এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কথায় কথায় হ্যারি পটারঃ ভুত এবং রাজনীতি

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ অক্টোবর ২০১৭ | ৬২৫ বার পঠিত
  • লেখাটা টইতে ছিল - সেখানে একজন একটা ভুল ধরিয়ে দিলেন। সেটা ঠিকঠাক করে এখানেই তাই আবার দেওয়া গেল - সুমিত রায়ের একটি টই এর (দেখলাও কাঁহা ভুত) পরিপ্রেক্ষিতে আমি যে মন্তব্য করেছিলাম - তারই এক্সটেনশন বলা যায় এই লেখাটা -ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন দেব।
    তা কথা হচ্ছিল ভুতের গপ্প নিয়ে – আমি যথারীতি এনে ফেললাম হ্যারি পটার। এটা আমার এক বদভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে – কথায় কথায় পটার টানা – লোকে এরপরে আমায় পটার চাড্ডি বলে গাল দিলে কিছু বলার থাকবে না। তাই এইবেলা বলে নিই – আমি আদতেই খানিক পটার চাড্ডি আছি। কিন্তু তাই বলে চাড্ডি বললে তো গায়ে লাগবেই – তাই নিজেকে একটু জাস্টিফাই করে নেওয়ার চেষ্টা। রাওলিং কী ভেবে লিখেছেন তা তিনিই জানেন, কিন্তু পটার কাহিনীর যে পলিটিক্স, তা আমাকে আকর্ষণ করে – যদিও তা কোন কোন সময়ে হয়তো আমার ব্যক্তিগত পলিটিক্স নয়। এবং হ্যাঁ, পটার কাহিনীকে আমি পলিটিকাল মেটাফোর হিসাবেই দেখি – যদিও অস্বীকার করব না, প্রথম দু’বার পড়ে (অপেক্ষাকৃত কম বয়সে) অন্যরকমই লেগেছিল। কিন্তু যত দিন গেছে, পরের পরের পাঠে ক্রমশঃ প্রতিবার আরো বেশী করে এটা আমার কাছে রাজনৈতিক হয়ে উঠেছে। প্রোটাগনিস্টের ব্যক্তি রাজনীতি নয় – যে সমাজে সে বড় হচ্ছে, সেই সমাজের, এবং এমন কি তার প্রতিবেশী সমাজের রাজনীতিও। রাষ্ট্রক্ষমতা, ক্ষমতার দম্ভ, তার প্রায় কমিকাল পর্যায়ের রক্ষণশীলতা, তাকে রক্ষা করার নামে প্রবল অন্যায়কে মান্যতা দেবার চেষ্টা, মিডিয়ার ভূমিকা, প্রবল রাষ্ট্রের ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষের শক্তি এবং দুর্বলতা, সিস্টেমের বিরুদ্ধে সিস্টেম এবং সব সিস্টেম থেকে বেরিয়ে গিয়ে সংখ্যালঘুর লড়াই, সমাজের নায়ক তৈরীর চেষ্টা এবং নায়কের অপেক্ষায় হা-পিত্যেশ, আদেখলামো, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাহস এবং প্রশ্নহীন আনুগত্যের প্রতি ক্ষমতার পক্ষপাত --- লিস্ট আরো বাড়তেই পারে। এক কথায় রাজনীতির সমস্ত উপাদান একদম ফলিত উদাহরণ নিয়ে হাজির। লিখে ফেলার আগে রাওলিং নিজেও সম্ভবতঃ উপলব্ধি করেন নি যে একটি এপিকের জন্ম দিচ্ছেন তিনি।
    যাই হোক শিবের গীত শেষ – এবার ধান ভানার পালা। ভুতেদের আলোচনায় ফিরে আসি। তা হ্যারি পটার যদিও কোনমতেই ভুতের গপ্প নয় – তাহলেও ভুতেরা এখানে আছে – প্রচুর পরিমাণে আছে। আপাততঃ এই ভুতেদের নিয়েই আলোচনা। এবং যে রাজনীতির কথা বলেছি তাতে এরা কে কিভাবে কতটা জড়িয়ে পড়ছে তা-ও একবার দেখে নেওয়া যাবে। কাহিনীতে ভুতেদের দেখা মূলতঃ মিলেছে হগওয়ার্টস স্কুলেই। স্কুলের চারটি হাউসের চারজন হাউস ঘোস্ট – এর মধ্যে হাফলপাফ হাউসের ভুত – ফ্যাট ফ্রায়ার, গল্পে সেভাবে কোথাও আসেনি – দু-একবার অন্য কারো আলোচনায় ছাড়া (ফ্যাট ফ্রায়ারের বর্ণনা পড়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে রবিনহুড গল্পের পাদরি ফ্রায়ার টাকের কথা মনে পড়েছে – কিন্তু তার কোন যৌক্তিক পরম্পরা নেই, স্রেফ মনে হওয়াই), কিন্তু বাকি তিনটি হাউসের ভুতেদেরই কিছু ভূমিকা আছে।
    হ্যারির নিজের হাউস গ্রিফিনডোরের ভুত সার নিকোলাস দা মিমসি পর্পিংটন ওরফে নীয়ারলি হেডলেস নিক স্বভাবতঃই সবচেয়ে বেশীবার গল্পে এসেছে – প্রায় প্রতিটি পর্বেই তার কিছু না কিছু ভূমিকা আছে। দ্বিতীয় পর্বে হ্যারি, রন এবং হারমায়োনি এই নিকের ডেথডে পার্টিতেও গেছিল। এই ডেথডে পার্টির আইডিয়া এবং বর্ণনা কিন্তু যে কোন ভুতের গল্পকেও লজ্জা দিতে পারে। এই নিকের সঙ্গে হ্যারির আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল যেটা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করব।
    পোল্টারজিস্ট পীভস প্রায় সব পর্বেই থাকলেও তার অতীতের কোন উল্লেখ কোথাও নেই। সে কেবলমাত্র ব্লাডি ব্যারণ ছাড়া আর কারো কথা শোনে না – মানুষ বা ভুত। কিন্তু একেবারে আপৎকালে ফ্রেড এবং জর্জের কথামতো কাজ করা অথবা শেষ যুদ্ধে তার অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রফেসারদের তার বিভিন্ন অপকর্মের প্রতি একধরণের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় থেকে তার অবস্থান মোটামুটি বুঝে নেওয়া যায়। পীভসকে আমরা বোধ হয় লুম্পেন প্রলেতারিয়েত শ্রেণীভুক্ত করতে পারি। আলোচনাটা ভুতেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলে পীভস প্রসঙ্গে আরেকটি ইন্টারেস্টিং চরিত্রের আলোচনা আনা যেত – কেয়ারটেকার আর্গাস ফিলচ – কিন্তু আপাততঃ তা থেকে বিরত থাকছি।
    স্লিদারিনের ব্লাডি ব্যারণ এবং র‍্যাভেনক্ল এর গ্রে লেডি – এদের ইতিহাস পরস্পরের সম্পৃক্ত – গ্রে লেডির আসল নাম হেলেনা র‍্যাভেনক্ল – র‍্যাভেনক্ল হাউসের প্রতিষ্ঠাতা রোয়েনা র‍্যাভেনক্ল’র কন্যা যে তার মায়ের বিখ্যাত ডায়াডেম (একধরণের মুকুট)টি চুরি করেছিল। রোয়েনার বিশ্বাসভাজন ব্লাডি ব্যারণ (প্রকৃত নাম জানা যায় না) হেলেনাকে (এবং ডায়াডেমটি) ফিরিয়ে আনতে আলবানিয়া যায় – কিন্তু হেলেনা তার সঙ্গে ফিরতে অস্বীকার করলে সে রাগের মাথায় হেলেনাকে খুন করে এবং তারপর অনুশোচনায় নিজেও আত্মহত্যা করে। সেই জোড়া খুনের রক্ত গায়ে লেগে আছে বলেই তার নাম ব্লাডি ব্যারণ। হেলেনা তরুণ টম রিডলের (ভলডেমর্ট) কথায় ভুলে তাকে আলবানিয়াতে ডায়াডেমটির অবস্থান জানিয়ে দেয় – পরে এই ইতিহাস সে হ্যারিকে জানায়, ভলডেমর্টের পরাজয় নিশ্চিত করতে। পুরো কাহিনীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছোটখাটো চরিত্রের মতই এই দুটি চরিত্রও, বিশেষতঃ হেলেনা, খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুব ডিস্টিংটিভলি তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে গেছে। ভৌতিকভাবেই, এবং ভয়ঙ্কর না হয়েই।
    এরা ছাড়া আরেকজন উল্লেখযোগ্য ভৌতিক চরিত্র হলেন প্রোফেসর কাথবার্ট বিনস। ইনি হগওয়ার্টসে ম্যাজিকের ইতিহাস পড়ান। ছাত্রছাত্রীরা কে কতটা মনোযোগ দিচ্ছে তার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন থেকেই এই শিক্ষক মূল্যবান তথ্যগুলি একের পর এক শেয়ার করে যান। ইনি জীবিতাবস্থাতেও পড়াতেন এবং একদিন টীচার্স রুমে ঘুমের মধ্যেই মারা যান – কিন্তু নিজেও সেটা টের পাননি – একই ভাবে উঠে তিনি পড়াতে চলে যান ভুত হয়ে। এর একমাত্র ভৌতিক কার্যকলাপ হল দেওয়াল ভেদ করে ক্লাসে ঢোকা। কিন্তু এই ধরণের শিক্ষকদের আমরা চিনি। চারপাশের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু এবং শুধুই নিজের কাজটুকু করে যাওয়াও এক ধরণের রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট। এবং বিষয়টা – ইতিহাস।
    চতুর্থ পর্বে আমরা খুব সংক্ষিপ্তভাবে একজন ভ্যাম্পায়ারের দেখা পাই – কিন্তু তার চিন্তাভাবনা নিয়ে বিশেষ কিছু জানতে পারা যায় না। যদিও তার বন্ধু, যিনি সেই ভ্যাম্পায়ারের জীবনী লিখেছেন, তিনি হ্যারির জীবনী লিখতেও একই ভাবে উৎসাহী ছিলেন – যদিও মিডিয়া কী জিনিষ তা ততদিনে হ্যারি বুঝতে শুরু করেছে – এবং তাকে এড়িয়ে চলতেও।
    এবং সব শেষে মোনিং মির্টল – মির্টল এলিজাবেথ ওয়ারেন – যাকে বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় দোতলার একটি পরিত্যক্ত মেয়েদের বাথরুমে – তার প্রিয় বসার জায়গা হল কমোডের এস এর মত ভাঁজ হয়ে থাকা জায়গাটা। একবার অবশ্য মির্টল আটতলায় প্রিফেক্টদের বাথরুমেও আবির্ভূত হয় (তার দাবী সে নাকি মাঝে মাঝেই সেখানে হাজির হয়)। মির্টলের মৃত্যু সম্ভবতঃ হগওয়ার্টসের সমস্ত ভূতেদের মধ্যে ভয়ঙ্করতম – চেম্বার অফ সিক্রেটসের ভয়ঙ্কর সাপ ব্যাসিলিস্ক, যার চোখের দৃষ্টিতেই মানুষের মৃত্যু হয়, তাকে দেখে ফেলার কারণেই মির্টল মারা গেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে দেখানো হয়েছে ছিঁচকাঁদুনে একটি মেয়ে ভূত হিসাবে – যে ব্রুড করে, বিরক্তি জাগায়, ভয় দেখানোর প্রশ্নই নেই। কাহিনীতে মির্টল একাধিকবার এসেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অংশীদার হয়েছে, কিন্তু তাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয়নি। হ্যারির কাছে মির্টল জানতে চেয়েছিল, সে মাঝে মাঝে তার সঙ্গে দেখা করতে আসবে কি না – হ্যারি হ্যাঁ বলে গেছিল। তারপরে যা হয়, কাহিনীর নায়ক, অনেক অনেক এনগেজমেন্ট তার, দায়-দায়ীত্ব, একটি নিঃসঙ্গ ছিঁচকাঁদুনে ভুতনিকে দেবার মত সময় তার কোথায়? মির্টল তা বোঝে না এমনও তো নয় – কিন্তু তার একাকীত্ব দূর হয় না। কখনো অল্প ক’দিনের জন্য হ্যারি, রন, হারমায়োনি জুটি তো কখনো কিছুদিন ড্র্যাকো ম্যালফয় – যখন যাকে পায়, আঁকড়ে ধরতে চায় সে – বন্ধুত্ব করতে চায় – কিন্তু তাকে কেউই শেষ অবধি সিরিয়াসলি নেয় না। দিনের শেষে গৌরব দূরস্থান, সামান্যতম বন্ধুত্ব, এমন কি একটু রেকগনাইজেশনও তার জন্য বরাদ্দ নেই।
    কিন্তু এই ভুতেরা কোথাও তেমনভাবে ভীতিপ্রদ নয় কেন? যেখানে ইউরোপীয় সাহিত্যে ভুতেদের বেশীরভাগ সময়েই ভীতিপ্রদ হিসাবেই তুলে ধরা হয়েছে এবং হয়ে থাকে? এর কারণ পটার কাহিনীর ভুতেরা অন্ততঃ একটা ক্ষেত্রে প্রিভিলেজড (অথবা অসহায় – নির্ভর করছে কোন দিক থেকে বিষয়টাকে দেখবেন) – তাদের প্রত্যেকের একটা চয়েস আছে। হ্যাঁ – এই চয়েস ব্যপারটা পুরো পটার কাহিনীতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ – প্রায় প্রতিটা চরিত্রেরই কোন না কোন সময়ে একটা চয়েস ছিল – কে কী হতে চায়, তা তারা প্রায় সকলেই নিজেরাই বেছে নিয়েছে। মুক্ত মানুষের যেমন থাকার কথা। এবং ভুতেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বসাহিত্যে সাধারণতঃ আমরা দেখি, ভুতের কাহিনীতে কনসেপ্টটা হল মানুষ মরে গেলে তার চেতনা ভুত হয়ে যায় এবং তা আমাদের মধ্যেই অশরীরি রূপে ঘুরে বেড়ায়। সেইসব অশরীরি আত্মার সঙ্গে শরীরি আমাদের ইন্টেরাকশনই মূলতঃ ভুতের গল্প। অর্থাৎ এখানে ভুতেদের অস্তিত্বে কোন চয়েস নেই – মানুষ মরে গেলে ভুত হয় (বিশ্বাস করুন বা না করুন)। আমাদের ভারতীয় গল্পে অবশ্য আরেকটু সুযোগ আছে – কারো জীবনের কর্মফল যদি খুব ভালো হয় (অর্থাৎ দেবতাদের যথেষ্ট ঘুষ টুষ দিয়ে খুশী করতে পেরে থাকেন) তাহলে আপনার আত্মা একদম ডায়রেক্ট পরমাত্মায় বিলীন হবে – মাঝে ভুতের কেত্তন সইতে হবে না। কিন্তু সে আর কজনের ভাগ্যেই বা জোটে বলুন। তাছাড়া সেখানেও আত্মার কোন চয়েস নেই। কিন্তু রাওলিং তার ভুতেদেরও একটা চয়েস দিয়েছেন। তার কাহিনীতে যতজন মরে গেছে তারা সকলেই ভুত হয়ে যায়নি। সিরিয়াস ব্ল্যাক মারা যাবার পর তাকে ভুত হিসাবে দেখতে পাবে কি না জানতে চেয়েছিল হ্যারি – তখন নীয়ারলি হেডলেস নিক তাকে জানায়, ভুত হওয়াটা চয়েসের ব্যপার। মৃত্যুর পরেও যারা একেবারেই চলে যেতে চায় না (আমরা মায়ার বাঁধন কাটিয়ে ওঠা বলতে যা বুঝি আর কি), তারা ভুত হয়ে থেকে যাবার একটা অপশন নিতে পারে। অপশনটা খুবই হরিবল – কারণ যা থেকে যায় তা জীবিত মানুষটার আত্মার একটা ছাপ মাত্র – একটা অর্ধস্বচ্ছ চেহারা, কিছু সীমিত আবেগ এবং ভেসে বেড়ানো – ব্যস। অধিকাংশ মৃতই এই অপশনটাকে গ্রহনযোগ্য মনে করেন না – সামান্য কয়েকজনই তাই ভুত হয়ে থেকে যান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ অক্টোবর ২০১৭ | ৬২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 233.223.142.58 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:২৬61773
  • ।।
  • | 144.159.168.72 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১২:৪৩61774
  • ১) সেই আস্ত পুরো লেখা, প্যারাগ্রাফের বালাই নেই। ঃ-((
    ২) মোর্নিং মির্টল এই শেষ নাটকটায় একটু বেটার এসেছে।
    ৩) বাংলায় আবার যমদত্ত বলে গেছেন মানুষ মরে ভুত আর ভুত মরে মার্বেল হয়।
  • গোমড়াথেরিয়াম | 128.185.75.71 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৩৮61776
  • হুই, মির্টল নয়। মোনিং মার্টল, যদিও একেবারে মা-আ-আ-আ নয়, ম্য টাইপের কিছু। মি একেবারেই নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন