Saikat BandyopadhyaySeptember 19 বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানঃ পুলিশ মারবেনা তো কি পিডাব্লুডি মারবে? ছাত্ররা মার খাবে না তো কি, রসগোল্লা খাবে? আমাদের ছেলেবেলায় বাঁদরামো দেখলে মেরে মাস্টাররা নুলো পর্যন্ত করে দিত। পরের দিন হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে ল্যাং ল্যাং করতে করতে আবার ইশকুলে। কোনো কমপ্লেন করেছে কেউ? হ্যাঁ, নিজের হাতেও মারতে পারতাম। কিন্তু রাজধর্ম বলে একটা ব্যাপার আছে তো। ভিসি শব্দরূপ জানেন? ভিনি ভিডি ভিসি। খোদ সিজারের কথা। রোম সম্রাট কি নিজের হাতে স্পার্টাকাসকে মেরেছিল নাকি অ্যাঁ? নি ... ...
- কোনো ক্রাইসিস পিরিয়ডে ঘুম থেকে উঠে, আগে ভাত আর ডাল বসিয়ে দিতে হয় জানোনা। তুমি তো অনেকক্ষণ উঠেছো। ডালটা সিটি দেওয়া থাকলে, তাতে ডুবিয়েও তো সবাই পাঁউরুটি খেতে পারতো। তিনটে অসুস্থ, দুটো সুস্থ মানুষ খাবে কী এখন। ঘড়িতে সকাল দশটা বাজতে যায়? কর্তা দেখলাম জুৎসই উত্তর হাতড়াচ্ছেন। এমন সময় রান্নার মেয়েটি ঘর থেকে বেরোলো, আর বাংলার পাঁচ, ছয়, সাত সবরকম মুখ করে চাল ধুতে শুরু করলো। সহোদরাও বেরিয়ে পড়লো। আমাদের ঘরে তো আর অ্যাটাচড বাথ নেই। আর পতিদেব সুযোগ বুঝে - 'ওরে বাবা, চারদিকে করোনা বেরিয়ে পড়েছে, মাস্ক আমার মা - স্ক' - এই বলে এক লাফে বেডরুমে ঢুকে পড়লেন। আমি দাঁত কিড়মিড় করে ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলাম, কর্তা একেবারে কম্বলের তলায় ঢুকে পড়েছে আর দুটো চোখ বার করে দেখছে, আমি তাকে দেখছি কিনা। যেই আমি তাকিয়েছি, দেখি মুখে একটা অসহায় হাসি, এদিকে কম্বল থেকে একটা পা বার করে নাচাচ্ছে - পা দেখিয়ে আমায় রাগাচ্ছে। কী আর করি। পাত্তা দিলাম না। কিন্তু বুঝলাম মাটন স্টুটা আমাকেই রাঁধতে হবে। একমনে মহা করোনাঞ্জয় মন্ত্র আওড়ালাম - "মাটোন আমার কাঁটোন সই উনুনের ঝিক। রাম করোনা বুকে আছে পারবো আমি ঠিক।" ... ...
“The struggle of man against power is the struggle of memory against forgetting” Milan Kunderaআজ থেকে ৩৭ বছর পূর্বে ১৩ই মে ১৯৭৯ মরিচঝাঁপি অপারেশনের "ফাইনাল অ্যাসল্ট" শুরু হয় এবং ১৬ই মে ১৯৭৯ পশ্চিমবঙ্গ সরকার গর্বের সাথে ঘোষণা করেন -অবশেষে মরিচঝাঁপি উদ্বাস্তু শূন্য । বিদেশী শক্তির দালাল ,ভারতের পবিত্র অখণ্ডতা ভঙ্গকারী এই সব হতচ্ছাড়া জবরদখল কারীদের উচ্ছেদের অবশেষে কোন বিজয় উৎসব অথবা পাচতারা হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল কিনা অজানা । তবে এই বিষয়টি এতোই ক্ষুদ্র ... ...
মিং গা সি মো ? ঙ্গা গী সোনম ইন । খো গী ? দেব । গা তে লা মো ? ট্রাসিগাং ! ওহ তাই এত রূপ । টিকালো নাক আর জ লাইন দেখেই অবশ্য আন্দাজ পেয়েছিলুম ইনি লিম্বুনি নন । কিন্তু দু -চার কথার পরে আমার জংখার স্টক ফুরিয়ে আসে । একসেন্ট তুলে নেওয়া তো খুব সহজ কিন্তু ভাষা শিখে উঠতে পারিনি এত দ্রুত । শব্দভান্ডার খুবই সীমিত । সোনম বুঝতে পারে এবং ইংলিশে আলাপ চালিয়ে যায় । আলাপ বলতে অবশ্য হাসি বেশি কথা কম । ইউনিভার্সিটির পাট চুকিয়ে সে এখন থিম্পুর একটা সেকেন্ডারী ইস্কুলে পড়ায় । টি ... ...
দৈনিক ভোরের কাগজে কাজ করিবার সময় ২০০২ সালের দিকে যোগ দিলেন ফটো সাংবাদিক মামুন আবেদীন। তাহার সামান্য বায়ুচড়া দোষ আছে; এমনিতে লোক খারাপ নহে। ইতিপূর্বে তিনি দৈনিক আজকের কাগজে আমার সহকর্মি ছিলেন। সেই সুবাদে আমার কাছে নানান আব্দার ছিল তাহার। ... ...
এক ছিল রাণী, তার মালখানায় মাল ছিল, ঘেউখানায় ভুকুল ছিল। তার শিক্ষামন্ত্রী ছিল ব্যর্থ। রাণীমাকে তার ভাইপোরা দিদি বলে ডাকতো। রাণী একদিন খেয়াল করলেন তার অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু স্কুল কলেজে পড়াশোনা হচ্ছে। রাণী দেখলেন বিপদ – কত চেষ্টা করে জেলায় জেলায় প্রচুর চেষ্টায় ডকে তুলে দিলেন লাখ লাখ কলেজ আর তারই নাকের ডগায় এ হেন বিষফোঁড়া? অ্যাঁ - লোকে বলবে কি? তার অকুতোভয় সৈনিক আরাষণ্ড – জলের জগ নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবাদী শিক্ষিকার দিকে। তার প্রিয় যুব সেনাপতি বঙ্কুদেশ একা অসীমসাহসে মাত্র পঞ্চ ... ...
বিউলির ডালভাদ্রের যে এমন নাভিশ্বাসের গরম আছে ইন্দুবালা আগে কখনও জানতেন না। কিম্বা ঠাহর করতে পারেননি তেমন। বিয়ের পর ছেনু মিত্তির লেনে এসে বুঝতে পেরেছিলেন শহুরে দমবন্ধ করা পরিবেশ কাকে বলে। গায়ে গায়ে ঠেকানো বাড়ি। চৌকো খোলা ছাদ। বাড়ির ভেতর থেকে একটুস খানি আকাশ। করপোরেশান কলের ছিরছিরে জল। শ্যাওলা ওঠা স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল। বড় সোঁদা সোঁদা গন্ধ। আশে পাশে কোন নদী নেই। পুকুর নেই। তার বদলে বাড়ির সামনে আছে মুখ হাঁ করা বড় বড় নালা। তার দুর্গন্ধ। হুল ফোটানো মশা। গা ঘিনঘিনে মাছি। আর সন্ধ্যে হলেই টিমটিমে ... ...
অধ্যাপক.....আজ সারাটা দিন প্রায় ফাঁকাই আছে| থার্ড পিরিয়ডে একটা ক্লাস আছে শুধু, তারপর একটি ছাত্রী আসবে| মেজর প্রজেক্টের টপিক নিয়ে কিছু আলোচনা আছে| টপিক ঠিকই করা আছে‚ শুধু কি ভাবে কাজটা এগোবে তার একটা আইডিয়া দিয়ে দিতে হবে মেয়েটিকে| মাস ছয়েক সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে কাজ| তাই খুব বেশি স্ক্র্যাচ থেকে কাজ করালে চলবে না| নিজের তৈরি যে প্রোটোকলটা আছে সেটাকেই একটু ইম্প্রোভাইজ করিয়ে দিলেই হবে| ব্যাচেলর লেভেলের কাজ‚ পি এইচ ডি তো নয়‚ ওতেই মোটামুটি চলে যাবে| কিছু স্টাডি মেটিরিয়ালের সাথে প্রোটোকলের ... ...
কবি বীতশোক ভট্টাচার্যের প্রয়াণ-দিবস আজ। কিছু স্মৃতি ও কিছু কবিতা নিয়ে এই লেখা। ... ...
কিন্তু সবথেকে আশ্চর্য লাগতো এইটা দেখে যে বাকি সব পুজো-পার্বণ এদিক-ওদিক গড়াগড়ি খায়, কিন্তু ওই এক বিশ্বকর্মা পুজো নট-নড়নচড়ন, ফি বচ্ছর ১৭-ই সেপ্টেম্বর বাঁধা। সেই দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্মে যেমন সদর্পে ঘোষণা থাকতো, 'সব জ্যোতিষী বারবার, অমৃতলাল একবার!' (বলাই বাহুল্য, অমৃতলালের কেরিয়ার নিয়ে সেই থেকে কিছুটা সংশয় এযাবৎ রয়েই গেছে)। তো এবারের গল্প, থুড়ি, রচনা আমাদের সেই 'নিষ্পাপ' ছোটোবেলার একমাত্র ফিক্সড পয়েন্ট নিয়ে, যার নাম ১৭-ই সেপ্টেম্বরের আকাশ, ধারকাছ দিয়ে গেলে সাবধান, এই বয়সে ভোঁকাট্টা হলে দায়িত্ব কিন্তু কর্তৃপক্ষের নয়। ... ...
বাড়ি খুঁজছি তখন । অপশন তিনটে । পাহাড়ের ওপর । নদীর ধার । বাজার । পাহাড়ের টং এ বাড়ি নেওয়া চাপের । নিজের গাড়ি নেই । তোর্সা নদীর ধারে নিলে অনেকটা হেঁটে এসে তবে ট্যাক্সি স্ট্যানড , কাজেই চলো মার্কেট এরিয়া । ইমিডিএট বস জিগমে ওয়াংদি কথা দিলো চিন্তা কোরনা অত , তোমার হোটেলে থাকার আয়ু তো আরও একুশ দিন আছে , আমি দেখে দেবো বাড়ি ; চলো বিয়ার খাই । অতএব আমরা রোজ আপিসের পরে বিয়ার খাই । তোর্সা নদীর ধারে নাইট ক্যাম্প ও হয়ে গ্যালো একদিন , বাড়ি খোঁজা আর হলনা । প্রমাদ গুনলুম । একদিন ইচ্ছে করে জিগমের সামনেই ... ...
আমি কেন আই-ফোন কিনলাম? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সোজা, অমৃতার চাপে পড়ে! প্রশ্ন উঠতে পারে, অমৃতা তাহলে আই-ফোন কিনল কেন? পরিপার্শ্বের চাপে পরে? পিয়ার প্রেসার? স্টেটাস সিম্বল? – হতে পারে এর অনেকগুলোই কিছু কিছু সত্যি। শুধু অমৃতা নয়, একটু ভেবে দেখেছেন কি আই-ফোনে কি ভাবে ‘দ্যা মোবাইল’ হয়ে উঠল বা আজকাল আমজনতা কেন যে দামেই আই-ফোন বেরুচ্ছে সেই দামেই কেনার জন্য অগ্রীম অর্ডার দিচ্ছে বা রাত জেগে লাইন লাগাচ্ছে? তাই আসল প্রশ্ন অমৃতা কেন আই-ফোন কিনল সেটা নয় – প্রশ্ন হল, কিভাবে অসংখ্য অমৃতা-দের মনে হতে শুরু করল যে আই-ফোন-ই সেই মোবাইল যা তাদের চাই? আর এই যে আমি গুচ্ছ আঁতেল - এতো কিছু জেনেও তাহলে আমি আই-ফোন কিনলাম সত্যিই কি শুধু অমৃতার চাপে পড়ে? নাকি তার বাইরেও কিছু আছে? এই সব নিয়ে গভীরে ঢোকার আগে একটা গল্প শুনে নেওয়া যাক - কালো মুক্ত-র (ব্ল্যাক পার্ল) গল্প। ১৯৭৩ সাল নাগাদ একবার দক্ষিণ ফ্রান্সের কাছে সমুদ্রে নিজের ইয়াট-এ করে ছুটি কাটাতে গিয়ে সালভাদর এর সাথে আলাপ হয়ে গেল বরুইলে নামের এক স্টাইলিশ ফ্রেঞ্চ ব্যবসায়ীর সাথে। মুক্ত প্রসঙ্গে উঠতে বরুইলে জানালেন তিনি এক অদ্ভূত জিনিসে সন্ধান পেয়েছেন – এমনিতে তিনি এক তাহিতি কন্যার প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি ওদিকে ঘোরার সময় লক্ষ্য করেছেন যে দক্ষিন প্রশান্ত মহাসগারে তাহিতির কাছেকাছি ওদিকেটা একধরণের কালো-মুখো ঝিনুকে ভর্তি – আর সেই সেই ঝিনুক থেকে নাকি বেরিয়ে আসে এক বিষ্ময়কর বস্তু ‘কালো মুক্তো’ ... ...
গোদার নিয়ে বঙ্গীয় সিনেফিলদের আকুল হবার কোনো কারণ নেই, কারণ গোদার আমাদের রক্তে, একদম হিমোগ্লোবিনে ঢুকে ছানা কেটে দিয়েছেন। মারাদোনার বাঁ পা যেমন আমাদেরই বাঁ পা, চিনের চাউমিন যেমন আমাদেরই চাউমিন, বিলেতের কোহিনুর যেমন আমাদেরই কোহিনুর, গোদার তেমনই আমাদেরই ফরাসি আতর। প্যারিসে নাকি প্রবাদ আছে, "জনপ্রিয়তায় হাঁদাভোদার, পরেই আছেন জাঁ লুক গোদার"। গোদার আমাদের যৌবনের উপবন, বার্ধক্যের বৃদ্ধাবাস, গোদার আমাদের আরামের পান্তাভাত, গোদার আমাদের বাড়ি ফেরা। গোদারের বাড়িই আমাদের বাড়ি, গোদার বাড়ি। ... ...
রবিবারের বিকেলে শপিং মলের এস্ক্যালেটরের সামনে দাঁড়িয়ে অ্যান হ্যাথওয়েকে মনে করার কথাই নয় অদিতির। অ্যান হ্যাথওয়ের সিনেমা সে খুব কমই দেখেছে - দুই মেয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ারি আর হিমানীশের সঙ্গে ডেভিল ওয়ারস প্রাডা দেখেছিল। আর কি একটা সিনেমা দেখতে গিয়ে সং ওয়ানের একটা ট্রেলার- অথচ এই রবিবারের বিকেলে এস্ক্যালেটর থেকে নেমে ঐ ট্রেলারটাই মনে এল অদিতির। এই শপিং মলের উপচে ভরা ভীড়, আলোকোজ্জ্বল বিপণি, এস্ক্যালেটর, স্যান্টা ক্লজ , শেষ বিকেলের রোদ্দুরটুকু, গোটা মল জুড়ে ক্রিসমাসের সাজ-সব ছাপিয়ে সং ওয়ানের অ্যান ... ...
শহীদ হলেন প্রবাদপ্রতিম কুর্দ কম্যান্ডার ‘ আবু লয়লা ‘ । সিরিয়ায় আইসিসের রাজধানী ‘ রাক্কা ‘ প্রদেশ মুক্ত করার লড়াই শুরু হয়েছে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে । প্রায় ৩০০০০ কুর্দ এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী নিয়ে গড়া SDF ২০১৪ সাল থেকে দখল করে রাখা ‘ রাক্কা ‘ শহর আইসিসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার নির্ণায়ক লড়াই শুরু করেছে বিভিন্ন দিক থেকে । এই লড়াইয়ে সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ “ মানবিজ “ শহর থেকে আইসিস নির্মূল করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন 'প্রবাদ প্রতিম 'কুর্দ কম্যান্ডার ‘ আবু ল ... ...
একজিট নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম শুনশান গলিতে। এফ এম বন্ধ করে দিলে এখন শুধু মেটাল বডি আর জলের ঠোকাঠুকি, ওয়াইপারের সুইশ সোয়াশ, সুইশ সোয়াশ আর রেনওয়াটার পাইপ থেকে গবগব করে জল বেরোনোর ননস্টপ আওয়াজ। লাল, হলুদ, নীল, সবুজ একতলা, দোতলা, তিনতলা বাড়ির দেওয়াল বেয়ে জল নামছিল নিঃশব্দে, গড়ানো ঢালের গলি বেয়ে বড় রাস্তায় পড়ছিল। ওদিকের দেওয়াল ঘেঁষে একটা শেড, তার পাশে আগাগোড়া প্লাস্টিক ঢাকা ঠ্যালাগাড়ি- ট্রেনে কাটা পড়া ডেডবডি যেন। শিউলিদের গলির কথা মনে হ'ল। ... ...
প্রত্যেক বাঙালীর সাথেই কোন না কোন নষ্টালজিক তেলেভাজা ও এগরোলের দোকানের নাম লেগে থাকে। বাঙালীও যে ব্যবসা বোঝে (প্রফুল্ল রায় মহাশয় বেঁচে থাকলে কি খুশীই না হতেন) এই তথ্য যাচাই হত ওই সব এগরোলের দোকানগুলির প্লেসমেন্ট দেখে। বেশীরভাগ এগরোলের ঠ্যালাই স্টেশন বা বাসস্ট্যাণ্ডের পাশে খাড়াই থাকত। মেমারীতে এগরোল শিরোপার লড়াইটা সীমাবদ্ধ ছিল লক্ষ্মী ও গণেশের মধ্যে। লক্ষ্মী স্টেশন বাজার এবং গণেশ বাসস্ট্যাণ্ড। আমি নিজে লক্ষ্মীদার এগরোল খেয়েই মানুষ – তিনটাকা থেকে শুরু করে আজ ১৪ টাকায় এসে ঠেকেছে প্রায় কুড়ি বছরের ব্ ... ...
স্বামীজীর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁর সদ্য পাওয়া একটি চীনাকাঁচের উপহার ভেঙে ফেলেছে পরিচারক; চোখে পড়েছে এক প্রবীণ মহারাজের। রাগে শুধু পরিচারকের গায়ে হাত ওঠা বাকি, উদয় হলেন নরেন্দ্র। "কী হয়েছে দাদা?" "আপনার পাওয়া ওই কাঁচের জিনিসটা ভেঙে দিল বলদটা! বিকেলে রাজা মহারাজ ফিরুন, তারপর হচ্ছে ওর! আপনার অত সুন্দর কাঁচের স্মারক...", মহারাজের দুঃখ আর যাচ্ছে না। "আচ্ছা আপদ তো! কাঁচের জিনিস তো ও'ভাবেই যায় দাদা; ও কী আমাদের মতো যক্ষ্মা-কলেরায় যাবে নাকি?" ... ...
ঘটনা এক:তখন কলেজে সদ্য ঢুকেছি। কলেজের জেরক্স সেন্টারে নোটস জেরক্স করতে গেছি। বকবক করা স্বভাব আমার। অতএব খুব কম সময়েই আলাপ করে ফেললাম সেন্টার দাদার সঙ্গে। বেশ খানিকক্ষণ গল্পের পরে দাদা নাম জিজ্ঞাসা করলো। নাম শুনে প্রতিক্রিয়া ছিলো “তোমার কথা শুনে বোঝা যায় না যে তুমি বাঙালী নও।”আমি খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম “আমি বাঙালী নই তো কি তবে?ধর্ম আর ভাষা গুলিয়ে ফেলবেন না। বাংলা ভাষার জন্য কত মুসলিম ছেলে প্রাণ দিয়েছে জানেন? বাংলায় যারা কথা বলে, বাংলা যাদের মায়ের ভাষা তারা সবাই বাঙালী। ব ... ...