়াল, চোখে মিচকে হাসি - ইন ফ্যাক্ট, ভেবে দেখুন, প্রত্যেকের কাছেই এমন কিছু সিনেমার চরিত্র রয়েছে, যে চরিত্রটিকে তিনি ব্যক্তি ইরফান খানের প্রতিফলন হিসেবে বা ব্যক্তি ইরফান খানকে সেই চরিত্রের আদলে দেখতে ভালোবাসেন। ... ...
দুপুর থেকেই শরীরে একটা অস্বস্তি ছিল কুমার বাবুর। একবার ভাবলেন আজ আর হাঁটতে যাবেন না। কিন্তু যতই সময় এগিয়ে আসতে থাকলো মনের ভেতরটা কেমন যেন আনচান করে উঠল। আসলে চা খাওয়া, খবর শোনার মত এটাও একটা নেশাতে দাঁড়িয়েছে আজকাল। না হাঁটলেই কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। খাবার যেন হজম হতে চায় না। ঘুমের সমস্যা হয়। তবে তার কতটা সত্যিই শারীরিক আর কতটা মানসিক তা নিয়ে অবশ্য নিজেরও একটু ধন্দ আছে ওনার।পার্কে পৌঁছেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কাল সন্ধেবেলা খবরটা শোনার পর থেকে এমনিতেই খুব ডিস্টার্বড হয়ে আছেন। নিউজ দেখছিলেন, তখনই ভেসে ওঠে খবরটা। ভোটযুদ্ধের রাজনৈতিক ঝগড়ায় কারা যেন বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল নিশ্চয় কোথাও কোন ভুল হচ্ছে। তারপর যখন বুঝলেন ঘটনাটা নিদারুণ ভাবে সত্যি, মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত এরা বিদ্যাসাগরকেও ছাড়ল না। ... ...
বৌদ্ধধর্ম তিব্বতে পৌঁছেছিল সপ্তম শতাব্দীতে। কিন্তু তার আগে ভারতবর্ষে কীরকম ছিল তার চেহারা? হীনযান, মহাযান কী? নির্বাণই বা কী? ... ...
“চিঠি” - সাদা পাতায় লেখা এক মনকেমনের কাহিনী, “চিঠি” - সেই দূরবর্তী মানুষটিকে জানান দেওয়া, যে “ভালো আছি” ও জানতে চাওয়াও তাঁর ভালো থাকার কথা। যারা নিয়মিত চিঠি লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন তাদের সাথে এই “পত্র দিও” ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। একখানি চিঠি যে কি পরিমান ভালো থাকা দিতে পারে তা যারা পেয়েছেন একমাত্র তাঁরাই বুঝবেন। এমন অনেক সময় হয়, মানুষটি যখন কাছাকাছি, তখন সব কথা বলা হয়ে ওঠে না। কিন্তু দূরত্ত্ব বাড়ার সাথে সাথে সেই কথাই একটি চিঠির আকার নেয়...আর কি থাকে না সেই চিঠিতে!...প্রাত্যহিক জীবনের গল্প থেকে শুরু করে সমস্তটা উঠে আসে তাতে, আর যিনি পান সেই সময় তাঁর উপলব্ধিটাও অসামান্য। চিঠির মধ্যে ঐ মানুষটার প্রতিচ্ছ্ববি অজান্তে তৈরী হয়ে যায় আমাদের মনের ভেতরে...চিঠিকে তখন আরো বেশি আপণ মনে হয়। তাই হয়তো প্রিয় মানুষটির একটি চিঠির জন্য আমাদের এত অপেক্ষা, আর তেমনই তা না পেলে মনখারাপ-মনখারাপ। ... ...
করোনা সংক্রান্ত একপ্রকার বিষন্নতা এবং করোনার আগে থেকেই বসে থাকা চাপা বিষন্নতার ডালপালা রয়েছে এই লেখা জুড়ে। ... ...
এটি নিজের বোধ থেকে জাত কোনো এক চিঠির আকারে তুলে ধরা অস্তিত্বের টান।আমি চাইছি এই নামে একটি বিভাগ হোক যেখানে চিঠির আকারে একটি সাইকোলজিক্যাল স্তর উঠে আসুক প্রতিটি মানুষের। ... ...
