এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বুদ্ধিমুক্তি আন্দোলনের অগ্রতাপস―ডিরোজিও # এক

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০১৬ | ২১১৬ বার পঠিত
  • রাতের আকাশে ক্ষণস্থায়ী এক উল্কার মতো বাংলার সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-৩১), সূত্রপাত করেছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দের প্রথম পাদে এই পরিচিত বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মাটিতেই এক বিরাট সম্ভাবনাময় মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের। আর তার ঊর্মিমালা সেদিন সমসাময়িক ঐতিহ্যবাদী ও সনাতনপন্থী চিন্তাধারার মেদ-মেদুর শরীরে প্রবল আঘাত করেছিল। সেই অভিঘাতের কাহিনি স্মরণ করলে এটা খুব বিস্ময়ের যে আমরা একশ বছর যেতে না যেতে তাঁকে প্রায় ভুলেই গেছি। রাম মোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৪) বা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-৯১) মতাদর্শ এবং যুক্তিবিচারের ধারা গ্রহণ না করলেও আমরা তাঁদের মনীষী হিসাবে অন্তত দু চারটে ছবি এখনও বাঁচিয়ে রেখেছি এবং কোনো কোনো শিক্ষিত বাড়িতে বা চুল কাটার পাড়ার সেলুনে তা মাঝে মাঝে টাঙানোও থাকে। কিন্তু ডিরোজিওর ছবি আজ খুঁজলে এক লক্ষ বাঙালি পরিবারের মধ্যে একজনের বাড়িতেও যে পাওয়া যাবে না—এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর বাংলা আজ যা ভাবতে ভুলে গেছে, মহামতি গোপালকৃষ্ণ গোখলের কথা সত্য হলে, বাকি ভারত আগামীকাল তা নিশ্চয়ই ভাববে না। অতএব সারা দেশের মানুষ যদি আজ এই মনীষীকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে থাকে, বা আদৌ চিনতেই না পারে, তাদের তাতে দোষ দেওয়া যায় না।

    ।। ১ ।।
    প্রথমেই মনে রাখা ভালো, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মনের মধ্যে এখনও ইতিহাসবোধ খুব প্রগাঢ় বা শক্তমূল নয়। আমরা একজন বিশিষ্ট মানুষকে যতটা বিশেষ বা একক মানুষ হিসাবে দেখি ততটা বিশেষ দেশকালের মানুষ হিসাবে দেখি না। তাঁর সমকালের পরিপার্শ্বের বৃহত্তর পরিমণ্ডলে ফেলে তাঁকে বিচার করি না। দেশকালের উদ্বর্তনের যে খণ্ডাংশে তাঁর আসা-যাওয়া, তাঁর জীবনকর্ম—সেখানে স্থাপন করে তাঁকে বিচার করি না। তার ফলে তাঁকে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেখি। যা কিছু কৃতিত্ব তাঁর একার, স্বকীয় অর্জন; যা কিছু দোষত্রুটি অক্ষমতা তাও তাঁর একার, ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। অথচ মানুষ তো তা নয়, সামাজিক প্রাণী হিসাবেই সে আবার ঐতিহাসিক জীবও বটে। সুন্দরবনের বঙ্গ-বাঘের* জীবনে গত একশ বছরে তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি। যারা বাঘ শিকার করতে যেত তাদের মধ্যে বিপুল বদল হয়ে গেছে। একজনের নয়, অনেকের মধ্যে হয়েছে, হয়ত কমবেশি সকলের মধ্যেই হয়েছে। নইলে এই প্রশ্ন তো করা দরকার, ঠিক ওই সময়টাতে রামমোহনের পরে পরেই কীভাবে দ্রুত-ক্রমান্বয়ে এতগুলো মানুষ এলেন—যাঁরা চিন্তায় ভাবনায় এই দেশেরই বিশ পঞ্চাশ বছর আগেকার শুধু নয়, সমসাময়িক কালেরও অধিকাংশ, মানুষদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা, অন্যরকম। যথা—ডিরোজিও, বিদ্যাসাগর, অক্ষয় দত্ত, রাজেন্দ্রলাল মিত্র (১৮২৩-৯১), প্রমুখ। কিংবা, তাঁদের প্রায় পেছনে পেছনে মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-৭৩), মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৩৩-১৯০৪), বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪), জগদীশ চন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭), রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১), প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (১৮৬১-১৯৪৪), স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩-১৯০২), ইত্যাদি। আমরা হয়ত এঁদের মধ্য থেকে আইকন বেছে নিয়েছি। রামমোহন, বিদ্যাসাগরকে বেছে নিয়েছি, চারপাশের বাকিদের ভুলে গেছি। রবীন্দ্রনাথকে পছন্দ করেছি, মধুসূদনকে বাদ দিয়েছি, ইত্যাদি।
    কিন্তু সে ঝাড়াই-বাছাই আসলে আমাদের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা। ইতিহাস ভুলে থাকা যায়, মুছে তো আর ফেলা যায় না। যেমন মুছে ফেলা যাবে না এই ঘটনা যে আজকের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কিছুদিন আগেকার প্রেসিডেন্সি কলেজ, যখন ১৮১৭ সালে হিন্দু কলেজ নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তার মাথায় বসে ছিলেন একদল রক্ষণশীল মাতব্বর। তাঁদের লক্ষ্য ছিল খুব সামান্য। ইংরেজদের সাহায্যে আধুনিক শিক্ষার কিঞ্চিৎ স্পর্শদোষ ঘটিয়ে পরিবারের পুত্রদের (তখনও কন্যাদের শিক্ষাদানের কথা ভাবার মতো মগজ তাঁদের তৈরি হয়নি) কিছু চাকরিবাকরির বন্দোবস্ত করে ফেলা। কিন্তু তাঁদের প্রখর নজর ছিল, সেই শিক্ষা যেন কোনো মতেই তাদের পুত্রদের মাথায় প্রবেশ না করে, চিন্তাকে যেন কোনো ভাবেই পুনর্গঠন করতে না যায়। কিন্তু হায়, তাঁদের সেই বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে কলেজের প্রথম ব্যাচেই চাকরি করতে এল এমন এক যুবক যে সেই পরিকল্পনার ভিতেই দিল এক মোলায়েম অথচ মোক্ষম আঘাত, যার ক্ষত আর সেই কলেজ কোনো দিনই সারিয়ে উঠতে পারল না।
    শুধু সেই কলেজ কেন, সেই শহর, সেই প্রদেশ, সেই দেশ—কেউই আর সেই যুবকের মাত্র চার-পাঁচ বছরের শিক্ষাদানের অভিঘাত দুই শতাব্দেও অস্বীকার করতে বা একেবারে ঝেড়ে ফেলতে পারল না। সে তৈরি করে গেল বেশ কয়েকজন কৃতি ছাত্র, যারা ভবিষ্যতে তাঁর পড়ে থাকা অসম্পূর্ণ কাজকে বিভিন্ন দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
    হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। হিন্দু নয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নয়, বাঙালি হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। পিতৃপরিচয়ের সূত্রে পর্তুগিজ। সেই সূত্রে জন্মের পর খ্রিস্টীয় ঐতিহ্যে দীক্ষান্তে তার আসল নাম রাখা হয়েছিল হেনরি লুই ভিভিয়ান দ্য রোজারিও (Henri Louis Vivian de Rozario)। কিন্তু তখনকার সাংস্কৃতিক আবহে পর্তুগিজ পদবীকে কে আর পাত্তা দেবে? তাই তা দাঁড়িয়ে গেল আংরেজি কায়দায় ডিরোজিও রূপে। অনেকটা যেমন করে আমাদের দেশের ত্রিবেদী হয়েছে তেওয়ারি, দ্বিবেদী হয়েছে দ্যুবে, ইত্যাদি। তাঁর মা, সোফিয়া জনসন, ছিলেন ইংরেজ। সুতরাং পিতা-মাতার সান্নিধ্যে পারিবারিক সূত্রে তিনি খ্রিস্টান ধর্মীয় আবহে লালিত। পাশ করে হিন্দু কলেজে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার পর তাঁর কাছে প্রত্যাশিত আচরণ ছিল খ্রিস্টধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করা; ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এবং ব্রিটিশ রাণিমার প্রশংসা করা; হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে ভারতবর্ষ এবং হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে যথা সম্ভব বিরূপতার মনোভাব তৈরি করা। আর যদি তিনি তাই করতেন, হিন্দু মাতব্বররা নিজেদের মজলিশে বসে জমিদারের পয়সায় তামাক খেতে খেতে আর গুলতানি মারতে মারতে হয়ত ‘দেশ-ধম্ম-কম্ম উচ্ছন্নে গেল’ বলে হা-হুতাশ করতে পারত, কিন্তু হিন্দু কলেজের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে যেতে সাহস পেত না। হেনরিকেও তারা সাহস করে ঘাঁটাতে যেত না। সাদা চামড়ার গোমস্তাদেরও তারা দেশি জমিদারদের মতোই, হয়ত আরও বেশি, ভয় পেত, সমীহ করত, মন জুগিয়ে চলত।
    তার বদলে তিনি এমন একটা পথ বেছে নিলেন যেখানে তাঁর পক্ষে শাসক ইংরেজ এবং হিন্দু মাতব্বর, কাউকেই সন্তুষ্ট করা সম্ভব হল না। তিনি নিলেন যুক্তিবাদের পথ। ছাত্রদের নিয়ে মুক্তবুদ্ধি আন্দোলন গড়ে তোলার পথ। শিক্ষাকে সামাজিকভাবে ফলপ্রসূ করে তোলার পথ। কোনো ধর্মই যুক্তিবাদ এবং যুক্তিবাদীকে পছন্দ করে না, সে মহান খ্রিস্টধর্মই হোক আর প্যাগান হিন্দুধর্মই হোক। বরং যুক্তিবাদের উদ্ভবই হয়েছিল ধর্মীয় ধূম্রজালকে ছিন্ন করে তার থেকে বেরিয়ে এসে। ফলে, তিনি যখন হিন্দু কলেজের সরলমতি হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে যুক্তি তর্কের কথা বলতে শুরু করলেন, বিশ্বাসের পরিবর্তে বিতর্কের মধ্য দিয়ে সত্যকে খোঁজার কথা বোঝাতে শুরু করলেন, শ্বেত এবং পীত, দুরকম চামড়ার প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীই তাঁর বিরুদ্ধে চলে গেল। কোম্পানির সওদাগররাও সরলমতি মুক্তমতির মানুষজনকে পছন্দ করত না। মুক্তমনকে দালাল বানানো কঠিন যে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং তাদের শাসকবর্গ তখন এই দেশের মাটিতে দেশি দালাল খুঁজতে বা তৈরি করতেই বেশি ইচ্ছুক ছিল, যথার্থ শিক্ষা প্রচারে তাদের কোনোই উৎসাহ ছিল না। তারাও বুঝে গেল, এই যুবকের সংস্পর্শে থাকলে ছাত্ররা যা শিখবে তাতে তাদের পুরোপুরি কোম্পানির দালাল বা আড়কাঠি বানানো মুশকিল হবে। তারাও তাই হিন্দু মাতব্বরদের সাথে হাত মিলিয়ে এঁকে কলেজ থেকে তাড়াতে উদ্গ্রীব হয়ে উঠল।
    ছাত্ররা সংখ্যায় অনেক বেশি হলেও তখনকার দিনে তারা খুব একটা সংগঠিত ছিল না। তার উপর তারা অধিকাংশই প্রথম প্রজন্মের আধুনিক শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার আলো বাতাস তখনও এদেশের মাটিতে তেমন জায়গা করে উঠতে পারেনি। তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই করার মতো জায়গায় কেউই ছিল না। কিন্তু বিরুদ্ধ গোষ্ঠী যথেষ্ট সংগঠিত এবং সেই অর্থে খুবই শক্তিশালী। অধিকাংশই জমিদার এবং সেই সঙ্গে তাদের অনেকে ইংরেজদের মুৎসুদ্দিগিরি করে বেশ ভালোই পয়সা কামিয়েছে। ছাত্রদের পিতা বা অভিভাবকও তারাই। ফলে অচিরেই সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠল। মহাভারতের কৌরবদের মতোই সমাজপতিদের হাতে এক অভিমন্যু বধের পালা নতুন করে অভিনীত হল আদি উনিশ শতকের কলকাতায়।

    ।। ২ ।।
    না, এ তো হল শেষের দিক। শুরুতে গোড়ার কথা দুচারটে বলে না নিলে সবটা হয়ত বোঝা যাবে না। ডিরোজিও কোত্থেকে কবে থেকে এবং কীভাবে তৈরি হলেন, সেই পশ্চাত পটভূমি এক ঝলক এখানে দেখে নেওয়া দরকার। একথা সত্যিই অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি, এদেশের তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতিতে এরকম একটি মুক্তমনা ঋজু চরিত্রের উদ্ভব হল কীভাবে? তার মধ্যে মানুষটা আবার বংশানুক্রমে এই দেশের জল মাটি হাওয়ার স্বাভাবিক ফসল নন, তার মাত্র দুই পূর্বপুরুষ এদেশে এসে বাস করেছে। তাতেই সে ভারতবর্ষকে কী ভালোই না বেসে ফেলেছিল। আর এটা না বুঝলে আমাদের পক্ষে এক দশক বাদে জন্ম নেওয়া বীরসিংহ গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ সন্তানের ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী কাজকর্মগুলিরও তল পাওয়া হয়ে ওঠে না। অথবা অক্ষয় কুমার দত্তের ভূমিকাকে বুঝতেও অসুবিধা হয় বৈকি।
    হ্যাঁ, রামমোহনের কথা মাথায় রেখেও প্রশ্নটা তুলছি। তুলছি এটা মনে রেখেই যে, রাজা রামমোহন রায় তখন কলকাতায় এসে গেছেন, সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি ধীরে ধীরে মতবাদিক বিতর্ক শুরু করে দিয়েছেন, আধুনিক ইংরেজি শিক্ষার পক্ষে তিনি ইংরেজ ও ভারতীয় দুই তরফকেই বোঝাচ্ছেন, ডেভিড হেয়ার (১৭৭৫-১৮৪২), জন ইলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন (১৮০১-৫১), আলেকজান্ডার ডাফ (১৮০৬-৭৮), প্রমুখর সঙ্গে সেই ব্যাপারে তখন তাঁর পুরোদমে আলাপন চলছে। কলকাতায় স্কুল প্রতিষ্ঠায় তিনি তাঁদের সাহায্য করছেন। মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার নিয়েও তিনি মাথা ঘামাচ্ছেন। রেনেশাঁসের পতাকা তিনি তুলেছেন, কিন্তু তখনও তাঁর কথায় ভাষায় সেই জোর আসেনি যা মাত্র অল্প কিছু দিন পরেই আমরা হেনরির মধ্যে দেখতে পেলাম। ফলে ডিরোজিওর অভ্যূত্থানের পেছনে রামমোহনের অল্পস্বল্প দূর-প্রভাব কাজ করে থাকলেও তাকে সন্নিকট কারক বা কারণ হিসাবে বোধ হয় ভাবা যায় না। এমনকি রাজাকে তাঁর একজন সমর্থক বন্ধু বলেও ভাবতে কষ্ট হয়। কেন না, রামমোহন বা তাঁর আত্মীয় সভার কাউকেই আমরা কখনও ডিরোজিওর পক্ষে দাঁড়াতে বা কিছু বলতে শুনি না। সুতরাং অন্য উৎসের খোঁজ আমাদের করতেই হয়।
    আর তখন ইতিহাস আমাদের নিয়ে যায় দুজন মানুষের কাছে, আর স্মরণ করিয়ে দেয় একটি প্রধান ঘটনার কথা। এই প্রসঙ্গে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম মানুষটি হলেন হেনরির সৎমা, আনা মারিয়া রিভার্স। ছয় বছর বয়সে হেনরির আসল মা মারা যাওয়ার পর পিতা ফ্রান্সিস এই মহিলাকে বিয়ে করেন। এক অনন্য বড় মনের মানুষ, নিঃসন্তান, “বিমাতা” শব্দটিকে চূড়ান্ত অপমান করে যিনি তাঁর আগের পক্ষের সন্তানদের নিজের ছেলেমেয়ের মতো করেই লালন পালন করে গেছেন (যদিও তাদের কেউই বেশি দিন বাঁচেনি)। স্কটল্যান্ডের এই মহিলা ছিলেন যথার্থ অর্থে উচ্চশিক্ষিত এবং আধুনিক মন ও রুচির অধিকারী। তাঁর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রভাব পড়েছিল কিশোর হেনরির সুকোমল মনে। ব্রিটেনে যখন ক্ষমতাসীন হয়ে ব্রিটিশ বুর্জোয়ারা অন্য দেশ দখলের নেশার ঘোরে নিজেদের সৃষ্ট সাংস্কৃতিক উৎকর্ষকে ভুলে যাচ্ছিল, অষ্টাদশ শতকের শেষে ও উনিশ শতকের গোড়ায় স্কটল্যান্ড তখন নতুন করে রেনেশাঁসের শাঁসটুকুকে বাঁচিয়ে রাখার এবং বিকাশ ঘটানোর এক নতুন প্রয়াস করে যেতে থাকে। রবার্ট বার্নস (১৭৫৯-৯৬), টমাস ক্যাম্পবেল (১৭৭৭-১৮৪৪), প্রমুখ কবিদের কবিতায় নতুন মানবতার জয়গান; লিডস, গ্ল্যাসগো, এডিনবরা, ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার ব্যাপক বিকাশ, সারা পৃথিবীতেই সেদিন এক নিস্তরঙ্গ ঝড় তুলেছিল। আনা সেই সংস্কৃতিকে তিন মহাদেশ আর তিন মহাসাগর পার করে সুদূর কলকাতায় তাঁর পরিবারের অন্তঃপুরে বহন করে নিয়ে এসেছিলেন এবং সযত্নে ধারণ করে রেখেছিলেন। বালক হেনরি জীবন এবং মানুষের প্রতি পরার্থ-কর্তব্যের প্রথম আহ্বান শুনেছিল এই মহীয়সী নারীর কাছেই। চার পাশের তুলনায় তাঁর অন্যরকম হয়ে ওঠার হাতেখড়ি হয়েছিল মায়ের চেয়েও আপন এই বিমাতার কাছে।
    আর কী অদ্ভুত সংযোগ! তাঁর জীবনে দ্বিতীয় দিক নির্দেশক পরিঘটনা ছিল ১৮১৫ সালে ছয় বছর বয়সে আর এক স্কটিশ চরিত্র ডেভিড ড্রামন্ডের (১৭৮৫-১৮৪৩) “ধর্মতলা অ্যাকাডেমি” নামক স্কুলে ভর্তি হওয়া। কলকাতায় তখন সাহেবরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের সাথে সাথে ধনী হিন্দু জমিদারদের ছেলেদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য দুটি-একটি করে স্কুল খুলছিল। কিন্তু ড্রামন্ডের স্কুল ছিল তাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি সওদাগরি অফিসে ইংরেজদের সঙ্গে বসে ব্যবসার কাজ চালানোর মতো কিছু ইংরেজি শিখিয়ে ছাত্রদের ছেড়ে দিতেন না। তাঁর ছেড়ে আসা স্বদেশে ছাত্ররা যেভাবে পড়াশুনো করত, তিনি এখানেও সেইভাবেই শিক্ষা দিতেন। সাহিত্য ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞান গণিত ইত্যাদি মূল বিষয়গুলির তিনি এক বুনিয়াদ গড়ে দিতেন ছাত্রদের মনে। তাঁর স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার নাম ছিল “পরীক্ষা উৎসব”। সেই উৎসবে অংশগ্রহণ করে ছাত্ররা লিখিত পরীক্ষার পর আবৃত্তি নাটক করত, শেক্সপিয়ারের মার্চেন্ট অব ভেনিস বা জুলিয়াস সিজারের দু একটা দৃশ্য অভিনয় করে দেখাত, কেউ কেউ ছোটখাট বক্তৃতা দিত। পরীক্ষা নিতে আসতেন কলকাতার তৎকালীন বিদ্বান ইংরেজরা।
    কিন্তু এহ বাহ্য!
    ড্রামন্ড তাঁর ছাত্রদের দিয়েছিলেন পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বের শিক্ষা। তাঁর স্কুলে দেশি ছাত্ররা ইউরোপীয় ছাত্রদের পাশাপাশি বসত, মেলামেশা করত, খেলাধূলা করত, একসঙ্গে অনুষ্ঠান করত। তিনি শোনাতেন আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প, ফরাসি বিপ্লবের কাহিনি, সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতার বাণী। হেনরি তাঁর স্কুলে আট বছর থেকে এমন অনেক কিছু শিখতে পেরেছিল যা আয়ত্ত করতে অনেকের একটা গোটা জীবনেও কুলায় না। ভালোবাসার জোরে তখনই হেনরি ছাত্রদের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র এবং নেতা। যোগেশ চন্দ্র বাগলের বই থেকে জানা যায়, একবার অনেক দিন অসুস্থ হয়ে স্কুলে বেশ কিছু দিন অনুপস্থিত থাকার পর সে যেদিন স্কুলে এল, তাকে দূর থেকে দেখে বিভিন্ন ক্লাশের সমস্ত ছাত্ররা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত শিক্ষকদের অনুমতি ছাড়াই হৈ-হৈ করে বেরিয়ে এল তাকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানাতে। ঘটনাটা খুব সামান্য। অথচ বিরাট ইঙ্গিতবাহী। অনেক দিন পরে, স্বল্পায়ু জীবনের শেষ প্রান্তে সেই ধর্মতলা অ্যাকাডেমির এক “পরীক্ষা উৎসবে” এসে তাঁর প্রিয়তম শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ডিরোজিও বলেছিলেন, “এই স্কুলের প্রধানতম অবদান অনুদারতা থেকে মুক্তি।” উনিশ শতকের সেই প্রথমার্ধে ইংরেজ বণিকদের পুঁজির উপনিবেশ-মালিকানার দম্ভ আর দেশি জমিদার-সমাজপতিদের উন্নাসিক ব্রাহ্মণ্যবাদের দাপট—এই দুইয়ের মাঝখানে থেকেও গণতান্ত্রিক মানবতাবাদী মূল্যবোধ ও তদনুগত আচরণ যিনি গড়ে তুলছিলেন আর যারা তা আত্মস্থ করছিল, তাদের সকলকেই আমাদের সেলাম জানাতে হবে।
    তৃতীয় ঘটনাটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। হিন্দু কলেজের আশেপাশে বেশ কিছু বইয়ের দোকান গজিয়ে ওঠা, কলেজ পাড়া আর বই পাড়া ধীরে ধীরে সমার্থক হয়ে ওঠা। তার থেকেই আবার শুরু হচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে বই পড়া। আজকের দিনে এই ব্যাপারটা হয়ত সকলের চোখে সহজে ধরা পড়বে না। বুঝতে হলে কল্পনায় আমাদের দেহমনকে নিয়ে ফেলতে হবে ইতিহাসের সেই দিনগুলিতে। যখন ফ্র্যান্সিস বেকন জন লক ডেভিড হিউম রনে দকার্ত ফ্রাঁসোয়া-মেরি দ’আরুয়ে বোলতেয়র পিয়র-লুই মওপারতুই টমাস পেইন প্রথম পা রাখছেন কলকাতার মাটিতে। শুধু শিক্ষিত ইংরেজরা নয়, ইংরেজি শিক্ষিত ভারতীয় যুবকরাও সেই সব বই কিনে পড়ছে। এক একটা বই মানে এক একখানা নতুন জগত। নতুন ধরনের কথা, নতুন রকম যুক্তি। এই দেশের ছাত্রদের কাছে তা যেন এক একটা স্বপ্নলোকের খবর বয়ে নিয়ে এল। স্কুল থেকে ছাত্ররা যতটা ইংরেজি ভাষা শিখে বেরচ্ছে, তাতে তারা বইগুলো পড়তে পারে, সবটা হয়ত বুঝতে পারে না। পরস্পর আলোচনা করে আরও কিছুটা বুঝে নেয়। তাদের বুদ্ধি বাড়ে, সমঝদারি বাড়ে। আর বুঝলে কিছু করতে ইচ্ছা হয়। তখন তারা সভা সমিতি করে সেই সব বইয়ের লেখা বিষয়বস্তু নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করে।
    কেন না, মুক্তবুদ্ধি মানে তো আর শুষ্ক যুক্তিবাদ নয়, নিছক নিরীশ্বরবাদও নয়। কিছু জিনিসের ধ্বংস আর অন্য কিছু জিনিসের নির্মাণ। মুক্তবুদ্ধি মানে জীবনের সমস্ত আনাচে কানাচে ফরাসি বিপ্লবের বুদ্ধিজীবীদের মতো করে স্বাধীনভাবে বিচারবিবেচনার ইচ্ছা এবং দাবি। ঈশ্বর জমিদার অভিজাততন্ত্র বংশকৌলীন্য চার্চের দাপট—সব কিছুর বিরুদ্ধে অসঙ্কোচ বিদ্রোহ। মানবতা গণতন্ত্র শিক্ষা চরিত্র স্বাধীনতা ভ্রাতৃত্ব—এই সব নীতি হোক সমাজ পুনর্গঠনের ভিত। ঈশ্বর নয়, মানুষই তার কাছে একমাত্র নমস্য এবং উপাস্য। গ্রিক দার্শনিক প্রোতাগোরাসের সেই চির-অমুঞ্চিত বাণী: “মানুষকে দিয়েই সব কিছুর বিচার হবে” (man is the measure of all things)। কোনো বিশেষ মানুষ নয়, শুধু নেপোলিয়ঁ বা আকবর বা চেঙ্গিজ খাঁ নয়, যে কোনো মানুষ, সমস্ত মানুষকেই সেই বিচারে ধরতে হবে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার মাঝখানে জাতি বর্ণ ধর্ম ভাষা জাতপাত লিঙ্গ অর্থকৌলীন্য—এগুলো কোনো মাপকাঠি হবে না। টমাস পেন (১৭৩৭-১৮০৯), সেই যুগের এক যথার্থ আন্তর্জাতিক বুর্জোয়া বিপ্লবী; জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হয়েও সাঁইত্রিশ বছর বয়সে (১৭৭৪) যিনি আটলান্তিক পেরিয়ে চলে যাবেন আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণাকে সমর্থন জানাতে এবং তার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে, আরও দশ বছর বাদে আবার সেই আটলান্তিক পার হয়ে চলে আসবেন ফ্রান্সে ফরাসি বিপ্লবে অংশ নিতে। তাঁর বইগুলি তো বই নয়, সেই যুগের সমাজ-বিপ্লবের এক একটা উষ্ণশোণিত ইস্তাহার। বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের উচ্চগ্রাম সনদ। Rights of Man (1791), Age of Reason (1794)—কী এক একখানা নাম সেই সব বইয়ের! দুচার পাতা ওল্টালেই যা পাঠককে তাতিয়ে তোলে। নতুন মানুষ হওয়ার জন্য, মনুষ্যত্বের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষকে আকুল করে তোলে।
    আরও মনে রাখা দরকার, আমরা যখনকার কথা বলছি সেদিনটা আমেরিকার স্বাধীনতা অর্জন (১৭৭৬) এবং ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯) থেকে খুব দূরে ছিল না। সুদূরের বৈপ্লবিক ভাবসম্পদের অনেক কিছুই তখন সংবাদপত্র ও নিত্যনতুন বইপত্রের মাধ্যমে কলকাতায় চলে আসছে আর যারা পড়তে পারে তাদের মনে ঝড় তুলে দিচ্ছে। সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব—এই মূল্যবোধের কথাগুলো সভা মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে বলা কিংবা পরীক্ষার খাতায় ব্যাখ্যা ভাব সম্প্রসারণে লেখা এক জিনিস; আর এই কথাগুলোই জীবনের পরতে পরতে চরিত্রে আচরণে ফুটিয়ে তোলা আর এক জিনিস। প্রথমটা যত সহজ পরেরটা সেই অনুপাতেই কঠিন।
    তবে এই কঠিন কাজটা হেনরি আয়ত্ত করেছিল। ডেভিড ড্রামন্ডের অ্যাকাডেমি থেকে যে সমস্ত শিক্ষা নিয়ে সে জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা হল: (১) এই দেশ ভারতবর্ষই তার মাতৃভূমি; (২) এই দেশের সমস্ত অধিবাসীই তার স্বজাতি; (৩) যৌথ জীবন বিচ্ছিন্ন জীবনের তুলনায় মহত্তর; (৪) সংস্কার যতই প্রাচীন হোক, যুক্তিবাদিতা তার চেয়ে বড় সম্পদ; (৫) প্রাচীন ও মধ্যযুগের তুলনায় আধুনিক সাহিত্য ও দর্শন অনেক বেশি বরণীয় ও সমৃদ্ধতর। পরে যে কটা দিন সে বেঁচেছিল, এই শিক্ষাগুলিকেই সার্থক করে তুলেছিল।
    ড্রামন্ডকে আমাদের আজও মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা জানাতে হবে এই কঠিন শিক্ষাটা তাঁর অনেক ছাত্রের জীবনে প্রোথিত করে দেবার জন্য। আর হেনরি ডিরোজিওকে আমাদের কুর্নিশ করতে হবে সেই কঠিন শিক্ষাগুলিকে মাত্র পনেরো বছর বয়সের মধ্যে চরিত্রে আচরণে মূল্যবোধে পাকা রঙের ছবিতে এঁকে ফেলার জন্য। বয়সে কিশোর অথচ এক পরিণত মানুষ। এবং বেশ বড় মাপের মানুষ। বিস্ময়ের কী, এঁরই এক ছাত্র একদিন হিমালয় পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা মাপতে চাইবে!
    ---------------------------
    * জানতে চাইছেন, বঙ্গ বাঘ কী জিনিস? এরকম শব্দ চয়নের পেছনে একটা মুক্তবুদ্ধিজাত কারণ আছে। এখানেও আমাদের বুদ্ধির জাত ও মানের কিঞ্চিৎ পরিচয় পাওয়া যায়। ইংরেজ রাজত্বে সুন্দরবনের কেদো বাঘের নামকরণ হয়েছিল রয়াল বেঙ্গল টাইগার। বাংলার বিশেষ জাতের বাঘ, আর ইংরেজদের সবই তো রয়াল। রয়াল সোশাইটি, রয়াল নেভি, ইত্যাদি। তা, তাদের দেখা বাংলার বাঘও যে রয়াল হয়ে জাতে উঠবে এতে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। বিস্ময়ের এটাই যে দেশ স্বাধীন হবার পর অনেক কাল পার হয়ে এসেও আমরা ইংরেজদের দেওয়া সেই রয়াল লব্জটির প্রতি দিব্যি লয়াল থেকে গেছি। শুধু আম বাঙালি নয়, স্বয়ং সত্যজিৎ রায় মশাইও এর বাইরে যেতে পারেননি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০১৬ | ২১১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar | 159.202.98.160 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৬ ০১:১৬55750
  • জানতে চাই - ডিরোজিও কোন সাবজেক্ট পড়াতেন ? রাধানাথ শিকদারের অঙ্কের টিচার কে ছিলেন ?
  • kanti | 113.57.238.182 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩০55751
  • আরো জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার রইলাম। পরের অধ্যায় কবে পাব?
  • ranjan roy | 132.180.196.247 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪২55752
  • মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।
    "এক একটা বই মানে এক একখানা নতুন জগত। নতুন ধরনের কথা, নতুন রকম যুক্তি। এই দেশের ছাত্রদের কাছে তা যেন এক একটা স্বপ্নলোকের খবর বয়ে নিয়ে এল। স্কুল থেকে ছাত্ররা যতটা ইংরেজি ভাষা শিখে বেরচ্ছে, তাতে তারা বইগুলো পড়তে পারে, সবটা হয়ত বুঝতে পারে না। পরস্পর আলোচনা করে আরও কিছুটা বুঝে নেয়। তাদের বুদ্ধি বাড়ে, সমঝদারি বাড়ে। আর বুঝলে কিছু করতে ইচ্ছা হয়। তখন তারা সভা সমিতি করে সেই সব বইয়ের লেখা বিষয়বস্তু নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করে।"
    --কোন কথা হবে না।
  • π | 132.163.104.253 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১৩55753
  • নতুন কথা বেশ কিছু জানছি। পরের পর্ব আসুক।
  • 0 | 132.176.27.175 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৬ ১০:২১55749
  • পড়লাম। ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • ashoke mukhopadhyay | 69.97.218.153 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫৮55754
  • সবাইকে ধন্যবাদ! তখন হিন্দু কলেজ নাম যায় হোক আসলে স্কুলই ছিল। সমস্ত বিষয়ই পড়ানো হত, শিক্ষকরাও সবই পড়াতেন। ডিরোজিও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। আর রাধানাথ শিকদারের অংকের শিক্ষক কে ছিলেন আমার জানা নেই। ডাঃ শংকর নাথ এবং/অথবা আশীষ লাহিড়ীর কাছে খোঁজ করে দেখতে পারেন। এনারা দুজন সম্প্রতি রাধানাথ শিকদার নিয়ে ভালো কাজ করেছেন। পরের কিস্তি আসছে।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 122.133.223.2 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২৬55756
  • অসাধারন
  • Kausik Sarkar | 132.163.44.172 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৬ ০১:৫১55757
  • খুব ভালো লাগছে আপনার লেখা। অসাধারণ ইন্টারেস্ট নিয়ে পরে চলচ্চি। কখন পরিচিত হবার ইচ্ছে রইলো।
  • Ashoke Mukhopadhyay | 7845.11.780112.127 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪55758
  • লেখাটা খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.41 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০৩55759
  • চমৎকার লেখা ও উপস্থাপনা। এত একেবারে আমার মনের মত বিষয়।

    বিভিন্ন আঙ্গিকে ইতিহাস চর্চা এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় এবং এসব নিয়ে একটা বড় সময় কাটাই।

    লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    তবে এখানে একটি বিষয়ে কিছু বলতে চাইছি। বহির্বিশ্বের খবর যথা ফরাসী বিপ্লব বা অ্যামেরিকান রেভলিউশনের খবর সংবাদ পত্রের মাধ্যমে যে চলে আসছে বলে লেখক লিখছেন তাহলে ভারতে ইংরেজি সংবাদ পত্রের সুচনা এবং তার ভূমিকাটা একটু জানতে হবে, বিশেষ করে ডিরোজিও র সময়ে।

    দেশের প্রথম ইংরেজি সংবাদ পত্র হল Hickey's Bengal Gazette। James Augustus Hicky নাম্নী এক আইরিশ ব্যক্তি ১৭৮০- '৮২ অবদি এই সংবাদ পত্র প্রকাশ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ঋণের দায়ে তাকে সেটা বন্ধ করতে হয়।

    এর পরে বোম্বাই থেকে ১৮৩৮ এ রায়বাহাদুর নারায়ণ দীননাথ ভেলকরের পরিচালনায় ও J.E. Brennan র সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় The Bombay Times and Journal of Commerce যা পরবর্তীকালে হয় The Times of India। তখন বেরোত শুধু বুধবার আর শনিবারে।

    এর পরে Robert Knight নাম্নী এক ইংরেজ সংবাদ পত্রের জগতে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি পত্রিকার ভারতীয় স্বত্ব কিনে নেন ও পত্রিকাটিকে দৈনিক করেন, 'টাইমস' নাম পরিবর্তনও তার।

    আবার এই একই নাইট কলকাতার প্রখ্যাত The Statesman' ও প্রতিষ্ঠা করেন।

    প্রথমে পত্রিকাটি The Englishman আর The Friend of India নামে শুরু হয়, পরে নাম পরিবর্তন হয়।

    এই প্রথমদিকের সংবাদ পত্রগুলোর সেই সময়ের সংস্করণ পাওয়া গেলে তখনকার সমাজে পত্রিকার ভূমিকা আরো সুস্পষ্ট হবে।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.41 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:১২55760
  • The Statesman প্রকাশিত হতে থাকে ১৮৭৫ সাল থেকে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২৫55761
  • অর্জুন অভিষেক, আপনাকে ছাড়া আর কাকেই বা এই অনুরোধ করি? অনুরোধটা হলঃ ব্রাহ্মধর্মের কী হল, তার এখনকার অবস্থা কী, কিছুই কেন শোনা যায় না আজকাল যে অমুকে ব্রাহ্ম তমুকে ব্রাহ্ম ? এইটা নিয়ে আলাদা টই খুলে লিখবেন? ব্রাহ্মধর্মের সূচনা থেকে তার পরিবর্তন, তারপরে এখন তার কী হল সেই নিয়ে? বাংলার সাহিত্যে ও বিজ্ঞানে ব্রাহ্মদের অবদান, অন্যদের সঙ্গে তাদের মতের মিল ও অমিল ইত্যাদি নিয়েও? বসু বিজ্ঞান মন্দির কি আসলে ব্রাহ্মসমাজের ছিল? বিশ্বভারতীর প্রথমদিকের দিনগুলোতে কি ব্রাহ্মরাই তাদের ছেলেমেয়েদের ওখানে পাঠাতেন?
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.41 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৪০55762
  • এই রে। আমি? বিষয়টা ইন্টারেস্টিং এবং আমার পছন্দের সন্দেহ নেই। এই গত শনিবার এক ব্রাহ্ম আত্মীয়ের শ্রাদ্ধ বাসরে ভবানীপুর ব্রাহ্ম সম্মিলনীতে গেছিলাম।

    খুব তাত্ত্বিক বিষয়। ব্রাহ্মরা সারাজীবন হিন্দুদের গোঁড়ামোকে কটাক্ষ করতে করতে নিজেরাই খুব গোঁড়া হয়ে অদ্ভুত ভাবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লেন।

    ওদের সমাজের কিছু Stalwart পরবর্তীকালে ওদের সমাজের থেকে উৎসাহ হারিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়, লীলা মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়।

    লীলা মজুমদার ও সত্যজিৎ লিখিত ভাবে ব্রাহ্মসমাজের সমালোচনা করেছেন।

    ব্রাহ্মসমাজ নিয়ে ভাল কাজ করেছেন দিলীপকুমার বিশ্বাস ও David Kopf।

    আপনার প্রশ্নগুলো বেশ ভাববার @Atoz
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.41 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৫১55763
  • জগদীশচন্দ্র বসু ব্রাহ্মসমাজ বিষয়ে কি খুব উৎসাহী ছিলেন? পরবর্তীকালে উনি ও লেডি বসু ছিলেন নিবেদিতার সবচেয়ে কাছের দুই বন্ধু। নিবেদিতা দ্বারা জগদীশচন্দ্র খুব প্রভাবিত ছিলেন। কিছুদিন আগে অবলা বসুকে নিয়ে একটা লেখা লিখতে গিয়ে পড়লাম ওরা দুজনেই গীতা পাঠ শুরু করেন । নিবেদিতার সঙ্গে ১৯০৭ এ দুজনেই কেদারনাথ ভ্রমণে যান। ব্রাহ্মসমাজের অনেকের বিশেষ আপ্ততি ছিল তাদের এই হিন্দু তীর্থ ভ্রমণ নিয়ে। জগদীশ চন্দ্রের একটি রচনায় সেই ভ্রমণের কিছু কথা আছে। অবলা বসু আবার ব্রাহ্মধর্মের অন্যতম দিকপাল নেতা দুর্গামোহন দাশের কন্যা।

    এরা সকলেই কিন্তু ব্রাহ্মসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:১২55764
  • রায়বাড়ির মানে সুকুমার রায়দের বাড়ির অনেকেই তো দিকপাল ছিলেন নানাদিকে, সুকুমার রায় নিজে তো বটেই, ওঁর ভাইরা, বোনেরা, অন্য আত্মীয়স্বজনরা। এঁরা অনেকেই মনে হয় ব্রাহ্ম ছিলেন। কিন্তু তারপর যে কী হল, সেই ব্যাপারটা সেভাবে জানা যায় না কোথাও। এতসব ঝঞ্ঝাট ঝামেলা করে নতুন একটা ধর্মমত গ্রহণ, ব্রাহ্মপরিবারে পরিবারে বিবাহসম্বন্ধ, ছেলেমেয়েদের সেইভাবে সেই মতে মানুষ করা---তারপর কী হল? এঁরা কি সবাই পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরে গেলেন? লীলা মজুমদার তো বিবাহসূত্রে হিন্দু হয়ে গলেন। সত্যজিৎ রায়ের ব্যাপারটা ঠিক কীরকম? উনি কি ঘোষণা দিয়ে ছেড়ে দিলেন?
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.45 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬55765
  • এ লেখা অনেক আগে পড়েছিলাম, হঠাৎ আবারও আলোচনায় উঠে আসায় আবারও পড়লাম।

    @Atoz, ব্রাহ্মসমাজ নিয়ে আলাদা টই খুলুন। এখানে আলোচনা করলে ব্যাপারটা বিসদৃশ হবে বলে আমার ধারণা। সেই নতুন টইতে এই অধ্মও অংশগ্রহণ করতে পারে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৬55767
  • টই খুলে দিয়েছি। হাত খুলে লিখুন আপনারা।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.90067.90 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৩55766
  • 'আবোল তাবোল', 'হ য ব র ল' র সৃষ্টিকর্তা কিন্তু ব্রাহ্মধর্ম ও তার প্রসার নিয়ে সবিশেষ উৎসাহী ছিলেন। ওই পরিবারে একমাত্র যিনি এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

    সুকুমার রায় 'অতীতের কথা' নামে সরল ভাষায় কিশোরদের জন্যে কবিতা আকারে ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাস নিয়ে একটি বই লেখেন।

    উদ্দেশ্যঃ নূতন প্রজন্মের কাছে ব্রাহ্মসমাজের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া।
  • Paakhi | 90067.174.7889.172 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৩55768
  • নীনাদি প্রচুর তথ্য দিতে পারতো, কিন্তু দেবার সময় আছে কি আর ...
    ঐ ব্রাহ্মজগতের কথা বলছি আর কি
  • সিকি | 670112.223.672323.214 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২৭55769
  • নমস্কার স্যার! অনেক বছর বাদে - ভালো আছো তো?
  • Paakhi | 890112.171.013412.188 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৪55770
  • আরে হ্যাঁ হ্যাঁ, ভাল তো নিশ্চয় ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.9004512.153 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৪55771
  • ব্রাহ্ম সমাজ সংক্রান্ত আলোচনা অন্য কোথাও হোক।
    ডিরোজিওকে নিয়ে আলোচনাটা চলুক এখানে।

    আমার অজস্র ব্রাহ্ম আত্মীয় আছে (ছিল)। সেটা কথা নয়, আলোচনাটা ইতিহাস প্রেক্ষিত ও তাত্ত্বিক করতে হবে।

    ব্রাহ্মসমাজে যারা যাতায়াত করেন তারা খুব বেশী খোঁজ খবর রাখেন না, কমবেশী insecurity ভোগেন। ব্রাহ্মধর্মটা তাদের কাছে পারিবারিক status symbol র মত হয়ে গেছে। তারা বইয়ের বাইরে কিছুই জানেন না। আলোচনা করে হতাশ হয়েছি। উল্টে fact correct করে দিয়েছি।

    একটু সময় লাগবে, এই বিষয়ে পোস্ট দেব।
  • রুদ্র প্রসাদ বালা | 236712.158.566712.237 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:২০55772
  • ডিরোজিও সম্পর্কে লেখা টা খুব ভালো লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন