এখন, এই কয়েকদিনের উত্তাল সময় পার করার সময় বারবার মনে হচ্ছিল ক্ষমতায় জামাত বিএনপি থাকলে কত সুবিধা হত আমার মত মানুষের। স্বপ্ন দেখতে পারতাম। ভাবতে পারতাম লীগ ক্ষমতায় থাকলে এমন হত না। স্বপ্ন দেখতাম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেই সাম্প্রদায়িকতার বিষকে নির্বিষ করে আমাদের মুক্ত করবে। কিন্তু তা আর হওয়ার না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এবং সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী সরকার। তাহলে এখন আমরা কার কাছে যাব? কিসের স্বপ্ন দেখব? আমাদের সমস্ত আশার আলো নিভে যাচ্ছে, গেছে! ... ...
‘একাত্তরের কথা কেউ মনে রেখেছে না কি? আর তাছাড়া আমি তো যুদ্ধ শুরু করেছিলাম মাত্র, শেষ করতে পারি নি। আমার যুদ্ধ ভারতীয় সেনারাই তো শেষ করে দিল’!…কথোপকথনে প্রয়াত পপসম্রাট, ১৯৭১ এর গেরিলা কমান্ডার আজম খান। ... ...
ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের বিশাল মিছিলে জেনারেল আইয়ুব বিরোধী সেই সময়ে একজন মুসলিম তরুণী প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দুই হাত মুখের কাছে গোল করে লিড শ্লোগানারের ভূমিকা পালন করছেন, ভাবা যায়? ... ...
“…আমি পরিমান বা সংখ্যাকে প্রাধান্য দেই না। যেমন, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সংখ্যা মাত্র কয়েকটা, কিন্তু সুনীল গাঙ্গুলীর প্রায় চারশ’। অথচ বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমবাবুকে কেউ অতিক্রম করতে পেরেছেন? লেখকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মেধাবী রচনা লেখা। লেখকের যদি লেখার প্রতি কমিটমেন্ট না থাকে”… বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক আহমদ ছফা, নয়ের দশকের আলাপচারিতায় ... ...
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এতদিন একতরফা ভারতের আধিপত্য ছিল। এবার গ্রুপ পর্যায়ে তিন শূন্য গোলে হারায় ভারতকে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারায় আট শূন্য গোলে। সেমিতে ভুটান হারে আট শূন্য গোলে। ফাইনালে নেপাল হারে তিন এক গোলে। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এমন একতরফা খেলে টুর্নামেন্ট জিতল কোন দলটা? যাদেরকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় পেটের ভাতের জন্য। রূপকথা না? এই দলটার আট জন এসেছে একটা গ্রাম থেকে, নেত্রকোনার কলসিন্দুর গ্রাম, যেখানে অদ্ভুত ভাবে মেয়েরা দারুণ ফুটবল খেলে। যাদের নিয়ে কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয় একটা প্রতিবেদন, যেখানে তাঁদের চাওয়া কি জানতে চাইলে মেয়েরা বলে ভাল করে খাওয়া! এক বেলা ভাল করে খাওয়ায় দিয়েন!! কারা আমাদের সাফল্যের মুকুট এনে দিয়েছে বুঝা যাচ্ছে? পাঁচজনের বাড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাঁদের তো আরও সমস্যা। কোন কিছুরই স্বীকৃতি নাই। পাহাড়িদের তো মানুষই মনে করে না আমাদের সভ্য সুন্দরেরা। তাঁদের নাই ঘর বাড়ি, তাঁরা গেছে ফুটবল খেলতে! এই সব সমস্যার পরে আমাদের ঐতিহাসিক আদর্শ নারী বিরোধীরা তো আছেই, যারা প্রতিনিয়ত অশ্লীল, পাপ, রসাতলে গেল সমাজ বলে চিৎকার করছে। এদেরকে লাথি মেরে এগিয়ে যাওয়া, শুধু যাওয়া না, চ্যাম্পিয়ন হওয়া এইটার সাথে কিসের তুলনা দেওয়া যায়? আমার জানা নাই, সত্যিই জানা নাই। ... ...
“গারো আদিবাসীর ফসলের বীজ বোনার উৎসব রংচুগালার আয়োজন ক্রমেই কমে আসছে, সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। এর কারণ, সাংসারেকরা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন, বা খ্রিস্টান হচ্ছেন, এমন নয়. সাংসারেকদের যে প্রবীন প্রজন্ম এই রীতিনীতি পালন করেন, তারা প্রত্যেকেই অনেক বয়স্ক, তাদের বয়স ৭০ বা ৮০ বছর। প্রতি বছরই একজন-দুজন করে তারা মারা যাচ্ছেন। সাংসারেক ধর্মটি এমন নয় যে, কাউকে দীক্ষা দেওয়া যায়। তাকে আসলে জন্মগতভাবেই সাংসারেক হতে হয়। আবার অনেকে নতুন করে খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।” ... ...
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করে বঙ্গন্ধুকে পয়গাম্বার বানানোর যে চেষ্টা করা হয় তার কোন দরকার নাই। তিনি মানুষ ছিলেন, কোন প্রেরিত পুরুষ ছিলেন না। তিনি এই বাংলার একদম মাটি থেক উঠে আসা মানুষ ছিলেন, কৃষক পরিবার থেকে উঠে, কোন প্রকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য না থাকা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু তিনি মানুষ ছিলেন এইটা আমরা যেন না ভুলে যাই। এত বছর পরে উনার ভুল ত্রুটি নিয়েও আলোচনা হোক, আমরা উনার অবিশ্বাস্য সব কৃতীর কথা জানি, এক রোখা ভঙ্গিতে সমস্ত চাপকে পিছনে ফেলে দেশকে ধরে রেখেছিলেন ধর্মনিরেপক্ষ হিসেবে। পেট্রো ডলারের প্রলোভন ছিল, উল্টা দিক থেকে ইজরাইলের মত দেশের তরফ থেকেও প্রলোভন ছিল। রাশিয়া হাত ধরলেও আমরা চলে যেতে পারতাম সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দিকে। কোন সঠিক ছিল কোনটা ভুল ছিল এই সব নিয়ে আলোচনা না হলে ভবিষ্যতে বিপদেই পড়ব আমরা। ... ...
পাকিস্তান আমলে বামপন্থি একটা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল, নাম ক্রান্তি। ক্রান্তি দল একবার টাঙ্গাইলে গান গাইতে যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে হায়দার আকবর খান রনোকে বলে যে তারা মাওলানা ভাসানির সাথে দেখা করতে চায়। রনো সাহেব তাদের নিয়ে চলে যান সন্তোষে মাওলানা ভাসানির সাথে দেখা করতে। মাওলানাকে ঘিরে সবাই বসে আবার গান গাওয়া শুরু করে। মাওলানা মনোযোগ দিয়ে শুনে সব গুলা গান। পরে তিনি সবাইকে চা নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। গান নিয়েই আলোচনা চলতেছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে ভাসানি তাদের বলেন, গান তো ভালই, মুশকিল হচ্ছে এই গান বুঝতে হলে তো কৃষকের বিএ পাস করতে হবে আর না হয় রনোকে যেতে সব জায়গায় এই গানের অর্থ বুঝিয়ে দিতে! এই উদাহরণটা দিলাম কারণ আমাদের প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখনও একই অবস্থা। বিপ্লব করব কী। আমরা তো ভাষাই জানি না কৃষকের! প্রচুর প্রগতিশীল মানুষ, সৎ মানুষ, আক্ষরিক অর্থেই ভাল মানুষ, মানুষের ভাল চায় এমন মানুষ জানেই না সাধারণ মানুষের ভাষা! ঢাকা কেন্দ্রিক সব, এখন আরও বিপদ হচ্ছে অনলাইন বা ফেসবুক কেন্দ্রিক কাজকাম! মানুষ ভুলেই গেছে ফেসবুক বাংলাদেশ না। ফেসবুকের বাহিরে পুরো বাংলাদেশই পরে আছে, যাদের নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নাই। যারা এর বাহিরে কাজ করতে চায় তারা সাধারণ মানুষের ভাষাই বুঝে না, কাজ কী করবে? এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কুসংস্কারে খাচ্ছে, ধর্মান্ধতা খাচ্ছে, অশিক্ষায় খাচ্ছে, অপসংস্কৃতি খাচ্ছে। আমাদের ঢাকা কেন্দ্রিক নেতৃত্ব শাহবাগে মানব বন্ধন করে কর্তব্য পালন করছে। আমরা এদিকে হারিয়ে যাচ্ছি অতলে। ... ...
…এবার দুজনে ছোট একটা পাহাড় থেকে নীচে নামতে থাকি। ছম ছম শব্দ এখন আরো প্রকট হচ্ছে। হঠাৎ টর্চের আলোয় এক বিস্ময়ের খানিকটা দেখে জুমলিয়ান দা’র বাহু আকড়ে ধরি। ‘ও দা, ও দা, মুই মরি যেম।’ ...অপর বাংলার পাহাড়ে পরিভ্রমণ… ... ...
এই নিদানকালে মন ভাল করে দেওয়ার মতো একটি তাজা খবর! মানে, যে খবরে পাঠক মন দিলখুশ হয়, যেন বেশ একটা বসরাই গোলাপের সুবাস ছড়ায়, মৃদুমন্দ ফুরফুরে দখিনা বায়ু বয়, কান পাতলেই অস্ফুট শচিন কর্তা শোনা যায়, ‘আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই, বাংলাদেশের ঢোল‘ -- এটি হচ্ছে সে রকম একটি খবর। ... ...
বার বার নিজেকে বোঝাই, আজীবন সারথি জয়ীকেও একই কথা বলি, মার মৃত্যুর জন্য ভেতরে ভেতরে আমরা প্রত্যেক ভাইবোন প্রস্তুত ছিলাম, জীবনের মতো মৃত্যুও অনিবার্য! তবু চোখ মুছলেও যেন কান্না মোছে না।... ... ...
…"অতএব, আমরা হইহই করে বাসে চেপে বেরিয়ে এলাম জাদুঘর - ডোডোপাখির দিকে চোখ টিপে বললাম, সি ইউ দেন - চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিটা আমাদের দেখে হইহই করে উঠল, মানুষ না দেখে দেখে বড্ডো ক্লান্ত ছিল সে-ও - ভিক্টোরিয়ার ঘাসগুলো বেড়ে উঠেছে অনেকটা এরই মধ্যে, বসতে গেলে একটু অস্বস্তিই হয় - সে হোক, আমাদের হাতে দস্তানা, মুখে ঢাকনা আঁটা। আসলে, ভুলে গেছিলাম, মারণাস্ত্র সবক্ষেত্রে দৃশ্যমান নয়।"… (বিষাণ) ... ...
মৌলবাদের উত্সমুখ যতদিন বন্ধ না হবে, ততোদিন অসির বিরুদ্ধে মসির অসম লড়াই চলতেই থাকবে। অন্যদিকে, আমরাও মুক্তমনার সংগ্রাম এগিয়ে নিতে মরীয়া। মৌলবাদের ছুরির নীচে গলা পেতে দিতে সর্বদাই প্রস্তুত। আর নির্মম বাস্তবতা এই যে, শেষ পর্যন্ত হত্যা করে অভিজিতদের শেষ করা যায় না। কারণ আমরা আসলে একেকজন রক্তবীজের ঝাড়। যতোবারই হত্যা করো, ততোবারই আমরা জন্মাবো। অভিজিতের মরণ নাই। আমিই অভিজিৎ! ... ...
শত ব্যস্ততা, নিত্যকর্ম, আর কর্পোরেট কার্টিসির ব্যুহ ভেদ করে বার বার মনের গহিনে গোপনে হানা দেয় পাহাড়ের গণহত্যা, গণধর্ষন, ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির, কল্পনা চাকমা অপহরণ, মেশিন গানের গুলির ভেতর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মিছিল-- আরো অসংখ্য রক্তাক্ত অতীত স্মৃতি… কেউ জানে না সে এক গোপন হরর থ্রিলার যাত্রা, ব্যাং ব্যাং ক্লাবের একই কেভিন-যন্ত্রণা! আর ঘুমের ঘোরে এখনো ফিরে ফিরে আসে বাঘাইছড়ির সেই আশ্চর্য দেবশিশুর দল।... ... ...
১৯৭১ এ স্বাধীনতার পর উর্দূভাষী আটকে পড়া পাকিস্তানীরা, যারা ‘বিহারী’ নামে এখনো পরিচিত, অনেকেই দেশবিভাগের সময় বিহার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা ঘোলকে বলতেন ‘মাঠা’। তো মোহাম্মাদপুরে বিহারী বসতিপূর্ণ এলাকায় বাসার গলির মুখে খুব ভোরে বিশাল এলমুনিয়ামের হাড়ি নিয়ে গাল ভাঙা, খোঁচা খোঁচা কাঁচাপাকা দাঁড়ির বিহারী ঘোলওয়ালা বসতেন। তার হাড়িতে থাকতো ঘরে তৈরি ঘোল। হাড়ির মুখটি কাঁচের চৌকা টুকরো দিয়ে ঢাকা থাকতো। ওপরে বসানো থাকতো ছোট ছোট কাঁচের গ্লাস। মাঝারি মাপের এলমুনিয়ামের মাগ দিয়ে ক্রেতাদের ওইসব সব গ্লাসে ঢেলে দেওয়া হতো সুস্বাদু ফেনা ওঠা ঘোল। আর উঁকি দিলে হাড়িতে দেখা যেত ঘোলের ওপর বিস্কুট মাপের হলুদাভ মাখন ভাসতে। প্রতি গ্লাস দুই সিকি (তখনো একে ‘চার আনা’ বলা হতো) বা পঞ্চাশ পয়সা (‘আট আনা’) মাত্র। ঘোল ওয়ালা মাঝে মাঝে হাঁকতেন, ‘এই মাট্টঠাআআআআ…’! ... ...
নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বনানীর পর বেইলি লোড-- ঘন বসতিপূর্ণ পুরানো ঢাকা থেকে শুরু করে মেগাসিটি ঢাকা, একের পর এক লকলকে আগুনের শিখায় পুড়ছে শত প্রাণ, চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। তাহলে এতোসব উন্নয়নের ফিরিস্তি কি কেবলই কথামালার রাজনীতি? অগ্নি-দুর্ঘটনা থেকে নাগরিকের সুরক্ষা নেই? ... ...
…বন্ধু বুদ্ধজ্যোতি চাকমাসহ কিশোরী কন্যা ময় মহাজনের আপ্যায়নে শাপলা লতা-সিঁদোলের (সিঁদোল বা নাপ্পি, একধরণের শুটকি মাছ) ঝোল তরকারি ও খানিকটা গরম ভাতে সেরে ফেলা হবে সকালের খাবার। এক ফাঁকে “ময়” কথাটির অর্থ জানতে চাওয়ায় লাজুক কিশোরীর চতুর উত্তর হবে এ রকম : “যখন আপনারা ক্রেওক্রাডং-এর চুড়ায় পৌঁছাবেন, তখনই জানতে পারবেন এই নামের অর্থ!” অবশ্য আরো পরে জানা হয়েছে, বম ভাষায় “ময়” কথাটির মানে সুন্দরী। ক্রেওক্রাডং-এর খাড়া পাহাড়ি পথ ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা চলা শুরু। দীর্ঘতর পাহাড়ের পথযাত্রায় মুগ্ধ হতে হয় বিচিত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। চারপাশে সুনসান নীরব পাহাড়ের পরে পাহাড়, মেঘের পরে মেঘ, অরণ্যর পরে অরণ্য, সবুজের পর আরো সবুজ...যেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফি টেলিভিশনের ভেতর ঢুকে পড়া গেছে। ... ...
তিনটি হাসপাতাল ছাড়া দেশের আর কোনো হাসপাতালে করোনা শনাক্তের ল্যাব নেই। চিকিৎসক-নার্সদের করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত মেডিকেল কিট ইত্যাদি অল্প কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও নেই। ঢাকা মেডিকেলসহ অধিকাংশ হাসপাতালই এখনো করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতই নয়। যে ১০ টি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তার সবই আবার ঢাকাতেই। করোনা ভীতির কারণে দেশের অধিকাংশ হাসপাতালই সীমিত করেছে চিকিৎসা সেবা। সাধারণ রোগিরা বিপাকে। এই বাস্তবতায় দ্রুত করোনার বিস্তার হতে থাকলে কী আছে আগামীতে? … ... ...
আজও প্রতি রাতে মা ঢাকায় যান। ভোরবেলা ঘুম ভাঙে তাঁতিবাজরের পয়ঁতাল্লিশ নম্বর বাড়িতে। তারপর বেলা বাড়লে তিরাশি বছরের বালিকাটি যান বাংলাবাজার গার্লস স্কুল। মধ্যাহ্নে ইডেন কলেজ। সন্ধ্যাবেলা আরতির ঘন্টা বাজে রাধানাথ জিউর মন্দিরে, দূরের শাঁখারি পাড়া থেকে ভেসে আসে শঙ্খধ্বনি। আমি হাঁটতে থাকি বুড়িগঙ্গার পাড় ধরে। চলে যাই সিংহল সমুদ্র পেরিয়ে, কাশ্মীর উপত্যকা ভেদ করে, সিরিয়ার ঊষর স্থলভূমির দিকে, পৃথিবীর অগণন শরণার্থী শিবিরের অভিমুখে। ... ...