এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল -৩

    Himadrisekhar Datta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ অক্টোবর ২০২২ | ২৯২ বার পঠিত
  • ৩                  
     
    কোর্টে জাজ যখন খুনের আসামীর ফাঁসির ফয়সালা ভারতীয় দন্ডবিধি অনুসারে শোণায়, তখন দস্তখত করার পরে পেনের নিবটাকে ভেঙে দেয়- ঐ আদেশ পত্রের ওপরেই। এটা খুব সম্ভবত একটা প্রচলিত অভ্যাস, তাই চলে আসছে। হয়তো এর পেছনে কোন গভীর কারণও থাকতে  পারে। আমি ঠিক জানি না। আমরা নিজেরা কেউই জাজ তো নইই, কিন্তু কনট্র্যাক্টের পাতায় সই করার সময় আমার বার বার এই ছবিটাই মাথায় আসছিল, যে শেষ পাতায় গিয়ে পেনের নিবটা ভেঙে দেব না’কি? এ ও তো মৃত্যু পরোয়ানাই ! ভারাক্রান্ত মনে কাজকর্ম শেষ হবার পরে, উকিল মহোদয় জানালেন, আগামীকাল বেলা বারোটার পরে আমাদের সকলকে দমদম কোর্টে হাজির থাকতে হবে। ডেভালাপার আমাদের তোয়াজ করছে- আপনাদের প্রতি মাসের প্রোগ্রেস হোয়াটস এ্যাপে পাঠাবো, ফোন করবো। হয়তো করবেও- ছেলেটি ভালই মনে হল। যদিও তার সাথে তিন পার্টনার আছে। তারাও উপস্থিত ছিলেন আজকে। আপাত ভদ্র ছেলে সকলেই- একা ঝুঁকি নেবার মত অর্থবল হয়তো নেই- তাই জোট বেঁধে কাজ করতে চাইছেন। তাতে ভাল আর খারাপ দুটোই হতে দেখেছি। পার্টনারের মধ্যে একজন যদি বিট্রে করে, তাহলে সমস্ত প্রোজেক্টটাই ত্রিশংকু অবস্থা প্রাপ্ত হতে পারে। কিন্তু যে কোন কাজই আজকাল ঝুঁকি ছাড়া হবে না। এই সব কথা বার্তার মধ্যে আমার একটু প্রেসার রিলিজের প্রয়োজন অনুভব হল। আমি তো টালি পাড়া থেকে অনেক আগে বেরিয়েছি, আমার বি.পি.ই.-র সমস্যা আছে। অত্যন্ত আশ্চর্য্য হয়ে জানা গেল, যে চেম্বারে কোন বাথরুম বা ঐ জাতীয় জায়গা নেই। নিজেদের মধ্যে কি আলোচনা করে একজন আমাকে বললেন, আসুন আমার সাথে। আমি সত্যি বলছি, কোলকাতায় এখনও রাস্তায় যত্র তত্র মূত্র ত্যাগের ঢালাও ব্যবস্থা আছে- খোদ কলকাতার ওপরে অনেক সুলভ শৌচালয় দেখলেও, সাবার্বে বিশেষ করে বরানগরে তা আমার চোখে পড়েনি। সত্যি কথা বলতে, আমি যখন বরানগরে বড় হয়েছি, স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটির সীমা পেরিয়েছি, তখনকার বরানগরের সাথে এখনকার বরানগরের (মাঝে সময় ব্যাপ্ত হয়েছে প্রায় ৪০ বছর) এক পারসেন্ট চেঞ্জও খুঁজে বের করতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে রাস্তা ঘাট। তাই যিনি আমাকে আসুন, আমার সঙ্গে আসু্‌ন, বলে নিয়ে গেলেন, তিনি আমাকে শেষ  পর্যন্ত মেইন রাস্তার ধারে কালভার্টের ওপরে দাঁড় করিয়ে দিলেন- নিন, সেরে ফেলুন। রাস্তার দিকে পেছিন ফিরে (যে রাস্তা দিয়ে সেকেন্ডে ১০টা করে লোক, ৫ টা করে গাড়ি আর ৩ টে করে রিক্স চলছে ), আমি যে কালভার্টের ওপরে দাঁড়িয়ে, তার দুপাশে দোকান, এটি দুটি দোকানের মধ্যবর্তী স্থল- কারণ এই স্থান দিয়ে মূল সিভারেজ নালা ( যার গভীরতা ৪ ফুটের ওপর, যা কি  কি দিয়ে পূর্ণ তা না বলাই ভাল, যা সরাসরি মা গঙ্গায় মিলিত হচ্ছে) পাস করেছে- সেই নালার ওপরে নড়বড়ে কালভার্টে আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। চতুর্দিক অন্ধকার। রাস্তার অত আলোর থেকে হঠাৎ এসে এখানে দাঁড়ালে সামনে নিরেট অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমি অবশ্য মায়োপিয়ার পুরোনো পাপী, সেটাও আবার একটিমাত্র চোখে। আমি স্থির করি, আমি  ভাইয়ের বাড়ি ফিরেই আমার চাপ মুক্ত করবো। এখন থাক। এই ভেবে, ঠিক ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে আমি ফেরার জন্য পা বাড়াই। এত আংকিক নিয়মে এই জন্যে বলছি, যে এর পরের ঘটনা কল্পনা করতে পাঠকের কিছুটা সুবিধা হতে পারে। ঘুরেই এক পা এগোতেই আমি সোজা ৪ ফুট নীচে ভার্টিকালি ঢুকে গেলাম, একটা পা নিয়ে- অন্য পা-টা কালভার্টের ওপরে দুমড়ে মুচড়ে আটকে আছে। মুহুর্তের থেকেও কম সময় লেগেছিল, আমার ডিসিশন, ঘুরে দাঁড়ানো, এক পা ফেলা আর পাতালে প্রবিষ্ট হওয়ার মধ্যে। যিনি আমাকে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি আমার দিকে পেছন ফিরে  দাঁড়িয়েছিলেন রাস্তার ওপরে (সভ্যতার নিয়ম মেনে!? রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেন খুলে হিসি করাটা সভ্যতারই অঙ্গ), কিন্তু শব্দ শুণে (৮০ কেজি বস্তা চার ফুট পড়লে তার একটা শব্দ তো  হবেই) ঘুরে দাঁড়িয়ে সুকুমার রায়ের সেই বাড়িটার মত হয়ে যান- যার নাম কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সেই মুহুর্তে আমার কোমরে কোন সার নেই, যে আমি নিজেকে তুলে নেব, দোমড়ানো পা-টাকে সোজা করে। ওনার ঘোর কাটতেই দু সেকেন্ড লাগে। তারপরে অবশ্য তিনি আমার আকাশের বুকে সমর্পনের ভঙ্গিতে থাকা হাতদুটি ধরে টান দেন – আরো এক দুজন এগিয়ে আসে। সকলে মিলে কলিযুগের পাতাল প্রবেশের অর্ধেক রাস্তা থেকেই আমায় তুলে নিয়ে আসে ধরাতলে। এসে যায় জল, কেউ পায়ে জল দিয়ে ধুইয়ে দিচ্ছে, কেউ কোথায় লেগেছে তার ধারা বিবরনী চাইছেন। ইতিমধ্যে উকিলের দফতরে খবর পৌঁছে গেছে, কি লোক রে ভাই, আমরা শালা রোজ প্যান্ট খুলে জল ঢালছি ওখানে, কোনদিন কাউকে পড়ে যেতে দেখিনি, আর এ কি’না সোজা গাটারে! যাই হোক, মুখে কেউ এ কথা বলেন নি- বরফ আনবো কি’না, ভোলিনি স্প্রে করে দিচ্ছি, একটু বসুন, না না, জুতোটা খুলে একটু হাঁটুন, তাতে বোঝা যাবে চোট কোথায় লেগেছে, এক্স-রে করাবেন কি  এমনই সব প্রশ্ন আর উত্তরের মাঝখানে আমার কেবলই মনে হতে থাকলো, আমার এই ভয়ংকর পতন কি একেবারেই কাকতালিয় ? আমি সাধারণতঃ খুব সাবধানেই চলা ফেরা করি। আমার মনে হল, যেন কোন অদৃশ্য শক্তি আমায় ঠেলা মারলো, তাই কি? কালভার্টে চড়ার সময় লক্ষ্যই করিনি,   সেটা হাফ মানে অর্দ্ধেক। বাকিটা স্রেফ নেই। অন্ধকারে বুঝতেই পারিনি। হয়তো নেহাতই দুর্ঘটনা, কিন্তু যোগাযোগটা খুব বেশি রকমের তুলনাত্মক। এ কি আমার শাস্তি ছিল ? কিংবা আরো বড় কিছু ঘটার ছিল, আকাশের খসে যাওয়া তারারা তাদের শেষ আলোক রশ্মি দিয়ে আমায় তার থেকে রক্ষা করে গেলেন? ভাবলে আশ্চর্য্য হতে হয়, এতটা পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছি খুব, যা তার পরের তিন দিন আমায় চলাফেরায় পদে পদে টের পাইয়েছে, কিন্তু হাড় ভাঙে নি একটাও। আমার ভাই তার ছবি আনতে ভুলে গেছিল, তাই ঠিক সেই সময়টায় সে ঘটনাস্থলে হাজির ছিল না। পরে সে আমাকে বললে, আরে রাস্তায় ঘাটে না গিয়ে চেপে রাখলেই তো হত। তা ঠিক, আমিও তো সেই পথই নিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়তি কেন বাধ্যতে। যা হবার তা হবেই। আবার এও বলে, যা হয়, তা ভালোর জন্যই হয়। ঠিক সেই মুহুর্তে ভালটা আমার মাথায় আসছিল না। হয়তো ভাল হয়েছে, হয়তো আরোও বড় কিছু যোগ ছিল! জানি না। 
    সব কিছুর শেষে ভাঙা মন আর খোঁড়া পা নিয়ে টেনে হিঁচড়ে কোনরকমে ভাইয়ের আবাসে এসে উঠি। সে সাথে সাথে বেরিয়ে গিয়ে ভোলিনি স্প্রে আর পেইন কিলার কিছু নিয়ে এল। উৎসবের সময় এখন কোলকাতায়, চতুর্দিকে পাল্লা দিয়ে কালীপূজার মন্ডপ তৈরীর হোড় লেগে গেছে। অনেক রাস্তাই বন্ধ করে কর্মকর্তারা প্যান্ডেল বানাচ্ছেন। তার যেমন উচ্চতা, তেমনিই প্রসার। চারিদিকে এত আলো যে চোখ ধাঁধিয়ে যাবার উপক্রম। বরানগর থেকে ফেরার পথে রিক্সায় প্রায় কোলে করে উঠিয়ে দিতে হয়, আর অটো রিক্সায় ডান পা-টিকে নিজে তুলতে পারলাম না, ভাইকে ধরে মুড়ে দিতে হল। কারন তখনও কোমর বস্তুটা ঠিক মত নিজের কন্ট্রোল ফিরে পায় নি। ভাতৃবধু অস্থির আমার অবস্থা দেখে। কোনও রকমে সোফাটার উপরে ধপাস করে বসে পড়ি। জল খেয়ে একটু শ্বাস নিই। আজ রাতে আমার খুব ভোগান্তি আছে আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু উপায় কি? তার থেকেও যে চিন্তাটা ঘুরপাক খাচ্ছিল মনের মধ্যে, তা হল আগামীকাল আমি কি উঠে কোর্টে যেতে পারবো? সে জন্যেই তো আসা। আমার বিশ্বাস আমার ভাইও মনে মনে এই চিন্তা করছিল, যদিও সে মুখে কোন ব্যাস্ততা দেখায় নি। আমরা দুজনেই আজই কোলকাতা এসেছি, আমি কিছুটা আগে সুদূর আমেদাবাদ থেকে গতকাল রাত দশটার সময় বেরিয়েছি, আর ওরা আজ ভোর বেলায় বেরিয়েছে। জার্নির বিশ্রাম কারোরই হয় নি, তার মধ্যে এই অবস্থা। কি জানি কি মনের মধ্যে হল, বেশি পাত্তা দিলেই হু-আ বাড়বে- তাই যতটা স্বাভাবিক থাকা যায়, সেই চেষ্টাই করতে লাগি। চা এল, গল্প গুজব হল। রাতের খাওয়া দাওয়া হল। তারপরে তারা আমাকে একটা ঘরে শোবার বন্দোবস্ত করে দিয়ে, নিজেদের ডেরায় শুতে চলে গেল। গুড নাইট। 
    আলো নিভে যাবার পরে আমার শরীর আর মন দুটোই তীব্র বেগে জেগে উঠলো। প্রথমটি নানা চিন্তায়, আর দ্বিতীয়টি বলাই বাহুল্য অসাধারণ ব্যাথায়। আমি বিছানাতে শুয়ে পাশ ফিরতেও পারছি না, কোমর উঠিয়ে। পায়ে জোর নেই। কেবল হাত দুটো আর কাঁধের জোরে আমি এপাশ- ওপাশ  করতে থাকি। পেইন কিলার আমি সাধারণতঃ খাই না, কারণ আমার বি পি-র মেডিসিনের সাথে সেটা কখনই স্যুট করে না। পালস রেট বেড়ে যায়, শ্বাসকষ্ট হয় আর মুখের ভেতোর সাহারার মত শুকিয়ে যায়। সেটা বেশ কষ্টকর। তাই আমি পড়ে যাবার ব্যাথাটাকে সইয়ে নেবার চেষ্টা করছিলাম। এই চেষ্টা রাত প্রায় তিনটে পর্যন্ত করেছিলাম। তারপরে, কিছুটা অসহায় লাগছিল, উঠে যাবার ক্ষমতা নেই, মানে আমি হেঁটে যাব এটা ভাবতেই পারছিলাম না। অনেকবার দোনামনা করে, ফাইনালী বুড়োর একমাত্র গতি, নিজের বুড়িকে ফোন লাগালাম। আমেদাবাদে। সে বেচারা  একটু রাত করেই ঘুমোয়, তার বোধহয় এখন ঠিক ঠাক ঘুমটা এসেছে। তাই ফোন বেজে বেজে বন্ধ হল। এখন কি করি! ব্যাথা তার সব রকম প্রকার দিয়ে আমায় অবশ করে আনছে, আমি বুঝতে পারছি। আরোও একবার চেষ্টা করি ফোনে গিন্নীর সাথে কথা বলার, কিন্তু ফল একই। যেটা আমি করতে চাইছিলাম না, এবার সেটাই আমাকে করতে বাধ্য করলো আমার যন্ত্রণা। হয়তো আমার সহ্য করে পড়ে থাকাই উচিত ছিল। মা-কে ফোন করে দিলাম, জানি ওনার ঘুম খুব পাতলা, হয়তো ধরলেও ধরতে পারেন। শেষ মেশ উনিই ধরলেন- গিন্নীকে জাগালেন পাশের ঘরে উঠে গিয়ে। আমার সাথে কিছুক্ষণ বক বক করে, তিনি নিদান দিলেন, পেইন কিলার খেয়ে নিতে। ব্যাস, এটুকুই মর‍্যাল সাপোর্ট দরকার ছিল, পেইন কিলারের স্ট্রিপটার দিকে হাত বাড়ানোর। কোনরকমে উঠে একটা বড়ি বের করে গলঃধকরণ করে একই পজিশানে পড়ে থাকলাম। আধ ঘন্টা পরে, মনে হল ব্যাথাটা সহনশীলতার আওতায় এসেছে- ইস, আরেকটু আগে সাহস করে খেয়ে নিলে কাউকে জাগাতে হত না। ঘুমোবার চেষ্টা করি।
    ক্রমশ.....

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন