এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গাম্বিয়া - মিয়ানমারঃ শুরু হল যুগান্তকারী মামলার শুনানি

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩১৫৫ বার পঠিত
  • নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস—আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আজকে। শান্তি প্রাসাদে শান্তি আসবে কিনা তার আইনই লড়াই শুরু আজকে থেকে। নেদারল্যান্ডের হেগ শহরের পিস প্যালেসেই আইসিজে অবস্থিত। হেগ শহরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট—আইসিসি) আরেকটি মামলা চলমান। তবে আইসিজের মামলার একটু আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আইসিজে জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, মামলার রায় বাস্তবায়নে পরবর্তীতে জাতিসংঘর সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। যদিও আইসিজের রায়ের ব্যাপারে বলা হয় আইসিজে সরাসরি কোন রায় দেয় না, একটু রক্ষণশীল রায় দিয়ে থাকে। কিন্তু তবুও এই মামলার গুরুত্ব অনেক বেশি। গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যার অভিযোগ এনেছে, গণহত্যার জন্য মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত, দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি এবং ভিকটিমদের জন্য ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তা যে ঐতিহাসিক ঘটনা হবে বলা বাহুল্য।

    বাংলাদেশ এই মামলা করতে পারেনি কিছু আইনই জটিলতার কারনে। গণহত্যা বিষয়ক যে ধারায় এই মামলা করা হয়েছে বাংলাদেশ সেই ধারা থেকে সরে এসেছিল। যার কারনে এই মামলা করার ক্ষমতা বাংলাদেশের ছিল না। যা গাম্বিয়া করে অদ্ভুত এক নজির সৃষ্টি করেছে। এর আগে এমন যত মামলা হয়েছে তা প্রতিবেশী দেশদের ভিতরেই হয়েছে কিন্তু গাম্বিয়ার এই মামলা নজির স্থাপন করেছে যে প্রতিবেশী দেশ না হলেও মামলা করা যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এই মামলা অন্য একটা কারনেও নজিরবিহীন। এই প্রথম গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে আদালতে গিয়েছেন শান্তির জন্য নোবেল জয়ী কেউ। এমন নজির সম্ভবত আর কেউ কখনই চাইবে না।

    গাম্বিয়ার মামলার পিছনের ব্যক্তিটি হচ্ছে গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবাকার মারি তামবাদু। তিনি রুয়ান্ডার গণহত্যা বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী ছিলেন। তিনিই গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তামবাদু ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে ঘুরে, তাদের সাথে কথা বলে উনার মনে হয় যে তিনি রুয়ান্ডার গণহত্যার মতই একটি ঘটনার কথা শুনছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন - ‘আমি যখন রোহিঙ্গাদের মুখে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও জীবন্ত পুড়িয়ে মারার নৃশংস সব কাহিনী শুনছিলাম, আমার তখন রুয়ান্ডার গণহত্যার কথা মনে পড়ে গেলো। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব কিছু করতে পারেনি। ২৫ বছর বাদে আজও ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব।’ রোহিঙ্গা শিবির থেকে ঘুরে গিয়েই মামলার সিদ্ধান্ত নেন। গাম্বিয়ার মামলার পিছনে গাম্বিয়ার রক্তক্ষয়ী ইতিহাসও অন্যতম কারন বলে তামবাদু মনে করেন। দেশটি নিজেই দীর্ঘদিন একনায়কতন্ত্রে চলেছে। ২০১৭ সালে গায়ানায় পালিয়ে যাওয়ার আগে ২২ বছর দেশটি শাসন করেছেন ইয়াহিয়া জাম্মে। এই একনায়কের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারও শুরু হয়েছে দেশটিতে। তামবাদু বলেন, ‘এই মামলা করার পেছনে যেসব ফ্যাক্টর কাজ করেছে, তার একটি হলো আমাদের নিজস্ব অতীত অভিজ্ঞতা। সঠিক সময়ে যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করতো ও সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করতো, আমি মনে করি না যে দুই দশক ধরে আমাদের এই নির্মম নৃশংসতা সহ্য করতে হতো।

    গাম্বিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ওআইসি। অর্থনৈতিক সমস্ত সাহায্য করবে তারা। গাম্বিয়ার জন্য এটা স্বস্তি দায়ক ব্যাপার। এছাড়াও বেশকিছু মানবাধিকার সংস্থা পাশে আছে গাম্বিয়ার। তামবাদুর সাথে বেশ অভিজ্ঞ আইনজীবী থাকছেন। আজকের প্রথম আলোতে আইসিজের সাবেক আইন কর্মকর্তা মাইকেল বেকার বলছেন যে গাম্বিয়ার সাথে সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ আইনজীবীরা রয়েছে যা গাম্বিয়া তথা মামলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলছেন, “ গাম্বিয়ার আইনজীবী দলে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত আন্তর্জাতিক আইনজীবীরা আছেন, তাঁদের আইসিজে এবং গণহত্যা কনভেনশন উভয় ক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। তাঁদের মধ্যে আছেন সুবিখ্যাত আইনজীবী, লেখক ও পণ্ডিত ফিলিপ স্যান্ডস, যিনি অনেকবার আইসিজের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে আরও আছেন গণহত্যা বিষয়ে কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞ পায়াম আখাভান, যিনি বিভিন্ন মামলায় অনেকবার আইসিজেতে উপস্থিত ছিলেন। আরও আছেন পল রেইখলার, যিনি আইসিজের কার্যধারার সঙ্গে খুব ভালোভাবে পরিচিত। আছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক ফোলি হোয়াগ ল ফার্ম। অর্থাৎ গাম্বিয়ার আইনজীবী দলে অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের কোনো অভাব নেই।”

    আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন হচ্ছে প্রচুর তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আদালতে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে মিয়ানমার অপরাধী। কারন গাম্বিয়ার মামলাটা হচ্ছে গণহত্যা বিষয়ে। সমস্যা হচ্ছে গণহত্যার জাতিসংঘ কর্তৃক নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। গণহত্যা প্রমাণ না করতে পারলে এই মামলা টিকবে না। অপরাধ হিসেবে গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের The Convention on the Prevention and Punishment of the Crimes of Genocide বা জেনোসাইড কনভেনশনে। ওই সংজ্ঞায় গণহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে এর যে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হলো: কোনো গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা, তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিসাধন, জীবনমানের প্রতি আঘাত ও শারীরিক ক্ষতিসাধন, জন্মদান বাধাগ্রস্ত করা এবং শিশুদের অন্য গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। এই বৈশিষ্ট্য থাকার পরেও গণহত্যা প্রমাণ করা মুশকিল হবে। অপরাধ প্রমাণ হলেও মিয়ানমার বলতে পারে তারা এই কাজ করেছে কারন তাদেরকে তারা হুমকি বলে মনে করেছে। মিয়ানমার বলতেই পারে তাদের উদ্দেশ্য গণহত্যা ছিল না, তারা সন্ত্রাসবাদ রুখতে চেয়েছে, তারা জঙ্গি উত্থানের আশঙ্কা করেছে রোহিঙ্গাদের মাঝ থেকে। সব প্রমাণ করা গেলেও এই অভিপ্রায় প্রমাণ করা কষ্টসাধ্য হবে বলে আমার ধারনা। এই ব্যাপারে যারা অভিজ্ঞ তারা দায়িত্বে আছেন, কাজেই নিশ্চয়ই তারা দারুণ ভাবে প্রমাণ করবেন যে মিয়ানমারে একটা গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে।

    আজকে যখন শুনানি শুরু হচ্ছে তখন মূলত এর প্রাথমিক ধাপ শুরু হচ্ছে। আগামী দুই দিন যে শুনানি হবে তাতে দেখা হবে গাম্বিয়া যেসব অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপের আবেদন করেছে, আদালত তার আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন কি না। এই রায় আসতেও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। আর মাইকেল বেকারের মতে পুরো মামলার রায় পেতে চার থেকে ছয় বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবুও যদি এই মামলার রায়ে মিয়ানমারের জন্য কোন কঠিন হুশিয়ারি থাকে, যদি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পেতে বা তাদের বাড়িঘর, জায়গা জমি ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোন উপদেশ যদি থাকে তাহলে তা পুঁজি করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ণয় করা। মাইকেল বেকার প্রথম আলোতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যটা শুধু মামলায় জয়ী হওয়াই নয়, লক্ষ্য হলো সেসব নীতি ও কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করা যেগুলোর ফলে রোহিঙ্গারা অন্যায়-অবিচার ও নৃশংসতার শিকার হচ্ছে; রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য কিছু প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আইসিজের রায় হবে সেসব প্রয়াসের একটা অংশমাত্র, সংকটের সম্পূর্ণ সমাধান নয়। আপনি যদি একটা সাফল্যজনক রায় পান, তাহলে সেটা কাজে লাগিয়ে ওই সব অন্তর্নিহিত লক্ষ্য অর্জনের পন্থাগুলো আপনাকে খুঁজে পেতে হবে।”

    অনেকেই আইসিজেকে খুব একটা হিসেবে ধরে না। তবুও এ কথা বলা যেতেই পারে গাম্বিয়ার এই উদ্যোগের ফলে পুরো বিশ্বের নজর আবার নতুন করে রোহিঙ্গাদের ওপরে এসে পড়েছে। মামলার ফলাফল যায়ই হোক না কেন আপাতত এইটুকুই পরম প্রাপ্তি। নাহলে দিন দিন রোহিঙ্গা সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের ভিতরকার সমস্যা বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল। মানবাধিকারের নানা বুলি ছড়ানো বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন চুপ করে বসে ছিল, সবাই যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, নিজেদের সমস্যায়ই কাতর, তখন নিজেদের নানা সমস্যার পরেও পুরো বিশ্বের পক্ষে লড়ছে ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া। গাম্বিয়াকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মানবতার জয় হোক, মানুষের জয় হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৩১৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন