ত্বং স্বাহা ত্বং স্বধা ত্বং হি বষট্কারঃ স্বরাত্মিকা।৭৩সুধা ত্বমক্ষরে নিত্যে ত্রিধা মাত্রাত্মিকা স্থিতা ।।[নিত্যে, অক্ষরে, আপনিই দেবোদ্দেশ্যে হবির্দানের স্বাহামন্ত্ররূপা। আপনিই পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে দ্রব্যদানের স্বধামন্ত্ররূপা।আপনিই দেবাহ্বানের বষট্মন্ত্রস্বরূপা ও উদাত্তাদিস্বররূপা। আপনিই অমৃতরূপা এবং অ-উ-ম ত্রিবিধ মাত্রারূপে অবস্থিতা প্রণবরূপা।] Hail thee, who art the soul of the holy hymns to address, to offer prayers and to welcome divinity on the mortal realms. As the mistress of sacred fires, who is complete within herself ... ...
১অটোর নীচ থেকে মাথাটা বেরোতে বেশ বেগ পেতে হলো। কপালের ডানপাশ ফুলে ঢোল। রজত দেখলে গজ গজ শুরু করে দেবে। কিন্তু ওকে সামান্য হলেও বোঝাতে পেরেছিল বাবলি। তাই ফুরফুরে ছিল দিনটা। রজত অফিসে বেরোনোর আগে পই পই করে বুঝিয়ে দিল,– দুজনেই মাস্ক নেবে আর ব্যাগে যেন একটা স্যানিটাইজার অবশ্যই থাকে।সব ঠিকঠাক মত নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। মোড়ে এসে একটাও অটো না দেখে খুব মন খারাপ হলো ... ...
কমলাকান্ত এবং গরু পাচার অমিত চট্টোপাধ্যায় বিচারক - কমলাকান্তবাবু, আপনার নামে অভিযোগ আছে, যে গরু পাচারে আপনার গভীর ভূমিকা রয়েছে। কমলাকান্ত- একেবারে ডাহা মিছে কথা হুজুর! গরু চার পা নিয়েই জন্মেছে, ওতে ঈশ্বরের ভূমিকা থাকতে পারে।পা-চারের ক্ষেত্রে আমার কোনও ভূমিকাই নেই। আমি ছোট থেকে দেখে এসেছি গরুর পা চার মানে চারটি পা। বিচারক- সেই পাচারের কথা হচ্ছে না, এক দেশের গরু অন্য দেশে পাঠানো, সেই পাচারের কথা বলা হচ্ছে ... ...
ঘরে আসবে না আর এমন কথা ছিলো? বাতাস লাগা মর্মমূলে, সন্ধ্যা গাঢ় হলেছায়ার রঙে রঙ মিশিয়ে, দরজা খুলে ধরেনা ডিঙিয়ে আসবে না আর, তেমন অগোচরেঅতর্কিত নৌকা পাবে, এমন কথা ছিলো? থামবে না আর আটপৌরে, নোঙর ফেলা জলেকথার ছবি দেখবে না আর, যে কথা কেউ দিলোবাসার ভালো বাসার কথা, নিয়ত নীরবতাদেয়াল জোড়া মেঝে, কুলায় শিকড়ঘন টানউঠোন থেকে উঠোন, শুধু সব্জিবাগান অবশ করে রাখার মত চাহনিসঞ্জাতসম্মোহনে বাঁধবে না আর, এমন কথা ছিলো? ... ...
নিজের ঘরে বিছানার উপর বসতে না বসতেই, পুতুল হন্তদন্ত হয়ে মুখ ভার করে বলে, 'দিদিভাই, তুমি নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে গিয়েছিলে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলে যাওনি। আমাকে তো সাথে নিতে পারতে।'কুসুম দু'হাতে জড়িয়ে ধরেন পুতুলকে, 'নারে বোনটি, আমার যাওয়ার কোনো ঠিক ছিল না। জানালা দিয়ে হঠাৎ দেখি মানুষের ঢল, সব চলেছে রমনা রেস কোর্সের দিকে। আমি একটা ঘোরের মধ্যে বেরিয়ে পড়ি ... ...
আমি আর ফিরছিনা ঘর, একঘেয়ে সব নিয়ম ধাঁধার আস্তাকুঁড়ে, আজ মেলে ধরবো ডানা, দু-এক আনায় স্বপ্ন কিনে বেচবো হাটে,তোমাদের দু:খ ভীষণ, রোজ অনশন, ছোট্ট কোন কারণ পেলেই,ঠাকুরেও ভরসা রাখো, আবার দেখি দিচ্ছো উঁকি, জীভ দিয়ে জল পড়ছে ঝরে।এ কেমন জীবন যাপন? শশাঙ্ক আর থ্বানেশ্বরের যুদ্ধ যেন! নিদারুণ সত্য জানো? শীতের রাতে শাল জড়িয়ে শুচ্ছে মানুষ এই দেশেতে।তুমি বুঝি সঙ্গ দেবে? পথিক হয়ে ঘুরবে সাথে রাতবিরেতে, গঙ্গা ঘাটের কাকের মতন?আমি খুব প্রশ্ন করি? মাথার ব্যাথায় খুব জ্বালাতন? থাক তবে শান্তি দিলাম ডাকবোনা আর আগবাড়িয়ে, যদি হয় আবার দেখা এড়িয়ে যেয়ো তোমার গাড়ির কাঁচ টা তুলে, তখনও দেখবে অভাব মিটছেনা তাও স্বপ্ন পুরণ হবার পরেও,আমি ... ...
চাকরিটা আমি পাইনি দিদি শুনছো!পেয়েছি শুধুই প্রতিশ্রুতির বন্যা।এই অপেক্ষার শেষ কবে, বলতে পারো!শেষ কবে হবে না পাওয়ার এ বেদনা! চাকরিটা আমি পাইনি দিদি, সত্যিজীবন থেকে আটটা বছর পারটেট পাশ করে চাকরি পাব বলেইআর কিছু নেই আমার দরকার।চুপ করে কেন, দিদি কিছু বলছ না!এটা কি 913709137 হ্যালো, 913709137বলো দিদি, তুমি পারছো কি শুনতেকতবার কত টেলিকলারকে পেরিয়ে তোমায় পেয়েছিদেবো না কিছুতেই আর হারাতেহ্যালো 913709137দিন না ডেকে দিদিকে একটিবারবছর আটেক করেছি অপেক্ষা,চাকরিটা এবার জরুরি খুব জরুরি দরকার।স্বপ্ন আমার ভেঙে চুরমার দিদিএতোদিন ধরে এতো অপেক্ষারাস্তার ওপর রয়েছি বসেঅনশন ও ধর্না আন্দোলনেরুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা।পর্ষদের ঐ লোকজনের কত যুক্তিআমাদের চাকরি হয়েছে বিক্রিতোমার মন্ত্রী সান্ত্রী পড়ছে ধরাতাদের ফ্ল্যাটে ... ...
আমি বাংলাদেশে খাস বাঙাল। যে নদীর মোহনায় ইলিশ ধরা পড়ে ঝিলিক মেরে মরে যায়,সে-নদীর কাছেই আমার জন্ম। শোনা যায়,চাঁদ সদাগরও নাকি তাঁর সপ্তডিঙা ভাসিয়েচাঁদপুর হয়েই নানান বন্দরে বাণিজ্য করতেন। ফলে এইখানে রয়েছে একখানা বেহুলার পাটা! তাতে বেহুলার জন্য মেন্দি-সোঁতা বাটা হতো! বিচিত্র কারণে এখানকার মানুষেরা সবই দিলদরিয়া আর কবি! আমারও রয়েছে প্রসবিত গল্প-কবিতার বই! গুরুচণ্ডালী (আসল ’লী’ কি-বোর্ডে নাই!)র সদস্যদের সাথে পরিচিত হবো- এই আশালতা বেঁধেছি। নিজের লেখা ও গ্রন্থও এখানে উঁকি-ঝুঁকি দেবে। ... ...
সমাধান থাকে না। ঘাস ধ্বংস হয়ে যায়টোল-খাওয়া বাটির মতো, দিন নিচু হতে থাকেসাপেরা খোলস ছাড়ে, গাছেরা বাকলমানুষ পারেনা তার জরালোল হাড়েবয়স-পিঁপড়ে কামড়ায় আয় চাঁদ, আয় চাঁদ বলে যারা ভিজেছে জ্যোৎস্নায়নতমুখ হয়ে যারা তুলেছে সর্ষেফুলযাদের স্বপ্নে কথা রোজ মরে, রোজ নতুন শরীরে জন্মায়শিমূলতলায় নেই, তারা তারা তারাপরিত্যাগ করে ঘন শীত হয়েআস্তে ক্ষয়ে গেছে কোন করুণায় বলো সিঞ্চন হবে?লাল রক্তকণিকা সাদা হলুদ ঠান্ডা হলোঘরে জমলো অত্যাচার, ব্যাধিরোদ উঠে এলো চমড়ির মতো ছায়া অন্তরায়, ছায়া অন্তরায়পার হয়ে কোথায় পালাবে? ... ...
১লিপিকারের ধড়ে'র সঙ্গে হাতির মুন্ডু জুড়ে যায়আর,নিষাদ পুত্র পঙ্গু থাকে বিনা শল্য চিকিৎসায়!সপ্ত শরের সম্মোহনে সারমেয় দেখি নিঝুম রয়-এখনি স্বপ্ন খুন না হলে রাজধর্ম কি পালন হয়?২রামধনু তার সাত রঙ ভেঙে একরঙা যেন বৈষ্ণবীএকতারাটা খুঁজছে সেতার আলাপ করবে ভৈরবী!ধ্রুবতারা হাসে নীরব নাবিক,অকূল পাথারে তরণীযাত্রী বোঝাই,মাঝ দরিয়ায় ,বন্দর খোঁজে সরণি।
(১)ঘোষেদের ছোট ছেলেই প্রথম দেখেছিল । মূর্তিটা জলে ফেলার পর ওজন এর ভারে ডুবে যাবার ঠিক আগে যখন কয়েকবার খাবি খেল জলের মধ্যে , যখন প্রায় আশি হাজারের মা দুর্গার ঘরসমেত খাবি খেতে খেতে জলসমাধি হবার অন্তিম মুহূর্ত , যখন হিন্দিগানের লাউড স্পিকারের বিষ তরঙ্গে ক্লান্ত ভাসান যাত্রীরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঘরমুখো , ঠিক তখনই ঘোষবাড়ির ছোট ছেলের চোখে পড়লো মা এর মুখ টা ভাঙ্গা । চোখ পুরোটা ফোকাস করে দেখলো ভাঙা না, মায়ের মুখটাই নেই । ... ...
( শেষ পর্ব )সেদিন দত্ত ভিলা থেকে ফেরবার রাস্তায় লেক থানায় এসে বাইক ভেড়াল কলতান ।পার্থসারথিবাবু বললেন, ' আরে .... আসুন আসুন ... আমি আপনার কথাই ভাবছিলাম ...'----- ' আরে ... আর বলেন কেন , হ্যাপা কি কম ... যাক সেসব পরে হবে'খন ... এই মোবাইল দুটো রাখুন .... '----- ' কার মোবাইল এগুলো ? '----- ' সতীনাথ এবং তার ওয়াইফ প্রিয়দর্শিনীর মোবাইল এ দুটো । এগুলোর কল রেকর্ড চেক করতে হবে কোন সাইবার এক্সপার্ট দিয়ে । এদের দুজনের সুনীল ধাড়ার সঙ্গে কল রেকর্ড চাই ইন ডিটেল । ইটস ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট । '----- ' ওকে ওকে .... ... ...
ভেট দিয়ে টেট- এ / আছে যারা টিকে / রবিঠাকুর ভাঙিয়েও / হয়ে গেছে ফিকে।
কুসুম মেডিকেল কলেজে কাজ করেন বলে, সংসারের সমস্ত কাজ পুতুল একা খুড়শাশুড়িমার সাথে হাসিমুখে করে। কুসুমকে ঘরের কোনো কাজ প্রায় করতেই হয় না। কিন্তু কুসুম ভোগেন একাকিত্বে। মানিকের অনুপস্থিতিটা সবসময় বুকে একটা কাঁটার মতো চুবরে চুবরে বেঁধে। মানিক তখন শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।(চার)মানিকের সাথে কুসুম খাতুনের পরিচয় এই ঢাকা মেডিকেল কলেজেই। ১৯৭০ সালের মে মাসে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের গেরিলারা ঢাকাতে অবস্থিত পাকিস্তান কাউন্সিল ... ...
নিজের জীবনকে আমরা সন্তানের মতো ভালোবাসি। যতটা আমি আমার উঠোনে বাবার পায়ের শব্দ ভালোবাসতাম, ততটাই আমার আওয়াজ শুনলে উদ্বেলিত হয়ে উঠতো বারান্দায় রাখা মায়ের হাতের রান্না। বাবার ব্যগের ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসা আমার বই, মায়ের জন্য কেনা শাড়ি মুহুর্তের মধ্যে গোটা ঘরে ছড়িয়ে দিতো এক পশলা মিষ্টি আলো। বাবা সবসময় আমার জন্য নতুুন বই কিনে আনতে পারতো না। আর পারতো না বলেই ... ...
ভোরের আলো পাপড়ি মেলে । কলতান উঠে পায়চারি করতে লাগল । কি মনোরম লাগছে চারপাশ । রাস্তার ধারে গাছগুলোর পাতার আড়ালে আড়ালে পাখিরা জেগে উঠে নানাবিধ জরুরী কথোপকথন শুরু করেছে নিজেদের মধ্যে। আর ঘন্টাখানেক পরে সুনীল ধাড়ার ডিউটি শেষ হবে । সে রাস্তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আনমনে কি সব ভেবে চলেছে । কলতান খানিকক্ষণ পায়চারি করে আবার সুনীলের পাশে এসে বসল । ----- ' আমি তা'লে এখন আসি সুনীল । রাতটা এখানে বেশ ভালই কাটল । তোমার সঙ্গে গল্প করতে করতে কেমন সুন্দর কেটে গেল সময়টা । মনে হয় শিগ্গীর আবার আমাদের মধ্যে অনেক গল্প হবে ...'সুনীল কি বুঝল কে জানে কষ্ট ... ...
*_অর্ক গোস্বামী_* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিধ্বস্ত এই পৃথিবীর বুকে ভয়াবহ আকারে নেমে এসেছিলো খাদ্য সংকট! যার মোকাবিলা করার জন্য ১৬ই অক্টোবর ১৯৪৫ তৈরি করা হয় "ফুড আ্যন্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেসন" সংক্ষেপে যাকে আমরা ফাও (FAO) বলে জানি। সে সময়ের ২৫০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যত তথা আজকের পৃথিবীতে যাতে খাদ্য সংকট না হয় তার নীল নকশা তৈরির কাজটি করে ... ...
||শতদ্রু||ওই যে জারুল গাছটা, স্কুল ক্যাম্পাসের ডানদিকেই। ওটা পেরিয়ে গেলেই, জানি কী দেখব, আজ ৮ বছর ধরে তাই দেখে আসছি....মেন রোডের ধারে, কম্পাউন্ড ওয়াল লাগোয়া ফুটপাথটায় মুখ গুঁজে উল্টে পড়ে আছে একটা ছেলের রক্তাক্ত দেহ, চাপ চাপ রক্ত লেগে আছে হতভম্ব হয়ে থেমে যাওয়া গাড়িটার চাকায়, টায়ারে মাখামাখি হয়ে, ঘিলুটা বেরিয়ে গেছে মাথা ফেটে, থকথকে রক্ত আর মজ্জায় মাখামাখি শীতবাতাসে ঝরে পড়া তেঁতুলের পাতা আর শুকনো অশ্বত্থের পাতাগুলো, এমন সময়- একটা দমকা হাওয়া উঠল। উঠবেই, এমনটা ওঠেই, জানা কথাই....আর হাওয়াটায় ঘূর্ণি পাকাতে পাকাতে এলোমেলো কটা নীল কাগজের টুকরো ভেসে এল, কিছুক্ষণ আগেই যেগুলো আমিই ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম ছেলেটার সামনেই, সেগুলো ... ...