এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা ভাইরাস ও covid১৯, কি কেন, একটি আলোচনা

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৬ মার্চ ২০২০ | ২৯০৬ বার পঠিত
  • ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাস নাগাদ চীনদেশের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি পশুপাখি কেনাবেচার বাজারে বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিনের শরীর থেকে মানুষের শরীরে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ হবার অল্প কয়েকদিনের মধ্যে , ধরা যাক সাত কি আট দিনের মাথায় যিনি সংক্রমিত হয়েছে তাঁর জ্বর দেখা দেয় , গায়ে ব্যাথা, খুশখুশে কাশি হতে থাকে, এবং কয়েকজনের ক্ষেত্রে ভয়ংকর রকমের নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের গভীরে প্রদাহ হয়ে জল জমে, দ্রুত মারা যান। শুধু তাই নয়, রোগটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে , ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে বহু মানুষ আক্রান্ত হন। যদিও শীতকাল, বছরের শেষ, বহু মানুষ এই সময় নানা দেশে বেড়াতে যান, ফলে অসুখের বহিঃপ্রকাশ হোক না হোক, ভাইরাস টিকে শরীরে বহন করে তাঁরা হুবেই থেকে অন্যত্র নিয়ে গেলেন। তখন অবধি অসুখটির খবর চীন দেশ থেকেই ডাক্তারদের সূত্রে আসছিলো , কিন্তু বছরের সময়, মানুষের ঘোরাফেরা, সব কিছু বিবেচনা করলে পৃথিবী জুড়ে একটি আশংকা ছিলই যে এ অসুখ কেবল মাত্র চীন দেশেই আবদ্ধ নাও থাকতে পারে।  
    ডিসেম্বর মাস ছুটির সময়, উত্তর গোলার্ধে শীতকাল, এই সময়টিতে ভাইরাস বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব সারা পৃথিবী জুড়েই হয়, বিশেষ করে কোরোনাভাইরাস বাহিত সর্দি কাশি (common cold ) লেগেই থাকে। তবে অচিরেই বোঝা গেলো যে এ অসুখ মোটেও সাধারণ সর্দি কাশি জনিত এবং বয়স্ক মানুষের নিউমোনিয়া নয়, এ আরো ভয়ঙ্কর। তবে এ একেবারে নতুন নয়, এই গোত্রের কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ এর আগেও হয়েছে এবং চিকিৎসকরা আবিষ্কার করলেন এই ভাইরাসটির সঙ্গে তাদের প্রভূত মিল, আগের বার প্রতিবার মানুষ তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে, এবারে সে রূপ পরিবর্তন করে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করেছে। 
     আজ থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৩ সালে এমনি একটি ভাইরাস এই চীন দেশ থেকেই সংক্রমণ শুরু করে প্রায় ৮০০০ মানুষের মধ্যে ৩০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ও প্রায় ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয় তাতে। শ্বাসনালিতে প্রদাহ ও শ্বাস কষ্টে ভুগে সেবারে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ও অসুখটিকে SARS বা Severe Acute Respiratory Syndrome নাম চিহ্নিত করা হয়। এর দশ বছরের মাথায় ২০১২ সালে আরেকবার মধ্য প্রাচ্যে সৌদি আরবে এক ই রকম ভাবে উটের শরীর থেকে মানুষের শরীরে এবং এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে দ্রুত অসুখ ছড়াতে থাকে, সেবারও বহু মানুষ শ্বাসকষ্টে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহে মারা যান। অসুখটিকে MERS (Middle Eastern Respiratory Syndrome ) নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবার দেখা যায় যে অসুখটি পশু পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, তারপর মানুষ থেকে মানুষে। প্রতিবার দেখা যায় অসুখটির শুরুর দিকে জ্বর, কাশি, এবং অতি দ্রুত শ্বাসনালী ও ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে বয়স্ক ও অসুস্থ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 
    এ কেমন জীবাণু? 
    কি করেই বা সে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে জীবন বিপন্ন করে তোলে? কাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা চাই ও কি করলে এর উপদ্রব থেকে বাঁচা যাবে? কাকে বলে herd immunity ও সে ব্যাপার এক ক্ষেত্রে কতটা কাজে দেবে? আমরা কি করতে পারি? এই বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকটি পর্বে আলোচনা করবো।

    এই নিয়ে বহু লেখালিখি চলছে বিভিন্ন জায়গায়, তবে মোটামুটি ভাবে কতগুলো সাধারণ সূত্র বেরিয়ে আসছে সেগুলো প্রথমে নথিবদ্ধ করা যাক:
    ১) আপনার ব্যক্তিগত ভাবে কিছু করার আছে: যেমন দুতিন ঘন্টায় একবার বা যখন খাবেন, টেবিলে হাত দেবেন, রান্না করবেন, লিখবেন, কম্পিউটার কীবোর্ড এ হাত দেবেন, তখন বা তার আগেপরে কুড়ি সেকেন্ড ধরে গরম জলে (সাধারণ উষ্ণতার জলে হলেও চলবে), দু হাত ও দুহাতের আঙ্গুলগুলো ভালো করে ধুয়ে মুছে নেবেন । বাড়িতে হ্যান্ড sanitiser না থাকলে ক্ষতি নেই, আপনি শুধু সাবান দিয়ে ধুলেই যথেষ্ট হবে ।
    ২) যতদূর সম্ভব পারবেন, চোখে নাকে হাত দেবেন না । চোখ কচলানোর দরকার হলে, হাতের পিছন দিয়ে চেষ্টা করে দেখুন ।
    ৩) কারো সঙ্গে কথা বা আলাপচারিতার সময় হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করুন, দুহাত জুড়ে নমস্কার করলে দিব্যি কাজ চলে যায়, বিদেশ বিভুঁই তে করে দেখেছি, কেউ কিছু মনে করে না ।
    ৪) কথা বলার সময় ছয় ফুট দূরে (দুই মিটার) মত দূরত্ত্ব বজায় রাখতে পারলে ভালো ।
    ৫) জামাকাপড় নিয়ম করে কাচা, রোদে শুকিয়ে নেওয়া ।
    ৬) ঘরবাড়ি বিশেষ করে বাথরুম পরিষ্কার করে রাখা ।

    খাওয়া দাওযা পান ভোজন নিয়ে বিশেষ বিধিনিষেধ নেই, তবে বাস বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার সময় হাঁচি কাশি থেকে সাবধান, নিজেও কাশলে জামার হাতে কাশুন ।
    কিন্তু এ ব্যাপারটা শুধু আমাদের একার ব্যাপার নয়, আমাদের সরকার, বা সমাজ ও কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দেয়, তার মধ্যে থেকে কিছুটা কাজ করার ব্যাপার আছে, সেটাও এক ঝলক দেখে নেয়া যাক, বিশেষ করে coronavirus সম্বন্ধে কি কি জানি তার ভিত্তিতে । একেক দেশ একেক রকম বিধিনিষেধ:

    ১) কিছু দেশ যেমন সুইডেন বা ইউ কে, ইশকুল বা কলেজ বা অন্যত্র বড় জমায়েত বন্ধ করতে বলছে না, তবে বাড়িতে থাকা, যদি দেখেন যে রোগএর লক্ষণ বেরিয়েছে তাহলে নিজেকে আলাদা করে নেয়া, পরীক্ষা করানো, এগুলো করতে হবে ।
    ২) অন্যান্য কিছু দেশ যেমন নিউ জিল্যান্ড, ইত্যাদি, অন্য দেশ থেকে কেউ এলে তাকে ১৪ দিনের জন্য নিজে নিজে আলাদা থাকার বিধি দিয়েছে, তাছাড়া বড় ধরণের জমায়েত ব্যারন করেছে, তবে এখনো স্কুল কলেজ খোলা রাখা আছে, ছোট জমায়েত চলতে পারে ।
    ৩) ইউরোপে এর দেশগুলোতে করা নিষেধাজ্ঞা যে কোনো রকম জমায়েত এর ওপর,

    এখন ব্যাপারটা কিরকম?

    কোরোনাভাইরাস এর এ পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন বেরোয়নি, কোনো ওষুধও সেভাবে বেরোয়নি, যদিও দুইয়েরই চেষ্টা চলছে । এই অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরে কি ভাবে প্রবেশ করে ও কি করে ছড়ায় তাই নিয়ে এক ঝলক দেখা যাক। করোনা ভাইরাসটি একটি RNA ভাইরাস, এর শরীরের ওপরের অংশ থেকে বেশ কয়েকটি কাঁটার মুকুটের মতো কাঁটা বেরিয়ে থেকে বলে এর নাম করোনা ভাইরাস, করোনা কথার অর্থ মুকুট, দেখুন,



    এই যে শরীর থেকে কাঁটার মতন বেরিয়ে আছে, এরই সাহায্যে সে শরীরের কোষের মধ্যে প্রবেশ করে, এবং কোষকে ব্যবহার করে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে এবং কোষ ও টিস্যু ধ্বংস করতে থাকে । শরীর প্রথমে RNA থেকে প্রোটিন ইত্যাদি তৈরী করে, একসময় ফুসফুসে ভয়ঙ্কর প্রদাহ শুরু হয় আমাদের নিজেদের শরীরের ইমিউন ব্যবস্থ্যই যুদ্ধ ঘোষণা করে। জ্বর, কাশি, (শুকনো খুশখুশে কাশি) হতে থাকে ক্রমাগত, যাঁরা বৃদ্ধ ও অশক্ত বিশেষ করে তাঁদের ভারী দুঃসময় । পুরো ব্যাপারটি হতে ৪-৭ দিন সময় লাগে, এর মধ্যে সময়ানুক্রমিক ভাবে পরপর দুটি অবস্থা দেখা যাচ্ছে:

    ১) অসুখের প্রকাশ হয় নি, অর্থাৎ কাশি, গা ব্যাথা জ্বর এর কোনো লক্ষণ দেখা দেয় নি, ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলেও এতটা বাড়েনি যে আপনার থেকে কেউ এই সময় আক্রান্ত হতে পারেন । ভাইরাস প্রাপ্তির দিন থেকে খুব সম্ভবত এই সময়টি দুই থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে
    ২) অসুখ বেরোয়নি, কিন্তু আপনার হাঁচি কাশি থেকে ভাইরাস বেরিয়ে যেতে পারে, এবং এর ফলে অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে । এটি দু-দিন (৪৮ ঘন্টা থাকবে) তার পর
    ৩) আপনার জ্বর, গায়ে ব্যাথা (কতটা সে নিয়ে স্পষ্ট নয়) , স্বাসকষ্ট (রোগী বিশেষে), এবং অবশ্যই কাশি দেখা দিতে পারে । এই সময় থেকে আপনি অন্য লোকেদের সংক্রমণ করতে সক্ষম, এবং নিজেও আক্রান্ত ।

    এখন আমাদের মধ্যে যাঁরা সুস্থ সবল, বয়েস অল্প (অন্তত ৬৫ বছর বয়েসের কম) এবং যাঁদের সংক্রমণ খুব মারাত্মক নয়, যাঁরা বার বার কোনো বা বিভিন্ন রোগীর সংস্পর্শে আসছেন না, বা চিকিৎসা পাচ্ছেন, তাঁরা সাধারণত নিজেদের ইমিউন সিস্টেমের কারণেই সুস্থ হয়ে উঠছেন (৮০% ক্ষেত্রে), ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তার মধ্যে শ্বাসকষ্ট হার্টের অসুখ ইত্যাদি, এবং আনুমানিক ৬% ক্ষেত্রে প্রাণ সংশয়, এবং এঁদের মধ্যে বেশীর ভাগই বয়স্ক, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন মানুষদের মধ্যে অসুখ টি মারাত্বক আকার ধারণ করতে পারে

    অতএব, কয়েকটি কথা বিশেষ করে মনে রাখতে হবে:
    ১) করোনাভাইরাস নামের এই জীবাণুটি নতুন কিছু নয়, সাধারণ সর্দি কাশির জন্য একে দায়ী করা হয়, ২০০২-২০০৩ সালে এর দেখা পাওয়া গিয়েছিল, ২০১২ সালে এর দেখা পাওয়া গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যে, "আবার সে এসেছে ফিরিয়া" নতুন রূপে, এবার তার অন্য মূর্তি। এবারের অবতারে সে অতি দ্রুত ছড়ায়, শ্বাসনালীর গভীরে আক্রমণ শানায়, বয়স্ক, উচ্চ রক্তচাপ ও সংক্রান্ত অসুখে যাঁরা ভুগছেন,  এমন মানুষদের জন্য সে বিশেষ করে বিপজ্জনক। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এর থেকে সাধারণ মানুষের মৃত্যুহার ০.2% থেকে শুরু করে ৩.৪% পর্যন্ত হতে পারে, অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপের ও ডায়াবিটিস রুগীর জন্য বিশেষ করে ক্ষতিকর, যাঁরা  ওই সব অসুখের ওষুধ নেন, অবশ্যই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলবেন, বিশেষ করে যদি মনে হয় সংক্রমণ হয়েছে।

    ২) করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়াতে থাকে, সমাজে কারো যদি ইমিউনিটি না হয়ে থাকে, তাহলে একজন মানুষের থেকে ২ কি তিন জনের ছোঁয়াচ লাগতে পারে । এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখুন, যার জন্য যাতে না ছড়ায় বা আপনি যাতে অন্য কাউকে না করোনাভাইরাস দেন, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অতএব, প্রাণে হয়ত মারবে না, কিন্তু খুব ভোগাবে ও সাংঘাতিক ছোঁয়াচে এই অসুখটি জলের ড্রপলেট, হাঁচি, কাশি, নিঃশ্বাস, কাউকে জড়িয়ে ধরলেন, বা কেউ জড়িয়ে ধরল, বাস ট্রামে ট্রেনে পাশাপাশি কারো সঙ্গে বসে এলেন, (যাঁর রোগের জীবাণু আছে),  এমন নানান সূত্রে আপনার ছোঁয়াচ লেগে হতে পারে।

    ৩) অসুখটির এখনো পর্যন্ত কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয় নি, অতএব চূড়ান্ত সাবধানতা অবলম্বন না করলে অসুখ দ্রুত ছড়াবে ।

    কি কি করলে অসুখটির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে?

    • নিয়ম করে  ও ঘন ঘন গরম জলে (ঈষদুষ্ণ জলে) সাবান ফেলে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন, বিশেষ করে প্রতিবার খাবার আগে, খেয়ে উঠে, বাথরুম ব্যবহার করার সময়, যতটা পারেন। টেবিল, থালা বাসন এগুলোও পরিষ্কার করে ধোবেন, মুছে রাখবেন। সাবান জল ছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন (Aloe Vera + Alcohol দিয়ে তৈরী করেও নিতে পারেন)
    • কাউকে কাশতে, হাঁচতে দেখলে বা এমনকি কথা বলার সময়ও তিন ফুট বা এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। 
    • হাঁচি পেলে টিস্যু সঙ্গে রাখুন, টিস্যু ফেলে দেবেন, রুমাল রাখলে রুমাল অবশ্যই কাচবেন নিয়ম করে । হাঁচির সময় নাক চিপে ধরে আটকানোর দরকার নেই, বরং টিস্যু বা রুমালে নাক ঝাড়ুন। কাশি পেলে অতি অবশ্যই জামার হাতায় কাশুন, হাত মুঠো করে বা হাতের তেলোয় কাশবেন না ।
    • চোখ, নাক, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, নাক খোঁটা, থুতু দিয়ে কাগজ ওলটানো একদম নয়। টাকা গোনার সময সতর্ক থাকুন, পারলে হাত ধুয়ে ফেলুন বা হাতে স্যানিটাইজার লাগান। 
    • যদি দেখেন কাশি হচ্ছে, জ্বর  এসেছে, ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন  এবং পারলে বাড়িতে থাকুন। তাঁরা লালা বা গলার পিছন পরীক্ষা করে জানাবেন আপনাকে কি করতে হবে ।

    আপাতত এইটুকু । 

    এর পরের পর্বে Herd Immunity, R0 ইত্যাদি নিয়ে লিখব । 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ মার্চ ২০২০ | ২৯০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৬ মার্চ ২০২০ ০৮:১৪91491
  • তাড়াতাড়ি আসুক, পরের পর্ব!
  • নাম দিয়ে আর কি হবে! | 172.68.143.137 | ১৬ মার্চ ২০২০ ১০:২৬91494
  • মতামতের ঠেলায় অন্ধকার। এদিকে হু (কিছুতেই ইনজিরিতে লেখা যাচ্ছে না) চাইছে কোথ্থেকে এলো এই আপদ। চায়না কিছুতেই হু এর সাথে এই ইনফরমেশন শেয়ার করবে না! কি জ্বালা মাইরি!
  • b | 172.68.146.187 | ১৬ মার্চ ২০২০ ১০:৪২91495
  • WHO
    গুরু-র লে আউটে দুটো কৌণিক বন্ধনীর মধ্যে বসাতে হবে।
  • বুঝলাম | 172.68.143.137 | ১৬ মার্চ ২০২০ ১০:৫১91497
  • Thank You
  • সে | 162.158.150.93 | ১৬ মার্চ ২০২০ ১৪:২৬91498
  • খুবই সময়োপযোগী এবং তথ্যপূর্ণ লেখা।
  • b | 162.158.166.86 | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৭:০৮91547
  • আসুক।
  • π | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৭:১৪91548
  • 'কাউকে কাশতে, হাঁচতে দেখলে বা এমনকি কথা বলার সময়ও তিন ফুট বা এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন'

    এটা নিয়েই বলছি। যার কিছু হয়নি, সেও।মাস্ক পরলে তো অন্তত কিছুটা প্রোটেকশন। কারণ আমাদের দেশে ভিড়ভাট্টা এই এক মিটার দূরত্ব রেখে চলা সম্ভব নাকি সবসময়, আর হঠাত সামনে কেউ না ঢেকে হেঁচে কেশে দিলে? রাস্তায় পাদ করতে করতে?.
  • অরিন | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৮:২৬91551
  • এই নির্দেশিকাগুলো WHO র বিধান। শুধু ভারত তো নয়, আরো বহু দেশ  আছে যেখানে এই সমস্যা রয়েছে । ডিসট্যানস না মেনটেন করতে পারলে না করবে।  এইগুলো আইডিয়াল। পারলে ভাল। 

  • π | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৮:৩৫91552
  • ভারতেও এই নির্দেশ দিয়েছে, সেদিন দিয়েছিলাম। এটা নিয়েই আমার প্রশ্ন।
  • b | 172.69.134.248 | ১৯ মার্চ ২০২০ ১০:০০91554
  • π | 162.158.23.108 | ১৯ মার্চ ২০২০ ০৭:১৪

    হ্যাঁ, শেষটাও বড় সমস্যা।
  • π | ১৯ মার্চ ২০২০ ১০:১৩91556
  • :((

    পার পার পার
  • π | ২০ মার্চ ২০২০ ০৯:৩৩91599
  • পরের পর্ব কবে!!

    ভাট থেকেই, আর কি।
    "এই ম্যাথেমেটিক মডেলিং গুলো কি ভাবে করে ? ২।২ মিলিয়ন তো একটা বিশাল ফিগার মনে হচ্ছে। চীন র কুমুলেটিভ কার্ভ যদি দেখা যায়, তাহলে এখন ফ্লাট হয়ে গেছে গত ১-২ হপ্তায়। ইতালি হয়তো এখন peak এ পৌঁছেছে, এর পর ফ্লাট হতে শুরু করবে। মানে আশা করছি আর কি, একটা লেভেল এ র পর হার্ড ইমমিনিটি এসেই যাবে। চীন আর ইতালি র কুমুলেটিভ কার্ভ দুটো পাশা পাশি রাখলে হয়তো একটু তুলনা করা যাবে। আমার যদিও মেডিকেল র বিন্দুমাত্রও নলেজ নেই, জাস্ট মাথেমেটিক্যাল এঙ্গেল থেকে বোঝার চেষ্টা করছি।" (Amit )

    Mathematical Modelling এর ডিটেলস এই পেপারএর Methods সেকশান এ পেয়ে যাবেন,

    https://www.imperial.ac.uk/media/imperial-college/medicine/sph/ide/gida-fellowships/Imperial-College-COVID19-NPI-modelling-16-03-2020.pdf

    আরো ডিটেলস চাই? এই পেপারটা দেখুন,

    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2290797/pdf/zpq4639.pdf

    এটাতে স্টেপ বই স্টেপ দেওয়া আছে ।

    শুধু হার্ড ইমিউনিটি দিয়ে কার্ভ এর ইনফ্লেকশন পয়েন্ট এ মনে হয় পৌঁছতে গেলে যে স্কেল এ শুরু হয়েছে, অনেক দিন লাগার কথা, যার জন্য lockdown আইসোলেশন এসবের কথা বলা হচ্ছে । আপনি যদি এদের মেথড ফলো করেন, তাহলে ইউরোপ এর এপিডেমিক তার সিমুলেশন নিজেই করে দেখতে পারেন। ডাটা চাইলে দেখুন:

    https://github.com/CSSEGISandData/COVID-19

    এদের github রেপো, এখন থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারেন ।
  • pi | 162.158.167.9 | ২২ মার্চ ২০২০ ০৮:০২91674
  • এই পরের পর্ব যে আর কবে আসবে কে জানে।
    অরিনদাকে বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। ঃঃ(

    যাহোক,এই ড্রাগের পেপারটা কেউ পড়ে থাকলে বলুন। জার্নালটাও কেমন।৷
    এরা পিসিয়াদ এ ভাইরাস কমেছে দেখেছে, সংগে ক্লিনিকার প্যারামিটারগুলো দেখেনি কেন? মানে ওটা তো ইজিয়েস্ট ছিল।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন