এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • জাতীয় শোক দিবস 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১০৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। অবিশ্বাস্য ভাবে এমন একটা জঘন্য কাজকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া হয়েছে দীর্ঘদিন। তেমন কোন সাড়াশব্দ না, যেন খুব স্বাভাবিক ঘটনা এটা যে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা হবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া হবে না, ইতিহাস লেখা হবে অথচ জাতির জনকের নাম নিয়ে ধানাইপানাই চলবে। এমন করেই ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে এখানে। সেই চেষ্টার ফল ভাল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নাম তো মুছে ফেলা যায়নি বরং এখন যা হয়েছে তা মনে হচ্ছে বড্ড বেশি হয়ে গেল যেন! বেশি বেশি করার কারণও আগের সেই মুছে ফেলার চেষ্টার খেসারত। পৃথিবীর ইতিহাসে যত ন্যাকারজনক ঘটনা আছে তার মধ্যে অন্যতম একটা হচ্ছে আমাদের জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা। সেই ঘটনাকে অসম্মান করার জন্য যখন কেউ সেইদিন জন্মদিন পালন করে তখন এখনকার এই সব বাড়াবাড়ি আর বাড়াবাড়ি মনে হয় না। ছোট্ট রাসেলের মুখটা কেউ চিন্তা করলে আর যদি তার ভিতরে ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থেকে থাকে তাহলে তার পক্ষে আজকের দিনে উল্লাস করা সম্ভব? এই বাংলাদেশে তাই হয়েছে, দিনদিন পর দিন হয়েছে, বছরের পর বছর হয়েছে! 

    আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করে বঙ্গন্ধুকে পয়গাম্বার বানানোর যে চেষ্টা করা হয় তার কোন দরকার নাই। তিনি মানুষ ছিলেন, কোন প্রেরিত পুরুষ ছিলেন না। তিনি এই বাংলার একদম মাটি থেক উঠে আসা মানুষ ছিলেন, কৃষক পরিবার থেকে উঠে, কোন প্রকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য না থাকা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু তিনি মানুষ ছিলেন এইটা আমরা যেন না ভুলে যাই। এত বছর পরে উনার ভুল ত্রুটি নিয়েও আলোচনা হোক, আমরা উনার অবিশ্বাস্য সব কৃতীর কথা জানি, এক রোখা ভঙ্গিতে সমস্ত চাপকে পিছনে ফেলে দেশকে ধরে রেখেছিলেন ধর্মনিরেপক্ষ হিসেবে। পেট্রো ডলারের প্রলোভন ছিল, উল্টা দিক থেকে ইজরাইলের মত দেশের তরফ থেকেও প্রলোভন ছিল। রাশিয়া হাত ধরলেও আমরা চলে যেতে পারতাম সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দিকে। কোন সঠিক ছিল কোনটা ভুল ছিল এই সব নিয়ে আলোচনা না হলে ভবিষ্যতে বিপদেই পড়ব আমরা। 
    এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার ধুম লেগেছে। আমি যেহেতু বই কিনে পড়ার লোক, আমার হইছে যন্ত্রণা। প্রায়ই আবর্জনা কিনে নিয়ে আসি! আমার কোন আগ্রহ নাই বঙ্গবন্ধুর প্রিয় খাবার কি তা জানার, প্রিয় শিল্পী কে ছিলেন দিয়ে জাতির কোন উপকার হবে আমার জানা নাই। এগুলা বঙ্গবন্ধু না। মানুষ যেমন ধর্ম পালন করে তেমন করেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছে। টাকনুর উপরে পায়জামা পরল না পরল, দাড়ি কয় ইঞ্চি রাখল, নেকাব থাকবে বা থাকলে কেমন হবে তা এগুলা দিয়ে কোনদিন ধর্ম প্রতিষ্ঠা পায়নি। ইসলাম বর্বর আরব দেশে এসে এগুলা দিয়ে মানুষের মন জয় করেনি। কী দিয়ে করেছিল? সেই প্রশ্নের আশেপাশেও নাই কেউ। যার ফলে কপালে কালো দাগ ফেলে দিছে নামাজ পড়তে পড়তে অথচ ধরা খাইছে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করতে গিয়ে! 
    একই কাণ্ড হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও। মুজিব কোট পরে ফুল নিয়ে হাজির সব অথচ জানেই না লোকটা মরল কেন! কিসের সাথে আপস করলে লোকটা বেঁচে যেত, কাদের সাথে আপস করে নাই বলেই এমন নির্মম ভাবে প্রাণ দিতে হল সেই দেশে যার জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় শাসক দলের অত্যাচার, জেল, জলুম সহ্য করে গেছেন। 
    আর এই তেলবাজরাই তেল দিয়ে, বুঝে না বুঝে বঙ্গবন্ধুকে মানুষ হিসেবে মানুষের সামনে না এনে পয়গাম্বর হিসেবে হাজির করছে। ফলাফল মানুষের অন্তর থেকে মুছে যাচ্ছে, বিতৃষ্ণা জন্ম নিচ্ছে। ১৫ আগস্ট নানা জায়গায় নানা কর্মসূচি থাকে, সরকারি নির্দেশ মানতে যায় একেকজন। কয়জন মনে যে এই লোকটা না থাকলে সাধের যে চাকরি করে আজকের দিন ছুটি কাটাতে চাচ্ছি তার দুইশ মাইলের মধ্যেও যেতে পারত না! মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করেও দেখছি প্রবল অবহেলা শোক দিবস নিয়ে! শাসক শ্রেণী এর সমাধান হিসেবে চিন্তা করছে আইন জারি করা, বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকতে হবে! আইন করে, বঙ্গবন্ধুকে ঐশ্বরিক কিছু হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে কোন কাজের কাজ হচ্ছে না। 
    অথচ এমন হওয়ার কোন কথা ছিল না। আমরা ইতিহাস বিস্মৃতি জাতি। এইটা সত্য। জীবনের নানা টানাপড়েনে নগদ সমস্যা নিয়েই ভাবতে পছন্দ করি। এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু যে একই সুতায় গাঁথা এইটা ভুলে যাই সহজেই। অন্য অনেক সমস্যার মত এই সমস্যারও সমাধান আমার কাছে মনে হয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ভাল করা। আমি জানি না কোথায় গলদ। কিন্তু জানি গলদ আছে। যেই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সবচেয়ে ভাল ভাবে শিক্ষিত মানুষজন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ১৫ আগস্ট নিয়ে উদাসীন হতে পারে সেই শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গলদ আছে তা সহজেই বুঝা যায়। যে শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে সম্মানের বলে স্বীকৃত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানকার শিক্ষার্থীরা মনে করে ১৫ আগস্ট দলীয় কর্মসূচি সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার এখনই মনে হয় সময়। আমরা দলে দলে শিক্ষার নামে আসলে কী গ্রহণ করছি তা ভেবে দেখা দরকার। আমার উগ্র জাতীয়তাবাদের দরকার নাই। নিজ দেশ, দেশের ইতিহাস সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধটুকু থাকবে না? 
    ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধু যে দলীয় কোন চরিত্র না, তিনি যে এই পলিমাটির মানুষ ছিলেন এই বোধ যেন আমাদের সকলের বোধগম্য হয়।     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১০৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১১:১১511008
  • বঙ্গবন্ধুর এক খুনী কর্ণেল ফারুক লন্ডনের একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছিলো- বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করার অপরাধে তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা অনেকেই আবার ইসলামিক সমাজতন্ত্র নামক এক ঢপের চপে বিশ্বাস করত। 
     
    সুহানের (সুহান রিজওয়ান)  'সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ'   ভাল বই। যদিও সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নয়, তবু বঙ্গবন্ধুও আছেন। আর আছে সময়টা।  
    নন ফিকশানের মধ্যে নজরুল সৈয়দের লেখা নেভেম্বর ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু খুন ও পরবর্তী সম্অয়টুকু নিয়ে লেখা। 
    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ নির্মাণ - হাসান মোরশেদ এই বইটা আমি এখনও পড়ি নি তবে হাসান মোরশেদের লেখার দীর্ঘদিনের অনুসরণকারী হিসেবে মনে হয় তথ্যসমৃদ্ধ ভাল বইই হবে। 
    আপনি সম্ভবতঃ সবকটাই পড়েছেন তবু এখানে লিখে রাখলাম অন্য কেউ যদি আগ্রহী হন। 
  • guru | 103.170.182.235 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১২:৫৮511010
  • হুমায়ুন আহমেদেরও ১৯৭৫ সালের ঘটনা নিয়ে একটি উপন্যাস আছে নামটি এখন মনে পড়ছেনা একটি গরিব মাস্টার এর চরিত্র নিয়ে গল্প |
     
    কেউ বলে দিলে ভালো হয় ভাই |
     
    বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে একটু বক্তব্য আছে | ভাই বাকশাল ও তার পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে কি কোনো সম্পর্ক আছে ?
     
    আচ্ছা সাদেক ভাই ছয় দফা দাবি নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষের কি বক্তব্য ? আপনার কি মনে হয় যে বর্তমানেও ছয় দফা দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগের চলা উচিত ?
     
     
  • Swati Ray | 117.194.32.58 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৪:১০511019
  • ভাল লাগল লেখাটা। কোন মানুষ কেই যে পয়গম্বর ভাবতে নেই বরং  ইতিহাসের প্রেক্ষিতে তাকে বিচার করতে হয় সেটা এই উপমহাদেশের কম জনই বোঝেন। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৪:৪৮511020
  • দ, শুরুর জন্য হাসান মোরশেদ ভাল। উনার সেরা কাজ হচ্ছে জগৎ জ্যোতি দাসকে নিয়ে লেখা দাস পার্টির খোঁজে। এরপরে আমি আর আমার জন্য কিছু খুঁজে পাইনি। মনে হয়েছে এসব তো জানা কথাই! সুহান রিজওয়ানের সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ সেরা। উপন্যাস হিসেবে তো বটেই ইতিহাস হিসবেও সেরা। অদ্ভুত সুন্দর একটা বই। তাজউদ্দীনকে এমন করে আর কেউ তুলে আনেনি। তাজউদ্দীনের মেয়ে যে বই লেখছে সেটাও এমন হয়নি। নজরুল সৈয়দের লেখা আমি পড়িনি। পড়ার ইচ্ছা থাকল। আর শুধু ফারুক না, ওই চক্র পুরোটাই এমন বিশ্বাস করত। এবং আপনি যদি ওদের পরবর্তী কাণ্ডকারখানা দেখেন তাহলে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। একে তো রক্ত তাজা থাকতে থাকতেই সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে দিছেই, অন্য আরব রাষ্ট্ররাও লাইন ধরে স্বীকৃতি দিয়ে দিছিল। ১৫ আগস্ট ভোরে যখন ডালিম রেডিওতে ঘোষণা দেয় রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে তখন তার বক্তব্য শেষ করে ইসলামিক রিপাবলিকান অফ বাংলাদেশ বলে। তলে তলে পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন তৈরি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছিল। এবং ঠিক সেই মুহূর্তে ভারত বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। নিজের স্বার্থেই হোক বা যে কারণেই হোক ভারত সাহসী একটা পদক্ষেপ নেয়। সমর সেন তখন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি ১৫ আগস্ট দিল্লী ছিলেন, পরেরদিন চলে আসেন ঢাকা। ঢাকা এসে ১৮ আগস্ট দেখা করেন নব নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাকের সাথে। বাংলাদেশের পত্রিকায় দুইজনের হাস্যোজ্জ্বল ছবি ছাপা হলেও সেই ছবির আগের গল্প ভিন্ন ছিল। সমর সেন মোশতাক দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটা কূটনৈতিক নোট পড়ে শোনান। মোশতাক নোট শুনে চেয়ারে বসে পড়েন। নোটে কী লেখা ছিল? নোটে লেখা ছিল -
    "যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং যদি কোন দেশের সাথে কনফেডারেশন করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিবে। কিন্তু যদি নাম পরিবর্তন এবং তথাকথিত কনফেডারেশনের ধারনা থেকে বিরত থাকে, তাহলে ১৫ আগস্ট যা-ই ঘটে থাকুক না কেন ( ভারত) তাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করবে।" এই প্রচ্ছন্ন ধমকের ফলে মোশতাক এই পথে আর পা বাড়ায়নি। না হলে হয়ত এই দেশের ভাগ্য অন্যরকম হত, ইতিহাস ভিন্ন হত। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৪:৫৮511021
  • @গুরু, হুমায়ুন আহমেদের গল্পের কথা মনে পড়ছে না। জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প নামে একটা উপন্যাস আছে, সেখানে বিস্তারিত লেখা আছে। বেশ ভাল উপন্যাস। তবে ওই সময় নিয়ে সেরা উপন্যাস আমার কাছে সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ। বাকশালকে দায়ী করা হয় এখন, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। জিয়াউর রহমান নিজেই গিয়ে বাকশালে যোগ দিয়েছিল। বাকশাল না হলেও এমন কিছু হত। যে ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল তা একদিনে না আর তা ব্যর্থ হওয়ার জন্যও না। বঙ্গবন্ধু আবেগি ছিলেন, নানা জায়গা থেকে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও তিনি সতর্ক হওন নাই। বঙ্গভবনে না থেকে থাকতেন ধানমন্ডিতে ছোট্ট একটা বাসায়। প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট বলে কিছু ছিল না। বঙ্গভবনে থাকলে সবই থাকত। তিনি নিরাপদে থাকতেন। 
    আপনার শেষ কথাটা বুঝিনি। ছয় দফা কেন এখনও প্রাসঙ্গিক হবে? ছয় দফা ছিল আমাদের মুক্তির সনদ। প্রতিটা দফায় লুকিয়ে ছিল স্বাধীনতার কথা। যত সহজ মনে হয় দফা গুলো তত সহজ ছিল না। আর তাই ছয় দফা মেনে নিতে চায়নি পাকিস্তান। এখন ছয় দফা কোনমতেই প্রাসঙ্গিক না। 
    @Swati Ray, ধন্যবাদ। 
     
  • guru | 103.170.182.235 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৫:৫৬511023
  • "যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং যদি কোন দেশের সাথে কনফেডারেশন করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।"
     
    ভাই আপনি সমর সেন এর মোশতাককে দেওয়া নোটটির কোন প্রামাণ্য সোর্স দিতে পারবেন ? আমি এইরকম কিছুর কথা জানিনা | এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা যদি সত্যি এইরকমই হয়ে থাকে যে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ রক্ষাত্রে এবং আপনি কোন বৈধ চুক্তির কথা এখানে বলতে চাইছেন সেটাও ঠিক বুঝতে পারছিনা | এই চুক্তি কি এখনো বহাল আছে ? এই চুক্তি যদি বহাল থাকে তাহলে তো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে শর্তাধীন বলতে হচ্ছে | আপনি এই নিয়ে কি বলেন ?
     
    আমি নিজে ভারতে সম্প্রতি ১৯৭১ এর উপরের একটি বই পড়েছি সেখানে বলা হচ্ছিলো যে আসলে ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চায়নি বরঞ্চ ইসলামাবাদে ভারতপন্থী শেখ মুজিব গদিতে বসলে ভারতের লং টার্মে রাজনৈতিক সাফল্য আসতো | হয়তো এই কারণেই মুক্তিযুদ্ধের শুরু হবার প্রায় ৮ মাস পরেও ইন্দিরা কিন্তু বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেননি কেননা উনি চাইছিলেন যাতে যুদ্ধটি অন্তত আরো কয়েক বছর চলে যার ফলে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত আরো দুর্বল হয়ে ভারতপন্থী মুজিব কে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হয় | আপনি এই নিয়ে কি বলেন ?
     
    আমি একটি কথা বুঝতে পারিনা আচ্ছা মুজিব কি সত্যি স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন নাকি স্বাধীন অখণ্ড পাকিস্তানের প্রথম গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন ? ধরুন ১৯৭১ এর ১৪-ই অগাস্ট ভুট্টো আর Yahiya মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়ে গৃহযুদ্ধ শেষ করতে ডাক দিতেন তাহলে তাজউদ্দীন কি করতেন ? উনি কি কলকাতা থেকেই ইসলামাবাদের প্লেন ধরতেন ? ভাই আপনি কি বলেন ?
     
    "প্রতিটা দফায় লুকিয়ে ছিল স্বাধীনতার কথা। যত সহজ মনে হয় দফা গুলো তত সহজ ছিল না। আর তাই ছয় দফা মেনে নিতে চায়নি পাকিস্তান।"  "যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং যদি কোন দেশের সাথে কনফেডারেশন করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।"
     
    সাদেক ভাই আমি যতদূর জানি বাংলাদেশের অফিশিয়াল পজিশন হলো যেনো পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের জন্য ক্ষমা চায় | পাকিস্তানের নেতাদের মধ্যে আমি যতদূর জানি শেষপর্যন্ত একটি বক্তব্য আছে যে বাংলাদেশ যুদ্ধে তারা ভারতীয় চক্রান্তের শিকার এবং তাই তারা ক্ষমা চাইবেনা | আপনার এই দুটি বক্তব্যই কিন্তু পাকিস্তানের পজিশনকেই পরোক্ষভাবে জাস্টিফাই করছে |  
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2885:2bd1:69c9:cc42 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৯:৪১511041
  • 'জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প' ভাল লেগেছে।  'সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ'   পড়তে হবে 
     
    মুজিব হত্যার পর জেলের ভিতরে তাজউদ্দীন ও আরও কয়েকজন কে খুন করা হয়। সেটাও ছিল প্রচন্ড বড় আঘাত, নবীন রাষ্ট্রের জন্য 
     
    তাজউদ্দীন সম্পর্কে যেটুকু পড়েছি, খুবই বড় মাপের মানুষ ছিলেন 
  • guru | 103.170.182.235 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ২০:১৩511044
  • সাদেক ভাইয়ের কথা শুনেই এই 'সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ' বইটি ডাউনলোড করেই পড়া শুরু করে দিয়েছি | আমি ৪৪৪ পাতার বই এর এখন ৩১৩ পাতাতে আছি | বইটি ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল |
     
    মনে হয় আজ রাতের মধ্যে এই বইটি শেষ হয়ে যাবে |
     
    শেখ হাসিনার মনে হয় এই বইটির উপরে সিনেমা করলে মানুষের মনে একটা চিরকালীন দাগ কেটে থাকতো |
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:১৪511052
  • guru, আমি বেলা- অবেলা, বাংলাদেশ ১৯৭২- ১৯৭৫, মহিউদ্দিন আহমদ, প্রকাশক বাতিঘর, এই বইয়ের ২৮০ নাম্বার পাতার রেফারেন্স দিচ্ছি। আপনি দেখে নিতে পারেন। মহিউদ্দিন আহমদ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইতিহাস লেখক। আমি নিজে উনার লেখার খুব ভক্ত। উনার মুক্তিযুদ্ধ ও তৎকালীন সমাজ, পরবর্তী সময় নিয়ে দারুণ সিরিজ রয়েছে। তিনি আলাদা আলাদা ভাবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাসদ নিয়ে বই লিখেছেন। ওই সময় নিয়ে লিখেছেন। তিনি এখানে দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার সম্পাদক মানস ঘোষের একটা নিবন্ধনের রেফারেন্স দিয়েছেন যা ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ছাপা হয়েছিল। এ ছাড়া এই তথ্যের আরও একটা রেফারেন্স হচ্ছে ফ্রন্টলাইন পত্রিকা। সমর সেন ভারতের ফ্রন্টলাইন পত্রিকার সঙ্গে ১৯৯৮ সালে ২১ নভেম্বর কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি নিজেই এইটা জানিয়েছিলেন।  
    এরপরে আপনি তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। এই চুক্তি মুক্তিযুদ্ধের আগের চুক্তি না যে আপনি এটাকে পাকিস্তান ভাঙার কারণ বলবেন।মুক্তিযুদ্ধের পরে এমন একটা চুক্তি করা হয় নিজের স্বার্থেই। 
    এরপরে আবারও ভুলভাল বলছেন। মানে যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না কথায়। মুজিব যদি পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসতেই চাইত তাহলে ৪৭ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য কাজ শুরু করত না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, যেটার জন্য আয়ুইব খানকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়, উনসত্তুরের উত্তাল আন্দোলন, সেই মামলায় গোঁজামিল থাকলেও মুজিব যে ভারতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে এইটা সত্য। ভারত তখন তাকে অপেক্ষা করতে বলে। সময় হয়নি বলে জানায়। উনি প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে আরও সহজেই হতে পারতেন। তিনি ইয়াহিয়ার কথা মেনে নিলে, ভুট্টু কিক আউট হয়ে যেত সহজেই। ইয়াহিয়া আর মুজিব পাকিস্তান শাসন করত। কিন্তু এগুলা কোনটাই তিনি করেন নাই। আপনি যদি লোকটার আগে পরের কাজকাম হিসাব না করেন তাহলে মনে হবে যে তিনি বুঝি ক্ষমতার জন্যই এই কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে হলে পুরোটাই বুঝতে হবে। 
    এখন আপনি বলবেন তাহলে পাকিস্তানের কথাই ঠিক। ভারতের ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান ভাগ হয়েছে। না। আমরা চাইছি বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১২০০ কিলোমিটার দূরের দুইটা দেশ, যাদের কোন কিছুতেই মিল নেই, যাদের ভাষা আলাদা, যাদের সংস্কৃতি আলদা তারা একদিন ভাঙবে এইটা দিনের আলোর মত সত্য। কবে কীভাবে ভাঙন হবে এইটাই ছিল শুধু দেখার। আপনি শেষে একটা ভুল কথা লিখেছেন। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে নাই। যুদ্ধে আমরা রক্ত দিয়ে জয়ী হয়েছি। যুদ্ধের জন্য কখনো কোন দেশকে ক্ষমা চাইতে হয় না। বাংলাদেশ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী, আর্মি দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার বিচার চায়, তার জন্য ক্ষমা চাইতে বলে। যুদ্ধ এক জিনিস আর গণহত্যা ভিন্ন জিনিস। ত্রিশ লক্ষ মানুষ নয় মাসে মেরে ফেলে আশা করবে তারা ভারতের ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান ভাগ হয়েছে বলবে আর সবাই মেনে নিবে? কোনদিন দিন না।  
  • guru | 103.170.182.235 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:১৪511053
  • এই 'সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ' বইটি এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম | খুবই জীবন্ত | এই যে মানুষগুলি শেখ মুজিব , তাজউদ্দীন প্রভৃতি মানুষ অনেক বড়ো মাপের মানুষ ছিলেন কিন্তু কোথাও যেনো মনে হয় একটু অভিমানী ছিলেন দুজনেই | 
     
    কিন্তু সাদেক ভাই আপনি যে ষড়যন্ত্র এর কথা বলেছেন , সেই চক্র কি আজো সক্রিয় ? কি ছিল সেই চক্রের স্বার্থ ? সেই চক্রের চক্রীরা হয়তো কেউই আজ আর পৃথিবীতে নেই কিন্তু চক্রের স্বার্থ কি অটুট আছে ? আপনি কি বলেন ভাই ?
     
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:২৫511056
  • আরণ্য দা, তাজউদ্দীন মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে উনার সাথে যারা কাজ করেছে তাদেরকে বলেছিলেন তোমরা এমন ভাবে কাজ করবা যেন ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদেরা বাতি জ্বেলেও তোমাদের খুঁজে না পায়! মানে কাজ কর, প্রচার করার দরকার নাই। এমন ভাবনা সাধারণ মানুষের মনে আসে? তাজউদ্দীনকে আসলেই জাতি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। আওয়ামীলীগও না। মুজিব তাজউদ্দীন একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। অথচ সেই তাজউদ্দীনকে মন্ত্রীসভা থেকে সরে যেতে হয়েছে! আমি লিখছি না যে মানুষ বঙ্গবন্ধুর আলোচনা হওয়া উচিত। কারণ মানুষ বলেই কান পড়া শোনে বিশ্বাসঘাতকদের কাছে নিয়ে তাজউদ্দীনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময়ে আমরা যে মুজিবকে দেখি তিনি কত সাবলীল ভাবে এই সব ষড়যন্ত্রকে ধরতে পেরেছেন। সেই তিনিই দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ষড়যন্ত্র ধরতে পারলেন না!  যারা ১৫ আগস্ট তৈরি করেছিল তাদের পরিকল্পনাই ছিল এমন। যেন নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ না থাকে। তাই জেল হত্যার মত ঘটনা ঘটে। চার নেতার মৃত্যু হয় জেলে ব্রাস ফায়ারে। আমরা ১৫ আগস্ট আর ৩ নভেম্বর, এই দুইটার ধাক্কা এখন পর্যন্ত সামাল দিয়ে উঠতে পারিনি। সামনের সারির নেতৃত্ব হারিয়ে গেছে। পাতি নেতা, পিছনের তল্পি বাহকেরা এখন নেতা। আর তাই কাজকামও ওই রকমই! 
    সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ পড়ে ফেলুন দাদা। দারুণ একটা বই। 
  • guru | 103.170.182.235 | ১৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪৭511059
  • "এরপরে আপনি তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। এই চুক্তি মুক্তিযুদ্ধের আগের চুক্তি না যে আপনি এটাকে পাকিস্তান ভাঙার কারণ বলবেন।মুক্তিযুদ্ধের পরে এমন একটা চুক্তি করা হয় নিজের স্বার্থেই। "
    সাদেক ভাই অনেক ধন্যবাদ এই সোর্স গুলি দেবার জন্য | এইগুলি জানা না হলে উপমহাদেশের ইতিহাসের অনেক কিছুই জানা হতোনা | আমি আসলে ভেবেছিলাম আপনার বলা এই চুক্তি আসলে ইন্দিরাজীর সোভিএট্ ইউনিয়ন এর সঙ্গে ১৯৭১ সালের চুক্তির একটি অংশ |
     
    আচ্ছা শেখ মুজিব ১৯৪৭ সাল এর পর থেকেই স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করছিলেন এইটা নতুন তথ্য আমার কাছে |  বঙ্গবন্ধু তাহলে ১৯৭০ সালে নির্বাচনে অংশ নিলেন কেনো ? ১৯৭০ থেকেই তো নির্বাচনে না গিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে পারতেন সেইটা কেন করলেননা ?  বরঞ্চ উনি তো জেল থেকে বেরিয়েই ইয়াহিয়ার উপর এতো চাপ সৃষ্টি করেন নির্বাচনের জন্য যে ইয়াহিয়ার সামনে নির্বাচন দেওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা ছিলোনা | বঙ্গবন্ধুর সেইসময়ে যে জনপ্রিয়তা ছিলো তা পাকিস্তানে অন্য কোনো নেতার ছিলোনা  তাহলে উনি সেইসময়ে নির্বাচনে গেলেন কেন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে ? পাকিস্তানে শেখ মুজিবের আগে ও পরে অনেক বালুচ বিদ্রোহীরা তো সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণাই করেছিলেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা তো কেউ নির্বাচনের কথাও ভাবেননি | শেখ সাহেব তাহলে এইরকম কেন করলেননা ? 
     
    আমি এটাও শুনেছি যে ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেখ সাহেব ফাতিমা জিন্নাকে সমর্থন করেছিলেন এবং অধুনা বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশী ভোট ফাতিমা জিন্নাকে পাওয়ার ব্যবস্থাও করিয়ে দিয়েছিলেন | এইসব কেনো করলেন তাহলে বঙ্গবন্ধু ?
     
    আসলে ১৯৭১ সাল ও মুক্তিযুদ্ধ এখন শুধু আর বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই তা এই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে একটা চিরকালীন বৈরিতা তৈরী করে দিয়েছে | আমার মনে হয় এখন হয়তো একটি ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশন কমিশন এর দরকার পড়েছে এই তিন দেশেই ১৯৭১ নিয়ে যাতে এই গত শতাব্দীর ফেলে আসা শত্রুতার বোঝাটি ফেলে এই দক্ষিণে এশিয়া উপমহাদেশ এগিয়ে যেতে পারে | আপনার কি মনে হয় ভাই এই ব্যাপারে ?
  • aranya | 2601:84:4600:5410:1d65:34be:1943:1b15 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:২৮511060
  • সাদেক, অবশ্যই পড়ব 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৬ আগস্ট ২০২২ ২৩:২৫511089
  • guru, 
    এইটা একটা আশ্চর্য ব্যাপার না? প্রশ্ন জাগা তো স্বাভাবিক। কেন সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করা হল না। আপনি বেলুচদের কথা বলছেন, তাদের অবস্থাটা দেখেন নাই? স্বাধীন হতে পেরেছে? বঙ্গবন্ধুকে যদি আর চার পাঁচজন নেতার মত মনে করেন তাহলে হিসাব মিলাতে কষ্টই হবে। তিনি কখনই উগ্রবাদী নেতা ছিলেন না। তিনি আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টি করতেন না, আওয়ামীলীগও কোন কালে ওই ধারার রাজনীতি করে নাই। নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই সব সময় এগিয়েছে। তিনি একই সাথে নানা দিক চিন্তা করে এগিয়েছেন। তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে যেমন চেষ্টা করে গেছেন একই সাথে সংগ্রামের পথেরও চিন্তা করছেন। তিনি বন্দী হতে পারেন এইটা চিন্তা করে তাজউদ্দীন আহমদ সহ আরও কয়েকজনকে আগেই জানিয়ে দিয়ে গেছেন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কলকাতায় কার সাথে দেখা করতে হবে, তার ঠিকানা পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন চিত্তরঞ্জন সুতার নামটা কোন মানে রাখে কি না। তিনি কে একটু জানার চেষ্টা করুন। তাজউদ্দীন সহ অন্য অনেক বড় বড় নেতেরাও এই লোকের নাম জানত না। বঙ্গবন্ধু কার মাধ্যমে কীভাবে এর সাথে পরিচিত হয়েছে এবং সমস্ত পরিকল্পনা পাকা করেছে তা অনেকদিন রহস্য ছিল এখন নাই। জানার ইচ্ছা থাকলে জানতে পারবেন না। তিনি দেশ স্বাধীনের পক্ষে না থাকলে এই সব ব্যবস্থা করে যেতেন না। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের মাধ্যমে ভাগ হতে চান নাই, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন রক্তপাত বর্জন করতে। বঙ্গবন্ধুকে না বুঝলে এই সব অনেককিছুই গুজামিল মনে হবে। আগে লোকটাকে বুঝতে হবে। খণ্ড খণ্ড করে দেখলে বিভ্রান্ত হতে হবে। কেন তিনি ওআইসিতে যোগ দিলেন, কেন তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে নিজেকে জরালেন এমন নানা প্রসঙ্গ আছে যা দিয়ে মনে হতেই পারে এই লোক সাম্প্রদায়িক লোক ছিলেন। অথচ এই লোকই প্রচণ্ড চাপে থাকা সত্ত্বেও ধর্ম নিরেপক্ষতা থেকে সরে আসেন নাই। 
     
    এবার আপনার শেষ প্রশ্ন। আপনি যা বলছেন তা তো আসলেই দরকার। সব ভুলে এগিয়ে যেতে হবে এইটা কে না মানবে? আমিও এইটা বিশ্বাস করি। মুশকিল হচ্ছে আমার বিশ্বাসে কিছুই যায় আসে না। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম এখনও এই দেশে বেঁচে আছে। তারা ক্ষমা করবে? আপনি আমাকে বুঝালেন, আমার বয়স অল্প, প্রচুর ভান করি যে আমি খুব ভাল মানুষ, আমার মনে কারও জন্য হিংসা থাকতে পারে না। আমি আপনার কথা খুব বুঝলাম, বুঝে মেনে নিলাম যে পাকিস্তানের সাথে আমাদের গলায় গলায় প্রেম করার এখনই সময়! কিন্তু আমাদের শেরপুরের একটা থানা হচ্ছে নালিতাবাড়ি, আপনাদের সীমান্তের খুব কাছে এই থানা। ঢালু সীমান্ত হচ্ছে নালিতাবাড়ির পাসেই।সেইখানে একটা গ্রাম আছে, কাগজে কলমে নাম হচ্ছে সোহাগ পল্লি। মানুষের মুখে মুখে অন্য একটা নাম আছে, বিধবাপল্লি। গ্রামের নাম বিধবাপল্লি কেন হল এই প্রশ্ন জাগে? এক রাতে এই গ্রামের সমস্ত পুরুষকে মেরে শেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী! নারীদের ধরে নিয়ে যায় তারা। বাপ ভাই পুত্র হারা একেকজন নারী বেঁচে থাকে সস্মত অত্যাচার সহ্য করে। গ্রামের নাম হয়ে যায় বিধবাপল্লি। এই যে তাত্ত্বিক কথা গুলা লিখেছেন আমাকে, পারবেন ওই গ্রামে গিয়ে বলতে? গিয়ে বলেন খালা, মা মাসিরা, অনেকদিন হয়ে গেছে, এবার চলেন সব ভুলে পাকিস্তানের সাথে খুব প্রেম করি? পারবেন? উনারা মাফ করে দিলে আমরা কে? আমরাও মাফ করে দিব, সমস্যা কী! 
    আপনি নানা প্রসঙ্গে নান কথা জিজ্ঞাস করেন আমাকে। আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে যাই। আপনি আমাকে বলুন তো আপনি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কী ভাবেন? গণহত্যা সম্পর্কে কতটুকু জানেন? ২৫ মার্চকে বাংলাদেশ কালো রাত হিসেবে পালন করে, কেন করে জানেন? ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছিল জানেন? ১৪ ডিসেম্বর আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি, কেন করি জানেন?  ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারা গেছে এইটা আপনি বিশ্বাস করেন? না কি বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধু তিন লক্ষ বলতে গিয়ে ত্রিশ বলে ফেলেছে?  কয়টা ঘটনা জানেন গণহত্যার? চুকনগর গণহত্যার নাম শুনছেন? গুগল করে দেখে নিন এবং তারপরে পাকিস্তানের সাথে প্রেমের গল্প আবার করব আমরা। 
     
    আজকে পাকিস্তানের দাঁত নখ নাই। এখন নানা প্রেমের গল্প শুনি। যদি তারা সত্যই মনে করে বাংলাদেশের সাথে অন্যায় হয়েছে তাহলে করজোড়ে মাফ চাক। আমাদের দেনা পাওনা মিটিয়ে দিক। ১৯৩ জন সেনা কর্মকর্তার বিচার করবে বলে যে কথা দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করুক। তা তারা জীবনেও করবে না। পাকিস্তান কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে জঙ্গি উত্থানের পিছনে কলকাঠি নেড়েছে। তারা করবে বন্ধুত্ব? এখন অবস্থা আর আগের মত নাই তাই নানা রকম কথা শুনতে পাই। বাংলাদেশ এখন ভাই! 
    যতটুকু সম্পর্ক আছে পাকিস্তানের সাথে তা থাকা দরকার বলেই আছে। এরচেয়ে বেশি হয়ত আরও পঞ্চাশ বছর পরে, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেউ থাকবে না, তখন যদি কেউ উদ্যোগ নেয়, যদি তখনকার প্রজন্ম মনে করে ঘাতকের সাথেও বসা হোক, তাহলে হবে। এর আগে কোন সম্ভাবনা নাই। এর আগে হলে আমিই রাস্তায় নামব মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে। 
    ভাল থাকবেন।  
  • guru | 103.151.156.208 | ১৯ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৯511184
  • সাদেক ভাই দুঃখিত একটু দেরিতে উত্তর দেবার জন্য | আপনার রেফারেন্সের মহিউদ্দিন সাহেবের বইটি "বেলা- অবেলা, বাংলাদেশ ১৯৭২- ১৯৭৫" খুঁজেছি এই কয়দিন ধরে কিন্তু এখনো খুঁজে পাইনি ভাই | কোনো লিংক পিডিএফ জানা থাকলে বলবেন আমি খুঁজে পাচ্ছিনা | তবে মহিউদ্দিন সাহেবের আরো দুটি বই সংগ্রহ করেছি একটি বি এন পি এর উপরে যেটি ও আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের উপরে "এদেশে যুদ্ধ হয়েছিলো " এই ​​​​​​​নামের | এইগুলি এখন পড়ছি |
     
    আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ জাতিধর্মদেশ এর উপরে বাঙালির ইতিহাসের এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় ঘটনা | সেই কারণেই এই ঘটনাটি নিয়ে আমি জানতে আগ্রহী আরো যেহেতু এইদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রামাণ্য বই সেইরকম নেই | আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের অনেকগুলি দিক আছে তার মধ্যে রাজনৈতিক ও মানবিক দুটি দিকই আছে | আমি নিরপেক্ষ লেখক হিসেবে ব্রিটিশ বাঙালি শর্মিলা বসুর মুক্তিযুদ্ধের উপরে বইটি খুঁজছি পেলে আরো অনেক কিছু জানা যাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে |
     
    মুক্তিযুদ্ধের মানবিক দিক দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে বলতে পারি যে ২০০০ সালে পারভেজ মোশারফ যখন প্রেসিডেন্ট তখন ও সাভারে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলো | ইমরান খান আর কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী থাকলে হয়তো আরেকবার ক্ষমা চাইতে পারতো যেহেতু ওর ঢাকাতে একটি রাষ্ট্রীয় সফরের খুব ইচ্ছা ছিলো | আমি পাকিস্তানের বেশ কিছু জায়গাতে দেখেছি ক্ষমা চাইবার ব্যাপারে একটি মত গড়ে উঠছে আস্তে আস্তে | তবে ঘটনা হচ্ছে ক্ষমা চাইলেও আপনারা ক্ষমা করবেন কি ভাই  ?
     
    মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক দিকটি ভীষণ জটিল যেহেতু এইখানে অনেকের স্বার্থ জড়িয়ে আছে | এইবিষয়টিনিয়ে আমি আরো পড়াশোনা করতে চাইছি |
     
    "যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং যদি কোন দেশের সাথে কনফেডারেশন করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিবে। কিন্তু যদি নাম পরিবর্তন এবং তথাকথিত কনফেডারেশনের ধারনা থেকে বিরত থাকে, তাহলে ১৫ আগস্ট যা-ই ঘটে থাকুক না কেন ( ভারত) তাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করবে।" 
     
    ১৯৭৫ এর যে সমর সেনের এই ঘটনাটির ব্যাপারে আমার একটি কথা মনে হলো তাহলে কি ভারত জানতো বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপারে আগে থেকেই ? ভারতের কি কোনো স্বার্থ জড়িয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপারে ? নাহলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপারটিকে কেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করবে কেন ভারত যেইখানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের ৭১ এর অনেক আগের  পুরোনো সম্পর্ক ? তাহলে যে চক্রের কথা আপনি বারবার বলেছেন ভাই ১৫ আগস্টের ব্যাপারে , ভারত কি সেই চক্রের মধ্যে জড়িত ছিল ? আপনার মতামতের অপেক্ষাতে রইলাম ভাই | আপনি ভালো থাকবেন |
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৩ আগস্ট ২০২২ ১০:৫৬511293
  • ভারত জড়িত এইটা নিশ্চিত করে কীভাবে বলা সম্ভব? তবে এখন পর্যন্ত এমন কোন কিছু পাওয়া যায় নাই যা দিয়ে মনে হতে পারে ভারত জড়িত ছিল, অন্তত আমি পাই নাই। ভারত জানত?  হ্যাঁ, জানত। শুধু জানত না বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছে অনেকবার। বঙ্গবন্ধু পাত্তাই দেয় নাই। এগুলা আপনি যেহেতু পড়া শুরু করেছেন সবই জানতে পারবেন। তবে পড়ার সময় মাথাটা পরিষ্কার রাখবেন, এইটাই চাওয়া। আপনি নিরপেক্ষ বলে শর্মিলা বসুর বইয়ের কথা বললেন, অথচ তার বইটার মত ফালতু বই সম্ভবত আর কেউ লেখে নাই। আপনাকে পড়তে না করছি না। কিন্তু পড়লে সাথে সাথে 'ত্রিশ লক্ষ শহিদ : বাহুল্য নাকি বাস্তবতা'  আরিফ রহমানের লেখা, বইটাও পড়বেন। শর্মিলা বসুর ফালতু যুক্তি গুলো এই বইয়ে সুন্দর করে ভেঙে দেওয়া হইছে। মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, ৭৫ এই সব নিয়ে প্রচুর বইপত্র পাবেন মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভে। আমি লিংক দিচ্ছি। 
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন