এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • অচলায়তনের রূপকথাঃ পর্ব ৩

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১১০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)

  • এবার দুর্গাপুজোর সময় আমাদের আশ্রমের 'এস্কার্সন' হবে দার্জিলিংয়ে। আচ্ছা, এস্কার্সন মানে কী? অমন খটোমটো কোন শব্দ তো ক্লাস নাইন অব্দি কোন বইয়ে পাইনি! কিন্তু বিপ্লব তো হেয়ার স্কুলের। ও আমাকে মানে বলে দিল। আমি গর্বিত। আমাদের ব্যাচে শুধু আমিই ওই কঠিন শব্দের মানে জানি।
    থাকা হবে স্নোভিউ হোটেলে; স্বামীজি, মানে রামানন্দদা অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ চিঠি লিখেছেন। যারা যারা যেতে চায় তাদের সবাইকে গার্জেনের চিঠি শুদ্ধু একটি নির্দিষ্ট টাকা ১৫ দিনের মধ্যে আশ্রমের অফিসে জমা দিতে হবে।
    আমি ও বিপ্লব নানা রকম প্ল্যান করি, স্বপ্ন দেখি। দার্জিলিং!! হিমালয়! বরফ! শুধু ছবিতে দেখেছি। স্কুলের পাঠ্যবই 'কিশলয়' এ জলধর সেনের বর্ণনা পড়েছি; টয় ট্রেন! ওখানে তো শুধু বড়লোকেরা যায়। যেমন আমাদের  কোলকাতার ভাড়াবাড়ির উল্টো দিকে বিশাল দোতলা বাড়ির দত্তদের ছেলেমেয়েরা। তবু আশ্রমের সুবাদে আমরাও যেতে পারব। স্টুডেন্ট কনসেশন, আরও কী কী সব। হটাৎ বুকের মধ্যে আশ্রমের জন্যে একটা ভালবাসার জোয়ার টের পাই। রামানন্দদার জন্যেও।
    এখানের চারদেওয়ালের মধ্যে হাঁফিয়ে উঠি, খোলা আকাশের নীচে কী আনন্দ!
    বাবার চিঠি এল। গত দু'বছর পরপর আমাদের দুভাইকে বাবা এস্কার্শনে পাঠাতে কোন আপত্তি করেন নি। রাজগীর-বোধগয়া বা ম্যাসানজোড়। এবার সম্ভব হবে না। আর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আরও দু'লাইন। এখন ক্লাস নাইনে আমার পড়াশুনো নিয়ে আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত , নইলে পরে পস্তাতে হবে। হায়ার সেকেন্ডারিতে সমস্ত প্রশ্নপত্রে্র সেক্শন এ বা ৫০% প্রশ্ন তো নাইন-টেন থেকেই আসবে। আমি সিরিয়স না হলে পরের দু'ভাইয়ের কী হবে? ওরা বিপথগামী হবে।

    রাগে ব্রহ্মতালু জ্বলে যায়।
    আমি তাহলে মেড়ার পালের সর্দার মেড়া। আমি যে দিকে যাব,ছোট দুভাইও সেদিকে? দুস্‌ শালা!
    দুদিন পরে বিকেলে আমি ও বিপ্লব নতুন স্কুল বাড়ির আদ্ধেক তৈরি অংশটায় মিট করি। ও বলে--শোন, একটা রাস্তা আছে। আমি বাবাকে বলে তোর পয়সাটা জমা করিয়ে দেব। তুই বাড়িতে বলবি--তোকে কনসেশন দিয়েছে।
     আমি মাথা নাড়ি। ও আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমার চোখে জল।
    বলে-- আমিও যাব না। তোকে বাদ দিয়ে অন্য ফালতুগুলোর সঙ্গে !! সেবার রাজগীর আর বোধগয়া এস্কার্শনের সময় কত আনন্দ হয়েছিল ভাব তো!
    সপ্তপর্ণী পাহাড়, বিপুলগিরি বা প্যাগোডায় আমরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছি। রোজ রাত্তিরে ক্যাম্প ফায়ারে দুজনে মিলে কোন স্কিট বানিয়ে অ্যাক্টিং করেছি। ও খুব ভাল মাউথ অর্গান বাজায়। বাজিয়েছিল-- এ অপনা দিল তো আওয়ারা, আর নতুন হিট ইংরেজি সিনেমা কাম সেপ্টেম্বরের থিম মিউজিক,
    রামানন্দদা সংগীত নাটক বোঝেন, পছন্দ করেন। আপত্তি করেন নি।
    তবে ফেরার পথে রাত্তিরে ট্রেনে আর একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটা মনে পড়তেই দুজনে হেসে উঠলাম।
    ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনে একটা গোটা কামরা আমাদের জন্যে রিজার্ভ ছিল; থার্ড ক্লাস। সন্ধ্যের পরেই ট্রেনের আলো নিভু নিভু হতে হতে একেবারে চলে গেল। রান্না তৈরি ছিল। সমবেত টর্চের আলোয় আমরা লুচি, আলুর শুকনো তরকারি ও তিনটুকরো মাংস দিয়ে খাওয়া সেরে নিলাম।
    সবাই শুয়ে পড়েছে।
    কিন্তু কোথা থেকে একটা গানের আওয়াজ আসছে না? আন্দাজে ভর করে এগিয়ে দেখি রামানন্দদা হারমোনিয়ামে বসেছেন। উল্টোদিকে বসে মুগ্ধ হয়ে শুনছেন শিবনাথ গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গিনী মহিলা। উনি তখন অ্যাডভান্সড্‌ পাপেট শো করিয়ে কোলকাতায় বেশ নাম করেছেন। আমরাও দেখেছি।
    একটা গান শেষ হল। শিবনাথ দুর্গা রাগের ফরমাশ করলেন। রামানন্দদা একটা সরগম বাজিয়ে আরোহ, অবরোহ, পকড় দেখিয়ে দিয়ে গান ধরলেন, অন্তরায় ছিল--"রামকৃষ্ণ বলে আপনার মনে , কালীনাম বিনা কর্ণে নাহি শুনে"।
    এরপর টর্চের ব্যাটারি নিভে যাওয়ায় ওঁরা উঠলেন। রামানন্দদা আমাকে দেখে বললেন--- কী রে ব্যাটা! ভালো লেগেছে? আশ্রমে ফিরে চল, কথা হবে। এখন শুতে যা!
    আমি ফিরে এসে দেখি আমার আর বিপ্লবের বিছানা মুখোমুখি দুটো বাংকে। নীচের বেঞ্চের একটায় কেউ ঘুমোচ্ছে আর অন্যটায় ক্লাস টেনের অসীমদা জানলার কাছে বসে টর্চ জ্বালিয়ে বাইরে ছুটে চলা ঘন জঙ্গল দেখছে। বললাম-- সেল ফুরিয়ে যাবে যে! ঘুমোবে না?
    -- আর এক জোড়া এক্স্ট্রা আছে। ঘুম পাচ্ছে না। তুই শুয়ে পড়।
    আমি ওপরে উঠে শুয়ে আকাশপাতাল ভাবতে থাকি, ভেড়া গুণি, ঘুম আসে না।
    একটা চাপা হাসির শব্দ; কী রে ? খুব গান শুনছিলি?
    আরে? বিপ্লব ঘুমোয় নি!
    তোর সঙ্গে কথা না বলে ঘুমোতে পারি?

    মনটা খুব ভালো হয়ে যায়। আমরা ফিসফিস করে গল্প শুরু করি। মনে হয় ট্রেনের গতি আর 'তুমি থাকো, আমি যাই" ছন্দের দোলায় কারও ঘুম ভাঙবে না,
    কিন্তু একটু পরে অসীমদা চাপা গলায় ধমকায়-- আবে! তোদের ন্যাকড়াবাজি শেষ হয় না, অ্যাঁ? ঘুমো।

    খানিকক্ষণ সব শান্ত। ফের শুরু হয় ফিসফিসানি।
    অসীমদা তেতো গলায় বলে--বাঞ্চৎ গুলোর মাঝরাত্তিরে রস উথলে উঠেছে!

    আমি বলি--আমরা কি লাকি রে! গোটা ট্রেন ঘুমোচ্ছে। শুধু আমরা দুজন জেগে আছি।
    -- তাহলে তোর নাম হল লাকি।
    -- মানে?
    -- আরে কোলকাতা পুলিশের কুকুরের নামকরা একটা জোড়া আছে না? আজকাল কাগজে ওদের কথা খুব বেরোচ্ছে।--লাকি আর মিতা।
    --- তুই তাহলে মিতা?
    --হ্যাঁ; শোন, এটা আমাদের কোড নাম। এই নামে আমরা নিজেদের মধ্যে চিঠি লিখব। নিজেদের ডাকব। কেউ টের পাবে না। কী মজা!
    ও হাত বাড়িয়ে দেয়। আমিও বাড়িয়ে দিই। কিন্তু কেউ কাউকে ছুঁতে পারি না। ও বাংকের থেকে একটু কিনারার দিকে গড়িয়ে আসে। এবার ছোঁয়া যাচ্ছে।
    আমার কী যে মনে হল-- আমি হাত বাড়িয়ে ওর কনুইয়ের ভাঁজে একটা চপ মারলাম। ও টাল সামলাতে না পেরে মাথা নীচের দিকে করে পড়ে গেল। কিন্তু ওর মাথা মাটি ছোঁয়ার আগে আমার দু'পা কাঁচির মত ভাঁজ হয়ে ধরে ফেলেছে ওর গোড়ালি। ও ঝুলছে বিপজ্জনক ভাবে, মুখে চাপা আর্ত চিৎকার!
    নীচের থেকে অসীমদা লাফিয়ে এসে ধরে ফেলেছে ওর মাথা। ওদিকের বেঞ্চ থেকে ঘুমন্ত ছেলেটি অসীমদার ডাকে উঠে এসে ধরে ফেলেছে বিপ্লবকে। ওরা দুজনে আস্তে আস্তে নামিয়ে দেয়।
    আমি নীচে নেমে আসি। বিপ্লব স্বাভাবিক হতে একটু সময় নিল।
    -- কী করে পড়ে গেলি বলত? আর একটু হলেই বিচ্ছিরি চোট লাগত। কেউ ধাক্কা দিয়েছিল?
    আমি জনলা দিয়ে বাইরে তাকাই।
    বিপ্লব কাঁপা কাঁপা গলায় বলে-- ঝিমুনি এসেছিল, বাজে স্বপ্ন দেখছিলাম। গড়িয়ে পড়েছি।
    -- যত্ত সব ঢ্যামনামি! এসব হল নতুন বাল গজানোর চুলকুনি।
    পরের দিন বিকেলের মধ্যে আশ্রমের সবাই জেনে যায় অসীমদার উপস্থিত বুদ্ধি ক্যাচ ধরার টেকনিক আর আমাদের দুজনের ঢ্যামনামির গল্প।
    আমাদের নিজস্ব রইল শুধু দুটো শব্দ-- লাকি আর মিতা।

    কালকে দার্জিলিং যাওয়ার গ্রুপটা রওনা হয়ে যাবে। প্রায় ৪৫ জন। বাকি দেড়শ জন পূজোর ছুটিতে বাড়ি যাব সাতদিন পরে।
    অর্থাৎ এই সাতদিন লাকি একলা হয়ে যাবে, মিতা তো দার্জিলিং গিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দে মশগুল হবে।
    আমরা যথারীতি প্রেয়ার হলের পেছনের বারান্দায় হাতধরাধরি করে দেয়ালে হেলান দিয়ে কথা বলছি।
    পূজোর পনের দিন ছুটি। লক্ষ্মীপূজোর পর হোস্টেলে ফিরতে হবে। বিসর্জনের পর বাড়িতে কেমন একঘেয়ে লাগবে। বাড়ির রান্না, পূজোর নতুন জামাকাপড়, পার্কসার্কাস পাড়ায় দুর্গোপূজোয় বা অষ্টমী-নবমীতে সকালের অঞ্জলি ও সন্ধ্যেয় ঘুরে ঘুরে বালিগঞ্জ ভবানীপুরের ঠাকুর দেখা-- তার রোমাঞ্চ আর আগের মত নেই।
    মিতা বলে-- একদিন আমার বাড়িতে আয় না? দুজনে খেয়েদেয়ে ঘুরে বেড়িয়ে --।
    --- কোথায়?
    -- আমহার্স্ট স্ট্রীট পাড়ায়।
    --বেশি চিনি না। শ্যালদা চিনি, আর কলেজ স্ট্রিটে গোপাল পাঁঠার দোকান চিনি। কয়েকবার কাকার সঙ্গে মাংস কিনতে গেছি।
    --ব্যস্‌, ব্যস্‌! ওতেই হবে। তুই পার্কাসার্কাস ডিপো থেকে শ্যালদার ট্রাম ধরে আয়। তারপর হ্যারিসন রোড ধরে কলেজ স্ট্রীটের দিকে দুটো স্টপ এগিয়ে যা। ছবিঘর সিনেমার সামনে দাঁড়াবি। আমি এসে তোকে নিয়ে যাব। দুপুর একটা নাগাদ আয়।
    -- মাকে বলতে হবে। ট্রামের ভাড়া চেয়ে নিতে হবে না?
    -- হ্যাঁ, বলেই আসবি। তাইতো একটা নাগাদ আসতে বললাম। নইলে মাসিমা ভাববেন ম্যাটিনি শো'তে সিনেমা দেখার ধান্দা করেছিস।

    আমরা বেশ উদ্দীপ্ত হই। এটা দারুণ হবে।
    এমন সময় খেলার মাঠের দিক থেকে একটা বিকট চিৎকারে চমকে উঠি। নাঃ, বেশ কয়েকজনের উত্তেজিত কথাবার্তা আর চিৎকার।
    আমরা উঠে পড়ি, দ্রুত পা চালাই হট্টগোলের উৎস সন্ধানে।
    ফুটবল মাঠের কাছে বিশাল ভীড়। এর ওর কাঁধের ফোকর দিয়ে উঁকি মেরে দেখি--- আমাদের রুম ক্যাপ্টেন রাজকুমারদাকে দোতলার ওয়ার্ডেন সন্তোষদা বেধড়ক পেটাচ্ছেন। কিন্তু তালঢ্যাঙা আর পেস বোলার রাজুদাকে পেটানো সহজ নয়। ও প্রাণপণে মারগুলো ভোঁতা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সন্তোষদা হাঁফিয়ে উঠেছেন। এবার বেত ফেলে দিয়ে ওর কায়দা করে সিঙাড়া করা চুলের মুঠি ধরে ঘাড়ে রদ্দা।
    আর তক্ষুণি একটা তীক্ষ্ণ খ্যানখেনে গলাঃ অ্যাই ছেড়ে দিন, ওকে ছেড়ে দিন বলছি! ও কিচ্ছু করে নি। মারতে হয় আমাকে মারুন!
    বিমানদা!
    রাজুদার ভালবাসার পার্টনার!
    বিমানদা অনুরোধ করছে না, সন্তোষস্যারের কাছে ভিক্ষে চাইছে না, বরং ওর রাগে গলা কাঁপছে, ও কাঁদছে!
    সন্তোষদা হতভম্ব। ভীড়ের মধ্যে নানান আওয়াজ, অধিকাংশই সন্তোষস্যারের বেত চালানোর বিরুদ্ধে।
    উনি ছেড়ে দিয়ে বললেন-- যা! ফের কখনো--!
    বিমানদা, ক্লাস টেনের বিমানদা, কাঁদতে কাঁদতে সবার সামনে রাজুদাকে জড়িয়ে ধরে টানতে টানতে আমাদের রুমের দিকে নিয়ে যায় আর রাজুদা শরীরের সমস্ত ভার ওর ওপর ছেড়ে দিয়ে কেমন ঘসটে ঘসটে চলে যায়।
    ভিড় পাতলা হয়। অনেকের সঙ্গে আমরাও কলতলার দিকে এগিয়ে যাই। একটু পরেই প্রেয়ারের ঘন্টা বাজবে। 

    প্রশান্ত আমাকে বলে--দেখলি! এই হল সত্যিকারের ভালবাসা।
    -- আচ্ছা, বিমানদা ওরকমভাবে সবার সামনে রাজুদার জন্যে স্ট্যান্ড নিল, কাঁদল; তারপর মার খাওয়া রাজুদাকে জড়িয়ে ধরে ঘরে নিয়ে গেল।
    -- গেল তো! তাতে কী হয়েছে?
    -- লজ্জা করল না?
    -- কেন করবে? ঠাকুর বলেছেন না?--লজ্জা-মান-ভয়, তিন থাকতে নয়!
    --- ভাগ শালা! কিসের সঙ্গে কিসের তুলনা?
    --- হ্যাঁ হ্যা`; কোথায় নেতাজি আর কোথায় পেঁয়াজি!
    বিশু ফান্ডা দেয়-- ভুল কী বলেছে! ঠাকুর যে তিনটে আকর্ষণ বা টান এক হলে ঈশ্বর থাকতে না পেরে ভক্তকে দেখা দেন বলেছেন তার মধ্যে একটা হল --নষ্ট মেয়ের উপপতির জন্যে টান।
    --ঠাকুর এরম উদাহরণ দিতেই পারেন না।
    --  কথামৃত পড়িস নি তো! না পড়ে তক্কো করছিস। পড়লে জানবি ঠাকুরের উদাহরণগুলো সব গ্রামের জীবনের থেকে নেওয়া। তাতে মাটির সোঁদা গন্ধ টের পাওয়া যায়।

    প্রেয়ার হলে ঢোকার মুখে বিপ্লব থুড়ি মিতা আমার হাত ধরে টানে।
    -- লাকি, আজ বিমানদাকে দেখে কেমন সেদিনের বিশুর বলা কথাটা একটু যেন বুঝতে পারলাম।
    -- কোন কথাটা?
    -- ওই যে-- "আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা তারে বলি কাম,
    কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম"।

    এরপর রাত্তিরে দরজায় ঠক্ঠক বা চাপা গলায় রাজু-রাজু ডাক শুনলে আর বিচলিত হই না। সবার আগে গিয়ে চুপচাপ দরজা খুলে দিই। তারপর বিমানদা ক্যাপ্টেনের মশারিতে ঢুকে গেলে আমিও নিজের মশারিতে সেঁদিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ওদের মশারি থেকে কথাবার্তা বা বেড়ালের দুধে চুমুক দেওয়ার আওয়াজ কিছুই আর আমার কানে ঢোকে না; আমি অঘোরে ঘুমোতে থাকি।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১১০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.251.160.146 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:১১516569
  • দুর্গা 
    লজ্জা-ঘৃণা-ভয় 
    কথামৃতের কপি পেস্টেই এই? ইন্টারপ্রিটেশনে আর কী হবে!  
  • Ranjan Roy | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১০516853
  • চতুষ্কোণ
        শুধরে নিলাম --লজ্জা-মান-ভয়।
     
    আমি আগে দুর্গার বানান লিখতাম --দূর্গা -দূর্গতিনাশিনী মেনে।
    কিন্তু সম্পাদক লেখক সমরেন্দ্র দাস বললেন--ওটা ভুল। দুর্গা এসেছে দেবী দুর্গেশ্বরী থেকে, অতএব --দুর্গা লিখুন।
    এখন আপনি বলুন--কী করি? 
  • π | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫০516855
  • রঞ্জনদা, বানানটা দুর্গতিই তো। 
     
  • :|: | 174.251.160.146 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৩516856
  • কোনও শোধন তো দেখতে পাচ্ছিনা -- একই আছে দুর্গা বানান এবং লজ্জা-ঘৃণা-ভয়ের অপরিশোধিত রূপ। 
    আমার ব্রাউজারের দোষ কি? বুঝতে পারছিনা! 
  • Ranjan Roy | ০১ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৯516873
  • এবার দেখুন। 
    মোবাইলে করতে গিয়ে দুর্গা শব্দটি সব জায়গায় ঠিক করা হয় নি।
  • :|: | 174.251.160.146 | ০১ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৮516874
  • ধন্যবাদ। দুর্গার দুর্গতি দূর করার জন্য। কিন্তু যেটা বোঝাতে পারছিনা সেটা হলো ফ্রেজটা লজ্জা ঘৃণা ভয়। মাঝের শব্দটা মান নয়। মান আর হুঁশ যার আছে সেই মানুষ -- এমনটাই বলতেন তিনি যাঁকে আপনি কোট করার চেষ্টা করছেন। ঘৃণা নিন্দনীয়; তাই কথাটা লজ্জা-মান/ঘৃণা-ভয় তিন থাকতে নয়। 
    জানিনা পরিষ্কার হলো কিনা। 
  • বিপ্লব রহমান | ০২ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৪516897
  • ভালো হচ্ছে। 
     
    দা/ স্যার টাইপো ঠিক দিন ভাই। 
     
     
    "সন্তোষদা হতভম্ব। ভিড়ের মধ্যে নানান আওয়াজ, অধিকাংশই সন্তোষস্যারের বেত চালানোর বিরুদ্ধে।" smiley
  • Ranjan Roy | ০২ মার্চ ২০২৩ ২১:৪৮516900
  • চতুর্ভূজ 
         প্লীজ,  আর একটু সাহায্য করুন। আমিও তো " লজ্জা ঘৃণা ভয়, তিন থাকতে নয়" -- এমনই জানতাম। 
    আপনার বকুনি খেয়ে ঘাবড়ে "মান" করে দিলাম। 
    এখন আপনি বলছেন আগেরটাই ঠিক, কিন্ত অপরিশোধিত রূপে ছিল।
      আর একটু খোলাসা করুন, শুধরে নেব।
    বিপ্লব  
    আপনাকেও বলছি।
  • :|: | 174.251.160.146 | ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৮516916
  • না: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:১১ থেকে একই কথা বলছি। আর এই নিয়ে লিখবো না। আপনি প্রথমে মান লিখেছিলেন। এবং তারপর থেকে আজ অবধি আর কোনও পরিবর্তন দেখিনি। হতে পারে ফোন থেকে বদল করেছিলেন বলে আপডেটেড হয় নি। আমি বরাবর এক ত্রয়ীতেই স্থির আছি -- লজ্জা ঘৃণা ভয়। কনফিউশনের কোনও জায়গাই নাই।
     
  • Ranjan Roy | ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৫516935
  • চতুর্ভুজ
      বুঝেছি, ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হব।
  • Ranjan Roy | ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪২516936
  • বিপ্লব
      দেখুন , ঠিক আছে ?
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ মার্চ ২০২৩ ২২:১৫516982
  • @রঞ্জন, 
    কই ঠিক হয়নি তো! ওপরে দেওয়া উদ্ধৃতি চিহ্ন দেখুন। একই প্যারায় সন্তোষকে একবার "দা", আরেকবার " স্যার" বলা হচ্ছে! devil 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন