বকুলের মনে পড়ে, যখন কলেজে পড়ত - ওর এক সহপাঠী ছিল, নাম রিনি। ও বলেছিল ওর এক পিসতুতো কাকার গল্প, থাকতেন বারাসাতে। উনি যখন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে অফিস করতেন, তখন বলতেন - পৃথিবীর অর্ধেক লোক থাকে বারাসাতে, আর অর্ধেক লোক কলকাতায়। ঠেলে-ঠুলে, গুঁতিয়ে-গাঁতিয়ে যখন ট্রেনের দরজা পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন বারাসাত স্টেশনে নামার জন্য - ও হরি, নেমে দেখেন ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে বারাসাতের পরের স্টেশন বামুনগাছি'তে। তখন রিনি বলতো, কাকাই তুমি একটা কী ! তাহলে আমরা এতগুলো লোক কোথায় থাকি ! তুমি একটা যাতা। রিনির কাকার কথাগুলো অদ্ভুত আজব ধরনের। থেকেও নেই। আজ বকুল বুঝতে পারে রিনির কাকার কথাগুলো। এই থেকেও ... ...
পেইন্টিং বা অন্যান্য শিল্পে যৌনতা বহু প্রাচীন। বিদেশি ফিল্মও যৌনতায় বেশ সাবালক। ভারতীয় ফিল্মও ধীরে ধীরে সেই পথে হাঁটছে। কিন্তু সাহিত্যে যৌনতা!! অনেকেই ব্যাপারটিতে নাক সিঁটকান। সাহিত্যের পাতায় আদি রসাত্মক মায়াবী দ্যোতনা সৃষ্টি হলেই কিছু মানুষের প্রবল আপত্তি। যেন যৌনতা কোনো ভিন গ্রহের আঁশটে গন্ধওলা ভীতিকর প্রাণী বা পরিবেশ বা ক্রিয়াকলাপ। আশ্চর্য...! সেই ক্রিয়াকলাপ, যা থেকে তিনিও দূরে থাকেন না। নিভৃতে অতীব গোপনে সেই মাধুর্য তাঁর জীবনকেও আলোকিত করে। যে রস আকন্ঠ পান করার জন্য তিনিও তৃষিত থাকেন। অথচ সাহিত্যের পাতায় সেই রস বর্ণিত হলেই ত্রাহি ত্রাহি রব। ঋগ্বেদে দেখা যায় যমী তার যমজ ভাই যমের কাছে সঙ্গম প্রার্থনা করছে। দম্ভ ... ...
পড়শী পিছনে সূচ ফোটায়পিছিয়ে গেলে পারবে না; -ওদের সূচ তো ছেঁড়া কাঁথায়মুখ সেলাই যে হবে ন!! লক্ষ টাকার পোষাক পরনেনগ্নতা কি রুদ্ধ হয় ? শতছিন্নের ক্ষুধা নিবারণেসূচাগ্ৰ সুতো ন্যাস্ত নয়!!
জ্যোৎস্নার প্লাবন তখনো চলছিলো,বালিকা দূর সমুদ্দুরের তীরে বালিময় বুকে আঁকছিলো এক আনাড়ি কবির ছবি, ফিনিক্স তখনো নীড়ে ফিরেনি,সন্ধ্যা বয়ে রাত গভীর হয়েছে-পাখিটা খেয়াল করেনি।বালিকা নৃতাত্ত্বিক মোহে আবৃত রেখেছে ঠোঁট, সব কোলাহল শেষে কবির নয়নে জোট বেঁধে মহাসমুদ্রের কলকাতনে লিখে দিবে দ্বিগবিজয়ী প্রণয়ের তত্ত্ব।তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে-একটি কাটি,নিদারুণ হয়ে প্রেমিককে ডাকে।ফের আসবে প্রেমিক ফুঁ দিবে বুকে, তৃষ্ণা নাভিতে,উতাল-পাতাল মোহের ঢেউ মিলে যাবে প্রেমের দাবীতে।আবারো শান্ত হবে বালিকা, কল্লোল যাবে বয়ে, বালিকারাই প্রেমিকা, জন্মান্তরের ইতিহাস সয়ে।হেলে গেছে চাঁদ, ঢেউ গেছে থেমে, এলোমেলো হয়ে বালিকা আজ ভোররাতে ফিরে ঘরে, সূর্য উঠবে এবার- পৃথিবীর সাথে মিলিত হবে কামে।পাপ হবেনা, না হবে স্নান, চিত্রাহরিণটা বাচ্চা দিবে নদীর ধারে, গোধূলি ... ...
১ একসময় এ বাড়ি ছিল জমজমাট । কালীপুজোর রাতে মহা ধুমধাম করে পাঁঠাবলি, গ্রামের সবাইকে পাত পেড়ে খাওয়ানো, আতশবাজির রোশনাই । পাইক বরকন্দাজের দল ছিল, গুমঘর ছিল । একটা কালি ঝুলি মাখা দোনলা বন্দুক এখনো রয়ে গেছে দোতলার মাঝের বন্ধ ঘরে। এখন বাড়িটা বহুদিন ফাঁকাই বলা যায়, বেশীর ভাগ বংশধররা দূরে চলে গেছে, বিদেশেও থাকে । তবে মাঝে মাঝে আসে । বাড়িটা সারানোও হয়, ভেঙে পড়ার মত অবস্থা নয় । লাগোয়া কালী মন্দিরের জন্য গ্রামের লোকেরাও এ বাড়ির দিকে তেমন নজর দেয়নি কিন্তু পঞ্চায়েত বদলের পর একটা চেষ্টা হয়েছিল এ বাড়ির চাষের জমি দখলের। সেসব কান্ড যখন হয়েছিল তখনও বাড়ির ... ...
নিজের অজান্তেই আধো-জাগা আধো-ঘুমের মধ্যে পায়ের কাছে রাখা পাতলা চাদরটি গায়ের উপর টেনে আপাদমস্তক ঢেকে নেয় বকুল। কিন্তু মায়ের অনর্গল 'এই বকুল কত বেলা হয়ে গেল, ওঠ এবার ----' ডাকাডাকিতে চোখ পিটপিট করে তাকায় বকুল চাদরটি একটু সরিয়ে মুখের উপর থেকে। শুনতে পায় টিপটিপ করে ঝরে পড়া জলের আওয়াজ। ঘাড় একটু ঘুরিয়ে মাথার দিকের খোলা জানালা দিয়ে দেখতে পায় গুঁড়ি গুঁড়ি বরফ পড়ার মতো বৃষ্টি হচ্ছে। একটা শীতল আর্দ্রতায় ভরা বাতাস খোলা জানালা দিয়ে ঢুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘরের মধ্যে। জানালার উপরের পাটাতনটি অবশ্য বাধা দিচ্ছে বৃষ্টির হালকা ছাটকে ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে। কালকে রাতে শুতে যাওয়ার আগেই দেখেছিল বকুল একটি ... ...
বিখ্যাত লেখক লু শুন কে অনেকেই চীনের গোর্কি নামে অভিহিত করেছেন।মাও সে তুও লিখেছেন " চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক শুধু সাহিত্য জগতের এক মহান মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক মহান চিন্তাবিদ ও বিপ্লবী"। ১৮৮১ সালে চীনের এক প্রত্যন্ত গ্রামে লু শুনের জন্ম। চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য তিনি জাপান আসেন কিন্তু পাঠ শেষ না করেই দেশে ফিরলেন। শিক্ষকতার চাকুরী গ্রহণ করলেন। হাতে তুলে নিলেন কলম। দুচোখে রঙীন স্বপ্ন, এর মাধ্যমে ই পাল্টে দেবেন সমাজ ব্যবস্হা।১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের সাফল্যে চীনে এল নতুন জোয়ার। ১৯১৮ সালে তিনি লিখলেন অন্যতম শেষ্ঠ ছোট গল্প " পাগলের ডায়েরি "। এই গল্পে তিনি এক পাগলের চোখ দিয়ে দেখিয়েছিলেন সামন্ত ... ...
শব্দেরা অনুচ্চারিত কিন্তু বাঙ্ময়! এই মনের, সব কথারা শব্দ হয় না- বহু চেষ্টাতেওঅতি সাধারণ জীবন,চাইলেও আর বিশেষ হবে না অনেক ভুল ছিল, যা না ঘটার রাস্তা ছিল নিশ্চয় ভুল এক মস্ত ব্ল্যাক হোল - আলোর গতিপথও বাঁকিয়ে দেয়সে তুলনায় তুষ্টি খুঁজি না, শেষের পথে সাথী রয় না কেউদুর্যোধনও শুয়ে থাকেন কুরুক্ষেত্র কিনারে ভগ্ন উরু নিয়েআমি তো নেহাত তুচ্ছ মানুষ, হয়ত বড় বেশিই নরম স্বপ্নেরা হারিয়ে গেছে কখন নিঃশব্দে, লক্ষ্য ছিল না বিশেষচলার পথে যারা আঙুল থেকে হাত অবধি ধরেছিল একদিনঅভিমানে ফিরে গেছে, আপন কোরকে বা মৃত্যুর বাহানায় আলেকজান্ডার নই, তবুও হাত খুলেই যাব, ফুরোন বেলায়মনের সব কথারা শব্দ হয় না, বলে ওঠা যায় নামনের ... ...
এক সময় যারা যৌন পল্লীতে কাজ করতেন তাঁদের মৃতদেহ পোড়াবার অধিকার ছিল না। রাতের বেলায় বিভিন্ন কোঠিতে গিয়ে যারা সারা রাত কোন মেয়ের সাথে সঙ্গম করে বেরিয়ে আসত সেইসব ভদ্দরনোকেরা বলতপতিতা মাগী,বেবুশ্যে,খানকী। ভাবতে অবাক লাগে সমাজ এইসব লোকেদের সাথে একমত হোত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি যৌন পেশাকেসমর্থন করিনা। অনেকে বলবেন কেন?কেন এই প্রশ্নের জবাব অন্যদিন দেব। আজ যারা যৌনকর্মী আছেন তেনাদের অনেকের আছে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কেউ ঘর বাধবে বলে প্রেমিকের সাথে চলে এসেছিলেন,কেউ বা বাবা,কাকার কথায় বিশ্বাস করে বাইরে এসে এই জায়গায় বিক্রী হয়ে গেছিল। তার পর বিভিন্ন লোকের হাতে ধর্ষিতা হয়ে হয়ে সেক্সডল হয়ে গিয়েছে। ... ...
সুনীল বলল, ' কি দেখছেন স্যার ? ' গলাটা যেন একটু কেঁপে গেল । ----- ' না কিছু না ... বোতামগুলো দেখছি ... বোতামের কালারগুলো খুব সুন্দর ... '----- ' এটা তো এখানকার এই ইউনিফর্মের সঙ্গেই আছে .... '----- ' সে যাই হোক .... এই রঙটা আমার খুব ভাল লাগে ... ' , বলে, কলতান সুনীল ধাড়ার জামার বোতামগুলো আগ্রহভরে আঙুল বুলিয়ে দেখতে লাগল । সুনীল হাল্কা অস্বস্তি এবং বিস্ময়মাখা চোখে কলতানের দিকে তাকিয়ে রইল । ------ ' হ্যা.... ওই আর কি ... আর তো কিছু দেয় না ... মানে, শুধু এই ইউনিফর্মটাই ... ' ----- ' হ্যা ,তাই তো .... এটা ... ...
৩ কোর্টে জাজ যখন খুনের আসামীর ফাঁসির ফয়সালা ভারতীয় দন্ডবিধি অনুসারে শোণায়, তখন দস্তখত করার পরে পেনের নিবটাকে ভেঙে দেয়- ঐ আদেশ পত্রের ওপরেই। এটা খুব সম্ভবত একটা প্রচলিত অভ্যাস, তাই চলে আসছে। হয়তো এর পেছনে কোন গভীর কারণও থাকতে পারে। আমি ঠিক জানি না। আমরা নিজেরা কেউই জাজ তো নইই, কিন্তু কনট্র্যাক্টের পাতায় সই করার সময় আমার বার বার এই ছবিটাই মাথায় আসছিল, যে শেষ পাতায় গিয়ে পেনের নিবটা ভেঙে দেব না’কি? এ ও তো মৃত্যু পরোয়ানাই ! ভারাক্রান্ত মনে কাজকর্ম শেষ হবার পরে, উকিল মহোদয় জানালেন, আগামীকাল বেলা বারোটার পরে আমাদের ... ...
পর্ব ৯ ছুটির দিনে দুপুরে জয়িতার অনেক সময়। খাতাপত্র নিয়ে জয়িতা জানালার ধারে বালিশটা কোলে টেনে নিয়ে আরাম করে বসল।নভেম্বরের মাঝামাঝি।অল্প অল্প ঠাণ্ডা পড়েছে। জানালা দিয়ে নরম রোদ এসে বিছানাতে পড়েছে। জয়িতাদের বাড়িটা গলির মধ্যে। নিচে রাস্তা দিয়ে ফেরিওয়ালার হাঁক শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। পায়ের কাছে কম্বলটা টেনে নিল জয়িতা। একটু ঘুম ঘুম পাছছে। কিন্তু ঘুমোলে চলবে না। একটা লেখা শেষ করতে হবে। সামনের মাসিকে বেরবে। জয় বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েছে।গতকালতো বেশ রাগারাগিও করে গেছে-লেখাটাকি এই মাসে পাব?-পাবিনা কেন। ওতো হয়েই গেছে। একটু বাকি আছে। যদিও জয়িতা শুরুই করেনি।-কত ছেলেমেয়ে একটা লেখা বেড়োনোর জন্য অনুরোধ উপরোধ করে জানিস?-তাদের ফিরিয়ে দিস কেন? নতুন ছেলেমেয়েরা ... ...
পার্থসারথিবাবু কলতানকে ফরেনসিক রিপোর্টটা মেল করলেন । তাতে টেবল কভার এবং মেঝেতে পড়া মাংসের ঝোলের দাগের সময়কালও জানা গেল । সেটা সতীনাথের বলা সময়ের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে । সতীনাথ বলেছিল যে , বেলা তিনটের সময় তারা লাঞ্চ করেছিল । রিপোর্টেও ঝোলের দাগের টাইম আছে ----- সেদিন বেলা তিনটের কাছাকাছি । রাত এগারোটার সময় কলতানের বাইক এসে দাঁড়াল নিউ হরাইজনের সামনে । সুনীল ধাড়ার আজ নাইট ডিউটি আছে । কিয়স্কের ভিতর আর একজন বসে আছে । এর কি নাম কে জানে ।#দত্ত_জুয়েলার্স_১২পার্থসারথিবাবু কলতানকে ফরেনসিক রিপোর্টটা মেল করলেন । তাতে টেবল কভার এবং মেঝেতে পড়া মাংসের ঝোলের দাগের সময়কালও জানা গেল ... ...
জলে কুমীর,ডাঙ্গায় বাঘ-এখন সেসব প্রবাদ থাক ;ঠিকানাটা চিড়িয়াখানায়জল-জঙ্গল ভুলছে প্রায়। পশুরা সব বাইরে চড়েলেলিয়ে দিলে দাঙ্গা করে;কিছুদিন থাকে কারাগারেবেরিয়ে মুখে অ্যাসিড ছোঁড়ে!ধর্ষন করে ধার্মিক ষাঁড় ! -আর সম্প্রীতি তে ফতোয়া জারি?উত্তরে আছে (হিমালয়) চৌকিদারবেশ্যালয়ে তো ধর্মে আড়ি!!
"বেশ অন্ধকার গভীর একটা গুহায় থাকতাম আমরা। আজ থেকে এক লক্ষ বছর আগে। মধ্যপ্রদেশে, এখন সেই জায়গাটাকে ভীমবেটকা বলে। এর আগে কোন দম্পতি এরকম আলাদা থাকেনি। যূথ থেকে বেরিয়ে এসে, শুধু দুজনে। কৌমবাসে যথেষ্ট নিভৃতি ছিল না। কৌমসর্দারের হাত থেকে আমাকে বাঁচিয়ে ছিলে তুমি। তুমি শিকার করতে, কখনো, গাছ থেকে ফল পাকুড় পেড়ে আনতে। কখনো আমি পাশের ছোট নদীতে মাছ ধরতাম। শাক বেছে আনতাম। খুঁড়ে তুলতাম কন্দ। ঐ গুহাকন্দরের দেওয়ালে আমাদের হাতের ছাপ এখনও দেখতে পাওয়া যায়। শিকারে যাওয়ার আগের দিন, ঐ দেওয়ালেই তুমি খনিজ রঙ, পাতার রস আর পশু রক্তে শিকারের ছবি আঁকতে। আমরা বিশ্বাস করতাম, যা আঁকবো, তাই হবে ... ...
মোটাসোটা হলে কী হবে, ছোটবেলায় সারা বছরে অজস্রবার জ্বর হতো আমার। তার মধ্যে দুটি দিন অবশ্যম্ভাবী ছিল। একবার এই ষষ্ঠীর দিনে, আর একবার আমার জন্মদিনে। বোধহয় এতবেশি প্ল্যান করতাম বন্ধুরা আসবে, সবাই মিলে কী কী মজা করবো, সেই জন্যই। নিজেরই নজর লেগে যেতো! বাবা বলতেন, সিজ়ন চেঞ্জ। সর্বপল্লীর পুজোমন্ডপের বাঁশের কাঠামো চোখে পড়তেই আর পড়াশুনোয় মন বসতোনা তেমন। অঙ্কের বইখাতা খুলে উদাস হয়ে বসে থাকতাম। বাইরে নীল আকাশ, সবুজ গাছপালা কে যেন সোনার জলে ধুয়ে দিয়েছে। কার কটা জামা হলো পাড়ায় বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা। আমাদের কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে জামা বানানো হতো, রাঙা টেলার্সে। কখনোই সেগুলি ষষ্ঠীর আগে হাতে ... ...
বউবাজার থানায় বিদ্যুৎ তরফদারের সামনে বসে একাগ্রচিত্তে কিয়স্ক রেজিস্টারের একফালি ছবির মধ্যে ডুবে গেল । প্রায় তিন মিনিট কেটে গেছে । বিদ্যুৎ নিজের টেবিলে বসে এটা ওটা ফাইল ওল্টাচ্ছে । কলতান আপনমনেই বলে উঠল , ' কারেক্ট কারেক্ট ... কোন ডাউট নেই .... খালি চোখেই পরিষ্কার .... 'কথাটা বিদ্যুতের কানে গেল । সে বলল, ' কি হল কলতানদা ? '---- ' না কিছু না .... এন্ট্রি আর এগজিট-এর হ্যান্ডরাইটিং পরিষ্কার আলাদা । এর জন্য কোন এক্সপার্টের দরকার নেই ।'বিদ্যুৎ ফাইল বন্ধ করে বলল, ' তার মানে সতীনাথ দত্ত এই কথাটা অন্তত সত্যি বলেছে । '----- ' হ্যা.... তাতেই আমাদের চিন্তা আরও ... ...
সেসব হাফপ্যান্টের কাল। জীবন ও ফেস্টিভ্যাল এগরোলময় ছিল। তার আগেরটাও আমরা দেখেছি(দইবড়া, মুগের চপ ইত্যাদি)। হাফপ্যান্ট এখন ধেড়ে, বুড়ো ও বুড়িরাও পরে। এবং ফুলপ্যান্ট পরা খোকাও খুবই মেইনস্ট্রিম। এগরোল থেকে গেল। জেনারেশনটির সাদা চুলদাড়ি আসলে অকালে পেকেছে এই বিশ্বাস আঁকড়ে থাকলেও অস্বীকার করে লাভ নেই, যৌবন যদি বা থাকে তার লাস্ট ফেজ চলছে। যাদের বৌ/বর ও ছানাপোনা আছে তারা হা-ক্লান্ত। এইসব না থাকার পরেও সুনন্দ আঃ-ক্লান্ত। পিঠের ব্যথা, চটকে যাওয়া ঘুম ও লটকে যাওয়া প্ল্যান। ফেস্টিভ্যাল বয়ে চলেছে। 'দুটো এগচিকেন। শস দেবেন না।' এই ফিলজফিটা আমরা এই প্রজন্মে পেলাম। দ্বিতীয় এগচিকেনটি কার? উত্তরের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া চিকেনটিকেই খুঁজতে হয়। খেপে ... ...
একটা নারীর গন্ধে সন্ধ্যা তারা ফুটে উঠে,রাত্রির শিয়রে খুলে যায় সমস্ত পানশালার দরোজা,কামিনী ফুটে, ছলনাময়ী কামিনী! গন্ধের মাঝে লুকিয়ে রাখে পৃথিবীর আদি ছলনা।একটা নারীর গন্ধে একটা পুরুষ আত্মহত্যা করেপানশালা থেকে ফিরে এসে সে হয়ে যায় লোডেড পিস্তল, যার ট্রিগার তার বুক বরাবর তাক করা।