ফেলে আসা দিন, কিছু বিস্ময়, আজও যারা হয়নি বিলীন। ... ...
লকডাউনের আবহে বিশ্বায়নী দুনিয়াদারির স্মিত অন্তর্ঘাতে হঠাৎই চেগে উঠল ছাদ। একদা ছাদের ওপর পায়চারি করেছিল হারবার্ট আর বুকি, অস্পষ্ট অবুঝ চিলছাদ তার প্রণয়ের দিনগুলির সাক্ষ্য রেখে গেছে। ছাদ, বস্তুত, সংসার-সীমান্তে অথচ পাবলিক পরিসরেও নয়, এ রকম নিরালম্ব মধ্যবর্তিতায় ঝুলে-থাকা অস্তিত্ববিশেষ। ছাদ কখনও রাস্তা নয়। ... ...
ছড়া পথে খানিক বাঁক থাকলে তবে, বাঁকের ধারে আবার দেখা হবে। ... ...
করোনায় করণীয় পালনীয় আলোচনীয় ... ...
ছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি পর্ব হবেছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি । ... ...
নীলাভ আলোর ঝলকে প্রস্তরীভূত শরীরের ভেতর আদিম অন্ধকারের স্বাদ থেকে জেগে উঠে দেখলাম কোনো ব্যথা নেই, কোনো স্মৃতি পর্যন্ত নেই যে কবে শরীরের অনুভূতিসম্পন্ন স্নায়ুকোষগুলি একে একে নষ্ট হয়ে ঝরে গেছে। মৃত্যুর পরে সময়ের কোনো চেতনা অনুভব করিনি আর। তাই জানিনা কতদিন শুয়ে আছি এই গ্রহের মাটিতে প্রায় জীবাশ্ম হয়ে, পাথরের দৃঢ় শরীরে গেঁথে আছে আমার কঙ্কাল, তবু জেগে ওঠবার প্রেরণা সংগ্রহ করে নিতে হলো নীল আলোর বৃত্তটায় করোটির কোটরদুটো ধাঁধিয়ে যাবার ফলে। ... ...
গুগল কোয়াণ্টাম নিয়ে কী এমন লেখা বার করল যাতে প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়াণ্টাম সুপ্রিম্যসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা ( শেষ পর্ব) ... ...
মনে করুন, আপনি জানতে চাইলেন, যুক্তিবাদ জিনিসটা ঠিক কী এবং কখন কোথা থেকে কীভাবে তা এল, এইসব ব্যাপারস্যাপার নিয়ে পড়াশোনা কীভাবে শুরু করা যায় । এ সব নিয়ে ভাল ভাল প্রবন্ধ আর বই তো বিস্তর আছে, অন্তত ইংরিজি ভাষায়, এবং বাংলাতেও হয়ত বা ছিটেফোঁটা কিছু, তার মধ্যে কোথা থেকে শুরু করবেন, আর কোনদিকে কতদূরই বা হাঁটবেন? মনে করুন, আপনি গ্রন্থের অরণ্যে হারাতে চাইছেন না, ভয়ঙ্কর পণ্ডিতিও চাইছেন না, আবার একেবারে হালকাপলকা খেলো কথাবার্তাও চাইছেন না । যেন বেশ সিরিয়াস, গুরুত্বপূর্ণ ধরনের কিছু কথাবার্তা পড়ে ফেলা যায়, অথচ পড়বার শ্রমটি যাতে পাহাড়ের মত সামনে দাঁড়িয়ে নতুন বোধপ্রাপ্তির আনন্দটুকুকে আড়াল না করতে পারে, এইটুকু চাইছেন । ... ...
দুরিয়ান কাঁঠাল প্রজাতির ফল, আর দেখতেও অনেকটা কাঁঠালের মতই। দুরিয়ান খাবার জন্য মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ডের কিছুটা, কিছু ইন্দোনেশিয়া – এরা সব পাগল। সেই উন্মাদনার কাছাকাছি বাঙালীর কোন কিছু খাবার বিষয়ক উন্মাদনা আসতেই পারে না, বাজারে হিমসাগর উঠলে আমরা এই ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা ভাবতে পারি না। কথিত আছে যে প্রাক মোবাইল যুগে বাজারে দুরিয়ান ওঠার খবর রেগুলেট করা হত সরকারী অফিস বা হাসপাতালে, বা ব্যাঙ্কে বা স্কুল-কলেজে। ডাক্তার নাকি অপারেশন থামিয়ে দুরিয়ান কিনতে ছুটছে যেই শুনেছে বাজারে দুরিয়ান উঠেছে – স্কুল-কলেজে টিচার হাওয়া! এখন হোয়াটঅ্যাপ এসে যাওয়ায় আর রেগুলেট করা যাচ্ছে না খবর চাওড় হওয়া। তাই সরকার নাকি ভাবছে কেবলমাত্র ওয়ার্কিং-আওয়ারসের বাইরের দুরিয়ান বিক্রী করতে দেওয়া হবে ওপেন মার্কেটে! ... ...
১৯৭১ এ স্বাধীনতার পর উর্দূভাষী আটকে পড়া পাকিস্তানীরা, যারা ‘বিহারী’ নামে এখনো পরিচিত, অনেকেই দেশবিভাগের সময় বিহার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা ঘোলকে বলতেন ‘মাঠা’। তো মোহাম্মাদপুরে বিহারী বসতিপূর্ণ এলাকায় বাসার গলির মুখে খুব ভোরে বিশাল এলমুনিয়ামের হাড়ি নিয়ে গাল ভাঙা, খোঁচা খোঁচা কাঁচাপাকা দাঁড়ির বিহারী ঘোলওয়ালা বসতেন। তার হাড়িতে থাকতো ঘরে তৈরি ঘোল। হাড়ির মুখটি কাঁচের চৌকা টুকরো দিয়ে ঢাকা থাকতো। ওপরে বসানো থাকতো ছোট ছোট কাঁচের গ্লাস। মাঝারি মাপের এলমুনিয়ামের মাগ দিয়ে ক্রেতাদের ওইসব সব গ্লাসে ঢেলে দেওয়া হতো সুস্বাদু ফেনা ওঠা ঘোল। আর উঁকি দিলে হাড়িতে দেখা যেত ঘোলের ওপর বিস্কুট মাপের হলুদাভ মাখন ভাসতে। প্রতি গ্লাস দুই সিকি (তখনো একে ‘চার আনা’ বলা হতো) বা পঞ্চাশ পয়সা (‘আট আনা’) মাত্র। ঘোল ওয়ালা মাঝে মাঝে হাঁকতেন, ‘এই মাট্টঠাআআআআ…’! ... ...
গুগুল কোয়াণ্টাম নিয়ে কী এমন লেখা বার করল যাতে সারা প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য ( কোয়াণ্টাম সুপ্রিম্যাসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা (তৃতীয় পর্ব) ... ...
"....হায়দ্রাবাদ হোক বা অন্য কোথাও; জনগণ যখন পাগলের মতো কারও মৃত্যু চায়; সেও আদতে মানসিক ভাবে ভয়াবহ একজন অপরাধী হয়ে উঠেছে। যে অপরাধের জন্য সে শাস্তি চাইছে; সেইরকমই একটা ঘৃণা, হিংসাত্মক মানসিকতা সে নিজের মধ্যে বহন করছে।...." ... ...
সময় কে আমারা কি চিনি? নাকি আমরাই সময়ের অংশ? সময় কি আমাদের বোধে লুকিয়ে নাকি সে বাস্তব? সে কি অশেষ নাকি তার ও প্রান্ত রেখা আছে? কালকের আমি কোথায় ? আগামি কালকে জানতে আমায় কে বাধা দিচ্ছে? এমনই হাজার প্রশ্ন ঘিরে ধরে যখন আমরা সময় কে নিয়ে ভাবতে বসি। সময়ের দর্শন, বিজ্ঞান, মনবিজ্ঞান, সবকিছুই এইসব প্রশ্নে ঘেরা। বিভিন্ন পর্বে এই সব জায়গাতেই আমরা ঘুরে বেড়াব। ... ...
এমন নয় যে রামসে-ই পৃথিবীর সব থেকে ভালো শেফ, সেই নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। কিন্তু গর্ডন সবচেয়ে বিখ্যাত, সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মিচলিন স্টারের দিক থেকে দেখতে গেলে গর্ডন তৃতীয় স্থানে, ১৬টা স্টার নিয়ে। সেই যখন প্রথম প্রথম দেখতাম গর্ডন-কে, তখন তার প্রতিপক্ষ মিডিয়া খাড়া করেছিল জিমি অলিভার-কে। আর আজ অলিভার প্রায় দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। এই তো সেই দিন সিঙ্গাপুরে জিমি অলিভারের ইতালিয়ান রেষ্টুরান্টে দেখে এলাম লাঞ্চ আওয়ারে কি বিশাল ছাড় দিচ্ছে – দুজন খেলে একজন ফ্রী বা এই জাতীয় কিছু। একজন বিখ্যাত শেফের রেষ্টুরান্টে যেটা ভাবাই যায় না! ... ...
গুগুল কোয়াণ্টাম নিয়ে কী এমন লেখা বার করল যাতে সারা প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়াণতাম সুপ্রিম্যসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা (দ্বিতীয় পর্ব) ... ...
গুগুল কোয়াণ্টাম নিয়ে কি এমন লেখা বার করল যাতে সারা প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা। ( প্রথম পর্ব) ... ...
ছোটগল্প ... ...
অপেক্ষার পল অনুপল বিপল এখন পরিতোষের আঙুলে— মেগাবাইট গিগাবাইটে ভরে উঠতে লাগল ওর মোবাইল— তারপর উপচে উপচে ক্লাউডে— মুহূর্তর পরে মুহূর্ত সাজিয়ে এইভাবে সে যেন পৌঁছে যাবে গন্তব্যে, তারপর ক্যামেরার ফ্রেমে দেখতে পাবে তাকে— –কেমন আছ পরিতোষ? –আসুন কালিদা, চা খান। ... ...
আমাদের একটা আস্ত সমুদ্র ছিল – ছিল সমুদ্র সৈকত। ঘরে থেকে বেরোলেই ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেতাম ঝাউগাছের তলায় আর কখনও কখনও প্রবল তাপদগ্ধ অলস দুপুর কাটাতে কাটাতে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতাম বিকেলের ভেজা বালির। আমরা তখনও কেবল দুজন মাত্র। হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই ঢেউ পেরিয়ে পেরিয়ে – কখনও দেখা হয়ে যায় পাশের বাড়ির কুকুর নিয়ে ঘুরতে বেরোনো মালকিনের সাথে, কখনও দেখা হয় কাঁকড়া খুঁজতে আসা সেই স্থানীয় লোকেদের সাথে। কখনও দেখি এক পুরো পরিবার চিঙড়ি মাছ ধরছে জাল দিয়ে ছেঁকে – বাচ্চাদের উৎসাহ অবশ্যই মাছ ধরার থেকে জলে হুটোপুটিতেই বেশী। এক সময় গোধূলি নেমে আসে – এত রঙ আমরা আর কোথাও দেখি নি। জলের সাথে ভেসে আসা কাঠের গুঁড়ির উপর বসে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখি। ঢেউ দেখি – শব্দের সাথে মিশে যায় দিগন্তে আকাশের শত রঙ। ধর আজকে মেঘ করেছে – এমন মেঘের ফাঁক দিয়েও আলো চুঁইয়ে পড়বে জানি অনভ্যাসের আলতা পায়ে। লাল মুছে নিয়ে যাবে ক্রমাগত আর ফিরে না আসা ঢেউ। আমি তখন দূরে ছোটার ক্লান্তি নিয়ে তাকিয়ে আছি একে একে জ্বলে ওঠা জলের ওধারে জাহাজের আলোর দিকে। আলো স্পষ্ট হয়ে আসে, ঢেউ এগিয়ে এসেছে অনেক – আমরা হাতের আঙুল নিয়ে খেলতে খেলতে ফিরে আসি কাঠের বাড়িতে। ... ...