এসব খবর-অপখবরের মধ্যে নিউজ পোর্টালের এপে সকাল হয় সবুজ। এখনো এই প্রাচীন নগরে টিকে থাকা কৃষ্ণচূড়ার কোটরে বাসা বাঁধে টিয়ে। বৃষ্টিতে হয় তার সবুজ স্নান। মনে পড়ে প্রাথমিকের সেই গান : একদিন সূর্যের ভোর, একদিন স্বপ্নের ভোর, একদিন সত্যের ভোর আসবে, এই মনে আছে বিশ্বাস, আমরা করি বিশ্বাস, সত্যের ভোর আসবে একদিন...। ... ...
এইটা একটা পাঁচ পর্বের গল্পের প্রথমটা। ... ...
গল্পে যেমন ... ...
শোনা যাচ্ছে এক ভারত লড়ছে 'কোভিড ১৯' এর বিরুদ্ধে। আর দেখা যাচ্ছে আরেক ভারত লড়ছে খাদ্য সংকটএর সাথে... ... ...
একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...
একটা অদ্ভুত মাথা ধরা নিয়ে ঘুম ভাঙ্গল গোপাল বাবুর। মাঝে মাঝে এমনটা হয়। আগে কম হত। আজকাল একটু বেশিই যেন হচ্ছে। ভাবেন এর পর শহরে ছেলের কাছে গেলে একটা ভাল ডাক্তার দেখাতে হবে। এখানে, মানে এই মফস্বল শহর শালদুয়ারির পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রামে তার উপায় নেই। তবে দিন বাড়লে এটা নিজেই কমে যাবে জানেন উনি। তাছাড়া শরীরকে বেশী পাত্তাও দিতে চান না। গোপালবাবুর বাবা বলতেন “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়”, তাই উনি আজ অবধি সেটাই মেনে চলেন। ... ...
এই লৌহস্তম্ভ রয়েছে দিল্লীর কুতুব কমপ্লেক্সে। বর্তমানে বললাম এই জন্যই যে, এই স্তম্ভ দিল্লীতে চিরকাল ছিল না। মালটা প্রথমে কোথায় ছিল সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে - তবে মোটামুটি সব বিজ্ঞরা আজকাল এই সিদ্ধান্তে এসে পোঁছেছেন যে, এই স্তম্ভ প্রথমে খাড়া করা হয়েছিল বর্তমান উদয়গিরি-তে, ওই ৪০০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ। তারপর সেখান থেকে দিল্লীতে আসে। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই স্তম্ভ সত্যিই ১৬০০ বছরের পুরানো, তাহলে বছরের হিসাবে দেখতে গেলে দিল্লীতে এর ঠাঁই শেষ আটশো বছরের মত। কিন্তু লৌহস্তম্ভটি ক্ষয়ে যাচ্ছে না কেন? যেখানে আমাদের বারান্দার গ্রীল বছর চারেক রঙ করে মেনটেন না করলে ক্ষয়ে গিয়ে দফারফা, সেখানে আজ প্রায় ১৬০০ বছর ধরে এই লৌহ স্তম্ভ কি ভাবে না ক্ষয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! এর পিছনের রহস্য কি? কোন বিশেষ ধরণের লোহার ব্যাবহার, নাকি বানানোর বিশেষত্ব, নাকি মৃদু আবহাওয়ার প্রকোপ? ... ...
চোতমারানির পোলারা চুদতেও পারে না। আক্রোশটা খিস্তিখেউড়ে পরিণত হয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ছিল। ঘটনাটার ফলাফল তখন সবেমাত্র সে টের পায়। তলপেট থেকে যখন টক জলের ঘূর্ণি গা কাঁপিয়ে বাইরে এসে পড়ে। কলতলায় যাবার সু্যোগ দেয় না। দরজার বাইরে বসে সে হাঁপায় আর শরীরের সমস্ত শক্তি একাট্টা করে গালি দেয়। ... ...