এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • আমি যামিনী, তুমি শশী হে

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১৩৪ বার পঠিত
  • জেনিফার যেরূপ বলিয়াছিল শশী সেইরূপ সাজিয়া আসিয়াছেন। বিশুদ্ধ বাঙালির বেশ। গিলে করা সাদা পাঞ্জাবি ও সঙ্গে ধুতি। বাড়তি, একটি ওড়নাসম রঙিন উত্তরীয় রহিয়াছে।

    জেনিফারের অদম্য বায়না শশীকে শুনিতেই হয়। চলো শশী, কতকাল ক্যালকাটা যাই নাই। মনে পড়ে শশী, ওখানেই প্রথম দেখা, সেই স্টেজ, সেই গ্রিনরুম, যেখানে দোঁহে প্রথম দৃষ্টিপাত। কী করে জানিলে ডিয়ার, আমার প্রিয় ফুল, প্রিয় রঙ, প্রিয় চকোলেট ও কেক। বড় মিস করি শশী সেসব দিন। চলো, এইবেলা ক্যালকাটা যাই।

    জেনিফারের কথা ফেলিতে পারা যায় না। তথাপি, জেনির হাজার একটা বায়নাক্কা। যেখানে যাইবে সেখানকার এথনিক ভ্যালু ও সিস্টেম মানিয়া চলো, সেখানকার সংস্কৃতি আদব কায়দা মায় খাদ্যাভ্যাসকে আপন করো। কিন্তু, শশী এমনিতেই নির্বিরোধী মানুষ। তাছাড়া অতিরিক্ত স্ত্রী-অনুরাগী। অগত্যা এখন একটি রঙিন আসনে বাবু হইয়া উপবিষ্ট হইয়া আছেন। বামে ও ডাইনে দুই বাঘা প্রবীণ বাঙালি সাহিত্যিক ও শিল্পী। বামে বিষ্ণু দে। ডাইনে যামিনী রায়। আগে হইতে জানিলে শশী বঙ্গীয় চিত্রকলা সংক্রান্ত একটু হোমওয়ার্ক করিয়া আসিতেন। জেনিফার কোথায় ফাঁসাইয়া পলাইল কে জানে।

    পাত পাড়িয়া খাওয়া হইবে। উপলক্ষ্য কোনো এক তরুণ শিল্পীর প্রদর্শনী। এক সুবেশী মহিলা আসিয়া এখানেই ইঙ্গিত করিল, ধুতি সামলাইয়া, চাকামালি খাইয়া, শশী বসিয়াছেন। বামে বিষ্ণুবাবুকে ঘাড় ঘুরাইয়া শশী হাত জড়ো করিয়া সৌজন্যমূলক হাসিলেন। কিন্তু বিষ্ণুবাবু বিশেষ পাত্তা দিলেন না। বিষ্ণুবাবুর, ছোকরাকে, সুবিধার ঠেকিল না। কেমন একটা নববাবু ফুলটুস মার্কা চকচকে ভাব। তিনি না লিখিয়াছেন: 'নববাবু মন ছাড় ভাষা' ! তাছাড়া তাঁর যামিনীবাবুর পাশে বসার বিশেষ ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যামিনী এই ছোকরার ডান দিকে বসিলেন। আসলে যামিনীবাবু মুডি, প্ৰকৃত শিল্পী যেমন হয়। তিনি কী সাধে যামিনীকে পিকাসো বলেন! যদিও অমায়িক যামিনীবাবু স্বীকার করিলে তো! নিজেকে দেশীয় পটুয়া ছাড়া আর কিছু ভাবিতেই চান না !

    কলাপাতা আসিল। শশী পরম বিস্ময়ে বাম ও দক্ষিণে দেখিলেন রাশি রাশি ভারা ভারা কলাপাতা। কেহ কেহ তাতে মাটির গেলাসের জল হালকা ছড়াইয়া পাতা ধুইতেছে। কিন্তু, বিষ্ণু ও যামিনী নিরুদ্বিগ্ন বসিয়া আছেন। অগত্যা শশীও চুপ করিয়া থাকিলেন।

    অতঃপর আসিল ভাত, নুন, লেবু, শাকভাজা, বোঁটা সহ বেগুন ভাজা। আসিবা মাত্র বিষ্ণুবাবু, শাক, ভাতে মাখিয়া সম্পুর্ন লেবু নিংড়াইয়া দিলেন। যামিনী শাক আলগোছে ভাতে মাখিলেন। শশী অপ্রতিভ হাতে মাখিয়া কোনমতে খাইতে লাগিলেন। বিষ্ণুবাবু কটাক্ষ হানিলেন। কোথাকার নববাবু সব, খাইতেও জানে না! পশ্চিমী অক্ষম অনুকরণ আসিয়া বঙ্গদেশকে কোথায় লইয়া গেল? ধিক!

    বিষ্ণুবাবু বড় গরাসে ভাতে ডাল মাখিয়া খাইতেছেন। যামিনীর, তুলনায়, ক্ষুদ্র গরাস। শশী আলগোছে মাখিয়া অল্প অল্প মুখে দিতেছেন। শুটিংয়ে এখানে ওখানে গেলে স্যান্ডউইচ বা চাপাটি খান। খালি হাতে ভাত লইয়া ভাল নাকাল হইতেছেন। বাড়িতে নিখুঁত কাঁটা চামচের এটিকেট, জেনিফারের না জানি কত রকমারি ডিশ। হায় হতোস্মী! জেনিফার এখন কোথায়?

    ইহার পরে আসিল ট্যাংরা মাছ। শশী 'নো ফিশ প্লিজ' বলিয়া নেতিবাচক ভঙ্গিতে থালা ঢাকিয়া বসিলেন। বিষ্ণু অবাক হইলেন। কোথাকার সং আসিল, ট্যাংরা খায় না? এমন ইংরিজি শুনিয়া একটু সন্দেহও হইল। আরে পশ্চিমের তোরা কী বুঝিবি? আমি ঊর্বশীর সঙ্গে আর্টেমিসকে মিলাইয়াছি। ভারতে পাশ্চাত্যের এমত আত্তীকরণ ঘটাইলাম। দেশজ প্রথায় মার্কসীয় বীক্ষণ আনিলাম। তবেই না আমি বিষ্ণু দে। তোরা এসকলের কী বুঝিবি রে?

    একটু ঘাড় এগাইয়া বিষ্ণু হাঁক পাড়িলেন, 'পিকাসো, ট্যাংরাগুলো তাজা। ভালো ডিম আছে। খান ভালো করে।'

    এখন যামিনী মুখ ফিরাইলেন। শশীর দিকে চোখ পড়িল। মনে হয় কোথায় যেন দেখিয়াছেন। শশী লাজুক হাসিলেন। বাঙালি-ভ্রমে যামিনী শুধাইলেন, 'নাম কী আপনার?'

    শশী এক এঁটো হাত অপর না-এঁটো হাতের কাছে নমস্কার করার ভঙ্গিতে বলিলেন, ' হ্যালো, আইয়াম শশী কাপুর, স্যার। আই এম ফ্রম বম্বে। মাই ফাদার্স নেম ইজ পৃথ্বীরাজ কাপুর।'

    বিষ্ণুবাবুর কানে আসিল। ও, এই ব্যাপার। ময়ূরপুচ্ছধারী, পৃথ্বীরাজের হুজুগে পুত্র, এখানে বাঙালি সাজিয়া আসিয়াছে! এসকলই হুজুগ। আইপিটিএ সূত্রে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে সামান্য আলাপ পরিচয় অবশ্য ছিল যাই হোক।

    তথাপি তাঁর বিরূপ ভাব রহিয়া গেল।

    ইহার পরে আসিল তেল-কই। আহা, আজ দেশজ মৎস্যের ছড়াছড়ি। বিষ্ণুবাবু সাগ্রহে লইলেন। অকস্মাৎ, কী খেয়াল চাপিল, শশীর দিকে ঢলিয়া বলিলেন, 'ইউ মাস্ট ইট দিস ওয়ান। রিয়াল বেঙ্গলী ডেলিকেসি।'

    তৎক্ষণাৎ, শশীর, জেনিফার স্মরণে আসিল। মনে হইল সমূহ বাংলা ওই শায়িত তৈল নিমজ্জিত কই-তেই সমাসীন। শশী বামদিকের আংকেলের দিকে 'থ্যাঙ্ক ইউ'-স্মাইল ছুঁড়িয়া কই মাছ আহ্বান করিলেন।

    বিষ্ণুবাবু মনে মনে হাসিলেন। ছোকরা এবার বুঝিবে কত ধানে কত চাল। তিনি নিজে নিপুণ হাতে কাঁটা বাছিয়া খাইতে লাগিলেন।

    শশী কই লইয়া কাঁটায় নাকাল হইতে লাগিলেন। বাছিতে গিয়া কতক হাতে ফুটিল। দেখিলেন সাগ্রহে বিষ্ণুবাবু তাকাইয়া আছেন। বাঁদিকে বিষ্ণুবাবুর অনুকরণে শশী কিছুটা খাইতে লাগিলেন। অকস্মাৎ গলায় কাঁটা বিঁধিল। শশী কাশিতে লাগিলেন। কাশিতে কাশিতে তাঁর গাল বেদানার মতন লাল হইয়া গেল। দু চোখ দিয়া জল ঝরিতে লাগিল।

    'থর্ন ! ওহ মাই গড! ফিশ বোন! ইটস প্রিকিং!'

    যামিনী, 'এহ কাঁটা ফুটল। আপনি কই মাছ নিলেন কেন?', বলে শশীর দিকে তাকালেন। কোথায় দেখেছেন একে?

    তারপর তাঁকে দেখালেন। একমুঠো সাদা ভাত গোল করে পাকালেন। শশীকে বললেন, 'ডোন্ট চিউ, সোয়ালো দ্য হোল থিং।'

    এই সময়েই ভিতরের হলঘরে বাজিয়া উঠিল: 'আমি যামিনী, তুমি শশী হে, ভাতিছ গগন মাঝে।'

    গগন! চমকিত, পুলকিত যামিনী দেখিলেন, সত্যই, গগন ঠাকুরের সহিত এই শশীর মুখের ভাল মিল। উন্নত বঙ্কিম নাসা। সেই বাংলার কিউবিস্ট গগনেন্দ্রনাথ, যিনি তরুণ যামিনীর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন। পরম স্নেহে তিনি যামিনীর ছবি একজিবিশন হইতে ক্রয় করেন। আহা, তাঁর কাছে ঋণ শেষ হবার নয়।

    বাঁয়ে বিষ্ণু, ডাহিনে যামিনী। মাঝে গগন (শশী) ভাতিছেন, যামিনীর হাত হইতে ভাত খাইতেছেন।

    কাঁটা গলা হইতে নামিয়া গেল। শশী জল খাইয়া বলিলেন, 'থ্যাঙ্ক ইউ, স্যার।'

    যামিনী দেখিলেন, গগন হাসিতেছেন, অমলিন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 237812.69.563412.81 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৩২50985
  • আহ! বেশ লাগল।
  • ওঃ | 236712.158.786712.145 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৯50986
  • কোনো সূত্র রেফারেন্স কিছুই দেওয়া নেই। একেবারেই রিলেট করতে পারলাম না। একটু আধটু ধরিয়ে দেবেন তো কোথাও। অন্তত ফুটনোটে?

    এবার পুরোটাই ডেডিকেটেড ফাজলামি হতেই পারে। সেক্ষেত্রে স্বভাবতই কিছুই বলার নেই, না পড়লেও চলত।
  • শিবাংশু | 237812.69.563412.223 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৫৬50987
  • বাহ, উত্তম ননসেন্স। ভালো লাগলো...
  • Jennifer Kendal | 237812.68.454512.114 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৫৪50988
  • "Long Long ago...Long long ago..."
  • ঝর্না | 237812.68.454512.126 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:০২50989
  • হেবি...খুব ভালোলাগল পড়ে...
  • Jennifer Kendal | 124512.101.780112.71 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:০৮50991
  • Yeah that's why I sang that line itself, good old memories with Mr. Ray. And it's apt in this context also, ain't it?
  • কুশান | 237812.69.563412.123 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩৭50990
  • ধন্যবাদ আপনাদের। পড়ার ও মন্তব্যের জন্য। @জেনিফার, আপনার লং লং এগো বলতে 'ঘরে বাইরে' মনে এলো, অবধারিত।

    @ও: ভুল করেও এই লেখাকে সিরিয়াসলি নেবেন না। ফুটনোট বা রেফারেন্স সিরিয়াস নিবন্ধের হয়। বিশুদ্ধ ঠাট্টা ছাড়া আর কোনো কিছুই উদ্দেশ্য নয় এ লেখার।
  • অনিরুদ্ধ | 237812.69.563412.81 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৭50992
  • একবারেই একটি মৌলিক লেখা।
    মনে পড়ে গেল শশী কাপুরের অসাধারণ সৌম্য সুন্দর ব্যক্তিত্ব। ফেলুদার চরিত্রে তাঁর অসামান্য বাঙালিয়ানা।
    ধন্যবাদ বন্ধু এই অসাধারণ সুপুরুষটিকে নিয়ে লেখার জন্য
  • Kaju | 237812.69.453412.8 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২৩50993
  • আবার ফেলুদা টানা কেন? ওরকম ভুঁড়িওলা বয়সে ফেলুদা না করলেই পারতেন। চরম ভুল।
  • রনুদা | 237812.69.453412.8 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:২৪50994
  • এ যেন গদ্যে লেখা লিমেরিক! কি অসাধারণ মুন্সিয়ানায় কুশান লিখে ফেলেন এরকম একটি কাল্পনিক দৃশ্যকল্প যার চরিত্ররা স্বমহিমায় চলমান থেকে চিত্রনাট্যটিকে আরো জীবন্ত করে তোলে......... সত্যি তো এমন হলে কেমন হতো?
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.780123.135 (*) | ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৭50995
  • উরি বাপ্রে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন