এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ঠাকুরবাড়ির সম্পত্তির দাবিতে মামলা হল কোর্টে

    দেবব্রত মণ্ডল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৩১৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • সালটা ১৮৪২। কলকাতার বুকে তখন পুরোদমে বেজে চলেছে নবজাগরণের দামামা। প্রতি মুহূর্তে পালটে যাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমার চালচিত্র, বদলে যাচ্ছে শহর কলকাতার আট থেকে আশির রোজকার যাপন। চিৎপুর রোড, যা বর্তমানে পরিচিত রবীন্দ্র সরণি নামে সেই রাস্তা ধরে কিছুদূর হাঁটলেই চোখে পড়ে দ্বারকানাথ ঠাকুরের গলি যা ছিল তৎকালীন কলকাতার বুকে নবজাগরণের কেন্দ্রস্থল। শুধুমাত্র সাহিত্য সংস্কৃতি নয়, সেই সময় বাঙালির ব্যবসা-বাণিজ্যেরও অন্যতম পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছিল এই ঠাকুরবাড়ি।

    আঠারোশো বিয়াল্লিশ সালের ৯ই জানুয়ারি, বাঙালির ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাসে এক অন্যতম স্মরণীয় দিন। চিকিৎসক ম্যাক গোহান এবং ভাগনা চন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর রওনা হলেন ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। তৎকালীন সময়ে দ্বারকানাথ নিজের অসামান্য ব্যবসায়িক বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে পাবনা জগদীশপুর কালিগ্রাম প্রভৃতি স্থানে বহু জমিদারির মালিক হন। এমনকি এই একই সময়ে তিনি ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইংরেজদের রীতিমতো টেক্কা দিয়েছেন। তিনি সেই সময়ই বেলগাছিয়ার বুকে আমোদ-প্রমোদের জন্য বিরাট এক বাগান বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, যে বাগানবাড়িতে দ্বারকানাথ ঠাকুরের দৈনিক বিলাসিতার বৃত্তান্ত তৎকালীন সময়ের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলির কল্যাণে জনসমক্ষে চলে আসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ১৮৪২ সালের ৮ ই জুলাই মহারানী ভিক্টোরিয়া প্রিন্স দ্বারকানাথকে তার প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানান নৈশভোজের জন্য। বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে দ্বারকানাথ যে বাবু কালচারের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলেন লন্ডনের বুকেও তার ব্যতিক্রম হল না।

    ১৮৪৫ সাল নাগাদ দ্বারকানাথ দ্বিতীয়বারের জন্য বিদেশে পাড়ি জমালেন। তার দ্বিতীয়বারের বিলেত যাত্রা বাংলার ইতিহাসে নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে, এই সফরের মাঝেই মিশরের পাশা মোহাম্মদের সঙ্গে লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত রেলপথ বিস্তারের পরিকল্পনা করেন তিনি। যদিও এই দ্বিতীয়বারের বিদেশ সফরের কিছুদিনের মধ্যেই লন্ডনের বুকে দ্বারকানাথের অকাল মৃত্যুর জন্য এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় নি কোনদিনই।

    তবে ঠাকুরবাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে কান পাতলে শুধু যে নবজাগরণের জয়ধ্বনি শোনা যেত এমন ভাবলে খুব ভুল ভাবা হবে। এই ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলেই হত হাজারো সম্পর্কের ভাঙ্গা গড়ার গল্প, ঠাকুরবাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই গুমরে মরেছে হাজারো অব্যক্ত কান্না। দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তিসহ নানা কারণে বিবাদ-বিসংবাদ আরও প্রবল হয়ে ওঠে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যু ঠাকুরবাড়ির ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থেই ছিল এক মহীরুহ পতন, নবজাগরণের কালে দ্বারকানাথের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউনিয়ন ব্যাংক যা তার মৃত্যুর কিছু বছরের মধ্যেই উঠে যায়। না, শুধুমাত্র এখানেই সমাপ্তি ঘটেনি ঠাকুর পরিবারের দুর্ভাগ্যের, সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ঠাকুরবাড়ি জানা-অজানা বইতে লিখেছেন - “দ্বারকানাথের মৃত্যুর বছর দুয়েকের মধ্যে পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক ইত্যাদি একে একে লাটে উঠল। কারণ দ্বারকানাথ যে বিরাট ব্যবসা, সম্পত্তি, জমিদারি রেখে গিয়েছিলেন তার রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, দূরদর্শিতা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞানের প্রচণ্ড অভাব ছিল সন্তানদের মধ্যে।”

    নগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দ্বারকানাথের সুযোগ্য সন্তান। দ্বারকানাথের মতই নগেন্দ্রনাথ ছিলেন বিলাস-ব্যসনে মত্ত। ১৮৪৫ সাল নাগাদ দ্বারকানাথের দ্বিতীয়বারের বিলেত যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন পুত্র নগেন্দ্রনাথ। দ্বারকানাথের মৃত্যুর পর একদিকে যেমন ঠাকুরবাড়ি সবদিক থেকে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল তেমনি নগেন্দ্রনাথও নিজেকে ডুবিয়ে দিলেন আরও আমোদ-প্রমোদের মধ্যে। পিতার মৃত্যুশোক ভুলতে চাওয়া এর অন্যতম কারণ কি না জানা যায় না, তবে দ্বারকানাথের মতই নগেন্দ্রনাথেরও যে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সে সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া চলে। এমনকি ডাচেস অফ সাদারল্যান্ডের মেয়ের প্রেমেও পড়েছিলেন নগেন্দ্রনাথ। দ্বারকানাথ নিজে ছিলেন পুত্রস্নেহে অন্ধ, ফলে তাঁর মৃত্যুর পর ঠাকুরবাড়ি যখন একপ্রকার অভিভাবকহীন ঠিক তখনই নগেন্দ্রনাথের জীবনে শুরু হল আর এক প্রবল টানাপোড়েন, যার জন্য পরবর্তী সময়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন নগেন্দ্রনাথ।

    অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন এর ফলে দ্বারকানাথের মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়লেন নগেন্দ্রনাথ, কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হল পাওনাদারদের তাগাদা। এই অবস্থায় একপ্রকার কপর্দকশূন্য হয়ে সাহায্য চাইলেন দাদা দেবেন্দ্রনাথের। কিন্তু দ্বারকানাথের অকালমৃত্যুর ঝড় তখনো ঠাকুর পরিবার সেভাবে সামলে উঠতে পারে নি, আবার ঠাকুর পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্যও লাটে উঠেছে ফলে দেবেন্দ্রনাথ নিজে নগেন্দ্রনাথের গ্যারান্টার হতে রাজি না হলেও তিনি গালিমপুরের রেশমকুঠি ইজারা দিয়ে নগেন্দ্রনাথকে তার ঋণ শোধের পরামর্শ দেন। কিন্তু হিতে বিপরীত, দাদার এই পরামর্শকে অসহযোগিতা ভেবে চরম মনক্ষুণ্ণ হয়ে বাড়ি ছাড়লেন নগেন্দ্রনাথ। সেই যে গেলেন জীবদ্দশায় আর জোড়াসাঁকো ফেরেন নি তিনি। শেষ পর্যন্ত কয়লাহাটার রমানাথ ঠাকুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মাত্র ২৯ বছর বয়সে।

    নগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে হয়েছিল যশোরে। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী পড়লেন অথৈ জলে। দ্বারকানাথ এবং নগেন্দ্রনাথের মৃত্যুর শোক ঠাকুর পরিবার তখনও সামলে উঠতে পারে নি তারই সঙ্গে সদ্য স্বামীহারা ত্রিপুরাসুন্দরীকে নিয়ে সমস্যা বাড়লো জোড়াসাঁকোয়। এই পরিস্থিতিতে দেবেন ঠাকুর সিদ্ধান্ত নিলেন ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ঠাকুর পরিবার। দ্বারকানাথের এই সিদ্ধান্তের ফলে ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ঠাকুর পরিবারের অন্দরমহলে যে দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল তা অনেকাংশেই সরে যায়। দ্বারকানাথের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রিপুরাসুন্দরীর হাতে দুশ টাকা করে তুলে দেওয়া হতো মাসোহারা হিসেবে।

    তবে এর কিছুদিনের মধ্যেই ঠাকুর পরিবারে পুনর্বার অশান্তি দানা বেঁধে ওঠে, যার কেন্দ্রে ছিলেন ত্রিপুরাসুন্দরী দেবী স্বয়ং। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ দাবি করে এবার কোর্টে মামলা ঠুকলেন ত্রিপুরাসুন্দরী। এ ব্যাপারে ত্রিপুরসুন্দরীর মূল পরামর্শদাতা ছিলেন তার ভাই কেশব মজুমদার। এই মামলাকে কেন্দ্র করে আবার পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে, ঠাকুর পরিবারের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন ত্রিপুরাসুন্দরী। এমনকি পরবর্তী সময়ে সম্পর্কের অবনতি এমন এক জায়গায় পৌঁছে যায় যে ত্রিপুরাসুন্দরী ভয় পেতে থাকেন এই সম্পত্তির কারনেই তাকে শেষ পর্যন্ত খুন করা হতে পারে। এই কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িটিকে রীতিমতো এড়িয়ে চলতেন ত্রিপুরাসুন্দরী। যদিও পরবর্তী সময়ে দেবেন্দ্রনাথ ত্রিপুরাসুন্দরী সঙ্গে একটি রফাসূত্র বের করেন, সেই অনুযায়ী ত্রিপুরাসুন্দরী কে সার্কুলার রোডের উপর জোড়াগির্জা বাড়িটি দেওয়া হলে তিনি মামলা তুলে নেন। এতদিন পারিবারিক সমস্যা জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়ায় যে ভয় ঠাকুর পরিবারকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিলো তার হাত থেকে পাকাপাকিভাবে নিস্তার পেলেন তারা।

    ঊনবিংশ শতক ছিল বাঙালির নবজাগরণের যুগ, সেই নবজাগরণের পীঠস্থান ছিল কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। তবে নবজাগরনের গল্পের সঙ্গে সঙ্গেই ঠাকুর বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে রচিত হতো এমন হাজারো গল্প, যার নীরব সাক্ষী কল্লোলিনী কলকাতা। নবজাগরণের আলোর মধ্যে এমন অনেক ইতিহাসই চলে গেছে বিস্মৃতির অতল অন্ধকারে, যার কেন্দ্রে ছিল উনবিংশ শতকের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। আমরা কি তার হিসেব রাখি?

    ঋণ - ঠাকুরবাড়ির জানা - অজানা - সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৩১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৯498067
  • "সেই নবজাগরণের পীঠস্থান ছিল কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি।" ?
    -- নাঃ , দ্বারকানাথের সময়টিকে নবজাগরণ বলা কঠিন। ইংরেজদের টেক্কা উনি দেন নি। বরং ইংরেজ বানিয়াদের ছোট পার্টনার বা মুৎসুদ্দি হয়ে চীনে আফিমের চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে চিরস্থায়ী বন্দবস্তের মাধ্যমে জমিদারি কিনে খাজনা আদায়ের জন্য অকথ্য অত্যাচার করেন। এঁরা বাংলার কৃষির উন্নয়নের জন্যে কিছুই করেননি। এখান থেকে ইচ্ছেমত খাজনা আদায় করে সেই অর্থ বানিয়াপনায় বিনিয়োগ করেছেন, না শিল্পে না অন্য কোন কল্যাণকর কাজে। শিল্পসাহিত্যের ক্ষেত্রে এঁর অবদান শূন্য।
      এঁর কার্যকলাপকে নবজাগরণ? 
  • সন্তোষ ঠাকুর | 2401:4900:314a:35e1:0:64:bd5:c901 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৪498070
  • বাঙলায় কি সত্যিই নবজাগরন বলে কিছু হয়েছিল ? 
  • দেবব্রত মণ্ডল | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩১498072
  • Dwarokanath thakurer jiboner bes kichu oddhyay er upor kono khatre ekhono sevabe alokpat kora hoyni..... Ei prosonge bola chole dwarokanath pray 43 ti potitaloyer malik chilen bole sona jai, emonki tini kadombori debir mrityu songbad k dhapachapa debar chestao korechiln. Kintu etokichur poreo amra bangla silpo - sahityo er khetre thakurbarir obodan k osswikar korte parina. Dwarokanth sei somoyey vumodhyo sagor theke lohit sagorer upokul porjonto railpoth nirmaner porikolpona korechiln, emonki union bank o tar hat dhorei toiri hoy. Ar nobojagoron protimuhurte ekta choloman process..... Seta ki sudhu dwarokanth er moddhye aboddho kore fela uchit? Sutorang dwarokanth er jiboner onek kalo odhay jemon ache temni bes kichu alokojjwol odhay o obossoi ache. 
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৪৬498117
  • দ্বারাকানাথের জীবনে কোনটা আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়? শিল্প সাহিত্যের কথা বলছেন? ওনার  শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটা অবদানের নমুনা দেখান না? 
    রনীন্দ্রনাথকে দেখিয়ে তার ঠাকুর্দাকে জাস্টিফাই করবেন?  আর আফিং  এর চোরাচালান ওয়েল ডকুমেন্টেড। 
    রেলচালানোর পরিকল্পনা? কোথায় পেলেন? ইউনিয়ন ব্যাংক হোল শিল্প সাহিত্য? 
  • দেবব্রত মণ্ডল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:০০498119
  • Rail chalanor porikolponar kotha ami j boitir nam reference hisebe ei lekhar sese bolechi sekhanei ache..... Uni porikolpona koren kintu ta Bastobayito hoyni onar okal mrityu jonnyo.emonki union bank er kothao oi eki boite ache.... Ektu kosto kore porasona kore nile khusi hobo.ar union bank k to ami silpo sahityo bolini..... Ami blechi silpo - sahityor khetre thakurbarir obodan er kotha.ami jotodur jani thakurbari te dwarokanth chara aro onekei bosobas korten..... 
  • এলেবেলে | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০৪498144
  • এই চমৎকার লেখাটা মিস করে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি। ও মা, এ যে দেখি নবজাগরণের ঠাকুরবাড়ি। যথারীতি আরও একটা দুর্দান্ত লেখা। এবং দুটো লেখাতেই এলসিএমের অনবদ্য অবদানটাও চোখে পড়ার মতো।
     
    আচ্ছা দেবব্রতবাবু, আপনি লিখেছেন 'দ্বারকানাথ ৪৩টা বেশয়ালয়ের মালিক ছিলেন বলে শোনা যায়'। আমিও শুনেছি বটে। এটা কি গুজব নাকি এর সমর্থনে কোনও লেখাপত্র আছে? দরকারে এলসিএমের সাহায্য নিতে পারেন।
  • দেবব্রত মণ্ডল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৩২498146
  • শ্রীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী, সম্পাদক সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী -  এই বইটি আপনি দেখতে পারেন।
  • এলেবেলে | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৪498151
  • আহা, অমন আলগাভাবে বললে চলে? কত সালের সংস্করণ, কত পৃষ্ঠা, কোন অধ্যায় - এগুলো না বললে বিশল্যকরণীর খোঁজ পাব কেমন করে? তাছাড়া মোটে একটা বইতে আছে বিষয়টা? আর দু-তিনটে বইয়ের নামও যদি বলে দেন এই সুযোগে তাহলে বড়ই উপকৃত হই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন