এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফিদেল কাস্ত্রো-র দেশে (১ )

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৩৫৮ বার পঠিত
  • কিউবা বেড়াতে গেছিলাম বলে দাবি করছিনা যে কিউবা দেখে ফেলেছি। সমাজতান্ত্রিক একটা দেশ দেখা বলতে যেরকম দেশটার মেঠো পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বোঝায় , মানুষ কে ছুঁয়ে দেখা বোঝায় , সংস্কৃতিকে নেড়েঘেঁটে দেখা বোঝায় , বিশেষ করে এমন একটা দেশে , যেখানকার বৈশিষ্ট-ই পশ্চিমি বাজারসভ্যতার সঙ্গে ছুঁতমার্গ , তার আমি কিছুই করিনি। কিউবা বললেই আমাদের মতো আশি/নব্বই-এর দশকে বামপন্থী রাজনীতি করা বা বিশ্বাসকরা মানুষ যেমন করে রুকস্যাক কাঁধে মোটরসাইকেলে চে-গেভারার মেঠো পথে ঘুরে বেড়ানো মনে করে , সেরকম কোনো তীর আমি মারিনি। আমি যে দেশ-এ থাকি , সেই কানাডা'র সাথে কিউবা'র ট্যুরিজ্ম-এ হাত ধরাধরি আছে। কানাডার কিছু ট্যুরিজ্ম কোম্পানি আছে , যারা খালি কিউবা'র সাথেই বাণিজ্য করে। তাই পর্যটন ডেস্টিনেশন হিসাবে কিউবা কানাডায় বেশ জনপ্রিয়। আমরা সেরকম-ই একটা অল-ইনক্লুসিভ হপ্তাভ্রমণের প্যাকেজ কিনেছিলাম। অল-ইনক্লুসিভ মানে চার্টার্ডবিমান-রিসর্ট-থাকা-পানভোজন সব এক ভাড়ায় , আর সেটা মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যে । রিসর্ট যেখানে থাকার ব্যবস্থা , সেখানেও রৈসি বন্দোবস্ত। রিসর্টের নিজস্ব সমুদ্র সৈকত। খানাপিনা গানবাজনা'র এলাহী আয়োজন।

    তো বোঝাই যাচ্ছে , কিউবা দেখা বলতে ঠিক যা বোঝায় তা আমি করিনি। তাই আমার বলা ইনফরমেনশন সবই রিসর্টের লোকজন , বেলবয় , হাউসকিপিং-এর লোকজন , বারটেন্ডার , রেস্তোরায় সার্ভার মেয়েরা , রাতের অনুষ্ঠানের নাচিয়ে ছেলেমেয়ে-রা , এদের মুখ থেকে শোনা তথ্য। বা তিনচারদিন রিসর্টের ব্যবস্থা করা সাইটসিইং ট্যুর-এর গাইড এর মুখে শোনা তথ্য। তাই আমার অভিমতের সত্যতা দাবি করার দায় আমার নেই। তবে হ্যাঁ , আর কিছু যেটা সেটা আমার চোখে দেখা। যেমন রাস্তা ঘাট , দোকান পাট , নৈসর্গ , বাড়িঘর , সাধারণ মানুষের হাসিখুশি মুখ , স্বাস্থ্য-র লাবণ্যতা , ভাষা , রাস্তায় চলা যন্ত্রশকট ইত্যাদি প্রভৃতি। এগুলো নিয়ে আমার যা অভিমত তা আমার নিজস্ব , মানা না মানা পাঠকের ব্যক্তিগত , প্রমান করার দায় আমার নেই।

    প্রথমেই বলে রাখি , যারা খালি আমেরিকা , কানাডা , জার্মানি , ফ্রান্স , ইতালি , স্ক্যান্ডেনেভিয়া বা কিউবা'র কাছাকাছি অন্য অপেক্ষাকৃত গরিব কিন্তু ওপেন মার্কেট ক্যারিবিয়ান দেশ দেখেছেন তারা সেই সব দেশের সাথে দেখনদারিতে কিউবা কে মেলাতে গেলে ভুল করবেন। কিউবার রাস্তায় অত্যাধুনিক অডি-ডিএমডব্লু-মার্সিডিজ তো দূরঅস্ত হাল আমলের হোন্ডা-টয়োটা-নিশান বা ফোর্ড-ক্রাইসলার -ও চলে না। ঝাঁচকচকে পেল্লায় গ্লাসডোর ওয়ালা রিবক-নাইকে-গুচি বা নিদেন পক্ষে এইচ-এম এর শোরুম-ও কোথাও খুঁজে পাবেন না। গলির মোড়ে মোড়ে ম্যাকডোন্যাল্ডস-এর দোকান নেই। ওয়ালমার্ট নেই। বিদেশী ব্যাংকের নিয়ান লাইটের পেল্লায় অশ্লীল বিজ্ঞাপন নেই। বাড়িতে বাড়িতে গ্যারেজে চারটে মানুষের পরিবারের জন্য তিনটে করে ঢাউস গাড়ি নেই। রাস্তায় গাড়ি বলতে সব-ই ট্যাক্সি , তার-ও বেশিরভাগ ১৯৭০/১৯৬০-এর ফোর্ড-চেভি-প্লেমাউথ-জীপ বা ওইরকম কিছু। আধুনিক আমেরিকান গাড়ি কিছু আছে , সে সব রিসোর্ট -র অতিথিদের জন্য , সাধারণ মানুষের আয়ত্তের আকাশ সীমার -ও বাইরে। পুরোনো গাড়ি নিয়ে অবশ্য সাধারণ ট্যাক্সি চালকদের একটা গর্ব আছে , কারণ আপাত ভাবে ট্যুরিস্টদের কাছে ১৯৫২ সালের চেভি ট্যাক্সিতে ওঠার রোমাঞ্চ প্রবল।

    ট্যাক্সির কথা যখন উঠলো, তখন গল্প বলি। তেইশে ডিসেম্বর সকালে , রিসোর্টের এক হাফবাদামি হাফলালমুখ কনসিয়ারজ আমাদের বললো চব্বিশ তারিখ সারাদিন সারারাত কার্নিভাল হবে রেমেদিওস বলে একটা টাউনে , সেটা নাকি রিসোর্ট থেকে পঁয়ষটি কিলোমিটার দূরে। কিউবায় নাকি সবচেয়ে বড়ো কার্ণিভাল। 'পিপল ডান্সিং ডান্সিং , ফায়ার ওয়ার্কস বুং বুং' এই রকম তার বর্ণনা শুনলাম। তো কনসিয়ারজ বাবু বললেন তিনি নাকি ট্যাক্সি-র ব্যবস্থা করে দেবেন , যেতে আসতে একশো তিরিশ পেসো লাগবে। ওখানে যতক্ষন খুশি থাকি , ট্যাক্সি ড্রাইভার গাইডের কাজ করবে। এখানে বলে রাখি কিউবান পেসো আদতে দুই প্রকার। একটা সিইউসি আরেকটা সিইউপি। সিইউসি প্রধানত: আন্তর্জাতিক লেনদেন যোগ্য কারেন্সি , আর সেটা কানাডিয়ান ডলার-এর চেয়ে তো বটেই এমনকি আমেরিকান ডলার-এর থেকেও সামান্য বেশি দামি। তো একশো তিরিশ সিইউসি মানে প্রায় কানাডিয়ান ডলারে প্রায় একশো পঁয়ষট্টি। এছাড়া সিইউপি বলে সাধারণ কিউবানদের ব্যবহারের জন্য আরেকটা কারেন্সি আছে সেটা সিইউসি-এর পঁচিশ ভাগের একভাগ , ফ্ল্যাট রেট। সে যাগ্গে । এদিকে চব্বিশ তারিখ আমাদের সারাদিন জীপসাফারি যাওয়ায় কথা। তাতে কনসিয়ারজবাবু বললেন , কোনো অসুবিধে নেই , রাত নয়টায় রওনা হলে রেমেদিওস পৌঁছাতে এক ঘন্টা লাগবে। তারপর ওখানে ঘন্টা দুই থেকে বারোটায় ফিরতি পথে এলে রাত একটায় ফিরে আসতে পারবো। কার্নিভাল নাকি খালি চব্বিশ তারিখে-ই হয়, মিস করলে মিস। তো আমার যেমন স্বভাব ভাবলাম বুঝি ব্রাজিলিয়ান কার্নিভাল মিস হয়ে যাবে , এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। এদিকে বৌ আর মেয়ে পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে কান্ডজ্ঞান-এর অভাব নিয়ে উদুম কথা শোনালো। বলানেই কওয়ানেই , অতরাত, অচেনা দেশ , সিকিউরিটি কিরকম , মাঝ রাস্তায় সর্বশান্ত করে দেবে কিনা , সঙ্গে অল্প বয়সী মেয়ে ইত্যাদি প্রভৃতি। আমি অবশ্য গুগুল ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখেছিলাম , কিউবা-য় এককথায় সেন্ট্রাল আমেরিকা-য় সবচেয়ে কম ক্রাইমরেট , সবচেয়ে কম চুরি ছিনতাই (প্রায় নেই বললেই চলে) , সবচেয়ে কম ক্যাপিটাল ক্রাইম। কনসিয়ারজবাবু একগাল হেসে ভরসা দিলেন , ওসব নাকি শত্তুরের দেশে হয় , ওনাদের দেশে নয়। শত্তুরে-র দেশ বলতে প্রচ্ছন্ন আমেরিকান দাদাগিরি বোঝালেন স্পষ্ট বোঝা গেল।

    তো যাইহোক বৌ আর মেয়েকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করলাম। রাত নয়টায় দেখি এক ছোকরা ড্রাইভার ট্যাক্সি নিয়ে হাজির। বয়স উনিশকুড়ির বেশি না। বেশ লাল্টুস মার্কা চেহারা। তিনি একবর্ন ইংরেজি জানেন না। সব কোথায় একগাল হেসে ঘাড় নেড়ে ইয়েস ইয়েস বলেন। তবে বেশ একটা আমুদে ব্যাপার আছে ছেলেটার মধ্যে। গাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে বেশ গর্বের সাথে বললো 'মাই চেভি ৫২'। সত্যি ট্যাক্সীটা ৫২ সালের শেভ্রলে। চকচকে লাল রং। ভেতরটা দেখনদারী রিনোভেট করা। বাতানুকূল তো বটেই , প্যাসেঞ্জার সাইডে মাথার ওপরে একটা টিভি স্ক্রিন।

    যাই হোক, আমাদের রিসোর্টটা ছিল একটা 'কা-ও' বা মেন্ল্যান্ড থেকে দূরে একটা দ্বীপের মধ্যে। পোশাকি নাম 'কা-ও সান্টা মারিয়া'। তো মেনল্যান্ড থেকে 'কা-ও সান্টা মারিয়া' পর্যন্ত কাসোয়ে বা হাইওয়ে আটচল্লিশ কিলোমিটার। সমুদ্রের স্রোত কন্ট্রোল করার জন্য এই আটচল্লিশ কিলোমিটার-এ প্রায় পঁয়তাল্লিশটা পেভমেন্ট ব্রিজ। দুদিকে অসম্ভব সুন্দর শান্ত অগভীর সমুদ্র আর সাদাবালির দিগন্ত বিস্তৃত বালিয়াড়ি। রাস্তার গুণমান খুব-ই ভালো , আমি অন্তত নর্থ আমেরিকায় এর চেয়ে ভালো রাস্তা কোথাও দেখিনি। আরো একটা বলার কথা এই যে হারিকেন ইর্মায় এই রাস্তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। মাত্র তিনমাস পরে সেই ধ্বংসের চিহ্নমাত্র কোথাও দেখলাম না।

    আরো যেটা , আমাদের মতো আমেরিকা কানাডা-র মেরিনা আর সমুদ্র দেখা লোকজনের অবশ্যম্ভাবী চোখে পড়বে , সেটা কিউবার এই পুরো সমুদ্রটাই ভার্জিন। কোত্থাও কোনো লাক্সারি ইয়ট নেই। শখের মাছ ধরার নৌকা নেই। হুল্লোড়বাজদের জন্য স্পিডবোট নেই। ওয়াটার স্কুটি নেই। একতো সাধারণ কিউবানদের এইসব লাক্সারি করার ক্ষমতাই নেই। পরিবেশ সচেনতা প্রধান গুরত্ব পায় বলে টুরিস্টদের জন্য-ও মোটরাইসড ওয়াটার স্পোর্টস-এর ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে।

    এসব অবশ্য সেই রাতে দেখতে পাইনি , পরে দেখেছি। সেই রাতে আমাদের হাসিখুশি ইংরেজি না জানা ছোকরা ড্রাইভার তার 'চেভি ৫২' ওই পথটুকু উড়িয়ে নিয়ে গেল। তবে রাতের অন্ধকারে সমুদ্র আর জলের ওপর প্রায় পূর্ণিমার চাঁদের ছায়া , গাড়িতে অজানা স্প্যানিশ গান একটা অদ্ভুত স্বপ্নালু পরিবেশ তৈরী করেছিল একথা বলতে পারি।

    রেমেদিওস পৌছালাম তখন রাত সোয়া দশটা। কার্নিভ্যাল এলাকা ছাড়া রাস্তা ঘাট মোটামুটি পরিষ্কার। ঐটুকু সময় পুরো বোঝা না গেলেও কোথাও ভাঙাচোরা রাস্তা নজরে পড়েনি। বাড়িঘরদোর আমাদের সাবেকি উত্তর কলকাতার মতো। গায়ে গায়ে। ইঁট সিমেন্ট বালির। বেশিরভাগ একতলা কি দোতালা। সামনে লোহারগ্রিল দেওয়া একচিলতে বারান্দা। মোটা-রোগা চুলটেনে পেছনে বাঁধা তিরিশ থেকে পঞ্চাশ গৃহবধূরা নাইটি (কে জানে বাবা এখানে কি নাম) পড়ে গেটের সামনে গজল্লা করছে। পাতলা জামা পড়া মোটাসোটা বাচ্ছারা খেলে বেড়াচ্ছে। রেমেদিওস এলাকায় যাদের দেখলাম তারা প্রধানত: মধ্যবিত্ত বা রিসোর্টের কর্মী। প্রধানত: হিস্প্যানিক গড়ন। আফ্রিকান-ও আছেন অনেক।

    যাইহোক আমাদের ড্রাইভার যার নাম বোলেরো , সে ছোকরা একটা বাড়ির সামনে পার্ক করে বাড়ির মালকিন-এর সাথে কি গুজগুজ করে আমাদের বুড়ো আঙ্গুল তুলে দেখালো। ভাবটা ঠিক হ্যায়। পরে একটা সেলফোন ট্রান্সলেটর খুলে স্প্যানিশ-এ টাইপ করে ইংরেজিটা যা দেখালো তাতে বুঝলাম , ওই জায়গাটা এমনিতে নো-পার্কিং, কিন্তু বাড়িওয়ালির সাথে কথাবলে ম্যানেজ করে নিয়েছে। যাইহোক , কার্নিভাল বলতে আমার যেমন ধারণা ছিল লাইনের পর লাইন আলোক সজ্জা , ব্রাজিলিয়ান কার্নিভালে যেমন দেখা যায় তেমন স্বল্পবাস ছেলেমেয়েরা রং মেখে নেচে নেচে যাবে , ঢাক ঢোল কাঁসর বাজবে , এই কার্নিভাল সে তুলনায় কিছুই না। মানে সেই রকম-ই কিন্তু তার পঞ্চাশ ভাগের একভাগ-ও না। আমাদের দূর্গা পুজোর তুলনায়-ও নেহাত নস্যি , তাও অতি কম ঝাঁঝের। একটা পেল্লায় রথের মতো প্যান্ডেল টাইপ বানিয়েছে , তার লাগোয়া পেল্লায় একটা স্টেজ , তাতে স্প্যানিশ ব্যান্ড চলছে। রাস্তায় ড্রামটাম বাজিয়ে মেয়ে পুরুষ নেচে নেচে মিছিল করে যাচ্ছে বটে , কিন্তু তার বেশি কোনো রংচঙে জৌলুস নেই। দু তিনটে বড়ো বড়ো আলো দিয়ে তৈরী গেট। সে গেট আমাদের দুর্গাপুজোয় অলিতে গলিতে দেখা যায়। প্রতি ঘণ্টায় একটা রেলিং দেওয়া ছোট্ট পার্কার মতো জায়গা থেকে বাজি পোড়ানো হচ্ছে , সেই বাজির আয়তন খুব বেশি হলে বড়োসড়ো তুবড়ির মতো।

    কিন্তু ভিড় দেখলাম খুব। প্রায় গায়ে গায়ে লোক। এক কিলোমিটার স্কোয়ারের মধ্যে প্রায় হাজার কুড়ি লোক হবে। আর আমাদের রথের মেলার মতো ফুটকরাই , বেলুন তেলেভাজা এইসব বিক্রি হচ্ছে দেদার। অবশ্য তেলেভাজা টা অন্যরকম বড়োসড়ো আর চিনি গোলানো মিষ্টি। একটা খেয়ে দেখলাম , এক পেসো নিলো।

    যেটা চোখে পড়লো সেটা সবার মুখে অমলিন হাসি আর ফুর্তির মেজাজ। একজন আফ্রিকান লোক , দেখে বোঝা যায় খেটে খাওয়া মানুষ। একটু নেশা করে আছে , আমাদের সামনে অনেকক্ষন নাচ দেখালো। ওই বিসর্জন ড্যান্স মার্কা। তারপর আমার সাথে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করে , নাচতে নাচতে চলে গেল। আমার কেন জানিনা লোকটার গায়ের ঘাম আর মদের গন্ধ মেশানো আরোমা-টা বেশ লাগলো

    ***
    ফেরার সময় মেয়ের বাথরুম পাওয়াতে , বোলেরো (ট্যাক্সি চালক ছোকরা) , কাছেই একটা লেডিস মেস-এর রিসেপ্সানিস্ট কে ম্যানেজ করে ব্যবস্থা করে দিলো। সেই রিসেপসনিস্ট মেয়েটার হাসিটাও আমার বেশ লাগলো।

    রাত দেড়টার সময় যখন বোলেরো আমাদের আবার রিসর্টের লবিতে নামিয়ে দিলো , আমি একশো তিরিশ পেসো সাথে আরো দশপেসো বকশিস দিলাম। বোলেরো খুশি মনে হাতটাত মিলিয়ে , ইংরেজি বলার বাধাটা দুইগালে হেসে উড়িয়ে দিয়ে করে চলে গেলো

    (চলবে)
    পরবর্তী পর্ব , পর্ব(২) এর নীচে ক্রমান্বয়ে যুক্ত হবে ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৩৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 208.169.6.50 (*) | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:১৮64425
  • .
  • কল্লোল | 233.191.37.82 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৯64437
  • খুব মন দিয়ে পড়ছি।
  • শেসে | 52.110.160.145 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১০64428
  • পরের কিস্তিগুলোর জন্য ইট পাতলাম |
  • pi | 57.29.213.55 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২১64429
  • আমিও।
  • dd | 59.207.62.71 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৫64430
  • হ্যাঁ, হ্যাঁ। আছি আছি।

    কী খেলেন টেলেন, সে সবও লিখিবেন।
  • lcm | 109.0.80.158 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৭64431
  • হ্যাঁ, হ্যাঁ, খাবার দাবার সহ - গোটা শোরের রোস্ট থেকে স্যন্ডুইচ।
  • | 144.159.168.72 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৪64432
  • উরিব্বাস! লেখো লেখো।

    এই মানুষজন খুব হাশী আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চেহারা এইটা অণু মানে তারেক অণুর লেখায়ও পেয়েছিলাম।
  • de | 24.139.119.173 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৩২64433
  • খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়ছি - কিউবা বলে কথা!
  • | 144.159.168.72 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৪০64434
  • *হাসিখুশী
  • de | 24.139.119.173 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৫০64435
  • যাক্‌ - আমি হাশীর মানে খুঁজছিলাম ঃ))
  • প্রতিভা | 213.163.232.183 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৪৬64436
  • কিউবান মেয়েদের প্রতি একটু বিশেষ নজর দিলে ভালো হয় -- মানে কি কি পেশায় তাদের বেশি দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য ভালো কিনা, পড়াশুনোতে পিছিয়ে না এগিয়ে, ব্যবসাবাণিজ্য স্বাধীন ভাবে করেন কিনা। যদি না ইতোমধ্যেই বেড়ানো শেষ হয়ে গিয়ে থাকে।
  • হু | 108.228.61.183 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:০১64426
  • আরিব্বাস! এটা ফলো করবো।
  • সিকি | 116.223.20.73 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৪৮64427
  • আম্মো।
  • শঙ্খ | 52.110.204.70 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:০৩64438
  • বাহ, খাসা
  • মানবেশ | 212.142.119.115 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৩64439
  • খুব ভালো লাগছে। আমি একবার ২০০০ সালে গিয়েছিলাম, মার্কিণ সাম্রাজ্যবাদের অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সেমিনারে। কয়েকদিন ছিলাম। পরের কিস্তির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
  • dc | 57.15.184.55 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৯64440
  • হ্যাঁ কিউবান মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর দিলে ভালোই হয়। দেখতে টেখতে কেমন এই আর কি।
  • r2h | 73.106.235.66 | ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৫:১৮98190
  • ভাটে কিউবার কথা পড়ে এই দারুন লেখাটার কথা মনে পড়লো।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন