কয়েক হপ্তা আগেও রাত নামলে যে সড়ক অন্ধকারে মুখ লুকিয়েছে, সেখানে হঠাৎ বিশ-পঁচিশ পা অন্তর অন্তর তিন মানুষ উঁচু উঁচু খাম্বা আর আলোর বহর দেখে আরও একবার নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে হারু। একখানা ভাঙার চেষ্টায় হাতের শেষ ঢিলটি ফসকে গেলে অনেকটা যেন প্রতিবর্ত ক্রিয়ার মতো অস্ফুটে গালাগাল বেরিয়ে আসে ভেতর থেকে, ‘ধুর শালা, এত উঁচুতে কেউ লাইট লাগায়!’- গুলতি আনলে হয় না হারুদা?- তোর যেমন বুদ্ধি! খোলার কাচখানা কি মোটকা দেখছিস? তার ওপরে আবার লোহার জালি, - গুলতির নুড়িতে আঁচড়ও ধরবে না।- মেলা ফ ... ...
কিছুদিন আগে মার্কিন মুলুকে একটি নারী রোবট তৈরি হয়েছে। সোফিয়া। ওয়াহাবিদের দেশ সৌদি আরব সোফিয়াকে প্রথম নাগরিকত্ব দিয়েছে। সোফিয়া ন্যাড়া, মাথায় চুল নেই। হিজাব নেই। বেগানা বেপর্দা নারী রোবট। তবুও ওয়াহাবিরা তাঁকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। আবেগঘন বন্ধুত্বের দোহাই । সৌদিতে তাই যেকোন মার্কিন প্রোডাক্টই জায়েজ। এমনকি হলিউডের সিনেমাও। সে যাকগে, মোদ্দা কথাই আসি। তো এই যে সোফিয়া, আপনারা কি ভাবছেন ভারতীয় পূরাণের অনুপ্রেরনা ছাড়াই সেটা মার্কিনীরা বানিয়ে ফেলল ? সেটা আদৌ সম্ভব ? ধৃতরাষ্ট্রের পার্সোনাল পাইলট সঞ্জয়ের দিব্যদ ... ...
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। ... ...
ফার্স্ট ইয়ারে ফাইলের ওপরে লিখেছিলাম "ইউনিভার্সিটি অফ যাদবপুর"। এদিকে প্রতিবাদী বামপন্থী। কিন্তু বিক্ষুব্ধ। মানে কোন দলে নেই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। কী করে যেন তালেগোলে আমি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ মানে সিআর ক্যান্ডিডেট হয়ে গেলাম। কাগজের ভাষায় ডিএসএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দী এসএফয়াই-এর হয়ে দাঁড়ান আশিস দাস। অসম্ভব ম্যাড়ুম্যাড়ে ব্যাপার-স্যাপার। আমি আর আশিস গাছতলায় বসে কাউন্টার করে সিগারেট খাচ্ছিলাম আর জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প করছিলাম। মেন বিল্ডিং-এ ব্যালট গোনা হচ্ছে। আমরা দুজন ... ...
ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - মিল কতটুকু?একটি দেশ যদি বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী অর্থনীতি হয়, আরেকটির হাল বেশ নড়বড়ে - মানুষের হাতে কাজ নেই, আদ্ধেক মানুষের পেটে খাবার নেই, মাথার ওপরে ছাদ নেই, অসুস্থ হলে চিকিৎসার বন্দোবস্ত নেই। অবশ্য দুর্জনেরা বলেন, প্রথম দেশটিরও হাল সুবিধের নয় - গরীব-বড়লোকের মধ্যে বিভাজন বাড়ছে সেদেশেও, কাজ হারাচ্ছেন সেদেশেও হাজারে হাজারে মানুষ, চিকিৎসা করাতে না পেরে অসুস্থতা-হতাশায় ভুগছেন বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী অর্থনীতির অজস্র নাগরিক।কিন্তু, সে তো গেল আজকের ... ...
গরু বাগদির মর্মরহস্য - মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে। গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। ... ...
বাংলায় শেষমেস এনআরসি হবে, না হবে না, জানি না। তবে গ্রামের সাধারণ নিরক্ষর মানুষের মনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আজ ব্লক অফিসে গেছিলাম। দেখে তাজ্জব! এত এত মানু্ষের রেশন কার্ডে ভুল! কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম প্রায় সবার ভোটারেও ভুল। সব আইকার্ড নির্ভুল আছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। অন্যের ভুলের দায় সাধারন মানুষ গুলোকে পোহাতে হচ্ছে। লাল্টু সেখ, ফরিদা বিবি, লক্ষীরানী বাউরি, গোবিন্দ বায়েনদের লম্বা লাইন সাপের মতো চলে গেছে। কাউন্টার থেকে অফিসের প্রধান দরজা পেরিয়ে রোড অব্দি। ঘন্টার পর ঘন্টা এভ ... ...
(১)বিপিন বাবু সোদপুর থেকে ডি এন ৪৬ ধরবেন। প্রতিদিন’ই ধরেন। গত তিন-চার বছর ধরে এটাই বিপিন’বাবুর অফিস যাওয়ার রুট। হিতাচি এসি কোম্পানীর সিনিয়র টেকনিশিয়ন, বয়েস আটান্ন। এত বেশী বয়েসে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসি সার্ভিসিং করা, ইন্সটল করা একটু চাপ।ভুল বললাম, অনেকটাই চাপ। সাধারণত: কেউ করে না। এই বয়েসে ম্যাক্সিমাম অফিসে বসে হাল্কা ডেস্ক ওয়ার্ক। খুব বেশী কায়িক পরিশ্রমের কাজ হলে কর্পোরেট অফিসে টানা সেন্ট্রাল এসি বসানোর কাজের দেখভাল। ওসব প্রোজেক্টে অনেক জুনিয়র ছেলে কাজ করে, তাদেরকে দিয়ে ঠিকঠ ... ...
গত তিন বছর ধরে ছেলের খুব ঘুড়ি ওড়ানোর শখ। গত দুবার আমাকে দিয়ে ঘুড়ি লাটাই কিনিয়েছে কিন্তু ওড়াতে পারেনা - কায়দা করার আগেই ঘুড়ি ছিঁড়ে যায়। গত বছর আমাকে নিয়ে ছাদে গেছিল কিন্তু এই ব্যপারে আমিও তথৈবচ - ছোটবেলায় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানো "বদ ছেলে" দের কাজ - অতএব গ্রাম / মফস্বলে ছেলেবেলা কাটিয়েও আমার ঘুড়ি ওড়ানো হয়নি - অন্যরা ওড়াতো, আমি সতৃষ্ণ নয়নে চেয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করতাম কেন এটা খারাপ কাজ। সে বোধ আজও হলনি আমার - এদিকে যারা এসব বলত, তারা দেখি কবে যেন পালটি খেয়ে গেছে - ঘুড়ি ওড়ানো নাকি খুবই ... ...
১৯৮৩ সনের মাঝামাঝি অকস্মাৎ আমাদের বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ(ক) শ্রেণী দুই দলে বিভক্ত হইয়া গেল।এতদিন ক্লাসে নিরঙ্কুশ তথা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করিয়া ছিল কুচু। কুচুর ভাল নাম কচ কুমার অধিকারী। সে ক্লাসে স্বীয় মহিমায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করিয়াছিল। একটি গান অবিকল কিশোরের স্টাইলে গাহিবার অব্যবহিত পরেই সে মহম্মদ রফির স্টাইলে পরবর্তী গান গাহিত। এছাড়া মিঠুনের কোন সিনেমা রিলিজ করিল, 'তেরি মেহেরবানিয়া'র স্টোরি কীরূপে অভিনব, দলবদলে ইস্টবেঙ্গল কীরূপ কৌশলে মোহনবাগানের হাতে হ্যারিকেন ধরাইল, এইসব বিষয়েও তা ... ...
ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম ও কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে, দীর্ঘসংগ্রামে অর্জিত অধিকার সমূহকে মোদী সরকার হরণ করছে— আলোচনা করলেন রতন গায়েন। দেশে নয়া উদারবাদী অর্থনীতি লাগু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণপন্থার সুদিন সূচিত হয়েছে। তথাপি ১৯৯০-২০১৪-র মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণপন্থার দাপট বাম ও আঞ্চলিক শক্তির প্রভাবের কারণে কিছু পরিমাণে প্রশমিত ছিল। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ চরম দক্ষিণপন্থার জন্ম দেয়। ২০১৯-র নির্বাচনে আরো বেশি গরিষ্ঠতা লাভকে মোদী দক্ষিণপন্থার পক্ষে এ ... ...
কাশ্মীরে ডোগরা রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবার পর তাদের আত্মীয় পরিজনেরা কাশ্মীর উপত্যকায় বসতি শুরু করে। কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মানুষেরাও ছিলেন। এরা শিক্ষিত উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনি। দেশভাগের পরেও এদের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছে। অন্যদিকে কাশ্মীরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যবসা বানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা ছিল কৃষি শ্রমিক, শিল্প সামগ্রী ও পর্যটন শ্রমিক। ডোগরা রাজাদের পৃষ্ঠপোষক ছিল হিন্দু জমিদার মালিক ও কাশ্মীরি পন্ডিতরা। প্রজাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। মালিকশ ... ...
মোদীর সিংহগর্জন আর অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতাকে চাপা দিয়ে রাখতে পারছে না। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে ভারতের অর্থনীতি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সংকট কতটা গভীর সেটা তার স্বীকারোক্তিতে ধরা পড়েনি। ধরা পড়েনি এই নির্মম সত্যটি যে শ্রীনগরের লালচকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী হরিয়ানার উছৃঙ্খল যুববাহিনীর উদ্দাম নৃত্যের ব্যবস্থা করে কিংবা গোবলয়ে মুসলিম পিটিয়ে অথবা দলিতনারীকে ধর্ষণ করার ঢালাও ব্যবস্থা করে এই সংকট এড়ানো যাবে না। বিষয়টা ... ...
"তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে ..."সেই অক্ষরগুলোকে ধরার আরেকটা অক্ষম চেষ্টা, আমার নতুন লেখায় ... এক বন্ধু অনেকদিন আগে বলেছিলো, 'আঙ্গুলের গভীর বন্দর থেকে যে নৌকোগুলো ছাড়ে সেগুলো ঠিক-ই গন্তব্যে পৌঁছে যায়' .. সেই বন্দরের দিকে তাকিয়েই ভাসিয়ে দিলাম এই লেখাটাও !(বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ এই গল্পের সমস্ত ঘটনা কাল্পনিক, মনগড়া, আজগুবি এটসেটেরা। আসলে বাংলা মিডিয়ামের ছেলেরা আদৌ আমার মতন ল্যাদাভ্যারুস না, বরং অনেক স্মার্ট হয় ! কাউকে কাউ ... ...
অযোধ্যার নবাবির পত্তন করেছিলেন প্রথম সাদত আলি। পারস্যের লোক। দিল্লির মুঘল বাদশা তাঁকে অযোধ্যার নাজিম করে দেন। সেই নাজিমই লক্ষ্ণৌর কাছে ফয়জাবাদের রাজধানী স্থাপন করে অযোধ্যার নবাবি শুরু করেছিলেন। তৃতীয় নবাব সুজা-উদ-দৌলার আমলে রাজধানী চলে আসে লক্ষ্ণৌতে। সেই থেকে অযোধ্যা আর লক্ষ্ণৌ সমার্থক হয়ে ওঠে। তদ্দিনে দিল্লির অস্তগামী ছায়া পড়েছে লক্ষ্ণৌতে। লক্ষ্ণৌ তখন হিন্দুস্তানী সংস্কৃতির শুধু ধারক-বাহকই নয়, তার অগ্রডোমও বটে। ... ...
আমার এক বন্ধু ওর একটা ভিজিটিং কার্ড আমাকে দিয়েছিল। আমি হাতে নেওয়ার সময় কার্ডটা দেখে বুঝতে পারলাম কার্ডটা গতানুগতিক কোন কার্ড না, বেশ দামি বলা চলে। আমি বাহ! বলে কাজ শেষ করে দিলাম। আমি আমার বন্ধুকে চিনি, ওর কার্ডের প্রতি এরচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখালে ও আমার মাথা নষ্ট করে দিবে এই কার্ডের আলাপ করেই। যা একশ তা হয়ত দু হাজার বলে বসে থাকবে। কিছু না বললেও হয়ত এই প্যাঁচাল আমাকে শুনতে হতে পারে, তাই আমি চুপ। কিন্তু আমি চুপ করলেও আমার পাশের জনের আর তর সইল না, জিজ্ঞাস করে বসল, দারুণ তো কার্ডটা, কত করে হাজার এই কার ... ...
চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটিতে ঠিকঠাক নামতে পারেনি, তার ঠিক কী যে সমস্যা হয়েছে সেটা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে তর্কাতর্কি, সরকারের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে। প্রকল্পটির সাফল্য কামনা করে ইসরো-র শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা প্রকাশ্যে পুজো-আর্চা করেছেন, গুরুর শরণ নিয়েছেন। তাই নিয়ে চলেছে প্রবল হাসিঠাট্টা। আর সরকারের সমর্থকেরা তার উত্তরে বলছেন, চন্দ্রযানকে চাঁদে নামাতে না পারলেও নামবার অবস্থা পর্যন্ত পাঠাতে পারাটাই এক বিরাট কৃতিত্ব, এবং দেশের পক্ষে এক ভীষণ গর্বের ব্যাপার, ... ...
তোমারি তুলনা তুমি....আজ তাঁর জন্মদিন। আমার জংলা ডায়রির কয়েকটা ছেঁড়া পাতা উড়িয়ে দিলুম তাঁর ফেলে যাওয়া পথে।দাঁড়াও পথিকবর....জন্ম যদি তব অরণ্যে," সবুজ কাগজেসবুজেরা লেখে কবিতাপৃথিবী এখন তাদের হাতের মুঠোয়"(বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)মহাভারতের কালে অঙ্গ ও বঙ্গদেশ শুধুই অরণ্য ছিলো। কিন্তু বাঙালির অরণ্যপ্রীতির ইতিহাস বিশেষ প্রাচীন নয়। রাজা রামমোহন বেশ কিছুদিন চাতরার জঙ্গলমহলে আমিন ও মুন্সির কাজ করেছিলেন প্রায় দু'শো ব্ছর আগে। যে চাতরা আজকের দিনেও প্রায় দুর্গম একটি ... ...
'বেকার'-এই শব্দটি আমাকে আজন্ম বিস্মিত করেছে। বাংলায় লেখাপড়া শিখে, এমনকী একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে, সে কী বাংলায় পদার্থবিদ্যার বিদ্যা বালানীয় চর্চা! যেমন, 'ও বিন্দুর সাপেক্ষে ভ্রামক লইয়া পাই।' ভ্রামক কি রে? ভ্রম না ভ্রমণের কাছাকাছি? না, ভ্রামকের নিকটবর্তী শব্দ হলো দ্বন্দ্ব। মূল শব্দ দুটি হলো, যথাক্রমে মোমেন্ট ও কাপল। অর্থাৎ, মুহূর্ত এবং দম্পতি/যুগল ভাবলেই ল্যাঠা চুকে যায়। তা নয়, একটি তীর আঁকা ভেক্টরীয় বল এবং নির্দিষ্ট বিন্দু হইতে উল্লম্ব দূরত্বের নির্ণেয় আজব গুণফল, চিত্তরঞ্জন দা ... ...
মানস চক্রবর্তীকবিতা কি বিনােদনসামগ্রী? তর্ক এ নিয়ে আপাতত নয়। কবিতা কি আদৌ কোনাে সামগ্রী? কোনাে কিছুকে পণ্য হয়ে উঠতে হলেও তার একটা যােগ্যতা দরকার হয়। আজকের দিনে কবিতা সে-অবস্থায় আদৌ আছে কি না সবার আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। কবিতা নামে একটা ব্যাপার আছে, এটুকু সাধারণভাবে স্বীকৃত। স্বীকৃত বলেই নিউইয়র্ক টাইমস-এর গত নভেম্বরের বেস্টসেলার লিস্টে তিন নম্বরে ছিল কানাডার পাঞ্জাবি বংশােদ্ভূত কবি রুপি কউর-এর অক্টোবর ২০১৭-য় প্রকাশিত দ্য সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস কবিতার বইটি। অর্থাৎ, মানুষ কবিত ... ...