সেক্স একটি অতি সেক্সি বিষয়। কিন্তু সেক্সের কোনো বাংলা নেই। ... ...
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তাঁর আত্মজীবনী 'লিভিং টু টেল দ্য টেল' এর কোনো পরবর্তী খণ্ড কেন লিখলেন না তা নিয়ে তাঁর গুণ্মুগ্ধ পাঠকদের মধ্যে অনেক কৌতূহল আছে।এবার তাঁর বড় পুত্র রড্রিগো গার্সিয়া তাঁর স্মৃতিচারণ মূলক 'আ ফেয়ারওয়েল টু গ্যাবো অ্যাণ্ড মার্সেডিজ ঃ আ সন্স মেমোয়ার অব গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ অ্যাণ্ড মার্সেডিজ বার্ছা ' বইতে সেই কৌতূহল মেটালেন। ... ...
আমি এবারে ভেঙে পড়লাম। সেই কেজি ওয়ান থেকে অপেক্ষা করছি। ভেবেছিলাম ইন্দিরা গান্ধী চিঠি দেবে ওভারটাইমের জন্য। সে হেরে গেছে। আমি তাহলে দেশের দরকারে লাগব কী করে? চোখে জল চলে এল আমার। মা একটু সময় নিয়ে ব্যাপারটা বুঝল, আমার সমস্যাটা কী? তারপরে বলল, - তুমি ভুল বুঝে কষ্ট পাচ্ছ। দেশ ঐভাবে চিঠি দেয়না। দেশ কি চায়, সেটা বইতে লেখা থাকে। আর খেলতে গেলে হারজিত হবেই। কখনো মোহনবাগান জিতবে, কখনো ইস্টবেঙ্গল। এতে দুঃখের কিছু নেই। আমি কান্না ভেজা গলায় বললাম, - তা সে কোন বইতে দেশের দরকার লেখা থাকে, সেটা কি তোমার কাছে আছে? আমি পড়তাম তবে। ... ...
ছোটবেলায় মোটা বেতের ঝুড়ি মাথায় ফেরিওয়ালারা হেঁকে যেত “হরেএএএক মাল পাঁসসিকে”, এখন যায় তাদেরই আধুনিক সংস্করনরা, রেকর্ড করা গলায় বলে “আমাদের প্রচার গাড়িতে পাবেন নানা ধরনের জিনিস”। ‘প্রচার গাড়ি’ শব্দগুচ্ছ অনেকটা ‘সৌন্দর্য সাবান’-এর মত, কী যে তার মানে কেউ জানে না। যাই হোক, সেই পায়ে চালানো গাড়িতে যা যা থাকে তার প্রায় সবই ভেসে যেতে দেখলাম বারান্দা থেকে - ছোট গামলা, বাটি, খেলার বল, বোতল, ক্যারি ব্যাগ, দড়ি ইত্যাদি। গাড়িতে যা থাকে না তাও দেখলাম - ধবধবে সাদা টগর ফুল, সবুজ রঙের বাঁশ, গাছের পাতা, এমনকি এক পাটি জুতোও। ... ...
২০১১ সালে সালাউদ্দিনের খুনের পর পেরিয়ে গিয়েছে সুদীর্ঘ নয়টি বছর। গতকালই সালাউদ্দিন খুনের মামলার রায় ঘোষণার করেছে কোর্ট। বিচারে বাপি এবং মিলি উভয়কেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে ত্রিকোণ প্রেমের জন্য এই খুন এবং তার তদন্ত হয়তো খুব জটিল ছিল না তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু ডিএনে পরীক্ষার হাত ধরে অপরাধী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। ... ...
কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে গেছেন। কম্যুনিস্ট না হোক অন্তত বামপন্থী ভাবাদর্শ থেকে কেউ একটা দক্ষিণপন্থী দলে গেলেন, সেটা এই প্রথম নয়। যথারীতি তবুও প্রভূত শোরগোল শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নটা হওয়া উচিত যাওয়া নিয়ে নয়, যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। ... ...
মেহতা সাব কেমন যেন চুপসে গেছেন, থ্যালিয়াম সালফেটের ভিসেরা রিপোর্ট দেখার পর কি? কুমড়োপটাশ পরিহারজি আঙুলের নখ খুঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোসলে স্যার ফাইলে কোন কাগজ দেখছেন, এবং নিজের কিছু নোটস। এবার সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। ... ...
সুন্দর লম্বা চিঠি লিখতো শুভ্রকান্তি, কখনো-সখনো শৌভিক, একবার-আধবার সন্দীপ । শুভ্র একদিন লিখলো ওদের দামোদরের জল শুকিয়ে চড়া পড়ে যায় গরমে, কোথাও কোথাও হেঁটে হেঁটে পেরোনো যায় দিব্যি। সে চিঠি যেদিন পৌঁছলো আমার বাড়িঘরময় তখন বন্যার জল থইথই, বাবা ইঁট পাতছেন গলির ভেতরে, আর মা সেই জলের মধ্যে হাঁটুর উপর কাপড় তুলে বালতি বালতি জল ঘরে তুলে রাখছে, আর গলায় তাঁর দীর্ঘদেহী ঈশ্বরের কোনো একটা বর্ষার গান। এক বর্ষার দিনে শুধু বাড়ি ফিরতে গিয়ে দেখি সেই ইঁটগুলো আর নেই -- গলির মধ্যে জল পাড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে কেডস ভিজে যাবে বলে এক শ্রাবণে ভিজে ভিজে বাবা যে ইঁটগুলো পেতে রেখেছিলেন আমার আজন্ম বর্ষাকালে ... সেই প্রকান্ড মহীরুহ তার ডালপালা, তার শেকড়, তার কোটরে বাস করা তক্ষক, তার বর্ষার জলে পাতা ইঁট – সব নিয়ে একদিন চলে গেছেন কোনো একটা দৃশ্যের ওপারে ... সেইখানে যেখানে আর কোনো চিঠি-ই পৌঁছয় না। ... ...
বয়স পঁচাত্তর। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশে অনেক মানুষ এক ডাকে চেনে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিও আছে। সেই তিনিই থানা থেকে বেরিয়ে এলেন কাঁপতে কাঁপতে, মুখ দু হাতে ঢেকে, যেন তাকে নিতে আসা আত্মীয়স্বজন দেখতে না পায় কান্না রক্ত অপমান মাখামাখি সর্বস্ব হারানো মানুষটির লাঞ্ছিত মুখমণ্ডল। তাদের কাছেই তো ফোন গিয়েছিল ছাড়াতে আসবার সময় যেন মৌলানার জামাকাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। তাহলে যে পোশাকে শিক্ষককে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো কোথায় ! বন্ধুরা, যারা আমাকে নতুন বছরের শুভ ... ...
সর্বজয়া ভৈরবী সুরের সেদিন যে কি সর্বগতা রূপ দেখেছিলাম -- আজ সকালে কেন জানি মনে পড়ে গেল। 'ফেড আউট' হতে চলা স্মৃতিকে অজস্র ধন্যবাদ তার জন্য। ... ...
রঙের চেতনা, চেতনার রঙ ... ...
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর শহরের পেনসনবাড়া এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারের সারি। এফ ব্লকে শুধু কলেজের প্রফেসারদের দুই বেডরুমের আবাসন, সঙ্গে একটু বাগানের জায়গা। একটির গেটে লেখা - এফ/৪, শৈবলিনী চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিভাগ। ভেতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছে। ... ...
কবিতা কৃষ্ণনের ট্যুইটে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিওর নীচে যে শেষমেশ রাজনীতি, পুলিশের আসল উদ্দেশ্য, পুলিশের নিজেকে রক্ষা করার উচিত কিনা – এসব নিয়ে জলঘোলা করা হবে, তাতে কারুর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে, কতদিন ধরে, উচ্ছেদ কতটা ন্যায়সঙ্গত, কোনো মূল্যেই – নাগরিক, পুলিশ – কারুর জীবনের বিনিময়েই কি মন্দির বানানোর নামে উচ্ছেদ করা দরকার – এ সব প্রশ্ন ছাপিয়ে উঠে আসবে, ভিডিওতে দেখানো একটিমাত্র লোককে অনেক পুলিশ মিলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা ছাড়াও কোনো ‘বৃহত্তর’ ছবি ছিল কিনা। কেউ আর একটা ভিডিও শেয়ার করে দেখাবে, ‘আহা, পুলিশ বলে কি মানুষ নয়?’ মুখ্যু-মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এরই প্রতিধ্বনি করে বলবেন, ‘পুলিশ তো নিজের কাজ করছিল, ওই লোকগুলোই লাঠিসোটা নিয়ে ওদের মেরেছে।’ ... ...
অর্চনাদি লক আপ টর্চারে পঙ্গুত্ব অর্জন করেছিলেন। তাঁর শরীরের নিম্নাঙ্গে পক্ষাঘাত হয়েছিল। বেশ কিছু বিদেশি সংস্থা, অর্চনা গুহর কথা জানাজানি হবার পর এগিয়ে আসে। অর্চনাদিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় তাদের তরফে। ... ...
জীবনীশক্তির কথা। কীভাবে এই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ সঙ্কটের মধ্যে স্যানিটি বজায় রাখা যায়, আর দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। কী করে এই ভীষণ যুদ্ধ করা যায় -- নিজের মনের বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে। অথবা, ঘৃণা হিংসার রাস্তায় না গিয়ে। আত্মহত্যার রাস্তায় না গিয়ে। ... ...
ভাবনার মৌলবাদ শুরু হয় কোত্থেকে? ... ...
১৬৭৯ সালের ১৮ অক্টোবর শিবাজির নৌবাহিনীর হাতে বম্বের ইংরেজরা সত্যিই শোচনীয়ভাবে হেরে যায়। শম্ভাজির নৌবলাধ্যক্ষ কনহজি শঙ্খপালের বাবা বিঘ্নেশ কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু দৌলত খান,জর্জ কোল, থ্রপ, ব্র্যাডবেরি আর ওয়েলশ্ এর নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়। মারাঠা গ্রামীণ শাসনের রূপ, আর নারী স্বাধীনতা ঐতিহাসিক সত্যি। এছাড়া বাকিটার পুরোটাই কাল্পনিক গল্প। ... ...
১৮৩৬ সালের ১০ই জানুয়ারি (মতান্তরে ২৮ অক্টোবর) সমগ্র মেডিক্যাল কলেজ ভেঙে পড়েছে মর্গের সামনে, তিল ধারণের জায়গা নেই। কিন্তু কেন এই জনসমুদ্র? কারণ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মধুসূদন গুপ্তের হাত ধরে কল্লোলিনী তিলোত্তমা সাক্ষী থাকবে এক নতুন ইতিহাসের। ভারতের মধ্যে কলকাতার বুকেই প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ তৈরি করবে এক অনন্য ইতিহাস। ... ...