এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নুরুন্নাহার বানুর ঘটনাটি

    Muradul islam লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ এপ্রিল ২০২০ | ২৫৪৪ বার পঠিত
  • আমি কি আমার গল্পটা বলা শুরু করব?

    -হ্যা, শুরু করুন।

    আপনার হয়ত শুনে অবিশ্বাস্য মনে হবে। হয়ত আপনি অন্য কিছুও ভাবতে পারেন আমাকে, যে বাস্তব জ্ঞান আমার লোপ পেয়েছে। কিন্তু আমি সত্যি বলছি যে, যা কিছু আমি বলব আপনার সামনে এগুলি আমি কাউকে বলি নি, এবং এর মধ্যে সত্যতা রয়েছে।

    -আপনি নির্ধিদ্বায় বলে যান।

    আমার নাম নুরুন্নাহার। আপনার এখানে এপয়ন্টমেন্ট নেবার সময়ে যেসব তথ্য আমি দিয়েছি সেখানেই হয়ত আপনি আমার নাম ও ইত্যাকার কিছু তথ্যাদি দেখেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে আমার নাম দেয়া আছে সালমা বানু। তাহলে কোন নামটি আমার আসল নাম এই প্রশ্ন এসে যায়। আমি সত্যি করে বলছি যে আমার নাম নুরুন্নাহার, আমি নুরুন্নাহার। আমার বয়স পয়তাল্লিশ বৎসর আট মাস এগারো দিন। আমি গত আঠারো বৎসর যাবত এই শহরে বাস করছি। কিন্তু আমার জন্ম এখানে নয়, আমি জন্ম নিয়েছিলাম এক মফস্বল শহরে, কিছু কারণে আমি জায়গাটির নাম আপনাকে বলতে চাই না, মার্জনা করবেন।

    -ঠিক আছে। এতে কোন সমস্যা নেই।

    খুবই উচ্চবংশীয় এক পরিবারে আমার জন্ম। আমাদের পরিবার ঐ অঞ্চলে খুবই প্রভাবশালী ছিল। আমার বিয়েও হয় একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে।

    বিয়ের পর আমি আমার স্বামীর পরিবারে চলে যাই।

    অতঃপর একটি অত্যাশ্চর্য ঘটনা আমার জীবনে ঘটে যায়।

    আমার স্বামীর বাড়িটি ছিল বিশাল। সামনে বড় পুকুর, পেছনে আম বাগান। সেই আম বাগানের ঝাঁকড়া আমগাছগুলিকে আমার ভালো লাগত। আমি এবং আমার এক বান্ধবী মিলে সেই আম বাগানের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশেই অধিকাংশ সময় কাটাতাম।

    -আপনার বান্ধবী?

    জি, আমার বান্ধবী। তাকে বিয়ের সময় আমার সাথে দেয়া হয়েছিল পরিবার থেকে। সে আমার সাথে থাকতো। আমাদের বন্ধুত্ব ছিল গাঢ়।

    -তার নাম কী?

    সেটা জানা কি গুরুত্বপূর্ণ?

    -সবই গুরুত্বপূর্ণ, কিছুই অগুরুত্বপূর্ণ নয়।

    তার নাম জোলেখা। জোলেখা বানু। আচ্ছা, আমবাগানের গল্পে চলে যাই। আমি আর আমার সেই বান্ধবী মিলে যখন সেই আম বাগানে সময় কাটাতাম তখন আমরা দেখতে পাই ঝাঁকড়া আমগাছগুলিতে বাস করে অনেক অনেক কাঠবিড়ালী। আমার তাদের ভালো লাগতো। আপনি হয়ত লক্ষ করে থাকবেন কাঠবিড়ালী খুব অদ্ভুত ভাবে তাকায়, যেন তাদের যাদুকরি চাহনির মাধ্যমে তারা আপনার ভিতরে কী খেলা করছে তা ধরে নিতে পারে সহসাই। আমার এমনই মনে হতো, আর তাই তাদের আমার ভালো লাগত।

    আর আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না, সেই আমবাগানের গভীরে আমরা গিয়ে দেখেছিলাম কিছু কাঠবিড়ালী আছে সবুজ হলুদ।

    গায়ে লাল নীল ডোরাকাটা অনিন্দ্য সুন্দর একটা কাঠবিড়ালীকে যেদিন আমরা দেখলাম, সেদিন কী বার ছিল আমার মনে নেই, কিন্তু ঐদিন আমার ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। আমার মনে হতে লাগল যে কোন মূল্যে, যে কোন মূল্যে এই কাঠবিড়ালীকে আমার চাই।

    আমি এবং আমার বান্ধবী মিলে আম বাগানের গভীরে গিয়ে সেই কাঠবিড়ালীকে তাড়া করলাম।

    কাঠবিড়ালীটি যেন আমাদের সাথে খেলা করছিল। সে গাছের ডালে ডালে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে না লুকিয়ে থেকে মাটিতে নেমে এলো, এবং আমাদের সামনে দিয়ে দৌড়ে যেতে লাগল। এমন অবস্থা হচ্ছিল যে আমরা প্রায় ধরে ফেলব ধরে ফেলব এমন। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন ধরে ফেলার চাইতে, বা না ধরতে পারা অধরাদের চাইতে, ধরে ফেলব ধরে ফেলব এমন অবস্থাই বেশি মনোযাতনাকর।

    এভাবে কীভাবে যেন সারাদিন চলে গেল। এমনিতেই আম বাগানে বেশি সূর্যের আলো প্রবেশ করতো না। সন্ধ্যার দিকে আলো আরো কমে আসলো, এবং আমরা অবসন্ন হয়ে পড়েছিলাম এক অদ্ভুত ও অত্যাশ্চর্য লাল নীল রঙ মাখা কাঠবিড়ালীর পেছনে ছুটতে ছুটতে।

    একটা পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে হোঁচট খেয়ে আমি পড়ে যাই। আপনাকে বলা হয় নি তখন আমি অন্তঃস্বত্তা ছিলাম, আমার পেটে ছিল ৫ মাসের সন্তান, সেই সন্তান ঐ পড়ে যাবার ফলে নষ্ট হয়ে যায়।

    উল্লেখ্য যে আমি আসলে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, এবং আমাকে আম বাগান থেকে ধরাধরি করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়, এবং ডাক্তার জোনাথন সাহেবকে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি আমার চিকিৎসা করেন।

    এরপর আমি শয্যাশায়ী থাকি দেড় মাস। বিছানা থেকে উঠার শক্তি পেতাম না। ডাক্তার জোনাথন সাহেব নিয়মিত আসতেন আমার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে। আমার কী হয়েছে তিনি ধরতে পারছিলেন না।

    আমি খেতে পারতাম না। আমি শুকিয়ে রোগা হয়ে যাচ্ছিলাম।

    এবং জোনাথন সাহেব বা অন্য কাউকে আসলে আমি সব বলতেও পারতাম না। কেবল আমার বান্ধবীটিকে বলতাম, আর যেহেতু সে আমার সকলই জানতো তাই তার জানা ও আমার জানায় কোন তফাত ছিল না। সেও অন্য কাউকে বলতে পারতো না যে, আসলে আমার ভেতরে কী ঘটে চলেছে।

    একটা অদ্ভুত অবস্থায় আমি পড়ে গিয়েছিলাম। আমি প্রতিরাতে অসংখ্য কাঠবিড়ালী স্বপ্নে দেখতাম। বিভিন্ন রঙের। তারা দৌড়ে যাচ্ছে, তারা লাফাচ্ছে। তারা কখনো মানুষের মত আবার কখনো নেকড়ের মত হাসছে। কখনো শুণ্যে ডিগবাজি দিয়ে অদৃশ্য হয়ে হয়ে আবার ফিরে আসছে মাটিতে। আবার সবার সামনে রানীর মতো আছে সেই লাল নীল রঙ মাখা কাঠবিড়ালীটি, যাকে আমরা দেখেছিলাম আম বাগানে।

    আমি বুঝতে পারছিলাম একটা কিছু হয়েছে, এবং একটা জটিল সমস্যার ভেতরে আমি পড়ে গেছি।

    ডাক্তার জোনাথন সাহেব অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। শেষপর্যন্ত তিন মাস তেরোদিন পরে তিনি বললেন, একটা সমস্যা হয়েছে, সেটি হলো, খুব সম্ভবত নষ্ট হওয়া সন্তানের কোন অংশ বা কিছু একটা ভেতরে রয়ে গেছে। এটি বের করে আনতে হবে জরায়ু দিয়ে।

    কীভাবে তিনি এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন বা কীভাবে এটি সম্ভব এই প্রশ্ন আর কেউ করে নি। আমিও না।

    আমার মনে আছে যেইদিন তিনি ঐ মৃত সন্তানের ভাঙা অংশ আমার ভেতর থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন ঐদিন ছিল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার সকালের দিকে তিনি তার কাজ শুরু করেন।

    বিকালে কাজ শেষ হয়।

    তিনি চারটি কাঠবিড়ালী আমার ভেতর থেকে বের করে নিয়ে আসেন। মানব সন্তানের মত গায়ের চামড়া, গায়ে কোন পশম নেই। আমি স্বচক্ষে দেখি নি, শুনেছি।
    এই কথা দাঊদাঊ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। যে আমি কাঠবিড়ালী প্রসব করেছি।

    পরিবারের লোকজন এগুলিকে দ্রুত মাটি চাপা দেবার ব্যবস্থা শুরু করে। প্রশাসন থেকেও কিছু লোক আসে দেখতে, সাংবাদিকেরাও আসে। এদের খবরটা আসলে দিয়েছিলেন ডাক্তার জোনাথন সাহেবই। তার ইচ্ছা ছিল গবেষণার জন্য বাচ্চাগুলিকে সংরক্ষণ করা। কিন্তু আমার স্বামী ও তার পরিবার রাজী হচ্ছিলেন না। তখন শেষ চেষ্টা হিসেবে কৌশলে তিনি প্রশাসনের সাহায্য নিতে যান।

    ডাক্তার জোনাথন সাহেব একটি বাচ্চাকে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তিনি কাচের জারে ক্লোরুফর্মের তরলে ডুবিয়ে একটা বাচ্চাকে নিয়ে যান।

    আর এদিকে সব দিকে আমার খবরটি প্রচার হয়ে যাওয়ায় আমার স্বামীর পরিবার বিব্রত অবস্থায় পড়ে। পত্রিকাগুলি লিখতে থাকে যে, আমি ও আমার বান্ধবী যখন আম বাগানে যেতাম তখন কোন একটা কাঠবিড়ালী আমার সাথে যৌন সম্পর্ক করে। তারই ফল হিসেবে আমার গর্ভে আসে তাদের সন্তান।

    এই বাচ্চাগুলি প্রসব করার পর দুই একদিনের মধ্যেই আমি সুস্থ হয়ে উঠি। পুরনো শক্তি ও সতেজতা ফিরে পাই। সেই স্বপ্নও আর দেখছিলাম না।

    কিন্তু পরিবারে বাস করা আমার জন্য অসহনীয় হয়ে উঠে।

    আর এদিকে এক তীব্র মনোকষ্ট আমাকে বিহবল করে তুলতে থাকে। আপনার হয়ত শুনতে অদ্ভুত লাগবে, আমি আমার কাঠবিড়ালী সন্তানটিকে দেখতে চাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল তাকে একবার দেখতে না পারলে আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন। হোক না মৃত, তবুও আমি তাকে দেখতে চাই একবার। কেমন করে সে কাচের জারে ক্লুরোফর্মের তরলে ডুবে আছে, যেন ঘুমিয়ে আছে মাতৃগর্ভে।

    আমার দিন রাত অসহনীয় হয়ে উঠতে লাগল। এক রাতে আমি ও আমার বান্ধবী বাড়ি থেকে বের হই। আর না ফেরার উদ্দেশ্য নিয়ে এবং যে করেই হোক ডাক্তার জোনাথন সাহেবকে খুঁজে বের করতে ও আমার সন্তানকে দেখতে।

    ডাক্তার জোনাথন সাহেবের বাসায় গিয়ে জানতে পারি আমরা, সেদিন সন্ধ্যার ট্রেনে তিনি শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। আমরা ভোররাতের ট্রেন ধরি।

    পরদিন শেষ বিকেলে আমরা এ শহরে আসি।

    এরপর থেকে এ শহরে আছি আমরা।

    জোনাথন সাহেবকে আর খুঁজে পাই নি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি তিনিও আমাদের এলাকায় আর ফিরে যান নি।

    এখন, আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন আমার জীবনের এই ঘটনাকে?

    -আপনার বান্ধবী জোলেখা বানু কি এখনো আপনার সাথে বাস করেন?

    হ্যা, আমরা একসাথে থাকি।

    -আপনি কি আমাকে পরীক্ষা করতে এখানে এসেছেন?

    মানে, কী নিয়ে পরীক্ষা?

    -পরীক্ষা যে আপনার রূপক গল্প আমি ধরতে পারি কি না?

    না, বিশ্বাস করুন, আমি সত্যি বলেছি।

    -আমি বলছি না আপনি মিথ্যা বলছেন। সত্য ও মিথ্যা জটিল বিষয়। প্লেইনভাবে এদের দেখার সুযোগ নাই যখন মানুষের জীবন এবং বাস্তবতা এর সাথে যুক্ত থাকে। আপনি সত্যই বলেছেন, কিন্তু বলেছেন রূপকে। হয়ত আপনার এই আত্মবিশ্বাস ছিল যে, আমি এটি ধরতে পারবো না।

    এরকম কোন ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি সত্যিকার অর্থেই সাহায্যের জন্য আপনার কাছে এসেছি। কারণ জীবনে থেমে থেমে নানা সময়ে আমি সেই কাঠবিড়ালীদের স্বপ্নে দেখে আসছি। ইদানীং সেই স্বপ্ন বেড়েছে। এবং এখন আমার মনে হচ্ছে যে, তারা যেন কিছু বলতে চায়। আমি আপনার কাছে এসেছি এই সমগ্র বিষয়টা বুঝতে। কারণ এই জিনিস ব্যাখ্যা দেবার মত বা বুঝানোর মত আর কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই।

    -আপনি যদি সত্যি এখনো এই স্বপ্নের ভেতরে থেকে থাকেন, তাহলে আপনাকে আমি ট্রিটমেন্ট করতে পারি। পর্যায় ক্রমে নিয়মিত কিছু সেশনের ভেতর দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। সেগুলি কতদিন ধরে চলবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে আমি কিছু বলতে পারছি না। এখন আপাতত আমি আপনাকে একটা ওষুধ দিচ্ছি, এটি রাতে ঘুমানোর আগে খাবেন। এবং পরবর্তী যে তারিখ লিখে দিচ্ছি ঐ তারিখে আসবেন। আজ আপনার সময় শেষ।

    কিন্তু আমার জীবনের গল্পটি সম্পর্কে আপনি কী বুঝলেন তা তো আমাকে বললেন না।

    -আমি বুঝে গেছি এটা জানলে আপনার অস্বস্থি হবে না তো?

    না হবে না। কারণ আমি নিজেই তো আপনাকে বললাম। আর আপনি বুঝতে পারলেই তো আপনার কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে আমার জন্য। সুতরাং, আমার কোনরূপ অস্বস্থি হবে না।

    -আমি আপনার গল্পটি বুঝতে পেরেছি হয়ত। হয়ত আপনার গল্পের একটা অর্থ এরকম যে আপনার বিয়ে হবার পরে বা আগে থেকেই আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি আপনার বান্ধবী জোলেখা বানুকে ভালোবাসেন। এই ভালোবাসা জনিত কারণে আপনাকে নানা অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়তে হয়। ভালোবাসার জন্য মানুষ রাজ সিংহাসন ছেড়ে দেয়। আপনি পরিবার ও সমাজ ছেড়েছেন। এটা অবশ্যই ভালো জিনিস, দোষের কিছু নয়। এবং সেই গল্পটিই আপনি আমাকে আজ এভাবে বললেন। কারণ সরাসরি বলা আপনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।
    কিন্তু…

    -আর কোন কথা নয় আজ নুরুন্নাহার বানু। আগামীদিন আপনার সাথে কথা হবে। ওষুধ খান। আর যদি সমস্যা তীব্র হয়, অর্থাৎ যদি টের পান কাঠবিড়ালীগুলি আপনার খাটের নিচে চলে আসছে রাতে, বা এদের সাথে যদি গুহিল ও কুম্ভিরেরাও চলে আসে, তখন দ্রুত আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। গুড লাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ এপ্রিল ২০২০ | ২৫৪৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    হেলেন - Muradul islam
    আরও পড়ুন
    রাজপথ - Jhanku Sengupta
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৭ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪৮92748
  • হুঁ

  • Jharna Biswas | ২৭ এপ্রিল ২০২০ ২০:৫৪92750
  • একদম অন্যরকম একটা গল্প...প্রচ্রু ভালোলাগা...শুভেচ্ছা আপনাকে... 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন