এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  ইতিহাস  শনিবারবেলা

  • পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি – স্লোভেনিয়া ১

    হীরেন সিংহরায়
    আলোচনা | ইতিহাস | ১২ আগস্ট ২০২৩ | ৯০৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • লিলিয়ানা



    -আমার একটা প্রিয় কবিতার দু-লাইন তোমাকে শোনাবো, তোমাদের দেশের এক কবির লেখা। চিনতে পার কিনা দেখি!
    -লিলিয়ানা, আমার দেশে ভাষার সংখ্যা অজস্র। ইনডিশ বলে কোন ভাষা নেই! তার মধ্যে হয়তো মেরে-কেটে তিনটে বুঝতে বা বলতে পারি। তবে বলো শুনি। কোন ভাষায় পড়েছো? জার্মানে?
    -নিজের ভাষাতেই পড়েছি প্রথম, কিন্তু সেটা তুমি বুঝবে না। তোমাকে জার্মানে শোনাই:
    ইখ বিন ঊনরুহিগ
    ইখ হাবে ডি জেনজুখট নাখ ডের ফেরনেন
    আরও বলব? চিনতে পারছ?
    রবীন্দ্রনাথ! আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী!

    -আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা, পরে তিনি সুরও দিয়েছিলেন। তুমি পেলে কোথায়?
    -আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্যের ক্লাসে। অধ্যাপকরা বিভিন্ন দেশের গদ্য এবং কবিতা থেকে নির্বাচিত অংশ পড়াতেন, বিশেষ করে টাগোর। এটি মনে থেকে গেছে - পৃথিবীটা অনেক বড়ো, তার মানুষ, পাহাড়, বন আমি দেখতে চাই। আমার সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি এই কবিতায় পেয়েছি। তুমি ভারতীয় বলে সেটা শোনানোর আনন্দ পেলাম!
    -লিলিয়ানা, নিতান্ত ভাগ্যক্রমে তুমি এমন একজন ভারতীয়কে শোনালে যার মাতৃভাষায়, বাংলায় এই কবিতা লেখা হয়েছিল!
    -তাহলে এবার এই বইটা দ্যাখো! ভাষা বুঝবে না, তবে কবির নামটা চিনবে।

    স্লোভেনিয়ানে রবীন্দ্রনাথের কবিতার সঙ্কলন!

    আমার জার্মান প্রবাসের সূচনা হয় ড্রেসনার ব্যাঙ্কে (সে নাম বিলুপ্ত এখন) ছ-মাসের এক ট্রেনিং পর্ব দিয়ে। সেখানে ইংল্যান্ড, তুরস্ক, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইতালি সহ কিছু পূর্ব ইউরোপীয় ব্যাঙ্কার সমবেত হন। আমরা জার্মানির বিভিন্ন শহরে ড্রেসনার ব্যাঙ্কের শাখায় তিন-চার সপ্তাহ করে কাটালেও আমাদের সকলের একটা অস্থায়ী আস্তানার অধিকার ছিল - ফ্রাঙ্কফুর্ট ওয়েস্ট এন্ডের আটচল্লিশ নম্বর শুমান স্ত্রাসের স্টুডিও ফ্ল্যাট। ইয়ুগোস্লাভিয়ার লুবলিয়ানস্কা ব্যাঙ্কের স্বর্ণকেশিনী তরুণী লিলিয়ানা নোভাকোভিচ যখন সেই কোর্সে যোগ দেয়, তখন আমার এই ট্রেনিং নামক ফ্রি ছুটির দিন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর দু-মাস মাত্র বাকি। তারপরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট ব্রাঞ্চে গিয়ে খাটাখাটনি করতে হবে!

    লিলিয়ানার মুখে জার্মানে ‘আমি চঞ্চল হে’ শুনে অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। একটি ইয়ুগোস্লাভিয়ান মেয়ে তার আপন ভাষায় ‘আমি চঞ্চল হে’ পড়ে সেটি সে এক বাঙালিকে শোনালো জার্মান তর্জমায়! দেশ ছাড়ার আগেই শুনে এসেছি - পূর্ব ইউরোপের বহু দেশে ‘আওয়ারা’ ছবির কল্যাণে রাজ কাপুর একটি সুপরিচিত নাম। পারিবারিক সূত্রেও তার সত্যতা উপলদ্ধি করেছি – শুধু রাশিয়া, ইউক্রেনে নয় - রোমানিয়াতেও রাজ কাপুরের নাম কিছু লোক এখনও মনে রেখেছেন। কিন্তু লিলিয়ানার ভারত রাজ কাপুরের নয়, রবীন্দ্রনাথের। বলকানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়লে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতির আরও সন্ধান পেয়েছি – এমনকি ভয়ভোদিনার (সার্বিয়া) রাজধানী নোভি সাদ শহরে দেখেছি জাতীয় থিয়েটারের সামনের ফুটপাথে (হলিউডের স্টার ওয়াকের মতন) মার্বেলে খোদিত আছে ‘১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ সেখানে পদার্পণ করেছিলেন’।



    নোভি সাদ, ভয়ভোদিনায় রবীন্দ্রনাথের স্মারক


    প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথের স্মরণে প্রাগে একটি পথের নাম থাকুরোভ দেওয়া হয়েছে এবং হাঙ্গেরির বিখ্যাত লেক বালাতন (স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য তিনি একবার আসেন) হ্রদের প্রমেনাদ তাঁর নামে আখ্যাত।

    আমার স্কুলের ইতিহাস ভূগোলের বইয়েত যে দেশের কথা জেনে এসেছি, তার নাম ইয়ুগোস্লাভিয়া। সে দেশের রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো মহামতি স্তালিনের দু-মিটার তফাতে চলেছেন, তাঁর সাম্যবাদ দেশের দ্বার রুদ্ধ করে সীমান্তে ওয়াচ টাওয়ার বসায়নি, পশ্চিমের মানুষকে বিনা ভিসায় ক্রোয়েশিয়ার অসামান্য সমুদ্রতটে ছুটি কাটানোর সুবিধে করে দিয়েছে, তাঁর দেশের নাগরিক কর্মসূত্রে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। তিনি আমাদের নেহরু ও মিশরের নাসেরের সঙ্গে মিলে একটি গোষ্ঠী-নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলেন (নন অ্যালাইনড মুভমেন্ট), যা আমেরিকান পুঁজিবাদ ও রাশিয়ান সাম্যবাদ - দুটোকেই শত হস্ত দূরে রাখতে চেয়েছিল। এক হিসেবে তাঁরাই তৃতীয় বিশ্বের (থার্ড ওয়ার্ল্ড) নাম রৌশন করেন! লিলিয়ানা সেই দেশের মেয়ে। লিলিয়ানাকে বলেছিলাম - এই প্রথম একজন ইয়ুগোস্লাভিয়ানের সঙ্গে করমর্দনের সৌভাগ্য হল। তৎক্ষণাৎ সে আমাকে বলে, আমি স্লোভেনিয়ান, আমার দেশের নাম ইয়ুগোস্লাভিয়া।

    ঠিক তো! গ্লাসগোর লোক ইংরেজ নয়। আচ্ছা বিদেশে কারো সঙ্গে আলাপ হলে কি বলি ‘আমি বাঙালি, আমার দেশের নাম ভারতবর্ষ?

    ইয়ুগোস্লাভিয়া দেশের নাম। সেটি ছ-টি স্বতন্ত্র রিপাবলিকের সমষ্টি – সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টিনেগ্রো এবং মাসিদোনিয়া। এ ছাড়া দুটি স্বয়ংশাসিত প্রদেশ - ভয়ভোদিনা, কসোভো। রাজধানী বেলগ্রেড (সাদা শহর!)। সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো এবং মাসিদোনিয়া অর্থোডক্স ক্রিস্টিয়ান, লেখে সিরিলিক হরফে; ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া ক্যাথলিক: হাতের লেখা ল্যাটিন হরফে; বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় মুসলিম আর অর্থোডক্স ক্যাথলিকদের অবস্থান প্রায় সমানে সমানে: লেখে ল্যাটিন ও সিরিলিক হরফে। মিনি ভারতবর্ষ।

    এ বিষয়ে প্রায় শূন্য জ্ঞান নিয়ে দেশ ছেড়েছি। জানতাম সারায়েভোতে অস্ট্রিয়ান রাজকুমারকে হত্যা করার শোধ নিতে অস্ট্রিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে, যেটি তালেগোলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আকার ধারণ করেছিল। কখনও মাথায় আসেনি এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়ার পক্ষে বসনিয়ার অর্থোডক্স সার্বিয়ান স্লাভ লড়েছিল সার্বিয়ান অর্থোডক্স স্লাভের বিরুদ্ধে। পাশাটা একেবারে উলটে যাবে ১৯৯১ সালের গৃহযুদ্ধে – বসনিয়ার অর্থোডক্স স্লাভ সার্বিয়ার পক্ষ নিয়ে লড়বে ক্যাথলিক ক্রোয়েশিয়ান ও মুসলিম বসনিয়াকের বিরুদ্ধে।

    সার্বো-ক্রোয়াটিক ভাষাটিকে আমি তৎকালীন ইয়ুগোস্লাভিয়ার লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা মনে করতাম। ফ্রাঙ্কফুর্টের ট্রাম-বাস স্টপে ইংরেজি-ফরাসির পাশাপাশি টিকিট যন্ত্রের ব্যবহার প্রণালী লেখা থাকতো সার্বো-ক্রোয়াটিকেও। লিলিয়ানা বলেছিল, তার মাতৃভাষা স্লোভেনিয়ান (যেটি ইওসেপ ব্রোজ টিটোর মায়ের ভাষা) অনেকটাই আলাদা। যদিও সার্বো-ক্রোয়াটিক তার কাছে একেবারে দুর্বোধ্য নয়। উদাহরণ দিয়েছিল -

    আমি যতটুকু জানি (স্লোভেনিয়ান) - vse kar vem (ভসে কার ভেম)
    আমি যতটুকু জানি (সারবিয়ান) - sve što znam (সভে স্টো জনাম)



    স্টেট ব্যাংক অফ ইনডিয়া গোয়েথে স্ত্রাসে ২৬-২৮ ( পুরনো অফিস )


    ড্রেসনার ব্যাঙ্কের পালা শেষ হল আমার। লিলিয়ানা থাকবে আরও তিন মাস। আমার নিয়মিত কাজ শুরু হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট ব্রাঞ্চে। ঠিকানা গোয়েথেস্ত্রাসে ২৬-২৮। সেখান থেকে শুমানস্ত্রাসে হেঁটে বড়জোর পনেরো বড়জোর। আর ড্রেসনার ব্যাঙ্কের ইউরগেন পন্টো প্লাতস অফিস থেকেও সমান দূরত্ব। কাজের পরে লিলিয়ানা কখনও সখনও চলে আসত আমাদের স্টেট ব্যাঙ্কের পিছনে পদচারি এলাকা - ফ্রেসগাসেতে। সেখানে ওঙ্কেল মাক্স (মাক্স চাচা) নামের পাবে বসা হত, ড্রেসনার ব্যাঙ্কের প্রাক্তন শিক্ষাসঙ্গীরাও (জার্মানে ভলুনটেয়ার) এসেছে, ইংল্যান্ডের ফিওনা ওডায়ার, ভিয়েনার মাক্সিমিলিয়ান বেক, স্কটল্যান্ডের জন হেরন - এরা সকলেই ছ-মাসের ট্রেনিঙে এসেছে, শেষ হলে দেশে ফিরবে। আমি কেবল থেকে গেছি। আমাদের অফিসের ভারতীয় অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই লিলিয়ানার সঙ্গে – দিল্লির মিস্টার নাগপাল, পালঘাট কেরালার মিস্টার স্বামী, অন্ধ্রের মিস্টার রামামূর্তি। ভারতীয়দের চেহারা এত রকমের হতে পারে তার জানা ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার আমাদের অফিসে চলুন – ভারতীয় ব্যাঙ্ক দেখবেন! পূর্ব ইউরোপের কোনো ব্যাঙ্কের সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক ফ্রাঙ্কফুর্ট অফিসের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। গুগল অনেক দূরে তখন। অডিট বিভাগের রামামূর্তি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিনামূল্যে তাঁর তথ্যভাণ্ডারে অমূল্য রতন সংগ্রহের চেষ্টায় ছিলেন। লিলিয়ানার কাছে কিছুটা জানা গেলো: ইয়ুগোস্লাভিয়ার ব্যাঙ্কিং পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা – ছ-টি রিপাবলিকের নিজস্ব ব্যাঙ্কিং, তার মালিক সরকার নন, বিভিন্ন কো-অপারেটিভ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বলতে পারেন বেনামে সেই সরকার। শ-দেড়েকের বেশি ব্যাঙ্ক সারা দেশে। স্লোভেনিয়ার লুবলিয়ান্সকা বাঙ্কা-র কার্যপদ্ধতি আমাদের দেশের সরকারি মালিকানাধীন ব্যাঙ্কের ধরনে প্রায়। সে ব্যাঙ্ক অন্য রিপাবলিকে - যেমন ক্রোয়েশিয়াতে - আমানত জমা নিতে বা ধার দিতে পারত, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার যেমন কোনো বাধা নেই শিলিগুড়িতে কার লোন দিতে। রামামূর্তি প্রশ্ন করতে থাকেন, অর্থনীতিক পলিসি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় বা কে করে, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অবস্থান কী? বড্ড বোরিং হয়ে যাচ্ছিল। লিলিয়ানা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে! রামামূর্তিকে আর ডাকিনি।

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসের দোতলায় বসতেন আমাদের সহ শাখা প্রবন্ধক বাঙ্গালোরের এস ভি (শঙ্কর ভিনয়) কুমার। তাঁর পদমর্যাদা বা সিনিওরিটির তোয়াক্কা না করে আমাদের মতন অর্বাচীনদের সঙ্গে মিশতেন, পাঁচটা বেজে গেলেই ঘরে ডাক পড়ত - তাঁর দরোজা আমাদের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত। সেখানে লিলিয়ানাকে নিয়ে গেছি। বাঙালি কায়দায় আড্ডা - সন্ধ্যে হয়ে গেছে, সেবা করার লোক নেই। মিস্টার কুমার নিজে উঠে গিয়ে কফি বানালেন।

    মিস্টার কুমার ছিলেন ভারি মজার মানুষ, যে কোনো ব্যাপারে একটা কমিকাল অ্যাংগল খুঁজে বের করতেন। একবার দেখেন স্টেট ব্যাঙ্ক মাইসোরের ইস্যু করা লেটার অফ ক্রেডিটে (ভারতে আমদানি করতে গেলে যে কাগজটি দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক বিদেশি বিক্রেতার মনে বল সঞ্চয় করে থাকে – ভারতীয় ক্রেতা দাম মেটাতে অপারগ হলে স্টেট ব্যাঙ্ক কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতন অশ্রুসজল চোখে ইউরোপীয় বিক্রেতার দায় উদ্ধার করবে) একটা শর্ত আছে - ক্রেতা জানিয়েছেন, সুইস রপ্তানি কারক তার মাল যেন সুইস বন্দর থেকে জাহাজে তোলে। মিস্টার কুমার স্টেট ব্যাঙ্ক মাইসোরে টেলেক্স পাঠিয়ে জানতে চান – “সুইস বন্দরের নামটি জানালে বাধিত হব”। সত্বর জবাব এল - ‘ওটা পোর্ট নয়, এয়ারপোর্ট হবে। মুদ্রণ প্রমাদ’।



    লুবলিয়ানা


    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মপদ্ধতি শুধু নয়, ক্রিকেট এবং ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর অসাধারণ দখল: বার্নার্ড শ, পি জি উডহাউসের উদ্ধৃতি দিতে পারে অবলীলাক্রমে, চেপক-এ কোনো টেস্ট ম্যাচ দেখা বাদ পড়েনি, গুন্দাপ্পা বিশ্বনাথকে তিনি গাভাস্কারের ওপরে স্থান দিতেন। কিন্তু সেসব কিসসা লিলিয়ানার বাউন্ডারি সীমানার অনেক বাইরে। তাই তিনি তাকে ভারতীয় ব্যাঙ্কিঙের গল্প শোনালেন - কোন ব্রাঞ্চে গোরুর গাড়িতে করে টাকা আসত, কীভাবে কানের দুল ওজন করে জমা রেখে টাকা ধার দেওয়া হত। চোখ বড়ো বড়ো করে সে সব শোনে। জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা তোমার বাড়ি কোন শহরে বললে যেন? কী যেন নাম? লিলিয়ানা বলে, ‘লুবলিয়ানা’, লিখে দেখায়। মিস্টার কুমার অত্যন্ত সরল মুখে বলেন, বানান (Ljubljana) দেখে তো তা মনে হয় না? এটার উচ্চারণ কি লুবজুবলানা হবে না?

    ফ্রাঙ্কফুর্টের দিন ফুরোলে বিদায় নিতে এসেছিল লিলিয়ানা। তার দেশে কখনও যাওয়া হবে ভাবিনি। দু-বছরের কড়ারে জার্মানি এসেছি, পশ্চিম ইউরোপ দেখা হলেই যথেষ্ট। বিধাতা আমার জীবনের অন্য ম্যাপ এঁকে রেখেছেন জানি না।

    ব্যাঙ্কে এসে মিস্টার কুমারের সঙ্গে দেখা করে বলে গেল, ভারত ও ইয়ুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং সম্বন্ধ শক্ত হবে, যদি একবার আমার শহরে আসেন। আপনাকে ঘুরিয়ে দেখাব। আমাদের ঠিকানা –
    লুবলিয়ানস্কা বাঙ্কা
    মারসালা টিটা এগারো

    লুবজুবলানা!



    পুঃ লিলিয়ানা প্রসঙ্গের অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত উল্লেখ আছে আমার প্রথম প্রকাশিত বই কুঁদুলে প্রতিবেশীতে (২০১০)।
    ক্রমশ...

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ আগস্ট ২০২৩ | ৯০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০০:১৯522370
  • যথারীতি সুখপাঠ্য। তরতর করে এগিয়েও যাওয়া যায়,সাথে মিলে রোমাঞ্চ রম্য। বোধ করি কিছুটা রোমান্সও পেতে যাচ্ছে পাঠকেরা পরবর্তী পর্বে। 
    'আমার সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি এই কবিতায় পেয়েছি।'
    এজন্য কবিতাটা আমারও ভীষণ প্রিয়। তবে শুধু এই কবিতাই নয় তার সামগ্রিক সাহিত্যেই তো কবিগুরু কোন এক সুদূরের পিয়াসী ছিলেন। সে সুদূর শুধু ইহজাগতিকই ছিল না চেতনালোকেও ছিল তার খোঁজ অনুক্ষণ!  
    ''আর দু-মাস মাত্র বাকি।'
    কম তো নয়। অনেক কিছুই করা যেতে পারে! 
    'ফুটপাথে (হলিউডের স্টার ওয়াকের মতন) মার্বেলে খোদিত আছে ‘১৯২৭ সালে রবীন্দ্রনাথ সেখানে পদার্পণ করেছিলেন’।'
    আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের এমনি নেই। ঢাকাসহ বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই এসেছেন কবিগুরু কোথাও কিছু লেখা নেই এমন। অথচ শিক্ষার্থীরা এসব স্মারক দেখতে পেলে কতই না উদ্দিপীত হতে পারে! 
    'জানতাম সারায়েভোতে অস্ট্রিয়ান রাজকুমারকে হত্যা করার শোধ নিতে অস্ট্রিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে, যেটি তালেগোলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আকার ধারণ করেছিল।' 
    ইতিহাসটা জানার খুব ইচ্ছে। উস্কে দিলেন। 
    'কোন ব্রাঞ্চে গোরুর গাড়িতে করে টাকা আসত, কীভাবে কানের দুল ওজন করে জমা রেখে টাকা ধার দেওয়া হত।'
    আমাদের দেশের কোপারেটিভ সোসাইটিগুলো দুল বা গলার হার ওজন জমা রেখে লোন দেয় তা নিজের চোখেই দেখেছি। কিন্তু গরুর গাড়িতে করে ক্যাশ রেমিট্যান্সের কাহিনি অদ্যই প্রথম শুনিলাম! আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী রূপালিতে এমন কান্ড ঘটাটা বিচিত্র নয় কারণ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২৩522384
  • ধন্যবাদ মামুন।
    একটা ভুল আছে । চোখে কম দেখি – রবীন্দ্রনাথের ১৯২৬ সালে নোভি সাদ এসেছিলেন, ফলকে তাই আছে।  আমি ১৯২৭ লিখেছি ।  সংশোধন করা হবে।

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম  যুযুধান পক্ষ ছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য আর সার্বিয়া।  ক্রমশ বাকি ইউরোপ তাতে জড়িয়ে পড়ে , নানান কারণে।  সেটা বৃহৎ চর্চার ব্যাপার ইংরেজ বলেছিল আগামী বড়দিনের আগেই ( অর্থাৎ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বর ) যুদ্ধ শেষ হবে । আরও চার বছর লেগে যায় , এক কোটি মানুষ মারা যান।
    ১৯৯১-১৯৯৫ সালের বলকানের গৃহযুদ্ধ হয়েছিল ভাষা ধর্ম এবং জাতীয়তাবাদের  ভিত্তিতে।  ছটি রিপাবলিক তাদের আপন জাতীয়তার দাবিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে।  স্লোভেনিয়া সাতশ বছর জার্মান অস্ট্রিয়ান শাসনে ( মাঝে মধ্যে ফরাসি , ইতালিয়ান উপদ্রব বাদে) থেকেছে , ক্রোয়েশিয়া খানিক ইতালিয়ান পরে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান।  সার্বিয়া থেকে মাসিদনিয়া ছিল অটোমান ।  ১৯১৮ সালে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের পতন হলে ছটি রিপাবলিক একত্র হয়ে স্লোভেন, ক্রোয়াট, সার্ব মিলে  ইয়ুগোস্লাভিয়া বানাল সেটা কিসের ভিত্তিতে ? তারা সবাই স্লাভিক জাতির মানুষ বলে? তাই আমার প্রশ্ন – ১৯১৪-১৯১৮ সালে বসনিয়া,  ক্রোয়েশিয়াবাসী অর্থোডক্স সার্ব লড়েছেন সারবিয়ার  সার্বদের বিরুদ্ধে ১৯৯১ সাল নাগাদ বসনিয়া ক্রোয়েশিয়াবাসী অর্থোডক্স সার্ব তাদের বন্দুক ঘোরালেন সেই দেশেরই  ক্রোয়াট বা বসনিয়াকদের বিরুদ্ধে – এবার কি তাঁরা জাতীয়তাবাদী হয়ে পড়েছিলেন? আগে ছিলেন না ? বিষয়টা জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে!

    বিসমার্ক প্রায় শ দেড়েক বছর আগে বলেছিলেন ইউরোপের আগামী সংঘাত উৎপন্ন হতে পারে বলকানের কারো কোন নির্বোধ আচরণের কারণে ( Sollte es nochmal zu einem Krieg in Europa kommen, wird er durch irrgendeinen Unsinn auf dem Balkan ausgelöst werden )।  ২৮শে জুন ১৯১৪ সারায়েভোতে অস্ট্রিয়ান রাজকুমার হত্যার দায়  সার্বিয়ার ওপরে আরোপিত -   মহাযুদ্ধের সূচনা।

    মিস্টার কুমারের বাবা তৎকালীন ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্কে  বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ব্রাঞ্চ এজেন্ট ছিলেন।  তিনি পুত্রকে গোরুর গাড়িতে টাকা পরিবহনের গল্প করেন।  আমার ব্যাঙ্কিং জীবন যেখানে শুরু করেছিলাম ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উত্তর বাংলার জলপাইগুড়ি ব্রাঞ্চে – সেখানে গত শতাব্দীর প্রথম পর্বে  হাতীর পিঠে বাক্স বেঁধে চা বাগানের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মাইনে পাঠানো হতো।  তার ছবি দেখেছি ।  মনে রাখি ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা ( পরে ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল , ইম্পিরিয়াল এবং সব শেষে ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ) ১৮০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত !  সিটি ১৮১২, চার্টার্ড ব্যাঙ্ক ১৮৫৩, হংকং সাংহাই ১৮৬৫ !
     
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৫522489
  • ''ছটি রিপাবলিক একত্র হয়ে স্লোভেন, ক্রোয়াট, সার্ব মিলে  ইয়ুগোস্লাভিয়া বানাল সেটা কিসের ভিত্তিতে ? তারা সবাই স্লাভিক জাতির মানুষ বলে?''
    মনে হয় গোড়াতেই গলদ ছিল। আর কেন জানি বাংলাদেশের সাথেও মিল পেলাম। পাকিস্তানের জন্মটাও গলদে পূর্ণ ছিল মনে হয়। 
    ''মনে রাখি ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা ( পরে ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল , ইম্পিরিয়াল এবং সব শেষে ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ) ১৮০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত !'' 
    ১৮০৬ সালে তাহলে আমাদের উপমহাদেশে প্রথম ব্যাংক এর সূচনা হয়? আচ্ছা হীরেনদা বিষয়টা আমায় খুব ভাবায়। বাংলায় ব্যাংকের সেই সূচনালগ্নটা কেমন ছিল? কী কী চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হয়েছিল? আছে কোন বই এসব নিয়ে? 
  • Amit | 163.116.203.87 | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০৩:১৬522493
  • হিরেন বাবু র এই লেখাগুলো যেন গোটা ইস্ট ইউরোপের একটা খোলা জানলা। এক এক দিকে তাকালে এক একটা দেশের ইতিহাস উঠে আসছে। এই দেশ গুলো সম্পর্কে একেবারেই কিছু জানা ছিলনা। অথচ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পুরো এখান থেকেই শুরু হলো। প্রথমটা নাহলে দ্বিতীয়তাও হতোনা হয়তো। গোটা দুনিয়ার ইতিহাসটাই আজকে সম্পূর্ণ আলাদা হতো। 
     
    রবীন্দ্রনাথ কে এখনো এরা মনে রেখেছে এটাও একটা গর্ব করার বিষয়। 
  • Kishore Ghosal | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১১:২১522501
  • ইস্কুলে পড়া ইওরোপের সাদামাটা ইতিহাস পড়ে, বলা যায় কিছুই জানতাম না, এখন দেখছি কি বিচিত্র সে ইতিহাস। 
     
    মাঝে মাঝে হোয়াটস অ্যাপে একটা পোস্ট ফিরে ফিরে আসে - কোন এক শ্বেতচর্মাবৃত সায়েব নাকি এদেশে ঘুরে খুব আশ্চর্য হয়েছে - ইণ্ডিয়ায় এসে সে অনেকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে - বাঙালি, পাঞ্জাবি, বিহারি, ওড়িয়া, তামিলি, তেলেগু, গুজরাটি... কিন্তু  সে একজনও ইণ্ডিয়ানের দেখা পায়নি। 
     
    লিলিয়ান যখন বলেন, "আমি স্লোভেনিয়ান, আমার দেশের নাম ইয়ুগোস্লাভিয়া।" -  তখনই লিলিয়ানকে বড়ো কাছের লোক মনে হয় - তাঁর সঙ্গে আমরাও চঞ্চল ও সুদূরের পিয়াসী হয়ে উঠি।      
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৩522502
  • স্লোভেনিয়া পর্ব দারুন ভাবে শুরু হয়েছে। ঠিক মনে হচ্ছে বহুযুগ আগের সিনেমা যেন চোখের সামনে চালু হয়ে গেছে আর আমরা আয়েশ করে কোন এক দেশে চলে এসেছি কিন্তু চরিত্র গুলোর সাথে ফিলও করতে পারছি। অনবদ্য।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫২522511
  • আপনাদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ । স্মৃতি হারানোর আগে আমার পথযাত্রার গল্প করে যেতে চাই। আপনার পড়লেই আমি ধন্য । 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৯522512
  • মামুন - তোমার সঙ্গে আমার পুরনো ব্যাঙ্কের ( ষ্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ) সরকারি ঐতিহাসিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি অভিক সরাসরি তথ্য জানাতে পারবে ষ্টেট ব্যাঙ্কের পিতা ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক, পিতামহ ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল আর প্রপিতামহ ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা! মনে রাখা ভালো ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা এশিয়া মহাদেশের প্রথম জয়েন্ট স্টক ব্যাঙ্ক ইংল্যান্ডে তখনও কোন জয়েন্ট স্টক ব্যাঙ্ক দেখা দেয় নি।
     
    এতো আলাদা রিপাবলিক জনতা ধর্ম ভাষা নিয়ে ইয়ুগোস্লাভিয়া দেশটা  তৈরি হলো কেন বা কি করে ? তাঁর উত্তর তোমার মন্তব্যে নিহিত- সবাই স্লাভ ! ইয়ুগোস্লাভিয়ার আক্ষরিক অর্থ দক্ষিণের স্লাভ । এই তর্কের কান আরও লম্বা করে টানলে চেক এবং স্লোভাকেরও এর মধ্যে স্থান হওয়া উচিত ! 
  • Amit | 163.116.203.28 | ১৬ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৩522525
  • জয়েন্ট স্টক ব্যাঙ্ক মানে একটু সিম্পল করে বোঝানো যাবে ?  আমরা যারা ব্যাঙ্কিং সম্মন্ধে বিশেষ জানিনা তাদের জন্যে। 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৩522540
  • অমিত

    অন্য যে কোন ব্যবসার মতন ব্যাঙ্কিঙ্গের সূচনা হয় একক বা  পারিবারিক  মালিকানায়, যেমন হামবুর্গের বেরেনবেরগ ( ১৫৯০) ও ফ্রাঙ্কফুর্টের মেতসলার ব্যাঙ্ক(১৬৭৪) আজও একই পরিবারের অধীনে। তারপরে এলো যৌথ মালিকানা পার্টনারশিপ , উদাহরণ বারক্লেজ ব্যাঙ্ক । সিটি অফ লন্ডনের দুই স্বর্ণকার জন ফ্রিম ও টমাস গুলড এই দোকান খোলেন – সেটি লাটে উঠলে দুই স্যাঁকরার ঘটি বাটি নিলাম হবে তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে দেউলে ঘোষিত হবেন তৎকালীন আইন অনুযায়ী তাঁরা একটি সুট , সিল্কের শার্ট ও টাই রাখতে পারেন ! আজকে প্রায় সকল ব্যাঙ্ক পাবলিক লিমিটেড। শেয়ার হোল্ডারের ক্ষয় ক্ষতি তার নিবেশের ওপর সীমাবদ্ধ ( সত্যজিৎ রায় শব্দটি অমর করে গেছেন )।  জয়েন্ট স্টক ব্যাঙ্ক এই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পিতৃ পুরুষ – কয়েকজন লোক, কোম্পানি মিলে টাকা  ঢাললেন , সেই মত শেয়ার বন্টিত হলো লোকসান হলে তাঁরা সেটুকু হারাবেন । আপোষে তাঁরা সেই শেয়ার কেনা বেচা করতে পারেন। যেমন ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড (১৬৯৪ ) কিন্তু সেটাকে প্রকৃত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক বলা যায় না রাজার টাকা চাই ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়তে , ব্যাঙ্ক খোলা হলো সেই টাকা যোগাড় কর্মারা জন্য।  ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটার প্রতিষ্ঠায় শেয়ার কেনেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি , কলকাতার কিছু ধনী পরিবার , সরকারি সেরেস্তায় কর্মরত ভারতীয় ও ইউরোপীয় সজ্জন। ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল সেই একই ধারায় গঠিত হয়।যতদূর জানি ১৮০৬ সালের ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা এশিয়ার প্রথমজয়েন্ট স্টক ব্যাঙ্ক ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাস্টার ব্যাঙ্ক খোলা হবে ১৮২৬ । 
    সীমাবদ্ধ !
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন