এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ১৭-ই সেপ্টেম্বর

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৩৮৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • বছর চারেক আগের একটা লেখা, কোনো এক সতেরোই সন্ধ্যেবেলায়। রদ্দি মাল, কিন্তু পি-আচার্য্য শিখিয়েই গেছেন, 'শীতকাল' কিংবা 'তোমার প্রিয় মহামানব' রচনা একবার গাঁতিয়ে নিলে বছর-বছর কাজে লাগে, অর্থাৎ উৎসব-পার্বণের বাংলা রচনা ফৌজদারী মামলার মতো, জীবদ্দশায় তামাদি হয় না। 
     
    **১৭-ই সেপ্টেম্বর** 
     
    আমাদের এই অঙ্কের লাইনে অনেক ওপেন প্রব্লেম আছে, মানে এমন অদ্ভুত অঙ্ক, যার উত্তর আগেই বলা আছে, কিন্তু কি করে অঙ্কটা কষতে হবে কেউ জানে না। তো আমার জীবনেও ওই লার্ভা থেকে পিউপা হওয়ার মাঝখানটা ভর্তি ছিলো এরম গাদা গাদা প্রশ্নে ... ওপেন প্রবলেম! না না বারমুডা অথবা তজ্জনিত ট্রায়াঙ্গল নয়, ঈস্টার দ্বীপপুঞ্জ বা লক নেসের জলোসরাস-ও নয়, একদম পাতি ছাপোষা শহরতলির বাঙলা মিডিয়াম প্রব্লেম, এই যেমন  ধরুন, ১) আসল দুলাল চন্দ্র ভড় কে? (R) চিহ্ন না পুরো নাম? ২) আসল বেণীমাধব শীল বা আদি-তম শ্রীভৃগুই বা কারা? আর ৩) সন্তান দল প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালে দেওয়ালে 'রাম নারায়ণ রাম' লিখতে লিখতেই বা কী করে জানতে পারলেন নেতাজী এবার ল্যাদ কাটিয়ে রিটার্ন টিকিটটা বুক করেছেন সামনের মাসে?
    কিন্তু সবথেকে আশ্চর্য লাগতো এইটা দেখে যে বাকি সব পুজো-পার্বণ এদিক-ওদিক গড়াগড়ি খায়, কিন্তু ওই এক বিশ্বকর্মা পুজো নট-নড়নচড়ন, ফি বচ্ছর ১৭-ই সেপ্টেম্বর বাঁধা।

    সেই দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্মে যেমন সদর্পে ঘোষণা থাকতো, 'সব জ্যোতিষী বারবার, অমৃতলাল একবার!' (বলাই বাহুল্য, অমৃতলালের কেরিয়ার নিয়ে সেই থেকে কিছুটা সংশয় এযাবৎ রয়েই গেছে)। তো এবারের গল্প আমাদের সেই  'নিষ্পাপ' ছোটোবেলার একমাত্র ফিক্সড পয়েন্ট নিয়ে, যার নাম ১৭-ই সেপ্টেম্বরের আকাশ, ধারকাছ দিয়ে গেলে সাবধান, এই বয়সে ভোঁকাট্টা হলে দায়িত্ব কিন্তু কর্তৃপক্ষের নয়।
     
    বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটা কিন্তু আসলে সিজন ফিনালে, মেগা-ফাইনাল, যাঁকে বলে পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডী নাদাল-ফেডেরার। এক মাস আগে থেকে চলতো মাঞ্জা দেওয়া, ভাতের মাড়ের সাথে কাঁচের গুঁড়ো, সাগু, শিরিষ মিশিয়ে সুতোয় প্রলেপ। সুধীজনেরা জানেন, মাঞ্জার ধার নিয়ে নিউটনের একটা সূত্র আছে, যত আজগুবি লজ্জাঘেন্নার-মাথা-খাওয়া জিনিষ সে মাঞ্জায় গেছে - ততই তার ধার। বন্ধুরা সব বাসে যেতে যেতে রোমহর্ষক গল্প শোনাতো, কে পচা ডিম দিয়ে মাঞ্জা দেবে বলে ডিম পচিয়ে শহীদ হয়েছে, কে আবার কাঁচের গুঁড়োর জন্য দিদিদের কিছু চুড়ি কুরবান করতে গিয়ে নিজেই কুরবান হয়ে গেছে, এক পাড়াকাকু ছিলেন মাঞ্জা-স্পেশালিস্ট, তাঁর মাঞ্জা-ফর্মুলার রহস্য কে-এফ-সি-র চিকেনের মতো, কেউ জানে না কি দেয়, বদলোকে বলতো কুকুরের এবং মানুষের সম্মিলিত ইয়ে থাকে তবে পূতীগন্ধময় লাটাই ছাড়া তার প্রূফ দেখিনি কখনো -- মাঝ আকাশে তাঁর ঘুড়িটি যখন বে-রেহমি-সে আগে বাড়তো আশেপাশের ছাদে সমবেত আর্তনাদ শোনাও এক অভিজ্ঞতা বটে !
     
    বহুযুগ পরে ট্যারান্টিনোর কিল-বিল দেখছি, একটি দৃশ্যে জাপানী সন্নিসী উমা-দিদিমুনিকে তরোয়াল দিয়ে বললেন, 'If on your journey, you should encounter God, God will be cut' -  মনে হলো আমাদের পাড়াকাকুর মাঞ্জা তো আর দেখো নি, নিশ্চয়ই ট্যারান্টিনোর ঘুড়িও কেটে দিতো।
     
    সব গল্পেই একটা খিঁচুটে ভিলেন থাকে, আমাদের ঘুড়ির গল্পে ছিলেন পাড়ার এক দাদু,  নাম ধরা যাক সদার বাবা গদা, নিয়মিত খেলা ভন্ডুল করে দেওয়ায় পাড়ায় তাঁর আদরের নাম ছিলো বাল ঠাকরে। তিনি বাচ্চাকাচ্চাদের ছাদে দেখলেই পরিত্রাহি চিৎকার করতেন আর অমনি আদেশ হতো সুড়সুড় করে নেমে আসার। এতেও ছাদময় ঘুড়ির দৌরাত্ম্য না কমায় তিনি একবার পাড়াশুদ্ধু গার্জেনদের সভা ডেকে বানিয়ে বানিয়ে ভয়ানক গল্প বলতে লাগলেন, কাকে দেখা গেছে কার্নিশ বেয়ে হাঁটতে, কে লগা নিয়ে হাইওয়েতে স্পিড লিমিট ক্রস করে দৌড়চ্ছিলো ইত্যাদি। অল্পেতেই কাজ হলো, অবিলম্বে ব্যান হলো আমাদের ছাদে যাওয়া। মনে আছে সেদিন সেই মিটিং থেকে বেরিয়ে দেখি অধোবদন সদাকাকু গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে, আমাদের দেখে বললেন, বাবার এই কাঠি করার হ্যাবিট-টা না আর গেলো না ...
     
    অবিশ্যি সত্যি বলতে গেলেও আমার যে কিছু উন্নতি হতো এমন নয়, মাঞ্জা-টাঞ্জা দেওয়া তো দূর, ঘুড়িও যে খুব একা-একাই দারুণ ওড়াতে পারতাম এমন দাবী করলে পাড়ার বন্ধুরা এসে চাঁটি মারবে। তবে গ্যলারি যদি খ্যালার-ই অঙ্গ হয়, তাহলে আমিও একটা প্রত্যঙ্গ তো বটেই। মিলেনিয়াল-রা জানে কিনা জানিনা, তবে ঘুড়ি যখন ওড়াতে হয়, ছাদ থাকলে ছাদ থেকে সুতো ধরে তলায় ঝুলিয়ে প্রবল একটা হ্যাঁচকা-টর্ক। না থাকলে খোলা মাঠে এক অভাগা এক যোজন দূরে দুহাত তুলে ঘুড়ি ধরে দাঁড়াবেন আর পেশাদার উড়িয়ের কাজ মওকা বুঝে হ্যাঁচকা-টান ... 
    ছেলেবেলার সেই খেলার মাঠের সেপিয়া ছবিতে সব্বাই পেশাদার, যে একটি ছেলে এপ্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে ছুটে সবার ঘুড়ি প্রাণপণে উপরে ঠেলছে সেই ক্যাবলা ছানাটিই আমি। 
     
    যৌবনের শুরুতে এক বান্ধবীকে প্রাণপণ ইম্প্রেস করতে চেয়ে বলেছিলাম, 'না ওড়াতে জানিনা, কিন্তু ঘুড়ি কেন ওড়ে সেই মেকানিক্স টা জানি', ফিজিক্স-এ (ও প্রেমে) যে আমার ফুটুরটি নেহাত-ই ডুম, সেই সন্ধ্যেয় প্রথম বুঝি ...
     

     
    আর বুঝি, গল্প কেন সত্যি হয় না ... বললাম না, নেহাত-ই নিষ্পাপ এবং ক্যাবলা ছেলেবেলা ছিলো আমার - যা পড়তাম সব ভাবতাম সত্যি ! সেবার পুজোবার্ষিকীতে শীর্ষেন্দুর একটা গল্প পড়লামঃ একজন লোক, যাঁর জীবনে ভারি কষ্ট - তিনি রোজ ঘুড়ি ওড়ান আর রোজ একটা করে আজগুবি আদেশ পেতে থাকেন ঘুড়ির গায়ে লেখা, কোনোদিন বলে বসের মাথায় ঘোল ঢালতে, কোনোদিন বলে ঝাঁপ মারতে তিনতলা থেকে।  ও মা, গল্পের শেষে দেখা যাবে, যা যা করেছেন সবেতেই খুব উপকার হয়েছে তাঁর - বসের টাকে চুল, মাজার ব্যথা গন এবং লাইফ ঝিঙ্গালালা। তো আমার খুব ফ্যান্টাসি হতো, একদিন নিশ্চয়ই মাঠে নেমে আসা শেষ ঘুড়িটা যখন কুড়িয়ে পাবো, আকাশের কোনো এক বন্ধু কিছু পাঠাবে লিখে? হয়তো বলে দেবে কি করলে আর টিফিনে জলের বোতল চুরি হবে না, বা বন্ধুরা আর খ্যাপাবে না ... কিন্তু নাঃ, সে ঘুড়ি আর আসে না! তারপর একদিন ভেবে দেখলাম, ইনকামিং যখন নেই, আউটগোয়িং-ই সই। 
     পাড়াকাকুকে বলে বিশাল দো-ত্তে ঘুড়ির ওপর স্কেচপেনে লিখে রাখতাম মহার্ঘ সব সদুপদেশ, কোনোটা গভীর জীবন-দর্শন, কোনও কোনোটা আবার নিতান্তই ছাপোষা, যেমন "এক মাস নখ কাটবেন না", কিংবা "আজ চান করার সময় একটু শ্যাম্পু খেয়ে দেখুন" ইত্যাদি ...
     
    "বোম-মারা" বলে বিকট আওয়াজ হতো কাটা পড়ার সময়, আর বহুদূরে ঘুড়িগুলো হারিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ে চেয়ে দেখতাম কোথায় পড়ছে ...
     
    আজ বাড়ি ফেরার সময় একবার আকাশের দিকে তাকালাম, নাঃ, তাদের একটাও অতলান্তিক ক্রস করেনি দেখছি ... 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৩৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:11aa:9dfa:f7a9:1c38 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:৪৯498274
  • baa:
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:০৩498277
  • থ্যাঙ্ক ইউ, অরণ্য ! 
  • :|: | 174.255.130.182 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:১১498278
  • ঘুড়ির মতোই রঙীন। সুন্দর! 
  • ভাষা ভাষা | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৩৫498280
  • উড়তে উড়তে  লেখাটা আমায় অতলান্ত পার করে দিল!! 
  • ইন্দ্রাণী | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৬498283
  • দুর্দান্ত লেখা।
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০৭498286
  • @ভাষা ভাষা, @ইন্দ্রাণীঃ আপনারা পড়েছেন, পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন, খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ :) 
  • ইন্দ্রাণী | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:১৮498287
  • পিঠ চাপড়ানোর প্রশ্ন ওঠেই না যদুবাবু। 
    আমি আপনার সমস্ত লেখার তন্নিষ্ঠ পাঠক ও ভক্ত।
    সব সময় জানানো হয় না -এই আর কী।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৩৩498289
  • যেমন লেখা তেমনি ছবি। মেয়েটা ভারি মিষ্টি।
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:০৪498291
  • ইন্দ্রাণীঃ :) 

    অভ্যুদাঃ আর বোলো না, হায়ার অথরিটি জিগ্যেস করেছেন উটি কে বটে? তাকে বললাম 'সব চরিত্র কাল্পনিক, সব দুশ্চরিত্র আরও বেশী কাল্পনিক" 
  • | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:২৩498294
  • বাহ খাসা লেখা। দিব্বি লেখা।
  • r2h | 2405:201:8005:9078:cc9d:1886:2845:7c5d | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১২498297
  • ব্যাপক, কেয়াবাত - ছবি লেখা দুইই!
  • Kausik Ghosh | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:১৫498300
  • এ্যাই না, আমি একবার ১৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো হতে দেখেছি।
    তবে লেখাটা কিন্তু ব‍্যাপক উপভোগ্য হয়েছে।
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩১498321
  • @দ, র২হ : থ্যাঙ্ক ইউ, শুক্রিয়া, ধন্যবাদ। আমার কার্টুন আঁকতে খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে একটু রাজনৈতিক হলে, তবে ভোট শেষ হয়ে উপলক্ষ্য/এনথু কমে গেছে। 

    @কৌশিক-বাবুঃ আরিঃত্তারা সিরিয়াসলি? দাঁড়ান বাংলা ক্যালেণ্ডারে খোঁজা যায় কি না দেখি। এই কাউণ্টার-এগজাম্পল-টা পেলে একটা বহুদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবো। আর থ্যেঙ্কু ! 
  • π | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪২498323
  • আমারো ব্যাপক লাগল যদুবাবু!!  এরকম ঘুড়ি পেলে কীই না ভাল লাগত!  
     
    এমনি লিখে লিখে ঘুড়ি ওড়ানোর চল হলেই বা কী বা ভাল হয়! 
  • Kausik Ghosh | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:০৭498326
  • খুঁজে টুজে যতোটা দেখলাম, ২০১৯-এ বিশ্বকর্মা এসেছিলেন ১৮ তারিখে। তার আগে '১২, '১৩ এবং '১৬-তে সম্ভবত সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে।
    বছরের পর বছর ১৭ তারিখ দেখে মনের মধ্যে খটকা ছিলোই, আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আরেকজনকে পেলাম যার চিন্তার লাইন আমার সাথে মিলে গেছে। ভালো হয়, আপনিও যদি একটু পুরনো ক‍্যালেন্ডারে দ‍্যাখেন।
    তবে এই তারিখনামা কিন্তু আপনার লেখার ত্রুটি ধরার জন্য নয়, লেখাটা নিয়ে জাস্ট কোনো কথা হবে না।
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:১৯498330
  • @কৌশিক-বাবুঃ আরে না না ধুর, এতে কেউ মনে করে নাকি? আসলে কী হয়েছে জানেন, ছোটোবেলায় নিশ্চয়ই বার-বার দেখেছি, আর ঐরকম ভেবে নিয়েছিলাম। আর তারপর যা হয় আর কি! মনে মনে একটা প্যাটার্ণ (১৭-ই সেপ্টেম্বরেই হয়) থাকলে ইচ্ছেমতন বাকী সব ভুলে যাওয়া যায়। আমার-ও তাই হয়েছে। 

    কিন্তু এইটা আরেকটু ঘেঁটে দেখবো। ১৬ বা ১৮ হলেও সাংঘাতিক প্রিসাইজ। 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩০498331
  • হায়ার অথরিটিই ঠিক বুঝেছেন। অংকোছানা যদুমাস্টারের মাথায় ১৭ তারিখটা বসে আছে অন্য কারণে :)
  • Kausik Ghosh | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪৪498332
  • আমার বোনের জন্ম ২৬শে সেপ্টেম্বর, ৯ই আশ্বিন। ছোট্ট থেকে আমার দুঃখ ছিলো যে বোনের জন্মদিনের ইংরেজি আর বাংলা তারিখ বছরের পর বছর মিলে যায়। আর আমি এতোই অভাগা, বাংলা তারিখ ইংরেজি তারিখের হয় একদিন আগে নয় দু'দিন পরে আসে।
    বড়ো হয়ে আবিষ্কার করলাম ক‍্যালেন্ডারে স্ক‍্যমের নায়ক বিশ্বকর্মা ঠাকুর। যেদিন উনি আসেন, সেদিন ভাদ্রের শেষ দিন। সংক্রান্তি। ফলে ১৮ই সেপ্টেম্বর আশ্বিনের ১ তারিখ হবেই। আর সেপ্টেম্বরের ২৬ যথারীতি ৯ই আশ্বিন হবেই হবে।
    চুয়ান্ন বছরের পুরনো দুই লাংস জন্মতারিখ বিষয়ক হতাশা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, আজ আপনার লেখা সেখানে একটু বসন্ত বাতাস ঢোকার ব‍্যবস্থা করে দিলো।
  • সুব্রত | 42.110.137.68 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:০৬498336
  • .......  কখনযে মন ঘুড়ির মতন লাট খেতে খেতে চার দশক পিছিয়ে গেছিলো হুঁশ ছিলো না। লেখাটি শেষ হতে হুঁশ ফিরলো।... ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি লেখা উপহার দেবার জন‍্য.....
  • যদুবাবু | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:২১498338
  • @কৌশিক-বাবুঃ আরে তাই নাকি? আমি এখন জানছি আপনার থেকে, যাকে বলে TIL (টুডে আই লার্নড)। আমার বেস্ট ফ্রেণ্ডের জন্মদিন ২৬শে, এক্ষুণি ওকে বলি ফোন করে। আমার নিজের দোসরা সেপ্টেঃ, একটুর জন্য মিস করে গেলাম। 

    @অভ্যুদাঃ বৈবাহিক জীবনের প্রথম নিয়মঃ হায়ার অথরিটি অভ্রান্ত, নির্ভুল, তর্কাতীত। অঙ্কে যাকে বলে axiom, উয়ার আর প্রুফ নাই, ধরে নিতেই হবে। 

    @সুব্রতবাবুঃ অনেক ধন্যবাদ ! এতো লোকের ভালো কথা শুনে অত্যন্ত গদগদ হয়ে আছি। আজ দুটো মিষ্টি এক্স্ট্রা খাবো। :) 

     
  • kk | 68.184.245.97 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১৪498340
  • চমৎকার লেখা। চমৎকার ছবি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন