এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কনস্টেবল্‌ কথা

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ | ৭১৯ বার পঠিত
  • তপন এক সময় ছোট ভাইটি থেকে আস্তে আস্তে ভাই গোত্রীয়, সেখান থেকে ভাতৃপ্রতিম বন্ধু এবং আরো পরে বন্ধু্র মতনই প্রায় হয়ে গিয়েছিল। আসলে প্রতি বার দেশে ফিরে দেখছি চেনা বন্ধুরা ছড়িয়ে পড়ছে – পেটের ধান্ধায় গ্রামের বাইরে, বা সারা দিন ব্যস্ত থাকার জন্য সেই ফাঁকা মাঠে বা নিমো স্টেশনে আড্ডা আর জমে উঠছে না। ফলতঃ যারা আছে কাছে পিঠে তাদের নিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হত – এবং এই ভাবেই নিজের ব্যাচ- জুনিয়ার ব্যাচের গন্ডি ভেঙে আমি এক হয়ে যেতে থাকলাম তপন ও আরো অন্য তপনদের সাথে। আমাকে ওরা দাদা বলত, মনে হয় ভালোবাসতও কিছুটা, আর হয়ত বাইরে থাকার জন্য মনের মধ্যে পুষে রাখত কিছুটা বাড়তি সম্ভ্রম। খিস্তির আদান-প্রদানের বিভেদ ঘুচে গিয়েছিল প্রথমেই, তারপর বিড়ি, ক্রমশঃ মদ এবং শেষে মেয়েছেলের গল্প – মোবাইল তখনো এতো জনপ্রিয় হয় নি। আমাদের গ্রামের বারোয়ারী তলায় জলে উঠেছিল ‘সোনার বাঙলা’ ক্লাব যেটা ভরাট করেছিল পড়াশুনা শেষে চাকুরী খোঁজার মাঝে বেকারত্বের সময় টুকু। তবে সময়ের ধারণা নিমো গ্রামের ছেলেদের ক্লিয়ার না থাকার জন্য এবং ঘটি পরিবারের সন্তান বিষয়ক ফ্লুইডিটির ইন্ধনে ‘সোনার বাঙলা’ ক্লাবের স্থায়ীত্ব যতদিন হবার কথা ছিল তার থেকেও অনেক বেশী দিন হয়েছিল।

    তপন আমার এবং আমাদের এক নির্ভর যোগ্য খুঁটি হয়ে গিয়েছিল। ক্লাবে পিকনিক হবে – আমি শুধু ইচ্ছে প্রকাশ করে আর টাকা দিয়েই খালাস – তপন ছোটাছুটি করে চল্লিশ জন ছেলেকে খবর দেওয়া, বাজার করা থেকে শুরু করে বাকি সব কিছুই করত – যার মধ্যে বাজার করা, মদের অ্যারেঞ্জমেন্ট, আর রাঁধতে আসতে না চাওয়া বুধো কলুকে পুনরায় পিকনিকে রান্নায় রাজী করানো, লাইটের ব্যবস্থা, রান্নার সরঞ্জাম জোগাড় – এই সব নানা বিধ কাজ জুড়ে ছিল। পড়াশুনার লিমিটেশনের দরুণ এবং বাপ পুলিশ হবার জন্য তপনের ভবিতব্য যেন পুলিশ হবার জন্যই ঠিক হয়ে ছিল। আমরা এক সময় মাঠে ভোর বেলা ছোটা প্র্যাক্টিস করতে গেছি – আমি ফিট থাকার জন্য আর তপন কনস্টেবলের দৌড় আর লঙ-জাম্প পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। যথাসময়ে তপন চাকুরী পেয়ে ব্যারাকপুরে চাকুরী করতে গেল – এটা আগের বছরের ঘটনা। ব্যারাকপুরে ট্রেনিং পিরিওডের গল্প আমাকে তপন শুনিয়েছে। প্রায় চারশো ছেলের জন্য মাত্র একটা পায়খানা, তপন সেখানে রাতে ভয়ে ঘুমাতো না ভোর বেলা পায়খানার লাইনে চান্স পাবে না বলে। ভোর চারটের সময় সে পায়খানা সারত – জলের কৌটা যার নিজের নিজের। আমি আর লজ্জা বশতঃ প্যানে জল কে ঢালত – সেই প্রশ্নটা আর করি নি। ট্রেনিং পিরিওডের শেষে তপনের পোষ্টিং হল শিলিগুড়িতে – এই বারে পুজোয় গিয়ে দেখা তপনের সাথে একদিন সকালে নিমো ভারত সেবক সমাজ ক্লাব চত্ত্বরে।

    -আরে দাদা, আরে তো ভাবলাম তোমার সাথে এবার আর দেখাই হবে না।
    -কি রে, কবে এলি?
    -কালকে রাতে ঢুকলুম
    -কদিনের ছুটি?
    -তুমি তো জানো দাদা, আমাদের ছুটি বলে কিছু নেই। সবটাই ম্যানেজ। ডাক দিলেই ছুটবো এই শর্তে এসেছি।
    -তা পুজোয় এলি না কেন?
    -আরে ম্যানেজ করতে পারলে তো আসব! যা ডিউটির চাপ পুজোয় প্যান্ডেলে আর রাস্তায়! ঘুম ছুটে গিয়েছিল বুঝলে দাদা।
    -ডাক দিলেই যে যাবি, ট্রেনের টিকিট পাবি কি করে? তৎকালে?
    -রিজার্ভ টিকিট আর পাবো কোথায়! ওই যে করেই হোক চলে যাই!
    -কেন ট্রেনে তোদের পুলিশ থাকে তো! তাদের বললে একটু জায়গা করে দেবে না ওদের কম্পর্টমেন্টে?
    -শালারা দেবে জায়গা? দেয়, তবে আগের বার বলল আমাকে একশো টাকা ছাড়। আমি বললাম, সে কি গো আমিও তো তোমাদের মতই পুলিশ। জবাব এলো যে, আমাদের মত যখন ডিউটি পাবি তখন তুইও টাকা কামাস, কেউ বারণ করবে না। এখন আমাদের পাওনাটা দে। তবে দাদা, আমাদের পুলিসে কেউ টিকিট কেটে যায় না। আমিই এখনো চালিয়ে যাচ্ছি টিকিট কাটা, দেখা যাক কতদিন টানা যায়।
    -এই যে বউকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলি দীঘাতে ফেসবুকে দেখলাম, তা সেখানে কি টিকিট কেটেছিলি?
    -আর বলো না, হাওড়া থেকে গেছি তো দুরন্ত-তে। বউ বলল এসি-তে যাবে। আমি বউকে বললাম, দ্যাখো আমি ট্রেনে উঠে কাগজ পেতে পেচ্ছাপ খানার পাশে চুপ করে সেঁটিয়ে যাওয়া পাবলিক – এসি-ফেসি তে যেতে গিয়ে কি কেলো হবে আমি জানি না। বউ নাছোর – হাওড়া তে গিয়ে কম্পর্টমেন্টে সিট খুঁজে বসলাম। বাঁড়া, কি ঠান্ডা করছিল দাদা তোমায় বোঝাতে পারব না। বসে আছি তো বসেই আছি – বাল, কেউ আর ওঠে না। বউ খোঁছাচ্ছে, কিগো ঠিক চাপলাম তো। আমি তো দিলাম ঝেড়ে, বলেছিলাম আমি এই সব বুঝি না – কোনদিন এসি মারিয়েছি যে জানব? ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এলে একটা খাবার নিয়ে যাওয়া ভেন্ডারকে জিজ্ঞেস করলাম, দাদা এখানে এতো ঠান্ডা করছে কেন? সুইচ-টুইচ কোথাও আছে নাকি? আর বাকি পাবলিকই বা গেল কোথায়? মালটা আমাকে বলল যে, আজকে ট্রেন ফাঁকা আছে – অন্য কামরায় গিয়ে বসতে। সেই শুনে আবার পিছনের দিকে লোকজন থাকা কামরায় গিয়ে বসলাম।
    -চাকরী কেমন চলছে তোর? পুজোর ডিউটি ছাড়া কাজটাই বা কি আছে তোর?
    -ওমন বলো না দাদা – লাইফ জ্বলে গেল!
    -কেন রে?
    -কেন আবার, দিদি-কে প্রোটেকশন দিতে গিয়ে!
    -দিদি আর কতো দিন যায় তোদের দিকে?
    -প্রচুর যাচ্ছে তো! এই তো কদিন আগে গিয়েছিল। কুড়ি কোটি থাকা খরচ করে যা বাড়ি বানিয়েছে না, দেখতে হবে। উত্তর-কন্যা না কি সব হয়েছে শিলিগুড়িতে –
    -তা তোদের প্রবলেম কি?
    -শুধু আমাদের প্রবলেম? মাথার ঘুম ছুটে যাবে সে আসছে শুনলে। কোথায় থাকবে কেউ জানে না – মিনিমাম চারটে আলাদা বাংলো রেডি করে রাখতে হবে। সারা দিন ডিউটি করে সন্ধ্যাবেলা একটা বাংলোয় ঢুকিয়ে দিয়ে ভাবলাম যাক বাঁচা গেল। ধূর বাঁড়া, খানিক পরেই চল চল – অন্য বাংলোয় ট্রানস্ফার।
    -কেন রে?
    -দিদি বাংলোয় ঢুকে বলল, “আগের বার এখানে যখন ছিলাম তখন কত সবুজ ছিল, এখন আর নেই। তাই আমাকে সবুজ আছে এমন বাংলোয় নিয়ে চল। আর এখানকার ইন-চার্জ কে?” সেই শুনে দাদা ইনচার্জের বিচী শুকিয়ে যায়। তাই আমাদের এখন পুরো রেডি থাকতে হয় – না হলে কার যে চাকুরী চলে যাবে কে জানে? কত টাকা দিয়ে ট্রান্সফার পেয়ে এখানে ইনচার্জ হয়ে এসেছে, টাকা না ওঠার আগেই ট্রান্সফার হয়ে গেলেই তো চিত্তির!
    -টাকা ওঠে?
    -ওঠে মানে? কামাই শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে তোমার। অনেকে মাসে চার-পাঁচ লাখ কামিয়ে নেয় আরামসে। আমাদের ওখানে একটা কনস্টেবল বাড়ি করেছে – দেখলে অনেক কোটিপতি ব্যবসায়ী হাঁ হয়ে যাবে।
    -তোর কামাই হচ্ছে কিছু? পরের বার এসে রাজু যেমন মারুতি এরটিগা কিনেছে – তেমন একটা দেখতে পাব?
    -লজ্জা দিও না দাদা – আমাদের কাছে কিছু এসে আর পৌঁছয় না। এই তো সেদিন একটা ইনকাম ট্যাক্স রেড করতে গেল, আর আমরা গেলাম তাদের গার্ড দিতে। মালিক তখন বাড়িতে ছিল না, ট্যাক্সের লোকগুলো ঘরে ঢুকে যা তা করল – ফ্রীজ খুলে কোল্ড ড্রিংক্স যা ছিল সব ফাঁক। এই করতে, সেই করতে কোথা থেকে বান্ডিল বাণ্ডিল টাকা পেয়ে গেল। তারপর আমাদের বলে কি – “এই পুলিশ ভাই, তোমাদের সারা দিন ডিউটি থেকে তোমরা ক্লান্ত হয়ে গেছ তো। এ্যাই, এদের পাঁচশো করে টাকা দিয়ে দে তো জলখাবার খেতে”। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম প্রোটেকশন লাগবে না স্যার? – বলল, “না না আমাদের সব ঠিক আছে, ব্যবস্থা হয়ে গেছে - তোমরা জল খেয়ে এসো”। কনস্টেবলের কাছে ৫০০ টাকা অনেক দাদা, আমরা নিয়ে চলে এলাম।
    -সবাই টাকা নেয় তোদের পুলিশে?
    -কতদিন আর না নিয়ে থাকবে? দিনের শেষে যখন দেখবে পাশের বেডে কেউ মন দিয়ে টাকা গুণছে তখন সৎ থাকার ভাবনা টঙে উঠবে। তবে আজকাল কিন্তু দাদা ভালো ভালো ছেলেরা পুলিশ লাইনে আসছে। আমার সাথে একজন তো প্রাইমারী ইস্কুল মাষ্টারী ছেড়ে পুলিশে এসে ঢুকেছে – বলে টাকাই যদি না নেব, তা হলে আর এই লাইনে এলাম কেন!
    -এই সব ভালো ছেলে এসে কিছু উন্নতি হয় নি তোদের পুলিশ লাইনে?
    -হয় নি কে বলল? আগে তুমি কোনদিন পুলিশ ক্যাম্পে শরৎ সমগ্র দেখেছো? দেখেছো কোনদিন যে পুলিশ ডিউটি থেকে ফিরে এসে গল্প বই পড়ছে? শালা এদের জন্য জানো এখন রুমে সিগারেট পর্যন্ত খাওয়া যায় না! বলে কি বাঁড়া, “ভাই, সিগারেটে অসুবিধা হচ্ছে, একটু বাইরে গিয়ে খেয়ে এসো!”
    -অন্য কিছু চলে না ক্যাম্পে?
    -জুয়া যেমন চলে তেমন ঠিক আছে – ও খেলার লোকও আছে, দেদার চলছে!
    -তা তোরা থাকিস কোথায়?
    -দাঁড়াও তোমায় দেখাচ্ছি –
    তপন পকেট থেকে মোবাইল বার করে কিছু ছবি দেখায় আমাকে – দেখি ছবিতে রাস্তার ধারে কিছু টিনের ঘর দেখা যাচ্ছে!
    -এগুলো কি রে?
    -এটাই তো আমাদের ক্যাম্প দাদা!
    -এটা ক্যাম্প? এখানে পুলিশ থাকে?
    -থাকে দাদা, আর এই দ্যাখো কুড়ি কোটির বাড়ি। (আমি কুড়ি কোটির বাড়ি দেখি মোবাইলে)।
    -তোরা হাগিস কোথায়? মানে পাকা পায়খানে আছে?
    -আমাদের টিনের ঘর গুলো তো দিদির বাড়ির পিছনেই। বাইরে হাগলে গন্ধ ছড়াবে বলে ৫০০ মিটার দূরে আজকাল পায়খানা করে দিয়েছে একটা।
    -তোদের থাকার যে এই অবস্থা সেটা দিদি জানে না?
    -তুমি কি ভাবছো ওর সামনে দিয়ে ওরা দিদিকে নিয়ে যাবে? ধারে কাছেই যেতে দেয় না।
    -তোরা তো আর দিদিকে গার্ড দিস না!
    -তা দিই না, সে পুলিশেরই স্পেশাল ফোর্স আছে। দিদি এসে পরে বাংলো ওদের দখলে চলে যায়। তখন আমাদেরও ঢুকতে দেয় না।
    -তাহলে তোদের কাজ কি?
    -ওই আসার আগে, বা রাস্তায় যাবার সময় ফেউয়ের মতন লেগে থাকা। আর তা ছাড়া দিদি নাকি ড্রেস পড়া পুলিশ পছন্দ করে না!
    -তার মানে?
    -পুলিশ পছন্দ করে না – নাকি খাঁকি রঙ পছন্দ করে না, তা বলতে পারবো না দাদা। তবে একদিন আমাদের স্যার এসে বলল, “এই শোনো তোমরা – ম্যাডাম কিন্তু তোমাদের তাঁর আশেপাশে ঘুরতে দেখলে খুব রেগে যাবেন। তবে তোমাদের ডিউটিও তো করতে হবে! এক কাজ করো, ম্যাডাম বারান্দায় বা বাগানে বেরোচ্ছে দেখলেই, তোমরা গাছের আড়ালে একটু লুকিয়ে পরো যাতে চোখে না আসে। ম্যানেজ করে চলো ভাইটিরা – বুঝতেই পারছো”!
    -তোদের স্যার কি ম্যাডামকে ভয় খায় নাকি?
    -আমাদের স্যার তো কোন ছাড় – একজন ডিজি র‍্যাঙ্কের অফিসারেরও ক্ষমতা নেই ম্যাডামের সাথে ঘরে ঢুকে ঠিক ঠাক কথা বলে। খালি ঘুর ঘুর করবে, আর আমাদের জিজ্ঞাসা করবে – “ম্যাডামের মুড কেমন দেখলে? যাওয়া যাবে? কি বল তোমরা? – না থাক, পরে আসব ক্ষণ”।
    -তা ঘরে ম্যাডাম কি করে? কবিতা লেখে নাকি ছবি আঁকে?
    -সে তো আছেই – ম্যাডাম আসার আগেই ঘরে ক্যানভাস রেডি থাকে। একবার হয়েছে কি, একটা তুলি চলে এসেছে যার বাঁটের রং লাল। সেই দেখে আই জি-র কি টেনশন। খালি আমাদের বলছে, “তোরা কি আমার চাকরীটা খাবি নাকি? জানিস না যে ম্যাডাম লাল রঙ দেখলে রেগে যেতে পারেন? যেখান থেকে পারিস নীল বাঁটের তুলি নিয়ে আয়”। আমরা যত বলি যে স্যার নীল বাঁটের তুলি হয় না – স্যার বলে “ওসব জানি না – দরকার হলে বানিয়ে নিয়ে আয়”!
    -বলছিস তাহলে যে সবাই প্রচুর টেনশনে থাকে?
    -টেনশন বলে টেনশন – একবার হয়েছে কি নতুন বাড়িটায় ঢোকার জায়গায় একটা সিমেন্টের স্ল্যাব আরেকটার থেকে একটু উঁচুতে উঠে আছে। হোঁচট খাবার সম্ভবনা – সেই নিজে ডি জি-র কি টেনশন! আমাদের বলল, “তোমরা তো জানো যে দিদি হাওয়াই চটি পড়ে হাঁটেন – তিনি যদি হাঁটতে গিয়ে এইভাবে হোঁচট খান (এই বলে ডি জি আমাদের হোঁচট খাওয়া অভিনয় করে দেখালেন – ভাবতে পারছো দাদা যে এক জন ডি জি হোঁচট কেমন করে হতে পারে সেটা হাতে কলমে করে দেখাচ্ছে!)? তোমরা ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে বা রাজমিস্ত্রী যাকে হোক এনে এই রাস্তা ঠিক করো”। তারপর আর কি, ভাঙ – ভাঙ। জান জ্বলে গেল দাদা।
    -দিদিকে কবিতা লিখতে দেখিস নি?
    -ডাইরেক্ট দেখি নি – তবে একদিন বিকেলে বলা হল আমাদের যে নিরিবিলিতে দিদি নদীর ধারে যাবেন কবিতা লিখতে, কেউ যে ডিস্টার্ব না করেন।
    -ওই যে রিসেন্ট সিনেমায় দিদির লেখা গানটা – ওটা কি তোদের ওখানেই লেখা নাকি?
    -অত শত জানি না, তবে কবিতা শুনেছি দিদি বলে যায় আর কে নাকি লিখে নেয়।
    -যা দেখছি দিদি থাকলেই তো খালি তোদের কাজ – বাকি সময়ে কি করিস?
    -অমন বলে না দাদা – এই তো পুজোর সময় ‘ডান্সিং কার’ নিয়ে খুব বিজি ছিলাম।
    আমি এক ‘ডান্সিং কার’ বুঝি – কিন্তু সেই জিনিস তপন কি করে জানবে ভেবে কনফিউজড হয়ে গেলাম। তাই ক্লারিফিকেশনের জন্য
    -‘ডান্সিং কার’ কি রে?
    -পুজোর সময় রাতে টহল দিয়ে বেরিয়ে মাঝে মাঝে দেখি রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড়িয়ে, আর গাড়ি নড়ছে, মানে দাদা ভিতরে কাজ চলছে আর কি!
    তপনের ‘ড্যান্সিং কার’ আর আমার জানা ‘ড্যান্সিং কার’ একই বোঝা গেল – আরো ক্লীয়ার হল যে পুলিশে আজকাল সত্যি করেই পড়াশুনা জানা ছেলেরা জয়েন করছে।!
    -তোরা কি পয়সা নিয়ে ছেড়ে দিস?
    -তাই করি বেশীর ভাগ সময়। তবে এই পুজোর সময় পুলিশ ড্রাইভার সব ব্যস্ত থাকায় সিভিল ড্রাইভার ভাড়া করতে হয়েছিল। সে খানকীর ছেলে কিসুই জানে না – আরে বাঁড়া, গাড়ি তো সামনে নিয়ে গিয়ে আড়াআড়ি দাঁড় করাবি! তা না, দিল শালা পিছনে গিয়ে দাঁড় করিয়ে – তা সেই টাটা সুমো থেকে বেরিয়ে আর কি মাল ধরা যায়? মনে হয়ে ওই মালেরা অ্যাক্সিলেটারে পা দিয়েই কাজ করছিল- যেভাবে হুস করে বেরিয়ে গেল!
    -যাঃ, তাহলে কিছু কামাই হাতছাড়া হল। আর কিছু ইন্টারেষ্টিং করেছিস কি এর মধ্যে?
    -এক দিন হায়না মারতে গিয়েছিলাম বুঝলে দাদা। সে তো বনবিভাগের লোক এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ঘুম পাড়ানি গুলি নিয়ে গ্যাছে কি করে জানব? আমাদের আই সি-র পিছু পিছু আমরা যাচ্ছি। দু এক খান গুলি চলল, কারো গায়ে লাগলো না। অনেক তাড়া করার পর একটা গিয়ে লেগেছে হায়নার গায়ে, মাল নাতিয়ে পড়ে গ্যাছে। স্যার এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা বলছি স্যার যাবেন না। কে শওনে কার কথা – কাছে গিয়ে দ্যাখে হায়না ঘুমায় নি – দিয়েছে তাড়া। আই সি ছুটছে, বন বিভাগ ছুটছে, আমরা ছুটছি – তখনি জানতে পারলাম ওই সব ঘুম পাড়ানি গুলি অনেক দিনের পুরানো। আমরা তো ছুটে গিয়ে পুলিশ ভ্যানে ঢুকে ভিতর থেকে দিয়েছি লক করে। অনেক পরে আই সি হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বলে, “আমাকে তোরা ফেলে চলে এলি? আর এখানে এসে গাড়ি লক করে বসে আছিস?”
    -তোদের আই সি কি জাঁদরেল?
    -জাঁদরেল না বাল! একবার শালা থানায় আটক করা গাড়ির নতুন টায়ার বেচে দিয়েছিল আর একটু হলে!
    -বলিস কি রে! তা নিজে নিজে খুলল কি করে?
    -আরে সেই বার একটা অ্যাক্সিডেন্টের গাড়ি থানায় আনা হয়েছে – গাড়ির ছটা টায়ারই নতুন। প্রায় ৩০-৪০ হাজার করে এক একটা টায়ার। বুজতেই পারছো দু-আড়াই লাখের ব্যাপার। তা আই সি করেছে কি, লক আপে থাকা দুটো চোরকে ফিট করেছে। তাদের বলেছে যে, আমি তোদের রাতের বেলা ছেড়ে দেব, তোরা টায়ার গুলো খুলে নিয়ে গিয়ে বিক্রী করে দিবি – আবার এসে ঢুকে পড়বি লক আপে। যা হবে ভাগ করে নেব। তা রাতের বেলায় হয়েছে কি মাল তো দিয়েছে ছেড়ে চোর গুলোকে। এবার যে রাতে ডিউটি থাকে, সে দেখতে পেয়ে গেছে চোর পালাচ্ছে, দিয়েছে সাইরেন বাজিয়ে। ধর – ধর – চোর ধরা পড়ে এই মার সেই মার। চোর চিৎকার করে আর বলে, মেরো না গো, তোমাদের স্যারই আমাদের চুরি করতে বলেছে! তখন ব্যাপার বোঝা যায় – বাকি সবাই স্যারকে বলে, আরে আগে জানাবেন তো যে আপনি ছেড়েছেন! তা তো জানাবেন না – কারণ পুরোটাই নিজে খাবার ধান্ধায় ছিলেন।! স্যার তখন আবার ছেড়ে দাও – ছেড়ে দাও বলে ব্যাপার সামলায়!

    গল্প করতে করতে এবার পল্টু এসে ঢুকলো – পল্টুও পুলিশে কাজ করে। ও পেয়েছে ওর বাবার চাকরীটা। অনেক দিন আগে, পল্টু যখন বাচ্ছা তখন ওর বাবা অন ডিউটি মারা যায়। তা সেই চাকুরী এখন করছে পল্টু। তবে পল্টুর লাইফ ইজি – চুঁচড়োর পুলিশ লাইনে থাকে আর একটা ব্যাঙ্কে গার্ডের ডিউটি দেয়। আমি পল্টুর কাছ থেকে এককথা সে কথার পর ওদের উপরি ইনকামের চান্স আছে কিনা জানতে চাইলাম। পল্টু বলল

    -আমাদের দিকে দাদা উপরি হয় অ্যাক্সিডেন্ট হলে!
    -তার মানে?
    -ওই সেটেল করা পয়সা আর কি মালিক কি আর কোর্টে যেতে চায়! একদিন বিকেলে মুড়ি খাচ্ছি পুলিশ ফাড়িঁতে, হঠাৎ করে খবর এলো বালি ব্রীজে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। সব দূর দার করে রেডি হতে লাগল। কেউ তো গেঞ্জী পরেই ছুটলো। আমাকে বলল, “মুখার্জী – তাড়াতাড়ি গেঞ্জীটা গলিয়ে নাও – পরে জীপে জায়গা পাবে না”। তা দেখলাম ঠিকই – গিয়ে দেখি দুটো জীপ চলে গ্যাছে, আমরা ৩ নম্বর জীপটায় কোন ক্রমে ঝুলতে ঝুলতে চললাম।
    -এতে তোদের ইনকাম টা কোথায়?
    -শোনো না – লরী তো থানায় নিয়ে চলে এলাম। লরী মালিক চলে এলো স্যারের সাথে সেটেল করতে। আমরা বাইরে কান পেতে বসে আছি। স্যার বলছে – “এক লাখের কমে কি করে সেটেল করব বলুন তো? কত গুলো আমার ছেলে গিয়েছিল দেখেছেন তো? তাদের দিতে হবে, আবার আমাকে উপরে কিছু পাঠাতে হবে। এর কমে সেটেল করলে আমি কি করে জবাব দেব?” গাড়ির মালিক অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে ৭৫ হাজারে উঠল। এবার স্যার বলছে – “ঠিক আছে, আপনি ওটা ৮০ করে দিন, রাউন্ড ফিগার। এর কমে হয় না – আপনি বলেই ব্যালেন্স করে নিচ্ছি”। মালিক চলে গেল টাকা দিয়ে – আমাদের পাঁচশো করে দিয়ে বোকাচোদা বাকিটা নিজের পকেটে পুরলো!

    গল্প করতে করতে দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল প্রায় – নিমো ভারত সেবক সমাজ সকাল বেলার মত ক্লোজ হবার সময় হয়ে এল। আবার খুলবে সন্ধ্যেবেলা – বাকি গল্প তখন হবে বলে আমরা উঠে পড়লাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ | ৭১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 131.245.146.112 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৪66801
  • এইটে সত্যি নাকি?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২১66802
  • ট্রুথ ইজ স্ট্রংগার দ্যান ফিক্শান। জ্জিও মামা।
  • cm | 127.247.97.201 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:২২66803
  • স্ট্রেঞ্জার মনে হয়, স্ট্রংগার নয়।
  • জয় বাবা ফেলুনাথ | 85.137.13.237 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:৩৪66804
  • দেখতে হয়, নইলে ..
  • sm | 53.251.91.250 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৯66806
  • বস দা, পরের কিস্তি কোই?
  • ranjan roy | 24.98.100.14 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৪১66807
  • জ্জিও রাজা! একদম লাইনের জিনিস! একটুও ভেজাল নেই।
  • amit | 190.148.69.210 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৪৭66805
  • দারুন হয়েছে।
  • sinfaut | 69.88.167.4 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৩০66809
  • সাতখানা লাল ট্রাক্টর নীল রং করার কথা ৫ দিন আগেই শুনলাম। যে বললো তাকে এই লেখাটা পড়ালাম। বললো অক্ষরে অক্ষরে সত্যি।
  • সুকি | 129.160.188.152 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০৭66808
  • নির্ভেজাল সত্যি বলেই আমার মনে হয় :) এমন গল্প বানিয়ে লিখতে পারলে আমাকে কি আর ধরে রাখা যেত!
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:২২66814
  • লেখাটা খুবই ঠিকঠাক লাগলো। কিন্তু এটা সিএম বলে না, হাই প্রোফাইল যে কোন লোকই এইভাবে হাতে মাথা কাটে তো। পব আলাদা কিছুও না, আমার ধারনা সর্বত্রই হয় এটা। পুলিশেরই খুব উচ্চপদস্থ অফিসার, জেলা ও রাজ্যস্তরের উচ্চপদস্থ অফিসার এরা সবাই এমন। লালবাতির দাপট না দেখলে তো বটেই, দেখলেও একেক সময় বিশ্বাস হবেনা।
  • শিবাংশু | 127.197.251.47 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:১৮66815
  • দারুণ লেখা, যেমন হয়...
  • বাঃ | 126.50.59.180 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৫66810
  • সুকির লেখা অসাধারণ লাগল, অ্যাজ ইউজুয়াল।

    মাঝে মাঝে মনে হয়, এই যে "তিনি" রাগ করতে পারেন, "তিনি" হোঁচট খেতে পারেন - তাই এমন জগঝম্প চলে সরকারি লেভেলে - একেই কি গণতন্ত্র বলে? তা হলে রাজতন্ত্র কেমন ছিল?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৪৫66811
  • পাকিস্তানের এম্ব্যাসীর ক্লাস ফোর স্টাফেদের মুখে হুবহু এই টাইপের গল্প শুনেছি। আরো শুনেছি নানান সরকারী আমলাদের পিওনদের মুখে। স্যারের/ সায়েবের মুড মেজাজ কেমন তার ওপর বেস করে তাদের আমদানি ভ্যারী করে।
  • Blank | 213.132.214.83 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১২:২১66812
  • উত্তর বঙ্গের কিছু সরকারি বাংলো তে ঠিক এই রকম কথা শুনেছি। এবং একই পেশার লোকেদের থেকে।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১২:৩৭66813
  • দারুণ!!!!
  • lcm | 14.15.124.11 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:১১66816
  • জ্যান্ত লেখা
  • সুকি | 129.160.188.62 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০৫66817
  • টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এ কমপ্লেন করতে হলে হাত চুলকাই, এস বি আই এর ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে গেলে দুরুদুরু বক্ষে অন্য কর্মচারীদের খোসামোদ করতে হয়, ঠিক সময়ে গ্যাস সাপ্লাই নিয়েও তেল দিতে হয় - এই অবস্থায় বাস করে রাজতন্ত্র/গণতন্ত্র নিয়ে অ্যাকাডেমিক আলোচনায় আর মন চায় না। কুড়ি লাখ টাকা ঘুঁষ দিয়ে পোষ্টিং পাচ্ছে - তা সে টাকা তো তুলতে চাইবে নাকি? আমি এই সব ব্যাপারে খুব সিমপ্যাথিটিক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন