এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ধর্ষণ এবং মৃত্যুদণ্ড

    Sabyasachi Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ মার্চ ২০২০ | ৩০৬৪ বার পঠিত
  • নির্ভয়া মামলায় চার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেলো। স্বাভাবিক ভাবেই অতি প্রাচীন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে- মৃত্যুদণ্ড থাকা উচিৎ না রদ হওয়া উচিৎ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে বারবার এই প্রশ্ন আসে। এই প্রশ্নে কার্যত সমাজ দ্বিধাবিভক্ত এবং মেনে নিতে অসুবিধা নেই যে সমাজের অধিকাংশ মানুষ এখনও মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে। কিন্তু একটু গভীর ভাবে ভাবলে দেখা যাবে সমাজ থেকে তীব্র ভাবে মৃত্যুদণ্ডের দাবী ওঠে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং হত্যা ঘটলে। উদাহরণ নির্ভয়া থেকে হায়দ্রাবাদ ধর্ষণ কাণ্ড। সাধারণত ধর্ষণ না হলে সমাজ থেকে মৃত্যুদণ্ডের দাবী ওঠে না। তাই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এই বিতর্কের কার্যত দুটো ভাগ আছে। এক, মৃত্যুদণ্ডের অস্তিত্ব থাকা উচিৎ কিনা এবং দুই, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ কিনা।
    আগে আসা যাক মৃত্যুদণ্ডের অস্তিত্ব থাকা উচিৎ কিনা সেই বিষয়ে। প্রথমত, শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের একটা বড়ো সমস্যা হলো এটা একবার দেওয়া হয়ে গেলে আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির পরেও এই বিতর্ক বারবার দানা বেঁধেছিলো যে ধনঞ্জয় নির্দোষ হলেও হতে পারে। ২০০৪ সালে টেক্সাসে ক্যামেরন টড উইলিংহ্যামকে তাঁর তিন কন্যাকে আগুন জ্বালিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে জানা যায় যে তিনি নির্দোষ(তথ্যসূত্র: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত রিপোর্ট)।
    দ্বিতীয়ত, মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনে যে যুক্তিটি বারবার উঠে আসে তা হল- মৃত্যুদণ্ড অপরাধের প্রতিবন্ধক বা "ডেটারেন্ট" হিসাবে কাজ করে। আজ অবধি কোনও পরিসংখ্যান এটা প্রমাণ করতে পারেনি যে মৃত্যুদণ্ড অপরাধ কমায়। বরং উল্টো পরিসংখ্যান রয়েছে। ১৯৭৬ সালে কানাডায় মৃত্যুদণ্ড উঠে যাওয়ার পর হত্যার সংখ্যা কমতে থাকে।
    তৃতীয়ত, মৃত্যুদণ্ড সামাজিক হিংসার বৃদ্ধি ঘটায়। কারও শাস্তি চাওয়া আর কারও মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার মধ্যে একটা ফারাক আছে। কেউ যখন কারও মৃত্যুদণ্ড চায়; তখন তার মধ্যে যেটা কাজ করে সেটা হলো তীব্র প্রতিহিংসা। লক্ষণীয় যে এই তীব্র ঘৃণা এবং কাউকে মেরে ফেলার যে ইচ্ছা; এটিই কিন্তু সব হিংসার মূলে রয়েছে। এই জায়গাটা বুঝতে না পারলে সমাজ থেকে অপরাধকে দূর করা যাবে না। হায়দ্রাবাদ হোক বা অন্য কোথাও; জনগণ যখন পাগলের মতো কারও মৃত্যু চায়; সেও আদতে মানসিক ভাবে ভয়াবহ একজন অপরাধী হয়ে উঠেছে। যে অপরাধের জন্য সে শাস্তি চাইছে; সেইরকমই একটা ঘৃণা, হিংসাত্মক মানসিকতা সে নিজের মধ্যে বহন করছে। যারা মৃত্যুদণ্ডের লাইভ টেলিকাস্ট দেখতে চায়; তারা মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় নেই এটুকু বলাই যায়। বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয় যখন নির্ভয়া কান্ডে ফাঁসির বিরোধিতা করা মানবাধিকার কর্মীর ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কার্যত রেপ থ্রেট দেওয়া হয়।
    চতুর্থত, শাস্তি বিধানের মূল বিষয়টিই হল অপরাধীকে তার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। সেখানে তাকে সংশোধিত হওয়ার সুযোগ না দেওয়া কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। আর যদি মৃত্যুদণ্ড অপরাধের প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ না করে; তাহলে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রাষ্ট্র সেই একই অপরাধ করছে; যে অপরাধের জন্য সে একজন মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে।
    পঞ্চমত, এ কথা অস্বীকার করে লাভ নেই যে শাস্তি হিসাবে ফাঁসির সামনে পড়েন আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে প্রান্তিক মানুষরাই। অর্থবানরা প্রচুর টাকা খরচ করে, দক্ষ উকিল নিয়োগ করে, প্রভাব খাটিয়ে বেরিয়ে যান। অপরাধের শাস্তির ক্ষেত্রে এহেন ভেদাভেদ অত্যন্ত আপত্তিজনক।
    এ তো গেলো মৃত্যুদণ্ড থাকা উচিৎ কিনা সেই প্রশ্ন। কিন্তু যে প্রশ্নটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল- ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিৎ কি? এখানে ধর্ষণ করে হত্যা বিষয়টি আলোচ্য নয়; কারণ সেখানে কারও জীবনহানি হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষণ হলে সমাজ থেকে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের যে দাবীটা ওঠে; সেটা কতটা যৌক্তিক?
    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে ভারতবর্ষে যত ধর্ষণ হয়; ৯৪.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষক ধর্ষিতার পূর্ব পরিচিত। এই পরিচিতের মধ্যে নিজের পরিবারের লোকজন বা আত্মীয়স্বজন থাকে। যদি ধর্ষণের শাস্তি বাধ্যতামূলক ভাবে মৃত্যুদণ্ড হয় এবং ধর্ষিতা সহ তার পরিবার এটা জানে যে কোর্টে ধর্ষণ প্রমাণ হলেই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হবে; তাহলে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানানোর ঘটনা অনেক কমে যাবে। কারণ নিজের পরিবারের বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে জানলে পরিবারের তরফে ধর্ষিতার ওপর পুলিশে অভিযোগ না জানানোর জন্য চাপ বাড়বে।
    কয়েক বছর আগে নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে বিবিসি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে। সেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিং ক্যামেরার সামনে বলেছিলো তাদের ফাঁসি দিলে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা বাড়বে। কারণ কেউ যখন জানবে সে মারা যাবেই; তখন সে ধর্ষিতাকে মেরে ফেলতে চাইবে যাতে সে অভিযোগ জানানোর সুযোগ না পায়। অনেক সমাজকর্মীও এই যুক্তিতে সহমত পোষণ করেন।
    অনেকেই মনে করেন মৃত্যুদণ্ডের ভয়ে ধর্ষক ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকবে। সত্যি যদি ধর্ষক ভয় পেয়ে ধর্ষণ না করে; তাহলে তার মধ্যে যে ধর্ষকামী চিন্তা রয়েছে সেটা দূর হয়ে যায় না। যেখানে সেই ভয়টা নেই; সেখানেই সে ধর্ষণ করবে। যেমন, বৈবাহিক ধর্ষণ। ভারতীয় আইনে বৈবাহিক ধর্ষণ বেআইনি নয়। কিন্তু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মাত্রেই মনে করবেন যে বিবাহ ধর্ষণ করার লাইসেন্স নয়। সুতরাং লড়াইটা করতে হবে ধর্ষকামী মানসিকতার বিরুদ্ধে। সর্বোপরি; ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলে ধর্ষণকে জীবনের সঙ্গে সমান করে দেখানো হয়। ধর্ষণ হলেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ওঠে বারবার। কেন ওঠে? হত্যা হলে কিন্তু প্রাণদন্ডের কথা সেভাবে ওঠে না। ধর্ষণ হলেই প্রাণদন্ডের কথা ওঠে কারণ কোনও মহিলার ধর্ষণকে সমাজ তার জীবনের সমার্থক হিসাবে দেখে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ এভাবেই ভাবতে শিখিয়েছে। মহিলাদের "ইজ্জত" রক্ষাকে মধ্যযুগীয় ভাবে তার বেঁচে থাকার সঙ্গে সমান করে দেখানো হয়। কারও ইজ্জত তার যৌনাঙ্গের মধ্যে থাকতে পারে না আর সেটাকে রক্ষা করাকেই সম্মান রক্ষা বলে না। ধর্ষণ একটি অপরাধ। হ্যাঁ, এর পিছনে পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা কাজ করে বলে এটি অন্য অপরাধের থেকে আলাদা। কিন্তু একে মহিলাদের সম্মান তথা জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে দেখা বন্ধ হোক। রাস্তায় চলতে গিয়ে পাগলা কুকুর কামড়ালে সেটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক এবং বিপজ্জনক। চিকিৎসা না করালে মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। কিন্তু কুকুরে কামড়ালে কারও সম্মান আঘাতপ্রাপ্ত হয় না বা তার জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায় না। ধর্ষকের অবশ্যই শাস্তি হোক। কিন্তু ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড চাইলে আদতে মহিলাদের বেঁচে থাকাকে আমরা তাদের যৌনাঙ্গকে রক্ষা করার সঙ্গে এক করে দিয়ে সেই পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতাকেই বাড়িয়ে তুলবো যা ধর্ষণের অন্যতম কারণ। যাঁরা ধর্ষিতা হয়েও শারীরিক এবং মানসিক ভাবে লড়াই করে আজকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন; তাঁদের অসম্মানিত করবো। ধর্ষণ অপরাধ, শাস্তি হোক। সচেতনতা বৃদ্ধি করে ধর্ষণ নির্মূল করা হোক। যৌনতা নিয়ে ছুতমার্গ বন্ধ করে একদম ছোটো বয়স থেকে যৌন শিক্ষা দেওয়া হোক। তবেই একমাত্র ধর্ষণকে আটকানো সম্ভব।
    গান্ধারীর আবেদনে গান্ধারীর বিখ্যাত সংলাপ-"দন্ডিতের সাথে- দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।" ন্যায় বিচার সংক্রান্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উক্তি বোধহয় এটিই। দন্ডদাতা যদি সমাজ হয়; তবে সমাজ এখন দন্ড দিয়ে ব্যথিত নয়; উল্লসিত। এই উল্লাসই প্রমাণ দেয় অপরাধ প্রবণতা কমার দিকে সমাজ যাচ্ছে না। সমাজেরই একটা অংশ কেন এমন চূড়ান্ত অমানবিক এবং বর্বর কাজ করলো এবং সেই সমস্ত অপরাধীর সহ নাগরিক হিসাবে বাকিদের ওপর তার কতটা দায় বর্তায়; এই প্রশ্ন সমাজে যতদিন না উঠছে ততদিন এই সমাজে অপরাধ কমা অসম্ভব।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩১ মার্চ ২০২০ | ৩০৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ৩১ মার্চ ২০২০ ১১:০১91901
  • এ নিয়ে গুরুতেই বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সবই পুরেনা যুক্তিতর্ক, করোনার সঙ্গরোধের দিনগুলোতে তবু জানা বিষয়গুলো আরেকবার ঝালাই করে নিয়ে ভাল লাগলো।

    মৃত্যুদণ্ড রোহিতের বিষয়ে চারটি যুক্তিই মোক্ষম। আরেকটি যোগ করি, পঞ্চমত, হত্যার মতো গুরুতর ফৌজদারিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে রাষ্ট্র নিজেও একই ফৌজদারিতে অভিযুক্ত হয়।

    আর ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেই ধর্ষণ কমে যাবে, এমন ভাবার কোনো যুক্তিযুক্ত উদাহরণ বা পরিসংখ্যান নেই, কারণ শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে অপরাধ কমানো যায় না, যদি না অপরাধকে সামাজিকভাবে নির্মূল করা না হয়।

    তারচেয়ে ধর্ষণ ও খুন – উভয় অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে আশংকা থাকে, যে অপরাধী আগে হয়তো শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হতো, এখন সে ধর্ষণের পর খুনও করবে, শাস্তি যখন একই, উপরন্তু খুনের পর ধর্ষকের পরিচয় গোপনের সুবিধা থাকে।

    #

    সম্পাদনা করে লেখায় ছোট ছোট প্যারা ও লাইন স্পেস যোগ করলে অনলাইন লেখায় চোখের আরাম হয়। -- অনুরোধ রইল। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন