এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সেটা কোনো কথা নয় - দ্বিতীয় পর্ব - একাদশ ভাগ

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ এপ্রিল ২০১৮ | ১৪৩০ বার পঠিত
  • কথাটা কিছুতেই আর ওইদিকে এগোচ্ছে না। ঠেলে দিতে পারলে হয়তো এগিয়ে যাবে, কিন্তু সেটা বর্বরোচিত হয়ে যাবে না তো আবার? একবার বাথরুমে যেতে পারলে মনে হয় ভালো হতো। পেটের ভিতরটা কিরকম একটা যেন করছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাথরুমে যাওয়াটাও কি ভালো দেখাবে?

    ভুলটা নওলকিশোরেরই। তার উচিত ছিল রুচিরাকে নিয়ে সোজা সিঁড়ির নিচের ঘরে ঢুকে যাওয়া। এইসব বাড়ি দেখানো-ফেখানোর কোনও দরকারই ছিল না। আসলে সে বুঝতে পারেনি ব্যাপারটা এইদিকে চলে যাবে। নওলকিশোরের বাবা-মা'র ঘর এটা। রুচিরা একবার বসছে, একবার উঠছে। আর নানান জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছে। এই ছবিটা কার, ওই স্মারকটা কিসের, কে পেয়েছিলো, কেন; এইসব! আরে বাবা তোর অত খবরে দরকার কি! আধঘন্টা হতে চললো এসেছিস। একটা চুমু তো খাওয়া যায় অন্তত এবার। কিন্তু না! রুচিরার প্রশ্ন আর ফুরোচ্ছে না। যেন সে মিউজিয়াম দেখতে এসেছে। কোনও ফোকাস নেই মেয়েটার। "এই খাটটা কি তোমার বাবা-মা'র বিয়েতে পাওয়া?" --- কোনও মানে আছে এসব প্রশ্নের! "আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই। উত্তরটা আমি জানি, চাইলে বলতেও পারি, কিন্তু বলবো না। অনেক হয়েছে এসব!" --- ঠিক এটাই বলতে চেয়েছিলো নওলকিশোর। কিন্তু রুচিরাকে চটিয়ে ফেললে গোটা ব্যাপারটাই ভেস্তে যাবে। তাই সে বলে - "হ্যাঁ। মশারী খাটানোর ডান্ডাগুলো অবশ্য পরে লাগানো। শুরুতে ওগুলো ছিল না।" রুচিরা আবার বিছানা থেকে ওঠে। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যায় টিভিটার দিকে। নওলকিশোরও তাই করে। ঠিক টিভির সামনে গিয়ে দাঁড়ায় রুচিরা। বলে, "ফ্ল্যাটস্ক্রিন ! এটা তো বেশ নতুন মনে হচ্ছে।" কেন রে বাবা ! তুই কি মাঝরাত্তিরে চুরি করতে আসবি নাকি আমার বাড়িতে? --- গা জ্বলে যাচ্ছে নওলকিশোরের! "তাও বছর চারেক হয়ে গেলো। আগেরটা বিপিএল ছিল। চোদ্দ ইঞ্চি। এটা একুশ।"

    এই চলেছে এসেত্থেকে! রুচিরা প্রশ্ন করছে, নওলকিশোর উত্তর দিচ্ছে। রুচিরা বসছে, নওলকিশোর বসছে। রুচিরা উঠে হাঁটতে শুরু করছে, নওলকিশোরও যাচ্ছে পিছন পিছন। গোটা ব্যাপারটাই ঘটছে শরীরের মধ্যে ছ' থেকে দশ ইঞ্চি ব্যবধান রেখে। একধরণের শৈল্পিক মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ব্যাপারটা এতক্ষণে। আর কতক্ষণ? পিছনফিরে নওলকিশোরের দিকে তাকিয়ে হাসে রুচিরা। ফুটখানেকেরও কম দূরত্ব তাদের ঠোঁটদুটির মধ্যে। নওলকিশোরের ইচ্ছা হয় রুচিরার কোমরে আর পিঠে তার হাতদুটো রেখে ঠোঁটে চুমু খেয়ে ফেলতে। কিছুটা বলপ্রয়োগ করেই। তারপর চুমু খেতে খেতে নিজের শরীরের ভারে রুচিরার শরীরটাকে কোমর থেকে বেঁকিয়ে পিছনদিকে ঝুঁকিয়ে দিতে; ভি জে ডে ইন টাইম স্কোয়ার ছবিটার মতো। কিন্তু সে করে না। কারণ নওলকিশোর নাবিক নয়। জাপান আত্মসমর্পণও করেনি আজ ভারতের কাছে। কোনো যুদ্ধই চলছে না কোথাও, বিজয়-ফিজয় তো পরের কথা। অন্তত ক্রিকেট বিশ্বকাপটাও যদি চলতো না হয় একটা কথা ছিল। রুচিরা যদি কিছু মনে করে এরকম করলে।চুমু যে তারা আগে খায়নি তা নয় কিন্তু আজ তো চুমুটা শুধু শুরুয়াৎ। অন্তত সেরকমই তো হওয়ার কথা ! কিন্তু কথা সেদিকে এগোলে তো !

    - "আমার ঘরটা দেখবে না"? ব্যাপারটাকে ত্বরান্বিত করার একটা বুদ্ধি খেলে যায় নওলকিশোরের মাথায়।
    - "তোমার ঘর? কোথায়?"
    - "নিচে।"
    - "নিচে ঘর আছে? ওঠার সময় দেখলাম না তো"?
    - "সিঁড়ির আড়ালে। যাবে?"
    - "যাবো। আগে জল খাওয়াও একটু।"
    নওলকিশোর ফ্রিজ থেকে একটা ঠান্ডা জলের বোতল এনে দেয় রুচিরাকে। ঢকঢক করে অনেকটা জল খেয়ে ফেলে রুচিরা।গোটা সময়টা জুড়ে নওলকিশোর তার গলার দিকে তাকিয়ে ছিল। আর দেখছিলো ওই মাঝখানের হাড়টার ওঠানামা। তার ইচ্ছা করছিলো কামড়ে ধরতে। অথবা গলার একদম নিচ থেকে থুতনি পর্যন্ত জিভ বুলিয়ে দিতে। কেন তার অনেক বড় একটা জিভ নেই !

    জল খাওয়া শেষ হলে রুচিরা বলে, "চলো"। মা'র কথা এতো বাধ্য ছেলের মতো কোনোদিন শোনেনি নওলকিশোর। রুচিরা চলো বলতেই সে চলতে শুরু করে দেয়। নিজের বুদ্ধির প্রশংসা করতে ইচ্ছে হয় তার। এই ব্যাপারটা এতক্ষন কেন মাথায় আসেনি ! সত্যিই তো ! তার ঘরটাই তো দেখানো হয়নি রুচিরাকে। যদিও দেখার মতো বিশেষ কিছুই নেই সেখানে। দেওয়ালে একটা পোস্টার লাগানো আছে বেশ পুরোনো। শচীন আর সৌরভ একসাথে। আরেকদিকে দেওয়ালের মধ্যে তাক করা রয়েছে তিনটে। সেখানে বইখাতা রাখা থাকে। ওই তাকগুলোর একটাতেই একটা টেপরেকর্ডারও রয়েছে। তার পাশে কিছু ক্যাসেট। ক্যাসেটগুলো এখন আর চলে না। রেকর্ডারটাও খারাপ হয়ে গেছে। তবে এফএম ধরে বেশ পরিষ্কার। তাই রেখে দেওয়া আছে এখনও। গ্রাজুয়েশন-এ ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বেরোতে পারলে একটা আইপড পাওয়া যাবে; বহুবছরের আন্দোলন-অনশন শেষে বাবাকে রাজি করানো গেছে। তখন বিদায় করা যাবে টেপরেকর্ডারটাকে। এছাড়া আর আছে বলতে একটা খাট, একজন মানুষের শোওয়ার মতো। আজ সকাল অবধি সেই খাটের এককোণে ডাঁই করে একগাদা জামাকাপড় রাখা ছিল। সেই জামাকাপড়ের স্তূপটা বেশ দেখার মতো হয়েছিল বটে। ওরকমটা অবশ্য প্রায়ই হয়। কিন্তু আজ রুচিরা আসবে বলে নওলকিশোর সব জামাকাপড় একটা বালতিতে ভরে ওপরে মা'র বাথরুমে রেখে এসেছে।

    দরজা খোলে নওলকিশোর। রুচিরা এক পা এক পা করে ঢোকে ঘরটাতে। গরমকালে দিনের এই সময়টা ঘরটায় একটা ভ্যাপসা গন্ধ হয়ে থাকে সাধারণত। আজ অবশ্য অতটাও নেই। কারণ রুচিরাকে আনতে যাওয়ার আগে প্রানভরে সেখানে প্রায় একবোতল পারফিউম ছেটানো হয়েছে। রুচিরা পুরোপুরি ঘরে ঢুকে গেলে নওলকিশোরও ঢোকে। তারপর দরজাটা বন্ধ করে দেয়।
    ছিটকিনি তুলে পিছন ফিরে সে দেখে রুচিরা তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু একটা বলা দরকার, ভাবে সে। কিন্তু কি বলবে বুঝতে পারে না। আচ্ছা, রুচিরা কেন কিছু বলছে না? কেন সে চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তবে কি সে নওলকিশোরের এগোবার অপেক্ষায়? এগোতে তো পারেই নওলকিশোর। কিন্তু রুচিরা যদি সেটার অপেক্ষায় না থেকে থাকে তাহলে? যদি অন্য কোনো কারণ থেকে থাকে তার চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার? মেয়েরা এতো জটিল কেন; ভাবে নওলকিশোর। মাথায় কি চলছে বললেই তো পারে ! এমনটাতো নয় যে সে বুঝতে পারছে না তারা এই ঘরে কেন এলো, দরজা কেন বন্ধ করা হলো, ইত্যাদি। এতো জটিলতা সৃষ্টি করার কি আছে কে জানে বাবা !

    - " বসবে না?" হাতের ইশারায় খাটটা দেখিয়ে বলে নওলকিশোর। রুচিরা তাও কিছু বলে না। পায়ে পায়ে এগোতে যায় খাটের দিকে। ঠিক এই সময় বুদ্ধিটা চকিতে খেলে যায় নওলকিশোরের মাথায়। সঠিক মূহুর্তে রুচিরার পায়ের সামনে একটা পা এগিয়ে দেয় সে। রুচিরা পড়ে যেতে যেতে খাটটাকে ধরে ফেলে ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি টাল সামলাতে পারে না। পরক্ষণেই কিছু একটাতে হোঁচট খেয়েছে এমন একটা ভান করে নওলকিশোর তার গায়ের ওপর এসে পড়ে। খানখান শব্দে হেসে ওঠে রুচিরা। সেই হাসির আওয়াজে নওলকিশোরের কানের পর্দা গলে গিয়ে গলা দিয়ে নেমে পাঁজরে এসে জমা হয়। তার ফুসফুসের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরতে থাকে রুচিরার হাসি। কে তাকে এই হাসির মানে বলে দেবে !

    - "এরকম জোর করে মোমেন্ট ক্রিয়েট করার না কোনও মানে হয় না", বলে রুচিরা। নওলকিশোরের শরীরের নিচ থেকে সরে যাওয়ার কোনও চেষ্টা দেখায় না সে। তার চোখের অভিব্যক্তি পড়ার চেষ্টা করে নওলকিশোর। তারপর চুমুটা খেয়েই ফেলে। বেশ জোরেই। - " কি করবো? নিজে থেকে তো কিছুই ক্রিয়েট হচ্ছিলো না !"
    - "তুমি একদম ধৈর্য্য ধরতে পারো না, না?" --- এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়না নওলকিশোর। সে তখন রুচিরার গলার মাঝখানের ওই হাড়টায় চুমু খেতে ব্যস্ত। তাছাড়া উত্তর হয়ও না। কতটা ধৈর্য্য সে ধরেছে তা একমাত্র সেই জানে। অন্য কেউ বুঝবেও না। রুচিরার শার্টের বোতামগুলো খুলতে যায় নওলকিশোর। কিন্তু এ কি ! বোতামগুলো খুলছে না কেন?
    - "ওভাবে নয় !" বলে রুচিরা, "ওগুলো হুক।" তা হুকই যদি হবে তাহলে ওপরে ওরকম ফলস বোতাম বসিয়ে লোকজনকে বিভ্রান্ত করার কি মানে ! মেয়েদের ব্যাপারস্যাপার একদম বুঝতে পারে না নওলকিশোর। রুচিরা তার জন্য ওপর থেকে তিনটে হুক খুলে দেয়। নওলকিশোরের মাথার ভিতর তখন সূর্যাস্তের আলোয় একটি গোল্ডেন রিট্রিভার সমুদ্রের পাড়ে বালি খুঁড়ে চলেছে। সে রুচিরার জামাটাকে একদিকে টেনে ধরে তার কাঁধে আলতো করে একটা কামড় বসায়।

    - " উফ! নকুল !"

    শক খেয়ে ছিটকে সরে আসে নওলকিশোর। কেসটা কি হলো ! সে ঠিক শুনলো কিনা এটা বুঝে ওঠার আগেই আরও ভয়ানক একটা ঘটনা ঘটে যায়। দরজায় খুট করে আওয়াজ হয় একটা। ইস ! মূলদরজার ছিটকিনিটা ভিতর দিক থেকে তুলে রাখা উচিত ছিল। কেন যে মাথায় আসেনি ! নির্ঘাত মা। মা না মাওবাদী কে জানে ! হাতের ইশারায় রুচিরাকে চুপ থাকতে বলে ঘর থেকে বাইরে বেরোয় নওলকিশোর। দেখে মাওবাদী নয়, এক্কেবারে আমেরিকার আক্রমণ ঘটে গেছে অতর্কিতে।
    - তুমি এতো তাড়াতাড়ি?
    - কেন তোর আপত্তি আছে নাকি?
    - না, এই সময় তো ফেরো না কখনও।
    - "শরীর খারাপ লাগছিলো। তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়েছি।" --- জুতো খুলতে খুলতে বলে বাবা। তারপর সিঁড়ি দিয়ে সোজা উপরে উঠে যায়। ভাগ্যিস রুচিরার জুতোটা খেয়াল করেনি ! নওলকিশোর জানে, ঠিক দশমিনিট বাদে বাবা বাথরুমে যাবে। সেই ফাঁকে রুচিরাকে নিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে। নাহলে তার কপালে যে আজ কি নাচছে সেকথা আর স্পষ্টভাবে ভেবে উঠতে পারে না নওলকিশোর। ভাবতে চায় ও না সে সত্যি বলতে। হাতের পাতার উল্টোদিকটা দিয়ে কপালের ঘাম মোছে নওলকিশোর। তার সাথে বারবার এরকমটা কেন হয় কে জানে !
    প্রথম পর্ব : http://www.guruchandali.com/blog/2018/02/26/1519595113328.html
    দ্বিতীয় পর্ব (চলছে) : http://www.guruchandali.com/blog/2018/03/06/1520349527914.html
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ এপ্রিল ২০১৮ | ১৪৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রুকু | 212.142.104.87 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২১62324
  • উরিব্বাস। এই লেখাটা মিস করলাম কীভাবে :-P
    আমার ক্ষেত্রে আম্রিগার আক্রমণটি ইউনিভার্সিটি ফেরত দিদি ঘটিয়েছিল।
  • Anamitra Roy | 126.206.223.219 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২৩62325
  • আমেরিকা একমাত্র বাবারাই হয়। দিদি খুব ভয়ানক হলেও বড়জোর সোভিয়েত হতে পারে :D
    মূল লেখাটি পড়েছেন কি? পড়লে মতামত জানাবেন। ভালো লাগবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন