প্লেটো থেকে হিউম অবধি সকলেই প্রায় নানা আঙ্গিকে আত্মহত্যার আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আত্মহত্যার মনস্তত্ত্বের দিকটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। যুগে যুগে আত্মহত্যার আশ্রয় নিতে দেখা গেছে এমন বহু মানুষকে যাদের জীবনে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবগুলির প্রতিকূলতা প্রায় কিছুই ছিল না। তবুও, তাঁরা সে পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুতরাং, আত্মহত্যার অন্তরালে যে কারণের বৈপরীত্য, ব্যাপকতা ও দ্বন্দ্বময়তা দেখা যায় তা শুধুমাত্র মনস্তত্ত্বের আঙ্গিকেই সুবিচার লাভ করে। ... ...
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষা রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা, আসন্ন নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া গ্রহণসহ বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে বিষাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে শহর কলকাতার বুকে এক মিছিলের আহ্বান জানানো হয়েছে মঞ্চের তরফ থেকে। ... ...
সরকারি ত্রাণব্যবস্থা যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বেসরকারি ত্রাণ শুরু হল শ্যামাপ্রসাদের পরিচালনায়। তিনি 'বেঙ্গল রিলিফ কমিটি' বা বিআরসির রিলিফ কমিশনার নিযুক্ত হলেন এবং এই দুর্ভিক্ষের হাহাকারের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ ছাড়লেন না। ত্রাণকেন্দ্র স্থাপন করলেন কেবলমাত্র সেই সব গ্রাম এবং ওয়ার্ডে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিআরসির সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হল হিন্দু মহাসভা রিলিফ কমিটি। ... ...
অত্যাচার দমন পীড়ন, সবই চলছে চলবে, তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকবেন এই মানুষগুলো, অকুতোভয়, উন্নতশির। ভারতীয় সাংবাদিকতার ওপর যতটা কালি অর্ণব গোস্বামী অ্যান্ড কোং দরাজ হাতে ঢেলেছে, তার থেকেও বেশি কলঙ্ককে ধুয়ে সাফ করতে পারেন কাঙাল হরিনাথের এই সন্তানসন্ততিরা। ... ...
এইসব পুরোনো বীভৎসতার ছবিকে সামনে রেখে বর্তমানের পরিস্থিতিকে যখন পড়ি, তখন বুঝতে পারি কিচ্ছু বদলায়নি। আমাদের মন বদলায়নি, সংহতি-মৈত্রীর শুভ উদ্যোগগুলিকে আজও ব্যর্থ করতে সমান ভাবে সক্ষম রাজনীতির লোকেরা, আর আমজনতা নেহাত ক্রীড়নক। গোদের উপর বিষফোঁড়ার নাম সোশ্যাল মিডিয়া। মুখে মুখে কথা ছড়াত আগে, তাকে পুলিশ আটকে রাখতে পারত অঞ্চল ঘিরে, কিন্তু আজকের নতুন দানবকে বধ করার কোনো একমুখী কৌশল নেই। দাঙ্গাবাজদের হাতে এই অস্ত্র কালাশনিকভের থেকেও বেশি ভয়ংকর। আজ যারা আগুন লাগায় তারা ঠান্ডা ঘরে বসে গোটাটাই অপারেট করে। সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে ওঠে সেই অপারেশনের বেসক্যাম্প। খবরের আগে ‘ভাইরাল’ হয় ভুয়ো খবর। প্রত্যক্ষ দাঙ্গাবাজেরা আজ প্রথমে রাস্তায় নামেন না, তাঁদের খোঁজ পেতে পেতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরবাড়ি। পশ্চিমবঙ্গে এমন ঘটনা গত পাঁচ-ছয় বছরে বারবার ঘটেছে, যখন সবটা বোঝা গিয়েছে তখন লাশ গোনা ছাড়া আর কোনো কাজই বাকি ছিল না। ৩৬ বছর বয়সি মার্ক জুকারবার্গের ব্রেন চাইল্ড ফেসবুককে মানুষখেকো দৈত্যের ভূমিকা নিতে দেখে ভূতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে নাগরিক সমাজ। কার্যসিদ্ধিতে হাসি চওড়া হয়েছে দাঙ্গা-সওদাগরদের। হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মালদহ, হাওড়ায় বারবার রক্ত ঝরেছে। আমরা চিনব তাদের, যারা এই জায়গাগুলিতে আগুন লাগাল, জানব কীভাবে ছলে-বলে-কৌশলে ফেসবুককেই অস্ত্র বানাল তারা। ... ...
রিংয়ের খেলা দেখাবার পর সে এই দুই জাদুকরের সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করত। সার্কাসের মাঝখানে জলপূর্ণ কাঁচের বাক্স রাখা হত, সহকারী ঝলমলে সাঁতারের পোশাক পরে তাতে ডুব দিত৷ তারপর জাদুকরেরা চকচকে লাল কাপড়ে ঢেকে তালা লাগিয়ে দিত বাক্সে। শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তের সাথে চলত উচ্চস্বরে বাদ্যঝঙ্কার৷ যখন দর্শকদের উত্তেজনা চরমে উঠত তখনই কাপড়টা সরিয়ে ফেলে দেখানো হত বাক্স খালি, কিন্তু সেটা যথারীতি তালাবদ্ধ৷ একই সময় ড্রামের আওয়াজের সাথে পেছনের পর্দা সরে সেই সহকারী মঞ্চে প্রবেশ করত সম্পূর্ণ শুকনো অবস্থায়৷ দর্শকদের বাঁধ ভেঙ্গে যেত করতালি ও উচ্ছ্বাসে। ... ...
দীঘায় ছিলাম একটি হোটেলে। মালিকের নাম শ্রীনাথ জানা। তাঁর তিনটি ঘর। সামনে খাওয়ার ব্যবস্থা। শস্তার হোটেলে। ঘরের মাসিক ভাড়া ৬৫ টাকা। তো সেই হোটেলওয়ালা ছিল গাঁজাখোর। আর তার ছিল একটি টাট্টু ঘোড়া। সেই ঘোড়ার ছিল একটি পালক। তার নাম ভানু। ভানু ছিল সবহারা এক মানুষ। উঞ্ছবৃত্তি করে দিন কাটত তার। আর সেই ঘোড়া সে পালাত মাঝে মাঝে, তাকে তখন খুঁজতে বের হতো সে। আসলে খোঁজার নাম করে ঘোড়ার মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করাই ছিল যেন কাজ। আমি শীতে যখন যাই, জানালার পাশে সেই শাদা ঘোড়া নিঃঝুম দাঁড়িয়ে থাকত। তারপর একদিন সে উধাও। ... ...
উঠোনের সেই সাদা কুয়াশা এখন পেয়ারা গাছের পাতা চুঁইয়ে টুপটাপ ঝরছে। আর ভোরের নিস্তব্ধতায় বারবার আছড়ে পড়ছে দমকা হাওয়া। ও দিদি, ঘরে যাও; দেখো কেমন হাওয়া ছাড়ছে। হাওয়ার কনকনে ভাব সত্যিই জার বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি আচমকা সব আগ্রহ ফটকের সামনে রেখে বড়ঘরে চলে আসি। রান্নাঘরের বেড়ায় ঝুলতে থাকা বাতির টিমটিমে আলো উঠোন পেরিয়ে বড়ঘরে আসার আগে অন্ধকারে ধাক্কা খেয়ে আরোও ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। সেই আলোতে দাদুর কাঠের চেয়ারে আমি কুন্ডলী পাকিয়ে বসে আছি। গায়ে জড়ানো ঠাকুমার পাতলা চাদর। ... ...
অন্ত্যেষ্টিশিল্পের আলোচনা এখানেই শেষ। অনেক দেশ এবং অনেক সময়কালের কাহিনী বাকী রইল। আশা করি সেগুলি তুলে ধরার জন্য কখনও এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় খণ্ড নিয়ে ফিরে আসব। যাবার আগে পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিই- কেন এই ধারাবাহিক শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন সমাজের সামাজিক গঠন, তাদের ভিতরকার উঁচু-নিচুর শ্রেণীভেদ, লিঙ্গবৈষম্য, সাজপোশাক, খাদ্যাভ্যাস এগুলো তাদের সমাধি ও অন্যান্য বিদায়-উপহার দেখে বোঝা যায়। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র বনাম গোষ্ঠীবোধ- কোন সমাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটারও আভাস পাওয়া যায়। পরলোক বিষয়টিকে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ কীভাবে কল্পনা করে এসেছে তার ধারণা পাওয়া যায়। বোঝা যায় সমাজগুলির শৈল্পিক ও প্রযুক্তিগত বিবর্তন। পাওয়া যায় সামরিক অভিযানের কাহিনী, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়ে অনেক তথ্য। পাওয়া যায় কিছু প্রেমকাহিনী, কিছু সমাধিলেখ, কিছু কবিতা। সামগ্রিকভাবে মানবসভ্যতার লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অভাবকে অনেকটাই পুষিয়ে দেয়- অন্ত্যেষ্টিশিল্প। ... ...
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করে এই রাজ্যের কৃষকদের এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন বলে বিজেপি প্রচার করেছে, অথচ বাজেট পাশের আগে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি মমতা বন্দপাধ্যায় এই প্রকল্পে রাজ্য অংশগ্রহণ করবে ঘোষণা করবেন, সে কথা জানিয়ে দেন। তাহলে ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গের ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবারের জন্য অতিরিক্ত খরচের সংস্থান বাজেটে কেন করা হল না? মনে রাখতে হবে এই প্রকল্প — যার ফলে কৃষক পরিবারগুলি (যাঁরা প্রকল্পের শর্তপূরণ করছেন) বছরে ৬০০০ টাকা সারাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাবেন - ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে এটাই বিজেপির সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘোষণা ছিল। ... ...
প্রবল নাটকীয়তার গল্প শুনে বড় হয়েছে যে ভারত, সে বাজেটে মজে থাকতে চায়, তার খুব গুরুত্ব আর না থাকলেও। আর মিডিয়ার তো কিছু একটা চাই বেঁচে থাকার জন্য, আত্নহত্যা থেকে বাজেট – কিছুতেই তাদের অরুচি নেই। তাই এই উন্মাদনা - যা প্রায় সার্কাসে পর্যবসিত। এক্ষেত্রে সঙ্গত ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে এত কথা জানার পরেও আমি কেন এইসব নিয়ে লিখে সময় নষ্ট করছি? আমি আসলে সেই কারণেই লিখছি যে কারণে সিপিএম দুর্গাপুজোয় বইয়ের দোকান দেয়! ... ...
সাদা চোখে তথ্য হিসেবে যেটুকু এখনও দেখা যাচ্ছে, বাংলায় যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের জন্য। ... ...
এবারের ই-পত্রিকা, এমনিই গল্পসংখ্যা। এমনিই, কারণ, গুরুর পরিচিত বৃত্তের বাইরে থেকে আমাদের কাছে গল্প আসে কিছু। কিছু গল্প এদিক-সেদিক পড়িও আমরা। কেবলমাত্র সেসবেরই টুকরো-টাকরা নিয়ে তৈরি করে ফেলা হয়েছে এই সংকলন। স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো গল্পসংকলন তো তৈরি করা সম্ভব না। এই সংকলনেরও তেমন কোনো দাবি নেই। পৃথিবীর শেষতম বা শ্রেষ্ঠ গল্পসংকলনও এ নয়। গুরুর নিয়মিত ই-পত্রিকার এটি একটি সংখ্যা মাত্র। ... ...
সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি আইটিও-র কাছে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে সরকারি বয়ানের বিপ্রতীপ এক বয়ান প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে, মৃত কৃষকের পরিবারের লোকজনের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়, যাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহের শরীরে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। ... ...
‘রক্তকরবী’র অনুপ্রেরণায় ছবি এঁকেছিলেন পরিতোষ সেন, শ্যামল দত্ত রায়, প্রকাশ কর্মকার, রবীন মণ্ডল, বিজন চৌধুরী, হিরণ মিত্র, ঈশা মহম্মদ, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, ওয়াসিম কাপুর, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিপ্রা ভট্টাচার্য, শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, ‘রক্তকরবী’র নাট্যাভিনয়ের প্রাপ্তি, পরীক্ষা ও সমস্যা বিষয়ে লিখেছিলেন থিয়েটারের প্রবীণ ও তরুণ নির্মাতা কুমার রায়, বিশাখা রায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, শিব মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (শুভাশিস পরে দৃষ্টিহীন শিল্পীদের নিয়ে ‘রক্তকরবী’র একটি অসামান্য প্রযোজনা তৈরি করেছিলেন)। মণিপুরের রতন থিয়াম তাঁর নিজস্ব নাট্যভাবনাকে রূপ দিয়েছিলেন একটি রেখাচিত্রে। ... ...
ই. সন্তোষ কুমার। আধুনিক কাহিনিকার। ভাষা মলয়ালম। একগুচ্ছ গল্প। রহস্যময়—প্রকৃতির অতীন্দ্রীয় রহস্য নয়, মানবজীবনের ছোটো ছোটো অপরাধ বড়ো বড়ো পাপ আর গোপনীয়তায় সে রহস্যের নির্মাণ। প্রতি মুহূর্তে পাঠকের মনে এক উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। কাহিনির চলনে থাকে থ্রিলারের স্বাদ। পড়লেন লেখক ও তরজমাকার তৃষ্ণা বসাক ... ...
মিষ্টি হাসে জয়মালিকা। সামনের গ্লাসটার কমলা রঙের সফ্ট্ ড্রিঙ্কটায় ছোট একটা চুমুক দিয়ে বলে, থ্যাঙ্ক য়্যু। একটা কথা একটু বিশদে বলে দিই। কুরুখ আমাদের ভাষার নাম, ঐ ভাষার সুবাদেই আমাদের অঞ্চলের লোকরা আমাদের কুরুখ বলে পরিচয় দেয়। আসলে যে উপজাতির মানুষ আমরা, তার নাম হলো ওরাওঁ। এ নামটা অনেক বেশি পরিচিত, আপনারা অনেকেই শুনেছেন নিশ্চয়ই। আর, সৌন্দর্যের যে কথা ম্যাডাম বললেন, সেটার সম্বন্ধে শুধু এইটুকুই বলবো, আমি আমাদের অঞ্চলের সেরা সুন্দরী নই, এমনকি, সেরাদের মধ্যে একজনও নই। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, আমাদের গণমাধ্যমে তথাকথিত ট্রাইবালদের যে অতি পরিচিত মুখটা দেখানো হয়, সেটা কোন্ ট্রাইবের কেউ জানে না। ট্রাইবাল-মেনস্ট্রীম ডিভাইডের ট্রাইবাল ফেস ওটা। ... ...
সময়সারণী বেয়ে আরেকটু পিছিয়ে যাওয়া যাক। সাল ১৮১০, কলকাতা থেকে সিটি অব এডিনবরা নামে একটি জাহাজ পাড়ি দিল নিউজিল্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে এবং বে অফ আইল্যাণ্ডে নোঙর ফেলল। যাত্রী তালিকায় নাম পাবেন না, এমনকি জাহাজের ইংরেজ আর অন্যান্য ইউরোপীয় নাবিকদের তালিকাতেও তাকে খুঁজে পাবেন না, সে এক লশকর। উনবিংশ শতকের সে কালে লশকরদের জাহাজে, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধের মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার জাহাজে বিশেষ খাতির। তাদের নাম-ধাম জানা নেই, শুধু জানা আছে তার সাকিন খুব সম্ভবত বাংলার কোথাও। সে জাহাজ নোঙর করা মাত্র উধাও হয়ে গেল। সেই অঞ্চলে তখন কোরোকোরো নামে মাওরীদের দলের নেতার (রাঙাটিরা) মস্ত প্রভাব, তিনি সেই যুবককে তাঁদের কাছে (নঙাপুহি) আশ্রয় দিলেন। ... ...
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বের ভুল হল, যখন পরিকল্পনা বহির্ভূত কিছু ঘটনা ঘটেই গেছে তখন জোরেসোরে তার সমর্থনে দাঁড়ানো উচিত ছিল। এভাবে তাঁরা অন্তর্ঘাতকে গিলে হজম করে নিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সহসা তাঁরা কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস সহসা অতিরিক্ত শঙ্কায় বদলে গেল। ... ...
প্রান্তিক কৃষকেরা মোটেই এই লড়াইয়ের মুখ্য অংশ নন। এই যুদ্ধ একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে সম্পন্ন কৃষক এবং মধ্যস্বত্বভোগী মাঝারি পুঁজির। অর্থাৎ সরকারের কাছে ঋণ নেওয়া দু-একজন লক্ষ কোটি টাকার মালিক এক দিকে, আর সরকারি সহায়তা পাওয়া কয়েক লক্ষ জন লক্ষ বা কোটি টাকার মালিক অন্যদিকে। সুতরাং সারা দেশের কৃষক আন্দোলন হিসেবে এই লড়াইকে অভিহিত করা শক্ত। ... ...