এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মুনমুন সেন, রহস্য, পানুঃ আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ অক্টোবর ২০১৫ | ১৩৭০৫ বার পঠিত
  • সে ছিল আমাদের কিশোর বয়েস, স্কুলের উঁচু ক্লাস, যাকে বলে টিনকাল গিয়ে যৌবনকাল আসার সময়। সে বয়েসে কত কি ঘটে! ঢাকুরিয়া লেকে হঠাৎ খুচরো চুমুর দ্বিধা থরথর অমরাবতীর পাশেই সযত্নে লুকনো থাকে রঙ্গীন চটির ছেঁড়াখোঁড়া মলাট। প্রথম সিগারেট টানার রোমাঞ্চ এবং হঠাৎ করে নারীশরীরে উন্মুক্ত ব্রা-এর স্ট্র্যাপ দেখে শিরশিরানি কোথাও গিয়ে মিলে যায়। এ সেই বয়েস, নব্বই-এর শেষভাগ, যখন অনায়াসে বিশ্বাস করা যায় যে মড়ার খাটের নিচে বোমা রেখে আসলে তা একদিন গোটা শ্মশান উড়িয়ে দেবে। সেই বয়েসে রিটা হেওয়ার্থের অর্ধ-অনাবৃত পোস্টার পরম মমতায় আগলে লুকিয়ে রেখেছিল আততায়ীর পালানোর সুড়ংগপথ। আমাদের রিটা হেওয়ার্থ ছিলেন মুনমুন সেন, যিনি আদরে মমতায় একটা গোটা জেনারেশনের অপরাধী কৌতুহলের গোপন সুড়ংগপথ আগলে রেখেছিলেন। শরিরী বিভংগে এবং ঘিরে থাকা মিথ-মিথ্যের আলোছায়ার জটিল কাটাকুটির নকশা আমাদের চোখের সামনে মেলে ধরেছিলেন। আমরা বিশ্বাস করতাম পৃথিবীর কোনো এক হারিয়ে যাওয়া সিনেমার আর্কাইভে একদিন না একদিন খোঁজ মিলবেই মুনমুন সেনের ব্লু ফিল্মের।

    মাঝেমাঝেই স্কুল বা কলেজের অফ পিরিয়ডের আড্ডায় কথাটা উঠত এরকমভাবে, যে আমাদের কোনো এক বন্ধুর দাদার রুমমেট-ই নাকি সেই পানু দেখেছে। সন্দেহ প্রকাশ করলে কেউ একজন নাক কুঁচকে জানাত “আরে জর্জ বেকারের সংগে, জানিস না?” কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে সেই জিনিস? দক্ষিণ কলকাতার গলিঘুঁজি দোকান তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাঝে মাঝেই গড়িয়াহাট মোড়ে গিয়ে আধবুড়ো দোকানদারকে ঢোঁক গিলে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে “ইয়ে, মানে মুনমুন সেনের কিছু, ওই ইয়ে আছে নাকি?” দোকানদার শিওরলি ততদিনে এরকম কয়েক হাজার কাস্টমার সামলেছে যারা এক-ই জিনিসের খোঁজ করেছে। সে বিড়ি টেনে উদাস কন্ঠে অন্যদিকে তাকিয়ে বলত “ফরেন জিনিস আছে, নেবেন?” নিরাশ হয়ে ফিরে আসার সময় অন্য এক বন্ধু বলত, “বেলঘড়িয়ার গলিতে একজন বসে। তার কাছে রেয়ার কালেকশন থাকে। সে নাকি বলেছে জোগাড় করে দেবে”। তো, চালাও পানসি বেলঘড়িয়া! ছুট ছুট ছুট এবং আবার ব্যর্থমনোরথ হয়ে ফিরে আসা।

    ততদিনে কিন্তু সেক্স জিনিসটা আর আমাদের জীবনে আর অত ট্যাবু নয়। বাজীগরে কাজলের ক্লিভেজ বা বেটা-তে মাধুরীর সেই দ্বিধা-থরথর দুলুনি আমরা দেখে ফেলেছি। সুপারহিট মুকাবিলার মাধ্যমেই হোক অথবা রাত্রে বিদেশী সিনেমায়, শরীর ব্যাপারটা আর অচেনা নয়। সত্যি বলতে কি আঠেরোয় পৌঁছনোর আগেই আমাদের অনেকের-ই শরিরী অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল। আর মুনমুন সেন কোনোদিন-ই এমনকিছু হিট নায়িকা ছিলেন না যাঁকে নিয়ে ক্রেজ তৈরী হবে। কিন্তু এটা মনে হয় সেই নব্বই-এর ম্যাজিক মোমেন্ট, যা ইঁদুর-দৌড়ে থাকা নায়িকাদের সাইডলাইনে সরিয়ে জনমানসে পাকাপাকি প্রতিষ্ঠা দিয়ে দেয় মধ্যবয়স্ক, ঈষৎ পৃথুলা এবং খুব একটা ভাল অভিনয় করতে না জানা এক মহিলাকে। দুই হাতের দশ আংগুল গুণে হয়ত বলে দেওয়া যায় মুনমুন সেনের মনে রাখার মতন সিনেমা কি কি। হিট সিনেমার অবস্থাও তথৈবচ। বাংলা উচ্চারন খারাপ ছিল। ইন ফ্যাক্ট, মুনমুনের আধো আধো গলায় বলা বাংলাকেও প্রচুর ক্যারিকেচার করা হয়েছে এককালে। কিন্তু সেসব পেরিয়েও একটা জেনারেশন বড় হয়ে গেল এই দোলাচলে থেকেই যে সত্যিই মুনমুন সেনের পানু ছিল না নেই। আর এভাবেই মুনমুন সেন আরবান লেজেন্ডের অংশ হয়ে গেলেন। আশী বা নব্বইতে যে জেনারেশন কৈশোর কাটিয়ে যৌবনে ঢুকেছে তাদের সসময়সীমায় তর্কযোগ্যভাবে সবথেকে বড় আরবান লেজেন্ড।

    সমাজবিজ্ঞানীরা আজকাল বলেন গুজব তখন-ই আরবান লেজেন্ডে রূপান্তরিত হয় যখন তার পেছনে এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর হিস্টেরিয়া, আকাংখা অথবা ঘৃণা কাজ করে। মুনমুনের ব্লু ফিল্মের ক্ষেত্রে মনে হয় নিঃশব্দে খেলা করে গিয়েছিল সময়। আমরা সাবালক হয়েছিলাম মুনমুনদের হাত ধরে। আশীর দমচাপা রাজনৈতিক বাস্তবতা নব্বইয়ের শুরুতে বার্স্ট করেছিল বিকেন্দ্রীকরণ মন্ডল-কমিশন বাবরীর হাত ধরে। সুপারহিট মুকাবিলা সেই সময়তেই এসেছে। হিন্দি সিনেমাতে নায়িকাদের ড্রেস-প্যাটার্ন পালটাচ্ছে একটু একটু করে। ক্লিভেজ দেখানো পোষাক পরছেন অনেকে। গোপন অপরাধবোধকে সোচ্চারে সগর্বে একটু একটু করে চিনে নেওয়া হচ্ছে তখন। আমাদের নাগরিক সত্বা উন্মুখ হয়ে ছিল এই খোলা হাওয়ার মধ্যে থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত খোলা হাওয়াগুলোকে চিনে নিতে। সেখানে আমাদের নিজস্ব একজন, সুচিত্রা সেনের মেয়ে, বরাবরই আলো আঁধারিতে ঢাকা জীবন, তাঁর এরকম একটা স্ক্যান্ডাল, ছিল অথবা নেই সেটা বড় কথা নয়, সেটাকে আমরা ভালবেসেছিলাম। সেটা ছিল আমাদের নিজস্ব গোপন অপরাধবোধের স্বীকৃতি। আজ স্বীকার করতে বাধা নেই আমরা সকলেই মুনমুন সেনের প্রেমে পড়েছিলাম। শুধু তাঁর শরীরের প্রেমে নয়। তাঁর রহস্যের প্রেমে। তাঁর বিভংগের প্রেমে। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম এই শহরে হয়ত কোনও এক আন্ডারগ্রাউন্ড ধুলি ধুসরিত ভাংগা ঘর আছে যেখানে হারিয়ে যাওয়া সিনেমাদের সযত্নে সঞ্চিত করে রাখা হয়। সেখানে যাবার পথ কেউ জানে না, কিন্তু কোনো এক আর্কাইভিস্ট সেখানে সংগোপনে রেখে দিয়েছেন মুনমুন সেনের ব্লু ফিল্ম। শ্যাডো অফ দ্য উইন্ড উপন্যাসের হারিয়ে যাওয়া বইদের কবরখানায় দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ লাইব্রেরিয়ান বলেছিলেন, কোনো বই যখন হাতবদল হয় তখন নতুন পাঠকের আত্মার একটা টুকরোকে সেই বই শুষে নেয়। মুনমুন সেনের সেই সিনেমা আমরা দেখিনি। কিন্তু তবুও আমাদের মতন অ-দর্শকদের আত্মার একটা টুকরোকে শুষে নিয়ে সেই কল্পিত অথবা বাস্তব ফিল্মটি দীর্ঘজীবি হয়ে গেছে।

    আজ ২০১৫ তে এসে এসব রোমান্টিকতার মানে হয়না। এখন অ্যাডাল্ট ফিল্মের নায়িকারা মেন্সট্রিমে অভিনয় করেন। ইন্টারনেটে ক্লিক করলেই নায়িকাদের এম এম এস সহজলভ্য। প্যারিস হিলটন বা কিম কারদাশিয়ানদের জগতে ঘুরপাক খাওয়া আজকের টিন বুঝবেই না আজ থেকে কুড়ি বছর আগে এক অনাঘ্রাত পর্ন সিনেমা কতটা মহার্ঘ্য ছিল। মুনমুন সেনের পানু তাই আসলে এক হারিয়ে যাওয়া সময়কে ধরে রাখে। এই লেখা তাই শুধু সেই পানুকে নয়, সেই হারিয়ে যাওয়া সময়কে এক অক্ষম হোমাজ। আলটিমেটলি আমরা জানি যে শ্মশান উড়ে যাবেনা। রিটা হেওয়ার্থের পোস্টার ছিঁড়ে ফর্দাফাই হয়ে গিয়ে আবিষ্কার হয়ে যাবে আততায়ীর সুড়ংগপথ। আজ সেই সুড়ংগপথে মাটিচাপা পড়ে গেছে। সন্ধ্যেবেলার দুরদর্শনে বিশেষ বিশেষ খবর আর কেউ দেখে না। আশিকি বাজীগর ডরের রোমাঞ্চ অথবা ডবলিউ ডবলিউ এফ-এর সেই স্টিকার জমানোর আদিখ্যেতার আজকাল কোন মূল্য নেই। তবু আমরা যারা সদ্য তিরিশ থেকে সদ্য চল্লিশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছি, তাদের আকাশে কোথাও একটুকরো মেঘের মতন লুকিয়ে থেকেই যাবে আমাদের নিজস্ব বড় হয়ে ওঠার গোপন ব্যাথার দাগ। আকাশ অংশত মেঘলা ছিল। আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ অক্টোবর ২০১৫ | ১৩৭০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin | 11.39.36.36 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৫ ১২:৪৮69890
  • কোন ঋত্বিক? আই আই টি র?
  • ঋত্বিক | 213.110.243.21 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:২৪69893
  • পাই দি,
    হে হে। একদম। এ আই বি চরম জিনিস।
    বোতিন দা,
    একদম ঠিক। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন