এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন বম্বে

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৯ | ১০৯৩ বার পঠিত
  • বেশ মনে পড়ে, 'অমর প্রেম' ও 'আনন্দ' ছবিদুটি ক্লাস নাইনের আনাড়ি হৃদয়ে দাগ কেটেছিল। 'অমর প্রেম' ছবিতে রাজেশ খান্না দিব্যি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শর্মিলার দরজায় 'এ পুষ্পা' ব'লে সান্ধ্যকালীন, নৈমিত্তিক, টোকা মারতেন। বারবনিতা শর্মিলা দেরাজ থেকে মদের বোতল খুলে সযত্নে গেলাসে ঢেলে দিতেন রঙিন পানীয়। ক্লীন শেভড খান্না-গালে একটি  লালচে দর্শনীয় ব্রণ ছিল। ব্রণসম্বলিত সুপারস্টার গেলাসে মারিতেন আলতো সিপ। মধ্যে মধ্যে, অকস্মাৎ, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনীয়তা মেনে, দার্শনিক হয়ে উঠতেন।  গালে টোল পড়া প্রেমাভিলাষী শর্মিলা ঘনঘন কান্নাকাটির উপক্রম করতেন। তাঁর চোখের জল মুছিয়ে দিতেন নিশিপদ্মের অনঙ্গবাবু, আদতে যিনি উত্তমকুমার, আপাতত বাধ্যত ধুতির, রাজেশ খান্না।

    মাঝে মধ্যে রাজেশ খান্না সাংসারিক অশান্তিতে বিষণ্ন হয়ে পড়তেন। রাজেশ খান্না +বিষণ্নতা= অবধারিত, কিশোরকুমার(স্যাড)। ১৯৬৯-১৯৭৫, এই রাজেশ খান্না নামক অতিমিথ, প্রকৃত প্রস্তাবে, কিছুই করেননি। যা করেছেন, তা আসলে কিশোরকুমার। 'কটি পতঙ্গ' থেকে 'আরাধনা' সবই ওই প্রবাসী বাঙালির আনাড়ি পটুত্ব, নেপথ্যে যার শচীন কত্তা ও তাঁর পুত্রের মেলোডির সহজাত শয়তানি। রাজেশ ঠিকঠাক ঠোঁট নাড়াতেন, এই যা। তাছাড়া তাঁর পেশাদারী দক্ষতা কিছু তো অন্তত ছিলই।

    যাই হোক, বাংলার এই সেই সুসময়, যে-সময়ে হিন্দি কমার্শিয়াল ছবি, বাংলাকে অন্ধের যষ্ঠির মতো নির্ভর তথা অনুসরণ তো করতোই, কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণও করত। ধরা যাক, 'খামোশি' ছবিটি। সিন বাই সিন ' দীপ জ্বেলে যাই' ধরে, একনিষ্ঠ, টোকা। মূল কাহিনী আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। 'কাল তুমি আলেয়া' খ্যাত জনপ্রিয় আশুবাবু। খামোশীতে সুচিত্রা সেনের জায়গায় ওয়াহিদা। বারম্বার তিনি রোগীকে সুস্থ করে তুলে প্রেমে পড়ে যান। সুস্থ হয়ে রুগী তাকে ভুলে যায়। উন্মাদ রাজেশ খান্নাকে সুস্থ করে তুলে শেষে ব্যর্থ ও উন্মাদিনী হয়ে গেলেন স্মৃতিভ্রষ্ট ওয়াহিদা। যদি-বা এ-ছবি বিয়োগান্তক, তদ্যপি পরিচালক শেষে হালকা অপটিমিজমের টাচ মারেন: কারাগারে উন্মাদিনী, সুস্থ রাজেশ গারদের বাইরে, শোনা যাচ্ছে 'আমি তোমার জন্য আজীবন অপেক্ষা করব'-জাতীয় শপথ । 'খামোশি'র সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, এবং অব্যাহত ছিল সেই কিশোর ম্যাজিক: ও শাম কুছ আজীব থি। এই ছবিতেই লতার একটি অসামান্য গান ছিল। এ ছিল গুলজারের কথায় হেমন্তের সুর। হেমন্তবাবুর সুরের প্রশংসা স্বয়ং রবিশঙ্কর করেছেন, সাক্ষ্য দেয় 'রাগ অনুরাগ' গ্রন্থ। এসবের অনেক আগেই সলিল চৌধুরী  স্বমহিমায় বম্বেতে প্রতিষ্ঠিত। বম্বের হিন্দি গানের সুরে মোৎজার্ট-সিমফনি অনায়াস কৌশলে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন সলিল, তালাত মাহমুদ গাইছেন: ইতনা না মুঝসে তু প্যার বাড়হা, ম্যায় এক বাদল আওয়ারা। এই কথার রোম্যান্টিকতা আদতে রাবীন্দ্রিক, অতিথির তারাপদর সত্ত্বা এই হিন্দি গানে। এই সেই সময়ে বাংলার লোকগানের লতাপাতা সাবলীল ডানা মেলছে হিন্দি ছবিতে, সলিলের মুন্সিয়ানায়। সলিলের কোন গানটির মূল যে বাংলা, কোনটির হিন্দি, নির্ণয় করাও দুরূহ। 'ও সজনা, বারখা বাহার আই' আগে, নাকি 'না যেওনা, রজনী এখনো বাকি' আগে, বলা মুশকিল। শচীন কত্তা অনেক আগেই ভাটিয়ালির লোকসুরে বম্বেকে আচ্ছন্ন করেছেন। এদিকে লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে বাংলায় ঢুকে নিয়মিত সলিল বা সুধীন দাশগুপ্তের সুরে আধুনিক ও ছায়াছবিতে গাইছেন। ষাটের দশকে, মায়ের কাছেই গল্প শোনা, লতা মঙ্গেশকারের গাওয়া 'যা রে যা রে উড়ে যা রে পাখি', গানের মাস্টারমশাই, গ্রামের বাড়িতে হারমোনিয়াম নিয়ে মা মাসি-দের শেখাতেন। আশা গাইছেন: মনের নাম মধুমতী, আর চোখের নাম আয়না। এও শোনা, তালাত মাহমুদ নাকি তপনকুমার নামে বাংলা গান গাইতেন। তালাতের গান তোলা নাকি, মান্না বা মানবেন্দ্রর মতই, দুরূহ ছিল। ছিল গীতা দত্তের হিন্দি ও বাংলায় অনায়াস গতায়াত(শব্দঋণ, রয়ে গেল, কবিবন্ধু সায়নের কাছে) 'বখত নে কিয়া, ক্যা হাসিন সিতম' থেকে 'নিশি রাত বাঁকা চাঁদ', কিংবা, 'ওই সুর ভরা দূর নীলিমায়'।

    এই সেই সময়, যখন ভাষা ও সংস্কৃতিতে হিন্দির তথাকথিত রাষ্ট্রীয় দাদাগিরি চালু হয়নি। একটি সম্ভাব্য কারণ, আই পি টি এর বিগত দুই দশকের  গৌরবোজ্জ্বল লিগ্যাসি ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির স্বাভাবিক ও সুষম আদানপ্রদান। গুলজারের একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যাচ্ছে, যে, তিনি সিপিআই পার্টির(যখন একটাই দল) কার্ড হোল্ডার ছিলেন না। কিন্তু বামপন্থীদের সান্ধ্য ঠেকে তিনি নিয়মিত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আলাপ আলোচনা শুনে ঋদ্ধ হতেন। এই সেই সময়, যখন উপমহাদেশের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের সুস্থ আবহাওয়া ও পরিসর ছিল। বাংলা ছিল যার পথিকৃৎ। পঞ্চাশের দশক থেকেই, দেখুন না, গুরু দত্তকে অকস্মাৎ দেখে নির্ণয় করা যেত কি, যে, তিনি বাঙালি নয়? সাতের দশকেও যখন মালয়ালি যেশু দাস একের পর এক হিন্দি গান গাইছেন, তখনও, তিনি যে দক্ষিণী, হিন্দি উচ্চারণ থেকে বুঝে নেওয়ার উপায় ছিল। উপায় ছিল যেশুর পোশাক দেখেও। হেমন্তের হিন্দি উচ্চারণ প্রবল বাঙালিদোষে দুষ্ট, তথাপি তাঁর কিন্নরকণ্ঠ হিন্দি শ্রোতার কাছে আদৃত ছিল।

    গুলজারের 'পান্তাভাতে' নামক ধারাবাহিকে পড়েছিলাম, তরুণ মজুমদার চাইছেন, এবং, গুলজার বইয়ের তাক থেকে নামিয়ে বাংলা গীতবিতানের নির্ভুল পাতা খুলে দিচ্ছেন। তিনি তাঁর বিড়ালাক্ষী বাঙালি প্রেমিকাকে বাংলায় প্রেমপত্র লিখছেন, ভাবা যায়? এরই নাম, ইলিয়াসবর্ণিত, সংস্কৃতির সেতু, যা তখনো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে নি।এক সংস্কৃতির পর-সংস্কৃতির প্রতি সহিষ্ণুতা ছিল ভাল মাত্রায়। তৎকালীন বম্বের হিন্দিতে উঠে এসেছিল বহু-স্বর, শ্রুত হতো শতজলঝর্ণার আগমনী ধ্বনি। এসব তখন ছিল। ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন বম্বে। বম্বে তখনও মুম্বাই নয়। বলিউড বলে কোনো শব্দ ছিল না। বাংলা তখন ফ্রন্টফুটে গিয়ে ছক্কা হাঁকাচ্ছে বম্বের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।

    সত্তরের দশকেও দেখছি তরুণ, পুরু কালো ফ্রেমের, গুলজার পরিচালনায় হাত দিলেন, তপন সিনহার 'আপনজন' অবলম্বনে 'মেরে আপনে'। রোগা, পাঞ্জাবি পরিহিত ড্যানি মাউথ অর্গান বাজাচ্ছেন, বিনোদ খান্না, মীনাকুমারী, সবাই কেমন যেন বাঙালি বাঙালি। আবার সলিলসুর, আবার কিশোর। হৃষিকেশ মুখার্জির 'আনন্দ'র ডাক্তারের রোলে রোগা তালঢেঙ্গা  অমিতাভ বচ্চন, আশাকে পোশাকে আদ্যন্ত বাঙালি, নাম যার ভাস্কর ব্যানার্জি। আবার, সলিল-সুর, এবং, লতাকণ্ঠে:  ' না জিয়া লাগে না'। সুমিতা স্যান্যাল এই গানে লিপ দিচ্ছেন। হৃষিকেশের, বাংলা ছবি 'ছদ্মবেশী' অবলম্বনে, হিন্দি কমেডি: 'চুপকে চুপকে'। জাঠ ধর্মেন্দ্র, পাঞ্জাবি অমিতাভ বচ্চন, বেশভূষায়, চলনে বলনে, রসিকতায়, ষোলো আনা বাঙালি। এমনকী আশির দশকের প্রথমেও গুলজারের ছবি 'কিতাব' সমরেশ বসুর কাহিনী অবলম্বনে। এ-ছবিতে উত্তমকুমার ছিলেন। রাহুল দেব বর্মনের ' ধননো কি আঁখো মে রাত কা সুরমা, চাঁদ কা চুম্মা' গানটি শুনে কেমন গা ছমছম করত। ১৯৮৬ তে গুলজারের বানানো 'ইজাজত'ও সুবোধ কুমার ঘোষের কাহিনী  ও 'জতুগৃহ' ছবি অবলম্বনে।

    কিন্তু, ততদিনে এই ট্রেন্ড পাল্টে গেছে। আশির দশকে বাংলা কমার্শিয়াল ছবির বিধ্বস্ত, করুণ, এক হতশ্রী অবস্থা। একা তরুণ মজুমদার আর কত সামলাবেন? সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীরা কতটা বম্বেকে প্রভাবিত করতে পারতেন? সন্দেহ আছে। আশুবাবু, বিমল মিত্তির, নরেন্দ্রনাথ মিত্রর যুগ শেষ। আশির দশকেই হিন্দির উৎপাতের ও আধিপত্যের সময়। বাংলার এক ও একমাত্র প্রতিনিধি তখন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর হেয়ার স্টাইল,  বাচনভঙ্গি, হাঁটাচলা, আমাদের সহপাঠীদের কারুর কারুর প্রেরণাস্বরূপ ছিল। তার অভিনীত ছবিতেই দেখা গেল জলপাইগুড়ির স্বৈরাচারী 'রাজা' অমরিশ পুরী এবং আশির দশকের নায়কের সেই অদম্য, অবাস্তব, প্রতিশোধস্পৃহা। সে-ছবির নামও অদ্ভুত: ' কসম প্যায়দা করনেওয়ালি কি'। এই নামের প্রকৃত অর্থ যে আসলে গর্ভধারিনী মা, বুঝতেই অনেক সময় লেগেছিল। সমকালীন আরেকটি  জনপ্রিয় হিন্দি ছবির নাম: ' পাপ কো জ্বালাকর রাখ কর দুঙ্গা'। ছবির পোস্টারে আবার 'পাপ' শব্দটি লিখে কেটে দেওয়া। এমনই অবস্থা, যে, এই ধরনের ছবিতে স্মিতা পাতিলের মতো অভিনেত্রীকে বাধ্যত অভিনয় করতে হতো। এই বাস্তবরহিত বকচ্ছপ হিন্দির অক্ষম ও অন্ধ অনুকরণ বাংলা ছবিকে এরপর ক্রমশ দিশাহারা ও চলচ্ছক্তিহীন করে তোলে। অবশ্য, গ্রামে শহরে গঞ্জে নিরুপায় দর্শক তাইই দেখত।

    অনেক যুগ পরে যখন টিভি খুলে দেখি ইউরোপের একটি অতিকায় বিখ্যাত স্থাপত্যের সামনে কোয়েল মল্লিক, এবং জিৎ না কে যে ঠিক মনে নেই, অদ্ভুত, আপ্রাণ, হাস্যকর, নাচছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে তারস্বরে হাইস্কেলে কিছু একটা বাজছে, কেমন একটা বিবমিষা আসছিল। বিশ্বাস করুন, এর চাইতে জয় ব্যানার্জির কোমরে গামছা বেঁধে ' বহুদূর থেকে এ-কথা দিতে এলাম উপহার' দেখাও কম গ্লানিময়; যে-গানের লিংক দিয়ে আমার কিশোরকুমার-প্রেমী ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও মেধাবী গবেষক সন্দীপ নিয়োগী আমার ফেসবুকের টাইম-লাইনে লিখে দিয়েছিল:

    'চোখ বন্ধ ক'রে শুনতে হয়।'
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৯ | ১০৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 238912.66.123412.68 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৯ ০২:০২49519
  • সিনেমা দেখা হয়না। আগের জমানাতেও হয়নি। কিন্তু সুলিখিত লেখাটি পাঠশেষে মন খারাপ হল। সব এমন উলটে গিয়ে পালটে গেল কি করে !
  • Sampad Roy | 1234.215.016712.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৬:৩৮49520
  • চমৎকার লেখা । আর ও একটু দীর্ঘ হতে পারতো।
  • সন্দীপ মুখার্জী | 7845.15.7890012.18 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৪49521
  • অসাধারণ হয়েছে দাদা, দারুণ সব তথ্য, অনেক পুরোনো কথা মনে পড়ে গেলো, চালিয়ে যান দাদা.
  • বিশ্বজিৎ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় | 785612.40.4523.42 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৯ ০৭:৪৬49522
  • বাংলা সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। কেননা লিডার বদলে গেছে। আগে লিড করতেন উত্তমকুমার এখন পোsএনজিৎ।
  • কল্লোল | 232312.163.3412.143 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৯ ১০:২৮49523
  • বাঙ্গালীর বম্বেতে এট্টা সিনিমা বাদ পরে গেলো। সওদাগর। নরেন মিত্তিরের রস গপ্পো নিয়ে করা। সুধেন্দু রায় পরিচালক। অমিতাভ, নূতন, পদ্মা খান্না। সেটাই রবীন্দ্র জৈনের প্রথম ছবি। সেও ক কলকাতা কানেকশন।
  • কুশান গুপ্ত | 342323.191.1256.38 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৬:১৮49524
  • ধন্যবাদ সবাইকে।
  • Sharmistha | 7845.11.23900.17 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৪49525
  • খুব ভালো লেখা ,তথ্য পেলাম অনেক ,ভালো লাগলো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন