[গণমাধ্যমে প্রায়ই মজার মজার কিছু সত্যি ঘটনা ঘটে। এ সব কখনো কখনো প্রচলিত হাস্য কৌতুককে হার মানিয়ে দেয়। আবার এসব প্রেস জোকসের নেপথ্যে থাকে কষ্টকর সাংবাদিকতা পেশাটির অনেক অব্যক্ত কথা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'প্রেস জোকস' পর্ব। রীতিমত প্রাপ্তমনস্কদের জন্য রচনা।]ট্যাক্স ফ্রি_______বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলম (কিছুদিন আগে প্রয়াত) ভাইয়ের ঘটনা। ১৯৭২-৭৩ সালে আলম ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী। পানপ্রিয় আলম ভাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সাথে মস্কো সফর শেষে ... ...
( দ আর কেউ কেউ একজায়গায় চেয়েছিলেন লেখাটা , কিন্তু আজকে কি জানি কেন আমার 'add to first post' অপশনটা পাচ্ছি না , কাল কিন্তু পেয়েছিলাম। ক্ষমাপ্রার্থী। )--------------------------------------------------------------------------------------------------------জীপসাফারি-র বাকি গল্পটুকু-তে এখন থাক। তার আগে বলি , এই পর্যন্ত পড়ে যারা ভাবছেন , সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে কিউবা স্বর্গরাজ্য , বিশেষতঃ যাঁরা পারিশ্রমিক আর কাজের সুযোগ-এ অথবা উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষে , আমেরিকার সুবৃহৎ দক্ষতার বাজারে প্যাম্পার ... ...
পরবাস পর্ব:অদ্ভুত একটা দেশে এসে পড়েছি! এদেশের আকাশ সবসময় মেঘাচ্ছন্ন.. সূর্য ওঠেই না বললে চলে! হয় বৃষ্টি নয়তো বরফ!!বর্ষাকাল আমার খুবই প্রিয়.. আমি তো বর্ষার মেয়ে, তাই বৃষ্টির সাথে আমার খুব আপন সম্পর্ক। কিন্তু এদেশের বৃষ্টিটাও বাজে! এরা অতি সন্তর্পণে ঝরবে! কেন রে বাবা! ঝমঝমিয়ে নাম না একবার!! তা নয়, টিপ টিপ করে পড়ছে। যেন একটু বেশি জোরে বৃষ্টি হলেই মাস্টারমশাই খুব বকে দেবে! কলকাতায় অফিস যাওয়ার সময় খুব চাইতাম একটু মেঘ করুক, সেইসময় আমি অফিস পৌঁছে যাই টুক করে! আর এখানে চাইছি সূর্য উঠ ... ...
এখানেই শেষ নয়। প্রচুর প্রাইভেট কোম্পানি আছে যেখানে কর্মীদের বসেরা 'বাপের চাকরে'র মতো করে ট্রিট করে। প্রচুর কোম্পানিতে লোকজনকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলে। এটা বিশেষ করে ঘটে একজন জুনিয়র এমপ্লয়ির সাথে। একটি কল সেন্টারের কথা শুনেছিলাম যেখানে জুনিয়র বা সদ্য জয়েন করা কর্মীরা সময়মতো পৌঁছেও কোন এক রহস্যময় কারণে কিছুতেই যথাসময়ে লগইন করতে পারতেন না। ফলে, সিস্টেমে সর্বদাই তাদেরকে দেখানো হতো লেট হিসেবে। এইভাবে সারাদিন কাজ করেও তারা দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেন অর্ধেক কাজের স্যালারি নিয়ে। ... ...
“ইস্ কী গরম! কতবার না বলছি, জানালাগুলো খোলা রাখবা! আলো-বাতাস নাই ঘরটাতে, এই জন্যই তো অসুখ-বিসুখ ছাড়ে না’’ বলেই পর্দাটা টানতে শুরু করলো সুহা। ওর মা এভাবে বলতো, এখনো বলে, সংসার থা করে জাঁকিয়ে বসেছে, অথচ এখনো ভাইয়ের উপর শাসনটুকু চালানো চাই। এদিকে পর্দাটা ছিল ভারি, আর সুহার কোমল হাতে তা পুরো মেলতে সময় নিচ্ছিল। ওদিকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন টুকরো জোড়া লেগে লেগে একটি আস্ত বাড়ি গড়ে উঠছিল জানালার ওপারে। যখন পুরো পর্দাটা সরে গেল, একটি অচেনা জগতের দরজা যেন খুলে গেল আমার চোখের সামনে। এই ঘোর অমাবস্যাতেও সেখানে আলোর বন্যা। তার তীব্র প্রদাহ শুষে নিল আমার সব, থেমে গেল ভাবনা, চিন্তা, স্পন্দন। শুধু এইটুকু মনে আছে, মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত পৃথিবী আমার উপর চাপা পড়ল যেন। ... ...
ক্যাম্পসাইট থেকে সকালের নরম আলোয় অ্যালুমিনিয়াম পাতের মত বরফচুড়ার দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে থাকি তাঁবুর বাইরের বসার ঘরে। পাতলা নেট ভেদ করে ঠান্ডা লাগে, কিন্তু কাল রাত্রের মত নয়। রাতে -২ অবধি নেমেছিল তাপমাত্রা। শ্বাস প্রশ্বাসও অনেক স্বাভাবিক আজ। একটু পরেই সুজ্জিমামা হালকা সোনালী রঙ দেয় চুড়ায়, মোটা ব্রাশে স্ট্রোকের পর স্ট্রোক – অ্যালুমিনিয়ামের পাতখানা কাঁসার রঙ ধরে। ক্যাম্পসাইটে ঘুরে বেড়াই এদিক ওদিক। মানসীরা উঠে পড়েছে অনেকক্ষণ, অভিও উঠে ছবি তুলছে এদিক ওদিক। রান্নার তাঁবুতে গিয়ে গরমজলের কথা জিজ্ঞাসা করতে ওঁরা সোলার গিজার দেখিয়ে দেন। একটা মাঝারি জলাধারের সাথে অনেককটা সোলার প্যানেল লাগানো আর একটা কল। ... ...
আত্মজীবনী কি গল্প ? উপন্যাস ? গল্প-উপন্যাস তাহলে কী ? ... ...
'নগর' স্টাইলে মন্দিরগুলো কোনো গাঁথুনি ছাড়াই শুধু পাথরের ব্লক বসিয়ে বসিয়ে বানানো। প্রায় সব পূর্ব মুখী, সূর্যোদয়ের দিকে। অধিষ্ঠান হচ্ছে মন্দিরগুলোর কমন ভিত্তি। তার ওপরে ধীরে ধীরে অর্ধ মন্ডপ, মন্ডপ, মহামন্ডপ, অন্তরাল এবং সবশেষে গর্ভগৃহ। সূর্য ওঠার সময় সূর্যের আলো ধীরে ধীরে দরজা দিয়ে ঢুকে গর্ভগৃহের মূর্তির ওপর পড়বে, মন্দির স্থাপত্যগুলো সেভাবেই তৈরী। গর্ভগৃহের চারদিকে প্রদক্ষিণ করার জায়গা। গর্ভগৃহের ওপরে মন্দিরের বাইরের দিকে প্রধান মিনারটাকে শিখর এবং ছোট ছোট মিনারগুলোকে উরুশৃঙ্গ বলে। শিখরের একদম ওপরে বসানো থাকে একটা কলসী। মন্দিরগুলোর বাইরের এবং ভেতরের বেশিরভাগ মূর্তিই কোনোরকম যৌন অনুষঙ্গ ছাড়া তৎকালীন সাধারণ জীবনযাপনের গল্প। এছাড়াও মন্দিরগুলোর গায়ে কিছু কিছু জায়গায় আছে ব্রহ্মার মূর্তি যেটা অন্য কোথাও দেখা যায় না। ... ...
আমাদের সমাজের সনাতনী ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্বিত হই। আমাদের সেই সনাতনী ঐতিহ্যই আবার, এমন বহু সৌদামিনীদের ঠেলে দিয়েছিল অনিশ্চিত ভয়ংকর জীবনের দিকে... ... ...
…এই ছবি মুক্তির সাথে সাথে যেন বাঙালি পুরুষ জাতির শৌর্যবীর্য দিকে দিকে প্রকাশিত হচ্ছে। স্বস্তিকার অভিনয় শিল্প ও কাহিনীর চরিত্রের সাথে মানানসই লকডাউনে ঈষৎ আটপৌরে পোষাক ইত্যাদিতে স্যোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভার্চুয়াল যৌন হেনস্তার বান ডেকেছে। কেন স্বস্তিকা পোস্টারে অন্তর্বাস ও আঁচল সরে যাওয়া স্তনাভাস দেখালেন, কেন ফেসবুক “হইচই” পেজের বিজ্ঞাপনে তিনি স্মার্ট হেয়ার স্টাইলে নারী মুক্তির কথা বললেন, এ নিয়ে একের পর এক কি বিভৎস ধর্ষমর্ষকামী অগনিত কুৎসিত মন্তব্য আসছে!...আসলে এইসব বেটাগিরির চপেটাঘাতই এই ছবি ... ...
তখন আমাদের খুব পিকনিক করার ঝোঁক ছিল। সেদিনের ত্রিপুরায় বেশ কিছু হালকা বনবিতান ছিল অনতিউচ্চ টিলা ছিল, লেক ছিল। দিনের বেলা বুনো হাতি বা হিংস্র প্রাণীর ভয় নেই এমন জায়গা ছিল। আর ছিলেন আমাদের প্রসন্নহৃদয় অধ্যাপকরা। যাঁরা আমাদের অর্থহীন উপদ্রবকে সস্নেহ প্রশ্রয় দিতেন, সময় দিতেন আমাদের চাহিদা মত,যাঁরা সঙ্গে থাকলে অভিভাবকদের ও দুশ্চিন্তা হতোনা। ... ...
"যে দেশে এক্কেবারে চলতি ভাষাতেই টুরিস্টকে বলা হয় ‘মুসাফির’ তার রোদ্দুর তো আলাদা হবেই।" - আর যে বইয়ের শুরু এমন আশ্চর্য বাক্য দিয়ে, তার কাছে পাঠকের প্রত্যাশা ভিন্ন হতে বাধ্য। এই বাক্য অতিক্রম করে, ফয়েজ-এর অসামান্য কটি পংক্তি পার হয়ে আমরা পৌঁছোই এক তরুণী কবির মৃত্যুতে - দুর্ঘটনায় মৃত্যু - যে কবির কবিতা লেখক আবিষ্কার করেন খাস ওয়াশিংটন ডিসি-তে বসে - মার্কিন দেশ ও ইরান!!! ... ...
[মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে লেখকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তার প্রায় এক দশকের গেরিলা জীবন। কারণ এম এন লারমাই প্রথম সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাহাড়িদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখান। আর তাঁর নির্দেশিত পথেই সাবেক গেরিলা দল শান্তিবাহিনী প্রায় দুদশক সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করেছে। পরে এটি পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে যৌক্তিক পরিণতি লাভ করে। তাই চলতি নোটে চেষ্টা করা হয়েছে মূলত এমএন লারমার গেরিলা জীবনটিকে সংক্ষেপে মূল্যায়ন করার।] ... ...
প্রাথমিক শিক্ষায় এনরোললমেন্ট বাড়ছে। কিন্তু সরকারী স্কুলের শিক্ষার মান ভয়াবহভাবে কমছে। আর এই সুযোগেই বাড়ছে প্রাইভেট স্কুলের রমরমা। শিক্ষক শিক্ষিকারা যারা অন্তত দেড় দু দশক পড়াচ্ছেন, এটা খুব ভালোভাবেই জানেন।ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলির সাম্প্রতিক এক লেখা আমাদের জানাচ্ছে "However, at present, the poor level of learning in elementary education is the gravest concern for the school education system. This has also created a preference for enrolment in private schools. As a result, thousands of ... ...
সময়টা ছিল শরৎকাল, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ আর উজ্জ্বল রোদের দিন, কিন্তু ক্লাস এইটের প্যাংলাপানা মোটা চশমা পরা ছেলেটা তার ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে সেসব কিছুই টের পাচ্ছিল না। টিফিন টাইম শেষ হয়ে আসছিল আর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সে ভাবছিল কোন পথে শেষ বেঞ্চে তার ব্যাগের দিকে গেলে, কোনো চাঁটি বা ঠ্যালা না খেয়ে পৌঁছনো যাবে। হেয়ার স্কুল থেকে এই হিন্দু স্কুলে আসার পর দু’বছর কেটে গেছে, অথচ তার ওপর চালিয়ে যাওয়া র্যাগিং থামেনি। সে ভাবতে পারে প্রচুর, কথা বলতে পারে কম আর মারতে পারে ঘোড়ার ডিম। প্রতিক্রিয়াহীন এই ক্রমাগত অত্যা ... ...
মুগ্ধতা মানে কী? একটা মানসিক অবস্থান? আরোগ্যহীন আত্মসমর্পণ? যুক্তিরহিত জেদ? অথবা গ্যাসবেলুনের প্রতি শিশুর অনন্ত মোহের আর্তি?----------------------------------------------তাঁকে প্রথম 'পড়ি', সাড়ে চার দশক তো হয়েই গেলো। তাঁকে নিয়ে আমার প্রথম ছাপা লেখা, তাও প্রায় ততোদিন হলো। সেটা ছিলো নিশ্ছিদ্র মুগ্ধতার ঋতু। প্রশ্নহীন, অনুগত, অভিভূত বাঙালি কিশোর। চার দশক আগে কৃত্তিবাস পত্রিকার নবসংস্করনে কিছু ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন ছাপা হতো। সেখানে একজন লিখছেন,' কেউ কি এই দুটো লাইনের ইংরেজি অনুবাদ করে দিতে পার ... ...
হ্যাঁ হ্যাঁ বুয়েছি, আপনি বলছেন এ চাপ তো রাবণের মায়ের, ছেলের কোথায়? আরে মশায়, দশ খানা মাথায় ঘুম আসাটা কি চাট্টিখানি কথা? এক মাথা চ্যাঁ ভ্যাঁ করলে পাশের জনের, থুড়ি, পাশের মাথার কানে চলে যাবে, ব্যাস, যেটুকু ঘুম এসেছিল তার বারোটা।... আবার কী বলছেন? রাবণের কান কটা? কেন, কু---- না না, ঠিকই তো বলেছেন। মাথাগুলো তো সবকটাই পাশাপাশি আটকানো, কানের জন্য কোনও অ্যালাউন্স তো নেই। তাহলে বোধহয় দুটোই কান -- ফার ইস্টের একটা আর ফার ওয়েস্টের একটা। এতে অবশ্য একটা সুবিধে -- কান বেশি থাকলে কামমলাও বেশি খেতে হত। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৭ …তৃতীয় শতাব্দীতে গুপ্ত রাজবংশ থেকে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশ গ্যারিসন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ইস্তক - সুদীর্ঘ ১৫০০ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে নানা শাসনের দখলে থেকেছে কালিঞ্জর কেল্লা। দুর্গটি কবে নির্মিত হয়েছিল সঠিক জানা যায় না। তবে আগ্রা এবং অউধের ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে গুপ্ত রাজবংশের সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে কালিঞ্জার দুর্গ জয় করেছিলেন। ASIএর প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম কালিঞ্জর কেল্লার প্রাচীনত্ব ও গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর মতে এই কেল্লার নির্মাণ হয় ২৪৯ খ্রিস্টাব্দে। শিবের আর এক নাম কালিঞ্জর (কাল = সময়, জর = ক্ষয়) অর্থাৎ 'সময় ক্ষয়কারী' বা কালজয়ী। কথিত আছে সমূদ্রমন্থনে ওঠা হলাহল পান করে কন্ঠ নীল হয়ে যেতে শিব এখানে এসে সময়কে পরাস্ত করে মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। তাই কালিঞ্জর কেল্লা বলতে কালজয়ী কেল্লাও বোঝায়। ... ...