এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সমকামিতা- বিবর্তনের কাঠামোয় (প্রথম পর্ব)

    Sudipto Pal লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ০৪ মার্চ ২০২০ | ৪৮৩৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • সমকামিতার স্বাভাবিকতা বা নৈতিকতা নিয়ে আজকের যুগের পাঠকদের বিশেষ কৈফিয়ত দেয়ার প্রয়োজন নেই, কিন্তু সমকামিতাকে কিভাবে ডারউইনীয় বিবর্তনের কাঠামোয় রাখা যায় সেই প্রশ্ন যদি পাঠকের মনে জাগে তার উত্তর দেয়া অবশ্যই জরুরী। চলুন, তার আগে দেখে নেই আমাদের কিছু নিকটাত্মীয়ের রোজকার জীবন।

    মানুষের নিকটতম আত্মীয় শিম্পাঞ্জি, এবং এদের দুটো স্পিসিস- সাধারণ শিম্পাঞ্জি আর বোনোবো। বোনোবোরা সবাইই প্রায় উভকামী। উভকামিতা আর বহুগামিতা এদের সামাজিক সংগঠনকে মজবুত করতে সাহায্য করে। বিশেষতঃ মহিলা বোনোবোরা নিজেদের ঘনিষ্ঠতাটাকে ব্যবহার করে নারীকেন্দ্রিক সমাজ গড়তে। এদেরই জাতভাই সাধারণ শিম্পাঞ্জিরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে থাকে। বোনোবোরা কিন্তু উল্টো- সবাই সবাইকে শরীর দিয়ে ভালবাসে। শুধুমাত্র আনন্দ পাবার জন্য রতিক্রিয়া করা- এটা মানুষ আর বোনোবো ছাড়া অন্য প্রাণীর মধ্যে বিরল। থাকলেও এত ব্যাপক হারে দেখা যায় না। যুদ্ধ নয় প্রেম- শারীরিক প্রেম- উদ্দাম প্রেম- বহুমাত্রিক প্রেম- অনর্থক প্রতিযোগিতায় না গিয়ে লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রেম- এভাবেই বোনোবোরা সমাজগঠন করে। এদের মধ্যে অনেক মানুষী ব্যপার আছে, যেমন একে অপরকে মুখোমুখি রেখে যৌন সংসর্গ করা, জিভে জিভ রেখে ফ্রেঞ্চ কিস করা, যেগুলো অন্য প্রাণীরা সাধারণতঃ করে না।

    জীবজগতে সমকামিতার আরেকটি খুব ভাল উদাহরণ- পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইন সমকামী পুরুষরা ডিম দত্তক নেয়। কারণ পেঙ্গুইনরা কঠিন পরিবেশে থাকে, এক ঋতুতে একটা দুটো ডিম পাড়ে। সেখানে বাবা মা মারা যাওয়ার পর ডিম অনাথ হয়ে যাবার থেকে সমকামী পুরুষদের দত্তক হওয়া ভাল।

    এই ভাবে সমকামিতা বিভিন্ন প্রাণীদের মধ্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে, এবং নিজেদের স্বজাতীয়দের অস্তিত্ব রক্ষায় ও বংশবিস্তারে সাহায্য করে। একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলছি, মৌমাছিদের ৯৯.৯ শতাংশের বেশী অপ্রজননশীল এবং সেটা ব্যবহার করে ওরা অস্তিত্ব রক্ষা ও বংশবিস্তার করে। অবশ্য রাণী মৌমাছির সন্তান হলে তার দাসীরও সন্তান হওয়া হয়, কারণ দুজনেই তো এক। এটা এইজন্য বলেছি, যে ডারউইনীয় বিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমরা যদি দেখি, আমরা প্রকৃতিতে অনেক উদাহরণ পাব যেখানে সন্তান জন্ম না দেয়ার মাধ্যমে বা সমকামিতার মাধ্যমে প্রাণীরা স্বজাতীয়দের অস্তিত্ব রক্ষা ও বংশবিস্তারে সাহায্য করে। অর্থাৎ গাদা গুচ্ছের সন্তান উৎপাদনই সারভাইভাল অফ ফিটেস্ট নয়।

    সন্তান প্রজনন না করে কিভাবে নিজের জিনকে এগিয়ে দেয়া যায় তার উদাহরণ মৌমাছির মাধ্যমে দিয়েছি। চলুন, এই পরার্থজীবিতা বা অল্ট্রুইজম ব্যাপারটা আরেকটু ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি।

    কিন অল্ট্রুইজম হল প্রয়োজনবোধে নিজের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে নিজের ভাই-বোনের তথা আত্মীয়দের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। হ্যামিলটন ল বলে একটা সূত্র আছে। এটা দেখলে অর্থনীতির একটা সমীকরণ বলে মনে হবে। আমি গণিতে না গিয়ে একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি আর আপনার বোন, আপনাদের কাছে এক লক্ষ টাকা আছে, যেটা দিয়ে একটা কোর্স করে ভাল চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনার থেকে বোনের বুদ্ধিসুদ্ধি অনেক বেশী, অতএব সে এই কোর্সটা করলে পাঁচ লক্ষ টাকার চাকরি পাবে, আপনি করলে তিন লক্ষ টাকার চাকরি পাবেন। অতএব বোন কোর্সটা করলে আপনার পরিবারের লাভ, এবং পরোক্ষভাবে আপনারও। এর উপরে যদি বোন কথা দিয়ে থাকে যে ওর চাকরি থেকে যে বাড়তি রোজগারটা হবে সেটা দিয়ে পরের বছর আপনি আরও ভাল কোর্স করতে পারবেন, তাহলে আপনার আরও ভাল চাকুরি হবে। অর্থাৎ আপনি এটা করছেন কারণ আপনি আপনার বোনের লাভের ভাগ পাবেন। এবং সার্বিক লাভ যেহেতু বেশী হচ্ছে আপনার সর্বমোট লাভ বেড়েই গেল।

    এবার উপরের উদাহরণটাতে আপনি টাকার বদলে জিন রাখুন, কোর্সের বদলে ইন্টারকোর্স। তাহলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। অর্থনীতিতে যেভাবে রিসোর্স অপ্টিমাইজেশন এবং প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন করা হয়, এখানেও অনেকটা ওরকম হচ্ছে।

    মনে রাখবেন ত্যাগ স্বীকার আপনি কতখানি করবেন তা নির্ভর করছে দুটি জিনিসের উপর- এক- যার জন্য আপনি ত্যাগ স্বীকার করছেন তার কতটা ক্ষমতা রয়েছে আপনার বিনিয়ুক্ত টাকাটাকে বাড়ানোর, আর দুই- সেই আয়ের কতটা ভাগ আপনি পাবেন। ধরুন আপনি এবছর গাড়ী না কিনে একটা বিনিয়োগ প্রকল্পে টাকা রাখলেন। দুখানি বিনিয়োগ প্রকল্পের চয়েস আপনার সামনে- ক আর খ। 'ক' তে ফান্ড ম্যানেজাররা দারুণ কাজ করেন এবং অনেক রিটার্ন, তবে ফান্ড ম্যানেজমেন্টের খরচ বাবদ আপনার লাভের ভাগ থেকে একটা বড় অংশ ওরা কেটে নেয়। ১০০ টাকা রাখলে পাঁচ বছরে সেটা প্রায় দুশো টাকা হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে, তবে ঐ লাভের অর্ধেক আপনাকে ওদের হাতে তুলে দিতে হবে, আপনার লভ্যাংশ বাকী অর্ধেক। 'খ' আপনার লাভের প্রায় পুরোটাই- ধরুন ৯০% আপনার হাতে তুলে দেয়, তবে প্রচুর লাভ হয় না- ১০০ টাকাটা হয়তো মেরেকেটে ১৬০ টাকা হতে পারে । আপনি ক আর খ দুটোর মধ্যে একটা বেছে নেবার জন্য অংক কষবেন। সম্ভাব্য লাভকে গুণ করবেন লভ্যাংশ দিয়ে। ১০০ টাকা লাভ যার ৫০ শতাংশ পাবেন- বনাম- ৬০ টাকা লাভ যার ৯০ শতাংশ পাবেন। লাভ আর লভ্যাংশ গুণফলের মূল্যটা যদি, আপনি এবছর গাড়ী না কিনে যে ত্যাগস্বীকার করলেন সেই ত্যাগের মূল্যের থেকে বেশী হয়, তবেই কিন্তু ত্যাগটা লাভদায়ক, নাহলে নয়।

    এবার সন্তানলাভকে 'লাভ' বলে ধরুন। নিজের সন্তান মানে ১০০% নিজের সন্তান। ভাই-বোনের সন্তান মানে তারা নিজের সন্তানের মতনই, পুরোপুরি নয়, 'আংশিকভাবে'। তুতো ভাইবোনের সন্তান আরেকটু কম 'আংশিকভাবে' আপনার সন্তানের মত। তস্যতুতোদের সন্তানরা আরেকটু কম। অর্থাৎ যত তুতোর দিকে যাচ্ছেন আপনার 'অংশ'টা কমছে- লভ্যাংশ কমছে। কিন্তু আপনার বোন কিংবা তুতো বোন ধরুন এমন জোরদার সন্তানের জন্ম দেয়ার ক্ষমতা রাখেন যিনি বড় হয়ে যদুকুল রক্ষাকর্তা বাসুদেব হবেন, আপনি তখন হয়তো তার সন্তানজন্মের জন্য কিছু ত্যাগ স্বীকার করলেন। লভ্যাংশ কম হলেও লাভ অনেক। আপনারই জিন 'আংশিকভাবে' এগোচ্ছে কিন্তু এগোচ্ছে জোরদারভাবে। সাম্ভাব্য লাভ আর লাভের অংশ- দুইয়ে মিলে হিসেব। এটাই ‘হ্যামিলটন ল’, এটাই ‘কিন সিলেকশন’। (বাসুদেবের উদাহরণটা বিশেষ কারণে দেয়া)

    তবে সন্তান কেমন হবে আগে থেকে কেউই জানে না। আর্থিক বিনিয়োগের মতই অনিশ্চয়তাপূর্ণ। বাবা-মা কে দেখে আপনি আন্দাজ লাগাতে পারেন। সমকামিতার মত আত্মঘাতী বৈশিষ্ট্যকে কিভাবে সার্ভাইভাল অফ ফিটেস্টের নিয়মে ফেলা যায়, তার ব্যাপারে একটা তত্ত্ব হল এই কিন সিলেকশন ভিত্তিক, যার উদাহরণ উপরে দিলাম।

    দেখা গেছে সমকামী পুরুষদের বোনেরা গড়পড়তার তুলনায় বেশী উর্বর হন। আবার সমকামী মানুষরা তাদের ভাই-বোনের সন্তানপালনে সাহায্যের হাত হতে পারেন- এটাকে ‘গে আঙ্কেল হাইপোথিসিস’ বলা হয়। আপনার একটু কম উৎপাদনশীলতার বিনিময়ে আপনার ভাইবোনেরা একটু বেশী উৎপাদনশীল হল!

    এবার বলি আর একটা তত্ত্ব। দেখা গেছে আপনি যদি পুরুষ হন তবে আপনি আপনার ভাইদের মধ্যে যত পরবর্তীক্রমে জন্মেছেন, আপনার সমকামী হবার প্রবণতা তত বেশী। এটাকে বলে ‘ফ্র্যাটার্নাল বার্থ অর্ডার এফেক্ট’। দ্বিতীয় পুত্রসন্তান সমকামী হবার সম্ভাবনা প্রথম পুত্রসন্তানের থেকে বেশী, তৃতীয় পুত্রসন্তানের সেই সম্ভাবনা আরও বেশী, ইত্যাদি। কারণ যারা আগে জন্মেছে তাদের বংশবৃদ্ধির দায় বেশী। যারা পরে জন্মেছে তাদের মধ্যে পূর্বজাত পুত্রসন্তানদের সন্ততিদের রিসোর্স ছেড়ে দেয়ার দায় কিছুটা বেশী। প্রথম বাচ্চাগুলো দিয়েই বাবা-মায়ের কাজ সারা হয়ে যাচ্ছে। তবে এই কার্যকারণ শুধুমাত্র ডানহাতি পুরুষের ক্ষেত্রেই খাটতে দেখা গেছে। এটি প্রায় ১৫% পুরুষ সমকামিতার ব্যাখ্যা দেয়। একটা প্রবণতা একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সেটা হল- মায়ের গর্ভে একের পর এক যত পুরুষ সন্তান আসতে থাকে মায়ের গর্ভে পুরুষ সন্তানের প্রতি প্রতিরোধও বাড়তে থাকে। বলা হয় কিছু অ্যান্টিজেন আছে (anti-NLGN4Y antibodies) যারা মায়ের পরবর্তী গর্ভগুলোতে বেশী পরিমাণে আসার জন্য ছেলে সমকামী হতে পারে।

    আবার অনেক বিজ্ঞানী দাবী করেছেন, এমন কিছু জেনেটিক ফ্যাক্টর আছে যা একই পরিবারের একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে নারীকে উর্বরতা দেয়, পুরুষকে সমকামী বানায়। তবে এটা নিয়ে খুব বেশী গবেষণা হয়নি। মনে রাখবেন উপরিউক্ত কারণগুলির প্রায় কোনোটিই (বোনের উর্বরতা, জন্মক্রম, গে আঙ্কেল) নারী সমকামিতার ব্যাখ্যা দেয় না। এই নিয়ে আশা করি আরো গবেষণা হবে।

    সমকামিতার আরও অনেক ব্যাখ্যা আছে। অতো বিশদে না গিয়ে একটাই কথা বলব- দেখুন, পৃথিবীতে শুধু ইঁদুর দৌড় নয়- ভালবাসা আছে, সহযোগিতা আছে, আত্মত্যাগ আছে। এগুলো দিয়ে সমকামিতার ব্যাখ্যা দেয়া যায়। আর বোনোবোরা কিভাবে সমকামিতা দিয়ে একটা সহযোগিতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলেছে তার উদাহরণ তো শুরুতেই দিয়েছি।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ মার্চ ২০২০ | ৪৮৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biman | 162.158.159.9 | ০৪ মার্চ ২০২০ ২২:২৯91230
  • তথ্যপূর্ণ একটি লেখা। ভাষাও প্রান্জল। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
  • A | 162.158.118.205 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:৫৯91239
  • গুরুত্বপূর্ণ লেখা। অপেক্ষায় রইলাম।
  • pi | 172.68.146.91 | ০৬ মার্চ ২০২০ ০৭:০৪91251
  • ভাল লেখা, পরের পর্ব কবে?
  • প্রসূন বিশ্বাস। | 162.158.167.163 | ০৭ মার্চ ২০২০ ১০:৫০91263
  • বিপ্লব রহমান | ১২ মার্চ ২০২০ ২০:৩৮91425
  • গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক,  চোখ রাখছি।  ইংরেজি শব্দের যথেচ্ছ ব্যবহার কিছুটা পীড়াদায়ক।

    দ্বিতীয় পর্বে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করায় বেশ অবাক হয়েছি, এটি ব্লগ ধারণার বিপক্ষে। অনুগ্রহ করে ভেবে দেখবেন?  

               

  • বিপ্লব রহমান | ১২ মার্চ ২০২০ ২০:৪১91426
  • *সংশোধনী = মন্তব্যের শেষাংশটুকু অনুগ্রহ করে উপেক্ষা করুন, না বোঝার ফল।       

  • নিঃস্বার্থ ! | 2409:4060:2e9c:e11f:d47:45c4:4690:d4e1 | ২৯ মে ২০২১ ২৩:৪৫106602
  • " ধরুন আপনি আর আপনার বোন, আপনাদের কাছে এক লক্ষ টাকা আছে, যেটা দিয়ে একটা কোর্স করে ভাল চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনার থেকে বোনের বুদ্ধিসুদ্ধি অনেক বেশী, অতএব সে এই কোর্সটা করলে পাঁচ লক্ষ টাকার চাকরি পাবে, আপনি করলে তিন লক্ষ টাকার চাকরি পাবেন। অতএব বোন কোর্সটা করলে আপনার পরিবারের লাভ, এবং পরোক্ষভাবে আপনারও। এর উপরে যদি বোন কথা দিয়ে থাকে যে ওর চাকরি থেকে যে বাড়তি রোজগারটা হবে সেটা দিয়ে পরের বছর আপনি আরও ভাল কোর্স করতে পারবেন, তাহলে আপনার আরও ভাল চাকুরি হবে। " 


    এরকম নিঃস্বার্থ naive লোকজন ও পৃথিবীতে আছে নাকি?

  • নিঃস্বার্থ ! | 2409:4060:2e9c:e11f:d47:45c4:4690:d4e1 | ২৯ মে ২০২১ ২৩:৪৫106601
  • " ধরুন আপনি আর আপনার বোন, আপনাদের কাছে এক লক্ষ টাকা আছে, যেটা দিয়ে একটা কোর্স করে ভাল চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনার থেকে বোনের বুদ্ধিসুদ্ধি অনেক বেশী, অতএব সে এই কোর্সটা করলে পাঁচ লক্ষ টাকার চাকরি পাবে, আপনি করলে তিন লক্ষ টাকার চাকরি পাবেন। অতএব বোন কোর্সটা করলে আপনার পরিবারের লাভ, এবং পরোক্ষভাবে আপনারও। এর উপরে যদি বোন কথা দিয়ে থাকে যে ওর চাকরি থেকে যে বাড়তি রোজগারটা হবে সেটা দিয়ে পরের বছর আপনি আরও ভাল কোর্স করতে পারবেন, তাহলে আপনার আরও ভাল চাকুরি হবে। " 


    এরকম নিঃস্বার্থ naive লোকজন ও পৃথিবীতে আছে নাকি?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন