এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মাথার পোকা - ২

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৩ জুলাই ২০২৩ | ৩৪৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • “ভুটকু আয়, ছাদে কাপড় মেলতে যাবো”। সোনার কাপড়-চোপড় কাচা হয়ে গেছিল। বালতিতে আধভেজা কাপড় চোপড় নিয়ে তিনি দোতলার সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে পান্নাকে ডাকলেন। পান্না বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছিল। দৌড়ে এসে মায়ের সামনের সিঁড়িতে লাফিয়ে উঠল।
    সোনা বললেন, “ওকি, ঘরের দোরটা ভেজিয়ে দিলি না?”
    পান্না বলল, “আমরা এখনই নেমে আসবো তো”। সোনা একটু অধৈর্য কণ্ঠে বললেন, “তা হলেই বা, বেড়াল-টেড়াল আছে। উটকো লোকজনও ঢুকে পড়তে পারে। যা চেপে দিয়ে আয় দরজাটা”। পান্না আবার দৌড়ে নেমে দরজাটা চেপে দিল, তারপর মুখে কু-উ-উ-উ আওয়াজ তুলে একছুট্টে উঠে গেল সিঁড়ির মাথায়। সেখানে দাঁড়িয়ে বলল, “কই এসো?”। সোনা হাসলেন, তাঁর ডানহাতের বালতিতে ভেজা কাপড়ের যথেষ্ট ওজন, এক এক ধাপ উঠতে উঠতে বললেন, “অত তাড়াতাড়ি পারি? দেখছিস না, আমার হাতে বালতি”! 
    “আমায় দাও না, বালতিটা”। সিঁড়ির মাথায় উঠে সোনা বালতিটা নামালেন। হাতটা ভেড়ে গিয়েছিল, একটু জিরিয়ে নিতে থামলেন। পান্না বালতিটা তোলার চেষ্টা করছিল, পারল না, বলল, “বাব্বাঃ কী ভারি? তুললে কী করে, মা?”
    বালতি তুলে দোতলা থেকে ছাদের সিঁড়ির দিকে এগোতে এগোতে সোনা বললেন, “চল, ছাদে চল”। এবারে পান্না আর তাড়তাড়ি উঠল না, মায়ের আগে আগে সিঁড়ির একধাপ একধাপ উঠতে লাগল। সে বুঝতে পারছিল, ওই ভারি বালতিটা নিয়ে এতগুলো সিঁড়ি ভেঙে ছাদে ওঠা মোটেই মজার ব্যাপার নয়।
    ছাদের দরজা খুলে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে পান্না আবার আনন্দে দৌড়ে নিল খানিক। বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটোছুটি করতে লাগল ছোট্ট ছাদের এ কোণ থেকে সে কোণে। তার মাথার থেকেও উঁচু প্যারাপেটের আড়ালে আশেপাশের বাড়ি তেমন দেখা না গেলেও, মাথার ওপর উন্মুক্ত আকাশ তাকে অদ্ভূত মুক্তির স্বাদ এনে দিল।
    সোনা ছাদের কাপড় মেলা দড়ির নিচে বালতি রেখে, ভেজা কাপড়গুলো চেপে নিংড়ে দড়িতে টাঙাতে শুরু করলেন। অধিকাংশ কাপড় দড়িতে মেলে দেওয়ার পর, নিংড়োনো জলটা জমে ছিল বালতিতে। বাঁশির একঘেয়ে বেসুর ডাকে বিরক্ত হয়ে পান্না, নতুন কিছু করার উৎসাহে, বালতির জলে ডুবিয়ে দিল বাঁশিটা। তারপর অন্যপ্রান্তে ফুঁ দিতেই এবার আর শব্দ হল না, জলের মধ্যে গুলগুল করে উঠল বুদবুদ। ক্ষণস্থায়ী সেই বুদবুদের গায়ে সূর্যের আলোয় খেলতে লাগল সপ্তবর্ণ। কী আশ্চর্য, অবাক করা কাণ্ড। বাঁশিতে ফুঁ দিলে শুধু আওয়াজই নয়, সাতরঙা রংও ফুটে ওঠে স্বচ্ছ জলে! অবাক পান্না চিৎকার করে উঠল, “মা, মা, দেখ, কী সুন্দর রঙ...”।
    শ্রান্ত সোনা শেষ কাপড়টা নিঙড়ে দড়িতে শুকোতে দিতে দিতে দেখলেন ছেলের কীর্তি, ক্লান্ত স্বরে বললেন, “বাঃ, ভারি সুন্দর তো, আমার ভু্‌ট্‌কুটা কত কী শিখে ফেলল!” 

    সব জামা কাপড় শুকোতে দেওয়ার পর সামান্য অবসর। সোনা ছাদের আলসেতে ভর দিয়ে একটু দাঁড়ালেন, রাস্তার ওপারের মাসিমাও ছাদে এসেছিলেন গুল দিতে। সোনাকে দেখে মাসিমা হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কাপড় শুকোতে দেওয়া হল, বৌমা?”
    শাড়ির আঁচলে মুখ মুছে সোনা বললেন, “হ্যাঁ, মাসিমা। আপনি এই দুপুর রোদ্দুরে ছাদে কী করছেন”?
    “গুল দিতে এসেছিলাম। আমারও হয়ে গেল, এবার নিচেয় যাবো, চান-টান করবো”।
    “কয়লার গুল?”
    “হ্যাঁ, কয়লার গুঁড়ো জমা হয়েছিল, একগাদা। আজ দিয়ে ফেললাম”।
    “তাই? আমাদের কয়লার চৌবাচ্চাটাও গুঁড়োয় আদ্দেক ভরে গেছে। একমণের বস্তা ঢাললে উপচে পড়ে, চৌবাচ্চায় পুরোটা ধরে না। ভাবছিলাম, কয়লার গুঁড়ো ফেলে দেব, কিন্তু...”।
    “ফেলে দেবে কী গো, বৌমা, দুদিন সময় করে, গুল দিয়ে ফেল, পনেরদিনের জ্বালানি হয়ে যাবে”!
    “তাই তো! কিন্তু কী করে গুল দেব মাসিমা?”
    “ও মা, তাও জানো না। কয়লার গুঁড়োর সঙ্গে একটু মাটি আর ভাতের ফ্যান মিশিয়ে, গুল বানিয়ে রোদ্দুরে শুকিয়ে নাও, বাস্‌ গুল তৈরি! গাঁয়ে থাকতে তোমরা গুল বানাতে না?”
    শহরের আদব-কায়দা না জানা সোনা, একটু যেন লজ্জা পেলেন, বললেন, “তা না মাসিমা, আমাদের ওদিকে ঘুঁটে, ধানের তূষ আর কাঠকুটোতেই রান্না-বান্না হয়ে যায়। কয়লা ব্যবহার হয়, তবে কম। তাতে যেটুকু গুঁড়ো হয়, তার ধিকিধিকি জ্বালনে ধানসেদ্দ কিংবা রোজকার দুধের জ্বাল দিতেই খরচা হয়ে যায়”।
    “তোমাদের বাড়ি বদ্দোমানে, না? কতায় বলে “জেলার সেরা বদ্দোমান, আর কলার সেরা মত্তোমান”। তার মানে তোমরা ঘটি। তোমরা তো তাও ভালো, তোমাদের ওপরে যে বাঙালরা ভাড়া থাকে, তাদের রীতকরণ দেখেছো? যেমন কতাবাত্তা, তেমন আচার-আচরণ। খাইসে, ইসে, পোলা, মাইয়া – শুঁটকি মাছও খায়, তোমরা গন্ধ পাও না? ছ্যা, ছ্যা, আমার তো নাকে কাপড় দিলেও গা গুলোয়!”
    সোনা এ কথার কোন উত্তর না দিয়ে একটু হাসলেন, তিনি জানেন বাড়িওয়ালি মাসিমা, আড়ালে তাঁদের সম্বন্ধেও অনেক কথা বলে থাকেন। তাঁরাও ভাড়াটে, কিন্তু ঘটি – অতএব বাঙাল ভাড়াটেদের তুলনায় তাঁরা মন্দের ভালো! কিন্তু শুধু ভাড়াটে বলেই নয়, বাড়িওয়ালী মাসিমা একবার শুরু করলে, এ পাড়ার সকল প্রতিবেশী – বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে নির্বিশেষে – সকল পরিবারের দোষ, ত্রুটির হাঁড়ির খবর সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীতে বনিবনা নেই। কার বাড়ির কর্তার চরিত্র দোষ আছে। ওপাশের কোন বাড়িতে ভর দুপুরবেলা প্রায়ই এক উটকো পুরুষ ঢোকে, বিকেল হলেই বেরিয়ে যায়! বৌটাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে, পিসতুতো দাদা! চোখে অদ্ভূত ইশারা এবং মুখে রহস্যের হাসি নিয়ে, মাসিমা বলেন, “অ বৌমা, কেমন পিসতুতো দাদা গো, দুপুর ছাড়া অন্য সময়ে তার আসার সময় হয় না?”
    যে মহিলার সম্পর্কে মাসিমা এই গোপন সংবাদ দিলেন, সে মহিলাকে সোনা চেনেন। অত্যন্ত বিষণ্ণ মুখের নির্বিকার নিঃসন্তান এক মহিলা! পাড়ার কারো সঙ্গে তেমন মেশেন না। মুখরোচক এই সংবাদে সোনা এতটুকুও কৌতূহলী না হওয়ায়, মাসিমা মোটেই হতাশ হলেন না, বরং আরো উত্তেজিত হয়ে বললেন, “ওই বউয়ের আরো কিত্তি শুনলে, তুমি আঁতকে উঠবে বৌমা! শুধু পিসতুতো দাদাই নয়, আরো একজন আসে, হ্যাঁ গো! বলে, ওর দেওর, সে নাকি ওর বরের খুড়তুতো ভাই! সেও আসে ওই দুপুরেই! ভদ্দোরনোকের পাড়ায় এ সব কী বলো তো, বউমা? ছি ছি ছি”। তারপর চোখের অদ্ভূত এক ইঙ্গিত করে, মাসিমা গা দুলিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, “আমি কী ভাবি জানো তো বৌমা, যদি দুজনে একই দিনে একই সময়ে এসে উপস্থিত হয়? তখন ওই মাগি কী করবে, বল দেকি? হি হি হি হি...”!    
    মাসিমাকে আর বাড়তে না দিয়ে, সোনা বললেন, “আমি আসি মাসিমা, নিচেয় রাজ্যের কাজ পড়ে আছে, ছেলেটাকেও চান করাতে হবে। ভুটকু নিচেয় চ।  আসছি, মাসিমা”।


    পান্না একমনে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে, বালতির জলের মধ্যে বুদবুদ তৈরি করছিল, বুদবুদের গায়ে নানা রঙের রামধনু সৃষ্টি করছিল! সোনা সে বালতিটা টেনে নিয়ে ঝাঁঝরির মুখে ঢেলে দিলেন জলটা। তারপর খালি বালতি হাতে নিয়ে পান্নার দিকে তাকিয়ে বললেন, “চঃ, নিচেয় যাই। নাওয়া খাওয়া সেরে একটু শুই। সেই ভোর থেকে যা চলছে”।
    সোনা ছাদের সিঁড়ির মুখে দাঁড়ালেন, দেখলেন পান্না আসছে না, মুখ হাঁড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে ছাদের মাঝখানে। “কী রে, আয়! নিচেয় যাবি না?” পান্না নিরুত্তর। তার মনের মধ্যে তখন প্রচণ্ড ক্ষোভ এবং অভিমান। মা বিনা বাক্যে ঝাঁঝরির মুখে জলটা ঢেলে দিলেন? একবারের জন্যেও তাঁর মনে হল না, পান্নার কথা, পান্নার নতুন আবিষ্কারের কথা! এমন নিষ্ঠুর মায়ের সঙ্গে সে আর কোন কথা বলবে না!
    সোনা এতক্ষণে যেন ব্যাপারটা আন্দাজ করলেন, বললেন, “সোনু তোমার সেই রামধনুর জলটা ফেলে দিয়েছি বলে, মায়ের ওপর রাগ করেছো? আচ্ছা, বাবা আচ্ছা, আমার ঘাট হয়েছে, এর পরের দিন, তোমার জন্যে অনেকটা সাবান জল রেখে দেব। কেমন? এখন চলো, নিচেয় যাই”। পান্না এতটুকুও বিচলিত হল না, মায়ের এই প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সে একই ভাবে ঘাড় শক্ত করে দাঁড়িয়ে রইল।
    সোনা এবার বললেন, “বেশ, থাকো তুমি দাঁড়িয়ে, আমি নিচেয় চললাম”।  সোনা তিন চার ধাপ নেমে গেলেন সিঁড়ি দিয়ে, তারপর একটু অপেক্ষা করে আবার উঠে এলেন, দেখলেন, পান্না একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে, এবার তাঁর ধৈর্যের বাঁধ টুটল, বললেন, “পান্না, সোজা কথায় নিচেয় আসবি, নাকি পিঠটা ফাটাবো?”
    মায়ের কণ্ঠস্বর এবং ওই “পান্না” ডাক, পান্নাকে ভয় পাইয়ে দিল, সে বুঝল, মা রেগে গেছেন। মায়ের হাতের দু একটা চড় চাপড়ের স্বাদ, এর আগে সে দু একবার পেয়েছে! সেই স্মৃতি মনে করে, সে আস্তে আস্তে নিচেয় নেমে এল। 
    নিচেয় নেমে সোনা হাতের বালতি রেখে, পান্নার হাতে গামছা দিয়ে বললেন, “যাও, সোনু মাথায় তেল দিয়ে ঝপ করে চান সেরে এসো। তোমার হলে, আমি যাবো। ততক্ষণ আমি ঘর দোর একটু গুছিয়ে নিই”।
    মায়ের কণ্ঠের স্বাভাবিক সুরে, পান্না তার হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস আবার ফিরে পেল, ঘরের এক কোণে সে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল, মেঝের দিকে তাকিয়ে। সোনা কাজ সারছিলেন, পান্নাকে লক্ষ্য করেননি। কিছুক্ষণ পরে তিনি খেয়াল করলেন, পান্না মুখভার করে ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে আছে...একটু মায়া হল, আবার বিরক্তও হলেন, “আর ভাল লাগছে না, সোনু, যা না তেল মেখে চানটা করে আয়, না”। পান্না আড়চোখে মায়ের মুখটা দেখল এবং একই ভাবে দাঁড়িয়ে রইল।
    আর সেই সময়েই রাস্তা থেকে হাঁক শোনা গেল, “দাঁআআআআআতের পোকা, বেএএএএর করি”।
    বৃদ্ধা এক পৃথুলা মহিলা, পরনে সাদা থান আর সাদা ব্লাউজ, হাতে মাঝারি সাইজের পেটমোটা একটা কাপড়ের থলি। মাথার পেছনদিকে বড়ি করে বাঁধা সাদা-কালো চুলের খোঁপা। এই সময়েই সে রোজ আসে, দাঁতের পোকা বের করতে। এ পাড়ার মেয়ে-বউদের দাঁতে ব্যথা হলে, তারা ডেন্টিস্টের চেম্বারে গিয়ে দাঁত বের করে বসে পড়ার কথা কেউ চিন্তাও করে না। পুরুষহীন নির্ঝঞ্ঝাট দুপুরে এই বৃদ্ধা তাদের দাঁতের ‘চিকিচ্ছে করে’। তার হাতের কারসাজিতে ব্যথা হওয়া দাঁত থেকে বের হয়ে আসে মুড়ির মতো দেখতে জ্যান্ত বড়ো পোকা! পোকা বের করে দেওয়ার পর দাঁতের গোড়ায় ঘষে দেওয়া কোন ওষুধের গুণে, ব্যাথা সেরে যায় বেশ কদিনের জন্যে। আশ্চর্য তার হাত যশ। পাড়ার মেয়েরা বৃদ্ধা ওই মহিলাকে বলে “বেদে বুড়ি”!
    সোনা ওই বেদে বুড়ির ডাক শুনেই বলে উঠলেন, “দাঁড়া তো, ওই বেদে বুড়িকে ডাকি, আমার ছেলের মাথার পোকাগুলোকে সব বের করে দিক। সেদিন হারুর মা, ওকে ডেকে হারুর মাথার সব পোকা বের করে নিয়েছে”!
    পান্না এবার সত্যি সত্যি ভয় পেল, মাথার ভেতরে পোকা থাকা এবং সেই পোকা বের করা ব্যাপারটা তার বুদ্ধির বাইরে! সে ভয়ে ভয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করল, “তারপর, হারুর কী হল, মরে গেল?”
    সোনা মুখ টিপে হেসে বললেন, “বালাই ষাট মরবে কেন? পোকাগুলো বের করে দেওয়াতে হারু একদম লক্ষ্মী ছেলে হয়ে গেল, ওর মা যখন যা বলত, সব শুনত। কক্‌খনো দুষ্টুমি করত না! ডাকবো বেদে বুড়িকে?”
    পান্না হারু বা হারুর মা কাউকেই চেনে না, কিন্তু মায়ের ওপর রাগ করে আর অবাধ্য হওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে, সে দৌড়ে গেল বাথরুমে। চৌবাচ্চার মধ্যে মগ ডুবিয়ে সে জল ঢালতে লাগল মাথায়। জল ঢালার আওয়াজের মধ্যেও, সে বেদে বুড়ির ডাক শুনতে পেল, “দাঁআআআআআতের পোকা, বেএএএএর করি”। তবে শব্দটা বেশ দূরের শব্দ, মা এখন ডাকলেও বেদে বুড়ির সে ডাক শোনার সম্ভাবনা কম। পান্না নিশ্চিন্তে মাথায় জল ঢালতে ঢালতে হৈ হৈ করে গান ধরল, “এ গানে প্রজাপতি পাখায় পাখায় রঙ ছড়ায়, এ গানে রামধনু তার সাতটি রঙ ঝরায়...”।
    সোনার মুখে প্রশ্রয়ের মৃদু হাসি, অস্ফুট স্বরে বললেন, “পাগল, সত্যি সত্যিই আমার এ ছেলেটার মাথায় পোকা আছে!”
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৩ জুলাই ২০২৩ | ৩৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন