এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অন্য যৌনতা

  • ছক্কা ঋতুপর্ণ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অন্য যৌনতা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭০৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ১।

    এ সবই নেহাৎ ব্যক্তিগত কথা। ঋতুপর্ণ, হ্যাঁ, ঋতুপর্ণ  ঘোষের কথা বললেই আমার পুরোনো পাড়ার একটা ছেলের কথা মনে পড়ে। যার নামও আমি আজ ভুলে গেছি। শুধু এইটুকু মনে আছে, যে, কতকাল আগে, ছেলেটাকে লেডিস বলে ডাকা হত। ছেলেটা ছোটোখাটো, শান্ত, মুখচোরা। সাতচড়ে রা কাড়েনা। কিন্তু কী অপমানজনক ছিল সেই সম্ভাষণ, বোঝা যেত, যখন পাড়ার ছেলেরা দূর থেকে "এই লেডিজ এদিকে আয়" বলে হুঙ্কার পাড়ত, মেয়েরা মুখ টিপে হাসত, আর শুনলেই ওই গরুর মতো শান্ত চোখেও ক্রোধের ঝিলিক খেলে যেত। বেশিরভাগ সময়েই পাশ কাটিয়ে চলে যেত। শুধু একবার ইট ছুঁড়ে মেরেছিল, মনে আছে। তাতে অবশ্য লেডিজ বলা থামেনি। বরং প্রবল ইংরিজি শিক্ষার তোড়ে, এবং তুমুল উৎসাহে লেডিজের বদলে আবিষ্কার করা হয়েছিল আরেকটা ইংরিজি শব্দ। লেডিজ ফিংগার। যেমত নাকের বদলে নরুণ। আজ ভাবলে বুঝতে পারি, অপমানের জন্য কী যথাযথ ছিল সেই ডাকনাম। মেটাফর হিসেবে তো অব্যর্থ। একদিকে মেয়েলি, অন্যদিকে ঢ্যাঁড়োশ, অর্থাৎ অকর্মার ঢেঁকি। পুরুষের মেয়েলিত্বের এত যথার্থ বর্ণনা এর আগে বা পরে আর কখনও শুনিনি।

    আরও পরে অবশ্য ছক্কা শব্দটা শুনেছি। নপুংসক এর একটু নরম সংস্করণ হিসেবে ব্যবহার করা হত সেটা। মানেটাও একই, অবয়বে পুরুষের মতই, কিন্তু আসল কাজে ছক্কা। পুরুষের "আসল" কাজটা যে কি সে নিশ্চয়ই বলে দেবার দরকার নেই। এফিমিনেট পুরুষের অপরাধের বর্ণনা হিসেবে এটাও ভালো, কিন্তু লেডিজ ফিংগার এর কাছাকাছি আসেনা। তুলনায় অবশ্য অনেক মোটা দাগের ছিল কলেজের সেই ছেলেটির ডাকনাম। কোনো লুকোছাপা মেটাফরের বালাই নেই। তাকে ডাকা হত মাগী নামে। সেটা অবশ্য একদিক থেকে ভালই। আক্রমণটা সরাসরি। হারামজাদা তুই ছেলে নোস তুই একটা মাগী। ব্যস। দ্ব্যর্থবোধকতার কোনো জায়গাই নেই।

    ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এ সবই মনে পড়ছে। এসব ছিল কেবল আমাদের নিষ্পাপ আমোদ-আহ্লাদ ও সারল্য। শৈশব কৈশোর ও যৌবনের। পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই।

    ২।

    এসবের অনেক দিন পরে, মনে আছে, যুবক বয়সে দার্জিলিং শহরে বেড়াতে গিয়ে আমি এক ফরেস্ট রেঞ্জারের পাল্লায় পড়ি। পাল্লায় পড়ি কথাটা বলা ভুল, ভদ্রলোক ভারি অতিথি পরায়ণ ছিলেন। বাড়িতে ডেকে রীতিমতো ভুরিভোজ করিয়ে সাহিত্য আলোচনা করেছিলেন, মনে আছে। আমার ভালো লেগেছিল। তিনি ছিলেন প্রজাপতি সংগ্রাহক। জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে প্রজাপতি জমাতেন। নৈশাহারের পরে গর্ব করে দেখিয়েছিলেন, তাঁর প্রজাপতির সংগ্রহশালা। একটা কার্ডবোর্ডের উপর থরে থরে পিন দিয়ে এঁটে রাখা মৃত প্রজাপতি। কী অপূর্ব তাদের ডানা। রঙের বিন্যাস। ভালো করে দেখার জন্য একপা এগোতেই দেখি পিনে আটকানো একটা প্রজাপতির ডানা থিরথির করে নড়ে ওঠে। ওড়ার চেষ্টায়। অবাক হয়ে ভদ্রলোকের দিকে তাকাতেই, তিনি স্মিত হেসে বলেন, ওটা এখনও মরেনি।

    ঋতুপর্ণকে আমরা মারিনি। এমনকি লেডিজ ফিংগারও বলিনি। ছক্কা বলতে পারিনি। মাগী তো নয়ই। কারণ আমরা পরিশীলিত। আমরা ভদ্রলোক। কিন্তু আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এটুকু স্মরণ না করলে খুবই অকৃতজ্ঞ ব্যাপার হবে, যে, এই বঙ্গসমাজ, যারা আজ আহা কি ভালো ফিল্মমেকার ছিলেন গো, কী অপূর্ব ছিল তাঁর ঐন্দ্রজালিক ডানার প্যাটার্ন, রঙের বাহার, বলে চোখের জলে ও নাকের জলের বন্যায় গঙ্গা ও যমুনা ভাসিয়ে দিচ্ছে, তারা ভদ্রলোকের জীবদ্দশায় ডানার ছটফটানি দেখে কি আনন্দই না পেয়েছে। "রিনাদি তুই" শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছে। হাঁটার ভঙ্গী দেখে মুখে রুমাল চাপা দিয়েছে। কানের দুলের প্যাটার্ন দেখে গা-টেপাটেপি করেছে। "মেয়েদের মতো ঢং করবে তো হাসব না তো কি?" এই ছিল যুক্তি। সারল্য ও কমনসেন্সে ভরপুর।

    ফিল্ম মেকাররা তো একটু গম্ভীর ও আঁতেল প্রকৃতির হন। ঋত্বিকের কথা ছাড়ুন, তিনি তো ভগবান, মৃণাল সেন কি সত্যজিত রায়কে নিয়ে ক্যারিকেচারের কথা আমরা ভাবিইনি। অপর্ণা সেনের পরিশীলিত ন্যাকামিও কখনও টিভি শো'এর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়নি। কিন্তু ঋতুপর্ণ? ফিল্ম তো নয়, বেস্টসেলার ছিল তাঁর আইডেন্টিটি। যৌন অভিজ্ঞান, যা, আমরা প্রাপ্তবয়স্করা জানি, যে, নেহৎই ব্যক্তিগত। কিন্তু সেখানে হাত দিতে আমাদের কখনও কোনো কুন্ঠাবোধ হয়নি। ওসব তো অসভ্যতা নয়, জাস্ট আমাদের প্রাপ্তবয়স্কতার আমোদ-আহ্লাদ। টিভি শো'র জনৈক অ্যাঙ্কর তো বিখ্যাতই হয়ে গেলেন স্রেফ ঋতুপর্ণকে নকল করে। অন্য কোনো কারণে নয়, ঋতু এফিমিনেট ছিলেন বলেই না। ভেবে দেখুন, অন্যদের নকলনবিশীর কথা সেরকম মনেই নেই আমাদের, তারা আদতে টিআরপি বেশি পায়ইনি। তাই অ্যাঙ্করের বিশেষ দোষ নেই। ওগুলো আমরা, দর্শকরা খাই। আমরা প্রোটোটাইপে বিশ্বাস করি। কুয়োর মধ্যেই আমাদের বসবাস। সেই আমাদের পৃথিবী। আমাদের প্রগতিশীলতার প্রোটোটাইপ আছে, বিপ্লবের প্রোটোটাইপ আছে, স্বাভাবিকতার প্রোটোটাইপ আছে, পরিশীলনের প্রোটোটাইপ আছে। তার বাইরের কিছু দেখলেই আমরা ছিছি করি। চরিত্রদোষ দেখি। অসামাজিক বলি। লেডিজ ফিংগার বলে ডাকতে চাই। দাবী একটাই, মালটা আমার মতো নয় কেন। ঠিক আমারই মতো নয় কেন। সেটা তার অপরাধ। অতএব প্রকাশ্যে তার প্যান্টুল খোলো। সারল্যের সঙ্গে নেড়েচেড়ে দেখো কেমন করে সে রিঅ্যাক্ট করে। ইঁট-টিট তুলে মারে কিনা।

    তা, এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে বেদনার দিনে, ফিল্ম-টিল্ম গোল্লায় যাক, শুধু প্রজাপতিটির ডানা-কাঁপানো মনে পড়ে। আহা কি ছিল তার রঙের বাহার। কী অপূর্ব সেই ডানার কাঁপন। কি ন্যাচারাল। যেন পাতার উপরে নিজের পালকশরীর বিছিয়ে সে বসে ছিল। শরীরে গেঁথে থাকা পিনটা এতই ছোটো, সেটা চোখেই পড়েনি।

    ৩।

    শিল্প আর শিল্পী নাকি আলাদা। এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে মৃত্যুদিনে সেসব কথা ভাবতে ভালো লাগেনা। এ সব ব্যক্তিগত অনুভূতি বড়ই ব্যক্তিগত। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, গোল্লায় যাক শিল্পের শবসাধনা, কবিতার বদলে ট্রামে ছেঁচড়ে যাওয়া জীবনানন্দের ডেডবডি মনে পড়ে। সেই দশকে নাকি ওটাই ছিল একমাত্র ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু। তাকে আপতিক ভাবতে অসুবিধে হয়, যেমন অসুবিধে হয়  ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে একজন সফল ফিল্ম মেকারের মৃত্যু। আসলে তো তাঁকে নেই করে দেওয়া হল। টিভিতে, খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায় যত কলকাকলি আর হাহুতাশ দেখি, সব শুধু সিনেমা। সিনেমা সিনেমা আর সিনেমা। লোকটা কোথাও নেই। কিন্তু আজ তো সিনেমার দিন না। একটা লোক মারা গেছে। একজন ব্যক্তি মারা গেছেন। সে শুধু সিনেমা নয়। নিজের আইডেন্টিটিকে সে কখনও সিনেমা দিয়ে ঢাকেনি। মেয়েলি দোপাট্টা পরে কানে দুল ঝুলিয়ে টিভি শোতে এসেছে। যত বয়স হয়েছে তত নরম হয়েছে তার গলার আওয়াজ, আর তীব্রতর হয়েছে তার আইডেন্টিটি। নমনীয়তাকে, নরম স্বরে কথা বলাকে আমরা পুরুষের দুর্বলতা বলে ধরে নিই। কিন্তু ঋতুপর্ণ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, ব্যাপারটা অতো সোজা নয়। যতগুলো নতুন পুরস্কার ঝুলিতে ঢুকেছে, ততই মেয়েলি হয়েছেন তিনি। ততই নরম হয়েছে তাঁর কণ্ঠস্বর। মেয়েলিপনাকে শক্তি দিয়ে আগলে রেখেছেন। ছুঁড়ে দেওয়া ইঁটগুলোকে, "লেডিস ফিংগার" তাচ্ছিল্য আসবে জেনেও, আঁকড়ে ধরেছেন ওই মেয়েলি আলখাল্লাকে। সেই নরম সাহস, সেই এফিমিনেট দৃঢ়তা ছাড়া ঋতুপর্ণ নেই। হয়না।

    আজ তার মৃত্যুর দিনই ব্যক্তিটি উধাও। আমাদের শ্রদ্ধার ঠেলায়। তার যে আইডেন্টিটি এতদিন জনতার উপহাসের বিষয় ছিল, সংখ্যালঘু একটি অংশের কাছে হয়তো হিরোইজমও ছিল, যে আইডেন্টিটিকে লোকটি কখনও ভয়ে ভক্তিতে বা ধান্দাবাজিতে গোপন করেনি, শত অপমানেও হ্যান্ডব্যাগে চেপে রাখেনি, যে আইডেন্টিটি ছাড়া সে অকল্পনীয় ছিল, আজ সেই আইডেন্টিটিটিই উধাও। তার অপমানের ইতিহাস হাওয়া, তার ডানার ছটফটানি নেই, পড়ে আছে শুধু অন্তরমহল আর শুভ মহরৎ। এই আধা ব্রাহ্ম, আধা নরখাদক একটা সমাজে বুক চিতিয়ে লোকটা দাঁড়িয়েছিল তার জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে। ইঁট-পাটকেল খাবে, ক্ষতবিক্ষত হবে জেনেও। এই ভ্যাদভ্যাদে শোকের দিনে শুধু এইটুকুই মনে করানোর, যে, মনে রাখবেন বন্ধুগণ, যে, ছোঁড়া ইঁটগুলির একটি আপনারও ছিল। সেই বাংলা সত্যটিকে ফুলমালায় ঢেকে গায়েব করে দেওয়া যাবেনা। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, তাকিয়ে দেখুন, টিভিতে দেখে যাকে নিয়ে অবিরত যূথবদ্ধ খিল্লি করেছেন, সেই লেডিজ ফিংগারটিই আসলে ঋতুপর্ণ ঘোষ। সৃষ্টি ও স্রষ্টার যন্ত্রণা এক ও অচ্ছেদ্য। যে কারণে মৃত্যর পরেও আপনার ড্রয়িংরুমে মূর্তিমান অস্বস্তি হয়েই তিনি থেকে যাবেন।  তিনি, ঋতুপর্ণ, মেয়েলি, এফিমিনেট, দুর্বল, রক্তাক্ত ঋতুপর্ণ।

    পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই। এফিমিনেট অর্থে আমরা দুর্বল ও মিনমিনে ভাবি। যা পুরুষের মুকুটে শোভা পায়না। নারী নমনীয় ও শক্তিমতী হতে পারে, কিন্তু পুরুষ নরম ও শক্তিমান? উঁহু। আমাদের প্রোটোটাইপে আটকায়।

    ৪।

    এ সবই ব্যক্তিগত কথা। কিন্তু সবই যখন হচ্ছে এটাও থাক। এ বোধহয় বছর চারেক আগের কথা। আমাদের অফিসে একটি ছেলের নাম ছিল ঋতুপর্ণ। তারও ফিল্মের সঙ্গে কেমন যেন যোগাযোগ। কোন এক প্রযোজকের ছেলে তার ক্লাসমেট ছিল। আমাকে ফিল্ম বানানোর লোভ দেখায় প্রায়ই। সিরিয়াসলি নিশ্চয়ই না। কিন্তু ঠেকে এসব আবোলতাবোল কথা বলব না তো কখন বলব। বড়ো ব্যানারে ফিল্ম বানাব, ঋতুপর্ণকে পাঁচ পার্সেন্ট লভ্যাংশ দেব ইত্যাদি নেহাৎই হাবিজাবি বকি প্রায়ই। কিন্তু সেদিন তেমন মুড ছিলনা। সেদিন আমি বাড়ি থেকে কাজ করছি। ঋতুপর্ণ আগের দিন কাজ না করেই কেটে গিয়েছিল। পরের দিন সাত সকালে, তখন সকাল নটা-টটা হবে, ভারতীয় সফটওয়্যারের হিসেবে সেটা তো ভোরবেলাই, যখন ফোন এল, আমি অবাক হইনি মোটেই। ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমরা যতই হ্যাহ্যা করি, একসঙ্গে চা-বিড়ি খাই, একটা হায়ারার্কির প্রশ্ন থেকেই যায়। সেটা আরও বোঝা যায় তার গলায়। মিনমিনে, প্রায় এফিমিনেট কন্ঠে সে বলে, আমি ঋতুপর্ণ বলছি। আমি গম্ভীর গলায় বলি, বল। আগেই ফোন করব ভেবেছিলাম, সে বলে। আমি বলি, সে তো জানি, করনি কেন? আসলে, সে আরও মিনমিনে স্বরে বলে, ভেবেছিলাম, আগেই করব, কিন্তু করা হয়নি। বেশ তো, বলি আমি, এখন কী বলছ বল। আসলে, সে বলে আরও আগেই করব ভেবেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে দিল্লী যেতে হল। দিল্লী? আমি বেজায় অবাক হই। ছোকরা দিল্লী চলে গেল নাকি? কাজের কী হবে? আসলে, দিল্লীতে ন্যাশানাল (না কি একটা যেন) অ্যাওয়ার্ড ছিল।

    আমি শুনে বেজায় বিরক্ত হই। কাজের কথা হচ্ছে। এর মধ্যে ইয়ার্কি টেনে আনার কি দরকার? একটা তেতো মন্তব্য করতে গিয়ে কে জানে কেন থেমে যাই। কোথাও কি কিছু ভুল হচ্ছে? ঋতুপর্ণ তো এরকম আলপটকা কথা বলেনা। তুমি ঋতুপর্ণই বলছ তো? হ্যাঁ, সে কেমন যেন অবাক হয়ে বলে। আমি ঋতুপর্ণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ।

    এমনিতে নেহাৎই মজার গল্প। এ নিয়ে পরে আমরা হাসিঠাট্টাও করব। যা লিখতে আজ আর কোনো বাধা নেই। ঋতুপর্ণ বলবেন, এ ধরণের কড়া সম্ভাষণ তিনি ফোন করে বহু বহুদিন কারো কাছে শোনেননি। আমি বলব, মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়, কারণ। কারণ? আমার পেট ডায়ালগ, ম্যান ইজ মর্টাল, অর্থাৎ মানুষমাত্রেরই ভুল হয়।

    এই অদ্ভুতুড়ে দিনে আমার এই মজার গপ্পোটা বারবার মনে পড়ে। কারণ আজ এটা অব্যর্থভাবেই জানি, যে, এ ভুল আমি করতাম না যদি না ফোনের গলার শব্দটি মিনমিনে ও এফিমিনেট হত। পুরুষের নমনীয়তার সঙ্গে শক্তির অভাবের কোথাও একটা যোগ করি আমরা। এ ভূত প্রোটোটাইপিং এর ভূত। সে ভূত খুব সহজে যাবার নয়। আর আজ আমি অব্যর্থভাবে এটাও জানি, যে, এই ম্যান ইজ মর্টাল মানেই মানুষ মরণশীল নয়। অন্তত কেউ কেউ অস্বস্তি হয়েও টিঁকে থাকবেন। কোথাও না কোথাও।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭০৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ১০ জুন ২০১৩ ০৬:৫০76696
  • শুদ্ধ-র লেখা (মন্তব্য) ভাল লাগল
  • Alina Sharma | 24.98.235.90 (*) | ১০ জুন ২০১৩ ১২:২২76694
  • jeta amar jonno shabhabik, shetai amar shabhab...... eta khub sharal equation.... shotti amra shudhui prototype khujte thaki

    tarche oi shomoyta kono productive kaaj korle hoyna?

    Jini eta likhechhen take anek dhonyobad, tobe Rituda tkakte jodi erokom likhe thaken tahole apni shotti ashonkho dhonyobader adhikari.

    Amader nijer charkay tel dite shekhata khub joruri, poshchimi anukoron shudhu poshake na hoye jodi kaaj e aar chintadaray hoy tahole anek unproductive shomoy je gulo 'kathi' kore kete jay shegulo kaaje lage

    anyways, apnader hoyto amar lekha khub kharap lagte pare, but shudhu Ritudar kotha bole na bole(sorry likhe) parlam na.
    Amar ei alochonai bhalo lage na..... ek proshongo etoi bektigoto je ei bapare kono rokom kathai amar interference lage
  • nam tar singha | 134.247.214.101 (*) | ১০ জুন ২০১৩ ১২:৩৪76695
  • rituparna amader kachhe bikhyat to tar cinema r janyei - bakti rituparno ke sudhu majhe majhe tv te ba anno kothao dekhtam - kintu setuku chhara apamor jonosadharaner sathe tar jogajog chhilo cinema diyei - bakti rituparna r sathe jogajog amar antato chhilo na - sutorang cinema cinema korlei ba asubidher ki achhe? manushtake chintam to tar cinema diyei!! bakti riuparna r somondhe article opore ja porlam sab i to meyeli rituparna ke niye lekha - tar anno baktittoke to saikat babuo dekhte pelen na - tini dayalu chhilen kina, tar bandhupriti kemon chhilo, tini sahanubhutisil chhilen kina etc - kothao kichhu pelam na ororer article e - bolte nei lekhak o sudhu jeno rituparna r meyeli bapertikei anubhab korechhen lekhai!! ebong mir r katha je karane lekhak tenechhen tar lekhate, tinio jeno ei baperti dhorei pathoker mone dhukte cheyechhen. mir r ki dosh korlo tahole? barang manusher mone tar penetrate karar khomota anek besi!!
  • সুধৃতি ঘোষ দস্তিদার | 127.194.212.92 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৬:৫১76697
  • ঋতুপর্ণ ঘোষ এর ব্যাপারে অনেক কিছুই আমার বলার ছিল, কিন্তু তার অনেক কথাই এই লেখাটিতে সৈকত বাবু লিখে ফেলেছেন এবং যথার্থ ভাবেই বাঙ্গালির সাবেকি পুরুষ- নারীর ধ্যানধারনাটিকে তুলে ধরলেন। আমাদের সহজাত প্রবনতাটাই বোধহয় যে কোন মানুষকে না বিচার করেই তার সমালোচনা শুরু করে দেওয়া এবং এই করতে গিয়ে আমরা হয়ত তিলে তিলে অনেক অনেক মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছি দিনের পর দিন। তাদেরকে ঘিরে দিয়েছি সামাজিক ধারনার অনতিক্রম্য বেড়াজালে, যার জট খুলতে খুলতে বধহয় মানুষটি সারাটা জীবন কাটিয়ে দেন, তবু কুলকিনারা মেলে না। সৈয়দ মুজতবা আলির একটি গল্পে একবার পরেছিলাম, যে সমুদ্রের নোনাজল আপাত অসীম লাগলেও তার কিনারা খুজে বের কড়া সম্ভব, ভাগ্যের নোনাজল সীমাহীন হলে তার কিনারা মেলে না। ঋতুপর্ণ এর ভাগ্যটি সেরকম অতল নোনাজলএ ভরা...তবে তিনি হারেন নি, নিজেকে ঢাকেন নি। কোন মিত্থ্যে পরিচিতির অন্তরালেও বাচতে চান নি...আমার বিশ্বাস এরকম এফেমিনেট মানুষরা হয়ত আরেকটু বেশি মর্যাদা পাবেন। আমরা তো মরণোত্তর সম্মান দেখাতে খুব ভালবাসি। সেই ভালবাসা টুকু দেখিয়ে মানুষগুলোকে আরেক্টু সম্মান দিলে বোধহয় ওনার জীবনভর এই লড়তে থাকার সুবিচার মিলবে। আর সৈকত বাবু আপনার লেখা প্রসঙ্গে ঋতুদা কে একটা কথাই বলার ছিল- ' এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রান, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান'।
  • Biswajit | 125.112.158.99 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৩ ০৯:০৫76698
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। আসলে আমরা সাধারণ মানুষেরা অনেক সময়ই যা দেখতে বা শুনতে অভ্যস্ত তার বাইরের কিছুকে সাধারণভাবে মেনে নিতে পারি না - ঋতুপর্ণ'র মেধাকে আমরা অস্বীকার করতে পারিনি আবার তাঁর ব্যক্তিগত যৌন অধিকারকে মেনে নিতেও পারিনি। সময় আমাদের আরো আধুনিক করে তুলবে - এটা তো ঠিক যে আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ঋতুপর্ণ'র মতন একজনকে নিজের মেধার অস্তিত্ব নিয়েও লড়াই করতে হত, যেটা আজ আর নেই।

    আমার শিক্ষাগুরু একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক যিনি এই অস্তিত্বের লড়াই নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে - একজন পুরুষ এবং পরে একজন বিখ্যাত মহিলা বৈজ্ঞানিক হিসেবে। পারিবারিক পরিস্থিতি তাঁর অন্য সবার মতই এবং তাঁর সঙ্গিনী কোনো অবস্থাতেই তাঁকে ছেড়েও যাননি- অবহেলাও করেন নি। তিনি আমাদের দেশের মানুষ নন আর সেটা হয়ত তাঁর একটা পরিস্থিতিগত সুবিধা। কিন্তু আমরাও পাল্টাচ্ছি। ঋতুপর্ণ'রা তাই ভবিষ্যতে দেশের শহরগুলোতে, মধ্যবিত্ত সমাজে অস্তিত্ব নিয়ে খুব একটা বেকায়দায় পড়বে বলে মনে হয়না।
  • প্রতিভা সরকার। | 37.63.156.74 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৬:১১76699
  • যেন একটি বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় এসে পড়লো গালে। উহুঁ, মন ভরে গেল টেল বলে মন্তব্য করা যাবে না এই লেখায়। আমি সিরিয়াসলি ভাবছি ঐ পাটকেল ছোঁড়ার দলে আমি নিজের অজান্তেই কোনদিন ঢুকে পড়েছিলাম কিনা !!
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ৩০ মে ২০১৮ ০৪:৪১76700
  • তুললাম।
  • কল্লোল | 37.63.131.10 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৪:২৯76701
  • আলাদা করে একটা টই খোলা যেতো হয়তো। কিন্তু মনে হলো এই টইতেই কথাটা তুলি।
    আমার অনেকদিনের প্রশ্ন, কেউ কেন লিঙ্গ বদলাতে চায়? কেউ একজন পুরুষ/নরী চিহ্ন নিয়ে জন্মেছে, অথচ তার মন সেই চিহ্নের বিপরীতে। ফলে সে দেখতে পুরুষ হলেও নারীর মত আচরণ করে বা উল্টোটা। তাতে কি এসে যায়? জানি তাকে এর ফলে নানান বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হয়। তো, সেটাকে মোকাবিলা না করে লিঙ্গ বদলিয়ে তার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া কি খুব কাম্য?
    জানি নিজের ওপর না পড়লে, বাইরে থেকে এসব লড়াই টড়াই করতে বলা খুব সহজ। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি তেমন কোন জায়গা থেকে বলছি না।
    আমার দেখা দুটি চরিত্র, চেতলায় থাকে, দুই ভাই-বোন। বোনটি একসময়ে সেলিব্রিটি, মহিলা ক্রিকেটার। ভাইটি নৃত্যশিল্পী। বোনকে নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। মেয়েরা ছেলেদের মতো আচরণ করলে, তার ওপর খেলোয়ার হলে লোকে তেমন কিছু দোষের পায়না। কিন্তু ছেলেটিকে রাস্তায় ঘাটে হেনস্তা সইতে হতো, যেটা বেশীরভাগ সময়েই যৌন হেনস্তা। আমরা কেউ কেউ প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করতে পারিনি। এটা ৮০র দশকের কথা।
    কিন্তু ঋতুপর্ণের বিষয়টি একেবারেই আলাদা। তাকেও সইতে হয়েছে, কিন্তু সে লড়াই করে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এতো সব করার পর তার কেন লিঙ্গ পরিবর্তন করতেই হলো, যখন সে তার নারী পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত।
    ব্যক্তিগত ইচ্ছা, একটা কারণ হতেই পারে। এখানেই আমার আপত্তি। চেতলার ছেলেটির ক্ষেত্রে হয়তো বা আমার এতো আপত্তি থাকতো না। কিন্তু ঋতুপর্ণের কি খুব প্রয়োজন ছিলো?
  • | 144.159.168.72 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৪:৩৪76702
  • কেউ লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চায় কারণ সে অপর লিঙ্গের শরীরটি, শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি নিজের সমস্ত রক্ত মজ্জা দিয়ে পেতে চায় আপন মনে করে তাই।
  • Santanu | 57.15.154.13 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ১০:১৩76704
  • এই খানেই জেনে নি
    পুরুষ মহিলা হয়েছেন, লিঙ্গ পরিবর্তন করে, শল্য চিকিৎসা ইত্যাদি করে - শোনাই যায়.
    মহিলা এইসব করে পুরুষ হয়েছেন (গেছো মেয়ে নয়) - এমন কেউ কেউ নিশ্চই আছেন, জানলে একটু বলে দেবেন তো, সেদিন একটা তর্কে কেউ বলতে পারলো না।
  • de | 69.185.236.55 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ১১:১২76705
  • আমার আগের পোস্টের লিং গুলো একটু দেখুন্না -
  • Sumit Roy | 113.244.13.59 (*) | ০১ জুন ২০১৮ ০৮:৪৮76706
  • এফেমিনেসির বিরুদ্ধে যাওয়া, বুলিং করা এগুলোর পেছনে আমার মতে দুটো আলাদা কারণ রয়েছে। এক হল এটা নিয়ে নেগেটিভ স্টেরিওটাইপ, যা আমরা ছোটবেলা থেকে জেন্ডার্ড সোশ্যালাইজেশনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি, যা এদের নিয়ে একরম নেগেটিভ স্টেরিওটাইপ তৈরি করে। আরেকটা হচ্ছে পুরুষের মধ্যে থাকা ম্যাসকুলিন ইনসিকিউরিটি।

    ইন্টারজেন্ডার কম্পিটিশনের কারণে হোক, আলাদা রেপুটেশনের কারণে হোক, পেট্রিয়ার্কির কারণে হোক, পুরুষের কাছে ম্যাসকুলিনিটির ভেল্যু আমাদের সমাজে অনেক বেশি। আর তাই ম্যাসকুলিনিটি হারাবার ভয়ও থাকে। এটা পুরুষের মধ্যে একরকম ইনসিকিউরিটির জন্ম দেয় যে অন্যেরা তাকে কম ম্যাসকুলিন না ভাবে, আর এজন্য দেখা যায় সে বেশি করে হোমোফোবিক হয়, এফেমিনেটদের বুলিং করে, কুইয়েরদের বিরুদ্ধে যায়। এক্ষেত্রে সমাজে নিজেকে ম্যাসকুলিন হিসেবে পেশ করার একটা প্রবণতা কাজ করে। অনেক হোমোসেক্সুয়ালও এজন্য হোমোফোবিক হয়। নরমেটিভ সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সের কারণে মানুষের এরকম প্রবণতা তৈরি হয়।

    আমাদের সমাজে বিভিন্ন বিষয়ে প্রোটোটাইপ তৈরি হয় যার বাইরে গেলে সবাই ছি ছি করে, এটা খুবই বাস্তব একটা বিষয়। কিন্তু ম্যাসকুলিনিটির ইস্যুতে যেন এটা আরও অনেক বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। মার্ক্সিস্ট থিওরিস্ট এন্টনিও গ্রামসি কালচারাল হেজেমনির কনসেপ্ট দিয়েছিলেন। এরপর সেটাকে ম্যাসকুলিনিটির সাথে যুক্ত করেন আর. ডব্লিউ. কনেল। তিনি যে নতুন কনসেপ্টটা দেন তার নাম "হেজেমনিক ম্যাসকুলিনিটি"।

    তিনি দেখান, আমাদের সমাজে অনেক রকম ম্যাসকুলিনিটির অস্তিত্ব থাকলেও, অগ্রাধীকার পায় এক বিশেষ রকমের ম্যাসকুলিনিটি। এরপর সকল পুরুষ সেই বিশেষ রকম ম্যাসকুলিনিটিকে অর্জন করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। সেই ম্যাসকুলিনিটিই হেজিমনিক ম্যাসকুলিনিটি। সমাজ সব পুরুষকে এই ম্যাসকুলিনিটির দিকে ধাবিত করার জন্য নানান রকমের প্রেশার প্রয়োগ করে। বুলিং করার মাধ্যমে, সোশ্যালাইজ করার মাধ্যমে সব পুরুষকে ঐ ছাচে ফেলা হয়, সেরকম ম্যাসকুলিনিটির অধিকার না হলে নারীরা যাতে তাদের সাথে সম্পর্কে না যায়, এভাবে নারীদেরকেও সোশ্যালাইজ করা হয়। যারা এরকম ম্যাসকুলিন না তাদেরকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অযোগ্য হিসেবে দাঁড়া করানো হয়, নেগেটিভ স্টেরিওটাইপ তৈরি হয়। এভাবেই চলে সমাজের পুরুষ শুদ্ধিকরণ অভিযান। সমাজে সেই বিশেষ ম্যাসকুলিনিটিকে একমাত্র প্রাকৃতিক ও ন্যায্য হিসেবে দেখানো হয়, বাকি সব ডিফেক্ট, যেখানে সেই হেজিমনিক ম্যাসকুলিনিটি নিজেও একটা সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট।

    একটা সাইক্লিক প্যাটার্নের সাহায্যে দেখানো যায় যে এই হেজিমনিক ম্যাসকুলিনিটি পেট্রিয়ারকিকেও প্রমোট করে। কাজেই নারী, পুরুষ, সর্বোপরি সমাজের মুক্তির জন্য এই হেজিমনিক ম্যাসকুলিনিটির আইডিয়া থেকে বের হতেই হবে।

  • জয়দীপ | 2401:4900:3140:edc4:6c01:1d7a:315:4ed | ৩১ মে ২০২০ ১৭:৩৯93849
  • অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছে, আবার বলতে  চাইও না... আজকাল মাঝে মাঝে খালি মনে হয়,ঋতুপর্ণ মরে গিয়ে প্রমাণ করেছে ঋতুপর্ণ বেঁচে আছে 

  • de | 182.57.94.171 | ৩১ মে ২০২০ ১৭:৫৪93850
  • এই লেখাটা, যতবার ভেসে ওঠে, ততবার পড়ি - আরো পড়বো। আহা! ঋতুপর্ণ! - আরো কতকিছু দেওয়ার ছিলো তাঁর, আর পাওয়ার ছিলো আমাদের!
  • একলহমা | ০১ জুন ২০২০ ১০:৪৬93866
  • বারবার পড়ার। 

  • Tim | 2607:fcc8:ec45:b800:6d4e:d250:f138:5bdc | ০১ জুন ২০২০ ১০:৫১93867
  • হ্যাঁ এইটা কাল আবার পড়লাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন