এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অসংখ্য সমুদ্র বয়ে যাচ্ছে

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০২২ | ১৮৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ‘‘অসংখ্য সমুদ্র বয়ে যাচ্ছে।
    সময়ের স্রোত
    এবং কেই বা বিখ্যাত হতে চায় এবং অটোগ্রাফ সই করতে চায়
    সিনেমা স্টারদের মত…
    …আমি জানতে চাই আমার মৃত্যুর পর কী হবে…’

    (অ্যালেন গীনসবার্গ, ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ বই থেকে।)

    “আজ সন্ধ্যায় ডরথি নর্মানের পার্টিতে অনেকের সঙ্গে আলাপ হলো। প্রথমে উল্লেখ্য অ্যালান গিন্সবার্গ। তোমার মুখে যার নাম শুনেছি, কিন্তু যার লেখা আমি কিছুই পড়িনি। সম্ভ্রান্ত ককটেল-পার্টিতে একটা গলাখোলা লাল শার্ট গায়ে দিয়ে এসেছে (স্পষ্টতই আমার কবিতা পড়েনি); ভারি সুশ্রী দেখতে, আমি দেখামাত্র ভালোবেসে ফেলেছি, ছেলেটিকে দেখে তোমার কথা বড্ড মনে পড়ছিলো। বললে—আমেরিকার পাঁচজন শ্রেষ্ঠ কবি শীঘ্রই ভারতবর্ষ আক্রমণ করতে চলেছে : কেরুয়াক, গিন্সবার্গ, আরো কে-কে! ‘সুসভ্য ভারতীয়দের বিস্মৃত সোমরসে দীক্ষাদান এদের মহান ব্রত। আমি বললুম ‘সোম’ বোধহয় ফরাশি বা ইতালীয় ওয়াইনের মত নিরীহ দ্রাক্ষারস মাত্র ছিলো, কিন্তু হাক্সলি এদের মগজে যে-ভূত ঢুকিয়েছেন তা তাড়ানো আমার মত ওঝার কর্ম নয়। এরা বিবিধ নেশার চর্চা করে থাকে—গাঁজা, সিদ্ধি, চরস ইত্যাদি, তুরীয় অবস্থায় কবিতা লেখে, সামাজিক রীতিনীতিকে পদদলিত করে—অথচ, এই সমস্ত অতি পুরোনো অতি মলিন অতি ব্যবহৃত মুদ্রাদোষ সত্ত্বেও গি্নসবার্গকে আমি অস্বীকার করতে পারলুম না, আমার মনে হলো লোকটা সত্যি কিছু খুঁজছে, খুঁজে বেড়াচ্ছে, আর দশজনের মতো নয় সে, ভিতরে এক ফোঁটা আগুন জ্বলছে। আমি আবেগের বশে কাল রাত্রে তাকে খেতে বলে দিয়েছি, একজন বন্ধু নিয়ে আসবে বলেছে —কী অবস্থায় আসবে, আস্ত দল নিয়েই চড়াও হবে কিনা—এ-সব ভেবে এখন একটু উদবিগ্ন বোধ করছি, কিন্তু ছেলেটির চেহারা স্মরণ করে অনুতপ্ত হতে পারছি না”

    ( - বুদ্ধদেব বসু-র চিঠি জ্যোতিকে, ১৯/৩/৬১) 

    ছোটোবেলায় সুভাষ-স্যারের কাছে ইংরেজি পড়তাম, সিলেবাসের ভেতর একটু, আর বাইরে অনেক। তা কবিতা পড়াতে পড়াতেই হঠাৎ একদিন কোনো একটা কবিতার লাইনের মানে জিগ্যেস করেছিলাম। সুভাষদা পড়া থামিয়ে বলেছিলেন অ্যালেন গিন্সবার্গ নামে একজন বিখ্যাত মার্কিন কবি ছিলেন - তাঁকে কোনো এক কবিতার আসরে একজন দর্শক কবিতার অর্থ বুঝিয়ে দিতে বলায় গিনসবার্গ নাকি রেগেমেগে তার পরনের শেষ সুতোটুকুও খুলে ফেলেন প্রকাশ্যে। গল্পটা শেষ করে সুভাষ-দা বলেছিলেন, ‘বুঝলে কণিষ্ক, কবিতা বুঝবার নয়, বাজবার’।

    লরেন্স লিপটন আর আনাই নিনের বিবরণীতে সেই দিনের কথা ধরা আছে সুন্দরভাবে - সময়ঃ সন ১৯৫৭। কবিতা পড়তে স্টেজে উঠেছেন অ্যালেন, একজন হেকলার চেঁচিয়ে বল্লে “Come and stand here, stand naked before the people, I dare you! The poet is always naked before the world.” … উত্তরে অ্যালেন খুলে ফেলেন পরিধেয় সবকিছু।

    প্রায় এক দশক পরে অ্যালেন নিজে যা লিখেছিলেন সেটা খানিকটা এইরকম - ‘একটা খুব চালু গুজব আছে যে কলেজের পারফরমেন্সে আমি প্রায়-ই জামাকাপড় খুলে নগ্ন হয়ে যাই, কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা শেষ দশ বছর কোনো পাবলিক রিডিঙেই নগ্ন হইনি আমি। একবারের জন্যেও না। সেই শেষ একবার ১৯৫৭ সালে একটা ঘটনা ঘটেছিলো, সেইটাই অ্যানেকডোট হিসেবে বারবার বলা হয়। তা সেইদিন, একটা প্রাইভেট রিডিং হচ্ছে একটি বাড়িতে, গ্রেগরি করসো কবিতা পড়ছেন (সেই গ্রেগরি করসো, সুনীলের বর্ণনায় “অতিশয় বিশুদ্ধ ধরনের কবি, এবং একেবারেই পাগলাটে ধরনের মানুষ”, যিনি সুনীলের কাছ থেকে পঞ্চাশ ডলার ঝেড়ে দিয়েও জুয়া খেলে অনেক টাকা জিতে এসে আবার ফেরত দেন পাই-টু-পাই।) সেইদিন করসো পড়ছে নিজের লেখা কবিতা “Power”, হঠাৎ এক লাল-চুলো হলিউডি রিপোর্টার চেঁচিয়ে জিগ্যেস করলো “Whatter you guys tryana prove?”, আমি বোধহয় কিছু না ভেবেই স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দিয়ে দিয়েছিলাম মুখের উপরঃ
     
    - “Nakedness!”

    লালচুলো আবার চেঁচায়,
    - “Whadya mean nakedness?”

    আমি তার উত্তরে, কিচ্ছুটি না বলে, সম্পূর্ণ নিঃশব্দে পরনের সবকিছু খুলে ফেলি আস্তে আস্তে। কিছুক্ষণ পর আবার পরেও নিই, নিঃশব্দে। আমার ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে করসো তখনও পড়ে যাচ্ছে তাঁর সেই দীর্ঘ কবিতা “পাওয়ার”।“

    পরে জেনেছি, নগ্নতাকে গিন্সবার্গ বরণ করে নিয়েছিলেন জীবনবোধ হিসেবে। আক্ষরিক অর্থেও যেমন, কবিতায়-শিল্পেও ঠিক তেমন-ই। লিখেছিলেন, “Scribble down your nakedness. Be prepared to stand naked because most often it is this nakedness of the soul that the reader finds most interesting”। সত্যিই তো, নিজেকে সম্পূর্ণ উন্মোচন না করলে সত্যিই কি পড়া যায় প্রত্যেকটি বলিরেখা? পুরোপুরি সৎ হওয়া যায় শিল্পের কাছে?

    গিনসবার্গ সত্যিসত্যিই বিশ্বাস করতেন, “Candor ends paranoia”!

    শোনা যায়, হেনরি কিসিঙ্গার-কেও নাকি তিনি প্রস্তাব দেন তাঁর সাথে একসাথে নগ্ন হওয়ার শুধুমাত্র প্রকৃত সৎ আলোচনার স্বার্থে (বলাই বাহুল্য কিসিংগার সে প্রস্তাবে সাড়া দেননি)। 
    ওনার কবিতা তো বহুপঠিত, বহচর্চিত। সেসব আর দিয়ে ভারাক্রান্ত করবো না, তবে সুনীল গাঙ্গুলীকে লেখা একটি চিঠির অংশ হবহু তুলে দিলাম নীচে। ওঁরা বেঁচে থাকলে হয়তো আজ-ও এটা অপ্রাসঙ্গিক হতো না, যেমন অপ্রাসঙ্গিক হবে না কবিতা, কোনওদিন-ই কোনো রাষ্ট্রযন্ত্রের ভয়ে।

    “"What should be my stand.” Mine is, just tell the truth of what you feel (as far as it is socially safe—you don't want to be crucified)—including my confessions, resentments, enthusiasms. In other words, “what should be” leads one astray. But one’s real feelings are rarely what they should be. All you can really express well is what your real, actual, private (not should be) feelings actually are. Leave the “should be” perfections to the creeps who are robots, Marxist or Jai Hind style. Yr aversion to the Chauvinism and shouting are really quite normal sensible reactions. I got hysterical when I discovered that the one Chinese restaurant in allahabad had changed to Hindu menu after informal “suggestions” by local politicians. A poet's war work is to stay human, it's an old attitude taken for granted by now in Europe. Also its a great oppurtunity to see how really evil people can be. That's why I like Céline's writing-he makes a big picaresque comedy out of the french war hysteria, World War I. Don't flip out & get drunk-just keep writing yours own silly poetry & publish yr own magazine.
    Or Dont Publish. Fuck it. The joy will be writing something for real,--

    God is listening remember. ... Write for an audience of Martians.”

    রাষ্ট্রযন্ত্রকে, এস্টাব্লিশমেন্ট-কে আজীবন মধ্যাঙ্গুষ্ঠ দেখানো অ্যালেন গীনসবার্গের আজ*, পাঁচ-ই এপ্রিল, মৃত্যুদিন। আর কিছু মনে থাক না থাক, এই আতঙ্কের দিনগুলিতে ওঁর একটা কথা লিখে রাখুন দেওয়ালে, চৌকাঠে, লুকোনো ডায়রিতে, পারলে নিজেকে নিজেই বলুন -

    "Candor ends paranoia"

    পুনশ্চঃ গিনসবার্গের চিঠিটি 'সুনীলকে লেখা চিঠি' বই থেকে তুললাম, বানান (অ)বিকৃত রেখেই।

    করসোর কবিতাপাঠঃ


    File:Allen Ginsberg und Peter Orlowski.jpg - Wikimedia Commons

    (সঙ্গের ছবিটিঃ অ্যালেন গিনসবার্গ এবং পিটার অরলোওস্কি। উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে।)

    *গত বছর, ২০২১, ৫-ই এপ্রিলেই লেখা। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০২২ | ১৮৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৫506173
  • ফাটাফাটি!
    বিশেষ পছন্দের লাইন-- Leave the “should be” perfections to the creeps who are robots, Marxist or Jai Hind style. 
    আরেকটা কথা। আমাদের সময় স্কুলে পড়তে হত বাংলা রচনা। বিভূতি চৌধুরি মশাইয়ের ছাত্রপ্রিয় অতীব সুখপাঠ্য বইতে একটি রচনা ছিল "কলেজের প্রথম দিন"। তাতে একজন সাহিত্যের অধ্যাপক ছাত্ররা জীবনানন্দের কোন কবিতা 'বুঝতে পারছি না' বলায় ক্লাসে বলেছিলেন-- কবিতা তো বুঝবার জন্য নয়, বাজবার জন্য। 
    বইটি ষাটের দশকে লেখা। হয়ত 
  • :|: | 174.251.162.12 | ১০ এপ্রিল ২০২২ ০০:২০506176
  • বোঝা আর বাজা পার্থক্যটি প্রথম করেছিলেন রঠা -- কবিগুরু। 
  • Ranjan Roy | ১০ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৪৩506182
  • ধন্যবাদ চতুর্ভুজ। এটা জানতাম না।
  • যদুবাবু | ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫৯506188
  • রঞ্জনদা, অজস্র ধন্যবাদ। (আর ঠিক, ঠিক লাইনটা ই ভালো লেগেছে :D ... আমিও ঐটাতেই আটকে গেছিলাম।) 
     
    চতুর্মাত্রিক :  অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। এইটা জানা ছিল না একেবারেই। নির্ঘাত সুভাষদার দোষ। অপোগণ্ড ছাত্রকে বলে দেন নি, আর আমিও ওঁর বলা কথা ভেবেই ত্রিশ বছর কাটিয়ে দিলাম। :( 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০১:৫৭506196
  • ক্রেডিট মেরে দিয়েছিলেন। রেফারেন্স গাপ করে। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৩506197
  • সেই পুরনোদিনের অনেকেই আনন্দে চলে গেছেন, " যেখানে নেট নাই নাই রে" তে। আর চিত্রগুপ্ত হাসছেন। বলছেন "বাছারা, আমার খাতায় সব আছে। যাবে কোথা বাছারা? "
    আগেকার দিনে কত যে এরকম এর ওর তার গাপ করে করে কত লোকে কারবার করেছেন, কেউ ধরতেও পারেনি। আস্তে আস্তে এখন ধরা পড়ছে সেইসব অতীতের অতিস্পর্শ। ঃ-)
    চিত্রবাবু অবশ্য এতে দোষ দেখেন না। তিনি বলেন, 'সবই তো আসলে এক এর। তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা। কে কারটা চুরি করে?' ঃ-)
  • যদুবাবু | 2601:5c0:c280:4020:24b6:4959:2b7a:618 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:২২506198
  • না না উনি ভালো লোক ছিলেন, অনেক ডিগ্রি ছিলো না, কিন্তু প্রকৃত স্কলার, আর ছাত্রদের সাহিত্য ভালোবাসতে শেখাতে জানতেন। হয়তো ভেবেছিলেন আমি বা আমরা রেফারেন্স-টা জানি (জানা উচিত ছিলো) তাই আর উল্লেখ করেন নি। এই যেমন আমি যদি এরপরে কোনোদিন দাবী করি যে "তেন ত্যক্তেন ভূঞ্জীথা" আসলে গুরুর সেই অ্যাণ্ডর বলে একজন ছিলেন তার-ই অমর উক্তি - সেইরকম কেস আর কি! 

    তবে হ্যাঁ, বিশ্বসাহিত্যের দুই অমর প্রলিফিক লেখক, একজন সংগৃহীত, অন্য জন et al. 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:২৪506199
  • 'তে ত্য ভু' বিখ্যাত ব্যাপার, বিশেষ করে এই ব্যাপারে দাড়িদাদুর বাবা জড়িত আছেন, তাই অনেকেই জিনিসটা জানেন। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:২৮506200
  • আজকাল আবার ফেবুতে যা খুশি একটা বাক্য লিখে কোটেশন মার্কের মাঝে রেখে নিচে নেপোলিয়ন, আলেকজান্ডার, কৌটিল্য, সক্রেতিস ইত্যাদির নাম দিয়ে দেওয়া হয়। ঃ-)
  • যদুবাবু | 2601:5c0:c280:4020:24b6:4959:2b7a:618 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩৫506201
  • হ্যাঁ আমিও করছি। ছোটোবেলায় ইতিহাস পরীক্ষায় ঐতিহাসিক-দের লাগসই কোটেশন না দিলে নাম্বার পাওয়া যেতো না, কিন্তু একা রোমিলা থাপার আর যদুনাথ কতো টানবেন? তাই পাশের ছেলের বাবামায়ের নাম জিগ্যেস করে দেদার লিখেছি ঐতিহাসিক অমুক চন্দ্র তমুক বলেছেন মুঘল সভ্যতা ভাঙ্গিয়া পড়িবার কারণ পার্টির মধ্যে আকচা-আকচি ও অন্তর্দ্বন্দ্ব। :D  
  • &/ | 151.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০২:৫০506202
  • মুঘল সভ্যতা আর সিন্ধু সাম্রাজ্য --এই দুই ক্ষেত্রেই পতনের কারণ পার্টির মধ্যে আকচাআকচি আর অন্তর্দ্বন্দ্ব। ঃ-)
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:68fe:4a1c:256e:fa7f | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৪:১০506203
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা। 
  • য-বা | 2601:5c0:c280:4020:e941:fa3:7c80:d21c | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০০506206
  • থ্যাঙ্কু, টিম-দা! smiley
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৭:১২506207
  • ভালো লেগেছে আমারও কিন্তু কিছু বুঝি না বলে বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না! তো এই কোটেশন প্রসঙ্গে বলি, হায়ার সেকেণ্ডারিতে দেবদীপ মাইতি বলে পুরুলিয়া-নরেন্দ্রপুরের একটা ছেলে ঐ রকম কোটেশন দিয়েছিল - রমেনদা খাতায় লিখে দিয়েছিলেন - "ইনি আবার কে"?

    সেই ছেলে অবশ্য রমেনদাকেও বধ করেছিল। বলেছিল বিয়াঙ্কা কাস্তাফিওরকে যেমন মিলানের কোকিল বলা হয় তেমনি বিদ্যাপতিকে মৈথিল কোকিল বলে। রমেনদা আর যাই হোক টিনটিন পড়তেন না!
  • যদু | 2601:5c0:c280:4020:e941:fa3:7c80:d21c | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৩৪506209
  • "ইনি আবার কে?" laughlaugh  

    আর এই যে তোমার বি(য়াঙ্কা  + দ্যাপতি) - দুই কোকিল ! 

  • dc | 171.60.203.142 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৫০506210
  • লেখাটা আর লাস্টের ছবিটাও খুব ভালো লাগলো। 
     
    আর এই কোটটাওঃ "অসংখ্য সমুদ্র বয়ে যাচ্ছে। সময়ের স্রোত"। এর মানে ​​​​​​​কি ​​​​​​​অনেকগুলো অর্থোগোনাল ​​​​​​​টাইম ​​​​​​​ডাইমেনশান? হয়তো তিনটে ​​​​​​​টাইম ​​​​​​​আর ​​​​​​​তিনটে ​​​​​​​স্পেস ​​​​​​​ডাইমেনশান আছে, ​​​​​​​আর ​​​​​​​টাইম স্ট্রিমের ​​​​​​​বাসিন্দারা ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​কারুর ডাইমেনশানের ​​​​​​​কথা ​​​​​​​জানতে ​​​​​​​পারে ​​​​​​​না। ​​​​​​​এই যে ​​​​​​​আমি ​​​​​​​চেয়ারে ​​​​​​​বসে ​​​​​​​এই ​​​​​​​পোস্টটা ​​​​​​​লিখছি, আমার ​​​​​​​এক ​​​​​​​ন্যানোসেকেন্ড ​​​​​​​পেছনে ​​​​​​​হয়তো ​​​​​​​আর একটা ​​​​​​​টাইম ​​​​​​​স্ট্রিম ​​​​​​​বয়ে ​​​​​​​চলেছে ​​​​​​​যেখানে ​​​​​​​একটা ​​​​​​​সুপারনোভা এক্সপ্যান্ড করছে ​​​​​​​আর ​​​​​​​এক ​​​​​​​ন্যানোসেকেন্ড ​​​​​​​আগে আরেকটা টাইম ​​​​​​​স্ট্রিমে ​​​​​​​এলিয়েনরা ​​​​​​​সুখে ​​​​​​​সাঁতার ​​​​​​​কাটছে। 
     
     
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৯:০৭506211
  • বাঃ বেশ বেশ।
  • বিপ্লব রহমান | ১১ এপ্রিল ২০২২ ০৯:১৬506212
  • লেখাট ভাল লাগলো। 
    কিছুটা অপ্রসংগ। 
     
    গিন্সবার্গ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা "সেপ্টেম্বর ইন যশোর রোড" কবিতায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। মৌসুমি ভৌমিক এ নিয়ে গান করে কবিতায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। 
     
  • একক | ১১ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৫506216
  • সুভাষদা কে মনে পড়লো কতকাল বাদে। একবার প্রসেনজিৎ কে বলেচিলেন ঃ অমন লাফাচ্চ ক্যানো?  পশ্চাদ্দেশে কি জোড়া ভীমরুল আক্রমণ করেছে!! 
     
    সুভাষ দা, যোগেশ দা দুজনেরই, আলাদা করে রেফারেন্স না বলে অনেক কিচু কোট করার অভ্যেস ছিল। বুঝে নিতে হত। যেমন,  জীবনানন্দ পড়াতে গিয়ে ঃ কাব্য চিত্রবহুল,  চিত্র বর্ণবহুল, বর্ণ বর্ননাবহুল। কার উক্তি বারবার বলবেন না। আগে কখনো বলেচেন।মনে রাকতে হবে। 
  • একক | ১১ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫৭506217
  • ওহহ সরি, তাড়াতাড়িতে ভুল লিকেচি। 
     
    কাব্য বর্ননাবহুল। বর্ননা চিত্রবহুল।  চিত্র বর্ণবহুল। 
  • যদুবাবু | ১১ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৩১506219
  • @এককঃ থ্যাঙ্কু ! আর জোড়া ভীমরুল :D :D মিশনের '৯৫ পাস-আউট-রা একটা চ্যানেলে ওদের সাক্ষাৎকার রেখেছে। সেদিন দেখছিলাম। সুভাষ-দা খুব-ই রোগা হয়ে গেছেন। প্রায় চেনাই যায় না। 

    যোগেশ-দার বাঁধা লবজ ছিলো "পুচ্ছদেশে হাম্পু দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো" ... ফরচুনেটলি হাম্পু কি জিনিষ আর জানার সৌভাগ্য হয়নি। তবে, আমরা যে ওদের পেয়েছি এই ব্যাপারে নিজেকে ভাগ্যবান ও প্রিভিলেজড মনে করি। 

    @বিপ্লব-বাবুঃ থ্যাঙ্কু ! এই গানটি খুব প্রিয়। মৌসুমী ভৌমিক আমাদের বন্ধুদের মধ্যে ঈশ্বরীপ্রতিম ছিলেন, এখনো আছেন বোধ করি। আর কোনো কিছুই অপ্রসংগ নয়, এ তো কিছু গভীর আলোচনা হচ্ছে না, হলেই বা কী? 

    @dc: ঐটাই আমার সারাক্ষণ জিনিষপত্র হারিয়ে ফেলার (কু)যুক্তি। এই যেন টেবিলে চাবির গোছা রাখলাম কলেজ থেকে ফিরে, আর এই "অসংখ্য সমুদ্রের স্রোতে" ভেসে সে গিয়ে পড়লো পাশের টাইম কিংবা স্পেস ডাইমেনশনে। হয়তো সেখানে তখন আরেকজন যদুবাবু সকালবেলায় অবাক হয়ে ভাবছেন এই চাবির গোছাটা ফুলের টবে পোঁতা কেন? 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৩ এপ্রিল ২০২২ ০২:৫২506259
  • মৈথিল কোকিল বিদ্যাপতির মাথায় ওটা কী? খয়েরী পাগড়ি ?
  • যদুবাবু | ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১০:৪৫506286
  • ঐ গোছের-ই কিছু একটা। এই দেখেন বিদ্যাপতির মূর্তি। এই দেখেই চোতা করেছিলাম। মাথায় একটা তবলার বিড়ে গোছের কিছু আছে। 
     
    বিদ্যাপতি - উইকিপিডিয়া
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন