এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সেটা কোনো কথা নয় - দ্বিতীয় পর্ব - দশম ভাগ

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০১৮ | ১৪৩৮ বার পঠিত
  • ডাবের জলটা বেশ মিষ্টি। বহুদিন এতো ভালো ডাব খায়নি অভিমন্যু। স্ট্রয়ে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিলো সে। তাকে এখন দেখতে লাগছে গম্ভীর এবং চিন্তামগ্ন। আর থেকে থেকে "হুম" বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে সে। যেন কত রহস্য উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে তার অর্ধোন্মিলিত চোখের সামনে। কত জটলার জট ছাড়িয়ে সে বুঝে যাচ্ছে যেন এরপরে ঠিক কি ঘটতে চলেছে। আসলে গোটাটাই ভাঁওতা। শুভাশীষকে চাপে রাখার উপায়। সে ভাবছে বলতে মূলত ওইটাই --- আহা রে! কি মিষ্টি ডাবের জল! রোজ যদি এরকম পাওয়া যেত!
    জলটা শেষ হয়ে যেতে ওইভাবেই না তাকিয়ে কোনোদিকে না ফিরে বাঁহাতে শুভাশীষের দিকে খালি ডাবটা এগিয়ে ধরলো অভিমন্যু। স্ট্র সমেত! "শাঁস খাবেন তো স্যার, শাঁস? এই, ডাবটা ছাড়িয়ে দাও। স্যার শাঁস খাবেন।" -- অভিমন্যুকে হ্যাঁ না কিছু বলতেই হলো না। মানুষকে চাপে রাখার এই এক সুবিধা। পটাপট কাজ হয়ে যায়। তা না হলে এক্ষুনি খাজুর করতে হতো। আপনার কোথায় বাড়ি ! হেঁ হেঁ ! বাড়িতে কে কে আছে ! হেঁ হেঁ ! আজকে গরমটা কেমন পড়েছে বলুন ! হেঁ হেঁ ! যত্তসব ! জেমস বন্ড কোনোদিন করেছে ওসব? --- বন্ড! হেঁ হেঁ ! জেমস বন্ড! --- ওরকম করলে কেউ আর কোনোদিন তাকে সিরিয়াসলি নিতোইনা। লোকে শুধু হাঁ করে দেখবে কিন্তু শিখবে না কিছুই। এইজন্যেই বাঙালির কিচ্ছু হলো না !

    - "স্যার, শাঁস!" শুভাশীষ মাঝখান থেকে ভাগ করা ডাবটা অভিমন্যুর দিকে এগিয়ে ধরেছে।
    - " হ্যাঁ? ও!" বলে হালকা করে একবার তাকিয়ে ডাবটা নেয় অভিমন্যু অন্যমনস্কভাবে। তারপর আবার যেদিকে তাকিয়ে ছিল সেদিকেই ফিরে চিন্তামগ্নভাবে শাঁস খেতে থাকে। আদতে সে অন্যমনস্ক নয় মোটেই। তার গোটা মন জুড়ে একটি কচি ডাব, তাহার শাঁস ও তাহার জল। মন থেকে গোটা ব্যাপারটার ধীরে ধীরে পেটে স্থানান্তর ঘটছে। জলটা আগেই চলে গেছে। শাঁসটাও যাচ্ছে এবার। চিন্তা বলতে একটাই। এমন নরম শাঁস, আশেপাশে কেউ না থাকলে বেশ সপাৎ সপাৎ আওয়াজ করে খাওয়া যেত। ভদ্রতার খাতিরে সেটা করা যাচ্ছেনা আপাতত। ওয়েট কমে যাবে ওরকমটা করলে। শুভাশীষের ওপর থেকে চাপটাও কমে যাবে সেক্ষেত্রে। বড় মানুষরা ওরকমটা করেন না। রাষ্ট্রপতি সুড়ুৎ সুড়ুৎ শব্দে চা খান না। প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণ দিতে উঠে হাঁচি পায় না প্রধানমন্ত্রীর। বা পেলেও তিনি কাউকে বুঝতে দেন না। কারণ এরকমটাই চলে আসছে। এটাই নিয়ম। রাষ্ট্রপুঞ্জে বৈঠক চলাকালীন পুতিন আসলে টেকো কিনা সেই নিয়ে ফিসফাস আলোচনা জুড়ে দেয় না কেউ। সিরিয়াস ব্যাপারস্যাপারে এইসব ফচকেমির কোনো স্থান নেই। এখানে দু'দুটো লোক ভ্যানিশ হয়ে গেছে। মরেও গিয়ে থাকতে পারে, বলা যায় না। সেই ঘটনার তদন্তে এসে ডাবের শাঁস খেতে খেতে শব্দ করাটা উচিত হবে না মোটেই।

    শাঁসটা শেষ হয়ে এসেছে। ডাবের খোলা কেটে বানানো চামচটা দিয়ে শেষ টুকরোটা তুলে মুখে দিতেই ওই জায়গাটায় চোখ পড়লো অভিমন্যুর। এতক্ষন শাঁসের আড়ালে থাকায় প্রাকৃতিক আঁকিবুকি মনে হচ্ছিলো। জিনিসটা দেখে একটু চমকেই গেলো অভিমন্যু।এটা কি ডাবওলার কাজ? শুভাশীষকে দেখানো কি উচিত হবে? নাকি সেও জড়িত থাকতে পারে এই চক্রান্তে? কিন্তু ডাবওলার হাতে তো দা ! দা-এর মতো জিনিস দিয়ে তো এটা করা সম্ভব নয়! স্পষ্ট মনে হচ্ছে ডাবের খোলার ভিতরের দিকের গায়ে ছুরি দিয়ে কেউ একটা "না" খোদাই করে রেখেছে। একটা বন্ধ ডাবের খোলার ভিতর শাঁসের নিচে কিভাবে সম্ভব হয় এটা?
    -"আরেকটা ডাব কাটুন তো", ডাবওলাকে বলে অভিমন্যু। ডাব কাটার পদ্ধতিটাকে সে ভালোভাবে লক্ষ্য করে এবার। না, কোনও গোলমাল নেই সেখানে। ডাবটা হাতে পেতেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জলটা খেয়ে নেয় অভিমন্যু। তারপর ডাবটা ডাবওলার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, "শাঁস খাবো"। ডাবওলা সেকেন্ড দশেকের মধ্যে ডাবটা চিরে খোলা কেটে চামচ বানিয়ে অভিমন্যুর হাতে ফিরিয়ে দেয়। গোটাটা ভালো করে লক্ষ্য করে অভিমন্যু। এখানেও কোনো চালাকি নেই। গপগপ করে শাঁসটা খেয়ে ফেলে সে মিনিট দেড়েকের মধ্যে। এবারেও একই কেস। অক্ষরগুলো একটু ছোট, কিন্তু বার্তাটি আরও স্পষ্ট। "একদম না" লেখা আছে ডাবের ভিতরে !
    - "আরও একটা কাটুন!" অভিমন্যু বলে।
    - "আপনি একটাও খাবেন না স্যার? কচি ছিল কিন্তু!" ডাবওলা বলে শুভাশীষের দিকে তাকিয়ে।
    - "হ্যাঁ! স্যারের তো মনে হচ্ছে বেশ মনে ধরেছে। দিন আমাকেও একটা। কিন্তু ওই একটাই।" শুভাশীষ বলে।
    - "আচ্ছা। আমি আমি জোর করতে যাবো কেন? ভালো মাল আছে, একটাও খাবেন না? তাই বললাম। চিনির মতো মিষ্টি!"
    - "সে কি! পিঁপড়ে ধরে যাবে তো!" শুভাশীষ মনে হয় মনের মতো লোক পেয়েছে এতক্ষনে।
    - "কি যে বলেন স্যার!" ডাবওলাটি বেশ লাজুক ধরণের।
    - "আচ্ছা হয়েছে! আমারটা তাড়াতাড়ি কাটুন তো!" অভিমন্যু বাগড়া দিয়ে রসভঙ্গ ঘটিয়ে বলে ওঠে।
    - "হ্যাঁ হ্যাঁ! ওনারটা কেটে দিন আগে", শুভাশীষ বলে।
    - "এই তো। হয়ে গেছে।" ডাবওলা তৃতীয় ডাবটি এগিয়ে দেয়।

    তারপর শুভাশীষ আর ডাবওলার মধ্যে কি কথা হয় না হয় সেসব কিছুই কানে ঢোকে না অভিমন্যুর। সে কোনোমতে জলটা শেষ করে ফিরিয়ে দেয় ডাবটা। কিছু বলতেও হয় না তাকে। ডাবওলা বকবক করতে করতেই মন্ত্রমুগ্ধের মতো ডাবটাকে ফাঁক করে ফেলে মাঝখান থেকে। একপ্রকার ছিনিয়েই নেয় অভিমন্যু ডাবটা তার থেকে। ওদিকে শুভাশীষও তখন ডাব খাচ্ছে। কিন্তু অভিমন্যুর সেদিকে নজর দেওয়ার সময় নেই। সে ভাবছে এবারেও কি একই ঘটনা ঘটতে চলেছে? কি লেখা থাকতে পারে এবার? কিসের "না"? কেনই বা "একদম না"? উত্তর মেলে তাড়াতাড়িই !

    "খবরদার !" লিখে সাবধান করা রয়েছে তৃতীয় ডাবটির ভিতরে, একদম বিস্ময়বোধক চিহ্ন সহকারে ! কেন কেউ অভিমন্যুকে সাবধান করতে চাইছে? কি থেকেই বা? কেন কেউ তাকে বারণ করতে যাবে কোনোকিছু করতে? তাও এরকম অদ্ভুত উপায়ে? কিভাবেই বা এটা সম্ভব! বিস্ময় কাটতে চায় না অভিমন্যুর। তারই মধ্যে সে শুনতে পায় শুভাশীষ বলছে, "ও বাবা, এ তো জাদুডাব গো! ভেতরে কি লেখা আছে দেখেছো?" আর ডাবওলা উত্তর দিচ্ছে, "কই, দেখি দেখি! ওমা! সে কি! তাজ্জব ব্যাপার তো! এতদিন ধরে ডাব বেচছি, কই, আগে তো কখনও এমনটা দেখিনি!"
    - "ও স্যার! দেখেছেন কান্ড? ডাবের ভেতর লেখা ফুটছে!" শুভাশীষ তাকেই বলছে এবার, অভিমন্যু বুঝতে পারে। চা খেতে যাওয়াটাই কি উচিত ছিল তবে? ডাব খেতে আসার সিদ্ধান্তটাই কি তাহলে ভুল? শুভাশীষের ডাবে আবার কি লেখা আছে কে জানে ! গলাটাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে এনে অভিমন্যু বলে, "কি যা তা বকছো? গরম লেগে গেলো, নাকি?" শুভাশীষ ডাবের খোলাটা হাতে করে নিয়ে এগিয়ে আসে, "এই দেখুন!" স্পষ্ট দেখতে পায় অভিমন্যু, লেখা রয়েছে "বলে ফ্যাল্"; য-ফলা, আকার, এবং হসন্ত, তিনটিই ব্যবহার করা হয়েছে "ফ্যাল্" লিখতে।
    - তুমি কি কিছু লুকোচ্ছ শুভাশীষ আমার কাছে?
    - লুকোতে তো চাইনি স্যার, কিন্তু আপনি আর বলতে দিলেন কোথায়!
    - আমি তো বাধা দিইনি! আমি তো বললাম বলে ফেলো!
    - ওইভাবে বললে স্যার বলা যায়! আপনিই বলুন!
    - তা এবার তো বলবে, নাকি?
    - চলুন, যেতে যেতে বলি...
    প্রথম পর্ব : http://www.guruchandali.com/blog/2018/02/26/1519595113328.html
    দ্বিতীয় পর্ব (চলছে) : http://www.guruchandali.com/blog/2018/03/06/1520349527914.html
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০১৮ | ১৪৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন